03.06.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বিশ্বের মালিক যিনি বানান সেই বাবাকে অত্যন্ত প্রেমের সাথে (আগ্রহের সাথে) স্মরণ করো,
স্মরণের দ্বারাই তোমরা সতোপ্রধান হবে"
প্রশ্নঃ -
এমন কোন্
বিষয়টির প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগী হলে তবেই বুদ্ধির কপাট (দরজা) খুলে যাবে?
উত্তরঃ
পড়ার প্রতি ।
ভগবান পড়ান তাই কখনো পড়া মিস করা উচিত নয়। যতদিন পর্যন্ত জীবিত থাকবে ততদিন পর্যন্ত
অমৃত পান করতে হবে। পড়ায় মনোযোগ দিতে হবে, অ্যাবসেন্ট করবে না। এখান-ওখান থেকে
খুঁজেও মুরলী অবশ্যই পড়তে হবে। মুরলীতে রোজ নতুন-নতুন পয়েন্টস্ আসতে থাকে, যার
দ্বারা তোমাদের বুদ্ধির কপাট খুলে যাবে।
ওম্ শান্তি ।
শিব ভগবানুবাচ
শালগ্রামেদের উদ্দেশ্যে। এ তো সমগ্র কল্পে একবারই হয়, একথাও তোমরাই জানো আর কেউ-ই
জানতে পারে না। মানুষ তো এই রচয়িতা আর রচনার আদি, মধ্য, অন্তকে একেবারেই জানে না।
বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, স্থাপনার কার্যে বিঘ্ন তো পড়বেই, একেই বলে জ্ঞান যজ্ঞ।
বাবা বোঝান, এই পুরানো দুনিয়ায় তোমরা যা কিছুই দেখ, সেই সবকিছুই স্বাহা হয়ে যাবে।
তাই এতে মোহ রাখা উচিত নয়। বাবা এসে পড়ান নতুন দুনিয়ার জন্য। এ হলো পুরুষোত্তম
সঙ্গমযুগ। এ হলো বিকারী আর নির্বিকারীর সঙ্গম, যা চেঞ্জ হয়ে যাবে। নতুন দুনিয়াকে বলা
হয় নির্বিকারী দুনিয়া। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মই ছিল। এ তো বাচ্চারা জানে যে,
পয়েন্টস্ বুঝতে হবে। বাবা রাত-দিন বলতে থাকেন - বাচ্চারা, তোমাদেরকে অতি রহস্যময় কথা
শোনাই। যতক্ষণ পর্যন্ত বাবা রয়েছেন ততক্ষণ পর্যন্ত পড়াশোনা চলতেই থাকবে। তারপর পড়া
বন্ধ হয়ে যাবে, এই কথা তোমরা ব্যতীত আর কেউই জানে না। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের
ক্রমানুসারে রয়েছে যা আবার বাপদাদাই জানেন। কতজনের পতন হয়, কত কষ্ট হয়। এমনও নয় যে,
সকলে সদাই পবিত্র হয়ে থাকতে পারে। পবিত্র না থাকলে আবার সাজা ভোগ করতে হয়। মালার
দানারাই পাস উইথ অনার্স হয়। আবার প্রজাও হয়। এ হলো খুব ভালো ভাবে বোঝার মতন বিষয়।
তোমরা যদি কাউকে বোঝাও তখন কি সে বুঝতে পারবে? না পারবে না। সময় লাগে । তাও আবার
বাবা যতখানি বোঝাতে পারেন, তোমরা ততখানি পারো না। রিপোর্টস্ ইত্যাদি যা আসে, সেসব
তো বাবা-ই জানেন যে - অমুকে বিকারে পতিত হয়েছে, এই হয়েছে...। নাম তো বলতে পারবেন
না। নাম বলে দিলে তো আবার তার সঙ্গে কেউ কথা বলতে পছন্দ করবে না। সকলে ঘৃণার
দৃষ্টিতে দেখবে, সকলের হৃদয় থেকে সরে যাবে। সারা উপার্জনই (কামাই) নষ্ট করে দেয়। এ
তো যে ধাক্কা খেয়েছে সে জানে আর বাবা জানে। এ হলো অতি গুপ্ত কথা।
তোমরা বলো যে, অমুকের
সঙ্গে দেখা হয়েছিল, ওনাকে খুব ভাল করে বুঝিয়েছি, উনি সেবায় সহায়তা করতে পারেন।
কিন্তু সে তো তখনই সম্ভব, যখন সে সম্মুখে হাজির হবে, তাই না। মনে করো, তোমরা
গভর্নরকে খুব ভাল করে বোঝালে কিন্তু তিনি কাউকে বোঝাতে পারবেন? না পারবেন না। যদি
তিনি কাউকে বোঝাতে পারেন তবেই বিশ্বাস হবে, তাই না। যার বোঝার হবে সে অবশ্যই বুঝবে।
অন্যকে কি বোঝাতে পারবে? না পারবে না। বাচ্চারা, তোমরা তো বোঝাও যে, এ হলো কাঁটার
জঙ্গল, এরই আমরা মঙ্গল (কল্যাণ) করি। মঙ্গলম্ ভগবান বিষ্ণু বলা হয়, তাই না। এই
শ্লোক ইত্যাদি সব ভক্তিমার্গের। মঙ্গল তখন হয় যখন বিষ্ণুর রাজ্য থাকে। বিষ্ণুর
অবতরণও দেখান হয়। বাবা তো সবকিছুই দেখেছেন। তিনি তো অনুভাবী, তাই না। সমস্ত
ধর্মাবলম্বীদের-ই ভালভাবে জানেন। বাবা যাঁর শরীরে আসবেন, তাঁর পার্সোনালিটি তো
বিশেষ হওয়া চাই, তাই না। তবেই বলা হয় যে, অনেক জন্মের অন্তিমে, যখন ইনি এখানকার (সাকারলোক)
সর্বাপেক্ষা অধিক অনুভবী হন, তখন আমি এঁনার মধ্যে প্রবেশ করি। তিনিও সাধারণ,
ব্যক্তিত্বের অর্থ এই নয় যে, রাজ-রাজত্ব রয়েছে। না, এঁনার অনুভব তো অসীম। অনেক
জন্মের অন্তিম লগ্নে এঁনার রথেই (শরীর) আসি।
তোমাদের বোঝাতে হবে
যে, এখন রাজধানী স্থাপিত হচ্ছে। মালা তৈরী হয়। এই রাজধানী কীভাবে তৈরী হচ্ছে, কেউ
রাজা-রানী, কেউ আবার কি-কি হচ্ছে। এসব কথা তো একদিনেই কেউ বুঝতে পারবে না। অসীম
জগতের পিতাই অসীম জগতের উত্তরাধিকার দেন। ভগবান এসে বোঝান, তাও কি সবাই পবিত্র হবে,
না হবে না। অতি কষ্টে কেউ কেউ হবে। একথা বুঝতেও তো সময় চাই। কত সাজাভোগ করে।
শাস্তিভোগ করে প্রজা হয়। বাবা বোঝান, বাচ্চারা, তোমাদের অতি মিষ্টি হতে হবে। কাউকে
দুঃখ দেবে না। বাবা আসেনই সকলকে সুখের রাস্তা বলে দিতে, দুঃখ থেকে মুক্ত করতে। তাহলে
আবার অন্য কাউকে কীভাবে দুঃখ দেবে। বাচ্চারা, একথা কেবল তোমরাই জানো। বাইরের লোকেরা
সহজে একথা বোঝে না।
যা কিছু সম্পর্ক
ইত্যাদি রয়েছে, সেইসবের থেকে মায়া কাটিয়ে উঠতে হবে। ঘরে থাকতে হবে, কিন্তু নিমিত্ত
মাত্র হয়ে। একথাও যেন বুদ্ধিতে থাকে যে, এই সমগ্র দুনিয়াই সমাপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু
এই খেয়ালও কারোর থাকে না। যে বাচ্চারা অনন্য হয়, তারা বোঝে, তারাও এখনই তা শেখার
পুরুষার্থ করতে থাকে। অনেকে ফেলও করে যায়। মায়ার চক্কর অনেক চলে। সেও (মায়া) অতি
বলবান। কিন্তু এই কথা কি আর কাউকে বোঝাতে পারবে? না বোঝাতে পারবে না। তোমাদের কাছে
আসে, বুঝতে চায় - এখানে কি হয়, এত রিপোর্টস্ ইত্যাদি কেন আসে? এইসব লোকেদের আবার
বদলী হতে থাকে তখন আবার এক-একজনকে বসে বোঝাতে হয়। তখন তারা আবার বলে, এ তো অত্যন্ত
ভালো সংস্থা। রাজধানী স্থাপনার বিষয় অত্যন্ত গুহ্য, গোপনীয়। বাচ্চারা, অসীম জগতের
পিতাকে পেয়েছে, তাই তাদের কত উৎফুল্ল থাকা উচিত । আমরা বিশ্বের মালিক অর্থাৎ দেবতা
হতে চলেছি। তাই আমাদের মধ্যে অবশ্যই দৈবী-গুণ থাকা উচিত । এইম অবজেক্ট (লক্ষ্যবস্তু)
তো সম্মুখেই রয়েছে। এঁনারা হলেন নতুন দুনিয়ার মালিক। একথা তোমরাই বোঝো। আমরা পড়ি,
অসীম জগতের বাবা যিনি নলেজফুল, তিনি আমাদের পড়ান, আমরা এই নলেজ পাই অমরপুরী বা
হেভেনে যাওয়ার জন্য। আসবে তারাই, যারা প্রতি কল্পে রাজত্ব নিয়েছে। পূর্ব-কল্পের
মতোই আমরা আমাদের রাজধানী স্থাপন করছি। এই মালা তৈরী হচ্ছে, নম্বরের ক্রমানুসারে।
যেমন স্কুলেও যারা ভালোমতন পড়াশুনা তারা স্কলারশিপ পায়, তাই না ! ওসব হলো পার্থিব
জগতের কথা আর তোমাদের কথা হলো অসীম জগতের। তোমরা যারা বাবার সহায়তাকারী হও, তারাই
উচ্চপদ লাভ করো। বাস্তবে তো সহায়তা নিজেকেই করতে হবে। পবিত্র হতে হবে, সতোপ্রধান
ছিলে, পুনরায় অবশ্যই তা হতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। উঠতে, বসতে, চলতে ফিরতে
বাবাকে স্মরণ করতে পারো। যে পিতা আমাদের বিশ্বের মালিক বানান, তাঁকে অতি
প্রেমপূর্ণভাবে(অত্যন্ত আগ্রহের সাথে) স্মরণ করতে হবে। কিন্তু মায়া ছাড়ে না। অনেক
প্রকারের ভিন্ন-ভিন্ন রকমের রিপোর্টস্ লেখে - বাবা, আমাদের মায়ার বিকল্প (বিকারী
সঙ্কল্প) অনেক আসে। বাবা বলেন, এটা তো যুদ্ধের ময়দান, তাই না। ৫ বিকারের উপরে
বিজয়লাভ করতে হবে। তোমরাও বোঝো যে, বাবাকে স্মরণ করেই আমরা সতোপ্রধান হই। বাবা এসে
বোঝান, কিন্তু ভক্তিমার্গের লোকেরা কেউ-ই জানে না। এ হলো পড়া। বাবা বলেন, তোমরা
পবিত্র কীভাবে হবে! তোমরা পবিত্র ছিলে, আবার হতে হবে। দেবতারা তো পবিত্র, তাই না।
বাচ্চারা তো জানে, আমরা হলাম স্টুডেন্ট, এখন পড়ছি। ভবিষ্যতে আবার সূর্যবংশীয় রাজত্বে
আসবো। তারজন্য পুরুষার্থও ভালোভাবে করতে হবে। সবকিছু মার্কসের উপরেই নির্ভর করে।
যুদ্ধের ময়দানে পরাজিত হলে চন্দ্রবংশীতে চলে যাবে। ওরা আবার যুদ্ধের কথা শুনে
তীর-ধনুক ইত্যাদি দিয়ে দিয়েছে। ওখানে কি বাহুবলের লড়াই ছিল যে তারা তীর-কামান
ইত্যাদি প্রয়োগ করেছিল ! এমন কোনো কিছু নেই। পূর্বে তির ধনুক নিয়ে লড়াই চলত। এইসময়
পর্যন্তও তার চিহ্ন রয়েছে। কেউ-কেউ তো তির চালনায় অতি দক্ষ। এখন এই জ্ঞানে তো লড়াই
ইত্যাদির কোনো কথা নেই।
তোমরা জানো যে,
শিববাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, যার কাছ থেকে আমরা এই পদপ্রাপ্ত করি। এখন বাবা বলছেন
যে, দেহ-সহ দেহের সর্ব সম্বন্ধগুলির থেকে মোহ সরিয়ে দাও। এসবই হলো পুরানো। নতুন
দুনিয়ায় ছিল সূর্যবংশী (গোল্ডেন এজেড্) ভারত । (ভারতের) নামের কত খ্যাতি ছিল।
প্রাচীন যোগ কবে আর কে শিখিয়েছে? একথা কারোরই জানা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না স্বয়ং
ঈশ্বর এসে বোঝান। এ হলো নতুন জিনিস। প্রতি কল্পে যা হয়ে এসেছে, তাই-ই পুনরায় রিপীট
হবে। এর কোনো তফাৎ হতে পারে না। বাবা বলেন, এখন এই অন্তিম জন্ম পবিত্র থাকলে পরে ২১
জন্ম পর্যন্ত তোমরা কখনো অপবিত্র হবে না। বাবা কত ভালোভাবে বোঝান, তাও সকলেই কি
একরস হয়ে পড়া করে? না পড়ে না। রাত-দিনের পার্থক্য। আসে পড়ার জন্য কিন্তু একটু পড়েই
পালিয়ে যায়। যারা ভালোমতন পড়ে তারা নিজের অনুভবও শোনায় - কিভাবে আমরা এসেছি, তারপর
কিভাবে আমরা পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করেছি। বাবা বলেন, পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করে পুনরায়
যদি একবারের জন্যও পতিত হও তবে সব উপার্জন নষ্ট হয়ে যাবে। ভিতরে-ভিতরে তা আবার (নিজেকে)
দংশন করবে। কাউকে বলতে পারবে না যে, বাবা-কে স্মরণ করো। বিকারের জন্যই তো জিজ্ঞাসা
করে, এটাই তো মুখ্য বিষয়। বাচ্চারা, তোমাদের এই পড়াশুনা নিয়মিত করতে হবে। বাবা
বলেন, আমি তোমাদের নতুন-নতুন কথা শোনাই। তোমরা হলে স্টুডেন্ট, তোমাদের ভগবান পড়ান!
তোমরা হলে ভগবানের স্টুডেন্ট! এমন উচ্চ থেকেও উচ্চ পড়াকে তো একদিনও মিস করা উচিত নয়।
একদিন যদি মুরলী না শোনো তবে অ্যাবসেন্ট হয়ে যাবে। ভালো-ভালো মহারথীরাও মুরলী মিস
করে। তারা মনে করে যে, আমরা তো সব জানি। মুরলী না পড়ি তো কি হয়েছে! আরে, অ্যাবসেন্ট
হয়ে যাবে, ফেল করে যাবে। স্বয়ং বাবা বলেন, রোজ এমন ভালো-ভালো পয়েন্টস্ শোনাই যা সময়
মতো বোঝালে অনেক কাজে আসবে। যদি না শোনো তখন তা কার্যে কিভাবে আনবে। যতদিন পর্যন্ত
জীবিত থাকবে, অমৃত পান করতে হবে, শিক্ষাকে ধারণ করতে হবে। অ্যাবসেন্ট কখনই হওয়া
উচিত নয়। এখান-ওখান থেকে খুঁজে, কারোর কাছ থেকে নিয়ে মুরলী পড়া উচিত । অহংকার থাকা
উচিত নয়। আরে, ভগবান পড়ান, তাই তো একদিনও মিস করা উচিত নয়। এমন-এমন পয়েন্টস্ বের করো
যাতে তোমাদের বা অন্য কারোর (বুদ্ধির) দ্বার খুলে যেতে পারে। আত্মা কি, পরমাত্মা
কি, কিভাবে পার্ট পালন করে, এসব বোঝার জন্য সময় চাই। শেষে শুধু এটাই স্মরণে থাকবে
যে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। কিন্তু এখন বোঝাতে হয়। শেষে এই
অবস্থাই হবে, বাবাকে স্মরণ করতে-করতে চলে যেতে হবে। স্মরণের দ্বারাই তোমরা পবিত্র
হয়ে যাও। কতটা (পবিত্র) হয়েছ তা তো তোমরাই বুঝতে পারো। অপবিত্রের শক্তি অবশ্যই কম
হবে। মুখ্য হলো অষ্ট-রত্ন, যারা পাস-উইথ-অনার হবে, তারা কোনো সাজা ভোগ করে না। এ হলো
অতি সূক্ষ্ম বিষয়(কথা)। এই পড়া কত উচ্চ। কখনো এ স্বপ্নেও ছিল না যে, আমরা দেবতা হতে
পারি। বাবাকে স্মরণ করেই তোমরা পদমগুণ সৌভাগ্যশালী হয়ে যাও। এর কাছে তো এইসব
কাজ-কর্ম ইত্যাদি কোনো কিছুই কোনো কাজের নয়। কোনও জিনিসই কার্যে আসবে না। তবুও তো
করতেই হবে। একথা কখনোই খেয়ালে আসা উচিত নয় যে, আমরা শিববাবাকে দিই। আরে, তোমরা তো
পদ্মাপদমপতি হও। দেওয়ার কথা স্মরণে এলে তখন তার শক্তি কম হয়ে যায়। মানুষ ঈশ্বরের
উদ্দেশ্যে দান-পুণ্য করে, নেওয়ার জন্য। একে কি দেওয়া বলে, না বলে না। ভগবান তো দাতা,
তাই না। পরজন্মে কত দেয়। এও ড্রামায় ফিক্সড হয়ে রয়েছে। ভক্তিমার্গে তো সুখ
অল্পকালের জন্য, তোমরা অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অসীম জগতের সুখের উত্তরাধিকার পাও।
আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-স্মরণ আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
যতদিন পর্যন্ত জীবিত থাকবে অমৃত পান করতে হবে, শিক্ষাগুলিকে ধারণ করতে হবে। ভগবান
পড়ান, তাই মুরলী একদিনও মিস করবে না।
২ ) পদমগুণ উপার্জন
করতে হলে ঘরে নিমিত্ত হয়ে থেকে, কাজ-কর্ম করেও এক পিতার স্মরণে থাকতে হবে।
বরদান:-
প্রসন্নতার আধ্যাত্মিক (রুহানী) পার্সোনালিটি দ্বারা সবাইকে অধিকারী বানানো গায়ন আর
পূজার যোগ্য ভব
যে সকলের থেকে
সন্তুষ্টতার সার্টিফিকেট নেয় সে সর্বদা প্রসন্ন থাকে আর এই প্রসন্নতার আধ্যাত্মিক
পার্সোনালিটির কারণে সুনামধন্য অর্থাৎ গায়ন আর পূজার যোগ্য হয়ে যায়। তোমাদের অর্থাৎ
শুভচিন্তক, প্রসন্নচিত্ত আত্মাদের দ্বারা সকলের যে খুশীর, আশ্রয়ের, সাহসের ডানার,
উৎসাহ-উদ্দীপনার প্রাপ্তি হয় - এই প্রাপ্তি কাউকে অধিকারী বানিয়ে দেয়, কেউ ভক্ত হয়ে
যায়।
স্লোগান:-
বাবার
থেকে বরদান প্রাপ্ত করার সহজ সাধন হলো - হৃদয়ের স্নেহ।