02-02-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 31-12-2003 মধুবন


“এই বছরে নিমিত্ত আর নির্মান (নিরহংকারী) হয়ে জমার খাতা বাড়াও এবং অখন্ড মহাদানী হও”


আজ, অনেক ভুজধারী বাপদাদা চতুর্দিকে নিজের ভুজসমূহ দেখছেন। কিছু ভুজ সাকারে সমুখে রয়েছে আর কিছু ভুজ সূক্ষ্ম রূপে দৃশ্যমান। বাপদাদা নিজের অনেক ভুজ দেখে আনন্দিত হচ্ছেন। ভুজসকল অনেকে নম্বর ক্রমে অলরাউন্ডার, এভাররেডি, আজ্ঞাকারী ভুজ, বাপদাদা শুধু ইশারা করার সাথে সাথেই রাইট হ্যান্ডস বলে হ্যাঁ বাবা, হাজির বাবা, এখন বাবা এমন মুরুব্বি বাচ্চাদের দেখে কত খুশি হন। বাপদাদার এটা আধ্যাত্মিক গৌরব যে বাপদাদা ব্যতীত অন্য কোনও ধর্ম আত্মা, মহান আত্মার এরকম এবং এত সহযোগী ভুজ মেলে না। দেখ সারা কল্পে চক্কর লাগিয়ে এমন ভূজসমূহ কেউ পেয়েছে! তো বাপদাদা ভুজসকলের বিশেষত্ব দেখছেন। সমগ্র বিশ্ব থেকে বাছাই করা বিশেষ ভুজ তোমরা, পরমাত্ম সহযোগী ভুজসকল তোমরা। দেখ, আজ এই হল-এও (hall) কত সংখ্যক পৌঁছে গেছে! (আজ হলে ১৮ হাজারের থেকেও বেশি ভাইবোন বসে আছে) সবাই নিজেদেরকে পরমাত্ম-ভুজ অনুভব করো তোমরা? নেশা আছে তো না!

বাপদাদার খুশি হয় যে চতুর্দিক থেকে নববর্ষ উদযাপন করতে সবাই পৌঁছে গেছে। কিন্তু নতুন বছর কী স্মরণ করিয়ে দেয়? নব যুগ, নব জন্ম। লাস্ট জন্ম যতই অতি পুরানো, প্রথম জন্ম ততই নতুন, কত সুন্দর! এটা কালো আর ওটা সুন্দর। এত স্পষ্ট যেরকম আজকের দিন স্পষ্ট আর সামনে নতুন বর্ষও স্পষ্ট। এভাবে নিজের নব যুগ, নব জন্ম স্পষ্ট ভাবে সামনে আসে? আজ তোমরা লাস্ট জন্মে কাল ফার্স্ট জন্মে হবে। ক্লিয়ার? সামনে আসে? যে আদি বাচ্চারা আছে তারা ব্রহ্মা বাবাকে অনুভব করেছে। ব্রহ্মা বাবার যেমন নিজের নব জন্ম, নবজন্মের শরীর রূপী রাজকীয় বস্ত্র সদা সামনে খুঁটিতে ঝোলানো অবস্থায় দেখা দিত। বাচ্চারা যারাই দেখা-সাক্ষাৎ করতে যেতো তারা অনুভব করতো ব্রহ্মা বাবা যা অনুভব করতেন - "আজ আমি বুড়ো হয়েছি, কাল ছোট বাচ্চা হয়ে যাবো"। মনে আছে তো না! যারা পুরানো তাদের মনে আছে? এ' খেলা আজ এর এবং আগামীকালের। ভবিষ্যৎ এতটা স্পষ্ট অনুভব হওয়া উচিত। আজ স্বরাজ্য অধিকারী কাল বিশ্ব রাজ্য অধিকারী। আছে নেশা? দেখো, আজ বাচ্চারা মুকুট পরে বসে আছে। (রিট্রিটে আসা ডবল বিদেশি ছোট বাচ্চারা মুকুট পরে বসে আছে) তোমাদের নেশা আছে কী? মুকুট পরলে তোমাদের কী নেশা হয়? এরা ফরিস্তার নেশায় আছে। হাত নাড়াচ্ছে, আমরা নেশায় আছি।

তো এই বছরে কী করবে? নতুন বছরে কী নবীনত্ব করবে? কোনো প্ল্যান বানিয়েছ? কী নবীনত্ব করবে? প্রোগ্রাম তো তোমরা করতেই থাকো, লাখেরও করেছ, দু' লাখেরও করেছো, নবীনত্ব কী করবে? আজকালকার লোকে একদিকে স্ব প্রাপ্তির জন্যও ইচ্ছুক, কিন্তু সাহসহীন। সাহস নেই। শুনতে চায়, কিন্তু সেইরূপ হওয়ার সাহস নেই। এমন আত্মাদের পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে তো আত্মাদের সাহসের পাখা লাগাও। সাহসের পাখার আধার হলো অনুভব। অনুভব করাও। অনুভব এমন জিনিস, সামান্য এক আঁজলা পাওয়ার পর যদি অনুভব করে তো অনুভবের ডানা বলো, কিংবা অনুভবের পা বলো, তার দ্বারা সাহসের সাথে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। এর জন্য এই বছরে বিশেষভাবে নিরন্তর অখন্ড মহাদানী হতে হবে, অখন্ড। মন্সা দ্বারা শক্তি স্বরূপ বানাও। মহাদানী হয়ে মন্সা দ্বারা, ভাইব্রেশন দ্বারা শক্তির নিরন্তর অনুভব করাও। বাচা দ্বারা জ্ঞান দাও, কর্ম দ্বারা গুণের দান দাও। সারা দিন হয় মন্সা, নয়তো বাচা অথবা কর্ম তিনের দ্বারা অখন্ড মহাদানী হও। সময় অনুযায়ী এখন দানী নয়, কখনো কখনো দান করেছ, এটা নয়, অখন্ড দানী কেননা আত্মাদের আবশ্যকতা আছে। সুতরাং মহাদানী হওয়ার জন্য প্রথমে নিজের জমার খাতা চেক করো। চার সাবজেক্টে জমার খাতা কত পার্সেন্টে আছে! যদি নিজের মধ্যে জমার খাতা না থাকে তাহলে মহাদানী কীভাবে হবে! আর জমার খাতা চেক করার লক্ষণ কী? মন্সা, বাচা, কর্ম দ্বারা সেবা তো করেছ, কিন্তু জমা হওয়ার লক্ষণ হলো - সেবা করার সময় প্রথমে নিজের সন্তুষ্টি। সেইসঙ্গে যাদের সেবা করছ সেই আত্মাদের মধ্যে খুশির সন্তুষ্টতা এসেছে? যদি উভয় তরফেই সন্তুষ্টতা না থাকে তবে বুঝবে সেবার খাতায় তোমার সেবার ফল জমা হয়নি।

বাপদাদা কখনো কখনো বাচ্চাদের জমার খাতা দেখেন। তো কোথাও কোথাও পরিশ্রম বেশি, কিন্তু

জমার ফল কম। কারণ কী? উভয় তরফের সন্তুষ্টতার ঘাটতি। যদি সন্তুষ্টতার অনুভব না থাকে, তবে হয় নিজের অথবা অন্যের জমার খাতা কম হয়। বাপদাদা জমার খাতা খুব সহজভাবে বাড়ানোর গোল্ডেন চাবি দিয়েছেন বাচ্চাদের। জানো তোমরা সেই চাবি কী? পেয়েছো তো না! সহজে জমা করার খাতা পরিপূর্ণ করার গোল্ডেন চাবি হলো - মন্সা, বাচা, কর্ম যে কোনও সেবা করার সময় নিজের ভিতর নিমিত্ত ভাবের স্মৃতি। নিমিত্ত ভাব, নির্মান ভাব, শুভ ভাব, আত্মিক স্নেহের ভাব, যদি এই ভাবের স্থিতিতে স্থিত হয়ে সেবা করো তবে তোমার ভাব দ্বারা সহজে আত্মাদের ভাবনা পূর্ণ হয়ে যায়। আজকালকার লোকে প্রত্যেকের ভাব কী সেটা নোট করে। নিমিত্ত ভাব থেকে করছে, নাকি অভিমান ভাব থেকে! যেখানে নিমিত্ত ভাব থাকে সেখানে নির্মান ভাব অটোমেটিক্যালি এসে যায়। তো চেক করো - কী জমা হয়েছে! কতটা জমা হয়েছে! কারণ এই সময় সঙ্গম যুগই জমা করার যুগ। তারপরে তো সারা কল্প জমার প্রালব্ধ থাকে।

তো এই বছরে বিশেষ কী অ্যাটেনশন দিতে হবে? নিজের নিজের জমার খাতা চেক করো। চেকারও হও, মেকারও হও কেননা, সময় নিকট হওয়ার দৃশ্য দেখতে পাচ্ছ। তাছাড়া, তোমরা সবাই বাপদাদার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছ যে আমরা সমান হবো। প্রতিজ্ঞা করেছ তো না? যারা প্রতিজ্ঞা করেছ তারা হাত উঠাও। করেছ? পাক্কা? কত পার্সেন্টেজে? পাক্কা করেছো তো না? তো ব্রহ্মা বাবা সমান খাতা জমা হওয়া উচিত, তাই তো না! ব্রহ্মা বাবার সমান যদি হতে চাও তো ব্রহ্মা বাবার চরিত্রে বিশেষ কী দেখেছ? আদি থেকে শুরু করে অন্ত পর্যন্ত সব বিষয়ে, আমি বলেছি নাকি বাবা বলেছেন? আমি করেছি, না, বাবা করাচ্ছেন। কা'র সাথে মিলনের জন্য এসেছ? বাবার সাথে মিলিত হতে এসেছ। আমিত্ব বোধের অভাব, অবিদ্যা, এটা দেখেছো না! দেখেছ? সব মুরলীতে তিনি "বাবা বাবা" কতবার স্মরণ করিয়ে দেন? তো সমান হওয়ার অর্থই হলো প্রথমে আমিত্ব বোধের অভাব থাকা। তোমাদের আগে বলা হয়েছিল যে ব্রাহ্মণদের আমিত্ব বোধও খুব রয়্যাল। মনে আছে তো না? তোমাদের বলা হয়েছিল না! সবাই চায় যে বাপদাদার প্রত্যক্ষতা হোক। বাপদাদার প্রত্যক্ষতা করি! তোমরা অনেক প্ল্যান বানাও। প্ল্যান ভালোই বানাও, বাপদাদা খুশি। কিন্তু তোমাদের প্ল্যানে এই রয়্যাল রূপের আমিত্ব বোধ কিছু পার্সেন্টেজে সফলতা কম করে দেয়। তোমাদের সব সংকল্পে, বোলে, কর্মে বাবা, বাবা ন্যাচারাল স্মৃতি থাকা উচিত। আমিত্ব বোধ নয়। বাপদাদা, করাবনহার করাচ্ছেন। জগদম্বার এই বিশেষ ধারণাই ছিল। জগত অম্বার স্লোগান স্মরণে আছে তোমাদের? পুরানো যারা তাদের মনে থাকবে। আছে মনে? বলো, (হুকুমই হুকুম চালাচ্ছেন) এটাই ছিল জগত অম্বার বিশেষ ধারণা। সুতরাং নম্বর নিতে হবে, সমান হতে হবে, তখনই আমিত্ব বোধ শেষ হয়ে যাবে। মুখ থেকে অটোমেটিক্যালি যেন বাবা বাবা শব্দ বের হয়। কর্মে, তোমাদের চেহারায় যেন বাবার মূর্তরূপ প্রতীয়মান হয় তবে প্রত্যক্ষতা হবে।

বাপদাদা এই রয়্যাল রূপের 'আমি আমি'র অনেক গীত শোনেন। আমি যা করেছি সেটাই ঠিক, আমি যা ভেবেছি সেটা ঠিক, সেটাই হওয়া উচিত, এই আমিত্ব বোধ প্রতারণা করে। যদি বা ভাবো, বলো কিন্তু সেটা করো নিমিত্ত আর অহংকারশূন্য ভাব থেকে। বাপদাদা আগেও একটা অধ্যাত্ম ড্রিল শিখিয়েছিলেন, কোন ড্রিল? এই মুহূর্তে মালিক, পর মুহূর্তে বালক। মতামত দিতে মালিক ভাব, যখন সেটা মেজরিটি দ্বারা ফাইনাল হয়ে যাবে তখন বালক ভাব। মালিক এবং বালক হওয়ার এই অধ্যাত্ম ড্রিল খুব খুব আবশ্যক। শুধু বাপদাদার দেওয়া শিক্ষার তিন শব্দ স্মরণে রাখো - সবার মনে আছে! মন্সাতে নিরাকারী, বাচাতে নিরহংকারী, কর্মে নির্বিকারী। যখনই সংকল্প করো তখন নিরাকারী স্থিতিতে স্থিত হয়ে সংকল্প করো, আর সব ভুলে যাও কিন্তু এই তিন শব্দ ভুলে যেও না। সাকার রূপের তিন শব্দের এই শিক্ষা তোমাদের জন্য উপহার। তো সাকার রূপেও ব্রহ্মা বাবার প্রতি ভালবাসা ছিল। এখনও ডবল ফরেনার্স অনেক অনুভব শুনিয়ে থাকে যে ব্রহ্মা বাবার প্রতি অনেক ভালোবাসা রয়েছে। দেখেনি, তবুও ভালবাসা আছে। আছে? হ্যাঁ, ডবল ফরেনার্স! ব্রহ্মা বাবার প্রতি বেশি ভালবাসা আছে, আছে না? তো যার প্রতি তোমার ভালোবাসা থাকে, তাঁর উপহার তুমি খুব সামলে রাখবে, তাই না। এমনকি, যদি ছোট উপহারও হয় তবে কারও প্রতি অতি ভালবাসা থাকলে তাঁর থেকে পাওয়া সেই উপহার সযত্নে আগলে রাখো। সুতরাং ব্রহ্মা বাবার প্রতি ভালবাসা থাকা মানে তাঁর দেওয়া শিক্ষার এই তিন শব্দের প্রতি ভালবাসা থাকা। এর দ্বারা সম্পন্ন হওয়া কিংবা সমান হওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। স্মরণ করো ব্রহ্মা বাবা কী বলেছেন!

তো নতুন বছরে বাচা সেবা যদি বা করো, ধুমধামের সাথে করো কিন্তু অনুভব করানোর সেবা সদা অ্যাটেনশনে রাখো। সবাই যেন অনুভব করে যে এই বোনের দ্বারা কিংবা ভাইয়ের দ্বারা আমাদের শক্তির অনুভব হয়েছে, শান্তির অনুভব হয়েছে, কেননা অনুভব কখনো ভোলা যায় না। শুনলে ভুলে যায়। ভালো লাগে কিন্তু ভুলে যায়। অনুভব এমন জিনিস যা তাদেরকে টেনে তোমার কাছে নিয়ে আসবে। যারা তোমার সম্পর্কে আছে তারা সম্বন্ধে আসতে থাকবে, কারণ, বিনা সম্বন্ধে অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী হতে পারবে না। সুতরাং অনুভব তাদের সম্বন্ধে নিয়ে আসে। আচ্ছা।

বুঝেছো, তোমরা এখন কী করবে? চেক করো, চেকারও হও, মেকারও হও, জমার খাতা চেক করার চেকার হও। আচ্ছা।

তো এই মুহূর্তে কী করবে? বাপদাদাকে নতুন বছরের কোনো গিফ্ট দেবে নাকি না? নতুন বছরে কী করো? এক অপরকে গিফ্ট দাও তো না! কেউ কার্ড দেয়, কেউ গিফ্ট দেয়। তো বাপদাদার কার্ড চাই না, রেকর্ড চাই। সব বাচ্চার রেকর্ড নম্বর ওয়ান হবে, এই রেকর্ড চাই। নির্বিঘ্ন হবে। এখন কিছু কিছু বিঘ্নের বিষয় তিনি শোনেন তো না, তো বাপদাদার হাসির একটা খেলা স্মরণে আসে। জানো তোমরা কোন হাসির খেলা? সেই খেলা হলো - বৃদ্ধ-বৃদ্ধরা পুতুল খেলা খেলছে। তারা বৃদ্ধ কিন্তু খেলা করছে পুতুলের, তো হাসির খেলা হলো তো না! তো এখন তুচ্ছ যে বিষয়গুলো শোনো, দেখ তো সেরকমই লাগে, বানপ্রস্থ অবস্থা, আর ব্যাপার স্যাপার কত তুচ্ছ! তো এই রেকর্ড বাবার ভালো লাগে না। এর পরিবর্তে, কার্ডের পরিবর্তে রেকর্ড দাও - নির্বিঘ্ন হওয়ার, তুচ্ছ বিষয় সমাপ্ত করার। বড়কে ছোট বানাতে শেখো আর ছোটকে শেষ করতে শেখো। বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চার মুখকে বাপদাদার সুন্দর মুখ দেখার দর্পণ বানাতে চান।তোমাদের দর্পণে যেন বাপদাদা প্রতীয়মান হন। তো এমন বিচিত্র দর্পণ বাপদাদাকে গিফ্ট রূপে দিয়ে দাও। দুনিয়ায় এমন কোনো দর্পণ তো নেইই যার মধ্যে পরমাত্মা দৃশ্যমান হন। তো তোমরা এই নতুন বছরের জন্য এমন গিফ্ট দাও যাতে তোমরা বিশেষ দর্পণ হতে পারো। যে তোমাদের দেখবে, যে তোমাদের থেকে শুনবে সে যেন বাপদাদাকেই দেখে, তাঁকেই শুনতে পায়। বাবার আওয়াজ শুনতে দাও। তো তোমরা উপহার দেবে? দেবে তোমরা? যারা দেওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প করো তারা হাত উঠাও। দৃঢ় সংকল্পের হাত উঠাও। ডবল ফরেনার্সও উঠাচ্ছে। সিন্ধি গ্রুপও উঠাচ্ছে। ভেবেচিন্তে উঠাচ্ছে। সিন্ধি গ্রুপ ভাবনা চিন্তা করে উঠাচ্ছ?

এটা ভালো। বাপদাদার সিন্ধি গ্রুপের কাছে আশা আছে, বাবা বলবেন তোমাদের কোন আশা তিনি রাখেন? এই আশা রাখেন যে সিন্ধি গ্রুপ থেকে এমন এক মাইক যেন বের হয় যে চ্যালেঞ্জ করবে যে সে কী ছিল আর এখন কী হয়েছে! যে সিন্ধিদের জাগাবে। অসহায়, অসহায় হয়েই আছে। তারা চিনতেই পারে না, দেশের অবতারকেই তারা জানে না। তো সিন্ধি গ্রুপ থেকে এমন মাইক যেন বের হয় যে চ্যালেঞ্জের সাথে বলে যথার্থ কী তা' আমরা বলি। ঠিক আছে? আশা পূরণ করবে? আচ্ছা।

চতুর্দিকের সদা অখন্ড মহাদানী বাচ্চাদের, চতুর্দিকের বাবার রাইট হ্যান্ড, আজ্ঞাকারী ভুজসকলকে, চতুর্দিকের সর্ব আত্মাকে, সদা সাহসের পাখা লাগানো সাহসী আত্মাদের, চতুর্দিকের বাবা সমান সব কর্মে ফলো ক'রে ব্রহ্মা বাবা এবং জগত অম্বার শিক্ষাকে সদা প্র্যাকটিক্যাল জীবনে নিয়ে আসে এমন সকল বাচ্চাকে অনেক অনেক স্মরণের স্নেহ-সুমন, শুভাশিস আর নমস্কার।

ডবল বিদেশিদের প্রতি এবং ভারতের বাচ্চাদের প্রতি গুড নাইট আর গুড মর্নিং দুইই দিচ্ছেন। যেমন এখন তোমরা খুশি হচ্ছ, তাই তো না! তো যখন এমন কোনো পরিস্থিতি যদি আসে তবে আজকের দিনকে স্মরণ করে খুশিতে দুলতে থেকো। খুশির দোলায় সদা দুলতে থেকো। কখনো দুঃখের তরঙ্গ যেন না আসে। দুঃখ দেখার জন্য তো দুনিয়াতে অনেক আত্মা আছে, তোমরা সুখ দেখবে, সুখ দেবে, সুখদাতার বাচ্চা তোমরা সুখ স্বরূপ। কখনো সুখের দোলায় দোলো, কখনো ভালবাসার দোলায় দোলো, কখনো শান্তির দোলায় দোলো। দোলায় দুলতেই থাকো। নিচে মাটিতে পা রেখো না। দুলতেই থেকো। খুশি থাকো আর সবাইকে খুশিতে রেখো এবং লোককে খুশি বিলিয়ে দাও। আচ্ছা। ওম্ শান্তি।

বরদান:-
ফরিস্তা ভাবের স্থিতির দ্বারা বাবার স্নেহের রিটার্ন দিয়ে সমাধান স্বরূপ ভব

ফরিস্তা ভাবের স্থিতিতে স্থিত থাকা - এটাই বাবার স্নেহের রিটার্ন। এভাবে যারা স্নেহের রিটার্ন দেয় তারা সমাধান স্বরূপ হয়ে যায়। সমাধান স্বরূপ হওয়ায় নিজের এবং অন্য আত্মাদের সমস্যা আপনা থেকেই সমাপ্ত হয়ে যায়। তো এখন এভাবে সেবা করার সময়, নেওয়ার সাথে দেওয়ার সময়। সেইজন্য এখন বাবা সমান উপকারী হয়ে, আর্ত চিৎকার শুনে নিজের ফরিস্তা স্বরূপ দ্বারা সেই আত্মাদের কাছে পৌঁছে যাও, আর সমস্যায় ক্লান্ত আত্মাদের ক্লান্তি সরিয়ে দাও।

স্লোগান:-
ব্যর্থ থেকে বেপরোয়া হও, মর্যাদায় নয়।

অব্যক্ত ইশারা - "একান্তপ্রিয় হও, একতা এবং একাগ্রতাকে গ্রহণ করো" নিজেদের মধ্যে সংস্কারের যে বিভিন্নতা রয়েছে তাকে একতায় আনতে হবে। একতার জন্য বর্তমানের বিভিন্নতা মিটিয়ে দুইয়ের মধ্যে আনতে হবে - এক - একনামী হয়ে সদাসর্বদা সব বিষয়ে একেরই নাম নাও, সেইসাথে সংকল্পের, সময় আর জ্ঞান ভান্ডারের ইকনমি করো। তারপর 'আমি' সমাহিত হয়ে এক বাবাতে সব ভিন্নতা সমাহিত হয়ে যাবে।