02.01.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার পার্ট হলো অ্যাকুউরেট, তিনি নিজের সময় অনুযায়ী আসেন, সামান্যতমও এদিক-ওদিক হতে পারে না, তাঁর আসার স্মরণে শিবরাত্রি খুব ধুমধাম করে পালন করো"

প্রশ্নঃ -
কোন্ বাচ্চাদের বিকর্ম সম্পূর্ণ রূপে বিনাশ হতে পারে না?

উত্তরঃ  
যাদের যোগ ঠিক নেই, বাবার স্মরণে থাকে না তাদের বিকর্ম বিনাশ হতে পারে না। যোগযুক্ত না হওয়ার জন্য তেমন সদ্গতি হয় না, পাপ থেকে যায় আবার পদও কম হয়ে যায়। যোগ না থাকলে নাম-রূপের ফাঁদে আটকে থাকে, তার কথাই মনে আসতে থাকে, সে দেহী-অভিমানী থাকতে পারে না।

গীতঃ-
কে এলো আজ এত সকালে...(ইহ্ কৌন আজ আয়া সবেরে-সবেরে..)

ওম্ শান্তি ।
সকাল, ক'টা বাজলে হয়? বাবা সকালে ক'টার সময় আসেন? (কেউ বলেছে ৩টের সময়, কেউ বলেছে ৪টের সময়, কেউ বলেছে সঙ্গমে, কেউ বলেছে ১২টার সময়)। বাবা অ্যাকিউরেট জিজ্ঞাসা করেন। ১২ টা কে তো তোমরা সকাল বলতে পারো না। ১২টা বেজে এক সেকেন্ড হয়েছে, এক মিনিট হলো তো এ. এম অর্থাৎ সকাল শুরু হয়েছে। এটা হলো একদম সকাল। ড্রামাতে এর পার্ট একদম আলাদা। সেকেন্ডেরও দেরী হতে পারে না, এই ড্রামা অনাদিকাল থেকেই তৈরী আছে। ১২ টা বেজে যতক্ষণ না এক সেকেন্ড হবে তো এ. এম বলবে না, এটা অসীম জগতের ব্যাপার। বাবা বলেন-আমি আসি সকাল-সকাল। বিদেশীদের এ. এম - পি.এম অ্যাকুউরেট থাকে। তাদের বুদ্ধি তাও ভালো। তারা এতো বেশী সতোপ্রধান হয় না, আর তমোপ্রধানও এতো বেশী হয় না। ভারতবাসীই ১০০ পার্সেন্ট সতোপ্রধান আবার ১০০ পার্সেন্ট তমোপ্রধান হয়। তো বাবা হলেন খুবই অ্যাকুউরেট। সকালে অর্থাৎ ১২টা বেজে এক মিনিট, সেকেন্ডের হিসাব রাখা হয় না। সেকেন্ড পাস হলে অর্থাৎ চলে গেলে বোঝাও যায় না। এখন এই কথা তোমরা বাচ্চারাই বোঝো। দুনিয়া তো একদম ঘোর অন্ধকারেই আছে। সব ভক্তরা দুঃখেই বাবাকে স্মরণ করে- পতিত পাবন এসো। কিন্তু তারা কারা? কখন আসে? এটা কিছুই জানে না। মানুষ হয়ে অ্যাকুউরেট কিছু জানে না, কারণ তারা পতিত তমোপ্রধান। কামও কতো তমোপ্রধান। এখন অসীম জগতের পিতা অর্ডিনান্স (আদেশ জারী) বের করেন - বাচ্চারা, কামজীত জগতজীত হও। এখন যদি পবিত্র না হও তো বিনাশ প্রাপ্তি হবে। তোমরা পবিত্র হলে অবিনাশী পদ প্রাপ্ত করবে। তোমরা যে রাজযোগ শিখছো। স্লোগানেও লেখা হয় "বী হোলী বী যোগী"। বাস্তবে লেখা উচিত বী রাজযোগী। যোগী হলো কমন শব্দ। ব্রহ্মর সাথে যোগ যুক্ত হয়, তারাও যোগী সাব্যস্ত হলো। বাচ্চা বাবার সাথে, স্ত্রী পুরুষের সাথে যোগ যুক্ত হয়, কিন্তু তোমাদের এটা হলো রাজযোগ। বাবা রাজযোগ শেখান, সেইজন্য রাজযোগ লেখাই সঠিক। তারা হোলি এন্ড রাজযোগী। প্রত্যেক দিনই তো কানেক্শন হতে থাকে। বাবাও বলেন আজ তোমাদের অতি রহস্যময় কথা শোনাচ্ছি। এখন শিব জয়ন্তীও আসতে চলেছে। শিব জয়ন্তী তো তোমাদের ভালো করে পালন করতে হবে। শিব জয়ন্তীতে তো খুব ভালো ভাবে সার্ভিস করতে হবে। যাদের কাছে প্রদর্শনী আছে, সকলে নিজের সেন্টারে অথবা বাড়ীতে ভালো করে শিব জয়ন্তী পালন করো আর লিখে দাও - শিববাবা গীতা জ্ঞান দাতা বাবার থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার নেওয়ার পথ এসে শেখো। যদি বাতি ইত্যাদি জ্বালাও, তাও বাড়ী-বাড়ী শিব জয়ন্তী পালন করা উচিত। তোমরা যে হলে জ্ঞান গঙ্গা। তাই প্রত্যেকের কাছে গীতা-পাঠশালা থাকা উচিত। প্রত্যেকের বাড়ীতে গীতা পাঠ করে তাই না। পুরুষের থেকেও মায়েরা ভক্তিতে বেশী রকম লিপ্ত থাকে। এরকম পরিবারও থাকে যেখানে গীতা পাঠ হয় । তাই বাড়ীতেও চিত্র রেখে দেওয়া উচিত। লিখে দাও যে এসে অসীম জগতের বাবার থেকে উত্তরাধিকার নাও। বাস্তবে এই শিব জয়ন্তীর উৎসব তোমাদের সত্যিকারের দীপাবলী। শিব বাবা যখন আসেন তখন বাড়ী-বাড়ী সব আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই উৎসবকে বাতি ইত্যাদি জ্বালিয়ে খুব বেশী করে পালন করো। তোমরা সত্যিকারের দীপাবলী পালন করো। ফাইনাল তো হবে সত্যযুগে। সেখানে প্রতিটি গৃহে আলো আর আলো থাকবে অর্থাৎ প্রত্যেক আত্মার জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত থাকে। এখানে তো অন্ধকার। আত্মারা আসুরী বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে আছে। সেখানে আত্মারা পবিত্র হওয়ার জন্য দৈবী বুদ্ধি সম্পন্ন হয়। আত্মাই পতিত আর আত্মাই পবিত্র হয়। তোমরা এখন ওয়ার্থ নট পেনী থেকে ওয়ার্থ এ পাউন্ড হচ্ছো। আত্মা পবিত্র হওয়াতে শরীরেরও পবিত্রতা প্রাপ্তি হবে। এখানে আত্মা অপবিত্র হওয়ার জন্য শরীরও আর দুনিয়াও ইম্পিওর। তোমাদের মধ্যে কি আর কেউ এই কথাকে যথার্থ ভাবে বুঝবে আর তার মধ্যে এরকম খুশী থাকবে! নম্বর অনুযায়ী তো পুরুষার্থ করতে থাকে। গ্রহের ফেরও থাকে। কখনো রাহুর দশা থাকলে আশ্চর্য ভাবে ভাগন্তী হয়ে যায় বা চলে যায়। বৃহস্পতির দশা থেকে পরিবর্তিত হয়ে ঠিক রাহুর দশা বসে যায়। কাম বিকারে গেলে রাহুর দশা বসে যায়। মল্লযুদ্ধ হয় যে। তোমরা অর্থাৎ মাতারা দেখোনি কারণ মাতারা হলো গৃহের কারিগর । এখন তোমাদের জানা আছে যে ভ্রমরকে ঘরেত্রী অর্থাৎ বাড়ী তৈরীর কারিগর বলা হয়। বাড়ী তৈরী হলো ভালো কারিগরি, সেইজন্য নাম হলো ঘরেত্রী। কতো পরিশ্রম করে। তারাও হলো সুপরিপক্ক মিস্ত্রী। দুই-তিনটি ঘর তৈরী করে। ৩-৪ টে শ্রমিক ভ্রমর নিয়ে আসে। তোমরা অর্থাৎ ব্রাহ্মণীরাও সেইরকমই। চাও তো ১-২ জনকে, চাও তো ১০-১২ জনকে, চাও তো ১০০ জনকে, চাও তো ৫০০ জনকে তৈরী করো। মন্ডপ ইত্যাদি তৈরী করো, এটাও বাড়ী তৈরীই হলো তাই না! সেখানে বসে সবাইকে ভুঁ-ভুঁ করতে থাকো। তবুও তো কেউ বুঝে শুনে কীট থেকে ব্রাহ্মণে পরিণত করে, কেউ অসম হয় অর্থাৎ এই ধর্মের নয়। এই ধর্মের যারা তাদেরই সম্পূর্ণ টাচ্ হবে। তবুও তো তোমরা যে হলে মানুষ। তোমাদের শক্তি তো ওদের থেকে ( ভ্রমরের থেকে) বেশী। তোমরা ২ হাজারের মধ্যেও ভাষণ করতে পারো। ক্রমশ ৪-৫ হাজারের সভাতেও তোমরা যাবে। ভ্রমরের সাথে তোমাদের মিল আছে। আজকাল সন্ন্যাসীরাও বাইরে বিদেশে গিয়ে বলে আমি ভারতের প্রাচীন রাজযোগ শিখিয়ে থাকি। আজকাল মাতারাও গেরুয়া কাপড় পড়ে যায়, ফরেনারদের (বিদেশীদের) ঠকিয়ে আসে। তাদের বলে ভারতের প্রাচীন রাজযোগ ভারতে গিয়ে শেখো। তোমরা কি আর এরকম বলবে যে ভারতে এসে শেখো। তোমরা তো ফরেনে গেলে সেখানেই বসে বোঝাবে, এই রাজযোগ শিখলে তবে তোমাদের জন্ম স্বর্গে হবে। এতে বস্ত্র ইত্যাদি পরিবর্তনের কোনো ব্যাপার নেই। এখানেই দেহের সব সম্বন্ধকে ভুলে নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। বাবা হলেন একমাত্র লিবারেটর গাইড, সকলকে দুঃখের থেকে লিবারেট করেন। এখন তোমাদের সতোপ্রধান হতে হবে। তোমরা প্রথমে ছিলে গোল্ডেন এজে(স্বর্ণ যুগে), এখন আছো আয়রণ এজে। সমস্ত ওয়ার্ল্ড, সমস্ত ধর্মের লোকেরা আছে আয়রণ এজে (লৌহ যুগে)। যে কোনো ধর্মের কাউকে পেলে তাকে বলতে হবে যে, বাবা বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে, তারপর আমি সাথে নিয়ে যাবো। ব্যস্, এতোটুকুই বলো, বেশী না। এটা তো খুবই সহজ। তোমাদের শাস্ত্রেও আছে বাড়ী-বাড়ী সংবাদ পৌঁছানোর। কেউ একজন বাদ গেলে সে দোষারোপ করবে যে আমাকে কেউ বলেনি। বাবা এসেছেন বলে তো সব জায়গায় ঢ্যাঁড়া পেটানো উচিত। একদিন সবাই জানতে পারবে যে বাবা এসেছেন শান্তিধাম-সুখধামের উত্তরাধিকার প্রদান করতে। বরাবর যখন ডিটিজম্ (পবিত্রতা) ছিলো তো আর কোনো ধর্ম ছিলো না। সকলেই শান্তিধামে ছিলো। এরকম সব ভাবনা হওয়া উচিত, শ্লোগান তৈরী করা উচিত। বাবা বলেন দেহ সহ সব সম্বন্ধকে ত্যাগ করো। নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে অর্থাৎ এই বাবাকে স্মরণ করলে পবিত্র হয়ে যাবে। আত্মারা এখন হলো অপবিত্র। এখন সবাইকে পবিত্র করে বাবা গাইড হয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। সবাই যে যার সেক্শানে ফিরে যাবে। আবার ডিটি ধর্মের যারা, নম্বর অনুযায়ী আসবে। কতো সহজ। এটা তো বুদ্ধিতে ধারণ হওয়া উচিত। যে সার্ভিস করে সে গোপন থাকতে পারে না। ডিস্ -সার্ভিস যারা করে তারাও গোপন থাকতে পারে না। সার্ভিসের যোগ্য যারা তাদের তো ডাকা হয়। যারা কিছুই জ্ঞান শোনাতে পারে না, তাদের কি আর ডাকবে! তারা তো আরোই নাম, বদনাম করে দেবে। বলবে- বি.কে এরকম হয় কি? সম্পূর্ণ রেসপন্সও করে না। তো নাম বদনাম হলো যে না! শিববাবার নাম বদনাম করার যারা, তারা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। যেমন এখানেও কেউ তো হলো ক্রোড় পতি, লক্ষ কোটি পতিও আছে, কেউ তো দেখো ক্ষুধার্ত হয়ে মরে থাকছে। এরকম বেগার্স এসেও প্রিন্স হবে। এখন তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারাই জানো, সেই কৃষ্ণ, যে স্বর্গের প্রিন্স ছিলো সে আবার বেগর হবে, আবার বেগর থেকে প্রিন্স হবে। ইনি বেগর ছিলেন যে না, কিছুটা উপার্জন করেছিলেন- সেটাও তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের জন্য। না হলে তোমাদের সামলানো হতো কীভাবে? এই সব কথা কি আর শাস্ত্রে আছে! শিববাবা এসেই বলে দেন। প্রথম থেকেই ইনি (ব্রহ্মা বাবা) গ্রামের ছেলে ছিলেন। নাম কোনো শ্রীকৃষ্ণ ছিলো না। এটা আত্মার ব্যাপার, সেইজন্য মানুষ বিভ্রান্ত। তাই বাবা বুঝিয়েছেন শিব জয়ন্তীতে প্রত্যেকটি বাড়ীতে-বাড়ীতে চিত্র দ্বারা সেবা করো। লিখে দাও যে অসীম জগতের পিতার থেকে ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের বাদশাহী কীভাবে সেকেন্ডে প্রাপ্ত হয়, সেইজন্য এসে বুঝে যাও। দীপাবলীতে মানুষ যেমন অনেক দোকান খুলে বসে, তোমাদেরও আবার অবিনাশী জ্ঞান-রত্নের দোকান খুলে বসতে হবে। তোমাদের কতো ভালো সুসজ্জিত দোকান হবে। মানুষ দীপাবলীতে করে, তোমরা আবার শিব-জয়ন্তীতে করো। যে শিববাবা সকলের দীপ প্রজ্জ্বলন করেন, তোমাদের বিশ্বের মালিক করে তোলেন। তারা তো লক্ষ্মীর থেকে বিনাশী ধন চাইতে থাকে, আর এখানে জগত অম্বার থেকে তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়। এই রহস্য বাবা বোঝান। বাবা কি আর কোনো শাস্ত্র তুলে ধরেন! বাবা যে বলেন তিনি নলেজফুল। হ্যাঁ, এটা জানা আছে অমুক বাচ্চারা খুব ভালো সার্ভিস করে, সেইজন্য মনে পড়ে। তাছাড়া এমন নয় যে বসে একেক জনের ভিতরে কি আছে তা জানবেন। হ্যাঁ, কোনো সময় জেনে ফেলি- এ হলো পতিত, সন্দিগ্ধ হয়ে পড়ি। তার চেহারা দেখেই অনুভব হয়, তখন বাবাও উপর থেকে বার্তা পাঠান তাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য। এটাও ড্রামাতে স্থির হয়ে আছে। যা কারোর-কারোর জন্য বলেন, এছাড়া এমন নয় যে সকলের জন্য বলবেন। এরকম তো অনেকেই আছে মুখ কালো করে। যে করবে সে নিজেরই লোকসান করবে। সত্যি বলার জন্য কিছু সুবিধা হয়, না বলার জন্য আরোই লোকসান করবে। বোঝা উচিত বাবা আমাদের সুন্দর(কালি বিহীন) করতে এসেছেন আর আমরা আবার মুখ কালো করে নিই! এটা হলোই কাঁটার দুনিয়া। হিউম্যান কাঁটা। সত্যযুগে বলা হয় গার্ডেন অফ আল্লাহ্ আর এটা হলো ফরেস্ট, সেইজন্য বাবা বলেন যখন-যখন ধর্মের গ্লানি হয়, তখন আমি আসি। ফাস্ট নম্বর শ্রীকৃষ্ণ দেখো আবার ৮৪ জন্মের পরে কিরকম হয়ে যায়। এখন সব হলো তমোপ্রধান। নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে থাকে। এই সব ড্রামাতে আছে। স্বর্গে আবার সব কিছু থাকবে না। পয়েন্টস তো প্রচুর পরিমাণ আছে, নোট করা উচিত। যেরকম ব্যারিস্টাররাও পয়েন্টসের বুক রাখে যে না! ডাক্তাররা বই রাখে, সেটা থেকে দেখে ওষুধ দেয়। তাই বাচ্চাদের কতো ভালো ভাবে পড়া উচিত, সার্ভিস করা উচিত। বাবা নাম্বার ওয়ান মন্ত্র দিয়েছেন মন্মনাভব। বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো তো স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে। শিব জয়ন্তী পালন করা হয়। কিন্তু শিববাবা কি করেছেন? অবশ্যই স্বর্গের উত্তরাধিকার দিয়েছেন। তার ৫ হাজার বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। স্বর্গ থেকে নরক, নরক থেকে স্বর্গ হবে। বাবা বোঝান- বাচ্চারা, যোগ যুক্ত হও, তাহলে প্রত্যেকটা কথা তোমাদের বোধগম্য হবে। কিন্তু যোগ ঠিক নেই, বাবাকে স্মরণে থাকে না, তবে কিছুই বোধগম্য হবে না। বিকর্মও বিনাশ হতে পারবে না। যোগ যুক্ত না হওয়াতে সেরকম সদ্গতিও হয় না, পাপ থেকে যায়। আবার পদও কম হয়ে যায়। অনেকে আছে, কিছুই যোগ নেই, নাম-রূপে আটকে থাকে, তারই স্মরণ আসতে থাকে তো বিকর্ম কীভাবে বিনাশ হবে? বাবা বলেন দেহী-অভিমানী হও। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) শিব জয়ন্তীতে অবিনাশী জ্ঞান- রত্নের দোকান খুলে সেবা করতে হবে। ঘরে ঘরে জ্ঞান প্রদীপ্ত করে সকলকে বাবার পরিচয় দিতে হবে।

২ ) সত্য বাবার সাথে সত্য ভাবে থাকতে হবে, কোনো বিকর্ম করে গোপন করা যাবে না। এমন যোগ যুক্ত হতে হবে যে, কোনো পাপ যেন থেকে না যায়। কারো নাম-রূপের ফাঁদে আটকে পড়বে না ।

বরদান:-
আমিত্ব ভাবকে সমাপ্তকারী ব্রহ্মা বাবার সমান শ্রেষ্ঠ ত্যাগী ভব

সম্বন্ধের ত্যাগ, বৈভবের ত্যাগ কোনও বড় কথা নয়, কিন্তু প্রত্যেক কাজে, সংকল্পেও অন্যদেরকে এগিয়ে দেওয়ার ভাবনা রাখা অর্থাৎ আমিত্বভাবকে সমাপ্ত করে দেওয়া, ‘প্রথমে আপনি করুন...’ এটা হলো শ্রেষ্ঠ ত্যাগ। একেই বলা হয় আমিত্ব ভাবকে সমাপ্ত করা। যেরকম ব্রহ্মা বাবা সর্বদা বাচ্চাদেরকে সামনে রেখেছেন। “আমি সামনে থাকবো” এতেও সদা ত্যাগী ছিলেন, এই ত্যাগের কারনে সবথেকে আগে অর্থাৎ নম্বর ওয়ানে যাওয়ার ফল প্রাপ্ত হয়েছে। তাই ফলো ফাদার করো।

স্লোগান:-
তৎক্ষণাৎ কারো ভুল বের করা - এটাও হলো দুঃখ দেওয়া।

নিজের শক্তিশালী মন্সা দ্বারা সাকাশ দেওয়ার সেবা করো -

যেরকম উঁচু টাওয়ার থেকে সকাশ দেয়, লাইট মাইট ছড়িয়ে দেয়, সেইরকম তোমরা বাচ্চারাও নিজের উঁচু স্থিতি অথবা উঁচু স্থান থেকে বসে ন্যূনতম ৪ ঘন্টা বিশ্বকে লাইট মাইট দাও। যেরকম সূর্য বিশ্বে তার প্রকাশ তখন ছড়িয়ে দেয়, যখন সে উঁচুতে থাকে, তো সাকার সৃষ্টিকে সকাশ দেওয়ার জন্য উঁচু স্থানের নিবাসী হও।