01.03.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
প্রীত আর বিপরীত - এগুলি হলো প্রবৃত্তি মার্গের শব্দ, এখন তোমাদের প্রীতি এক বাবার
সাথে হয়ে আছে, বাচ্চারা তোমরা নিরন্তর বাবার স্মরণে থাকো"
প্রশ্নঃ -
স্মরণের
যাত্রাকে দ্বিতীয় আর কি নাম দেওয়া যেতে পারে?
উত্তরঃ
স্মরণের যাত্রা
হলো প্রীতির যাত্রা। যারা বিপরীত বুদ্ধির হয়, তাদের থেকে নাম-রূপে ফেঁসে যাওয়ার
দুর্গন্ধ আসতে থাকে। তাদের বুদ্ধি তমোপ্রধান হয়ে যায়। যাদের বুদ্ধি এক বাবার সাথে
জুড়ে থাকে, তারা অন্যদেরকেও জ্ঞানদান করতে থাকে। কোনো দেহধারীর সাথে তাদের প্রীত
থাকতে পারে না।
গীতঃ-
এই সময় চলে
যাচ্ছে...
ওম্ শান্তি ।
বাবা
বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। এখন একে স্মরণের যাত্রাও বলে বা প্রীতির যাত্রাও বলে। সাধারণ
মানুষ তো সেইসব জায়গায় যাত্রা করে। এই যেসব রচনা আছে, সেখানে যাত্রা করতে যায়,
ভিন্ন-ভিন্ন ধরণের রচনা, তাইনা। রচয়িতাকে কেউ জানে না। এখন তোমরা রচয়িতা বাবাকে জেনে
গেছো, সেই বাবার স্মরণে কখনো থেমে যেও না। তোমাদের জন্য স্মরণের যাত্রা প্রাপ্ত
হয়েছে। এটাকেই স্মরণের যাত্রা বা প্রীতের যাত্রা বলা হয়। যার বাবার সাথে খুব বেশী
ভালোবাসা থাকবে, সে এই স্মরণের যাত্রাও খুব ভালো করে করবে। যতটা ভালোবাসার সহিত
যাত্রা করবে, ততই পবিত্র হতে থাকবে। শিব ভগবানুবাচ... তাই না। বিনাশ কালে বিপরীত
বুদ্ধি আর বিনাশকালে প্রীত বুদ্ধি। বাচ্চারা, তোমরা জেনে গেছো যে, এখন হল বিনাশের
সময়। এটা সেই গীতার পর্ব চলছে। বাবা শ্রীকৃষ্ণের গীতা আর ত্রিমূর্তি শিবের গীতার
মধ্যে বৈষম্যের কথাও বলেছেন। এখন গীতার ভগবান কে? পরমপিতা শিব ভগবানুবাচ। কেবলমাত্র
'শিব' - শব্দ লিখবে না, কেননা শিব নামও অনেকের আছে। এইজন্য পরমপিতা পরমাত্মা লিখলে
তিনি যে সুপ্রীম, তা বোঝা যাবে। কেউ তো নিজেকে পরমপিতা বলতে পারেনা। সন্ন্যাসীরা
শিবোহম্ বলে দেয়, তারা তো বাবাকে স্মরণ করতেই জানে না। বাবাকেই জানে না। বাবার সাথে
প্রীতই নেই। প্রীত আর বিপরীত এটা হলো প্রবৃত্তি মার্গের জন্য। কোনো কোনো বাচ্চার
বাবার সাথে প্রীত বুদ্ধি থাকে, কারোর আবার বিপরীত বুদ্ধিও হয়ে যায়। তোমাদের মধ্যেও
এমনটি হয়। বাবার সাথে ভালেবাসা তাদেরই থাকে, যারা বাবার সার্ভিসে তৎপর থাকে। বাবা
ছাড়া আর কারোর সাথে ভালেবাসা হতে পারেনা। শিববাবাকেই বলে যে, বাবা আমি তো তোমারই
সেবাধারী আছি। এখানে ব্রহ্মাবাবার কথাই নেই। শিববাবার সাথে যে আত্মাদের ভালেবাসা
থাকবে, তারা অবশ্যই সেবাধারী হবে। শিববাবার সাথেই তারা সার্ভিস করতে থাকবে। প্রীত
না থাকলে তো বিপরীত হয়ে যায়, বিপরীত বুদ্ধি বিনশন্তী। বাবার সাথে যে আত্মার ভালোবাসা
থাকবে, সে সাহায্যকারীও হবে। যত ভালোবাসা, ততই সার্ভিসে সহায়ক হবে। স্মরণই করে না,
তার অর্থ হল ভালোবাসা নেই। পুনরায় দেহধারীর সাথে ভালোবাসা হয়ে যায়। মানুষ - মানুষকে
নিজের স্মৃতি চিহ্ন রূপে কিছু জিনিস দেয়, তাইনা। তার স্মরণ অবশ্যই আসে।
এখন বাচ্চারা, বাবা
তোমাদের অবিনাশী জ্ঞান রত্নের সওগাত দিচ্ছেন, যার দ্বারা তোমরা রাজত্ব প্রাপ্ত করো।
বাবা অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করেন, তাই প্রীত বুদ্ধি হও। তোমরা এখন জেনে গেছো যে,
বাবা সকলের কল্যাণ করতে এসেছেন, আমাদেরকেও সেবাধারী হতে হবে। এইরকম প্রীত বুদ্ধিরাই
বিজয়ন্তী হয়। যে স্মরণই করেনা সে প্রীত বুদ্ধি হতে পারে না। বাবার সাথে ভালোবাসা হলে,
স্মরণ করলে তবে তো বিকর্ম বিনাশ হবে আর অন্যদেরকেও কল্যাণের রাস্তা বলতে পারবে।
তোমাদের ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের মধ্যেও প্রীত এবং বিপরীত দুই-রকমেরই আত্মা আছে। বাবাকে
বেশী স্মরণ করে মানে ভালোবাসা আছে। বাবা বলেন - "আমাকে নিরন্তর স্মরণ করো, আমার
সহায়তাকারী হও" । রচনার, এক রচয়িতা বাবারই স্মরণ থাকা চাই। কোনো রচনাকে স্মরণ করো
না। জগতে তো কেউ রচয়িতাকে জানেই না, তাই স্মরণও করে না। সন্ন্যাসীরা ব্রহ্মকে স্মরণ
করে, সেটাও তো রচনা হয়ে গেলো, তাই না। রচয়িতা তো সকলের একজনই, তাই না। অন্য যা কিছু
জিনিস এই চোখ দিয়ে দেখো সেসব তো হলো রচনা। যেটা এই চোখ দিয়ে দেখা যায় না, সেটা হল
রচয়িতা বাবা। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরেরও চিত্র আছে। তারাও হল রচনা। বাবা যে চিত্র
বানানোর জন্য বলেছেন, তার উপরে লিখতে হবে যে, পরমপিতা পরমাত্মা ত্রিমূর্তি শিব
ভগবানুবাচ। হয়তো কেউ নিজেকে ভগবান বলে পরিচয় দেয়, কিন্তু নিজেকে পরমাত্মা বলতে
পারেনা। তোমাদের বুদ্ধিযোগ আছে শিববাবার সাথে, নাকি শরীরের সাথে। বাবা বুঝিয়েছেন
যে, নিজেকে অশরীরী আত্মা মনে করে আমাকে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করাে। প্রীত আর বিপরীত
বুদ্ধি বোঝা যায়, তোমাদের সেবা দেখে। বাবার সাথে ভালোবাসা থাকলে সেবাও খুব ভালো হয়,
তখন বিজয়ন্তী বলা যাবে। ভালোবাসা না থাকলে সেবাও হবে না। তারপর পদও কমে যাবে। কম
পদকে বলা যাবে উঁচুপদের থেকে বিনশন্তী। এমনিতে বিনাশ তো সকলেরই হয়, কিন্তু এটা হল
মুখ্য প্রীত আর বিপরীত বুদ্ধিযুক্ত আত্মাদের কথা। রচয়িতা বাবা তো একজনই আছেন,
তাঁকেই শিব পরমাত্মায় নমঃ বলা হয়। শিবজয়ন্তীও পালন করা হয়। শঙ্কর জয়ন্তী কখনো শোনা
যায় না। প্রজাপিতা ব্রহ্মারও নাম আছে, বিষ্ণুর জয়ন্তী মানানো হয় না, কৃষ্ণের
জয়ন্তীও মানানো হয়। এটাও কারোর জানা নেই - কৃষ্ণ আর বিষ্ণুর মধ্যে কী পার্থক্য আছে?
বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি হয় সাধারণ মানুষের। তো তোমাদের মধ্যেও প্রীত আর বিপরীত
বুদ্ধি আছে, তাইনা। বাবা বলেন তোমাদের এই আধ্যাত্মিক ধান্ধা তো খুব ভালো। অমৃতবেলা
আর সন্ধ্যাবেলা এই সেবায় লেগে যাও। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা - এই সময়টা হলো খুব ভালো
সময়। সৎসঙ্গ আদিও সকালে আর সন্ধ্যাবেলায় করে। রাত্রিবেলায় বায়ুমন্ডল খারাপ হয়ে যায়।
রাত্রিতে আত্মা স্বয়ং শান্তিতে চলে যায়, যাকে নিদ্রা বলে। পুনরায় সকালে জাগ্রত হয়।
তারা বলে, হে আমার মন - প্রভাতে রামকে স্মরণ করো। এখন বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন
যে, আমাকে অর্থাৎ একমাত্র বাবাকে স্মরণ করাে। শিববাবা যখন শরীরে প্রবেশ করেন, তখনই
তো বলেন যে, আমাকে স্মরণ করো তো বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। বাচ্চারা তোমরাই জানো যে,
তোমরা কতক্ষণ বাবাকে স্মরণ করাে আর আধ্যাত্মিক সেবা করো। সবাইকে এই পরিচয় দিতে হবে
যে - নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করাে তো তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে
যাবে। অপগুণ বেরিয়ে যাবে। প্রীত বুদ্ধিদের মধ্যেও পার্সেন্টেজ আছে। বাবার সাথে
ভালোবাসা নেই, তাহলে নিশ্চয়ই নিজের দেহের সাথে ভালোবাসা আছে বা আত্মীয় পরিজনদের সাথে
ভালোবাসা আছে। বাবার সাথে ভালোবাসা থাকলে তো সেবায় লেগে যাবে। বাবার সাথে ভালোবাসা
না থাকলে সেবাও করবে না। কাউকে তো কেবল অল্ফ (বাবা) আর বে (বাদশাহী)-র রহস্য বোঝানো
তো খুবই সহজ। হে ভগবান, হে পরমাত্মা বলে স্মরণ করে, কিন্তু তাঁকে জানেই না। বাবা
বুঝিয়েছেন যে, প্রত্যেক চিত্রের উপর পরমপিতা শিব ভগবানুবাচ অবশ্যই লিখতে হবে, তাহলে
কেউ কিছু বলতে পারবে না। এখন তো বাচ্চারা তোমার চারাগাছ রোপণ করছো। সবাইকে রাস্তা
বলে দাও তো সবাই এসে বাবার থেকে আশীর্বাদ নেবে। বাবাকে জানেই না, এইজন্য প্রীত
বুদ্ধি নেই। পাপ বৃদ্ধি হতে হতে একদম তমোপ্রধান হয়ে গেছে। বাবার সাথে প্রীত তারই
থাকবে, যে বাবাকে খুব স্মরণ করবে। তাদেরই গোল্ডেন এজ বুদ্ধি হবে। অন্যদিকে বুদ্ধি
চলে গেলে তো তমোপ্রধান হয়েই থাকবে। যদিও বাবার সামনে বসে থাকে, তবুও প্রীত বুদ্ধি
বলা যাবেনা, কেননা স্মরণই তো করে না। প্রীত বুদ্ধির লক্ষণ হলো স্মরণ। তারা ধারণা
করবে, অন্যদের উপরও দয়া করবে যে বাবাকে স্মরণ করাে তো পবিত্র হয়ে যাবে। এটা কাউকে
বোঝানো তো খুব সহজ। বাবা স্বর্গের বাদশাহীর উত্তরাধিকার বাচ্চাদেরকেই প্রদান করেন।
শিব বাবা অবশ্যই এসেছিলেন, তাইতো শিব জয়ন্তী পালন করে, তাই না। কৃষ্ণ রাম আদি সব
এখানেই হয়েছে, তাই তো এখানেই সব পালন করে, তাই না। শিব বাবাকেও স্মরণ করা হয় কেননা
তিনি এসে বাচ্চাদেরকে বিশ্বের বাদশাহী দিয়েছেন। নতুন যারা এসেছে, তারা এসব কথা বুঝতে
পারবে না। ভগবান কিভাবে এসে অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন, একদমই পাথরবুদ্ধি হয়ে গেছে।
স্মরণ করারও বুদ্ধি নেই। বাবা নিজে বলেন যে, তোমরা অর্ধেক কল্প আমার আশিক ছিলে। আমি
এখন তোমাদের কাছে এসেছি। ভক্তিমার্গে তোমরা অনেক ধাক্কা খেয়েছো। কিন্তু ভগবানকে তো
কেউ প্রাপ্ত করতে পারোনি। এখন বাচ্চারা তোমরা বুঝে গেছো যে, বাবা ভারতেই এসেছিলেন
আর মুক্তি-জীবনমুক্তির রাস্তা বলেছিলেন। কৃষ্ণ তো এই রাস্তার কথা বলেনি। ভগবানের
সাথে ভালেবাসা কিভাবে জুড়বে সেটা ভারতবাসীদেরকেই বাবা এসে শেখান। বাবা আসেনই ভারতের
মধ্যে। তাই তো শিব জয়ন্তীও ভারতের মধ্যেই মানানো হয়। বাচ্চারা তোমরা জানো যে, ভগবান
আছেনই সর্বোচ্চ। তাঁর নাম হলো শিব, এইজন্য তোমরা লেখো যে শিব জয়ন্তীই হল হীরের সমান,
বাকি সকলের জয়ন্তী হল কড়ি সমান। এরকম লেখার কারণে সব উল্টো হয়ে যায়, এইজন্য
প্রত্যেক চিত্রতে যদি শিব ভগবানুবাচ লেখা থাকে তাহলে তোমরা নিরাপদে থাকবে। কোনো কোনো
বাচ্চা সম্পূর্ণভাবে না বোঝার কারণে অবুঝ থেকে যায়। প্রথমে তো বুদ্ধিতেই মায়ার
গ্রহের দশা বসে। বাবার সাথে বুদ্ধিযোগ ভেঙে যায়, যার জন্য একদম উপর থেকে নীচে পরে
যায়। দেহধারীর প্রতি বুদ্ধিযোগ আটকে গেলে তো বাবার থেকে বিপরীত হয়ে যায় তাই না।
তোমাদেরকে এক বিচিত্র বিদেহী বাবার সাথেই প্রীত রাখতে হবে। দেহধারীর সাথে প্রীত রাখা
ক্ষতিকারক হয়ে যায়। বুদ্ধি উপর থেকে ভেঙে গেলে তো একদম নীচে এসে পরে। যদিও এটা অনাদি
পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা চলছে তবুও বোঝাতে তো হবেই তাই না। বিপরীত বুদ্ধির থেকে তো
নাম-রূপে ফেঁসে যাওয়ার দুর্গন্ধ আসতে থাকে। আর তা নাহলে সেবাতে তৎপর হয়ে যেতে হবে।
বাবা কালকেও খুব ভালো করে বুঝিয়েছেন যে - মুখ্য কথাই হল গীতার ভগবান কে ? এই
প্রশ্নের উত্তরেই তোমাদের বিজয়ী হতে হবে। তোমরা জিজ্ঞাসা করো যে গীতার ভগবান শিব
নাকি শ্রীকৃষ্ণ? সুখদাতা কে? সুখদাতা তো হলেন শিব, তাই তাঁকে ভোট দিতে হবে। তাঁরই
মহিমা আছে। এখন ভোট দাও এই প্রসঙ্গে যে গীতার ভগবান কে? যারা শিবকে ভোট দেবে,
তাদেরকে প্রীত বুদ্ধি বলা হবে। এটা তো হল খুব বড়ো ইলেকশন। এসব যুক্তিগুলি তাদের
বুদ্ধিতেই আসবে যারা সারাদিন বিচার-সাগর মন্থন করতে থাকবে।
কোনো কোনো বাচ্চা চলতে
চলতে অপ্রসন্ন হয়ে পড়ে। এখন দেখো তো প্রীত আছে, আবার একটু পরেই দেখো তো প্রীত ভেঙে
যায়, অপ্রসন্ন হয়ে পড়ে। কোনো কথার কারণে দেহ-অভিমানী হয়ে স্মরণ করেনা। চিঠিও লেখে
না। আর ভালোবাসা থাকেনা। তখন বাবাও ৪-৮ মাস চিঠি লেখেন না। বাবা হলেন কালেরও কাল,
তাইনা ! সাথে ধর্মরাজও তিনি । বাবাকে স্মরণ করার সময় নেই, তো তুমি কি পদ পাবে !
পদ-ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। শুরুর দিকে বাবা অনেক যুক্তি দিয়ে পথ বলে দিয়েছিলেন। এখন তো
অনেক অল্পই আছে। এখন তো পুনরায় মালা হতে হবে। সেবাধারীদেরকে তো বাবাও মহিমা করতে
থাকেন। যে নিজে বাদশাহ হবে, সে নিজের সমবয়সীদেরও বাদশাহ হওয়ার জন্য বলবে। এরাও আমার
মতো রাজত্ব করবে। রাজাকে অন্নদাতা, মাতা-পিতা বলা হয়। এখন মাতা তো হলেন জগদম্বা,
তাঁর দ্বারাই তোমরা অসীম সুখ পাও। পুরুষার্থ করে তোমাদেরকে উঁচুপদ নিতে হবে। দিন
দিন বাচ্চারা, তোমরা বুঝতে পারবে যে - কে কে কি কি পদ প্রাপ্ত করবে? সেবা করলে তো
বাবাও তাকে স্মরণ করবেন। সেবাই করেনা তো বাবা কেন তাকে স্মরণ করবেন! বাবা তো সেই
বাচ্চাদেরকে স্মরণ করবেন, যারা প্রীত বুদ্ধি হবে।
এটাও বাবা বুঝিয়েছেন
যে - কারোর দেওয়া জিনিস পরিধান করলে তো তার স্মরণ অবশ্যই আসবে। বাবার ভান্ডার থেকে
গ্রহণ করলে তো শিববাবা-ই স্মরণে আসবে। বাবা নিজের অনুভব শোনাচ্ছেন। স্মরণ অবশ্যই
আসবে, তাই কারোর দেওয়া জিনিস নিজের কাছে রেখো না। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এক
বিদেহী বিচিত্র বাবার সাথেই হৃদয় দিয়ে সত্যিকারের প্রীত রাখতে হবে। সর্বদা এই সতর্ক
রাখতে হবে যে - মায়ার গ্রহের দশা কখনো যেন বুদ্ধিতে আক্রমণ না করতে পারে।
২ ) কখনো বাবার প্রতি
অপ্রসন্ন হবে না। সেবাধারী হয়ে নিজের ভবিষ্যৎকে উঁচু বানাতে হবে। কারো দেওয়া কোনো
জিনিস নিজের কাছে রাখবে না।
বরদান:-
শুদ্ধতার বিধির দ্বারা কেল্লাকে মজবুতকারী সদা বিজয়ী এবং নির্বিঘ্ন ভব
এই কেল্লায় যাতে
প্রতিটি আত্মা সদা বিজয়ী আর নির্বিঘ্ন হয়ে যায় তাইজন্য বিশেষ টাইমে চারিদিকে একসাথে
যোগের প্রােগ্রাম রাখো। তারপর কেউ আর এই কানেকশনকে কাটতে পারবে না। কেননা যত যত
সেবার বৃদ্ধি করতে যাবে ততোই মায়াও নিজের বানানোর চেষ্টা করবে। সেইজন্য যেরকম কোনও
কাজ শুরু করার পূর্বে শুদ্ধতার বিধি প্রয়োগ করো, সেইরকম সংগঠিত রূপে তোমাদের
শ্রেষ্ঠ আত্মাদের একটাই শুদ্ধ সংকল্প হবে - বিজয়ী, এটাই হলো শুদ্ধতার বিধি - যার
দ্বারা কেল্লা মজবুত হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
যুক্তিযুক্ত বা যথার্থ সেবার প্রত্যক্ষফল হলো খুশী।
অব্যক্ত ঈশারা :-
সত্যতা আর সভ্যতারূপী কালচারকে ধারণ করো
ব্রাহ্মণ জীবনের
ফার্স্ট নম্বরের কালচার হলো “সত্যতা আর সভ্যতা”। তো প্রত্যেকের চেহারা আর চলনে এই
ব্রাহ্মণ কালচার প্রত্যক্ষ হবে। প্রত্যেক ব্রাহ্মণ হাসিমুখে প্রত্যেকের সম্পর্কে
আসবে। কেউ যেরকমই হোক তোমরা নিজেদের এই কালচার কখনও ত্যাগ করবে না তাহলে সহজেই
পরমাত্ম প্রত্যক্ষতার নিমিত্ত হয়ে যাবে।