01-06-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 21-10-2005 মধুবন


"সম্পূর্ণ এবং সম্পন্ন হওয়ার ডেট ফিক্স করে সময় অনুসারে এখন এভাররেডি হও"


আজ বাপদাদা চতুর্দিকের বাচ্চাদের তিন রূপ দেখছেন। ঠিক যেমন বাবার তিন সম্বন্ধ স্মরণে থাকে তেমনই বাচ্চাদের তিন রূপ দেখে বাপদাদা আনন্দিত হচ্ছেন। নিজেদের তিন রূপই তোমরা জানো তো না! এই সময় সব বাচ্চা ব্রাহ্মণ রূপে রয়েছে এবং ব্রাহ্মণ তথা লাস্ট স্টেজ, ব্রাহ্মণ তথা ফরিস্তা, আবার ফরিস্তা তথা দেবতা হও তোমরা। সর্বাপেক্ষা বিশেষ হলো বর্তমান ব্রাহ্মণ জীবন। ব্রাহ্মণ জীবন অমূল্য। ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষত্ব হলো পিওরিটি। পিওরিটিই ব্রাহ্মণ জীবনের রিয়ালিটি। পিওরিটিই ব্রাহ্মণ জীবনের পার্সোনালিটি। পিওরিটিই সুখ শান্তির জননী। পিওরিটি যত হবে ততোই সুখ শান্তি তোমাদের জীবনে ন্যাচারাল হবে এবং নেচার হবে। এছাড়া, পিওর আত্মাদের লক্ষ্য ব্রাহ্মণ তথা দেবতা হওয়া নয়, আগে ফরিস্তা পরে দেবতা হওয়া। সুতরাং ব্রাহ্মণ হতে ফরিস্তা, ফরিস্তা হতে দেবতা। সব বাচ্চার এই তিন রূপ বাপদাদা দেখছেন। তোমাদের সবার সামনে নিজের তিন রূপ এসে গেছে? এসেছে? ব্রাহ্মণ তো হয়ে গেছ, এখন লক্ষ্য ফরিস্তা হওয়ার। এই লক্ষ্যই আছে তো না! আছে? ফরিস্তা হতেই হবে, চেক করো, ফরিস্তাভাবের কত বিশেষত্ব তোমাদের জীবনে দৃশ্যমান হয়! ফরিস্তা অর্থাৎ যার পুরানো সংসার আর পুরানো সংস্কারের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। ফরিস্তা অর্থাৎ কেবল সমস্যার সময় ডবল লাইট হওয়া নয়, বরং সদা মন্সা, বাচা, সম্বন্ধ সম্পর্কে ডবল লাইট, হালকা। হালকা জিনিস ভালো লাগে নাকি বোঝা হয় এমন জিনিস ভালো লাগে? কী ভালো লাগে? হালকা পছন্দ, তাই তো না? ফরিস্তা অর্থাৎ যে সকলের, কিছুসংখ্যকের নয়, সকলের প্রিয় এবং স্বতন্ত্র। কেবল স্বতন্ত্র নয়, যত প্রিয় তত স্বতন্ত্র হবে। ফরিস্তার লক্ষণ হলো, সে সকলের প্রিয় হবে। যে কেউই তোমাদের দেখবে, যে কেউই দেখা করবে, যে কেউই সম্বন্ধে আসবে, সম্পর্কে আসবে সে অনুভব করবে ইনি আমার। যেমন বাবার ক্ষেত্রে সবাই অনুভব করে, আমার। অনুভব করো তো না? ফরিস্তা এরকম অর্থাৎ প্রত্যেকে অনুভব করবে ইনি আমার। আপনভাবের অনুভব হবে, কেননা হালকা হবে তো না, হালকা ভাব সকলের প্রিয় বানিয়ে দেয়। সমগ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের অনুভূত হওয়া উচিত যে তোমরা তাদেরই। ভারী ভাব যেন না হয় কেননা, ফরিস্তার অর্থই হলো ডবল লাইট। ফরিস্তা অর্থাৎ অসীম - সংকল্পে, বোলে, কর্মে, সম্বন্ধে, সম্পর্কে। সীমাবদ্ধতা থাকবে না। সবাই আপন আর আমি সবার। যেখানে আপনবোধ বেশি হয় সেখানে হালকা বোধ হয়। সংস্কারেও হালকাভাব, সুতরাং চেক করো কত পার্সেন্ট ফরিস্তা স্টেজ পর্যন্ত পৌঁছেছ! চেক করতে জানো তোমরা? চেকারও হয়ে গেছো, মেকারও হয়ে গেছো। অভিনন্দন।

বাপদাদার শুভ আশা এটাই যে এখন সময়কে অনুধাবন করে মহারথীরা মনে করে তাদের নিজেদের স্টেজ তো ৯৫% হওয়া উচিত। হওয়া উচিত তো না?(কেউ বললো ৯৮% হয়েছে)। অভিনন্দন, মুখে গোলাপজাম, খেয়ে নাও কেননা, দেখছো তো, তোমরাও জানো যে হয়ে যাওয়াই উচিত। হয়ে যাবে নয়, হতেই হবে। বে, বে (হিন্দিতে গে, গে) ক'রো না, হয়ে যাবে, দেখে নেবে... চেষ্টা করবে... এখন এই ভাষা পরিবর্তন করো। যে সংকল্পই করো, চেক করো কত পার্সেন্ট নিশ্চয় রয়েছে, আর তা' কতটা সফল হয়েছে? এখন চেক করার স্পিড তীব্র করো। প্রথমে চেক করো তারপর কর্মে এসো। এরকম নয় যে কোনো সংকল্প এলো, যে কোনও শব্দ তোমাদের বোলে এলো, সম্বন্ধ সম্পর্কে যা কিছু হলো সেসব ঠিক, না। তোমরা জানো তো না যারা ভি ভি আই পি হয় তাদের জন্য কত চেকিং হয়! সব জিনিস আগে চেক হয় তারপরে পদচারণা করে। তো এখন দু' ঘণ্টা চার ঘণ্টা পর চেকিং চলবে না। প্রথমে চেকিং তারপরে পদক্ষেপ, কেননা, তোমরা তো সৃষ্টি ড্রামার ভি ভি আই পি। আজকালকার যারা আছে তারা তো এক জন্মের। তাও অল্প সময়ের জন্য। আর তোমরা ব্রাহ্মণ তথা ফরিস্তারা যতই ভি ভি লাগিয়ে দাও, তোমরা এত মহান! তোমরা যত চাও নিজেরা নিজেদের সামনে ভি ভি ভি লাগাতে পারো, তোমরা নিজেদের চিত্র দেখেছো তো না, যার পূজন হচ্ছে, সেটা দেখেছো না! ঠিক আছে, হতে পারে তোমরা মন্দির দেখনি ফটো তো দেখেছো, এখনও তার কত ভ্যাল্যু রয়েছে! তারা কত বড়-বড়ো মন্দির বানায়, তৎসত্ত্বেও তোমাদের চিত্র হয় তিন ফুটের মধ্যে। তো কত ভ্যাল্যু তোমাদের! জড় চিত্রেরও ভ্যাল্যু আছে। আছে না! ভ্যাল্যু আছে তো না! তোমাদের চিত্র ক্ষণিকের দর্শন করার জন্য কত ক্যু (লাইন) লাগে! তাছাড়া, চৈতন্যে তোমরা এমন ভি ভি আই পি। সুতরাং পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চেক করো, করার পর যদি চেক করো তো ওই পদক্ষেপ তো গেল! ওই ব্যবস্থা আর তোমাদের হাতে আসবে না। অজ্ঞানকালেও বলা হয়ে থাকে, ভাবনা চিন্তা করে কাজ করো। কাজ করে ভেবো না। আগে ভাবো পরে করো। সুতরাং নিজের স্বমানের সিটে থাকো। পজিশনে বেশি থাকলে অপোজিশন (প্রতিরোধ) হতে পারে না। মায়ার অপোজিশন তখন হয় যখন তোমরা পজিশনে থাকো না। তো এখন বাপদাদার কোশ্চেন হলো, সবার লক্ষ্য তো সম্পূর্ণ হওয়ার, সম্পন্ন হওয়ার। লক্ষ্য আছে, নাকি অল্প অল্প হওয়ার আছে? লক্ষ্য আছে? সবার আছে তো হাত উঠাও। সম্পূর্ণ হতে হবে, আচ্ছা। কত সময় লাগবে? তোমরা লোককে কোশ্চেন করো, তাই না, স্টুডেন্টদেরও টিচার্স কোশ্চেন করে - তোমাদের লক্ষ্য কী? তো আজ বাপদাদা বিশেষ টিচারদের জিজ্ঞাসা করছেন। যারা ৩০ বছরের তারা বসে আছ তো না। তো যারা ৩০ বছরের তাদের কালই নিজেদের মধ্যে বসে প্রোগ্রাম বানানো উচিত। তোমরা অনেক মিটিং করো। বাপদাদা দেখেন মিটিং, সিটিং, মিটিং সিটিং। কিন্তু এখন এমন মিটিং করো, কবে তোমরা সম্পন্ন হবে! আর তোমরা সব ফাংশন উদযাপন করো, ডেট ফিক্স করো, অমুক প্রোগ্রাম অমুক ডেট। এর ডেট নেই? যত বছর চাই ততটাই বলো। কেন? বাপদাদা কেন বলেন? কেননা প্রকৃতি বাবাকে জিজ্ঞাসা করে কোন সময় বিনাশ করবে! তো বাপদাদা কী জবাব দেবেন! বাপদাদা বাচ্চাদেরই জিজ্ঞাসা করবেন তো না! কোন সময়? আজকের বিশেষ টপিক কোন সময়? ডবল ফরেনার্স বসে আছে, তো ডবল পুরুষার্থ হবে তো না! চমৎকার করো। ফরেনার্স এক্সাম্পল হও - শুধু ব্রাহ্মণ পরিবারের সামনে, এবং বিশ্বের সামনে সম্পন্ন আর সম্পূর্ণ হও - সর্ব শক্তি, সর্ব গুণে সম্পন্ন অর্থাৎ সম্পূর্ণ হও। পূর্ণ হতে হবে চার সাবজেক্টেই, মন্সা, বাচা, সম্বন্ধ, সম্পর্ক। চারের মধ্যে যদি একটাতেও দুর্বল থেকে যাও, তো সম্পন্ন হয়েছ বলা যাবে না। চার বিষয় স্মরণে আছে তো না - মন্সা, বাচা, সম্বন্ধ, সম্পর্ক এতে কর্মও এসে যায়, চার বিষয়েই। এমন নয় মন্সা বাচাতে তো আমি ঠিক আছি, সম্বন্ধ সম্পর্কে অল্প খামতি আছে। তোমাদের বলা হয়েছিল তো না - যার সামনেই তোমরা যাও, যার সম্পর্কেই যাও, সে যেন অনুভব করে যে ইনি আমার। আমার - এর উপরেই তো আপনবোধের অধিকার হয়, তাই না! অপরের প্রতি এত হালকা ভাব থাকে না, একটু ভারী হয়ে থাকে কিন্তু নিজের প্রতি হালকা ভাব থাকে। সুতরাং সকলের প্রতি হালকা থাকো, এরকম নয় যে শুধু নিজের জোনে হালকা বা নিজের সেন্টারে হালকা, না। যদি জোনে হালকা কিংবা সেন্টারে হালকা হও, তাহলে বিশ্বরাজন কীভাবে হবে? না বিশ্ব কল্যাণকারী হতে পারবে, না বিশ্ব রাজন হতে পারবে। রাজনের অর্থ এটা নয় যে সিংহাসনে বসবে, রাজধানীতে রয়্যাল ফ্যামিলিতে রাজ্যের অধিকার থাকবে! তো কী করবে? কত সময় লাগবে এই প্রশ্নের উত্তর দেবে তো না? মিটিং করবে? মিটিং করে ফাইনাল করবে। ঠিক আছে? আচ্ছা।

সবাই ঠিক আছো, উৎসাহ-উদ্দীপনা আসে কি যে করতেই হবে, হতেই হবে? বাপদাদা উৎসাহ-উদ্দীপনা দেন। মায়া যখন দেখে তোমরা উৎসাহ-উদ্দীপনায় আছ তো কিছু না কিছু করেই নেয়। কেননা, তারও এখন অন্তিমকাল নিকটে তো না! সুতরাং তার নিজের অস্ত্রশস্ত্র যাই আছে সে ইউজ করে আর এমনভাবে প্রতিপালন করে যে তোমরা বুঝতে পারো না যে এটা মায়ার পালনা, মায়ার মত, নাকি বাবার মত এর সাথে মিক্স করে দেয়! ফরিস্তাভাবে কিংবা পুরুষার্থে বিশেষ যে বাধা আসে, তার দুটো শব্দ আছে যা কমন শব্দ, কঠিনও নয়, সবাই ইউজও করে অনেকবার। সেগুলো কী? আমি আর আমার। বাপদাদা আগেও অনেক সহজ বিধি বলেছেন - এই আমি আর আমার-কে পরিবর্তন করার। মনে আছে তোমাদের? দেখ, যে সময় তোমরা আমি শব্দ বলো - না, সেই সময় সামনে 'আমি' আত্মাই। আমি শব্দ বলো আর সামনে আত্মা রূপকে নিয়ে এসো। আমি শব্দ সাধারণ ভাবে ব'লো না, আমি-আত্মা। এটা ন্যাচারালি স্মৃতিতে নিয়ে এসো, আমি শব্দের পিছনে আত্মা জুড়ে দাও। আমি আত্মা। যখন আমার শব্দ বলো তখন প্রথমে বলো আমার বাবা। আমার রুমাল, আমার শাড়ী, আমার এটা, কিন্তু প্রথমে আমার বাবা। আমার শব্দ বলার সাথে সাথে বাবা সামনে এলেন। আমি শব্দ বলার সাথে সাথেই আত্মা সামনে এসে যাবে, এই নেচার আরও ন্যাচারাল বানাও। সহজ, নাকি কঠিন? তোমরা জানোই আমি আত্মা। শুধু সেই সময় মানো না। জানা আছে ১০০%, মেনে নেওয়াতে পার্সেন্টেজ আছে। বডি কনসাসনেস যে ন্যাচারাল হয়ে গেছে, সেটা মনে করতে হয় কী আমি বডি? ন্যাচারালি স্মরণে থাকে তো না! তো আমি শব্দ মুখের আগে তো সংকল্পে আসে, তাই না? তো সংকল্পেও যদি আমি শব্দ আসে তবে সাথে সাথে যেন আত্মা স্বরূপ সামনে আসে। এটা অভ্যাস করা সহজ নয়? শুধু আমি শব্দ ব'লো না, এর সাথে আত্মা বলবে, পাক্কা হয়ে যাবে। এটা পাক্কা, তাই না। এমনকি, কেউ যদি অন্য কাউকে ডাকে তোমরা কিন্তু এরকমই করবে - আমি আত্মা। আত্মার সংসার বাপদাদা। আত্মার সংস্কার ব্রাহ্মণ তথা ফরিস্তা, ফরিস্তা তথা দেবতা। তো কী করবে তোমরা, মনের এই ড্রিল। আজকাল ডক্টরসও বলে ড্রিল করো, ড্রিল করো। এক্সারসাইজ। তো এই এক্সারসাইজ করো। আমি আত্মা। আমার বাবা। কারণ সময়ের গতি ড্রামানুসারে স্লো করতে হয়। তীব্র হওয়া উচিত ক্রিয়েটর এর, ক্রিয়েশনের নয়। কিন্তু এখনের অনুযায়ী সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। প্রকৃতি এভাররেডি, শুধু অর্ডারের জন্য আটকে আছে। ড্রামার সময়ই অর্ডার দেবে তো না! যারা স্থাপনের তারা যদি এভাররেডি না হবে তবে বিনাশের পরে কী প্রলয় হবে? হবে প্রলয়? নাকি বিনাশের পরে স্থাপন হওয়ার আছে? তো স্থাপনের জন্য যারা নিমিত্ত তাদের এখন সময় অনুসারে এভাররেডি হওয়া উচিত। বাপদাদা এটাই দেখতে চান, যেমন ব্রহ্মা বাবা অর্জুন হয়েছেন, এক্সাম্পল হয়েছেন। এভাবে যারা ব্রহ্মা বাবাকে ফলো করে তারা কী হয়? নিজেকেও দেখ, সময়কেও দেখ।

বাপদাদা আগেও তোমাদের বলেছেন যে বর্তমান সময়ে তোমরা সবাই ব্রাহ্মণ তথা ফরিস্তা আত্মাদের নিমিত্ত ভাব আর নির্মলভাব, এই দুই শব্দ আন্ডারলাইন করতে হবে। এতে বডি কনসাসনেসের আমি ভাব শেষ হয়ে যাবে। আমিত্ব ভাবও শেষ হয়ে যাবে। আমি নিমিত্ত এবং নির্মল স্বভাব। যত নির্মল স্বভাব হয় ততো মান প্রাপ্ত হয়। কেননা, যে নির্মল স্বভাবের হয় সে সকলের প্রিয় হয়ে যায়। আর যখন প্রিয় হয়ে যায় তখন মান তো অটোমেটিক্যালি পাওয়া যাবে। সুতরাং নিমিত্ত আর নির্মল ভাব ও ভাবনা এবং কল্যাণকারী ইচ্ছা। ভাব আর ভাবনা দুটো জিনিস। তো নিমিত্ত আর নির্মল ভাব ও ভাবনায় প্রত্যেকের প্রতি শুভ ভাবনা, শুভ কামনা রাখো। যেমনই হোক, তোমাদের নিমিত্ত নির্মল ভাব আর শুভ ভাবনা বায়ুমন্ডল এমন বানাবে যে যারা সামনে থাকবে তারাও ভাইব্রেশন দ্বারা পরিবর্তন হয়ে যাবে। কিছু বাচ্চা যখন আত্মিক বার্তালাপ করে তখন বলে আমি এক মাস যাবৎ শুভ ভাবনা রেখেছি, সে পরিবর্তনই হয় না। তারপর তোমরা ক্লান্ত হয়ে যাও। এখন সেই অসহায়ের যে বৃত্তি বা দৃষ্টি রয়েছে সেটা তো পাথরের মতো, সেক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে তো না। আচ্ছা, মনে করো, সে পরিবর্তন হচ্ছে না কিন্তু তুমি নিজেকে তো ঠিক রাখো। তুমি তো তোমার পজিশনে থাকো। তুমি কেন নিরাশ হয়ে যাও! নিরাশ হয়ো না। আচ্ছা ও বদলায়নি তো আমিই বদলে যাই তার মতো, নিরাশ হয়ে যাওয়া মানে সে পাওয়ারফুল, সে তোমাকে বদলে নিয়েছে। তুমি কেন নিজের স্বমানের সীট ছেড়ে দাও? ওয়েস্ট থটসও আসা উচিত নয়, কেন? কেন বলার সাথে সাথেই ওয়েস্ট থটসের দরজা খুলে গেল। ওই দরজা তখন বন্ধ হওয়া খুব মুস্কিল। সেইজন্য কেন, এটা ভেবো না, পাওয়ারফুল হয়ে ভাইব্রেশন দিতে থাকো। তোমরা নিজের সীট ছেড়ে কেন নিরাশ হয়ে যাও? স্মরণে রেখেছ তো না - পজিশন থেকে নিচে এসো না, তাহলে অনেক অপজিশন গড়ে ওঠে। ব্যক্তি ব্যক্তিতে অপোজিশন হয়ে যায়, স্বভাব সংস্কারে অপোজিশন হয়ে যায়, যুক্তি বিচারে অপোজিশন হয়ে যায়। অতএব, পজিশনে থাকো। তো কাল কী করবে? স্মরণে আছে তোমাদের? বাপদাদার ভালবাসা আছে তো না, তাইতো বাপদাদা মনে করেন সবাই ব্রহ্মা বাবা সমান হয়ে যাক। বাবার সামনে কী অপোজিশন আসেনি, ব্রহ্মা বাবার সামনে অপোজিশন হয়নি! মায়ারও হয়েছে, আত্মাদেরও হয়েছে, প্রকৃতিরও হয়েছে। কিন্তু ব্রহ্মা বাবা পজিশন ছেড়েছেন? ছাড়েননি তো না! তবেই ফরিস্তা হয়েছেন, তাই না! সুতরাং এখন একে অপরকে ফরিস্তা মনে করে তো চলো। আমি ফরিস্তা, সবাই ফরিস্তা। না আমার পুরানো সংস্কারের সাথে সম্পর্ক, না এই সকল ব্রাহ্মণের কারও সাথে। সেই সব সমাপ্ত। এও ফরিস্তা এও ফরিস্তা ... সেই দৃষ্টিতে দেখ। এইরকম বায়ুমন্ডল তৈরি করো। আচ্ছা।

এখন এক মিনিট বিশ্বের আত্মাদের এমন পাওয়ারফুল সর্বশক্তিসম্পন্ন কিরণ দাও যাতে চতুর্দিকে তোমাদের শক্তির ভাইব্রেশন বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আচ্ছা।

চতুর্দিকের ব্রাহ্মণ হতে ফরিস্তা হওয়া বাচ্চাদের, সদা স্বদর্শন দ্বারা স্ব-কে যারা চেক আর চেঞ্জ করে, ব্রহ্মা বাবাকে ফলো করে এমন আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের, সদা ডবল লাইট হয়ে সেবা আর পুরুষার্থ করে এমন ফরিস্তা আত্মাদের, সদা নিজের পজিশনের সীটে সেট হয়ে অপোজিশনকে সমাপ্ত করে এমন মাস্টার সর্বশক্তিমান বাচ্চাদের, সঙ্গমযুগের প্রত্যক্ষ ফল অনুভবকারী বাবার সমীপ বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

বরদান:-
প্রত্যক্ষতার সময়কে সমীপে এনে সদা শুভ চিন্তক আর স্ব চিন্তক ভব

সেবাতে সফলতার আধার হলো শুভ চিন্তক বৃত্তি, কেননা তোমাদের এই বৃত্তি আত্মাদের গ্রহণ শক্তি বা জিজ্ঞাসা বাড়ায়, এর দ্বারা বাণীর সেবা সহজে সফল হয়ে যায় এবং স্ব এর প্রতি স্ব-চিন্তনকারী স্ব-চিন্তক আত্মা সদা মায়া প্রুফ, কারও দুর্বলতা গ্রহণ করা থেকে, ব্যক্তি বা বৈভবের আকর্ষণ প্রুফ (রেহাই প্রাপ্ত) হয়ে যায়। তো যখন এই দুই বরদান প্র্যাকটিক্যাল জীবনে আনতে পারবে তখন প্রত্যক্ষতার সময় সমীপে আসবে।

স্লোগান:-
নিজের সংকল্পও অর্পণ করে দাও তবে সব দুর্বলতা আপনা থেকেই দূর হয়ে যাবে।

অব্যক্ত ইশারা :- আত্মিক স্থিতিতে থাকার অভ্যাস করো, অন্তর্মুখী হও পরমাত্ম ভালোবাসা অনুভব করার জন্য অন্তর্মুখী হয়ে এই দেহ থেকে পৃথক দেহী (আত্মিক) রূপে স্থিত থাকার অভ্যাস বাড়াও। সদা অন্তরমুখিতার গুহাতে থাকো, তাহলে পুরানো দুনিয়ার বাতাবরণের ঊর্ধ্বে উঠে যাবে। বাতাবরণের প্রভাবে আসবে না।