26.04.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
শরীর নির্বাহ করার জন্য কর্মরত থেকে অসীম জগতের উন্নতি করো, যত ভালো ভাবে অসীম
জগতের পাঠ পড়বে, ততই উন্নতি হবে"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমরা যে অসীম জগতের পাঠ পড়ছো, এর মধ্যে সবথেকে উচ্চ ডিফিকাল্ট সাবজেক্ট কোনটি?
উত্তরঃ
এই পাঠ্যতে সব
থেকে উঁচু সাবজেক্ট হলো ভাই-ভাই এর দৃষ্টি পরিপক্ক করা। বাবা জ্ঞানের যে তৃতীয়
নেত্র দিয়েছেন সেই নেত্রের দ্বারা আত্মাকে ভাই-ভাই এর রূপে দেখো। চোখ যেন
সামান্যতমও ধোঁকা না দেয়। কোনো দেহধারীর নাম বা রূপের প্রতি বুদ্ধি যেন না যায়।
বুদ্ধিতে যেন একটুও বিকারী, খারাপ সংকল্প না চলে। এটাই হলো পরিশ্রম। এই সাবজেক্টে
যারা পাশ করবে তারা বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে।
ওম্ শান্তি ।
অসীম জগতের
বাবা বসে অসীম জগতের বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। প্রতিটি কথা প্রথমতঃ এই জগতের হয়, আর
দ্বিতীয়তঃ অসীম জাগতিকেরও হয়। এতটা সময় তোমরা এই জগতে ছিলে, এখন আছো অসীম জগতে।
তোমাদের পড়াশোনা হলো অসীম জগতের। অসীম জগতের বাদশাহীর জন্য পড়াশোনা, এর চেয়ে বড়ো
পড়াশোনা আর হয় না। কে পড়ান? অসীম জগতের পিতা- ভগবান। শরীর নির্বাহের জন্য সব কিছু
করতে হয়। তবুও নিজের উন্নতির জন্যও কিছু করতে হয়। অনেক লোক চাকরী করেও নিজের
উন্নতির জন্য পড়াশুনা করে থাকে। সেখানে হলো জাগতিক উন্নতি, এখানে অসীম জগতের পিতার
নিকট অসীম জাগতিক উন্নতি। বাবা বলেন জাগতিক আর অসীম জাগতিক দুইরকমই উন্নতি করো।
বুদ্ধির দ্বারা বোঝো, আমাদের অসীম জগতের প্রকৃত উপার্জন এখন করতে হবে। এখানে তো সব
কিছু মাটিতে মিশে যাবে। যতটা তোমরা অসীম জগতের উপার্জনে শক্তিশালী হতে থাকবে ততই
জাগতিক উপার্জনের ব্যাপারে ভুলে যেতে থাকবে। সকলে বুঝে যাবে এখন বিনাশ হতে চলেছে।
বিনাশ নিকটতম হলে ভগবানকেও খুঁজবে। যদি বিনাশ হবে তো অবশ্যই স্থাপনা করারও কেউ থাকবে।
দুনিয়া তো কিছুই জানে না। তোমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাও নম্বর অনুযায়ী
পুরুষার্থ অনুসারে পড়াশোনা করছো। হোস্টেলে সেই স্টুডেন্ট থাকে যারা পড়াশুনা করে।
কিন্তু এই হোস্টেল তো আলাদা। এই হোস্টেলে তো কেউ এমনিই থাকে, যারা শুরু থেকে ছিল,
রয়ে গেছে। এমনিই এসে গেছে। ভ্যারাইটি এসে গেছে। এইরকম নয় যে, যারা এসেছে সকলেই
ভালো। ছোট ছোট বাচ্চাদেরও তোমরাই নিয়ে এসেছো। তোমরাই এই বাচ্চাদেরও সামলাতে। তাদের
মধ্যে আবার কতজন চলে গেছে। বাগিচাতে ফুলও দেখো, পক্ষীও দেখো, কেমন দুলে দুলে ওঠে,
কূজন করে (টিকলু টিকলু) করে। এই মনুষ্য সৃষ্টিও এই রকম সময় তেমনই। আমাদের মধ্যে কোনো
সভ্যতা ছিলো না। সভ্যতা যাদের ছিলো তাদেরই মহিমা খ্যাত ছিল। বলা হতো - তুমি নির্গুণ
(সতঃ, রজঃ, তমঃ এই তিন গুণের ঊর্ধ্বে তিনি) আমার মধ্যে কোনো গুণ নেই.... যত বড়
মাপের মানুষই হোক না কেন, ফিল করে যে আমি রচয়িতা বাবা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানি
না। তবে সেটা কি কোনো কাজের। তোমরাও কোনো কাজের ছিলে না। এখন তোমরা মনে করো যে
বাবার চমৎকারিত্ব। বাবা বিশ্বের মালিক করেন। যে রাজ্যপাট আমাদের থেকে কেউ ছিনিয়ে
নিতে পারে না। কেউ সামান্যতমও বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে না। আমাদের কি থেকে কি তৈরী
করেন। তাইতো এমন বাবার শ্রীমতে অবশ্যই চলা উচিত। যদিও দুনিয়াতে কতো গ্লানি,
বিপর্যয় ইত্যাদি হতে থাকে। এটা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও
হয়েছিল। শাস্ত্রেও আছে। বাচ্চাদের বলা হয়েছে, এই যে ভক্তি মার্গের শাস্ত্র আছে,
সেটা আবার ভক্তি মার্গে পড়বে। এই সময় তোমরা জ্ঞানের দ্বারা সুখধামে যাও। এর জন্য
সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করা দরকার। এখন যত পুরুষার্থ করবে, সেটাই কল্প-কল্প হবে। নিজের
মনের ভিতরে যাচাই করে দেখতে হবে যে - আমি কতোটা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারি। এটা তো
প্রতিটি স্টুডেন্ট বুঝতে পারে যে আমরা যত ভালো করে পড়বো তত উচ্চ পদ প্রাপ্ত করব।
ইনি আমার থেকে হুঁশিয়ার,আমিও হুঁশিয়ার হব। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এইরকম হয় - আমি এর
থেকে উপরে উঠবো তাই আরও সুচতুর হবো। সুখের জন্য ক্ষণিকের পরিশ্রম করতে হয়। বাবা
বলেন - মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, আমি তোমাদের কতো বড় বাবা। সাকারী পিতাও আছেন তো
নিরাকারী পিতাও আছেন। দুই জন যে একত্রিত। দুজনে মিলে বলেন - মিষ্টি বাচ্চারা, এখন
তোমরা অসীম জগতের পাঠকে বুঝে গেছো। আর কেউ তো জানেই না। প্রথম কথা তো আমাদের
পড়ানোর জন্য কে আছেন? ভগবান কি পড়ান? রাজযোগ। তোমরা হলে রাজঋষি। অন্যান্যরা হলো
হঠযোগী। ওরাও হলো ঋষি, কিন্তু জাগতিক। তারা বলে আমরা ঘর-বাড়ি ছেড়েছি। এটা কি কোনো
ভালো কাজ করেছে? তোমরা ঘরবাড়ী তখন ছাড়তে যখন বিকারের জন্য উত্ত্যক্ত করতো। ওদের
কি উপদ্রব সহ্য করতে হয়েছে? তোমরা প্রহৃত হয়েছো তাই তোমরা সরে পড়েছো। একেক জনকে
জিজ্ঞাসা করো, কুমারীরা, স্ত্রী-রা কতো প্রহৃত হয়েছে, তাই তো চলে এসেছে। শুরুতে কতো
এসেছে। এখানের প্রাপ্তি ছিলো জ্ঞান অমৃত, তাই চিঠি নিয়ে আসে আমি জ্ঞান অমৃত পান করবো
বলে ওম্ রাধের কাছে যাচ্ছি। এই বিকার নিয়ে ঝগড়া, বিবাদ প্রথম থেকে চলে আসছে। বন্ধ
তখন হবে যখন আসুরী দুনিয়ার বিনাশ হবে। আবার অর্ধ-কল্পের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
এখন তোমরা অর্থাৎ
বাচ্চারা অসীম জগতের বাবার থেকে প্রালব্ধ নিচ্ছো। অসীম জগতের বাবা সকলকে অসীম জগতের
প্রালব্ধ দেন। জাগতিক পিতা জাগতিক প্রালব্ধ দেন। সেটাও শুধুমাত্র বাচ্চাদেরই (পুত্রদের)
উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হয়। এখানে বাবা বলেন - তোমরা পুত্র সন্তান হও বা কন্যা
সন্তান, দুইয়েরই সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার আছে। লৌকিক পিতার কাছে বিভেদ থাকে,
শুধুমাত্র পুত্র সন্তানকে উত্তরাধিকারী করে। স্ত্রীকে হাফ পার্টনার বলে। কিন্তু
তাকেও সম্পত্তির ভাগ দেয় না। পুত্র সন্তানই সামলে নেয়। পিতার পুত্র সন্তানের উপরে
মোহ থাকে। এই পিতা পুত্র বা কন্যা যে কোনো বাচ্চাকেই আত্মা রূপে উত্তরাধিকার প্রদান
করেন। এক্ষেত্রে পুত্র বা কন্যার ভেদ জানাই যায় না। তোমরা সুখের কতো উত্তরাধিকার
অসীম জগতের পিতার থেকে নাও। তবুও পড়াশুনা সম্পূর্ণ করে না। পড়াশোনা ছেড়ে দেয়।
কন্যারা লেখে- বাবা অমুকে ব্লাড দিয়ে লিখে দিয়েছে। এখন আর আসে না। ব্লাড দিয়েও লেখে
- বাবা, তুমি ভালোবাসো বা আঘাত করো, আমি কখনো তোমাকে ছাড়বো না। তথাপি তারা
প্রতিপালিত হয়ে আবার চলেও যায়। বাবা বুঝিয়েছেন- এই সব হলো ড্রামা। কেউ আশ্চর্যবৎ
ভাগন্তি হয়ে যায়। এখানে বসলে নিশ্চয় থাকে, এইরকম অসীম জগতের বাবাকে আমরা ছাড়বো কি
ভাবে। এটা তো পড়াশুনাও। গ্যারান্টিও দেন আমি সাথে নিয়ে যাবো। সত্যযুগ ইত্যাদিতে এত
সমস্ত মানুষ ছিলো না। এখন সঙ্গমে সব মানুষেরা আছে, সত্যযুগে খুব কম থাকবে। এত সব
ধর্মের লোক কেউই থাকবে না। এসবের সমস্ত প্রস্তুতি চলছে। এই শরীর ছেড়ে শান্তিধামে চলে
যাবে। হিসাবপত্র মিটিয়ে দিয়ে, যেখান থেকে এসেছিল পার্ট প্লে করার জন্য, সেখানে চলে
যাবে। ওটা তো হলো ঘন্টা দুয়েকের নাটক, এ হলো অসীম জগতের নাটক। তোমরা জানো যে আমরা ঐ
ঘরের বাসিন্দা এবং সেই এক বাবার সন্তান। থাকার জায়গা হলো নির্বাণধাম, যা বাণীর ওপারে।
সেখানে শব্দ হয় না। মানুষ মনে করে ব্রহ্মতে লীন হয়ে যায়। বাবা বলেন আত্মা হলো
অবিনাশী, এর কোনো বিনাশ হতে পারে না। কতো জীব আত্মারা আছে। অবিনাশী আত্মা জীব (শরীর)
দ্বারা পার্ট প্লে করে। সব আত্মারা ড্রামার অ্যাক্টার্স। থাকার জায়গা হলো
ব্রহ্মান্ড - সেটা হলো গৃহ। আত্মা ডিম্বাকৃতি দেখায়। ওখানে ঐ ব্রহ্মান্ডে অনেক
থাকার জায়গা আছে। প্রতিটি কথাকে ভালো ভাবে বুঝতে হবে। না বুঝলে আরো এগিয়ে গেলে
নিজেই বুঝে যাবে, যদি শুনতে থাকো তবেই। ছেড়ে দিলে আবার কিছুই বুঝতে পারবে না।
বাচ্চারা, তোমরা জানো এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হয়। বাবা
বলেন কাল তোমরা বিশ্বের মালিক ছিলে, এখন আবার তোমরা বিশ্বের মালিক হতে এসেছো। গান
আছে না যে, বাবা আমাদের ঐরকম মালিক করেন যেটা কেউ আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে না।
আকাশ, জমি ইত্যাদির উপর আমাদের অধিকার থাকে। এই দুনিয়াতে দেখো কি-কি আছে। সকলেই সাথী
হয় নিজ স্বার্থে। ওখানে তো ঐরকম হয় না। যেমন লৌকিক পিতা বাচ্চাকে (পুত্রকে) বলে-
এই ধন, সম্পত্তি সব কিছু তোমাকে দিয়ে যাচ্ছি, এসব ভালো ভাবে সামলিও। অসীম জগতের
পিতাও বলেন তোমাদের ধন সম্পদ সব কিছু দিয়ে দিচ্ছি। তোমরা আমাকে ডেকেছো,বলেছো পবিত্র
দুনিয়াতে নিয়ে চলো তো অবশ্যই পবিত্র করে তুলে বিশ্বের মালিক করবো। বাবা কতো যুক্তি
দ্বারা বোঝান। এর নামই হলো সহজ জ্ঞান আর যোগ। সেকেন্ডের ব্যাপার। সেকেন্ডে মুক্তি,
জীবন-মুক্তি। তোমাদের এখন কতো দূরদর্শী হয়ে গেছে। এই চিন্তনই চলতে থাকে যে আমরা
অসীম জগতের পিতার দ্বারা পড়াশোনা করছি। আমরা নিজেদের জন্য রাজ্য স্থাপন করছি, তো
সেখানে আমরা কেন উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবো না! কম কেন পাবো। রাজধানী স্থাপন হচ্ছে।
সেখানেও কতো প্রকার লোক থাকবে। অনেক দাস-দাসী থাকবে। তারাও অনেক সুখে থাকবে। একসাথে
মহলে থাকবে। বাচ্চা ইত্যাদি সামলাবে। কতো সুখী হবে। শুধু নামেই দাস-দাসী। যা
রাজা-রাণী খায়, সেটাই দাস-দাসীও খায়। প্রজারা পায় না, দাস-দাসীদেরও অনেক সম্মান,
কিন্তু তার মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী। বাচ্চারা, তোমরা সমস্ত বিশ্বের মালিক হচ্ছো।
দাস-দাসীরা তো এখানেও রাজাদের কাছে থাকে। প্রিন্সেসের যখন সভা অনুষ্ঠিত হয়, নিজেদের
মধ্যে সাক্ষাৎ হয় তখন তারা মুকুট পরিহিতা, ফুলে সজ্জিত থাকে। তার মধ্যেও এক একজনের
তো আরও ভীষণ শোভনীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাণীরা বসে না। তারা পর্দার আড়ালে
থাকে। এই সব কথা বাবা বোঝান। ওনাকে তোমরা প্রাণদাতাও বলো, জীবন দান যিনি দেন। অকালে
মৃত্যুর হাত থেকে যিনি বাঁচান। ওখানে মরণের চিন্তা হয় না। এখানে কতো চিন্তা থাকে।
সামান্যতমও কিছু হলে ডাক্তারকে ডাকে, যেন মরে না যাই। সেখানে ভয়ের ব্যাপার নেই।
তোমরা মৃত্যুর উপর বিজয় প্রাপ্ত করো, তাই কতো নেশা থাকা চাই। যিনি পড়ান তাঁকে
স্মরণ করলেও সেটাও স্মরণের যাত্রা হলো। পিতা-টিচার-সদ্গুরুকে স্মরণ করলে সেটাও ঠিক
আছে, যত শ্রীমতে চলবে, মনসা-বাচা-কর্মণাতে পবিত্র হবে। বুদ্ধিতে বিকারী সংকল্পও যেন
না আসে। সেটা তখন হবে যখন ভাই-ভাই মনে করবো। বোন-ভাই মনে করলেও অপবিত্রতা এসে যায়।
সর্বাধিক ধোঁকা দেয় এই চোখ, তাই বাবা তৃতীয় নেত্র দিয়েছেন আর তার দ্বারা নিজেকে
আত্মা মনে করে ভাই-ভাই এর রূপে সকলকে দেখো। একে বলা হয় জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র।
বোন-ভাইও ফেল হয়, তাই দ্বিতীয় যুক্তি বেরিয়ে আসে - নিজেদেরকে ভাই-ভাই মনে করো।
খুব পরিশ্রমের। সাবজেক্ট যেমন থাকে। কোনও কোনোটা খুব কঠিন সাবজেক্ট হয়। এ হলো
পড়াশুনা, এতেও উচ্চ সাবজেক্ট আছে - তোমরা কারোরই নাম রূপে আটকে পড়তে পারো না।
অনেক বড় পরীক্ষা। বিশ্বের মালিক হতে হবে। মুখ্য কথা বাবা বলেন, ভাই-ভাই মনে করো।
তাই বাচ্চাদের এতো পুরুষার্থ করা চাই। কিন্তু চলতে চলতে কতো জন ট্রেটর হয়ে পড়ে।
এখানেও ঐরকম হয়। ভালো ভালো বাচ্চাদেরও মায়া নিজের করে নেয়। তখন বাবা বলেন আমাকে
পৃথকও করে দেয়, ডিভোর্সও দিয়ে দেয়। বাবাকে ছেড়ে দেওয়া বাচ্চা অন্য বাবার হয়ে
যায়, আর ডিভোর্স স্ত্রী অন্য স্বামীর হয়। বাবা বলেন আমার দুটোই মেলে। ভালো ভালো
কন্যারাও ডিভোর্স দিয়ে গিয়ে রাবণের হয়ে যায়। ওয়ান্ডারফুল খেলা তো। মায়া কি না করে
দেয়। বাবা বলেন মায়া খুব কড়া। কথায় আছে হাতিকে বড় কুমীরে খেয়েছে। অনেক গাফিলতি
করে বসে। বাবার সাথে বেয়াদপি করলে মায়া কাঁচা খেয়ে নেয়। মায়া এমনই যে কাউকে
কাউকে একদম ধরে নেয়। আচ্ছা !
বাচ্চাদের কতো
শুনিয়েছি, কতো শোনাবো। মুখ্য ব্যাপার হলো অল্ফ। মুসলমানরাও বলে - সকালে উঠে অল্ফ-কে
স্মরণ করো। এই সময় শুয়ে থাকার নয়। এই উপায়েই বিকর্ম বিনাশ হয়, আর কোনো উপায় নেই।
বাবা তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের সাথে কতো বিশ্বস্ত। কখনো তোমাদের ছাড়বে না। এসেছেনই
শুধরে দিয়ে সাথে নিয়ে যেতে। স্মরণের যাত্রার দ্বারাই তোমরা তমোপ্রধান হবে। ওই দিকে
জমা হতে থাকবে। বাবা বলেন নিজের হিসাব রাখো - কতোটা স্মরণ করছো, কতোটা সার্ভিস করছো।
ব্যবসায়ীরা লোকসান দেখলে সাবধান হয়ে যায়। লোকসান যেন না হয়। তবে কল্প কল্পান্তর
লোকসান হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
মন-বাণী-কর্মে পবিত্র হতে হবে, বুদ্ধিতে বিকারী সংকল্পও যেন না আসে, এর জন্য আমরা
আত্মারা হলাম ভাই-ভাই এই অভ্যাস করতে হবে। কারোর নাম রূপে আটকে যেও না।
২ ) বাবা যেমন
বিশ্বস্ত, বাচ্চাদের শুধরে দিয়ে সাথে নিয়ে যান, সেই রকম বিশ্বস্ত হতে হবে। কখনো
পৃথক হয়ো না বা ডিভোর্স দিও না।
বরদান:-
সদা
হাল্কা হয়ে বাবার নয়নে সমাহিত থাকা সহজযোগী ভব
সঙ্গম যুগে যে খুশীর
খনি প্রাপ্ত হয় তা আর অন্য কোনও যুগে প্রাপ্ত হয় না। এই সময় বাবা আর বাচ্চাদের মিলন
হয়, উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, বরদান প্রাপ্ত হয়। উত্তরাধিকার বা বরদান - নিতে
পরিশ্রম করতে হয় না। সেইজন্য তোমাদের টাইটেল-ই হলো সহজযোগী। বাপদাদা বাচ্চাদের
পরিশ্রম দেখতে পারেন না, বলেন - বাচ্চারা নিজের সব বোঝা বাবাকে দিয়ে নিজেরা হাল্কা
হয়ে যাও। এত হাল্কা হও যে বাবা নিজের নয়নের উপর বসিয়ে সাথে নিয়ে যেতে পারেন। বাবার
সাথে স্নেহের লক্ষণ হলো - সদা হাল্কা হয়ে বাবার দৃষ্টির মধ্যে সমাহিত হয়ে যাওয়া।
স্লোগান:-
নেগেটিভ চিন্তা করার রাস্তা বন্ধ করে দাও তো সফলতা স্বরূপ হয়ে যাবে।