03.04.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদেরও এই নতুন বৃক্ষ (ঝাড়) খুবই মিষ্টি, এই মিষ্টি ঝাড়েই পোকা লাগে, এই পোকাকে
নষ্ট করার ওষুধ হলো 'মন্মনাভব"
প্রশ্নঃ -
পাস উইথ অনার
হওয়া ছাত্রদের নিদর্শন কি হবে?
উত্তরঃ
তারা কেবল একটি
সাব্জেক্ট নয়, সকল সাবজেক্টের উপরেই সম্পূর্ণ নজর দেবে । স্থূল সেবার বিষয়ও খুবই
ভালো, অনেকেই এতে সুখ পায়, নম্বরও এতে জমা হয়, কিন্তু এর সাথে সাথে জ্ঞানও প্রয়োজন
আর আচার-আচরণেও চাই। দৈবীগুণের উপরে সম্পূর্ণ মনোযোগ যেন থাকে । জ্ঞান - যোগ
পুরোপুরি থাকলেই পাস উইথ অনার হতে পারবে ।
গীতঃ-
না সে আমার
থেকে আলাদা হবে, না আমি হবো...
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা কি
শুনেছে? বাচ্চাদের মন কার সাথে জুড়ে আছে? গাইডের সাথে । গাইড তোমাদের কি কি দেখায়?
তিনি স্বর্গে যাওয়ার দরজা দেখান । বাচ্চাদের এই নামও দেওয়া হয়েছে - গেট ওয়ে টু
হেভেন । স্বর্গের দ্বার কখন খোলে? এখন তো নরক, তাই না । স্বর্গের দ্বার কে খোলে এবং
কখন? বাচ্চারা, এ কথা তোমরা বাচ্চারাই জানো । তোমাদের সর্বদা খুশী থাকে । স্বর্গে
যাওয়ার পথ তোমরাই জানো । মেলা এবং প্রদর্শনীর দ্বারা তোমরা এই দেখাও যে, মানুষ
স্বর্গের দ্বারে কিভাবে যেতে পারে । চিত্র তো তোমরা অনেকই বানিয়েছো । বাবা জিজ্ঞেস
করেন, এইসব চিত্রের মধ্যে এমন কোন চিত্র আছে, যাতে আমরা কাউকে বোঝাতে পারি, এ হলো
স্বর্গে যাওয়ার গেট? গোলকের (সৃষ্টিচক্র ) চিত্রে স্বর্গে যাওয়ার গেট সিদ্ধ হয় ।
এটাই হলো সঠিক । উপরে ওইদিকে হলো নরকের গেট আর এইদিকে হলো স্বর্গের গেট । সম্পূর্ণ
ক্লিয়ার । এখান থেকে সমস্ত আত্মারা শান্তিধামে যায় তারপর স্বর্গে আসে । সেটা হলো
গেট । সম্পূর্ণ চক্রকে গেট বলা হবে না । উপরে যেখানে সঙ্গম দেখানো হয়েছে, সেটা হলো
সম্পূর্ণ গেট । যেখান থেকে আত্মারা যায়, তারপর আবার নতুন দুনিয়াতে আসে । বাকি সবাই
শান্তিধামে থাকে । কাঁটা দেখানো হয় - এ হলো নরক, আর ও হলো স্বর্গ । সবথেকে ভালোভাবে
বোঝানোর জন্য এই চিত্র । এ সম্পূর্ণ পরিস্কার, গেট ওয়ে টু হেভেন । এ তো বুদ্ধি দিয়ে
বোঝার মতো কথা, তাই না । এখানে অনেক ধর্মের বিনাশ আর এক ধর্মের স্থাপন হচ্ছে । তোমরা
জানো যে, আমরা সুখধামে যাবো আর বাকি সকলেই শান্তিধামে চলে যাবে । এই গেট তো
সম্পূর্ণ পরিস্কার । এই গোলাই হলো মুখ্য চিত্র । এখানে নরকের দ্বার এবং স্বর্গের
দ্বার সম্পূর্ণ পরিস্কার । কল্প পূর্বে যারা স্বর্গের দ্বারে গিয়েছিলো, তারাই আবার
যাবে, বাকি সবাই শান্তিধামে চলে যাবে । নরকের দ্বার বন্ধ হয়ে শান্তি আর সুখের
দ্বার খোলে । সবথেকে এক নম্বর চিত্র হলো এটাই । বাবা সর্বদা বলেন ত্রিমূর্তি, গোলা
আর এই চক্র হলো এক নম্বর চিত্র । যেই আসুক, তাকে প্রথমে এই চিত্র দেখিয়ে বলো,
স্বর্গে যাওয়ার এই হলো দ্বার । এ হলো নরক, আর এ হলো স্বর্গ । নরকের এখন বিনাশ হয়ে
যাবে । মুক্তির দ্বার খোলে । এইসময় আমরা স্বর্গে যাবো আর বাকি সবাই শান্তিধামে যাবে
। এ কতো সহজ । স্বর্গের দ্বারে সবাই তো আর যাবে না । ওখানে তো এই দেবী - দেবতাদেরই
রাজ্য ছিলো । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, স্বর্গের দ্বারে যাওয়ার জন্য এখন আমরা
উপযুক্ত হচ্ছি । আমরা যতই লিখবো - পড়বো, তবেই নবাব হবো, আর যত কান্নাকাটি বা
ছেলেমানুষী করবো, ততই খারাপ হবো । সবথেকে ভালো চিত্র হলো এই গোলার, বুদ্ধির দ্বারা
তোমরা বুঝতে পারো, একবার চিত্র দেখলে, তারপর বুদ্ধির দ্বারা বিবেচনা করে কাজ করা হয়
। বাচ্চারা, তোমাদের সারাদিন এই খেয়াল থাকা উচিত যে, কোন চিত্র মূখ্য, যে চিত্রের
সাহায্যে আমরা খুব ভালোভাবে বোঝাতে পারি । গেট ওয়ে টু হেভেন - এই ইংরাজী শব্দ খুব
ভালো । এখন তো অনেক ভাষা হয়ে গেছে । হিন্দী শব্দটি হিন্দুস্থান থেকে এসেছে ।
হিন্দুস্থান - এই অক্ষর সঠিক নয়, এর প্রকৃত নাম ভারতই । ভারতখণ্ড বলা হয় । এ তো
গলি ইত্যাদির নাম পরিবর্তন হয় । খণ্ডের নাম তো পরিবর্তন হয়ই না । মহাভারত শব্দ তো
আছেই, তাই না । সবকিছুর মধ্যে ভারতই তো স্মরণে আসে । এমন গাওয়াও হয় যে, ভারত
আমাদের দেশ । হিন্দু ধর্ম বলাতে ভাষাও হিন্দী করে দিয়েছে । এ সঠিক নয় । সত্যযুগে
ছিলো সত্যই সত্য - সত্য পড়া, সত্য খাওয়া, সত্য বলা । এখানে সবই মিথ্যা হয়ে গেছে ।
তাই এই গেট ওয়ে টু হেভেন অক্ষর খুবই ভালো । চলো আমরা তোমাদের স্বর্গে যাওয়ার পথ বলে
দিচ্ছি । এখানে কতো ভাষা হয়ে গেছে । বাচ্চারা, বাবা তোমাদের সৎগতির শ্রেষ্ঠ মত দেন
। বাবার মতের জন্য এমন গায়ন আছে যে, তাঁর গতি - মতি একেবারেই আলাদা । বাচ্চারা, তিনি
তোমাদের কতো সহজ মত বলে দেন । তোমাদের ভগবানের শ্রীমতেই চলতে হবে । ডাক্তারের মতে
তোমরা ডাক্তার হবে । ভগবানের মতে চললে তোমাদের ভগবান - ভগবতী হতে হবে । এ হলো ভগবান
উবাচঃ তাই বাবা বলেছিলেন, প্রথমে তো এই কথা প্রমাণিত (সিদ্ধ) করো যে, ভগবান কাকে বলা
হয় । স্বর্গের মালিককে অবশ্যই ভগবান -ভগবতী বলা হবে । ব্রহ্মা তো স্বর্গের নন ।
স্বর্গও এখানে আর নরকও এখানেই হয় । স্বর্গ - নরক দুইই সম্পূর্ণ আলাদা । মানুষের
বুদ্ধি সম্পূর্ণ তমোপ্রধান হয়ে গেছে, তারা কিছুই বোঝে না । সত্যযুগকে লক্ষ বছরের
বলে দিয়েছে । কলিযুগের জন্য বলে চল্লিশ হাজার বছর পড়ে আছে । মানুষ সম্পূর্ণ অন্ধকারে
রয়েছে ।
বাচ্চারা, তোমরা এখন
জানো যে, বাবা আমাদের হেভেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন গুণবান বানাচ্ছেন । মুখ্যতঃ এই
ইচ্ছাই রাখতে হবে যে, আমরা কিভাবে সতোপ্রধান হবো? বাবা বলেছেন, মামেকম্ স্মরণ করো ।
চলতে ফিরতে কাজ করতে করতে বুদ্ধিতে যেন এই কথা স্মরণে থাকে । প্রেমিক ও প্রেমিকাও (আশিক
আর মাশুক) তো কর্ম করে, তাই না । ভক্তিতেও তো কর্ম করে, তাই না । বুদ্ধিতে তাঁর
স্মরণ থাকে । এই স্মরণ করার জন্য মালা জপ করতে থাকে । বাবাও প্রতি মুহূর্তে বলেন,
তোমরা আমাকে স্মরণ করো । সর্বব্যাপী বলে দিলে তোমরা কাকে স্মরণ করবে? বাবা তোমাদের
বোঝান, তোমরা কতো নাস্তিক হয়ে গেছো । তোমরা বাবাকেই জানো না । তোমরা তো বলেও থাকো,
ও গড ফাদার, কিন্তু তিনি কে, একথা সামান্যতমও জানো না । আত্মা বলে, ও গড ফাদার,
কিন্তু আত্মা কি, আত্মা আলাদা, তাঁকে বলা হয় পরম আত্মা অর্থাৎ সুপ্রীম, উঁচুর থেকেও
উঁচু সুপ্রীম সোল পরম আত্মা । একজনও মানুষ নেই, যার আত্মার জ্ঞান আছে । আমি হলাম
আত্মা, আর এ হলো শরীর, দুটি জিনিস, তাই না । এই শরীরে পাঁচ তত্বের দ্বারা বানানো ।
আত্মা তো অবিনাশী এক বিন্দু । তা কোন জিনিস দিয়ে তৈরী হবে? এতো ছোটো বিন্দু যে, সাধু
-সন্ত আদি কেউই জানে না । ইনি তো অনেক গুরু করেছিলেন, কিন্তু কেউই জানান নি যে,
আত্মা কি? পরমপিতা পরমাত্মা কে? এমন নয় যে, তারা কেবল পরমাত্মাকে জানে না । তারা
আত্মাকেও জানে না । আত্মাকে জেনে গেলে পরমাত্মাকেও চট করে জানতে পারবে । বাচ্চা
নিজেকে জানতে না পারলে, বাবাকে জানতে না পারলে কিভাবে চলবে ? তোমরা তো এখন জানো যে,
আত্মা কি এবং কোথায় থাকে? ডাক্তাররাও মনে করে - আত্মা হলো সূক্ষ্ম, এই চোখের দ্বারা
দেখা যায় না, কাঁচের মধ্যে বন্ধ করলেও তা কিভাবে দেখতে পারবে? এই দুনিয়াতে তোমাদের
মতো জ্ঞান আর কারোরই নেই । তোমরা জানো যে, আত্মা বিন্দু এবং পরমাত্মাও বিন্দু । বাকি
আমরা সব আত্মারা পতিত থেকে পবিত্র এবং পবিত্র থেকে পতিত হই । ওখানে তো পতিত আত্মা
থাকতে পারে না । ওখান থেকে সব পবিত্র আত্মাই আসে, তারপর পতিত হয় । তারপর বাবা এসে
পবিত্র করেন, এ খুবই সহজ কথা । তোমরা জানো যে, আমাদের আত্মা ৮৪ জন্মের চক্র
সম্পূর্ণ করে এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছে । আমরাই ৮৪ জন্মগ্রহণ করি । একের কথা নয় ।
বাবা বলেন, আমি এনাকে বোঝাই আর তোমরাও শোনো । আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করেছি, এনাকে
শোনাই । তোমরাও শুনে নাও । ইনি হলেন রথ । তাই বাবা বুঝিয়েছেন - গেট ওয়ে টু হেভেন,
কিন্তু এতেও বোঝাতে হয়, সত্যযুগে যে দেবী দেবতা ধর্ম ছিলো, তা এখন প্রায় লোপ হয়ে
গেছে । কেউই তা জানে না । খ্রীশ্চানদের মধ্যেও প্রথমে সতোপ্রধান ছিলো তারপর
পুনর্জন্ম নিতে নিতে তমোপ্রধান হয়ে যায় । এই ঝাড়ও অবশ্যই পুরানো হয় । এ হলো
বিভিন্ন ধর্মের ঝাড় । ঝাড়ের হিসাবে অন্য সব ধর্ম পিছনের দিকে আসে । এই নাটক
সম্পূর্ণ বানানো । সত্যযুগে যাওয়ার জন্য কারোর সুযোগ এসে যাবে, এ হয়ই না । এ হয়ই না
। এ তো অনাদি খেলা বানানো আছে । সত্যযুগে একই আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্ম ছিলো ।
বাচ্চারা, এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, আমরা স্বর্গে যাচ্ছি । আত্মা বলে, আমি
তমোপ্রধান তাহলে ঘরে কিভাবে যাবো, স্বর্গে কিভাবে যাবো? আত্মার সতোপ্রধান হওয়ার
উপায় বাবাই বলে দিয়েছেন । বাবা বলেন, আমাকেই পতিত -পাবন বলা হয় । তোমরা নিজেকে আত্মা
মনে করে বাবাকে স্মরণ করো । ভগবান উবাচঃ, এই কথা লেখা আছে । এও সবাই বলতে থাকে -
খ্রাইষ্টের এতো বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিলো কিন্তু তা কিভাবে তৈরী হয়েছিলো, তারপর
কোথায় গেলো, এ কথা কেউই জানে না । তোমরা তো তা ভালোভাবেই জানো । আগে এইসব কথা
জানতেই না । দুনিয়াতে এ কথাও কেউ জানে না যে, আত্মাই ভালো এবং মন্দ হয় । সমস্ত
আত্মাই হলো সন্তান । তারা বাবাকে স্মরণ করতে থাকে । বাবা হলেন সকলেরই প্রিয়তম (মাশুক),
আর সকলেই হলো প্রেমিকা (আশিক)। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, সেই মাশুক এখন এসেছেন
। তিনি খুবই মিষ্টি প্রেমিক । না হলে সবাই তাঁকে কেন স্মরণ করে? এমন কোনো মানুষ নেই
যে, যার মুখ থেকে পরমাত্মার নাম নির্গত হয় না । কেবল তারা জানে না । তোমরা জানো
যে, আত্মা হলো অশরীরী । আত্মাদেরও তো পূজা হয়, তাই না । আমরা যারা পূজ্য ছিলাম,
তারা নিজেদেরই আত্মার পূজা করতে থাকি । হতে পারে পূর্ব জন্মে ব্রাহ্মণ কুলে জন্ম
নিয়েছিলো । শ্রীনাথের (গুজরাতে অবস্থিত শ্রীনাথের মন্দিরে) ভোগ নিবেদন হয় এবং তা
তো পূজারীরাই গ্রহণ করে । এ সবই হলো ভক্তি মার্গ ।
বাচ্চারা, তোমাদের
বোঝাতে হবে যে - স্বর্গের দ্বার বাবাই খোলেন, কিন্তু তা খুলবেন কিভাবে বা বোঝাবেন
কিভাবে? ভগবান উবাচঃ হলে তা অবশ্যই তো তিনি শরীরের দ্বারাই কথা বলবেন, তাই না ।
আত্মাই এই শরীরের দ্বারা কথা বলে এবং শোনে । এই বাবা সম্পূর্ণ ভাবে বুঝিয়ে বলেন ।
বীজ আর বৃক্ষ (ঝাড়), এই দুই-ই আছে । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, এ হলো নতুন বৃক্ষ ।
ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে । তোমাদের এই নতুন বৃক্ষে অনেক পোকাও লাগে, কেননা এই
নতুন গাছ খুবই মিষ্টি । মিষ্টি গাছেই পোকা ইত্যাদি কিছু না কিছু লাগতেই থাকে তারপর
ওষুধ দেওয়া হয় । বাবাও 'মন্মনাভবের' ওষুধ খুব ভালোভাবে দিয়েছেন । মন্মনাভব না
থাকতে পারলে পোকায় খেয়ে যায় । পোকায় কাটা জিনিস কোন্ কাজে আসবে ! সে তো ফেলে দেওয়া
হয় । কোথায় উঁচু পদ আর কোথায় নিচু পদ । তফাৎ তো আছেই । বাবা মিষ্টি বাচ্চাদের
বোঝাতে থাকেন, তোমরা খুব মিষ্টি হও । কারোর সঙ্গে নুনজল হয়ো না, ক্ষীরখণ্ড হও ।
ওখানে বাঘ আর ছাগল সব ক্ষীরখণ্ড হয়ে থাকে । বাচ্চাদেরও তাই ক্ষীরখণ্ড হওয়া উচিত,
কিন্তু কারোর ভাগ্যে না থাকলে সে কি আর প্রয়াস করবে । সে ফেল করে যায় । টিচার তো
পড়ান উচ্চ সৌভাগ্যের জন্য । টিচার তো সবাইকেই পড়ান । তফাৎ তো তোমরাই দেখো । ছাত্ররা
তো ক্লাসে বুঝতেই পারে, কে কোন বিষয়ে ভালো । এখানেও এমনই । স্থূল সেবারও তো বিষয় আছে,
তাই না । যেমন ভাণ্ডারী আছে, অনেকেই সুখ পায়, সবাই কতো স্মরণ করে । এ তো ঠিক আছে,
এই বিষয়েও নম্বর পাওয়া যায়, কিন্তু পাস উইথ অনার হওয়ার জন্য কেবল একটি বিষয়েই নয়,
সব বিষয়েই সম্পূর্ণ নজর দিতে হবে জ্ঞানও চাই, সুন্দর চালচলনও চাই, দৈবী গুণও চাই
নিজের প্রতি মনোযোগ রাখা খুবই ভালো । ভান্ডারীর কাছেও কেউ এলে বলবে মন্মনাভব, তোমরা
শিববাবাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে, তোমরা স্বর্গের মালিক হয়ে
যাবে । তোমরা বাবাকে স্মরণ করবে এবং অন্যদেরও পরিচয় দিতে থাকবে । তোমাদের জ্ঞান আর
যোগের প্রয়োজন । এ খুবই সহজ । মুখ্য বিষয় হলো এটাই । তোমাদের অন্ধের লাঠি হতে হবে ।
প্রদর্শনীতেও যদি কাউকে নিয়ে যাও তো বলবে, চলো আমি তোমাকে স্বর্গের দ্বার দেখাবো ।
এ হলো নরক আর ও হলো স্বর্গ । বাবা বলেন যে, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, পবিত্র হও, তাহলে
তোমরা পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে । মনমনাভব । তোমাদের হুবহু তিনি গীতা শোনান,
তাই বাবা চিত্র বানিয়েছেন - গীতার ভগবান কে ? স্বর্গের দ্বার কে খোলেন? শিববাবা
খোলেন । কৃষ্ণ তাঁর দ্বারাই পার হন, কিন্তু গীতায় কৃষ্ণের নাম রেখে দিয়েছে । মূখ্য
চিত্র হলো এই দুটোই । বাকি তো বর্ণনার । বাচ্চাদের খুবই মিষ্টি হতে হবে । ভালোবেসে
কথা বলতে হবে । মন - বচন এবং কর্মে সকলকে সুখ দিতে হবে । দেখো ভান্ডারী সবাইকে খুশী
করে, তো তাঁর জন্য উপহারও নিয়ে আসে । এও তো একটা বিষয়, তাই না । উপহার শিব বাবা
এসেই দেন, তিনি বলেন, আমি তোমাদের থেকে কেন নেবো, তাহলে তো তোমাদের আমাকে স্মরণ
থাকবে । শিববাবার ভাণ্ডার থেকে যদি পাও তাহলে তোমাদের শিববাবার কথা স্মরণে থাকবে ।
আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা -পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের উচ্চ ভাগ্য বানানোর জন্য নিজেদের মধ্যে অত্যন্ত ক্ষীরখণ্ড, মিষ্টি হয়ে থাকতে
হবে, কখনোই নুনজল হবে না । সব বিষয়েই সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে ।
২ ) সদগতির জন্য
বাবার যে শ্রেষ্ঠ মত পেয়েছো, তাতেই চলতে হবে, আর সবাইকে শ্রেষ্ঠ মতই শোনাতে হবে ।
স্বর্গে যাওয়ার পথ দেখাতে হবে ।
বরদান:-
সকল
আত্মাকে সাহস, উৎসাহ প্রদানকারী, করুণাময়, বিশ্ব কল্যাণকারী ভব
কখনও ব্রাহ্মণ পরিবারে
কোনও দুর্বল আত্মাকে, তুমি দুর্বল - এইরকম বলবে না। তোমরা করুণাময় বিশ্ব কল্যাণকারী
বাচ্চাদের মুখ থেকে সর্বদাই প্রত্যেক আত্মার প্রতি শুভ কথা বের হওয়া চাই, হৃদয়
বিদীর্ণ করা কথা নয়। কেউ যতই দুর্বল থাকুক, যদি তাকে ঈশারা বা শিক্ষাও দিতে হয় তো
তাকে আগে সমর্থ বানিয়ে তারপর শিক্ষা দাও। প্রথমে ধরণীতে সাহস আর উৎসাহের হল্ চালাও
তারপর বীজ বপন করো তাহলে সহজেই প্রত্যেক বীজ থেকে ফল বেরিয়ে আসবে। এর দ্বারা বিশ্ব
কল্যাণের সেবা তীব্র হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
বাবার
আশীর্বাদ নিয়ে সদা ভরপুরতার অনুভব করো।
অব্যক্ত ঈশারা :-
“কম্বাইন্ড রূপের স্মৃতির দ্বারা সদা বিজয়ী হও”
সর্বদা প্রত্যেক কাজ
করার সময় নিজেকে কর্মযোগী আত্মা অনুভব করো। কোনও কর্ম করার সময় স্মরণে থাকতে ভুলবে
না। কর্ম আর যোগ দুটোই কম্বাইন্ড থাকবে। যেরকম কোনও জুড়ে থাকা জিনিসকে আলাদা করা
যায় না, এইরকম কর্মযোগী হও।