01.09.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদেরকে এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগেই উত্তম থেকে উত্তম পুরুষ হতে হবে, সবচেয়ে উত্তম
পুরুষ হলেন এই লক্ষ্মী-নারায়ণ"
প্রশ্নঃ -
তোমরা বাচ্চারা
বাবার সাথে কোন্ গুপ্ত কাজটি করছো?
উত্তরঃ
আদি সনাতন
দেবী-দেবতা ধর্ম এবং দিব্য রাজধানীর স্থাপনা - তোমরা বাবার সাথে গুপ্ত রূপে এই কাজ
করছো। বাবা হলেন বাগানের মালিক, তিনি এসে কাঁটার জঙ্গলকে ফুলের বাগান বানাচ্ছেন। এই
বাগানে কোনোরকম ভয়াবহ দুঃখদায়ী কিছুই থাকে না ।
গীতঃ-
অবশেষে সেই
দিন এলো আজ....
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা
আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। যদিও বোঝাবেন শরীরের দ্বারা। আত্মা শরীর ছাড়া কোনো
কাজ করতে পারে না। আত্মিক পিতাকেও পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে শরীর গ্রহণ করতে হয়। এই
যুগটি হলো সঙ্গমযুগ, একে পুরুষোত্তম যুগও বলা হবে কারণ এই সঙ্গমযুগের পরে সত্যযুগ
আসে। সত্য যুগ কেও পুরুষোত্তমযুগ বলা হবে। বাবা এসে স্থাপনা করেন পুরুষোত্তম যুগের।
সঙ্গম যুগে আসেন অতএব ওই যুগটিও হলো পুরুষোত্তম যুগ। এখানেই বাচ্চাদেরকে পুরুষোত্তম
বানানো হয়। তখন তোমরা পুরুষোত্তম নতুন দুনিয়ায় থাকো। পুরুষোত্তম অর্থাৎ উত্তম থেকে
উত্তম পুরুষ হলেন রাধে-কৃষ্ণ বা লক্ষ্মী-নারায়ণ। এই জ্ঞানও তোমাদের আছে। অন্য
ধর্মের মানুষও স্বীকার করবে এরা হলেন স্বর্গের মালিক। ভারতের খুব মহিমা। কিন্তু
ভারতবাসী নিজেরা জানে না। বলাও হয় - অমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে কিন্তু স্বর্গ যে কি
জিনিস, তা বুঝতে পারে না। নিজেরাই বলে স্বর্গে গেছে, তার মানে নরকে ছিলো। স্বর্গ
তখন হবে যখন বাবা স্থাপন করবেন। স্বর্গ তো নতুন দুনিয়াকেই বলা হয়। দুইটি জিনিস আছে
- স্বর্গ ও নরক। মানুষ তো স্বর্গের আয়ু লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। তোমরা বাচ্চারা জানো
গতকাল স্বর্গ ছিলো, এদের রাজত্ব ছিলো পুনরায় বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার
প্রাপ্ত করছো।
বাবা বলেন - মিষ্টি
প্রিয় বাচ্চারা, তোমাদের আত্মা হলো পতিত, তাই নরকে রয়েছে । তারা বলেও থাকে যে এখন
কলিযুগের ৪০ হাজার বছর বাকি আছে, তাহলে তো কলিযুগবাসীই বলা হবে, তাইনা। এ হল পুরানো
দুনিয়া । মানুষ ঘোর অন্ধকারে আছে। শেষে যখন আগুন লাগবে তখন সব শেষ হয়ে যাবে।
তোমাদের প্রীত বুদ্ধি হলো নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। যত প্রীত বুদ্ধি হবে
ততই উঁচু পদ প্রাপ্ত হবে। সকালে উঠে খুব ভালোবাসার সাথে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। চোখে
জলও আসবে ভালোবাসার, কারণ বহু বছর পরে বাবার সঙ্গে দেখা হয়েছে। বাবা এসে আমাদের
দুঃখ থেকে মুক্তি প্রদান করেন। আমরা ভব সাগরে ডুবে দুঃখী হয়েছি। এখন হল ঘোর নরক।
এখন বাবা তোমাদের সম্পূর্ণ চক্রের রহস্য বলেছেন। মূলবতন কি - সে কথাও এসে বলেছেন।
প্রথমে তোমরা জানতে না, একেই বলা হয় কাঁটার জঙ্গল। স্বর্গকে বলা হয় গার্ডেন অফ
আল্লাহ, ফুলের বাগিচা। বাবাকে বাগানের মালিকও বলা হয়। তোমাদের ফুল থেকে কাঁটায় কে
পরিণত করে? রাবণ। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো ভারত ফুলের বাগিচা ছিলো, এখন জঙ্গলে পরিণত
হয়েছে। জঙ্গলে জন্তু জানোয়ার, বিছে ইত্যাদি থাকে। সত্যযুগে কোনো ভয়ঙ্কর জন্তু
ইত্যাদি হয় না। শাস্ত্রে তো অনেক রকমের কথা লেখা আছে। কৃষ্ণকে সর্প দংশন করার কাহিনী
আছে। কৃষ্ণকে পরে দ্বাপরে নিয়ে গেছে। বাবা বুঝিয়েছেন ভক্তি একেবারেই আলাদা জিনিস,
জ্ঞান সাগর হলেন একমাত্র বাবা। এমন নয় যে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর হলেন জ্ঞানের সাগর।
না, পতিত-পাবন একমাত্র জ্ঞান সাগরকে ই বলা হবে। জ্ঞানের দ্বারা ই মানুষের সদগতি হয়।
সদগতির স্থান হলো দুটি - মুক্তিধাম এবং জীবনমুক্তিধাম । এখন তোমরা বাচ্চারা জানো এই
রাজধানী স্থাপন হচ্ছে, কিন্তু গুপ্ত রূপে। বাবা এসে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের
স্থাপনা করেন, তাই সব আত্মারা নিজ নিজ মনুষ্য দেহরূপী পোশাক ধারণ করে আসে। বাবার
নিজস্ব পোশাক তো নেই, তাই তাঁকে নিরাকার গড ফাদার বলা হয়। বাকি রা সবাই হলো সাকারী
অর্থাৎ দেহধারী। তাঁকে বলা হয় ইনকরপরিয়াল গড ফাদার, ইনকরপরিয়াল আত্মাদের। তোমরা
আত্মারাও সেখানে থাকো। বাবাও সেখানেই থাকেন। কিন্তু গুপ্ত রূপে। বাবা স্বয়ং এসে আদি
সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন। মূল বতনে কোনো দুঃখ নেই। বাবা বলেন একটি
কথায় তোমাদের কল্যাণ নিহিত আছে - বাবাকে স্মরণ করো, "মন্মনাভব" । শুধু বাবার সন্তান
হয়েছো, বাচ্চাদের অবিনাশী উত্তরাধিকারের জ্ঞান তো আছেই। অল্ফকে স্মরণ করলে
উত্তরাধিকার তো নিশ্চয়ই আছে - সত্যযুগী নতুন দুনিয়ার। এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ তো
অবশ্যই হবে। অমরপুরীতে যেতেই হবে। তোমরা হলে পার্বতী, অমরনাথ তোমাদের অমরকথা
শোনাচ্ছেন। কত মানুষ তীর্থে যায়, অমরনাথেও অনেকে যায়। সেখানে কিছুই নেই। সবই মিথ্যা।
এক রত্তি সত্য নেই। গায়নও আছে মিথ্যা কায়া মিথ্যা মায়া... এরও অর্থ থাকা উচিত। এখানে
শুধু মিথ্যা আছে। এই কথাটিও জ্ঞানের কথা। এমন তো নয় গ্লাসকে গ্লাস বলা মিথ্যা। যদিও
বাবার বিষয়ে যা কিছু বলে সেসব মিথ্যে বলে। সত্য বলেন কেবল মাত্র বাবা। এখন তোমরা
জানো বাবা এসে প্রকৃত সত্য-নারায়ণের কাহিনী শোনাচ্ছেন। হীরে মুক্তোও তো মিথ্যা হয়
তাইনা। আজকাল মিথ্যার প্রদর্শন অনেক। মিথ্যার জাঁক জমক এমন থাকে যে সত্যের চেয়ে ভালো।
এই মিথ্যা পাথর গুলি আগে ছিল না। পরে বিদেশ থেকে এসেছে। আসল নকল পাথর এমন মিশিয়ে
দেয় যে বোঝা মুশকিল হয়ে যায়। তারপরে এমন জিনিসও আছে যা দিয়ে পরীক্ষা করা যায়।
মুক্তোও সব নকল বেরিয়েছে কিছু বুঝতে পারবে না। বাচ্চারা এখন তোমাদের কোনো সংশয় থাকে
না। সংশয় যাদের থাকে তারা তো এখানে আসে না। প্রদর্শনীতে অনেকে আসে। বাবা বলেন এখন
বড় বড় দোকান খোলো, এই তোমাদের একমাত্র সত্যের দোকান। তোমরা প্রকৃত সত্য দোকান খোলো।
বড় বড় সন্ন্যাসীদের বড় বড় দোকান থাকে, যেখানে বড় লোকেরা যায়। তোমরাও বড় বড় সেন্টার
খোলো। ভক্তিমার্গের জিনিস হল একেবারেই আলাদা। এমন বলবেনা যে ভক্তি শুরু থেকে হয়ে
আসছে। না। জ্ঞানের দ্বারা হয় সদগতি অর্থাৎ দিন। সেখানে সম্পূর্ণ নির্বিকারী বিশ্বের
মালিক ছিলে। মানুষ এই কথা জানে না যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ বিশ্বের মালিক ছিলেন।
সূর্যবংশী ও চন্দ্রবংশী, অন্য কোনো ধর্ম থাকে না। বাচ্চারা গানও শুনেছে। তোমরা
বুঝেছো শেষে আজ সঙ্গমের সেই দিন এসেছে, যখন আমরা অসীম জগতের পিতার সঙ্গে দেখা করি।
অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ করি। সত্যযুগে তো এমন বলা হবে না
- শেষে সেই দিন এলো আজ। তারা ভাবে - অনেক আনাজ থাকবে, আরও কত কিছু হবে। তারা ভাবে
স্বর্গের স্থাপনা আমরা করছি। ভাবে স্টুডেন্টদের নতুন জেনারেশন, তারা খুব সাহায্য
করবে তাই গভর্নমেন্ট অনেক পরিশ্রম করে তাদের উপরে। তারপরে তারা-ই আবার পাথর ইত্যাদি
মারে। শোরগোল করার সময়ে স্টুডেন্ট রাই আগে থাকে। তারা খুব বুদ্ধিমান হয়। নিউ ব্লাড
বলা হয়। এখন নিউ ব্লাড হওয়ার কথা নেই। ওই হল ব্লাড কানেকশন, এখন তোমাদের হলো রূহানী
বা আত্মিক কানেকশন। এমন বলা হয় যে বাবা আমি তোমার দুই মাসের বাচ্চা । অনেক বাচ্চারা
রূহানী জন্মদিন পালন করে। ঈশ্বরীয় জন্মদিনটি পালন করা উচিত। ওই দৈহিক জন্মদিন পালন
ক্যান্সেল করে দেওয়া উচিত। আমরা ব্রাহ্মণদেরকেই খাওয়াবো। এটাই তো পালন করা উচিত
তাইনা। ওটা হলো আসুরিক জন্ম, এই হলো ঈশ্বরীয় জন্ম। রাত-দিনের তফাৎ, কিন্তু নিশ্চয়
থাকলে তবেই বুঝবে। এমন নয় যে, ঈশ্বরীয় জন্মদিন পালন করে আসুরিক জন্মে চলে গেলে।
এমনও হয়। ঈশ্বরীয় জন্ম পালন করতে করতে পালিয়েও যায় অনেকে। আজকাল তো বিবাহ বার্ষিকীও
পালন করে, বিবাহ ইত্যাদিকে শুভ কার্য ভাবে। নরকে যাওয়ার দিনটিও পালন করে। ওয়ান্ডার
! তাইনা। বাবা বসে এই সব কথা বোঝান। এখন তোমাদের তো ঈশ্বরীয় জন্মদিন ব্রাহ্মণদের
সঙ্গেই পালন করতে হবে। আমরা শিববাবার সন্তান, আমরা জন্মদিন পালন করলে শিববাবাকেই
স্মরণ করবো। যে বাচ্চারা নিশ্চয়বুদ্ধি হয় তাদের জন্মদিন পালন করা উচিত। তারা যেন
আসুরিক জন্মকে ভুলে যায়। বাবা এই পরামর্শও দেন। যদি পাকা নিশ্চয়বুদ্ধি হয় তাহলে।
আমরা তো বাবার আপন হয়েছি, দ্বিতীয় কেউ নয়, তাহলেই অন্তিম কালে যেমন মতি যেমন তেমনই
গতি হয়ে যাবে। বাবার স্মরণে থেকে দেহ ত্যাগ করলে দ্বিতীয় জন্মটিও এইরকম হবে। তা
নাহলে শেষ সময়ে যে নারীকে স্মরণ করে... এই কথাও গ্রন্থ সাহেবে লেখা আছে। এখানে যদিও
বলা হয় শেষ সময়ে যেন গঙ্গার ঘাট থাকে। এইসবই হলো ভক্তিমার্গের কথা। তোমাদেরকে বাবা
বলেন দেহ ত্যাগ হলেও স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে থাকবে। বুদ্ধিতে বাবা এবং চক্র যেন
স্মরণে থাকে। তাও যখন পুরুষার্থ করতে থাকবে তখন অন্তকালে স্মরণ থাকবে। নিজেকে আত্মা
নিশ্চয় করো এবং বাবাকে স্মরণ করো কারণ বাচ্চারা তোমাদের ফিরে যেতে হবে অশরীরী হয়ে।
এখানে পার্ট প্লে করতে করতে সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়েছো। এখন আবার সতোপ্রধান হতে
হবে। এই সময় আত্মা হলো অপবিত্র, তাহলে শরীর পবিত্র পাবে কীভাবে? বাবা অনেক
দৃষ্টান্ত দিয়ে বুঝিয়েছেন, জহুরী কিনা। খাদ গহনায় নয়, সোনায় দেওয়া হয়। ২৪ ক্যারেট
থেকে ২২ ক্যারেট করতে হলে রুপো মেশাতে হবে। এখন তো সোনাই নেই। সবার কাছ থেকে নিতে
হচ্ছে। আজকাল টাকা গুলি কিরকম তৈরি করে দেখো। কাগজও নেই। বাচ্চারা বুঝেছে যে
কল্প-কল্প এমন হয়ে এসেছে। সর্ব সময় পরীক্ষা করা হয়। লকার ইত্যাদি খোলানো হয় ।
যেমনভাবে কারো চেকিং (তালাশি) ইত্যাদি করা হয় ঠিক তেমনভাবে। গায়নও আছে - কারো ধন
সম্পদ ধুলায় চাপা থাকবে.... আগুনও লাগবে ভীষণ ভাবে। বাচ্চারা তোমরা জানো যে এই
সমস্ত কিছুই হবে, তাই তোমরা ভবিষ্যতের জন্য ব্যাগ-ব্যাগেজ প্রস্তুত করছো। আর কেউ এই
সব কথা জানে না, তোমরাই তো অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো ২১ জন্মের জন্য।
তোমাদের টাকা পয়সা দিয়েই ভারতকে স্বর্গে পরিণত করা হচ্ছে, যেখানে তোমরা গিয়ে বাস
করবে।
বাচ্চারা তোমরা
নিজেরই পুরুষার্থের দ্বারা নিজেই নিজের রাজতিলক নিয়ে থাকো। দীননাথ বাবা স্বর্গের
মালিক বানাতে এসেছেন কিন্তু সেই পদ প্রাপ্ত হবে তো নিজের পড়াশোনা দ্বারা। কৃপা বা
আশীর্বাদ দ্বারা নয়। টিচারের ধর্ম হল পড়ানো। টিচাররা গভর্নমেন্টের কাছে বেতন নেয়।
তাই নিশ্চয়ই পড়াবে। এমন বিশাল পুরস্কার প্রাপ্ত কর। পদমপতি হও। কৃষ্ণের চরণে পদ্ম
দেখানো হয়। তোমরা এখানে এসেছো ভবিষ্যতে পদ্মপতি হতে। তোমরা খুব সুখী, ধনী, অমর হও।
কালের উপরে জয় লাভ কর। এই কথাগুলি মানুষ বুঝতে পারে না। তোমাদের আয়ু পূর্ণ হয়েছে,
তোমরা অমর হয়ে যাও। তারা যদিও পাণ্ডবদের চিত্র বিশালকায় বানিয়েছে। তারা ভাবে
পাণ্ডবরা এতই লম্বা ছিল। এখন পাণ্ডব হলে তোমরা। কতখানি তফাৎ রয়েছে রাত-দিনের। মানুষ
তো বেশি লম্বা হয় না। ৬ ফুটের হয় । ভক্তিমার্গে সর্ব প্রথমে শিববাবার ভক্তি করা হয়।
তাঁকে তো বিশাল দেখানো হয় না। প্রথমে শিববাবার অব্যভিচারী ভক্তি করা হতো। তারপরে
দেবতাদের মূর্তি ইত্যাদি তৈরি হয়েছে। তাদের যদিও বিশাল চিত্র বানিয়েছে। তারপরে
পাণ্ডবদের বিশালকায় চিত্র বানিয়েছে। এইসব কিছু পুজোর জন্য বানানো হয়। লক্ষ্মীর পুজো
বারো মাসে একবার হয়। জগৎঅম্বার পুজো রোজ করা হয়। এই কথাও বাবা বুঝিয়েছেন তোমাদের
ডবল পুজো হয়। আমার তো শুধু আত্মা রূপে অর্থাৎ শিবলিঙ্গ রূপে পূজা হয়। তোমাদের
সালিগ্রাম রূপেও পুজো হয় আবার দেবতা রূপেও পূজা হয়। যখন রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা হয়
তখন অনেক শালিগ্রাম তৈরি করে, তাহলে কে বড়? তাই বাবা বাচ্চাদের নমস্কার করেন। কতখানি
উচ্চ পদ প্রাপ্ত করান।
বাবা অত্যন্ত গূহ্য
গুহ্য কথা বলে থাকেন, তাই বাচ্চাদের অনেক খুশীর অনুভব হওয়া উচিত। আমাদের ভগবান পড়ান
ভগবান-ভগবতী তৈরি করার জন্য। অনেক ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। বাবার স্মরণে থাকলে স্বপ্নেও
খুব ভালো দেখবে। সাক্ষাৎকারও হবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের ঈশ্বরীয় আত্মিক বার্থ ডে পালন করতে হবে, আত্মিক কানেকশন রাখতে হবে, ব্লাড
কানেকশন নয়। আসুরিক দৈহিক জন্মদিন পালন ক্যানসেল করতে হবে, যেন স্মরণে না আসে।
২ ) নিজের ব্যাগ
ব্যাগেজ ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করে রাখতে হবে। নিজের টাকা পয়সা ভারতকে স্বর্গে পরিণত
করার সেবায় সফল করতে হবে। নিজের পুরুষার্থের দ্বারা নিজেকে রাজতিলক দিতে হবে।
বরদান:-
স্নেহ
আর সহযোগের বিধির দ্বারা সহজযোগী ভব
বাপদাদার, বাচ্চাদের
স্নেহ খুব পছন্দের আর যারা যজ্ঞ স্নেহী আর সহযোগী হয় তারা সহজযোগী স্বতঃ হয়ে যায়।
সহযোগ-ই হল সহজযোগ। দিলওয়ালা বাবার সবথেকে প্রিয় হল বাচ্চাদের হৃদয়ের স্নেহ আর হৃদয়
থেকে সহযোগ। ছোটো হৃদয়বানরা ছোটো সওদা করেই খুশী হয়ে যায় আর বড় হৃদয়বানরা অসীমের
সওদা করে। স্নেহের ভ্যালু হয়, জিনিসের নয় এইজন্য সুদামার একমুঠো চালের গায়ন আছে ।
কেউ যদি অনেক কিছু দেয়ও কিন্তু তাতে স্নেহ না থাকলে জমা হয় না। স্নেহ দিয়ে অল্প কিছু
জমা করলেও সেটা পদমগুণ হয়ে যায়।
স্লোগান:-
সময় আর
শক্তি যাতে ব্যর্থ না যায় তার জন্য প্রথমে চিন্তা করো তারপর কর্মে প্রয়োগ করো।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
লগণের অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে যোগকে জ্বালারূপ বানাও
বাপদাদা বাচ্চাদেরকে
বিশেষ ঈশারা দিচ্ছেন - বাচ্চারা এখন তীব্র পুরুষার্থের লগণের অগ্নি স্বরূপে নিয়ে এসো,
জ্বালামুখী হও। মনের বা সম্বন্ধের যা কিছু হিসেব-নিকেশ এখনও বাকি আছে - সেগুলিকে
জ্বালাস্বরূপের স্মরণের দ্বারা ভষ্ম করো।