04.05.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা যা শোনান, তা তোমাদের মনে ছেপে যাওয়া উচিত, তোমরা এখানে এসেছো সূর্যবংশী ঘরানায় উচ্চ পদ পেতে, তাই তোমাদের ধারণাও করতে হবে"

প্রশ্নঃ -
সদা রিফ্রেশ থাকার উপায় কি?

উত্তরঃ  
গরমে যেমন পাখা চালালে রিফ্রেশ করে দেয়, তেমনই সদা স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে থাকো, তাহলে রিফ্রেশ থাকবে l বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করে - স্বদর্শন চক্রধারী হতে কতো সময় লাগে? বাবা বলেন - বাচ্চারা, এক সেকেণ্ড l বাচ্চারা, তোমাদের স্বদর্শন চক্রধারী অবশ্যই হতে হবে, কেননা এতেই তোমরা চক্রবর্তী রাজা হতে পারবে l স্বদর্শন চক্র যারা ঘোরায় তারাই সূর্যবংশী হয় l

ওম্ শান্তি ।
পাখা যখন ঘোরে তখন সবাইকে রিফ্রেশ করে দেয় l তোমরাও যখন স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে বসো তখন খুবই রিফ্রেশ হয়ে যাও l স্বদর্শন চক্রধারীর অর্থ কেউই জানে না, তাই তাদের বোঝানো উচিত l বুঝতে না পারলে চক্রবর্তী রাজা হতে পারবে না l স্বদর্শন চক্রধারীরা নিশ্চিত হবে যে আমরা চক্রবর্তী রাজা হওয়ার জন্য স্বদর্শন চক্রধারী হয়েছি l কৃষ্ণের হাতেও চক্র দেখানো হয় l তারা লক্ষ্মী - নারায়ণের কম্বাইন্ড স্বরূপকেও দেয় আবার পৃথকভাবেও দেয় l স্বদর্শন চক্রকেও বুঝতে হবে তবেই চক্রবর্তী রাজা হতে পারবে l এই কথা তো খুবই সহজ l বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করে - বাবা, স্বদর্শন চক্রধারী হতে কতো সময় লাগবে? বাচ্চারা, এক সেকেণ্ড l এরপর তোমরা বিষ্ণুবংশী হও l দেবতাদের বিষ্ণুবংশী বলা হবে l বিষ্ণুবংশী হতে হলে প্রথমে তো শিববংশী হতে হবে এরপর বাবা বসে সূর্যবংশী বানান l এই শব্দ তো খুবই সহজ l আমরা নতুন বিশ্বে সূর্যবংশী হই l আমরা নতুন দুনিয়ার মালিক চক্রবর্তী রাজা হই l স্বদর্শন চক্রধারী থেকে বিষ্ণুবংশী হতে এক সেকেণ্ড সময় লাগে l আমাদের তৈরী করেন শিববাবা l শিববাবাই বিষ্ণুবংশী বানান, আর কেউই তা বানাতে পারে না l এ তো বাচ্চারা জানেই যে, বিষ্ণুপুরী হয় সত্যযুগে, এখানে নয় l এ হলো বিষ্ণুবংশী হওয়ার যুগ l তোমরা এখানে আসোই বিষ্ণুবংশে আসার জন্য, যাকে তোমরা সূর্যবংশী বলো l জ্ঞান সূর্যবংশী শব্দ খুবই ভালো l বিষ্ণু ছিলেন সত্যযুগের মালিক l তাঁরমধ্যে লক্ষ্মী - নারায়ণ দুইই আছে l এখানে বাচ্চারা এসেছে লক্ষ্মী - নারায়ণ অথবা বিষ্ণুবংশী হওয়ার জন্য l এতে খুশীও অনেকই হয় l নতুন দুনিয়ায়, নতুন বিশ্বে, স্বর্ণযুগের বিশ্বে তোমাদের বিষ্ণুবংশী হতে হবে l এরথেকে উঁচু পদ আর নেই, এতে তো খুবই খুশী হওয়া উচিত l

প্রদর্শনীতে তোমরা বোঝাও l তোমাদের এইম অবজেক্ট হলো এটাই l তোমরা বলো, এ অনেক বড় ইউনিভার্সিটি l একে বলা হয় আধ্যাত্মিক স্পিরিচুয়াল ইউনিভার্সিটি l এইম্ অবজেক্ট এই চিত্রতে আছে l বাচ্চাদের এইকথা বুদ্ধিতে রাখা উচিত l তোমরা কিভাবে লিখবে যাতে বাচ্চাদের বোঝাতে এক সেকেণ্ড সময় লাগে l তোমরাই তা বোঝাতে পারো l ওতেও তো লেখা আছে - আমরা অবশ্যই বিষ্ণুপুরীর দেবী - দেবতা ছিলাম, অর্থাৎ দেবী - দেবতা কুলের ছিলাম l আমরাই স্বর্গের মালিক ছিলাম l বাবা বোঝান - মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা এই ভারতে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে সূর্যবংশী দেবী - দেবতা কুলের ছিলে l বাচ্চাদের এই কথা এখন বুদ্ধিতে এসেছে l শিববাবা বাচ্চাদের বলেন - হে বাচ্চারা, তোমরা সত্যযুগে সূর্যবংশী ছিলে l শিববাবা এসেছিলেন সূর্যবংশী ঘরানা স্থাপন করতে l ভারত অবশ্যই স্বর্গ ছিলো l এঁরাই পূজ্য ছিলো, কেউই তখন পূজারী ছিল না l পূজার কোনো সামগ্রীও তখন ছিল না l এই শাস্ত্রতেই পূজার নিয়ম - কানুন ইত্যাদি লেখা আছে l এ'সব হলো সামগ্রী l তাহলে অসীম জগতের বাবা শিববাবা বসে তোমাদের বোঝান l তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ l তাঁকে বৃক্ষপতি বা বৃহস্পতিও বলা হয় l বৃহস্পতির দশা উঁচুর থেকেও উঁচু হয় l বৃক্ষপতি তোমাদের বোঝাচ্ছেন - তোমরা পূজ্য দেবী - দেবতা ছিলে তারপর পূজারী হয়েছো l যে দেবতারা নির্বিকারী ছিলো, তাঁরা কোথায় গেলো ?অবশ্যই তাঁরা পুনর্জন্ম নিতে নিতে নীচে নামবে l তাই এক একটি অক্ষর নোট করার দরকার l মনে নাকি কাগজে ? এ কথা কে বুঝিয়ে বলেন ? শিববাবা l তিনিই স্বর্গের রচনা করেন l শিববাবাই বাচ্চাদের স্বর্গের অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন l বাবা ছাড়া আর কেউই তা দিতে পারে না l লৌকিক বাবা তো হলেন দেহধারী l তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করে পারলৌকিক বাবাকে স্মরণ করো - বাবা, বাবা তখন উত্তর দেন - হে বাচ্চারা l তাহলে তো অসীম জগতের বাবা হয়ে গেলেন, তাই না l বাচ্চারা, তোমরা সূর্যবংশী পূজ্য দেবী - দেবতা ছিলে, এরপর পূজারী হয়েছো এ হলো রাবণের রাজ্য l প্রতি বছর রাবণকে জ্বালানো হয়, তবুও মরেই না l ১২ মাস পর আবার রাবণকে জ্বালাবে l সিদ্ধ করে দেখায় যে আমরা রাবণ সম্প্রদায়ের l রাবণ অর্থাৎ পাঁচ বিকারের রাজ্য কায়েম আছে l সত্যযুগে সবাই শ্রেষ্ঠাচারী ছিলো এখন কলিযুগ হলো পুরানো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া, এই চক্র ঘুরতে থাকে l এখন তোমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মাবংশী, সঙ্গম যুগে বসে আছো l তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, আমরা ব্রাহ্মণ l এখন আমরা শূদ্র কুলের নই l এই সময় হলোই আসুরী রাজ্য l বাবাকে বলা হয় - হে দুঃখহর্তা হে সুখকর্তা l সুখ এখন কোথায় আছে ? সত্যযুগে l দুঃখ কোথায় আছে ? দুঃখ তো কলিযুগে আছে l দুঃখহর্তা এবং সুখকর্তা হলেনই শিববাবা l তিনি সুখেরই অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন l সত্যযুগকে সুখধাম বলা হয়, সেখানে দুঃখের নামমাত্র থাকে না l তোমাদের আয়ুও সেখানে অনেক বেশী হয় তাই কান্নার কোনো প্রয়োজন নেই l সময় মতো পুরানো শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর ধারণ করে l তাঁরা মনে করে শরীর এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছে l প্রথমে ছোটো ছোটো বাচ্চারা সতোগুণী হয়, তাই বাচ্চাদের ব্রহ্মজ্ঞানীর থেকেও উঁচু মনে করা হয় কেননা সন্ন্যাসীরা তো বিকারী গৃহস্থ জীবনের ভয়ে সন্ন্যাসী হয় তাই তাঁরা বিকারের সব খবরই জানেন l সেখানে ছোটো ছোটো বাচ্চারা কিছুই জানে না l এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়ায় রাবণ রাজ্য, ভ্রষ্টাচারী রাজ্য l শ্রেষ্ঠাচারী দেবী - দেবতার রাজ্য সত্যযুগে ছিলো, এখন আর তা নেই l হিষ্ট্রি আবার রিপিট হবে l কে শ্রেষ্ঠাচারী বানাবে ?এখানে তো একজনও শ্রেষ্ঠাচারী নেই l এতে বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন l এ হলো পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধি তৈরী করার যুগ l বাবা এসেই পাথর বুদ্ধি থেকে পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির তৈরী করেন l

বলা হয় - সুসঙ্গ উদ্ধার করে আর কুসঙ্গ পতনের দিকে নিয়ে যায় l সত্য বাবা ছাড়া দুনিয়াতে সবই কুসঙ্গ l বাবা বলেন যে - আমি তোমাদের সম্পূর্ণ নির্বিকারী বানিয়ে যাই l এরপর সম্পূর্ণ বিকারী কে বানায়? মানুষ বলে, আমরা কি জানি ! বাবা বসে বোঝান, মানুষ তো কিছুই জানে না l এ তো রাবণ রাজ্য, তাই না? কারোর বাবা মারা গেলে জিজ্ঞেস করো, কোথায় গেলো? বলবে স্বর্গবাসী হয়েছে l আচ্ছা, তাহলে এর অর্থ নরকে ছিলো, তাই না? তাহলে তোমরাও তো নরকবাসী হলে, তাই না l এটা কতো সহজ বোঝার মতো কথা l নিজেদের কেউই নরকবাসী মনে করে না l নরককে বেশ্যালয় আর স্বর্গকে শিবালয় বলা হয় l আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এই দেবী - দেবতাদের রাজ্য ছিলো l তোমরা এই বিশ্বের মালিক মহারাজা মহারাণী ছিলে তারপর তোমাদের পুনর্জন্ম নিতে হয়েছে l তোমরাই সবথেকে বেশী পুনর্জন্ম নিয়েছো l এরজন্যই এমন মহিমা আছে যে - আত্মা, পরমাত্মা আলাদা আছে বহুকাল l তোমাদের স্মরণে আছে যে, তোমরা প্রথমে আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্মের হয়েই এসেছিলে তারপর ৮৪ জন্ম নিয়ে পতিত হয়েছো এখন আবার তোমাদের পবিত্র হতে হবে l মানুষ ডেকেও থাকে - পতিত পাবন এসো, তো সার্টিফিকেট দেয় যে, একই সুপ্রীম সদ্গুরু এসে পবিত্র বানান l তিনি নিজেই বলেন, আমি এনার মধ্যে বসে তোমাদের পবিত্র বানাই l বাকি ৮৪ লাখ যোনি ইত্যাদি কিছুই নেই l ৮৪ জন্ম আছে l এই লক্ষ্মী - নারায়ণের প্রজারা সত্যযুগে ছিলো, এখন আর নেই, তারা কোথায় গেলো? তাদেরও ৮৪ জন্ম নিতে হয় l যাঁরা প্রথম নম্বরে আসে, তাঁরাই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নেয় l তাই প্রথমে এই কথা জানা উচিত l দেবী - দেবতাদের ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি রিপিট হয় l সূর্যবংশী এবং চন্দ্রবংশী রাজ্য অবশ্যই রিপিট হয় l বাবা তোমাদের সেই উপযুক্তই করছেন l তোমরা বলো যে, আমরা এই ইউনিভার্সিটি বা পাঠশালাতেই এসেছি, যেখানে আমরা নর থেকে নারায়ণ হই l আমাদের এইম অবজেক্ট এটাই l যারা খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ করবে, তারাই পাস করতে পারবে l যারা পুরুষার্থ করবে না তারা প্রজাতে আসবে, অনেকে সাহুকার হবে, কেউ আবার তারও কম l এই রাজধানী এখন তৈরী হচ্ছে l তোমরা জানো যে, আমরা শ্রীমতে চলে শ্রেষ্ঠ হচ্ছি l শ্রী শ্রী শিববাবার মতে শ্রী লক্ষ্মী - নারায়ণ বা দেবী - দেবতা তৈরী হয় l শ্রীয়ের অর্থ শ্রেষ্ঠ । এখন কাউকেই শৃ বলা যাবে না কিন্তু এখানে তো যেই আসবে তাকেই শ্রী বলে দেওয়া হবে । শ্রী অমুক - এখন শ্রেষ্ঠ তো এক দেবী - দেবতা ছাড়া কেউই হতে পারবে না । ভারত শ্রেষ্ঠর থেকেও শ্রেষ্ঠ ছিলো । রাবণ রাজ্যে সেই ভারতের মহিমাই শেষ করে দিয়েছে । ভারতের মহিমাও যেমন অনেক আছে তেমনি নিন্দাও অনেক আছে । ভারত সম্পূর্ণ ধনবান ছিলো এখন সম্পূর্ণ কাঙ্গাল হয়ে গেছে । মানুষ দেবতাদের সামনে গিয়ে তাঁদেরই মহিমা করে - আমরা নির্গুণ হেরে যাওয়ার মধ্যে কোনো গুণ নেই । মানুষ দেবতাদের বলে থাকে কিন্তু তাঁরা কি দয়ালু ছিলো ? দয়ালু তো একজনকেই বলা হয়, যিনি মানুষকে দেবতা বানান । এখন তিনি তোমাদের একাধারে বাবা, টিচার এবং সদ্গুরুও । তিনি তোমাদের গ্যারেন্টি দেন - আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের জন্ম - জন্মান্তরের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে আর আমি তোমাদের সাথে করে নিয়ে যাবো । এরপর তোমাদের নতুন দুনিয়ায় যেতে হবে । এ হলো পাঁচ হাজার বছরের চক্র । নতুন দুনিয়া ছিলো আবার তা অবশ্যই তৈরী হবে । দুনিয়া পতিত হবে আবার বাবা এসে একে পবিত্র করবেন । বাবা বলেন, পতিত রাবণ বানায় আর পবিত্র আমি বানাই । বাকি এরা তো সবাই পুতুল পুজা করতে থাকে । তারা একথা জানেই না যে রাবণের কেন দশ মাথা দেখানো হয়? বিষ্ণুকেও চার হাত দেওয়া হয় কিন্তু এমন কোনো মানুষ কখনো কোথাও হয়ই না । যদি চার হাতের কোনো মানুষ হতো, তার যে সন্তান জন্ম নিতো তারও চার হাত হওয়া উচিত । এখানে তো সকলেরই দুটি হাত । কেউ কিছুই জানে না । যারা ভক্তিমার্গের শাস্ত্র কণ্ঠস্থ করে নেয়, তাদেরও কতো ফলোয়ার্স তৈরী হয়ে যায় । আশ্চর্যের কথা । ইনি তো হলেন বাবা, ইনি জ্ঞানের অথরিটি । কোনো মানুষই জ্ঞানের অথরিটি হতে পারে না । জ্ঞানের সাগর তোমরা আমাকে বলো - অলমাইটি অথরিটি - এ হলো বাবার মহিমা । তোমরা বাবাকে স্মরণ করো এবং বাবার থেকে শক্তি গ্রহণ করো, যাতে তোমরা এই বিশ্বের মালিক হয়ে যাও । তোমরা বুঝতে পারো যে, আমাদের মধ্যে অনেক শক্তি ছিলো, আমরা নির্বিকারী ছিলাম । আমরা সম্পূর্ণ বিশ্বে একা রাজত্ব করতাম তাহলে অলমাইটিই তো বলা হবে, তাই না । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ ছিলো সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক । এই শক্তি তাঁরা কোথা থেকে পেয়েছে? বাবার থেকে । তিনি তো হলেন উঁচুর থেকেও উঁচু ভগবান, তাই না । তিনি কতো সহজভাবে বুঝিয়ে বলেন । এই ৮৪-র চক্রকে বোঝা তো খুবই সহজ, তাই না । যার দ্বারা তোমরা এই বাদশাহী পাও । পতিত মানুষ এই বিশ্বের বাদশাহী পেতে পারে না । পতিত তো তাঁদের সামনে মাথা নত করে । তারা মনে করে, আমরা ভক্ত । তারা পবিত্রের সামনে মাথা নত করে । ভক্তিমার্গও অর্ধেক কল্প ধরে চলে । এখন তোমরা ভগবানকে পেয়েছো । ভগবান উবাচঃ - আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই, ভক্তির ফল দিতেই আমি এসেছি । মানুষ এমনও গেয়ে থাকে - ভগবান কোনো না কোনো রূপে এসে যাবেন । বাবা বলেন, আমি কোনো ষাঁড়ের দেহে আসবো না । যিনি উঁচুর থেকেও উঁচু ছিলেন, যিনি ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছেন, আমি তাঁর মধ্যেই আসি । উত্তম পুরুষ থাকে সত্যযুগে । কলিযুগে থাকে কনিষ্ঠ, তমোপ্রধান । এখন তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান তৈরী হচ্ছো । বাবা এসে তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান বানান। এ হলো খেলা। একে যদি বুঝতে না পারো তাহলে স্বর্গে কখনোই আসতে পারবে না। আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এক বাবার সঙ্গে থেকে নিজেকে পরশ বুদ্ধির বানাতে হবে । সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে । কুসঙ্গ থেকে দূরে থাকতে হবে ।

২ ) সদা এই খুশীতে থাকতে হবে যে, আমরা স্বদর্শন চক্রধারী থেকে নতুন দুনিয়ার মালিক চক্রবর্তী রাজা তৈরী হই । শিববাবা এসেছেন আমাদের জ্ঞান সূর্যবংশী বানাতে । আমাদের লক্ষ্য হলো এটাই ।

বরদান:-
বিঘ্নগুলিকে মনোরঞ্জনের খেলা মনে করে অতিক্রমকারী নির্বিঘ্ন, বিজয়ী ভব

বিঘ্ন আসা এ হলো ভালো কথা কিন্তু বিঘ্ন যেন পরাজিত না করে। বিঘ্ন আসে মজবুত বানানোর জন্য, সেইজন্য বিঘ্ন এলে ঘাবড়ে যাওয়ার পরিবর্তে তাকে মনোরঞ্জনের খেলা মনে করে অতিক্রম করে নাও, তখন বলা হবে নির্বিঘ্ন বিজয়ী। যখন সর্বশক্তিমান বাবা সাথে আছেন তখন ঘাবড়ানোর কোনও কথাই নেই। কেবল বাবার স্মরণ আর সেবাতে বিজি থাকো তাহলে নির্বিঘ্ন থাকবে। যখন বুদ্ধি ফ্রী থাকে তখন বিঘ্ন বা মায়া আসে, বিজি থাকো তো মায়া বা বিঘ্ন দূরে চলে যাবে।

স্লোগান:-
সুখের খাতা জমা করার জন্য মর্যাদাপূর্বক হৃদয় থেকে সবাইকে সুখ প্রদান করো।