22.04.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - সকলের সদগতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা, বাবার মতো নিষ্কাম সেবা আর কেউ করতে পারে না"

প্রশ্নঃ -
নিউ ওয়ার্ল্ডের স্থাপনা করতে বাবাকে কোন্ পরিশ্রমটি করতে হয়?

উত্তরঃ  
একদম অজামিল অর্থাৎ ঘোর পাপীদের পুনরায় লক্ষ্মী-নারায়ণ সম পূজনীয় দেবতায় পরিণত করার পরিশ্রম বাবাকেই করতে হয়। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের দেবতায় পরিণত করার পরিশ্রম করেন। বাকি সর্ব আত্মারা শান্তিধামে ফিরে যায়। প্রত্যেককে নিজের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে উপযুক্ত হয়ে ঘরে অর্থাৎ পরমধাম ফিরতে হবে ।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা গীত শুনলো। বাচ্চারা জানে এটা হলো পাপের দুনিয়া। নতুন দুনিয়ায় হয় পুণ্যের দুনিয়া। সেখানে পাপ হয় না। সেটা হল রাম রাজ্য, এটা হল রাবণ রাজ্য। এই রাবণ রাজ্যে সবাই পতিত দুঃখী হয়ে আছে, তবেই তো আহবান করা হয় - হে পতিত-পাবন এসে আমাদেরকে পবিত্র করো। সব ধর্মের মানুষ প্রার্থনা করে - ও গড ফাদার এসে আমাদের লিবারেট (উদ্ধার) করো, গাইড হয়ে পথ দেখাও। অর্থাৎ বাবা যখন আসেন তো যত ধর্ম আছে পুরো সৃষ্টিতে, সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। এই সময় সবাই রাবণ রাজ্যে আছে। সব ধর্মের আত্মাদের শান্তিধামে ফিরিয়ে নিয়ে যান। বিনাশ তো সবার হওয়ার আছে। বাবা এখানে এসে বাচ্চাদের সুখধামের উপযুক্ত করে তোলেন। সবার কল্যাণ করেন, তাই একমাত্র তাঁকেই সর্বের সদগতি দাতা, সর্বের কল্যাণ কর্তা বলা হয়। বাবা বলেন এখন তোমাদের ফিরতে হবে। সব ধর্মের আত্মাদের শান্তিধাম, নির্বাণধাম যেতে হবে, যেখানে সব আত্মারাই শান্তিতে থাকে। অসীম জগতের বাবা যিনি হলেন রচয়িতা, তিনি এসে সবাইকে মুক্তি ও জীবনমুক্তি প্রদান করেন। তাই মহিমাও একমাত্র গড ফাদারের করা উচিত। যিনি এসে সর্বের সেবা করেন, তাঁকেই স্মরণ করা উচিত। বাবা নিজেই বোঝান আমি দূর দেশ, পরমধামের নিবাসী। সর্ব প্ৰথমে যে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, সে ধর্ম এখন নেই তাই আমাকে ডাকে। আমি এসে সব বাচ্চাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাই। এখন হিন্দু কোনও ধর্ম নয়। আসলে হল দেবী-দেবতা ধর্ম। কিন্তু পবিত্র না হওয়ার জন্যে নিজেদের দেবতা নামের বদলে হিন্দু বলে দিয়েছে। হিন্দু ধর্মের স্থাপনকর্তা তো কেউ নেই। গীতা হল সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি। তা হল ভগবানের দ্বারা উচ্চারিত। ভগবান একজনকেই বলা হয় - গড ফাদার। শ্রীকৃষ্ণ বা লক্ষ্মী-নারায়ণকে গড ফাদার বা পতিত-পাবন বলা হবে না। তাঁরা তো হলেন রাজা-রানী। তাঁদের এমন কে তৈরি করেন? বাবা করেন। বাবা প্ৰথমে নতুন দুনিয়া রচনা করেন, তাঁরা সেই দুনিয়ার মালিক হন। কিভাবে হন, সে কথা কোনও মানুষ জানে না। বড় বড় লক্ষপতিরা মন্দির নির্মাণ করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত - তাঁরা এই বিশ্বের রাজ্য কিভাবে প্রাপ্ত করেন? মালিক হলেন কিভাবে? কেউ কখনো বলতে পারবে না। কি এমন কর্ম করেছেন যে তার এমন ফল প্রাপ্ত হয়েছে? এখন বাবা বোঝান - তোমরা নিজেদের ধর্মকে ভুলে গেছো। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম কে না জানার জন্যে সবাই অন্য অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়েছে। তারা আবার রিটার্ন হবে নিজের নিজের ধর্মে। যারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের আত্মা রয়েছে , তারা আবার নিজের ধর্মে ফিরে আসবে। খ্রীস্টান ধর্মের হলে তো পুনরায় খ্রীস্টান ধর্মেই আসবে। এখন আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্যাপলিং লাগছে। যে মানুষ যে ধর্মের তাকে নিজের ধর্মে আসতে হবে। এ হলো বৃক্ষ, এই বৃক্ষের তিনটি টিউব আছে (ইসলাম ধর্ম, খ্রীষ্টান ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম) যার থেকে বৃদ্ধি হতে থাকে। অন্য কেউ এই নলেজ দিতে পারবে না। এখন বাবা বলছেন তোমরা নিজেদের ধর্মে এসো। কেউ বলে আমি সন্ন্যাস ধর্মে যাই, কেউ বলে আমি রামকৃষ্ণ পরমহংস সন্ন্যাসীর ফলোয়ার। এবারে এরা সবাই হল নিবৃত্তি মার্গের, তোমরা হলে প্রবৃত্তি মার্গের (গৃহস্থ আশ্রমের)। গৃহস্থ মার্গের মানুষ নিবৃত্তি মার্গ অর্থাৎ সন্ন্যাস ধর্মের ফলোয়ার কিভাবে হতে পারবে ! তোমরা প্ৰথমে প্রবৃত্তি মার্গে পবিত্র ছিলে। তারপরে তোমরা রাবণের দ্বারা অপবিত্র হয়েছ। এইসব কথা বাবা বোঝান। তোমরা হলে গৃহস্থ আশ্রমের, ভক্তিও তোমাদের করতে হবে। বাবা এসে ভক্তির ফল স্বরূপে সদগতি প্রদান করেন। বলা হয় - রিলিজন ইজ মাইট (শক্তি) । বাবা রিলিজন স্থাপন করেন। তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হও। বাবার কাছে তোমরা কত মাইট বা শক্তি প্রাপ্ত করো। একমাত্র সর্ব শক্তিমান বাবা-ই এসে সকলের সদগতি করেন অন্য কেউ সদগতি দিতেও পারেনা, প্রাপ্ত করতেও পারে না। এখানেই বৃদ্ধি প্রাপ্ত করে। কেউ ফিরে যেতে পারে না। বাবা বলেন আমি হলাম সর্ব ধর্মের সার্ভেন্ট, সবাইকে এসে সদগতি প্রদান করি। সদগতি বলা হয় সত্যযুগকে। মুক্তি হল শান্তিধামে। তাহলে সবচেয়ে বড় কে ? বাবা বলেন - হে আত্মারা তোমরা সবাই হলে ব্রাদার্স, সবারই বাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার অর্থাৎ স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হয়। এসে সবাইকে নিজের নিজের সেকশনে পাঠিয়ে দেওয়ার উপযুক্ত করি। উপযুক্ত না হলে সাজা ভোগ করতে হয়। হিসেব নিকেশ মিটিয়ে তারপরে ফিরে যেতে হয়। ওটা হলো শান্তিধাম এবং ওটা হলো সুখধাম।

বাবা বলেন আমি এসে নিউ ওয়ার্ল্ডের স্থাপনা করি, এতেই পরিশ্রম করতে হয়। একদম অজামিল সম পাপীদের এসে এমন দেবী-দেবতায় পরিণত করি। যখন থেকে তোমরা বাম মার্গে গিয়েছ তখন থেকে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমেছ। এই হল ৮৪ জন্মের সিঁড়ি নীচে নামবার। সতোপ্রধান থেকে সতঃ, রজঃ, তমঃ.... এখন এই হল সঙ্গম। বাবা বলেন আমি একবার-ই আসি। আমি ইব্রাহিম বা বুদ্ধের দেহে আসি না। আমি পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগেই আসি। এখন বলা হয় ফলো ফাদার। বাবা বলেন আত্মারা তোমাদের সবাইকে আমাকে ফলো করতে হবে। মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ যোগ অগ্নিতে ভস্ম হবে। একেই বলা হয় যোগ অগ্নি। তোমরা হলে প্রকৃত সত্য ব্রাহ্মণ। তোমরা কাম চিতার থেকে নেমে জ্ঞান চিতায় বস। এই কথা একমাত্র বাবা বোঝান। খ্রাইস্ট, বুদ্ধ ইত্যাদি সবাই এক-কেই স্মরণ করেন। কিন্তু তাঁকে যথার্থ রূপে কেউ জানে না। এখন তোমরা আস্তিক বা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েছ। রচয়িতা এবং রচনাকে তোমরা বাবার দ্বারা জেনেছ। ঋষি-মুনি সবাই নেতি-নেতি বলতেন (আমরা জানি না) । স্বর্গ হলো সত্যখন্ড, দুঃখের নাম নেই। এখানে কত দুঃখ আছে। আয়ুও অনেক কম হয়ে গেছে। দেবতাদের আয়ু অনেক বেশি হয়। তারা হলেন পবিত্র যোগী। এখানে রয়েছে অপবিত্র ভোগী। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে আয়ু কমে যায়। অকালে মৃত্যুও হয়। বাবা তোমাদের এমন তৈরি করেন যে তোমরা ২১ জন্ম কখনও রুগী হবে না। তো এমন বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধীকার প্রাপ্ত করা উচিত। আত্মাকে কত বুদ্ধিমান হওয়া উচিত। বাবা এমন উত্তরাধিকার প্রদান করেন যে সেখানে কোনও দুঃখ থাকে না। তোমাদের কান্না কাটি বন্ধ হয়ে যায়। সবাই হল পার্টধারী। আত্মা এক শরীর ছেড়ে অন্য নেয়। এও হল ড্রামা। বাবা কর্ম, অকর্ম, বিকর্মের গতিও বোঝান। কৃষ্ণের আত্মা ৮৪ জন্ম ভোগ করে এখন শেষে সেই আত্মাই জ্ঞান শুনছে। ব্রহ্মার দিন ও রাত গায়ন আছে। ব্রহ্মার দিন - রাত সেটা হলো ব্রাহ্মণের। এখন তোমাদের দিন আসবে। মহাশিবরাত্রি বলা হয়। এখন ভক্তির রাত পূর্ণ হয়ে জ্ঞানের উদয় হয়। এখন হল সঙ্গম। তোমরা এখন পুনরায় স্বর্গবাসী হচ্ছ। অন্ধকার রাতে ধাক্কা খেয়েছ, চটি ছিঁড়েছো, টাকাও খরচ করেছো। এখন বাবা বলছেন আমি এসেছি তোমাদের শান্তিধাম ও সুখধামে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। তোমরা সুখধামের বাসিন্দা ছিলে। ৮৪ জন্মের পরে দুঃখধামে এসে পড়েছ। তখন আহবান কর -বাবা আসুন, এই পুরানো দুনিয়ায়। এই দুনিয়া তোমাদের নয়। তোমরা এখন যোগবলের দ্বারা নিজের দুনিয়া স্থাপন করছ। তোমাদের এখন ডবল অহিংসক হতে হবে। না কাম কাটারী চালাবে, না লড়াই ঝগড়া করবে। বাবা বলেন আমি প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আসি। এই কল্প হল ৫ হাজার বছরের, লক্ষ বছরের নয়। যদি লক্ষ বছরের হত তাহলে তো এখানে অসংখ্য অসংখ্য মানুষের ভিড় থাকত। সব গল্প দেয় তাই বাবা বলেন আমি কল্প-কল্প আসি, আমারও ড্রামাতে পার্ট আছে। পার্ট ছাড়া আমি কিছুই করতে পারি না। আমিও ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ। ড্রামার পূর্ণ সময়ে আসি, মন্মনাভব। কিন্তু এর অর্থ কেউ জানে না। বাবা বলেন দেহের সব সম্বন্ধ ত্যাগ করে মামেকম্ স্মরণ করো তো সব পবিত্র হয়ে যাবে। বাচ্চারা বাবাকে স্মরণ করার পরিশ্রম করতে থাকে।

এ হলো ঈশ্বরীয় বিশ্ব-বিদ্যালয়। এমন বিদ্যালয় আর হতে পারে না। এখানে ঈশ্বর পিতা এসে সম্পূর্ণ বিশ্বকে চেঞ্জ করেন। নরক থেকে স্বর্গে পরিণত করেন, যেখানে তোমরা রাজত্ব করো । এখন বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। এ হলো বাবার ভাগ্যশালী রথ, যার মধ্যে বাবা এসে প্রবেশ করেন। শিব জয়ন্তী কারো জানা নেই। তারা তো বলে দেয় পরমাত্মা হলেন নাম-রূপ বিহীন। আরে, নাম-রূপ হীন কোনো কিছুই হয় না। বলা হয় এই হল আকাশ, তো এই আকাশ নাম তো হল তাইনা। যদিও শূণ্য, কিন্তু নাম তো আছে। সুতরাং বাবারও নাম হল কল্যাণকারী। তারপর ভক্তিমার্গে অনেক নাম রাখা হয়েছে। বাবুরিনাথও বলা হয়। তিনি এসে কাম কাটারী থেকে মুক্ত করে পবিত্র করেন। নিবৃত্তি মার্গের মানুষ অর্থাৎ সন্ন্যাস ধর্মের মানুষ ব্রহ্ম কে পরমাত্মা নিশ্চয় করে, তাঁকেই স্মরণ করে। ব্রহ্ম যোগী, তত্ব যোগী বলা হয়। কিন্তু সেটা হল থাকবার জায়গা, যাকে ব্রহ্মান্ড বলা হয়। তারা সেই ব্রহ্মকে ভগবান ভেবে নেয়। ভাবে আমরা সেখানে বিলীন হয়ে যাব। অর্থাৎ আত্মাকে তারা বিনাশী করে দেয়। বাবা বলেন আমিই এসে সর্বের সদগতি করি তাই একমাত্র শিববাবার জয়ন্তী হল হীরে তুল্য বাকি সব জয়ন্তী গুলি হল কড়ি তুল্য। শিববাবা-ই এসে সবার সদগতি করেন। অর্থাৎ তিনি হলেন হীরে সম। তিনিই তোমাদের গোল্ডেন এজে নিয়ে যান। এই জ্ঞান তোমাদের বাবা-ই এসে পড়ান, যার দ্বারা তোমরা দেবী-দেবতায় পরিণত হও। তারপরে এই জ্ঞান প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণে রচিয়তা ও রচনার নলেজ নেই।

বাচ্চারা গীত শুনলো - তারা বলে এমন স্থানে নিয়ে চলো, যেখানে শান্তি ও স্বস্তি আছে। ওটা হলো শান্তিধাম, তারপরে হলো সুখধাম। সেখানে অকালে মৃত্যু হয় না। সুতরাং বাবা এসেছেন বাচ্চাদেরকে সেই সুখ শান্তির দুনিয়ায় নিয়ে যেতে। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

রাত্রি ক্লাস :-

এখন তোমাদের সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী বংশ তৈরি হচ্ছে। তোমরা যত জানো এবং পবিত্র হও অন্য আর কেউ তত জানতে পারবে না, পবিত্রও হতে পারবে না। যখন তারা শুনবে বাবা এসেছেন তখন স্মরণ করতে শুরু করে দেবে। সেসবও তোমরা ভবিষ্যতে গিয়ে দেখবে - লক্ষ, কোটি মানুষজন বুঝবে। বায়ুমন্ডল এমনই হবে। শেষের লড়াইয়ে সবাই হোপলেস হয়ে যাবে। সবার মনে টাচ হবে। তোমাদেরও আওয়াজ শোনা যাবে। স্বর্গের স্থাপনা হচ্ছে। বাকি সবার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে আছে। কিন্তু সেই সময়ে শ্বাস ফেলার সময় থাকবে না। ভবিষ্যতে সবাই বুঝবে, যারা থাকবে। এমনও নয় - এরা সবাই সেই সময় থাকবে। কেউ মরেও যাবে। থাকবে তারা-ই যারা কল্প-কল্প থেকেছে। সেই সময় একমাত্র বাবার স্মরণে থাকবে। আওয়াজও কম হয়ে যাবে। তখন নিজেদেরকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করতে শুরু করবে। তোমরা সাক্ষী হয়ে দেখবে। ভয়ানক যন্ত্রণা দায়ক ঘটনা ঘটবে। সবাই জানবে যে এখন বিনাশ হবে। দুনিয়া চেঞ্জ হবে। বিবেক বলে বিনাশ তখন হবে যখন বোমা নিক্ষেপ করা হবে। এখন নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে শর্ত মেনে চলো, প্রমিস করো যে আমরা বোমা প্রয়োগ করবো না। কিন্তু এইসব জিনিস তৈরি হয়ে আছে বিনাশের জন্য।

বাচ্চারা তোমাদের খুশীও অনেক অনুভব হবে। তোমরা জানো নতুন দুনিয়া তৈরি হচ্ছে। তোমরা বুঝেছো বাবা-ই নতুন দুনিয়া স্থাপন করবেন। সেখানে দুঃখের নাম থাকবে না। তার নাম-ই হলো প্যারাডাইস অর্থাৎ স্বর্গ। যেমন তোমাদের নিশ্চয় আছে তেমনই ভবিষ্যতে অনেকের হবে। যাদের অনুভব হওয়ার হবে, ভবিষ্যতে তাদের অনুভব হবে। শেষের দিকে স্মরণের যাত্রায়ও অনেকেই থাকবে। এখন তো সময় আছে, পুরুষার্থ পুরো করবে না তো পদ মর্যাদা কম হয়ে যাবে। পুরুষার্থ করলে পদও ভালো পাবে। ঐ সময়ে তোমাদের অবস্থা খুব ভালো থাকবে। সাক্ষাৎকারও হবে। কল্প-কল্প যেমন বিনাশ হয়েছে, তেমনই হবে। যাদের দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে, চক্রের জ্ঞান থাকবে তারা খুশীতে থাকবে। আচ্ছা - আত্মা রূপী বাচ্চারা গুড নাইট।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) ডবল অহিংসক হয়ে যোগ বল এর দ্বারা এই নরককে স্বর্গে পরিণত করতে হবে। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে।

২ ) একমাত্র বাবাকেই পুরোপুরি ভাবে ফলো করতে হবে। প্রকৃত সত্য ব্রাহ্মণ হয়ে যোগ-অগ্নির দ্বারা বিকর্ম গুলি দগ্ধ করতে হবে। সবাইকে কাম চিতা থেকে নামিয়ে জ্ঞান চিতায় বসাতে হবে।

বরদান:-
নিঃস্বার্থ আর নির্বিকল্প স্থিতির দ্বারা সেবা করে সফলতার মূর্তি ভব

সেবাতে সফলতার আধার হলো তোমাদের নিঃস্বার্থ আর নির্বিকল্প স্থিতি। এই স্থিতিতে থেকে যারা সেবা করে তারা নিজেরাও সন্তুষ্ট আর প্রসন্ন থাকে আর তার দ্বারা অন্যরাও সন্তুষ্ট থাকে। সেবাতে সংগঠন থাকে আর সংগঠনে ভিন্ন ভিন্ন কথা, ভিন্ন ভিন্ন অভিমত হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক মতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে না। এইরকম চিন্তা করবে না যে কার অভিমত গ্রহণ করবো আর কার মত গ্রহণ করবো না। নিঃস্বার্থ আর নির্বিকল্প ভাবের দ্বারা নির্ণয় নাও তাহলে কারোর ব্যর্থ সংকল্প আসবে না আর তোমরা সফলতার মূর্তি হয়ে যাবে।

স্লোগান:-
এখন সকাশের দ্বারা (অন্যদের বিগড়ে যাওয়া) বুদ্ধিগুলিকে পরিবর্তন করার সেবা প্রারম্ভ করো।