29.04.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - এ
হলো উপরে ওঠার প্রকৃত সৎ সঙ্গ, তোমরা এখন সৎ বাবার সঙ্গে এসেছে, তাই মিথ্যা সঙ্গে
কখনোই যেও না"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, কোন্
আধারে তোমাদের বুদ্ধি সদা অসীমে টিকে থাকতে পারে?
উত্তরঃ
বুদ্ধিতে যেন
স্বদর্শন চক্র ঘুরতে থাকে, যা কিছুই ড্রামাতে আছে, সে সবই নির্ধারিত আছে l
সেকেণ্ডেরও তফাৎ হতে পারে না l অসীমে টিকে থাকার জন্য এই খেয়াল যেন থাকে যে, এখন
বিনাশ হয়ে যাবে, আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে, আমরা পবিত্র হয়েই ঘরে ফিরে যাবো l
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি -
মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চাদের আত্মাদের বাবা বসে বোঝাচ্ছেন l বাচ্চারা এই পড়ার
দ্বারাই সবকিছু বুঝতে পারে l তোমরাও এই পড়াতেই সব বুঝতে পারো l আমাদের কে পড়ান? এ
তো কখনোই ভুলে যেও না l আমাদের পড়ান টিচার, তিনিই সুপ্রীম বাবা l তাই তাঁর মতেই চলতে
হবে l তোমাদের শ্রেষ্ঠ হতে হবে l শ্রেষ্ঠের থেকেও শ্রেষ্ঠ হলেন সূর্যবংশীরা l যদিও
চন্দ্রবংশীরাও শ্রেষ্ঠ, কিন্তু এরা হলেন শ্রেষ্ঠর থেকেও শ্রেষ্ঠ l তোমরা এখানে এসেছো
শ্রেষ্ঠর থেকেও শ্রেষ্ঠ হতে l বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, আমাদের এমন হতে হবে l এমন
স্কুল পাঁচ হাজার বছর অন্তর খোলা হয় l এখানে তোমরা এ কথা বুঝেই বসেছো যে, এ
সত্যিকারের সতের সঙ্গ l সৎ হলেন উঁচুর থেকেও উঁচু, তাঁর সঙ্গে তোমাদের সঙ্গ l তিনি
বসেই সত্যযুগের জন্য শ্রেষ্ঠর থেকেও শ্রেষ্ঠ দেবতা বানান, অর্থাৎ ফুল বানান l তোমরা
এখন কাঁটার থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছো l কেউ তো শীঘ্র পরিণত হয়, কারোর আবার সময় লাগে l
বাচ্চারা জানে যে, এ হলো সঙ্গম যুগ l সেও কেবল বাচ্চারাই জানে, তারা নিশ্চিত যে, এ
হলো পুরুষোত্তম হওয়ার যুগ l পুরুষোত্তমও কেমন? উঁচুর থেকেও উঁচু আদি সনাতন দেবী -
দেবতা ধর্মের যে মহারাজা - মহারাণী ছিলেন, তেমনই হওয়ার জন্য তোমরা এখানে এসেছো l
তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা এখানে এসেছি অসীম জগতের বাবার থেকে অসীম জগতের, সত্যযুগী
সুখ নেওয়ার জন্য l লৌকিক যে সমস্ত বিষয় আছে, সবই সমাপ্ত হয়ে যায় l লৌকিক জগতের বাবা,
লৌকিক ভাই, কাকা, মামা, সীমিত পাই - পয়সার সম্পত্তি ইত্যাদি, যার প্রতি অনেক মোহ
থাকে, এ সবই শেষ হয়ে যাবে l বাবা বোঝান যে, এই সম্পদ হলো সীমিত জগতের l এখন তোমাদের
অসীমে (বেহদে) যেতে হবে l অসীম জগতের সম্পদ প্রাপ্ত করার জন্য তোমরা এখানে এসেছো l
আর তো সবকিছুই হলো লৌকিক বা সীমিত সামগ্রী l এই শরীরও সীমিত জগতের l অসুস্থ হয়,
সবই শেষ হয়ে যায় l অকালমৃত্যু হয়ে যায় l এখন তো দেখো, মানুষ কি কি বানাতে থাকে l
বিজ্ঞানও জাদু করে দেখিয়ে দিয়েছে l এখানে কতো মায়ার জৌলুস l বৈজ্ঞানিকরা খুবই
পরিশ্রম করছে l যাদের কাছে অনেক মহল - প্রাসাদ ইত্যাদি আছে, তারা মনে করে এ হলো
আমাদের জন্য সত্যযুগ l তারা এ কথা বোঝেই না যে, সত্যযুগে এক ধর্ম থাকে, সে হলো নতুন
দুনিয়া l বাবা বলেন,এরা সম্পূর্ণ অবুঝ l তোমরা কতো বুঝদার হও l তোমরা উপরে ওঠো আবার
সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকো l সত্যযুগে তোমরা বুঝদার (বুদ্ধিমান) ছিলে, তারপর ৮৪ জন্ম
নিতে নিতে অবুঝ হয়ে যাও l বাবা এসে আবার তোমাদের বুঝদার করে তোলেন, যাকে পারস বুদ্ধি
বলা হয় l তোমরা জানো যে আমরা পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির অর্থাৎ খুবই বুদ্ধিমান ছিলাম
l গানও তো এমনই আছে, তাই না - বাবা তুমি যে অবিনাশী উত্তরাধিকার দাও, আমরা সম্পূর্ণ
পৃথিবী এবং আকাশের মালিক হয়ে যাই l কেউই আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে না l কেউই
দখল করতে পারে না l বাবা আমাদের অফুরন্ত দেন l এর থেকে বেশী কেউই আমাদের ঝুলি ভর্তি
করতে পারেন না l এমন বাবাকে আমরা পেয়েছি, যাঁকে অর্ধেক কল্প স্মরণ করেছি l দুঃখে তো
মানুষ স্মরণ করে, তাই না l যখন আমরা সুখ পেয়ে যাই, তখন স্মরণ করার প্রয়োজন হয় না l
দুঃখেই সবাই স্মরণ করে -- হায় রাম... এমন অনেক প্রকারের কথা বলে থাকে l সত্যযুগে
এমন কোনো শব্দ হয় না l বাচ্চারা, তোমরা এখানে এসেছো বাবার সম্মুখে বসে পড়বার জন্য
l প্রত্যক্ষভাবে তোমরা বাবার ভাষা শোনো l বাবা কোনো ইনডায়রেক্ট জ্ঞান দেন না l
জ্ঞান আমরা প্রত্যক্ষভাবেই পাই l বাবাকে আসতে হয় l তিনি বলেন, আমি আমার মিষ্টি -
মিষ্টি বাচ্চাদের কাছে এসেছি l আমাকে ডাকে - "ও বাপদাদা" বলে l বাবাও উত্তর দেন "ও
বাচ্চারা" বলে l এখন তোমরা আমাকে খুব ভালোভাবে স্মরণ করো, ভুলে যেও না l মায়ার
বিঘ্ন তো অনেকই আসবে l তোমাদের পড়া ছাড়িয়ে দিয়ে তোমাদের দেহ - ভাবে নিয়ে আসবে, তাই
সাবধান থাকো l এ হলো সত্যিকারের সৎসঙ্গ - উপরে যাওয়ার l দুনিয়ার ওইসব সৎসঙ্গ হলো
নীচে নামার l এই সত্যসঙ্গ একবারই হয়, মিথ্যাসঙ্গ জন্ম - জন্মান্তর অনেকবারই হয় l
বাবা বাচ্চাদের বলেন, এ তোমাদের অন্তিম জন্ম l এখন তোমাদের ওখানে যেতে হবে যেখানে
কোনো অপ্রাপ্ত বস্তুই নেই l যার জন্য তোমরা এখন পুরুষার্থ করছো l বাবা এখন যা বলছেন
তা এখন তোমরা শুনছো, ওখানে তোমরা এসব কিছুই জানতে পারবে না l এখন তোমরা কোথায়
যাচ্ছো? নিজেদের সুখধামে l এই সুখধাম তোমাদেরই ছিল l তোমরা সুখধামে ছিলে এখন তোমরা
দুখধামে আছ l বাবা খুবই সহজ রাস্তা বলে দিয়েছেন, সেটাই স্মরণ করো l আমাদের ঘর হল
শান্তিধাম, সেখান থেকে আমরা স্বর্গে আসব l তোমরা ছাড়া আর কেউই স্বর্গে আসে না l তাই
তোমরাই স্মরণ করবে l আমরা প্রথমে সুখের দুনিয়ায় যাই, তারপর দুঃখের l কলিযুগে সুখধাম
হয়ই না l এখানে সুখ পাওয়াই যায় না, তাই সন্ন্যাসীরা বলেন - সুখ কাক বিষ্ঠার সমান l
বাচ্চারা এখন বুঝতে
পারে যে, বাবা এসেছেন আমাদের ঘরে নিয়ে যেতে l তিনি আমাদের অর্থাৎ পতিতদের পবিত্র করে
নিয়ে যাবেন l এই স্মরণের যাত্রায় তোমরা পবিত্র হবে l লৌকিক যাত্রায়ও অনেক উপর - নীচ
হয় l কেউ কেউ তো অসুস্থ হয়ে যায়, তখন ফিরে যায় l এখানেও এমন l এ হল আধ্যাত্মিক
যাত্রা, অন্তিম সময়ে যেমন মতি, তেমনই গতি হয়ে যাবে l আমরা আমাদের শান্তিধামে যাচ্ছি
l এ তো হল খুবই সহজ কিন্তু মায়া খুবই ভুলিয়ে দেয় l তোমাদের যুদ্ধ হল এই মায়ার সঙ্গে
l বাবা খুবই সহজ করে বুঝিয়ে বলেন, আমরা এখন শান্তিধামে যাই l বাবাকেই আমরা স্মরণ করি
l দৈবীগুণ ধারণ করি l আমরা পবিত্র হই l তিন - চারটি বিষয় হলো মুখ্য যা বুদ্ধিতে
রাখতে হবে - বিনাশ তো হতেই হবে, পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও আমরা গিয়েছিলাম l আবার
আমরাই প্রথমের দিকে আসব l এমন বলাও হয় যে - রাম গেল, রাবণও গেল l সবাইকেই তো
শান্তিধামে যেতে হবে l তোমরা যে পড়া পড়ো - সেই পড়া অনুসারেই তোমরা পদ পাও l তোমাদের
এইম অবজেক্ট সামনে দণ্ডায়মান l কেউ বলবে আমরা সাক্ষাৎকার করবো l এই চিত্র (লক্ষ্মী
- নারায়ণের) সাক্ষাৎকার নয় তো কি ! এঁরা ছাড়া কার সাক্ষাৎকার করবে? বেহদের বাবার
কি? আর তো কোনো সাক্ষাৎকারই কাজের নয় l তোমরা বাবার সাক্ষাৎকার চাও l বাবার থেকে
মিষ্টি আর কিছুই নেই l বাবা বলেন - মিষ্টি বাচ্চারা, প্রথমে নিজের সাক্ষাৎকার করেছো
কি? আত্মা বলে যে, বাবার সাক্ষাৎকার করব l আগে নিজের সাক্ষাৎকার করেছ কি? এ তো
বাচ্চারা, তোমরা জেনেই গেছো l এখন তোমরা বুঝতে পেরেছ - আমরা হলাম আত্মা, আমাদের ঘর
হলো শান্তিধাম l সেখান থেকে আমরা আত্মারা ভূমিকা পালন করতে আসি l ড্রামার নিয়ম
অনুসারে আমরা প্রথমে সত্যযুগ আদিতে আসি l এ হলো আদি আর অন্তের পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ
l এখানে তফাৎ কেবল ব্রাহ্মণদেরই হয়,আর কারোর নয় l কলিযুগে তো অনেক ধর্ম - কুল
ইত্যাদি আছে l সত্যযুগে একই রাজত্ব হবে l এ তো খুবই সহজ, তাই না l এইসময় তোমরা হলে
সঙ্গমযুগী ঈশ্বরীয় পরিবারের l তোমরা না হলে সত্যযুগী আর না কলিযুগী l তোমরা এও জানো
যে, কল্প - কল্প বাবা এসে এমন পড়া পড়ান l এখানে তোমরা যখন বসে আছো তখন এই স্মৃতিতেই
থাকা উচিত l শান্তিধাম, সুখধাম আর এ হলো দুঃখধাম l বুদ্ধির দ্বারা এই দুঃখধামের
বৈরাগ্য বা সন্ন্যাস করতে হবে l ওরা বুদ্ধির দ্বারা কোনো সন্ন্যাস করে না l ওরা তো
বাড়ি ঘর ছেড়ে সন্ন্যাসী হয় l বাবা তো তোমাদের কখনোই বলেন না যে, তোমরা ঘরবাড়ি
ত্যাগ করো l অবশ্য করেই ভারতের এই সেবা বা নিজের সেবা করতে হবে l তোমরা সেবা তো ঘরে
বসেই করতে পারো l পড়ার জন্য অবশ্যই এখানে আসতে হবে l তারপর হুঁশিয়ার হয়ে অন্যদেরও
নিজের তুল্য বানাতে হবে l সময় তো খুবই অল্প l এমন তো কথিতও আছে - অনেক চলে গেলো,
অল্প রইলো.... l দুনিয়ার মানুষ তো সম্পূর্ণ অন্ধকারে আছে, তারা মনে করে এখনো ৪০
হাজার বছর পড়ে আছে l বাবা তোমাদের বোঝান - বাচ্চারা, খুবই অল্প সময় বাকি আছে l
তোমাদের বেহদের বুদ্ধিতে টিকতে হবে l সম্পূর্ণ দুনিয়ায় যা কিছু চলছে, সবই লিপিবদ্ধ
আছে l চিড়িয়াখানার মতো এই নাটক চলছে l পৃথিবীর এই হিস্ট্রি -জিওগ্রাফীর পুনরাবৃত্তি
হতে হবে l যারাই সত্যযুগে যাবে, তারাই এসে এই পড়া পড়বে l তোমরা অনেকবারই পড়েছ l
তোমরা শ্রীমতে চলে স্বর্গ স্থাপন করো l তোমরা এও জানো যে, উঁচুর থেকেও উঁচু ভগবান
এই ভারতেই আসেন l পূর্ব কল্পেও তিনি এসেছিলেন l তোমরা বলবে যে, কল্প কল্প এমন বাবা
আসেন l তিনি বলেন, আমি কল্প - কল্প এমন স্থাপন করি l এই বিনাশও তোমরাই দেখো l
তোমাদের বুদ্ধিতে এখন সব বসে যাচ্ছে l স্থাপনা, বিনাশ আর পালনার কর্তব্য কেমন হয়
তা তোমরাই জানো l এরপর অন্যদেরও বোঝাতে হবে l আগে তোমরা এসব জানতে না l বাবাকে জানলে
তোমরা বাবার কাছে সবকিছুই জানতে পারো l এই পৃথিবীর হিস্ট্রি - জিওগ্রাফী যথার্থ
রীতিতে তোমরাই জানো l মানুষ কিভাবে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয় - এ কথা বাবা
তোমাদের বোঝাচ্ছেন l তোমাদের আবার তা অন্যদেরও বোঝাতে হবে l
বাচ্চারা, তোমরা এখন
পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির তৈরী হচ্ছো l সত্যযুগে থাকে পারসবুদ্ধি l এ হলো পুরুষোত্তম
সঙ্গম যুগ l একে গীতা এপিসোড বলা হয়, তোমরা যেই সময় পাথর বুদ্ধির থেকে পরশ পাথর
বুদ্ধির হও l গীতা তো ভগবান নিজেই শোনান l মানুষ শোনায় না l তোমরা আত্মারা আগে শোনো
তারপর অন্যদেরও শোনাও l একে বলা হয় আত্মিক জ্ঞান যা তোমরা আত্মা রূপী ভাইদের শোনাও
l তোমরা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকো l তোমরা জানো যে, বাবা এসে সূর্যবংশী এবং
চন্দ্রবংশী রাজত্ব স্থাপন করেন l কার দ্বারা স্থাপন করেন ? ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী
ব্রাহ্মণ কুল ভূষণদের দ্বারা l বাবা শ্রীমত দান করেন l এ হলো বোঝার মতো কথা l হৃদয়ে
নোট করে নিতে হবে যে, এ হলো খুবই সহজ l এ হলো দুঃখধাম l আমাদের এখন ঘরে ফিরে যেতে
হবে l কলিযুগের পরে হল সত্যযুগ l বিষয় তো খুবই সহজ আর ছোটো l তোমরা যদি পড়তে নাও
পারো, তাহলেও কোনো অসুবিধা নেই l যারা পড়তে জানেন, তাদের থেকে তখন শোনা উচিত l
শিববাবা হলেন সমস্ত আত্মাদের বাবা l এখন তাঁর থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে l
বাবার উপর নিশ্চিত থাকবে তো স্বর্গের সম্পদ পাবে l তোমাদের ভিতরেও অজপা জপ চলতে থাকে
l শিববাবার থেকে বেহদের সুখ আর স্বর্গের অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায়, তাই
অবশ্যই শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে l সকলেরই বেহদের বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার
নেওয়ার অধিকার আছে l লৌকিকে যেমন জন্মগত অধিকার পাওয়া যায় তেমনি এ হলো অসীম জগতের
l শিববাবার থেকে তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের রাজ্য পাও l ছোটো - ছোটো বাচ্চাদেরও এ কথা
বুঝিয়ে বলা উচিত l প্রত্যেক আত্মারই অধিকার আছে বাবার থেকে জন্মগত অধিকার নেওয়ার l
তোমরা কল্প - কল্প অবশ্যই তা নিয়েছো l তোমরা জীবনমুক্তির অবিনাশী উত্তরাধীকার নাও l
যারা মুক্তির অবিনাশী উত্তরাধিকার পায় তারাও জীবনমুক্তিতে অবশ্যই আসে l প্রথম জন্ম
তো সুখেরই হয় l এ হলো তোমাদের ৮৪ তম জন্ম l এই সম্পূর্ণ জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে
থাকা উচিত l অসীম জগতের বাবা তোমাদের পড়ান, এ কথা ভুলে যেও না l দেহধারীরা কখনোই
জ্ঞান দিতে পারে না l তাদের মধ্যে আত্মিক জ্ঞান থাকে না l তোমাদের বোঝানো হয় -
সকলকে ভাই - ভাই মনে করো l যে সমস্ত মানুষ আছে, তারা কেউই এই শিক্ষা পায় না l যদিও
তারা গীতা শোনায় যে - কাম মহাশত্রু, একে জয় করলে তোমরা জগতজিৎ হতে পারবেন, তবুও
বুঝতে পারে না l এখন ভগবান তো হলো সত্য l দেবতারাও এই ভগবানের থেকে সত্যতা শিখেছে l
কৃষ্ণও এই পদ কোথা থেকে পেয়েছে ? লক্ষ্মী - নারায়ণ কিভাবে হলো? তাঁরা কি কর্ম করেছে?
কেউ কি তা বলতে পারবে? এখন তোমরাই জানো যে, ব্রহ্মার দ্বারা নিরাকার বাবা তাদের এই
কর্ম শিখিয়েছেন l এ তো সৃষ্টি l তোমরা এখন হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার - কুমারী l
তোমাদের কাছে আত্মিক বাবার জ্ঞান আছে l তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা ভগবানকে জেনে গেছি
l তিনি হলেন উঁচুর থেকেও উঁচু, নিরাকার l তাঁর কোনো সাকার রূপ নেই l বাকি আর যা
কিছুই দেখো, তা সাকার l মন্দিরেও তোমরা লিঙ্গ দেখো, অর্থাৎ তাঁর কোনো শরীর নেই l
এমনও নয় যে তিনি নাম - রূপ থেকে পৃথক l হ্যাঁ, অন্য সব দেহধারীর নাম আছে, জন্মপত্র
আছে l শিববাবা হলেন নিরাকার l তাঁর কোনো জন্মপত্রিকা নেই l কৃষ্ণের হলো এক নম্বর
জন্মপত্রিকা l মানুষ শিব জয়ন্তীও পালন করে l শিববাবা হলেন নিরাকার, কল্যাণকারী l
বাবা যেহেতু আসেন, তিনি অবশ্যই অবিনাশী উত্তরাধিকার দেবেন l তাঁর নাম হলো শিব l বাবা,
টিচার, সদ্গুরু এই তিনই হলেন এক l তিনি কতো ভালোভাবে পড়ান l আচ্ছা l
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন আর সুপ্রভাত
l আত্মাদের বাবা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার l
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বুদ্ধির দ্বারা এই দুঃখধামের সন্ন্যাস করে স্মৃতিকে শান্তিধাম আর সুখধামে রাখতে হবে
l ভারতের বা নিজের প্রকৃত সেবা করতে হবে l সবাইকে আধ্যাত্মিক নলেজ শোনাতে হবে l
২ ) নিজের সত্যযুগী
জন্মসিদ্ধ অধিকার নেওয়ার জন্য এক বাবার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে l মনের
মধ্যে অজপা জপ চলতেই থাকবে l রোজ অবশ্যই পড়া করতে হবে l
বরদান:-
সর্ব
সম্বন্ধের অনুভূতির সাথে প্রাপ্তির খুশী অনুভবকারী তৃপ্ত আত্মা ভব
যে সত্যিকারের
প্রেমিকা সে সকল পরিস্থিতিতে, প্রতিটি কর্মে সদা প্রাপ্তির খুশীতে থাকে। কোনও কোনও
বাচ্চা অনুভূতি করে যে হ্যাঁ উনিই আমার বাবা, সাজন, বাচ্চা... কিন্তু যতটা প্রাপ্তি
করতে চায় ততটা হয় না। তো অনুভূতির সাথে সর্ব সম্বন্ধের দ্বারা প্রাপ্তিরও অনুভব হবে।
এইরকম প্রাপ্তি আর অনুভব যে করে সে সদা তৃপ্ত থাকে। তার কাছে কোনও জিনিসের অপ্রাপ্তি
থাকে না। যেখানে প্রাপ্তি থাকে সেখানে তৃপ্তি অবশ্যই হবে।
স্লোগান:-
নিমিত্ত হও তো সেবার সফলতার শেয়ার প্রাপ্ত হয়ে যাবে।