27.04.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এসেছ বাবার কাছে হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেসের অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে, ঈশ্বরীয় মতানুসারে চললেই বাবার অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়"

প্রশ্নঃ -
বাবা সব বাচ্চাদের বিকল্পজিৎ (কলুষিত চিন্তাকে) জয় করবার কোন্ যুক্তি বলে দিয়েছেন?

উত্তরঃ  
বিকল্পজিৎ হওয়ার জন্য নিজেকে আত্মা মনে করে ভাই-ভাইয়ের দৃষ্টিতে দেখো। শরীর দেখলেই বিকল্প চিন্তা আসে, তাই ভ্রুকুটিতে আত্মা ভাইকে দেখো। পবিত্র হতে হলে এই দৃষ্টি পাকা মজবুত রাখো। নিরন্তর পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ করো। স্মরণের দ্বারা-ই মরচে দূর হবে, খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে এবং বিকল্পের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করে নেবে ।

ওম্ শান্তি ।
শিব ভগবানুবাচ নিজের শালগ্রামদের উদ্দেশ্যে। শিব ভগবানুবাচ সুতরাং শরীর নিশ্চয়ই থাকবে, তবেই বাচ (বাণী/কথা) হবে। বলার জন্যে অবশ্যই মুখের প্রয়োজন। তো শোনার জন্যেও অবশ্যই কানের দরকার । আত্মার কান, মুখ চাই। এখন বাচ্চারা তোমাদের ঈশ্বরীয় মতামত প্রাপ্ত হচ্ছে, যাকে রামের মত বলা হয়। অন্যরা রয়েছে রাবণের মত অনুসারে। ঈশ্বরীয় মত এবং অসুরী মত। ঈশ্বরীয় মত অর্ধকল্প চলে। বাবা ঈশ্বরীয় মত দিয়ে তোমাদের দেবতায় পরিণত করেন, তারপরে সত্যযুগ-ত্রেতায় সেই মত চলে। সেখানে জন্মও কম হয় কারণ সবাই যোগী। এবং দ্বাপর-কলিযুগে থাকে রাবণের মত, এখানে জন্মও অনেক হয়, কারণ সবাই ভোগী, তাই আয়ুও কম হয়। অনেক সম্প্রদায় হয়ে যায় এবং অনেক অনেক দুঃখে থাকে। রামের মতানুসারে যারা চলে, তারাও রাবণের মত অনুযায়ী চলা মানুষের সাথে মিলে যায়। তখন সম্পূর্ণ দুনিয়া রাবণ মতের হয়ে যায়। সেইসময় বাবা এসে সবাইকে রামের মত প্রদান করেন। সত্যযুগে হয় রামের মত, ঈশ্বরীয় মত। সেই সময়কে বলা হয় স্বর্গ। ঈশ্বরীয় মত প্রাপ্ত হলে স্বর্গের স্থাপনা হয়ে যায় অর্ধকল্পের জন্য। সেই কল্প পূর্ণ হলে রাবণ রাজ্য হয়, তাকে বলা হয় অসুরী মত। এখন নিজেকে জিজ্ঞাসা করো - আমরা অসুরী মতানুযায়ী চলে কি করতাম? ঈশ্বরীয় মতানুযায়ী কি করছি? পূর্বে নরকবাসী ছিলাম, তারপরে স্বর্গবাসী হই - শিবালয়ে এসে।সত্যযুগ-ত্রেতাকে শিবালয় বলা হয়। যে নামের দ্বারা স্থাপন হয় সে নাম নিশ্চয়ই রাখা হবে। অতএব ওটা হলো শিবালয়, যেখানে দেবতারা বাস করেন। রচয়িতা পিতা স্বয়ং তোমাদের এই কথা বুঝিয়ে বলছেন। কি রচনা করেন, সেসবও তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো। সম্পূর্ণ রচনা এই সময় তাঁকে আহবান করছে - হে পতিত-পাবন বা হে লিবারেটর, রাবণের রাজ্য থেকে বা দুঃখ থেকে মুক্তি প্রদানকারী। এখন তোমরা সুখের সন্ধান পেয়েছো তবেই দুঃখ বুঝতে পারো। তা নাহলে অনেকে এই সময়কে দুঃখের সময় ভাবে না। যেমন বাবা হলেন নলেজফুল, মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, তোমরাও নলেজফুল হও। বীজের মধ্যে বৃক্ষের নলেজ থাকে, তাইনা। কিন্তু সেটা হলো জড় বস্তু। যদি চৈতন্য (চেতনা যুক্ত) হতো, তবে কথা বলতে পারতো। তোমরা হলে চৈতন্য বৃক্ষের অংশ তাই বৃক্ষকেও জানো। বাবাকে বলা হয় মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, সৎ, চিৎ, আনন্দ স্বরূপ। এই বৃক্ষের উৎপত্তি ও পালনা কিভাবে হয়, সে কথা কেউ জানে না। এমন নয় নতুন বৃক্ষ উৎপন্ন হয়। এই কথাও বাবা বুঝিয়েছেন। পুরানো বৃক্ষের মানুষ আহ্বান করে যে, এসে রাবণের হাত থেকে লিবারেট করো। কারণ এই সময় হলো রাবণ রাজ্য। মানুষ না রচয়িতা-কে জানে আর না রচনা-কে। বাবা নিজে বলছেন আমি একবার-ই হেভেন তৈরি করি । হেভেনের পরে আবার হেল তৈরি হয়। রাবণের আগমনে তারা বাম মার্গে চলে যায়। সত্যযুগে হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেস সবই থাকে। তোমরা এখানে এসেছো বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে - হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেসের। কারণ স্বর্গে কখনও দুঃখ হয় না। তোমাদের অন্তরে আছে যে আমরা কল্প-কল্প পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে পুরুষার্থ করি। নামটাই কত সুন্দর। অন্য কোনও যুগকে পুরুষোত্তম বলা হয় না। অন্য যুগে তো সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামা হয়। বাবাকেও আহ্বান করা হয়, সমর্পণও করা হয়। কিন্তু বাবা কবে আসবেন সে কথা জানা থাকে না । যদিও আহ্বান করা হয় - গড ফাদার লিবারেট করো, আমাদের গাইড হও । লিবারেটর হতে হলে অবশ্যই আসতে হবে। তখন গাইড রূপে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাবা বাচ্চাদের বহু দিন পরে দেখে খুব খুশী হন। উনি হলেন দেহের পিতা। ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা। বাবা হলেন ক্রিয়েটর । রচনা করে তারপরে বাচ্চাদের লালন পালন করেন । পুনর্জন্ম তো নিতে হয়। কারও ১০-টি, কারও ১২-টি সন্তান হয়, কিন্তু সেইসব হলো দেহের সীমিত সুখ, যা হলো কাক বিষ্ঠা সমান সুখ। তমোপ্রধান হয়ে যায়। তমোপ্রধান স্থিতিতে সুখের মাত্রা খুবই কম থাকে। তোমরা যখন সতোপ্রধান হও তখন অনেক সুখ ভোগ করো। সতোপ্রধান হওয়ার যুক্তি বাবা এসে বলেন। বাবাকে অলমাইটি অথরিটি বলা হয়। মানুষ ভাবে গড হলেন অলমাইটি অথরিটি তিনি যা ইচ্ছে তা করতে পারেন। মরা মানুষকে বাঁচাতে পারেন। একবার কেউ লিখেছিল - আপনি যদি ভগবান হন, তো মরা মাছি বাঁচিয়ে দেখান। বাচ্চারা এমন অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে।

বাবা তোমাদেরকে শক্তি প্রদান করেন, যার দ্বারা তোমরা রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করো। তোমরা বানর থেকে মন্দির তুল্য হয়ে যাও। তারা যদিও কি সব বানিয়ে দিয়েছে। বাস্তবে তোমরা সবাই হলে সীতা, ভক্তির প্রতিমূর্তি । তোমাদের সবাইকে রাবণের হাত থেকে মুক্ত করা হয়। রাবণের দ্বারা তোমরা কখনও সুখ প্রাপ্ত করতে পারো না। এই সময় সবাই রাবণের জেলে বন্দী আছে। রামের জেল বলা হবে না। রাম আসেন রাবণের জেল থেকে মুক্ত করতে। রাবণের ১০-টি মাথা দেখানো হয়। তাকে ২০-টি ভূজা দেখানো হয়েছে। বাবা বুঝিয়েছেন যে ৫-টি বিকার হল পুরুষের, ৫-টি বিকার স্ত্রীর। তাকেই বলা হয় রাবণের রাজ্য বা ৫ বিকার রূপী মায়ার রাজ্য। এমন বলা হবে না, এদের কাছে অনেক মায়া আছে। মায়ার নেশা লেগে রয়েছে, তা নয়। ধনকে মায়া বলা হবে না। ধনকে সম্পত্তি বলা হয়। বাচ্চারা, তোমরা সম্পত্তি ইত্যাদি অনেক প্রাপ্ত কর। তোমাদের কিছু চাইবার দরকার নেই, কারণ এ হলো পড়াশোনা। পড়াশোনাতে কিছু চাইতে হয় কি ! টিচার যা পড়াবেন স্টুডেন্ট তাই পড়বে। যে যত পড়বে, ততই প্রাপ্তি করবে। চাইবার কথা নেই। এতে পবিত্রতাও চাই। এক একটি শব্দ দেখো কত মূল্যবান। পদ্মাপদম। বাবাকে জানো, স্মরণ করো। বাবা পরিচয় দিয়েছেন - যেমন আত্মা হলো বিন্দু রূপ, তেমনই আমিও হলাম বিন্দু রূপী আত্মা। তিনি হলেন এভার পিওর। শান্তি, জ্ঞান, পবিত্রতার সাগর। এক এরই হলো মহিমা । সবার নিজস্ব পজিশন আছে। নাটকও তৈরি করা হয়েছে - প্রতিটি কণায়-কণায় ভগবান আছেন, যারা নাটকটি দেখেছে তারা জানবে। যারা মহাবীর বাচ্চা, তাদেরকে তো বাবা বলেন তোমাদের যেখানে ইচ্ছে তোমরা যাও, শুধুমাত্র সাক্ষী হয়ে দেখা উচিত।

এখন তোমরা বাচ্চারা রাম রাজ্য স্থাপন করে রাবণ রাজ্য সমাপ্তি করো। এ হলো অসীম জাগতিক কথা। তারা লৌকিক কাহিনী তৈরি করে দিয়েছে। তোমরা হলে শিব শক্তি সেনা । শিব হলেন অলমাইটি, তাইনা। শিবের কাছে শক্তি প্রাপ্ত করা শিবের সেনা হলে তোমরা। তারা যদিও শিব সেনা নাম রেখেছে। এবারে তোমাদের নাম কি রাখা হবে। তোমাদের নাম তো রাখা আছে - প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার-কুমারী। শিবের তো সবাই সন্তান। সম্পূর্ণ দুনিয়ার আত্মারা তাঁরই সন্তান। শিবের কাছে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত করো। শিববাবা তোমাদের জ্ঞান শেখান, যার দ্বারা তোমরা এতখানি শক্তি প্রাপ্ত করো যে অর্ধকল্প তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বে রাজত্ব করো। এ হলো তোমাদের যোগ বলের শক্তি। আর তাদের হলো বাহুবলের শক্তি। ভারতের প্রাচীন রাজযোগের সুখ্যাতি আছে। সবাই ভারতের প্রাচীন যোগ শিখতে চায়, যার দ্বারা প্যারাডাইস স্থাপন হয়েছিল। বলাও হয় - খ্রাইস্টের এত বছর পূর্বে প্যারাডাইস ছিল। কিভাবে তৈরি হয়েছিল? যোগের দ্বারা। তোমরা হলে প্রবৃত্তি মার্গের সন্ন্যাসী। তারা ঘর সংসার ত্যাগ করে জঙ্গলে যায়। ড্রামা অনুযায়ী প্রত্যেকের পার্ট আছে। এত সূক্ষ্ম বিন্দু রূপী আত্মাতে কত পার্ট ভরা আছে, একেই প্রকৃতি বলা হবে। বাবা তো হলেন এভার শক্তিমান গোল্ডেন এজেড, এখন তোমরা তাঁর কাছেই শক্তি প্রাপ্ত করছো। এও ড্রামা, এও নির্ধারণ রয়েছে । এমন নয় হাজার সূর্যের চেয়েও তেজোময় হলেন ঈশ্বর। সে তো যার যেরকম ভাব অনুভূতি হয় তখন সে সেই ভাবে ঈশ্বরের দর্শন করে। চোখ লাল হয়ে যায়। থামো, আমি আর সহ্য করতে পারছি না। বাবা বলেন সেসব হল ভক্তিমার্গের সংস্কার। এইসব তো হলো নলেজ, এখানে পড়তে হবে। বাবা হলেন টিচারও, তিনি-ই পড়াচ্ছেন। আমাদের বলেন তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে। বাবা বুঝিয়েছেন হিয়ার নো ইভিল... মানুষের জানা নেই এই কথাটি কে বলেছে, প্ৰথমে বানরের চিত্র তৈরি করা হত। এখন মানুষের তৈরি হয়। বাবাও নলিনী বচ্চীর তৈরি করেছিলেন। মানুষের মনে ভক্তির কত নেশা থাকে। ভক্তির রাজ্য তাইনা। এখন হল জ্ঞানের রাজ্য। অনেক তফাৎ হয়ে যায়। বাচ্চারা জানে যথাযথভাবে জ্ঞানের দ্বারা অনেক সুখের প্রাপ্তি হয়। তারপরে ভক্তি থেকে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামা হয়। আমরা প্ৰথমে সত্যযুগে যাই তারপরে উঁকুনের মতো ধীর গতিতে নীচে নামা হয়। ১২৫০ বছরে আত্মার দুটি কলা কম হয়। চাঁদের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। চন্দ্রে গ্রহণ লাগে। চন্দ্রের কলা কম হতে থাকে তারপরে ধীরে ধীরে কলা বৃদ্ধি পায় তখন ১৬ কলা সম্পন্ন হয়। সে হল অল্পকালের কথা। এই হল অসীম জগতের কথা। এই সময় সবার উপরে রাহুর গ্রহণ লেগে আছে। উঁচুর চেয়ে উঁচু হল বৃহস্পতির দশা। নীচু থেকে নীচু হল রাহুর দশা। একবারে দেউলিয়া করে দেয়।বৃহস্পতির দশা লাগলে আমাদের উন্নতি হয়। তারা অসীম জগতের পিতাকে জানে না। এবারে রাহুর দশা তো সবার উপরে সমান রয়েছে। এই কথা তোমরা জানো, অন্য কেউ জানে না। রাহুর দশাই ইন্-সলভেন্ট (কাঙ্গাল) করে দেয়। বৃহস্পতির দশা সলভেন্ট করে। ভারত খুব সলভেন্ট ছিল। একটি ভারত ছিল। সত্যযুগে রাম রাজ্য, পবিত্র রাজ্য হয়, যার মহিমা মন্ডন করা হয়। অপবিত্র রাজ্যের মানুষ গায় - আমি নির্গুণ, আমার কোনও গুণ নেই ....। এমন সংস্থাও তৈরি করা হয়েছে যার নাম নির্গুণ সংস্থা। আরে, এই সম্পূর্ণ দুনিয়াটাই তো হলো নির্গুণ সংস্থা। একজনের কথা তো নয়। বাচ্চাদের সদা মহাত্মা বলা হয়। তোমরা তবু বলো কোনও গুণ নেই। এটা তো সম্পূর্ণ দুনিয়া, যাতে কোনও গুণ না হওয়ার জন্য রাহুর দশা বসেছে। এখন বাবা বলছেন দান করে গ্রহণ মুক্ত হও। এখন ফিরে যেতে হবে সবাইকে। দেহ সহ দেহের সব ধর্মকে ত্যাগ করো। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। তোমাদের এখন ফিরে যেতে হবে। পবিত্র না হওয়ার জন্যে কেউ ফিরে যেতে পারে না। এখন বাবা পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দেন। বেহদের বাবাকে স্মরণ করো। অনেকে বলে বাবা আমরা ভুলে যাই। বাবা বলেন - মিষ্টি বাচ্চারা, পতিত-পাবন বাবাকে তোমরা ভুলে যাবে তো পবিত্র হবে কিভাবে? ভেবে চিন্তে দেখো যে কি কথা বলছো? পশু পাখিরাও কখনও এমন বলবে না যে আমরা বাবাকে ভুলে যাই। তোমরা কি বলো! আমি তোমাদের অসীম জগতের পিতা, তোমরা এসেছ অসীম জগতের প্রাপ্ত করতে। নিরাকার বাবা সাকারে আসবেন তবে তো পড়াবেন। এখন বাবা এনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন। ইনি হলেন বাপদাদা। দুই আত্মা এই ভ্রুকুটির মাঝখানে উপস্থিত আছেন। তোমরা বলো বাপ-দাদা, তো নিশ্চয়ই দুই আত্মা আছেন। শিববাবা ও ব্রহ্মার আত্মা। তোমরা সবাই হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারী। তোমরা নলেজ পেয়েছো যে আমরা হলাম ভাই-ভাই। তারপরে প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা আমরা ভাই-বোন হই। এই স্মৃতি মজবুত হওয়া চাই। কিন্তু বাবা দেখেন যে ভাই-বোনের মধ্যেও নাম-রূপের আকর্ষণ থাকে। অনেকের বিকল্প আসে। সুন্দর শরীর দেখে বিকল্প আসে। এখন বাবা বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে ভাই-ভাইয়ের দৃষ্টি দিয়ে দেখো। আত্মারা সবাই হলো ব্রাদার্স। ব্রাদার্স হলে পিতাও নিশ্চয়ই চাই। সবার পিতা একজনই। সবাই পিতাকে স্মরণ করে। এখন বাবা বলেন সতোপ্রধান হতে হবে তাই মামেকম্ স্মরণ করো। যত স্মরণ করবে ততই মরচে দূর হবে, খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে এবং আকৃষ্ট হতে থাকবে। নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে।আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করে নিজেকে সম্পত্তিবান করতে হবে। কোনও কিছু চাইবে না। এক বাবার স্মরণে এবং পবিত্রতার ধারণা দ্বারা পদ্মাপদমপতি হতে হবে।

২ ) রাহুর গ্রহণ থেকে মুক্ত হতে বিকারের দান করতে হবে। হিয়ার নো ইভিল... যে সব বিষয়ের দ্বারা সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামা হয়, নির্গুণ বা গুণ হীন হয়, সেসব কথা বুদ্ধি দ্বারা ভুলে যেতে হবে।

বরদান:-
“প্রথমে আপনি”- র মন্ত্রের দ্বারা সকলের স্বমান প্রাপ্তকারী নির্মাণ তথা মহান ভব

এই মহামন্ত্র সদা স্মরণে থাকে যে “নির্মাণ-ই হলো সর্ব মহান”। “প্রথমে আপনি” করাই হলো সকলের স্বমান প্রাপ্ত করা। মহান হওয়ার এই মন্ত্র বরদান রূপে সদা সাথে রাখো। বরদানের দ্বারাই সদা পালিত হয়ে উড়ে উড়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। পরিশ্রম তখন করো যখন বরদানগুলিকে কাজে লাগাও না। যদি বরদানের দ্বারা পালিত হতে থাকো, বরদানগুলিকে কাজে লাগাতে থাকো তাহলে পরিশ্রম সমাপ্ত হয়ে যাবে। সদা সফলতা আর সন্তুষ্টতার অনুভব করতে থাকবে।

স্লোগান:-
চেহারার দ্বারা সেবা করার জন্য নিজের হাস্যময় রমণীয় আর গম্ভীর স্বরূপ ইমার্জ করো।