03.09.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা কোনো পতিত দেহধারীদের প্রতিই ভালোবাসা রাখবে না, কেননা তোমরা পবিত্র দুনিয়াতে যাচ্ছো, তোমাদের একমাত্র বাবাকেই ভালোবাসতে হবে"

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, তোমরা কোন্ জিনিসের প্রতি বিরক্ত হবে না আর কেন?

উত্তরঃ  
তোমরা তোমাদের এই শরীরের প্রতি কোনরকম বিরক্ত হবে না, কেননা তোমাদের এই শরীর হলো অত্যন্ত ভ্যালুয়েবল। আত্মা এই শরীরে বসে বাবাকে স্মরণ করে অনেক বড় লটারী পাচ্ছে । তোমরা বাবার স্মরণে থাকলে খুশীর মতো পুষ্টিকর আহার পেতে থাকবে ।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা, এখন তোমরা দূরদেশের বাসিন্দা, এরপর হলে দূরদেশের প্যাসেঞ্জার। আমরা হলাম আত্মা, এখন আমরা অনেক দূরদেশে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছি । এ কথা কেবল তোমরা আত্মারাই জানো যে, আমরা দূরদেশের বাসিন্দা, আর আমরা দূরদেশে থাকা বাবাকে ডাকি যে, তুমি এসে আমাদেরও সেই দূরদেশে নিয়ে চলো । বাচ্চারা, এখন দূরদেশে থাকা বাবা তোমাদের ওখানে নিয়ে যান । তোমরা হলে আধ্যাত্মিক প্যাসেঞ্জার, কেননা তোমরা তো এই শরীরের সঙ্গেই আছো, তাই না । আত্মাই তো ট্র্যাভেলিং করবে । শরীর তো তোমরা এখানেই ত্যাগ করবে । কেবল আত্মাই ট্র্যাভেল করবে । আত্মা কোথায় যাবে? নিজের আত্মিক দুনিয়ায় । এ হলো শরীরের দুনিয়া আর ওটা হলো আত্মাদের দুনিয়া । বাবা বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন, এখন তোমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে, যেখান থেকে তোমরা এখানে পার্ট প্লে করতে এসেছো । এ হলো অনেক বড় মণ্ডপ বা স্টেজ । এই স্টেজে অ্যাক্ট করে আবার সবাইকে ফিরে যেতে হবে । নাটক যখন সম্পূর্ণ হবে, তখনই তো তোমরা যাবে, তাই না । এখন তোমরা এখানে বসে আছো, তোমাদের বুদ্ধিযোগ কিন্তু ঘর আর রাজধানীর প্রতি । এ কথা খুব পাকাপাকি ভাবে মনে রেখো। কেননা এমন মহিমা তো আছেই - অন্তিম সময়ে যেমন মতি, তেমনই গতি । এখন এখানে তোমরা পাঠ গ্রহণ করছো, তোমরা জানো যে, ভগবান শিববাবা আমাদের পড়ান । এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ ছাড়া ভগবান কখনোই পড়াবেন না । সম্পূর্ণ পাঁচ হাজার বছরে নিরাকার ভগবান বাবা একবারই এসে পড়ান । এ বিষয়ে তো তোমরা সম্পূর্ণ নিশ্চিত । এই পাঠও কতো সহজ, এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে । ওই ঘরের প্রতি তো সম্পূর্ণ দুনিয়ার ভালোবাসা আছে । সকলেই তো মুক্তিধামে যেতে চায়, কিন্তু অর্থ কেউই বোঝে না । সাধারণ মানুষের বুদ্ধি এখন কেমন আর তোমাদের বুদ্ধি এখন কেমন তৈরী হয়েছে, দুইয়ের কতো ফারাক । পুরুষার্থের নম্বর অনুযায়ী তোমাদের এখন স্বচ্ছ বুদ্ধি । তোমরা খুব ভালোভাবে এই বিশ্বের আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান জানো । তোমাদের মনে আছে যে, আমাদের এখন পুরুষার্থ করে নর থেকে অবশ্যই নারায়ণ হতে হবে । এখান থেকে তো প্রথমে নিজেদের ঘরে ফিরে যাবে, তাই না । তাই খুশীর সঙ্গে যেতে হবে । সত্যযুগে যেমন দেবতারা খুশীর সঙ্গে এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে, তেমনই তোমাদের এই পুরানো শরীরকে খুশীর সঙ্গে ত্যাগ করতে হবে । এই শরীরের প্রতি বিরক্ত হয়ো না। কেননা এই শরীর হলো খুবই মূল্যবান । এই শরীরের দ্বারাই আত্মা বাবার থেকে লটারী পায় । আমরা যতক্ষণ না পবিত্র হতে পারি, ততক্ষণ ঘরে ফিরে যেতে পারি না । তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে থাকলে সেই যোগবলের দ্বারাই পাপের ভার মুক্ত হবে । নাহলে অনেক সাজা ভোগ করতে হবে । তোমাদের তো অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । লৌকিক সম্বন্ধেও কোনো বাচ্চা কোনো খারাপ - পতিত কাজ করলে বাবা তাকে রাগ করে লাঠির আঘাত করেন, কেননা নিয়ম বহির্ভূতভাবে তারা পতিত হয়ে যায় । কারোর সঙ্গে যদি নিয়মের বাইরে প্রেমের সম্পর্ক রাখে, তাহলে বাবা - মায়ের ভালো লাগে না । অসীম জগতের এই বাবা বলেন, বাচ্চারা, তোমরা তো এখানে চিরকাল থাকবে না । এখন তোমাদের নতুন দুনিয়াতে যেতে হবে । ওখানে কোনো বিকারী - পতিত থাকে না । এক পতিত - পাবন বাবা এসেই তোমাদের এমন পবিত্র বানান । বাবা নিজেই বলেন, আমার জন্ম দিব্য এবং অলৌকিক, আর কোনো আত্মাই আমার মতো শরীরে প্রবেশ করতে পারে না । যদিও ধর্মস্থাপকরা আসেন, তাঁদের আত্মা প্রবেশ করে, কিন্তু সেকথা আলাদা । আমি তো সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই আসি । ওরা তো নীচে নেমে আসে তাঁদের ভূমিকা পালন করার জন্য । আমি তো সবাইকে নিয়ে যাই, তারপর বলে দিই, তুমি কিভাবে প্রথমদিকে নতুন দুনিয়াতে আসবে । ওই নতুন দুনিয়াতে কেউই বক থাকে না । বাবা তো বকেদের মাঝেই আসেন । তারপর তোমাদের হংসে পরিণত করেন । তোমরা এখন হংসে পরিণত হয়েছো এবং মুক্তো চয়ন করছো । সত্যযুগে তোমরা এই রত্ন পাবে না । এখানে তোমরা এই জ্ঞান রত্নের চয়ন করে হংসে পরিণত হও । তোমরা কিভাবে বক থেকে হংসে পরিণত হও, সে কথা বাবা বসে তোমাদের বুঝিয়ে বলেন । তিনি এখন তোমাদের হংসে পরিণত করছেন । দেবতাদের হংস এবং অসুরদের বক বলা হবে । এখন তোমরা আবর্জনা ত্যাগ করে মুক্তো চয়ন করছো ।

তোমাদেরই পদ্মসম সৌভাগ্যশালী বলা হয় । তোমাদের পায়ে পদ্মের ছাপ লাগে । শিববাবার তো পা-ই নেই যে পদ্ম হতে পারবে । তিনি তো তোমাদের পদ্মসম সৌভাগ্যশালী বানান । বাবা বলেন যে, আমি তোমাদের এই বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছি । এই সমস্ত বিষয়ই খুব ভালোভাবে বোঝার । মানুষ তো এ কথা বোঝেই যে, একসময় স্বর্গ ছিলো, কিন্তু তা কবে ছিলো, আবার কিভাবে হবে, সে সব জানে না । বাচ্চারা, তোমরা এখন আলোতে এসেছো । ওরা সব অন্ধকারে আছে । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ কিভাবে বিশ্বের মালিক হয়েছিলেন, এ কথা জানেই না । এ হলো পাঁচ হাজার বছরের কথা । বাবা বসে বোঝান, তোমরা যেভাবে তোমাদের ভূমিকা পালন করতে আসো, আমিও তেমনই আসি । তোমরা আমাকে নিমন্ত্রণ করে ডাকো - হে বাবা, আমাদের মতো পতিতদের তুমি এসে পবিত্র বানাও । আর কাউকেই এমন বলবে না, এমনকি ধর্ম স্থাপকদেরও এমন বলবে না যে, এসে সকলকে পবিত্র বানাও । খ্রাইস্ট এবং বুদ্ধকে পতিত - পাবন বলবেই না । গুরু তিনিই, যিনি সদ্গতি করবেন । তিনি তো প্রথমে আসেন, তাঁর পিছনে সবাইকেই আসতে হয় । এখান থেকে ফিরে যাওয়ার রাস্তা বলে দেওয়া, সকলের সদগতি করা অকালমূর্তি হলেন এক বাবা-ই । বাস্তবে সদ্গুরু শব্দটিই হলো সঠিক । বরং তোমরা যা বলো তার তুলনায় সঠিক শব্দের প্রয়োগ তো শিখরাই করে, উচ্চৈস্বরে বলে - সদ্গুরু অকাল । তারা অনেক জোরে সুর করে বলে, তারা বলে সদগুরু অকালমূর্তি । মূর্তই যদি না হয়, তাহলে সদ্গুরু কিভাবে হবে, সদ্গতি কিভাবে দেবে ? প্রকৃত সদ্গুরু নিজে এসেই তাঁর পরিচয় দেন - আমি তোমাদের মতো জন্ম নিই না । আর তো সকলেই শরীরধারীরা বসে শোনান । তোমাদের অশরীরী আত্মাদের পিতা বসে শোনান । এ হলো রাত - দিনের তফাৎ । এই সময় মানুষ যা কিছুই করে তা ভুলই করে। কেননা তারা রাবণের মতে চলছে, তাই না । প্রত্যেকের মধ্যেই পাঁচ বিকার উপস্থিত । এখন হলো রাবণ রাজ্য, এইসব কথা বাবা ডিটেলে বসে বোঝান । নাহলে সম্পূর্ণ দুনিয়ার চক্রের কথা কিভাবে জানা যাবে ? এই চক্র কিভাবে ঘোরে, তা তো জানা উচিত, তাই না । এও তোমরা বলো না যে, বাবা তুমি বোঝাও । বাবা নিজে থেকেই বোঝাতে থাকেন । তোমাদের একটি প্রশ্নও জিজ্ঞাসা করার থাকে না । ভগবান তো হলেন বাবা । বাবার কাজ হলো সবকিছুই নিজে থেকে শোনানো, নিজে থেকে করা । স্কুলে গিয়ে বাবা বাচ্চাদের নিজে থেকেই ভর্তি করেন । তাদের চাকরী করতে পাঠান, তারপর বলেন, ৬০ বছর পরে এইসব ছেড়ে ভগবানের ভজন করো । বেদ - শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ো, পূজা করো । তোমরা অর্ধেক কল্প পূজারী হও আবার অর্ধেক কল্প পূজ্য । কিভাবে তোমরা পবিত্র হবে, তারজন্য কতো সহজভাবে বুঝিয়ে বলা হয় । এরপর ভক্তি সম্পূর্ণ ছেড়ে যায় । ওরা সব ভক্তি করছে আর তোমরা জ্ঞান নিচ্ছো । ওরা রাতে আছে আর তোমরা দিনে যাও অর্থাৎ স্বর্গে । গীতায় লেখা আছে 'মনমনাভব' - এই শব্দ তো বিখ্যাত । গীতা যারা পড়ে তারা বুঝতে পারবে, খুব সহজভাবে লেখা আছে । সারাজীবন গীতা পড়ে এসেছে অথচ কিছুই বুঝতে পারেনি । এখন সেই গীতার ভগবান বসে যখন শেখান, তখন পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাও । এখন আমরা ভগবানের থেকে গীতা শুনি তারপর অন্যদের শোনাই, আমরা পবিত্র হই ।

বাবার মহাবাক্যই হলো - এ হলো সেই সহজ রাজযোগ । মানুষ কতো অন্ধশ্রদ্ধায় ডুবে আছে, তোমাদের কথা তো শোনেই না । এই অবিনাশী নাটকের নিয়ম অনুসারে যখন তাদের ভাগ্য খুলবে তখনই তোমাদের কাছে আসতে পারবে । তোমাদের মতো ভাগ্য অন্য কোনো ধর্মের মানুষের হতে পারবে না । বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমাদের এই দেবী - দেবতা ধর্ম খুব সুখদায়ী । তোমরাও বুঝতে পারো - বাবা ঠিকই বলছেন । শাস্ত্রে তো ওখানেও কংস - রাবণ আছে, দেখানো হয়েছে । ওখানকার সুখের খবর তো কেউ জানেই না । যদিও তারা দেবতাদের পূজা করে, তবুও বুদ্ধিতে কিছুই স্থায়ী হয় না । বাবা এখন বলছেন - তোমরা আমাকে স্মরণ করো কি? এমন কখনো শুনেছো কি, বাবা বাচ্চাদের বলছেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো । লৌকিক বাবা কখনো এমনভাবে স্মরণ করানোর পুরুষার্থ করান কি? এ কথা অসীম জগতের পিতা বসে বোঝান । তোমরা এই সম্পূর্ণ বিশ্বের আদি - মধ্য এবং অন্তকে জেনে চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাবে । প্রথমে তোমরাই ঘরে ফিরে যাবে । তারপর আবার অভিনেতা হয়ে ফিরে আসতে হবে । এখন কেউই জানতে পারবে না, এ নতুন আত্মা নাকি পুরানো আত্মা । নতুন আত্মাদের অবশ্যই নাম হয় । এখনো দেখো, কারোর কারোর কতো নাম । অনেক মানুষ আসতে থাকে । অনায়াসেই তারা আসতে থাকে । তো সেই প্রভাবও পড়ে । বাবাও এনার মধ্যে অনায়াসেই আসেন, তখন সেই প্রভাবও পড়ে । সেও নতুন আত্মাই আসেন তাই পুরানোর উপর প্রভাব পড়ে । শাখাপ্রশাখা বের হয়ে যায়, তাদেরও মহিমা হতে থাকে । কেউই বুঝতে পারে না, এর এতো নাম কেন ? নতুন আত্মা হলে তার মধ্যে প্রয়াস থাকে । এখন তো দেখো, কতো মিথ্যা ভগবান তৈরী হয়ে গেছে, তাই তো এমন গাওয়া হয়, সত্যের নৌকা টলমল করে, কিন্তু ডুবে যায় না । ঝড় তো অনেকই আসে কেননা ভগবান তো কান্ডারী, তাই না । বাচ্চারাও হেলতে থাকে, কারণ নৌকায় তো অনেক দোলা লাগে । অন্য সৎসঙ্গে তো অনেকেই আসে, কেননা ওখানে তুফান ইত্যাদির কোনো কথা নেই । এখানে অবলাদের উপর কতো অত্যাচার হয়, তবুও তো স্থাপনা হতেই হবে । বাবা বসে বোঝান - হে আত্মারা, তোমরা কতো জংলী কাঁটা হয়ে গেছো, তোমরা অন্যকে কাঁটার আঘাত করো, তাই তোমাদেরও কাঁটা লাগে । প্রতিটি বিষয়ের প্রতিদান তো পেতেই হবে । ওখানে দুঃখের কোনো ছি - ছি কথা নেই, তাই তাকে বলা হয় স্বর্গ । মানুষ স্বর্গ আর নরক বলে থাকে কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না । তারা বলে - অমুকে স্বর্গে গেছে, বাস্তবে এই কথা বলাও ভুল । নিরাকারী দুনিয়াকে স্বর্গ বলা হয় না । সে হলো মুক্তিধাম । এরা তবুও বলে - স্বর্গে গেছে ।

এখন তোমরা জানো যে - এই মুক্তিধাম হলো আত্মাদের ঘর । এখানে যেমন ঘর হয় । ভক্তিমার্গে যারা খুব ধনবান হয়, তারা কতো উঁচু মন্দির বানায় । শিবের মন্দির দেখো কিভাবে বানানো হয়েছে । লক্ষ্মী - নারায়ণের মন্দির যখন বানায় তখন সেখানে কতো রত্ন থাকে । সেখানে অনেক ধন - সম্পদ থাকে । এখন সবই নকল হয়ে গেছে । তোমরাও আগে অনেক আসল গয়না পড়তে । এখন তো সবাই সরকারের ভয়ে আসল রেখে নকল পড়ে থাকে । ওখানে তো সবই আসল । ওখানে নকল কিছুই হয় না । এখানে আসল থাকা সত্বেও সবাই লুকিয়ে রেখে দেয় । দিন - দিন সোনার মূল্য বাড়তে থাকে । ওখানে তো হলোই স্বর্গ । ওখানে তোমরা সবকিছুই নতুন পাবে । নতুন দুনিয়াতে সবকিছুই নতুন ছিলো, সেখানে অথৈ ধন ছিলো । এখন তো দেখো প্রতিটি জিনিসই কতো মূল্যবান হয়ে গেছে । বাচ্চারা, এখন তোমাদের মূলধাম (বতন) থেকে শুরু করে সমস্ত রহস্য বুঝিয়ে বলা হয়েছে । মূলধামের রহস্য বাবা ব্যতীত আর কে বোঝাবেন? তোমাদেরও তো আবার টিচার হতে হবে । গৃহস্থ জীবনে থেকেও তোমরা কমল ফুলের মতো পবিত্র থাকো । তোমরা অন্যদেরও যদি নিজের মতো তৈরী করতে পারো তাহলে অনেক উঁচু পদ পেতে পারবে । এখানে যারা আছে, তাদের থেকেও অনেক উঁচু পদ পেতে পারে । নম্বরের ক্রমানুসার তো আছেই, বাইরে থেকেও বিজয় মালাতে গ্রথিত হওয়া সম্ভব, তা সে এক সপ্তাহের কোর্স করে বিলেতেই থাকুক বা যেখানেই থাকুক । সমস্ত দুনিয়াই এই খবর পাবে । বাবা এসেছেন এবং বলছেন - কেবলমাত্র আমাকে স্মরণ করো । এই বাবাই হলেন উদ্ধারকর্তা এবং গাইড । ওখানে তোমরা গেলে খবরের কাগজেও অনেক নাম বের হবে । অন্যেরাও একে খুব সহজ কথা মনে করবে - আত্মা আর শরীর দুটো জিনিস । আত্মার মধ্যেই মন এবং বুদ্ধি আছে, শরীর তো জড় । আত্মাই হলো অভিনেতা । তাই আত্মাই হলো বিশেষ, তাই এখন আত্মাকে বাবাকে স্মরণ করতে হবে । এখানে যারা থাকে, তারা ততটা স্মরণ করে না, যতটা বাইরে যারা থাকে, তারা করে । যারা বাবাকে খুব স্মরণ করে, অন্যদেরও নিজের তুল্য বানান, কাঁটাকে ফুলে পরিণত করেন, তারা উঁচু পদ পান । তোমরা জানো যে, তোমরাও প্রথমে কাঁটা ছিলে । এখন বাবা অর্ডিনেন্স জারি করেছেন - কাম হলো মহাশত্রু, একে জয় করলে তোমরা জগৎজিৎ হতে পারবে কিন্তু এই লেখাতে কেউ বুঝতেই পারে না । বাবা এখন বুঝিয়ে বলেছেন । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সদা জ্ঞান রত্নের চয়ন করে হংস হতে হবে । মুক্তো চয়ন করতে হবে । আবর্জনা ত্যাগ করতে হবে । প্রতি পদে পদ্ম সম উপার্জন জমা করে পদে পদে পদ্মসম ভাগ্যশালী হতে হবে ।

২ ) উচ্চ পদ প্রাপ্তির জন্য শিক্ষক হয়ে অনেকের সেবা করতে হবে । কমল ফুল সম পবিত্র হয়ে অন্যদের নিজ সম বানাতে হবে । কাঁটাকে ফুলে পরিণত করতে হবে ।

বরদান:-
তোমার আমার - এর দোলাচলকে সমাপ্ত করে দয়ার ভাবনা ইমার্জকারী মার্সীফুল (করুণাময়) ভব

সময়ে সময়ে কত কত আত্মার উপরে দুঃখের ঢেউয়ে আসে, প্রকৃতি কিঞ্চিৎ দোলাচল হলে, বিপর্যয় হলে অনেক আত্মারা ছটফট করতে থাকে, মার্সী, দয়া প্রার্থনা করতে থাকে। তো এইরকম আত্মাদের আর্তনাদ শুনে দয়ার ভাবনা ইমার্জ করো। পূজ্যস্বরূপ, মার্সীফুলের রূপ ধারণ করো। নিজেকে সম্পন্ন বানিয়ে নাও তো এই দুঃখের দুনিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। এখন পরিবর্তনের শুভ ভাবনার ঢেউ তীব্রগতীতে ছড়িয়ে দাও তো তোমার আমার দোলাচল সমাপ্ত হয়ে যাবে।

স্লোগান:-
ব্যর্থ সংকল্পের হাতুড়ি দিয়ে সমস্যার পাথরকে ভাঙার পরিবর্তে হাই জাম্প দিয়ে সমস্যারূপী পাহাড়কে অতিক্রমকারী হও।