02.08.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের নিজস্ব সংস্কার হলো পবিত্রতার, তোমরা রাবণের সঙ্গে থেকে পতিত হয়েছো, এখন আবার পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে হবে"

প্রশ্নঃ -
অশান্তির কারণ ও নিবারণ কি?

উত্তরঃ  
অশান্তির কারণ হলো অপবিত্রতা। এখন ভগবান বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করো যে আমরা পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়া নির্মাণ করবো, নিজের দৃষ্টি সিভিল রাখবো, ক্রিমিনাল হবো না। তাহলেই অশান্তি দূর হতে পারে। তোমরা বাচ্চারা হলে শান্তি স্থাপন করার উদ্দেশ্যে নিমিত্ত । তোমরা কখনও অশান্তি সৃষ্টি করতে পারো না। তোমাদের শান্ত থাকতে হবে, মায়ার দাস (গোলাম) হবে না ।

ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন যে, গীতার ভগবান গীতা শুনিয়ে ছিলেন। একবার শুনিয়ে তারপরে তো চলে যাবেন। এখন তোমরা বাচ্চারা গীতার ভগবানের কাছে সেই গীতা জ্ঞান শুনছো এবং রাজযোগও শিখছো। তারা তো লিখিত গীতা পড়ে মুখস্থ করে নেয় তারপরে মানুষদের শোনায়। তারা শরীর ত্যাগ করে পরের জন্মে শিশু রূপে জন্ম নিয়ে তো আর শোনাতে পারে না। এখন বাবা তোমাদের গীতা শোনাতে থাকেন, যতক্ষণ না তোমরা রাজত্ব প্রাপ্ত করছো। লৌকিক টিচাররাও পাঠ পড়াতেই থাকে। যতক্ষণ না পাঠ সম্পূর্ণ হয়, ততক্ষণ শেখাতে থাকে। পড়াশোনা সম্পূর্ণ হলে জীবিকা উপার্জনের কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। টিচারের কাছে পড়ে, উপার্জন করে, বৃদ্ধ হলে শরীর ত্যাগ করে, আবার নতুন শরীরে প্রবেশ করে। তারা গীতা শোনায়, তাতে কি প্রাপ্তি হয়? এই কথা তো কেউ জানে না। গীতা শুনিয়ে পর জন্মে আবার শিশু রূপে জন্ম নিলে কিছুই শোনাতে পারে না। যখন বড় হয়, বয়স বাড়ে, গীতা পাঠী হয় তাহলে আবার শোনাবে। এখানে বাবা তো একবার শান্তিধাম থেকে এসে পড়ান তারপরে ফিরে চলে যান। বাবা বলেন তোমাদের রাজযোগ শিখিয়ে আমি নিজের ঘরে পরমধাম ফিরে যাই। যাদের পড়াই তারা আবার এসে নিজের প্রালব্ধ ভোগ করে। নিজের ধন উপার্জন করে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে ধারণ করে চলে যায়। কোথায়? নতুন দুনিয়ায়। এই পড়াশোনা হল নতুন দুনিয়ার জন্য। মানুষ তো এই কথা জানে না, পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে আবার নতুন দুনিয়া স্থাপন হবে। তোমরা জানো, আমরা রাজযোগ শিখছি নতুন দুনিয়ার জন্য। তখন এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীর থাকবে না। আত্মা তো হল অবিনাশী। আত্মারা পবিত্র হয়ে তারপরে পবিত্র দুনিয়ায় আসে। নতুন দুনিয়া ছিল, যেখানে দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, যাকে স্বর্গ বলা হয়। সেই নতুন দুনিয়া একমাত্র ভগবান-ই রচনা করেন। তিনি এক ধর্মের স্থাপনা করেন। কোনও দেবতার দ্বারা করান না। দেবতা তো এখানে নেই। তাহলে নিশ্চয়ই কোনো মানুষের দ্বারা-ই এই জ্ঞান প্রদান করবেন যাতে আবার দেবতা রচনা হবে। তারপর সেই দেবতারা পুনর্জন্ম নিতে নিতে এখন ব্রাহ্মণ হয়েছে। এই রহস্য তোমরা বাচ্চারাই জানো -ভগবান হলেন নিরাকার যিনি নতুন দুনিয়া রচনা করেন। এখন তো হল রাবণ রাজ্য। তোমরা জিজ্ঞাসা করো কলিযুগী পতিত নাকি সত্যযুগী পবিত্র হয়েছো? কিন্তু তারা বুঝতে পারে না। এখন বাবা বাচ্চাদের বলেন - আমি ৫ হাজার বছর পূর্বেও তোমাদের বুঝিয়ে ছিলাম। বাচ্চারা, আমি আসি-ই তোমাদের অর্ধকল্প সুখী করতে। তারপরে রাবণ এসে তোমাদের দুঃখী বানায়। এ হলো সুখ-দুঃখের খেলা। কল্পের আয়ু হলো ৫ হাজার বছর, অতএব অর্ধেক করতে হয় তাইনা। রাবণ রাজ্যে সবাই দেহ-অভিমানী বিকার গ্রস্ত হয়ে যায়। এইসব কথাও তোমরা এখন বুঝেছ, আগে বুঝতে না। কল্প-কল্প যারা বুঝেছে তারাই বুঝে নেয়। যারা দেবতা হবে না, তারা আসবেই না। তোমরা দেবতা ধর্মের চারা রোপণ করছো। যখন তা আসুরী তমোপ্রধান হয়ে যায়, তখন তাকে দৈবী বৃক্ষ বলা যাবে না। বৃক্ষ যখন নতুন ছিল তখন সতোপ্রধান ছিল। আমরা সেই কল্পবৃক্ষের পাতা - দেবী-দেবতা ছিলাম, তারপরে রজো, তমো-তে এসে পুরানো পতিত শূদ্র হয়েছি। পুরানো দুনিয়ায় পুরানো মানুষরাই থাকবে। পুরানোকে আবার নতুন করতে হয়। এখন দেবী দেবতা ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়েছে। বাবাও বলেন - যখন যখন ধর্মের গ্লানি হয় - তখন জিজ্ঞাসা করা হবে কোন্ ধর্মের গ্লানি হয়? অবশ্যই বলা হবে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের, যা আমি স্থাপন করেছিলাম। সেই ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। সেই ধর্মের পরিবর্তে অধর্ম হয়েছে। সুতরাং যখন ধর্ম থেকে অধর্মের বৃদ্ধি হয়ে যায়, তখন বাবা আসেন। এমন বলা হবে না ধর্মের বৃদ্ধি, ধর্ম তো প্রায় লুপ্ত হয়েছে। অধর্মের বৃদ্ধি হয়েছে। বৃদ্ধি তো সব ধর্মের হয়। একজন খ্রাইষ্টের দ্বারা খ্রীস্টান ধর্মের কতখানি বৃদ্ধি হয়। যদিও দেবী-দেবতা ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়েছে। পতিত হওয়ার দরুন নিজেরাই নিজের গ্লানি করেছে। ধর্ম থেকে অধর্ম একটিই হয়। অন্য সবই ঠিক চলছে। সবাই নিজের নিজের ধর্মে স্থির আছে। যে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম পবিত্র (ভাইসলেস) ছিল, সেই ধর্ম-ই অপবিত্র হয়ে পড়েছে। আমি পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করি যা পতিত,শূদ্র হয়ে যায় অর্থাৎ সেই ধর্মের গ্লানি হয়ে যায়। অপবিত্র হয়ে নিজেরই গ্লানি করায়। বিকার গ্রস্ত হয়ে পতিতে পরিণত হয়, ফলে নিজেকে দেবতা বলতে পারে না। স্বর্গ বদলে নরকে পরিণত হল। সুতরাং কেউ আর বাঃ-বাঃ অর্থাৎ পবিত্র নেই। তোমরা কতখানি ছিঃ ছিঃ অর্থাৎ পতিত হয়েছ। বাবা বলেন তোমাদের বাঃ-বাঃ ফুলে পরিণত করি, রাবণ তোমাদের কাঁটায় পরিণত করে। পবিত্র থেকে পতিত হয়েছ। নিজের ধর্মের অবস্থা দেখতে হবে। আহ্বান করে যে এসে আমাদের অবস্থা দেখো, আমরা কতখানি পতিত হয়েছি। আবার আমাদের পবিত্র করো। পতিত থেকে পবিত্র করতে বাবা আসেন অতএব পবিত্র হওয়া উচিত। অন্যদেরও পবিত্র করা উচিত।

তোমরা বাচ্চারা নিজেকে দেখতে থাকো যে আমরা সর্বগুণ সম্পন্ন হয়েছি? আমাদের আচার ব্যবহার কি দেবতাদের মতন হয়েছে? দেবতাদের রাজ্যে তো বিশ্বে শান্তি ছিল। এখন আবার তোমাদের শেখাতে এসেছি - বিশ্বে শান্তি কিভাবে স্থাপন হবে। তাই তোমাদেরও শান্তিতে থাকতে হবে। শান্ত হওয়ার যুক্তি বলেছি আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা শান্ত হয়ে, শান্তিধাম চলে যাবে। অনেক বাচ্চারা নিজেরা শান্ত থেকে অন্যদেরও শান্তিতে থাকা শিখিয়ে দেয়। কেউ অশান্তি সৃষ্টি করে। নিজেরা অশান্ত থেকে অন্যদেরও অশান্ত করে দেয়। শান্তির অর্থ বোঝে না। এখানে আসে শান্তি শিখতে এবং এখান থেকে ফিরে গিয়ে অশান্ত হয়ে যায়। অশান্তি হয় অপবিত্রতা থেকে। এখানে এসে প্রতিজ্ঞা করে - বাবা, আমি তোমার। তোমার কাছ থেকে বিশ্বের বাদশাহী নিতে হবে। আমরা পবিত্র থেকে বিশ্বের মালিক হব নিশ্চয়ই। যেই ঘরে ফিরে যায়, মায়া ঝড় তুলে দেয়। এ যেন যুদ্ধ, তাইনা। তখন মায়ার দাস হয়ে পতিত হতে চায়। অবলা নারীদের উপরে অত্যাচার তারাও করে যারা প্রতিজ্ঞা করে আমরা পবিত্র থাকব। কিন্তু মায়ার আক্রমণ হলে প্রতিজ্ঞা ভুলে যায়। ভগবানের কাছে প্রতিজ্ঞা করে যে, আমরা পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার উত্তরাধিকার নেবো, আমরা নিজের দৃষ্টি সিভিল রাখবো, কু দৃষ্টি রাখবো না, বিকার গ্রস্ত হবো না, ক্রিমিনাল দৃষ্টি ত্যাগ করবো। তা সত্ত্বেও মায়া রাবণের কাছে হার স্বীকার করে। তখন যে নির্বিকারী হতে চায় তাকে বিরক্ত করে। তাই বলা হয় অবলাদের উপরে অত্যাচার হয়। পুরুষ হয় বলশালী, স্ত্রী হয় দুর্বল । যুদ্ধ ইত্যাদিতে পুরুষরা যায়, কারণ তারা বলশালী। স্ত্রী হয় কোমল। তাদের কর্তব্য হলো আলাদা, তারা ঘর সংসার সামলায়, সন্তানের জন্ম দিয়ে তাদের লালন পালন করে। এই কথাও বাবা-ই বোঝান, সেখানে একটি সন্তান হয় তাও আবার বিকারের কথা নেই। এখানে তো সন্ন্যাসীরাও কখনও বলে যে একটি সন্তান তো অবশ্যই হওয়া উচিত - ক্রিমিনাল দৃষ্টি যুক্ত ঠগ এমন শিক্ষাই দিয়ে থাকে। এখন বাবা বলেন এই সময়ের বাচ্চারা কি কাজে লাগবে, যখন বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে, সবই তো শেষ হয়ে যাবে। আমি এসেছি পুরানো দুনিয়ার বিনাশ করতে। সেসব হল সন্ন্যাসীদের কথা, তারা তো বিনাশের কথা জানে না। তোমাদের অসীম জগতের পিতা বোঝাচ্ছেন এখন বিনাশ হবে। তোমাদের সন্তান উত্তরাধিকারী হতে পারবে না। তোমরা ভাবো আমাদের বংশের উত্তরাধিকারী থাকবে, কিন্তু পতিত দুনিয়ার কোনও চিহ্ন থাকবে না। তোমরা বোঝো যে আমরা পবিত্র দুনিয়ার ছিলাম, মানুষও স্মরণ করে, কারণ পবিত্র দুনিয়া পার হয়েছে, যাকেই স্বর্গ বলা হয়। কিন্তু এখন তমোপ্রধান হওয়ার জন্য বুঝতে পারে না। তাদের দৃষ্টি হয়েছে ক্রিমিনাল। একেই বলা হয় ধর্মের গ্লানি। আদি সনাতন ধর্মে এমন কথা হয় না। আহ্বান করে পতিত-পাবন এসো, আমরা পতিত দুঃখী হয়েছি। বাবা বোঝান, আমি তোমাদের পবিত্র বানাই, কিন্তু মায়া রাবণের প্রভাবে তোমরা পতিত হয়েছ। এখন আবার পবিত্র হও। পবিত্র হও কিন্তু মায়ার যুদ্ধ চলতে থাকে। বাবার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করার পুরুষার্থ করছিলে কিন্তু যদি আবার মুখ কালো কর অর্থাৎ বিকারগ্রস্ত হও তাহলে স্বর্গের উত্তরাধিকার পাবে কিভাবে। বাবা আসেন সুন্দর বানানোর জন্য। দেবতারা যাঁরা সুন্দর ছিলেন, তাঁরাই শ্যাম হয়েছেন। দেবতাদেরই শ্যাম বর্ণের শরীর দেখানো হয়, ক্রাইষ্ট, বুদ্ধ ইত্যাদিকে কখনও কালো দেখেছ ? দেবী-দেবতাদের চিত্র কালো বানানো হয়। যিনি সকলের সদগতি দাতা পরমপিতা পরমাত্মা সর্ব জনের পিতা, যাঁকে বলা হয় - পরমপিতা পরমাত্মা এসে লিবারেট করো। তিনি কালো হতে পারেন না, তিনি তো হলেন সদা সুন্দর, এভার পিওর। কৃষ্ণ তো অন্য দেহ ধারণ করেন তবুও তিনি পবিত্র, তাইনা। মহান আত্মা দেবতাদেরই বলা হয়। কৃষ্ণ তো হলেন দেবতা। এখন কলিযুগ, কলিযুগে মহান আত্মা কোথা থেকে আসবে। শ্রীকৃষ্ণ তো সত্যযুগের প্রিন্স ছিলেন। তাঁর দিব্য গুণ ছিল। এখন তো দেবতা ইত্যাদি কেউ নেই। সাধু সন্ন্যাসী পবিত্র হয় কিন্তু পুনর্জন্ম হয় বিকার দ্বারা। তারপর সন্ন্যাস ধারণ করতে হয়। দেবতারা সর্বদা পবিত্র থাকেন। এখানে রাবণের রাজ্য। রাবণের দশটি মাথা দেখানো হয় - ৫-টি স্ত্রীর, ৫-টি পুরুষের। তোমরা এই কথাও বুঝেছ ৫ বিকার প্রত্যেকের মধ্যে আছে, দেবতাদের মধ্যে আছে এমন বলা হবে না। ওটা হল সুখধাম। সেখানেও যদি রাবণ থাকতো তাহলে দুঃখধাম হয়ে যেতো। মানুষ ভাবে দেবতাদেরও সন্তান জন্ম হয়, তাঁরাও হলেন বিকারী । তারা এই কথা জানে না যে দেবতাদের জন্যে গাওয়া হয় - সম্পূর্ণ নির্বিকারী, তাই তো তাঁদের পূজা করা হয়। সন্ন্যাসীদেরও মিশন হয়। শুধুমাত্র পুরুষদের সন্ন্যাস ধারণ করিয়ে মিশন বাড়ানো হয়। বাবা যদিও প্রবৃত্তি মার্গের নতুন মিশন তৈরি করেন। যুগলকে পবিত্র করেন। তারপরে তোমরা গিয়ে দেবতা হবে। তোমরা এখানে সন্ন্যাসী হতে আসনি। তোমরা এসেছ বিশ্বের মালিক হতে। তারা তো আবার গৃহস্থে জন্ম নেয়। তারপরে সংসার থেকে বেরিয়ে যায়। তোমাদের সংস্কার হল-ই পবিত্রতার। এখন অপবিত্র হয়েছ আবার পবিত্র হতে হবে। বাবা পবিত্র গৃহস্থ আশ্রম তৈরি করেন। পবিত্র দুনিয়াকে সত্যযুগ, পতিত দুনিয়াকে কলিযুগ বলা হয়। এখানে অসংখ্য পাপাত্মা আছে। সত্যযুগে এমন কথা হয় না। বাবা বলেন যখন যখন ভারতে ধর্মের গ্লানি হয় অর্থাৎ দেবী-দেবতা ধর্মের আত্মারা পতিত হয়ে নিজেদের গ্লানি করায়। বাবা বলেন আমি তোমাদের পবিত্র করি তারপরে তোমরা পতিত হও, অকাজের হয়ে যাও। যখন এমন পতিত হও তখন আবার পবিত্র করার জন্যে আমাকে আসতে হয়। এই ড্রামার চক্র ঘুরতেই থাকে। স্বর্গে যাওয়ার জন্য দিব্য গুণ থাকা উচিত।ক্রোধ থাকা উচিত নয়। ক্রোধ আছে অর্থাৎ তাকে অসুর বলা হবে। খুবই শান্ত চিত্ত অবস্থা হওয়া উচিত। ক্রোধ থাকলে বলা হবে এর ভিতরে ক্রোধ রূপী ভূত আছে। যার মধ্যে কোনোরকম ভূত রয়েছে সে দেবতা হতে পারবে না। নর থেকে নারায়ণ হতে পারবে না। দেবতারা হলেন নির্বিকারী, যথা রাজা-রানী তথা প্রজা সবাই নির্বিকারী। ভগবান বাবা এসে সম্পূর্ণ নির্বিকারী বানান। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) বাবার কাছে পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করেছো, তাই নিজেকে মায়ার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে হবে। কখনও মায়ার দাস হবে না। এই প্রতিজ্ঞা ভুলবে না, কারণ এখন পবিত্র দুনিয়ায় যেতে হবে।

২) দেবতা হওয়ার জন্য আন্তরিক অবস্থা খুবই শান্ত বানাতে হবে। কোনো রকম ভূতকে প্রবিষ্ট হতে দেবে না। দিব্য গুণ ধারণ করতে হবে।

বরদান:-
ফরিস্তা স্বরূপের স্মৃতির দ্বারা বাবার ছত্রছায়ার অনুভবকারী বিঘ্নজীৎ ভব

অমৃতবেলায় ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই স্মরণ করো যে আমি হলাম ফরিস্তা। ব্রহ্মাবাবাকে এই আন্তরিক পছন্দের গিফ্ট দাও, তবে প্রতিদিন অমৃতবেলায় বাপদাদা তোমাদেরকে নিজের বাহুপাশে সমাহিত করে নেবেন। অনুভব করবে যে বাবার বাহুর মধ্যে অতীন্দ্রিয় সুখে দুলছি। যে ফরিস্তা স্বরূপের স্মৃতিতে থাকবে তার সামনে কোনও পরিস্থিতি বা বিঘ্ন এলেও বাবা তার সামনে ছত্রছায়া হয়ে যাবেন। তাই বাবার ছত্রছায়া বা ভালোবাসার অনুভব করার জন্য বিঘ্নজীৎ হও।

স্লোগান:-
সুখ স্বরূপ আত্মা স্ব-স্থিতির দ্বারা পরিস্থিতির উপরে সহজেই বিজয় প্রাপ্ত করে নেয়।