20.04.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - যোগবলের দ্বারা তোমাদের এই লবণাক্ত চ্যানেলকে পার করে ঘরে যেতে হবে, তাই যেখানে যেতে হবে তার স্মরণ করো, এমন খুশীতে থাকো যে আমরা এখনই ফকির থেকে ধনবান হচ্ছি"

প্রশ্নঃ -
দৈবীগুণ এর সাবজেক্টের বিষয়ে যে সব বাচ্চাদের নজর রয়েছে, তাদের নিদর্শন কি?

উত্তরঃ  
তাদের বুদ্ধিতে থাকে - যেমন কর্ম আমরা করবো, আমাদের দেখে অন্যরাও করবে l কখনোই কাউকে বিরক্ত করবে না l তাদের মুখ থেকে কখনোই উল্টোপাল্টা শব্দ নির্গত হবে না l তারা মন - বচন এবং কর্মে কখনোই কাউকে দুঃখ দেবে না l বাবার সমান সুখ দেওয়ার লক্ষ্য যদি থাকে তখনই বলা হবে দৈবী গুণের সাবজেক্টের প্রতি নজর রয়েছে l

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি - মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চাদের আত্মাদের বাবা বোঝাচ্ছেন l তিনি তাদের স্মরণের যাত্রাও শেখাচ্ছেন l এই স্মরণের যাত্রার অর্থ বাচ্চারাই বুঝতে পারে l ভক্তিমার্গেও সবাই দেবতাদের এবং শিববাবাকেও স্মরণ করে কিন্তু এ কথা জানতোও না যে, স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হয় l বাচ্চারা জানে যে, বাবা হলেন পতিত পাবন, তিনিই পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দেন l আত্মাকেই পবিত্র হতে হবে আবার আত্মাকেই পতিত হতে হবে l বাচ্চারা জানে যে, বাবা ভারতে এসেই স্মরণের যাত্রা শেখান আর কোথাও তিনি শেখাতে পারেন না l শরীরের যাত্রা তো বাচ্চারা অনেকই করেছে, এই যাত্রা কেবল এক বাবাই শেখাতে পারেন l বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের বুঝিয়েছেন যে, মায়ার কারণে সকলের বুদ্ধিতেই অবুঝের তালা লেগে আছে l বাবার কাছে এখন তোমরা জানতে পেরেছো যে, আমরা কতো বুদ্ধিমান, ধনবান এবং পবিত্র ছিলাম l আমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক ছিলাম l এখন আমরা আবার তেমন তৈরী হচ্ছি l বাবা আমাদের কতো বড় বেহদের বাদশাহী দেন l লৌকিক বাবা হয়তো লাখ বা কোটি টাকা দেন l এখানে তো মিষ্টি অসীম জগতের বাবা অসীমিত বাদশাহী দিতে এসেছেন, এই কারণেই তোমরা এখানে পড়তে এসেছো l তোমরা কার কাছে পড়তে এসেছো? অসীম জগতের বাবার কাছে l বাবা শব্দ মাম্মার থেকেও মিষ্টি l যদিও মাম্মা পালনা করেন কিন্তু বাবা তবুও বাবা, যাঁর থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায় l তোমরা সদা সুখী আর সদা সোহাগী (এয়োস্ত্রী) তৈরী হচ্ছো l বাবা আমাদের আবার নতুন করে কি বানাচ্ছেন ! এ কোনো নতুন কথা নয় l এমন গায়নও আছে যে, ভোরে আমীর ছিলাম, রাতে ফকির l তোমরাও ভোরে ধনী আর অসীম জগতের রাতে ফকির হয়ে যাও l বাবা রোজ রোজ মনে করান - বাচ্চারা, কাল তো তোমরা বিশ্বের মালিক ধনবান ছিলে, এখন তোমরা ফকির হয়ে গেছো l এখন আবার প্রভাত এলে তোমরা ধনী হয়ে যাও l এ কতো সহজ কথা l বাচ্চারা তোমাদের এই ধনী হওয়ার জন্য খুব খুশী হওয়া চাই l ব্রাহ্মণদের দিন আর ব্রাহ্মণদের রাত l এখন এই দিনে তোমরা ধনী হচ্ছো আর হবেও অবশ্যই কিন্তু তাও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে l বাবা বলেন যে, এ হলো সেই লবণাক্ত চ্যানেল যা তোমরাই পার করো যোগবলের দ্বারা l যেখানেই যাও না কেন, তাঁর স্মরণ থাকা দরকার l আমাদের এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে l বাবা নিজেই এসেছেন আমাদের নিয়ে যেতে l তিনি খুব ভালোবেসে বোঝান - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরাই পবিত্র ছিলে, ৮৪ জন্ম নিতে নিতে তোমারাই পতিত হয়ে গেছো, আবার তোমাদের পবিত্র হতে হবে l পবিত্র হওয়ার অন্য আর কোনো উপায় নেই l তোমরা জানো যে, পতিত পাবন আসেন আর তোমরা তাঁর মতে চলে পবিত্র হও l বাচ্চারা তোমাদের অত্যন্ত খুশী হওয়া উচিত যে আমরা এই পদ পাবো l বাবা বলেন, তোমরা ২১ জন্মের জন্য সদা সুখী হবে l বাবা দেন সুখধামের অবিনাশী উত্তরাধীকার আর রাবণ দেয় দুঃখধামের উত্তরাধিকার l বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে রাবণ তোমাদের পুরানো শত্রু, যে তোমাদের পাঁচ বিকার রূপী খাঁচায় নিক্ষেপ করেছে l বাবা এসে তোমাদের মুক্ত করেন l যে যত বাবাকে স্মরণ করে ততোই সে অন্যদেরও বাবার পরিচয় দিতে পারে l যারা স্মরণ করে না, তারা দেহ - ভাবে থাকবে l তারা না বাবাকে স্মরণ করতে পারে আর না বাবার পরিচয় দিতে পারে l আমরা আত্মারা হলাম ভাই - ভাই, ঘর থেকে আমরা এখানে এসেছি ভিন্ন - ভিন্ন পার্ট প্লে করার জন্য l এই সম্পূর্ণ পার্ট প্লে কি করে হয়, সেও তোমাদের বুদ্ধিতে আছে l যে সম্পূর্ণ নিশ্চিত, সেই এখানে এসে রিফ্রেশ হতে পারে l এ এমন কোনো পড়া নয় যে তোমাদের টিচারের সাথেই থাকতে হবে l তা নয়, তোমরা নিজের ঘরে থেকেও পড়তে পারো l এক সপ্তাহে ভালোভাবে বোঝো তোমরা তারপর কাউকে এক মাস বাদে, কাউকে ছয় মাস বাদে কাউকে আবার বারো মাস বাদে নিয়ে আসে l বাবা বলেন, নিশ্চিত হলো আর চলে গেলো l

তোমাদের রাখীও বাঁধতে হবে যে আমরা বিকারে যাবো না l আমরা শিববাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করি l শিববাবাই বলেন - বাচ্চারা, তোমাদের অবশ্যই নির্বিকারী হতে হবে l বিকারে যদি যাও তাহলে উপার্জন নষ্ট হয়ে যাবে, শত গুণ দণ্ড ভোগ করতে হবে l ৬৩ জন্ম তোমরা ধাক্কা খেয়েছো l এখন বাবা বলছেন, তোমরা পবিত্র হও l আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে l আত্মা হলো ভাই - ভাই l তোমরা কারোর নাম রূপে আটকে যাবে না l কেউ যদি রেগুলার পড়া না করে তাহলে তাকে শীঘ্র আনার দরকার নেই l যদিও বাবা বলেন, একদিনেও তীর লাগতে পারে কিন্তু বুদ্ধির দ্বারা কাজ করতে হবে l তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে সবার থেকে উত্তম l এ হলো তোমাদের সবথেকে উচ্চ কুল l ওখানে কোনো সৎসঙ্গ ইত্যাদি হয় না l সৎসঙ্গ ভক্তিমার্গে হয় l তোমরা জানো যে সৎএর সঙ্গ উদ্ধার করে, সৎএর সঙ্গ তখনই মেলে যখন সত্যযুগের স্থাপনা হওয়ার হয় l এ কথা কারোর বুদ্ধিতেই আসে না কারণ বুদ্ধির তালা বন্ধ হয়ে আছে l এখন তোমাদের সত্যযুগে যেতে হবে l এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগেই হলো সত্ এর সঙ্গ l ওই গুরুরা তো সঙ্গম যুগের নন l বাবা যখন আসেন তখন বাচ্চা - বাচ্চা বলে ডাকতে থাকেন l ওই গুরুদের তোমরা বাবা বলবেই না l বুদ্ধিতে একদম গোদরেজের তালা লেগে আছে l বাবা এসে এই তালা খোলেন l বাবা এসে কতো যুক্তির রচনা করেন যাতে মানুষ হীরে তুল্য জীবন তৈরী করতে পারে l ম্যাগাজিন, বই ইত্যাদিও ছাপানো হয় l অনেকের কল্যাণ হলেই তোমরা অনেকের আশীর্বাদ পাবে l প্রজা বানানোর পুরুষার্থ করা উচিত l নিজেদের বন্ধন থেকে মুক্ত করারও প্রয়োজন l শরীর নির্বাহের কারণে সেবা তো অবশ্যই করতে হবে l এই ঈশ্বরীয় সেবা হয় ভোরবেলা আর সন্ধ্যাবেলা l ওই সময় সকলেরই অবসর আছে, যাদের কাছে তোমরা লৌকিক সেবা করো তাদেরও পরিচয় দিতে থাকো যে, তোমাদের দু'জন বাবা l লৌকিক বাবা সকলের আলাদা l পারলৌকিক বাবা সকলের একজনই l তিনি হলেন সুপ্রীম l বাবা বলেন যে, এখানে আমারও পার্ট আছে l এখন বাচ্চারা, তোমরা আমার পরিচয় জেনে গেছো l আত্মাকেও তোমরা জেনে গেছো l আত্মার জন্য বলা হয়, ভ্রুকুটির মধ্যে ঝলমলে এক অদ্ভুত তারা l সে অকাল সিংহাসনে বিরাজিত l আত্মাকে কখনোই কাল গ্রাস করতে পারে না l আত্মা কেবল অস্বচ্ছ এবং স্বচ্ছ হয় l আত্মার আসনও ভ্রুকুটির মধ্যেই শোভা পায় l তিলকও এখানেই দেওয়া হয় l বাবা বলেন যে তোমরা নিজেরাই নিজেদের রাজ তিলক দেওয়ার উপযুক্ত বানাও l এমন নয় যে আমি সবাইকেই রাজ তিলক দেবো l তোমরা নিজেদেরই দেওয়াও l বাবা জানেন যে - কে বেশী সেবা করে l ম্যাগাজিনেও খুব ভালোভাবে লেখা চাই l এর সাথে সাথে যোগের পরিশ্রমও করতে হবে, যাতে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয় l দিনে দিনে তোমরা খুব ভালো রাজযোগী হয়ে যাবে l তোমরা বুঝতে পারবে এখন আমাদের দেহত্যাগ হবে আর আমরা চলে যাবো l সূক্ষ্ম বতন পর্যন্ত বাচ্চারা তো যায়ই, মূলবতনকেও তারা খুব ভালোভাবে জানে যে এ হলো আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের ঘর l মানুষ শান্তিধামে যাওয়ার জন্যই ভক্তি করে l সুখধামের কথা তো ওরা জানেই না l বাবা ছাড়া তো কেউই সুখধামে যাওয়ার শিক্ষা দিতে পারেন না l এ হলো প্রবৃত্তি মার্গ l উভয়কেই মুক্তিধামে যেতে হবে l ওরা উল্টো পথ বলে দেয়, ফলে কেউই যেতে পারে না l পরের দিকে বাবাই সবাইকে নিয়ে যাবেন l এ হলো তাঁরই কর্তব্য l কেউ কেউ খুব ভালোভাবে পড়ে রাজ্য - ভাগ্য গড়ে নেয় l বাদবাকি সবাই কিভাবে পড়বে? তারা যেভাবে নম্বর অনুসারে আসে তেমনি নম্বর অনুসারেই চলেও যাবে l এই বিষয়ে বেশী সময় নষ্ট করো না l

বলা হয়, বাবাকে স্মরণ করার সময়ও পাওয়া যায় না তাহলে তোমরা এই সময় কেন নষ্ট করো l এ তো নিশ্চিত যে, অসীম জগতের বাবা, তিনি টিচার আবার সদ্গুরুও l এরপর দ্বিতীয় অন্য কাউকে স্মরণ করার প্রয়োজন নেই l তোমরা জানো যে আগের কল্পেও এই শ্রীমতে চলে আমরা পবিত্র হয়েছিলাম l তোমরা প্রতি মুহূর্তে চক্র ঘোরাতে থাকো l তোমাদের নামই হলো স্বদর্শন চক্রধারী l রকেটের মতো জ্ঞানের সাগরের থেকে জ্ঞান ভরতে তোমাদের দেরী হয় না, খালি হতেই দেরী লাগে l তোমরা হলে মিষ্টি হারানিধি বাচ্চা কেননা তোমরা কল্পের শেষে এসে মিলিত হয়েছো l এই নিশ্চয় পাক্কা হওয়া চাই l আমরা ৮৪ জন্মের পরে আবার এসে বাবার সঙ্গে মিলিত হয়েছি l বাবা বলেন, যে সবার প্রথমে ভক্তি করেছে সেই প্রথমে জ্ঞান ধারণের যোগ্যও হয়েছে, কেননা ভক্তির ফল তো চাই l তাই সর্বদা নিজের সেই ফল আর অবিনাশী উত্তরাধিকার স্মরণ করতে থাকো l ফল শব্দটি হলো ভক্তিমার্গের l অবিনাশী উত্তরাধিকার হলো সঠিক l অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ করলে অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায় আর অন্য কোনো উপায় নেই l ভারতের প্রাচীন যোগ হলো বিখ্যাত l ওরা মনে করে, আমরা ভারতের প্রাচীন যোগ শিখছি l বাবা বোঝান যে, ড্রামা অনুসারে ওরা হঠযোগী হয়ে যায় l তোমরা এখন রাজযোগ শিখছো, কেননা এ হলো সঙ্গমযুগ l ওদের ধর্ম আলাদা l বাস্তবে ওদের গুরু করা উচিত নয় কিন্তু এও ড্রামা অনুসারে ওদের অবশ্যই গুরু করবে l বাচ্চারা, তোমাদের এখন সঠিক হতে হবে l ধর্মের মধ্যেই শক্তি আছে l তোমাদের আমি যে দেবী - দেবতা বানাই, এই ধর্ম খুবই সুখ প্রদানকারী l আমার শক্তিও তারাই পায়, যারা আমার সঙ্গে যোগযুক্ত হয় l তাই বাবা নিজে যে ধর্ম স্থাপন করেন, তাতে অনেক শক্তি l তোমরা সকলেই এই বিশ্বের মালিক হও l বাবা এই ধর্মের অনেক মহিমা করেন যে এতে অনেক শক্তি l সর্বশক্তিমান বাবার থেকে এই শক্তি অনেকেই পায় l বাস্তবে শক্তি সবাই পায় কিন্তু নম্বর অনুসারে l তোমাদের যত শক্তি চাই ততোই বাবার থেকে নিতে পারো এরপর তোমাদের দৈবী গুণের সাবজেক্টও চাই l তোমরা কাউকেই বিরক্ত কোরো না বা দুঃখ দিও না l ইনি (ব্রহ্মা বাবা) কখনোই কাউকে উল্টোপাল্টা কথা বলতেন না l তিনি জানতেন, আমি যেমন কর্ম করবো, আমাকে দেখে অন্যেরাও তাই করবে l আসুরী গুণ থেকে দৈবী গুণে আসতে হবে l দেখতে হবে, আমি কাউকে দুঃখ দিচ্ছি না তো? এমন কেউই নেই, যে কাউকে দুঃখ দেয় না l কিছু না কিছু ভুল অবশ্যই হয়ে যায় l মন - বচন এবং কর্মে কাউকেই দুঃখ দেবে না, এমন অবস্থা তো অন্তিম সময়ে আসবে l এইসময় আমরা পুরুষার্থী অবস্থায় আছি l প্রতিটা বিষয় পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে হয় l সবাই সুখের জন্যই পুরুষার্থ করে কিন্তু বাবা ছাড়া কেউই সুখের দান দিতে পারে না l সোমনাথের মন্দিরে কতো হীরে - জহরত ছিলো l ওইসব কোথা থেকে এসেছিলো, মানুষ কিভাবে বিত্তবান হয়েছিলো l সারাদিন এই পড়ার মন্থনে থাকতে হবে l গৃহস্থ জীবনে থেকে কমল পুষ্পের ন্যায় পবিত্র হতে হবে l তোমরা এমন পুরুষার্থই করেছো তাই তো মালা তৈরী হয়েছে l কল্পে কল্পে তা তৈরী হয় l মালা কার স্মরণিক - তাও তোমরা জানো l ওরা তো মালা জপ করেই অনেক আনন্দিত হয় l ভক্তিতে কি হয় আর জ্ঞানে কি হয় - এও তোমরা জানো l তোমরা যে কোনো মানুষকেই বুঝিয়ে বলতে পারো l পুরুষার্থ করতে করতে অবশেষে পূর্ব কল্পের মতো রেজাল্ট সামনে আসবে l প্রত্যেকেই নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে l তোমরা বুঝতে পারো যে আমাদের এরকম হতে হবে l পুরুষার্থের মার্জিন পাওয়া গেছে l পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে বাবাও তোমাদের স্বাগত জানান l তোমরা, বাচ্চারা যেভাবে বাবাকে স্বাগত জানাও তার থেকে বেশী বাবা তোমাদের স্বাগত জানান l

বাবার কাজই হলো তোমাদের স্বাগত জানানো l স্বাগতের অর্থ হলো সদ্গতি l এ হলো সবথেকে উচ্চ স্বাগত l বাবা তোমাদের সকলকে স্বাগত করতে আসেন l আচ্ছা l

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন আর সুপ্রভাত l আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার l

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) অনেকের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করার জন্য কল্যাণকারী হতে হবে l শরীর নির্বাহ করার কারণে কর্ম করেও নিজেকে বন্ধন মুক্ত করে সকাল - সন্ধ্যা অবশ্যই ঈশ্বরীয় সেবা করতে হবে l

২ ) অন্য বিষয়ে নিজের সময় নষ্ট না করে বাবাকে স্মরণ করে শক্তি অর্জন করতে হবে l সৎ-এর সঙ্গেও থাকতে হবে l মন - বচন এবং কর্মে সকলকে সুখ প্রদান করার পুরুষার্থ করতে হবে l

বরদান:-
পবিত্রতার বরদানকে নিজ সংস্কার বানিয়ে পবিত্র জীবন বানানো পরিশ্রম মুক্ত ভব

কোনও কোনও বাচ্চার পবিত্র থাকতে পরিশ্রম লাগে, এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে বরদাতা বাবার থেকে জন্মের পর বরদান নেয়নি। বরদানে পরিশ্রম লাগে না। প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মার জন্মানোর প্রথম বরদান হলো “পবিত্র ভব, যোগী ভব”। যেরকম জন্মের সংস্কার খুব পাক্কা হয়, তো পবিত্রতা হলো ব্রাহ্মণ জন্মের আদি সংস্কার, নিজস্ব সংস্কার। এই স্মৃতির দ্বারা পবিত্র জীবন বানাও। পরিশ্রম করা থেকে মুক্ত হও।

স্লোগান:-
ট্রাস্টি হলো সে যার মধ্যে সেবার শুদ্ধ ভাবনা থাকে।