23.04.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা যে শিক্ষা দেন, তা অভ্যাসে পরিণত করো, তোমরা প্রতিজ্ঞা করে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ ক'রো
না, আজ্ঞার উলঙ্ঘন ক'রো না"
প্রশ্নঃ -
তোমাদের
পড়াশুনার সার কি? তোমাদের কোন্ অভ্যাস অবশ্যই করা উচিত?
উত্তরঃ
তোমাদের
পড়াশোনা হলো বাণপ্রস্থে যাওয়ার l এই পড়াশোনার সার হলো বাণীর ঊর্ধ্বে যাওয়া l বাবা-ই
সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান l বাচ্চারা, তোমাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আগে সতোপ্রধান হতে হবে
l এরজন্য একান্তে গিয়ে দেহী - অভিমানী হওয়ার অভ্যাস করো l এই অশরীরী হওয়ার অভ্যাসই
আত্মাকে সতোপ্রধান করবে l
ওম্ শান্তি ।
নিজেকে আত্মা
মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে আর এমনভাবেই এই
বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে l কল্প - কল্প তোমরা এমনভাবেই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হও
তারপর আবার ৮৪ জন্মে তমোপ্রধান হও l বাবা তখন শিক্ষা দেন, নিজেকে আত্মা মনে করে
বাবাকে স্মরণ করো l ভক্তিমার্গেও তোমরা স্মরণ করতে, কিন্তু ওই সময় তোমাদের জ্ঞান
ছিলো স্থূল বুদ্ধির l এখন তোমাদের জ্ঞান হলো সূক্ষ্ম বুদ্ধির l প্রত্যক্ষভাবে এখন
বাবাকে স্মরণ করতে হবে l তোমাদের এও বোঝাতে হবে - আত্মাও তারার মতো আবার বাবাও
তারার মতো l কেবলমাত্র তিনি পুনর্জন্ম নেন না, তোমরা পুনর্জন্ম নাও তাই তোমাদের
তমোপ্রধান হতে হয় l তারপর আবার সতোপ্রধান হওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হয় l মায়া
তোমাদের প্রতি মুহূর্তেই সব ভুলিয়ে দেয় l এখন তোমাদের নির্ভুল হতে হবে l তোমরা ভুল
করো না l তোমরা যদি ভুল করতে থাকো তাহলে আরো তমোপ্রধান হয়ে যাবে l তোমাদের নির্দেশ
হলো, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, ব্যাটারিকে চার্জ করো, তাহলে তোমরা
সতোপ্রধান বিশ্বের মালিক হতে পারবে l টিচারতো সবাইকেই পড়ান l ছাত্রদের মধ্যে নম্বর
অনুযায়ী পাস করে l নম্বর অনুসারেই কামাই করে l তোমরাও সেই নম্বর অনুসারেই পাস করো
তারপর নম্বর অনুসারেই পদ পাও l কোথায় বিশ্বের মালিক আর কোথায় প্রজা, দাস - দাসী l
যে ছাত্ররা ভালো, যারা সুপুত্র, আজ্ঞাকারী, বিশ্বাসী, নির্দেশ যারা পালন করে তারা
অবশ্যই টিচারের মতে চলবে l রেজিস্টার যত ভালো হবে, ততই নম্বর বেশী পাওয়া যাবে তাই
বাবাও বাচ্চাদের বারবার বোঝাতে থাকেন, গাফিলতি ক'রো না l এমন মনে কোরো না যে, আগের
কল্পেও ফেল করেছিলাম l অনেকেরই মনে এই কথা আসে যে, আমরা যদি সেবা না করি তাহলে
অবশ্যই ফেল করে যাবো l বাবা তো সাবধান করতেই থাকেন যে, তোমরা সত্যযুগী সতোপ্রধান
আবস্থা থেকে কলিযুগী তমোপ্রধান হয়েছ এরপর এই পৃথিবীর হিস্ট্রি - জিওগ্রাফী আবার
রিপিট হবে l সতোপ্রধান হওয়ার জন্য বাবা অনেক সহজ রাস্তা বলে দেন - আমাকে স্মরণ করো
তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে l তোমরা চড়তে - চড়তে সতোপ্রধান হয়ে যাবে l তোমরা চড়তে থাকবে
খুব ধীরে ধীরে তাই ভুলে যেও না l মায়া কিন্তু তোমাদের ভুলিয়ে দেয় l তোমাদের
নির্দেশ অমান্যকারী (নাফরমানবরদার) বানিয়ে দেয় l বাবা যা ডায়রেক্শন দেন, তা মানে,
প্রতিজ্ঞা করে কিন্তু তাতে চলে না l তাই বাবা বলবেন, আজ্ঞার উলঙ্ঘন করে প্রতিজ্ঞা
ভঙ্গ করে l বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেও তার অভ্যাস করতে হয় l অসীম জগতের বাবা যে
শিক্ষা দেন সেই শিক্ষা আর কেউই দেবে না l পরিবর্তন তো অবশ্যই হতে হবে l চিত্র কতো
সুন্দর l ব্রাহ্মণবংশী তারপর বিষ্ণুবংশী হবে l এ হলো নতুন ঈশ্বরীয় ভাষা, একেও বুঝতে
হয় l এই ঈশ্বরীয় নলেজ কেউই দেয় না l এমন কোনো সংস্থা বের হয়েছে কি যার নাম
আধ্যাত্মিক সংস্থা রাখা হয়েছে l আধ্যাত্মিক সংস্থা তোমাদের ছাড়া আর কেউই হতে পারবে
না l নকল অনেকই হয়ে যায় l এ হলো নতুন কথা, তোমরা সংখ্যায়ও অল্প, আর কেউই এই কথা
বুঝতে পারবে না l সম্পূর্ণ বৃক্ষ এখন দাঁড়িয়ে আছে l বাকি কান্ড নেই কিন্তু কান্ড পরে
তৈরী হয়ে যায় l বাকি শাখাপ্রশাখা থাকবে না, ওইসব শেষ হয়ে যাবে l অসীম জগতের বাবা-ই
অসীমের কথা বুঝিয়ে বলেন l এখন সম্পূর্ণ দুনিয়ায় রাবণের রাজ্য l এ হলো লঙ্কা l ওই
লঙ্কা তো সমুদ্রের ওপারে l অসীম জগতও সমুদ্রের উপরে l চারিদিকেই তার জল l এ হলো
সীমিত জগতের কথা আর বাবা বোঝান অসীম জগতের কথা l এক বাবা-ই সব বোঝান l এ হলো পড়া l
যতক্ষণ না মানুষ চাকরি পাবে বা পড়ার রেজাল্ট পাবে ততক্ষণ পড়াশোনাতেই লেগে থাকে l
তাতেই বুদ্ধি নিয়োজিত থাকে l ছাত্রদের কাজই হলো পড়াতে মনোযোগ দেওয়া l উঠতে - বসতে,
চলতে - ফিরতে তোমাদের স্মরণ করতে হবে l ছাত্রদের বুদ্ধিতে এই পড়া থাকে l তারা
পরীক্ষার দিনে খুব পরিশ্রম করে, যাতে বিফল না হয়ে যায় l বিশেষ করে ভোরবেলা বাগানে
গিয়ে পড়ার অভ্যাস করে কেননা ঘরে আওয়াজের ভাইব্রেশন খারাপ হয়।
বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমরা দেহী - অভিমানী হওয়ার অভ্যাস করো তাহলে ভুলবে না l একান্ত
স্থান তো অনেক আছে l শুরুর দিকে ক্লাস সম্পূর্ণ করে তোমরা পাহাড়ে চলে যেতে l এখন
দিনে দিনে তোমাদের জ্ঞান গভীর হয়ে যাচ্ছে l স্টুডেন্টদের এইম অবজেক্ট স্মরণে থাকে l
এ হলো বাণপ্রস্থ অবস্থায় যাওয়ার পড়া l এই এক ছাড়া অন্য কেউই পড়াতে পারে না l সাধু -
সন্ত ইত্যাদি সব ভক্তিই শেখান l বাণীর ঊর্ধ্বে যাওয়ার পথ এক বাবাই বলে দেন l এক
বাবাই সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান l এখন তোমাদের হলো অসীম জগতের বাণপ্রস্থ আবস্থা, যাকে
কেউই জানে না l বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা সকলেই বাণপ্রস্থী l সম্পূর্ণ দুনিয়ার
এখন বাণপ্রস্থ আবস্থা l কেউ পড়ুক বা না পড়ুক, সবাইকে ফিরে যেতে হবে l যে আত্মারা
মূলবতনে যাবে তারা নিজের নিজের বিভাগে চলে যাবে l আত্মাদের ঝাড়ও আশ্চর্যজনক বানানো
আছে l এই সম্পূর্ণ ড্রামার চক্র সম্পূর্ণ সঠিক l কোথাও তফাৎ হয় না l লিভার আর
সিলিন্ডার ঘড়ি আছে না? কারোর আবার সম্পূর্ণ লাগেও না l ঘড়ি যেন চলে না l তোমাদের
সম্পূর্ণ লিভার ঘড়ি হতে হবে তবেই রাজ পরিবারে যেতে পারবে l সিলিন্ডার ঘড়ি প্রজাতে
যাবে l লিভার হওয়ার জন্য তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে l কোটির মধ্যে কয়েকজনই রাজপদের
অধিকারী বলা হয় l এরাই বিজয় মালায় গ্রথিত হয় l বাচ্চারা বুঝতে পারে যে, বরাবর এতে
পরিশ্রম আছে l তারা বলে - বাবা, প্রতি মুহূর্তে ভুলে যাই l বাবা বোঝান যে - তোমরা
যতো পালোয়ান হবে, মায়া ততই তোমাদের সঙ্গে জবরদস্ত লড়াই করবে l মল্ল যুদ্ধ তো হয়,
তাই না l ওতে খুব সাবধানতা রাখা হয় l পালোয়ানদের পালোয়ানরাই জানে l এখানেও এমন,
মহাবীর বাচ্চারাও আছে l তাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রম আছে l খুব ভালো ভালো মহারথীদেরও
মায়া ঝড়ের মধ্যে এনে ফেলে দেয় l বাবা বুঝিয়েছেন যে - মায়া যতোই হয়রান করুক, তুফান
আনুক, তোমরা সাবধান থেকো l কোনো বিষয়েই হেরে যেও না l মনে যতই ঝড় আসুক না কেন,
কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কিছুই ক'রো না l তুফান তোমাদের ফেলে দেওয়ার জন্যই আসে l
মায়ার লড়াই না হলে পালোয়ান কিভাবে বলবে? মায়ার এই ঝড়ের পরোয়া করা উচিত নয় l তবুও
চলতে - ফিরতে কর্মেন্দ্রিয়র বশে চট্ করে পড়ে যায় l এই বাবা তো রোজ বুঝিয়ে বলেন -
কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনোরকম বিকর্ম কোরো না l ভুল কাজ করা না ছাড়লে পাই পয়সার পদ
পাবে l ভিতরে - ভিতরে নিজেরাও বুঝতে পারে যে আমরা পাস করতে পারবো না l যেতে তো
সবাইকেই হবে l বাবা বলেন যে - আমাকে যদি তোমরা স্মরণ করো তাহলে সেই স্মরণের বিনাশ
হয় না l অল্প স্মরণ করলেও স্বর্গে এসে যাবে l অল্প স্মরণ করলে বা খুব বেশী স্মরণ
করলে কি কি পদ পাওয়া যাবে, এও তোমরা বুঝতে পারো l কিছুই লুকানো যায় না l কে কে, কি
- কি হবে তা তারা নিজেরাও বুঝতে পারে l আমরা যদি এখনই হার্টফেল হয়ে যাই, তাহলে কি
ধরনের পদ পাবো ? বাবাকে জিজ্ঞেসও করতে পারো l পরের দিকে তোমরা নিজেরাই বুঝতে পারবে
l বিনাশ তো সামনেই উপস্থিত l ঝড়, অতি বৃষ্টি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এসব বলে আসে না l
রাবণ তো বসেই আছে l এ হলো অনেক বড় পরীক্ষা l যে পাস করতে পারে, সে উঁচু পদ পায় l
রাজা তো অনেক বুদ্ধিমান হওয়া চাই যে প্রজাদের সামলাতে পারবে l আই.সি.এস পরীক্ষায়
খুব অল্পই পাস করতে পারে l বাবা তোমাদের পড়িয়ে সতোপ্রধান স্বর্গের মালিক তৈরী করেন
l তোমরা জানো যে, আমরা সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়েছি, এখন আবার বাবার স্মরণে
আমাদের সতোপ্রধান হতে হবে l পতিত - পাবন বাবাকে স্মরণ করতে হবে l বাবা বলেন "মনমনাভব
l" এ হলো সেই গীতার এপিসোড l ডবল মুকুটধারী হওয়ার জন্যই এই গীতা l বাবাই তো বানাবেন,
তাই না l তোমাদের বুদ্ধিতে এই সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে l যারা খুব ভালো বুদ্ধিমান, তাদের
কাছে ধারণাও খুব ভালো থাকে l আচ্ছা l
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত l
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার l
রাত্রি ক্লাস -
০৫-০১-৬৯
বাচ্চারা এখানে ক্লাসে
বসে আছে, তারা জানে আমাদের টিচার কে l স্টুডেন্টরা সারাক্ষণ মনে রাখে যে, আমাদের
টিচার কে কিন্তু এখানে তোমরা ভুলে যাও l টিচারও জানেন যে, বাচ্চারা আমাকে মুহূর্তে
- মুহূর্তে ভুলে যায় l এমন আত্মিক বাবা তো কখনোই পাওয়া যায়নি l সঙ্গমযুগেই আমরা
পাই l সত্যযুগ আর কলিযুগে তো শরীরের পিতা মেলে l এ কথা তিনি বাচ্চাদের স্মরণ করান
যে, তোমাদের মনে দৃঢ় হওয়া উচিত যে, এ হলো সঙ্গম যুগ, যখন আমরা অর্থাৎ বাচ্চারা
পুরুষোত্তম তৈরী হই l তাই বাবাকে স্মরণ করলে এই তিনই স্মরণে আসা চাই l টিচারকে
স্মরণ করলেও তিন এর স্মরণ আবার গুরুকে স্মরণ করলেও তিনের স্মরণ আসা চাই l এ অবশ্যই
স্মরণ করতে হয় l মুখ্য বিষয়ই হলো পবিত্র হওয়ার l পবিত্রকে সতোপ্রধান বলা হয় l
তাঁরা থাকে সত্যযুগে l এখন তাঁরা চক্র সম্পূর্ণ করে এসেছে l এ হলো সঙ্গম যুগ l কল্প
- কল্প বাবাও আসেন, আমাদের পড়ান l বাবার কাছেই তো তোমরা থাকো, তাই না l তোমরা এও
জানো যে,ইনি হলেন প্রকৃত সদ্গুরু l ইনিই আমাদের মুক্তি আর জীবনমুক্তির পথ বলে দেন l
ড্রামার নিয়ম অনুযায়ী আমরা পুরুষার্থ করে বাবাকে অনুসরণ করি l এখানে শিক্ষা অর্জন
করে আমরা বাবাকে অনুসরণ করি l ইনি যেমন শেখেন তেমনি বাচ্চারা, তোমরাও পুরুষার্থ করো
l দেবতা হতে হলে তো শুদ্ধ কর্ম করতে হবে l কোথাও যেন কোনোরকম আবর্জনা না থাকে l
বাবাকে স্মরণ করা হলো বিশেষ ব্যাপার l মনে করে যে বাবাকে ভুলে যাই, শিক্ষাকে ভুলে
যাই আর স্মরণের যাত্রাকেও ভুলে যাই l বাবাকে ভুলে গেলে এই জ্ঞান ভুলে যায় l আমি
স্টুডেন্ট, এ কথাও ভুলে যায় l এই তিনই স্মরণে আসা চাই l বাবাকে স্মরণে আসলে টিচার
আর সদ্গুরুও অবশ্যই স্মরণে আসবে l শিববাবাকে স্মরণ করলে সাথে সাথে দৈবীগুণও অবশ্যই
চাই l বাবার এই স্মরণে আছে ম্যাজিক l এই ম্যাজিক বাবা যতটা বাচ্চাদের শেখান, ততটা
আর কেউই শেখাতে পারে না l তমোপ্রধান থেকে আমরা এই জন্মেই সতোপ্রধান হই l তমোপ্রধান
হতে আমাদের সম্পূর্ণ কল্প লাগে l এখন এই এক জন্মেই আমাদের সতোপ্রধান হতে হবে, এতে
যে যতো পরিশ্রম করবে l সম্পূর্ণ দুনিয়া তো আর পরিশ্রম করে না l অন্য ধর্মের মানুষ
পরিশ্রম করবে না l বাচ্চারা সাক্ষাৎকার করেছে l ধর্মস্থাপকরাও আসেন, তাঁরা অমুক -
তমুক ড্রেসে অভিনয় করেন l ওরাও তমোপ্রধান অবস্থায় আসেন l বুদ্ধিও বলে যে আমরা যেমন
সতোপ্রধান হই, অন্য সকলেও তেমন হবে l বাবার থেকে তারা পবিত্রতার দান গ্রহণ করবে l
সকলেই ডাকতে থাকে, আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে চলো l আমাদের গাইড হও l
ড্রামার নিয়ম অনুসারে সকলকেই ঘরে ফিরে যেতে হবে l আমরা অনেক বার ঘরে ফিরে যাই l
কেউই তো সম্পূর্ণ পাঁচ হাজার বছর ঘরে থাকে না l কেউ প্রায় পাঁচ হাজার বছরই ঘরে থাকবে
l অন্তিম সময়ে আসবে তখন বলবে ৪৯০০ বছর শান্তিধামে ছিলাম l আমরা বলব ৪৯০০ বছর আমরা
এই সৃষ্টিধামে আছি l বাচ্চারা তো এই বিষয়ে নিশ্চিত যে তারা ৮৩ - ৮৪ জন্ম নিয়েছে l
যারা খুবই বুদ্ধিমান হবে তারা অবশ্যই প্রথমের দিকে আসবে l আচ্ছা l মিষ্টি - মিষ্টি
আত্মা রূপী বাচ্চাদের প্রতি স্মরণ আর শুভ রাত্রি l
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
সতোপ্রধান হওয়ার জন্য স্মরণের যাত্রায় নিজের ব্যাটারি চার্জ করতে হবে l নির্ভুল হতে
হবে l নিজের রেজিস্টার সুন্দর রাখতে হবে l কোনোরকম গাফিলতি করবে না l
২ ) কোনোরকম ভুল কাজ
করবে না, মায়ার তুফানের পরোয়া না করে কর্মেন্দ্রিয় জিৎ হতে হবে l লিভার ঘড়ির মতো
নিখুঁত পুরুষার্থ করতে হবে l
বরদান:-
সেবার
দ্বারা খুশী, শক্তি আর সকলের আশীর্বাদ প্রাপ্তকারী পূণ্যাত্মা ভব
সেবার প্রত্যক্ষ ফল -
খুশী আর শক্তি প্রাপ্ত হয়। সেবা করে আত্মাদেরকে বাবার উত্তরাধিকারের অধিকারী বানিয়ে
দেওয়া - এটাই হলো পূণ্যের কাজ। যে পূণ্য করে সে আশীর্বাদ অবশ্যই পায়। সকল আত্মাদের
হৃদয়ে যে খুশীর সংকল্প উৎপন্ন হয়, সেই শুভ সংকল্প আশীর্বাদ হয়ে যায় আর ভবিষ্যতের
জন্যও জমা হয়ে যায় । সেইজন্য সদা নিজেকে সেবাধারী মনে করে সেবার অবিনাশী ফল খুশী আর
শক্তি সদা নিতে থাকো।
স্লোগান:-
মন্সা
- বাণীর শক্তির দ্বারা বিঘ্নের পর্দা সরিয়ে দাও তো অন্তরে কল্যাণের দৃশ্য দেখা যাবে।