03.09.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা- সত্য পাণ্ডা এসেছেন তোমাদের সত্যিকারের তীর্থযাত্রা শেখাতে, তোমাদের এই যাত্রাতে মুখ্য হলো পবিত্রতা, স্মরণ করো আর পবিত্র হও"

প্রশ্নঃ -
তোমরা হলে ম্যাসেঞ্জার বা পয়গম্বর (বার্তাবাহক) বাচ্চাদের, কোন্ একটি ব্যাপার ছাড়া আর কোনো ব্যাপারেই আরগু (তর্ক) করতে নেই?

উত্তরঃ  
তোমরা ম্যাসেঞ্জারের বাচ্চারা সকলকে এই ম্যাসেজ দাও যে, নিজেকে আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো, তবে এই যোগ অগ্নির দ্বারা তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। এই চিন্তাই রাখো, বাকি অন্যান্য ব্যাপারে লিপ্ত হওয়ার মধ্যে কোনো লাভ নেই। তোমাদের শুধু বাবার পরিচয় সকলকে দিতে হবে, যাতে তারা আস্তিক হয়ে ওঠে। রচয়িতা বাবাকে যখন বুঝে যাবে তখন রচনাকে বুঝতে পারা সহজ হয়ে যাবে।

গীতঃ-
আমাদের তীর্থ হলো অনুপম.....

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা জানে যে, আমরা হলাম সত্য তীর্থবাসী। সত্যিকারের পাণ্ডা আর আমরা অর্থাৎ তাঁর বাচ্চারাও সত্য তীর্থে চলেছি। এটা হলো মিথ্যা দেশ বা পতিত দেশ। এখন সত্যভূমি বা পবিত্রভূমিতে চলেছি। মানুষ তীর্থ যাত্রায় যেমন যায়, কোনো-কোনো বিশেষ যাত্রা করানো হয় যেখানে যে কেউ যেতে পারে। এটাও হলো যাত্রা, এখানে তখনই যাওয়া যায় যখন কিনা সত্য পাণ্ডা নিজে আসেন। তিনি আসেন প্রতি কল্পের সঙ্গমে। এতে না ঠান্ডা না গরমের কোনো ব্যাপার আছে। না ধাক্কা খাওয়ার কোনো ব্যাপার আছে। এটা তো হলো স্মরণের যাত্রা। সেই যাত্রাতে সন্ন্যাসীরাও যায়। সত্যি-সত্যি যাত্রা তারাই করতে পারে, যারা পবিত্র থাকে। তোমাদের মধ্যে সকলেই যাত্রার মধ্যে আছে। তোমরা হলে ব্রাহ্মণ। সত্যি-সত্যি ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা কারা? যারা কখনোই বিকারের বশীভূত হয় না। পুরুষার্থী তো অবশ্যই হলো। যদি মনেও সংকল্প আসে, মুখ্য হলোই বিকারের কথা। কেউ জিজ্ঞাসা করলো সত্যিকারের ব্রাহ্মণ কতজন আছে আপনাদের কাছে? বলো, সে আর জিজ্ঞাসা করার কিছু নেই। সে কথায় কি আর কারো পেট ভরবে। তোমরা যাত্রী হও । যাত্রা করতে পারার মতো কতো আছে, এটা জিজ্ঞাসা করার মধ্যে কোনো লাভ নেই। ব্রাহ্মণ তো কেউ সত্যিকারেরও আছে, তো মিথ্যেও আছে। আজ সত্যকারের আছে, কাল মিথ্যা হয়ে যাবে। বিকারে গেলে সে তো আর ব্রাহ্মণ থাকলো না। আবার শূদ্রেরও শূদ্র হয়ে গেল। আজ প্রতিজ্ঞা করে কাল বিকারের বশে নীচে নেমে গিয়ে অসুর হয়ে ওঠে। এখন এই কথা কতক্ষণ বসে বোঝাবো। এতে পেট তো ভরবে না, বা মুখ মিষ্টি হবে না। এখানে আমরা বাবাকে স্মরণ করি আর বাবার রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানি। এছাড়া আর কোনো ব্যাপারেই কিছু নেই। বলো, এখানে বাবার স্মরণ শেখানো হয় আর পবিত্রতা হলো মুখ্য। যারা আজ পবিত্র হয়ে আবার অপবিত্র হয়ে যায়, তো তারা আর ব্রাহ্মণই থাকে না। সেই হিসাব কতক্ষণ ধরে বসে শোনাবো। এরকম তো অনেকে নীচে নামতে থাকে মায়ার ঝড়ের দাপটে, সেইজন্য ব্রাহ্মণের মালা তৈরী হতে পারে না। আমরা তো ঈশ্বরীয় দূতের বাচ্চারা ঈশ্বরীয় সংবাদ শোনাই, ম্যাসেঞ্জারের বাচ্চা- ম্যাসেজ দিই। নিজেকে আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো, তবে এই যোগ অগ্নির দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হবে। এই চিন্তাই রাখো। এছাড়া প্রশ্ন তো প্রচুর মানুষ জিজ্ঞাসা করবে। একটা ব্যাপার ছাড়া আর অন্য কোনো ব্যাপারে গেলে লাভই নেই। এখানে তো এটাই জানার আছে যে, নাস্তিক থেকে আস্তিক, নির্ধন থেকে ধনী কীভাবে হলো, যে ধনীর থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে- এটা জিজ্ঞাসা করো। বাকি তো সবাই হলো পুরুষার্থী। বিকারের ব্যাপারেই অনেকে ফেল করে। অনেক দিন পরে স্ত্রীকে দেখলে... তো সে কথা আর জিজ্ঞাসা করার না। কারোর মদের নেশা অভ্যাস হয়ে যায়, তীর্থে গেলে মদ অথবা বিড়ির অভ্যাস যাদের আছে তারা ওসব ছাড়া থাকতে পারে না। লুকিয়েও পান করে। কিই বা আর করতে পারে! অনেকে আছে যারা সত্যি বলে না। লুকিয়ে রাখে।

বাবা বাচ্চাদের যুক্তি বলতে থাকেন যে, কীভাবে যুক্তির সাথে উত্তর দেওয়া উচিত। একমাত্র বাবার পরিচয়ই দেওয়া উচিত, যাতে মানুষ আস্ত্বিক হয়ে ওঠে। প্রথমে যতক্ষণ পর্যন্ত না বাবাকে জানা গেছে ততক্ষণ কোনো প্রশ্ন করাই হলো ফালতু। এই রকম অনেকে আসে, কিছুই বোঝে না। শুধু শুনতে থাকে, লাভ কিছুই নেই। বাবাকে লেখে হাজার দুই হাজার এসেছে, এদের মধ্যে দুই-একজন বোঝার জন্য আসতে থাকে। অমুক-অমুক বড় মানুষ আসতে থাকে, আমরা বুঝতে পেরে যাই, তাদের যে পরিচয় প্রাপ্ত হওয়ার ছিলো সেটা প্রাপ্ত হয়নি। সম্পূর্ণ পরিচয় প্রাপ্ত হলে বুঝবে এরা তো ঠিক বলে, আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পিতা হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, তিনি অধ্যয়ণ করান। বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করো। এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হয়ে ওঠো। যে পবিত্র থাকে না সে ব্রাহ্মণ নয়, শূদ্র। এটা হলো লড়াই এর ময়দান। বৃক্ষ বৃদ্ধি পেতে থাকে আর ঝড়ের ঝাপটাও লাগবে । অনেক পাতা ঝড়েও যাবে । কে বসে গুণবে যে সত্যিকারের ব্রাহ্মণ কে আছে ? সত্য সে-ই যে কখনো শূদ্র হয় না। সামান্যতমও দৃষ্টি যায় না অপরের প্রতি। অন্তিমকালে কর্মাতীত অবস্থা হয়। লক্ষ্য অনেক উঁচু। মনেও যেন না আসে, সেই অবস্থা অন্তিমকালে হবে। এই সময় একজনেরও ঐরকম অবস্থা নেই। এই সময় সবাই হলো পুরুষার্থী। নীচে- উপরে হতে থাকে। চোখের ব্যাপারই হলো মুখ্য। আমরা হলাম আত্মা, এই শরীরের দ্বারা পার্ট প্লে করি - এই অভ্যাস দৃঢ় হওয়া উচিত। রাবণ রাজ্য যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ যুদ্ধ চলতে থাকবে। শেষে কর্মাতীত অবস্থা হবে। তোমাদের ক্রমশঃ ফিলিং আসবে, বুঝতে পারবে ক্রমশ। এখন তো বৃক্ষ অনেক ছোটো, ঝড়ের দাপটে থাকে, পাতা ঝড়তে থাকে। যারা কাঁচা তারা ঝড়ে পড়ে যায়। প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো- আমার অবস্থা কতো পর্যন্ত? এছাড়া যে সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, ওসব ব্যাপারে বেশী যেওই না। বলো, আমরা বাবার শ্রীমত অনুযায়ী চলেছি। সেই অসীম জগতের পিতা এসে অসীম জগতের সুখ প্রদান করেন অথবা নূতন দুনিয়া স্থাপন করেন। সেখানে সুখই থাকে। যেখানে মানুষ বসবাস করে সেটাকেই দুনিয়া বলা হয়। নিরাকারী ওয়ার্ল্ডে আত্মারা থাকে, তাই না ! এটা কারোরই বুদ্ধিতে নেই যে, আত্মা কীভাবে বিন্দু হলো। এটাও প্রথমে নূতন কাউকে বোঝাতে নেই। প্রথমেই তো বোঝাতে হবে- অসীম জগতের পিতা অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। ভারত পবিত্র ছিলো, এখন পতিত হয়েছে। কলিযুগের পরে আবার সত্যযুগ আসতে হবে। দ্বিতীয় কেউ বুঝতে পারে না, বি.কে রা ব্যাতীত। এটা হলো নূতন রচনা। বাবা পড়াচ্ছেন- এই বোধ বুদ্ধিতে থাকা উচিত। কোনো ডিফিকাল্ট ব্যাপার নয়, কিন্তু মায়া ভুলিয়ে দেয়, বিকর্ম করিয়ে দেয়। অর্ধ- কল্প ধরে বিকর্ম করার অভ্যাস হয়ে গেছে। সেই সব আসুরিক অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে। বাবা নিজে বলেন- সবাই হলো পুরুষার্থী। কর্মাতীত অবস্থা পাওয়ার জন্য অনেক সময় লাগে। ব্রাহ্মণ কখনো বিকারের বশীভূত হয় না। যুদ্ধের ময়দানে চলতে চলতে পরাজিত হয়ে যায়। এই প্রশ্নতে কোনো লাভ নেই। প্রথমে নিজের প্রকৃত বাবাকে স্মরণ করো। আমাদেরকে শিববাবা পূর্ব- কল্পের ন্যায় আদেশ দিয়েছেন যে, নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করো। এটা হলো সেই লড়াই। বাবা হলেন এক, কৃষ্ণকে বাবা বলা হবে না। কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। রঙ্ থেকে রাইট করতে সক্ষম হলেন বাবা, তাই তো ওঁনাকে ট্রুথ বলা হয় ! এই সময় তোমরা বাচ্চারাই সমগ্র সৃষ্টির রহস্যকে জানতে পারো। সত্যযুগে হলো ডিটি(দৈবী) ডিনায়েস্টি(রাজত্ব)। রাবণ রাজ্যে হলো আবার আসুরিক ডিনায়েস্টি। সঙ্গমযুগ ক্লীয়ার করে দেখাতে হবে, এটা হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। ওই দিকে দেবতারা, এই দিকে অসুর। এছাড়া তাদের লড়াই হয়নি। লড়াই হলো তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের - বিকারের সাথে, একে লড়াই বলবে না। সবচেয়ে বড় হলো কাম বিকার, এটা হলো মহাশত্রু। এর উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে পারলেই তোমরা জগতজীত হবে। এই বিষের উপরই অবলারা মার খায়। অনেক প্রকারের বিঘ্ন পড়ে। মূল কথা হলো পবিত্রতার। পুরুষার্থ করতে করতে, ঝড়ের দাপটে আসতে আসতে তোমাদের বিজয় প্রাপ্ত হবে। মায়া ক্লান্ত হয়ে যাবে। যারা কুস্তির পালোয়ান হয়, তারা দ্রুত সম্মুখীন হতে পারে। তাদের ধান্ধাই হলো ভালো ভাবে লড়াই করে বিজয়ী হওয়া। পালোয়ানদের খুব নাম হয়। পুরস্কার পায়। তোমাদের তো এটা হলো গুপ্ত ব্যাপার। তোমরা জানো যে আমরা, এই আত্মারা পবিত্র ছিলাম। এখন অপবিত্র হয়েছি আবার পবিত্র হতে হবে। এই ম্যাসেজ সকলকে দিতে হবে আর যে কেউ প্রশ্ন করলে, তোমাদের এই ব্যাপারে যেতেই নেই। তোমাদের হলোই আত্মিক ব্যবসা। আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের মধ্যে বাবা জ্ঞান ভরে ছিলেন, প্রালব্ধ পরে পেয়েছি, জ্ঞান শেষ হয়ে গেছে। এখন আবার বাবা জ্ঞান ভরে দিচ্ছেন। তাছাড়া নেশাতে থাকো, বলো বাবার ম্যাসেজ দিচ্ছি যে, বাবাকে স্মরণ করো তবে কল্যাণ হবে। তোমাদের কারবারই হলো আত্মিক (রুহানী) । সর্বপ্রথম কথা হলো বাবাকে জানো। একমাত্র বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনি কি আর কোনো বই শোনান ! বাইরের দুনিয়ায় যারা ডক্টর অফ ফিলসফি ইত্যাদি হন, তারা বই পড়ান। ভগবান তো হলেন নলেজফুল। ওঁনার সৃষ্টির আদি-মধ্য - অন্তের নলেজ আছে। তিনি কিছু পড়েছেন কি? তিনি তো সব বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদি জানেন। বাবা বলেন, আমার পার্ট হলো তোমাদের নলেজ বোঝানোর। জ্ঞান আর ভক্তির কন্ট্রাস্ট আর কেউ বলতে পারবে না। এটা হলো জ্ঞানের অধ্যয়ণ। ভক্তিকে জ্ঞান বলা যাবে না। সকলের সদ্গতিদাতা হলেন একমাত্র বাবা। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি অবশ্যই রিপিট হবে। পুরানো দুনিয়ার পরে আবার নতুন দুনিয়া অবশ্যই আসে। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের পুনরায় অধ্যয়ণ করান। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো, সমস্ত জোর এরই উপর। বাবা জানেন যে, অনেক ভালো-ভালো নামী-দামি বাচ্চারা এই স্মরণের যাত্রাতে খুবই দুর্বল আর যারা নামী-দামি নয়, বন্ধনে থাকা, গরীব, তারা স্মরণের যাত্রাতে অনেক বেশী থাকেন। প্রত্যেকে নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করে- আমি বাবাকে কতো সময় স্মরণ করি? বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা যতটা সম্ভব আমাকে স্মরণ করো। ভিতরে-ভিতরে খুব উৎফুল্ল থাকো। ভগবান পড়ান, তাই কতো খুশী হওয়া উচিত। বাবা বলেন, তোমরা পবিত্র আত্মা ছিলে আবার শরীর ধারণ করে ভূমিকা পালন করতে-করতে পতিত হয়েছো। এখন আবার পবিত্র হতে হবে। আবার সেই দৈবী ভূমিকা পালন করতে হবে। তোমরা তো হলে দৈবী ধর্মের ! তোমরাই ৮৪ জন্মের চক্রে আবর্তিত হয়েছো। সব সূর্যবংশীরাও কি আর ৮৪ জন্ম নেয় ! পরে আসতে থাকে যে ! নইলে তো হঠাৎ করে সকলে এসে যাবে। সকালে উঠে বুদ্ধির দ্বারা কোনো কাজ করলে বুঝতে পারবে। বাচ্চাদেরই বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। শিববাবা তো বলেন না। তিনি তো বলেন ড্রামা অনুসারে যা কিছু শোনাই, সেটাই মনে করো যে পূর্ব-কল্পের ন্যায় বুঝিয়েছি, ওটাই বুঝিয়েছিলাম। মন্থন তোমরা করো। তোমাদেরই বোঝাতে হবে, জ্ঞান দিতে হবে। এই ব্রহ্মাও মন্থন করে। বি.কে দের মন্থন করতে হয়, শিববাবার নয়। মূল কথা হলো কারোর সাথে বেশী কথা বলতে নেই। আরগু শাস্ত্রবাদী নিজেদের মধ্যে অনেক করে, তোমাদের আরগু (তর্ক) করতে নেই। তোমাদের শুধু ঈশ্বরীয় সংবাদ দিতে হবে। প্রথমে শুধুমাত্র মুখ্য একটা ব্যাপারের উপর বোঝাও আর তার উপরে তাদেরকে দিয়ে লেখাও। সর্বপ্রথম এই খেয়াল রাখো যে, এটা কে পড়াচ্ছেন, সেটাই লেখো। এই কথা তোমরা শেষ পর্যন্ত নিয়ে চলো, সেইজন্য সংশয় হতেই থাকে। বুদ্ধি দৃঢ় বিশ্বাস সম্পন্ন না হওয়ার জন্য বুঝতে পারে না। শুধু বলে দেয়- ঠিক কথা। সর্বপ্রথম মুখ্য কথাই হলো এটা - রচয়িতা বাবাকে বোঝো তারপর রচনার রহস্য বোঝো। মুখ্য কথা গীতার ভগবান কে? তোমাদের বিজয়ও হয় এতে। সর্বপ্রথম কোন্ ধর্ম স্থাপন হয়েছিলো? পুরানো দুনিয়াকে নূতন দুনিয়া কে তৈরী করে? একমাত্র বাবা আত্মাদের নূতন জ্ঞান শোনান, যার দ্বারা নতুন দুনিয়া স্থাপন হয়। তোমাদের বাবা আর রচনার পরিচয় প্রাপ্ত হয়। একদম প্রথমে তো অল্ফের উপর সুপরিপক্ক করে তোলো, তবে তো বাদশাহী থাকবেই। বাবার থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। বাবাকে জানতে পারা মাত্রই উত্তরাধিকারের অধিকারী হলে। বাচ্চা জন্ম নেয়, মা - বাবাকে দেখে আর ব্যস্ সুপরিপক্ক হয়ে যায়। মা-বাবা ব্যতীত আর কারোর কাছে যায়ও না, কারণ মায়ের থেকে দুধ পাওয়া যায়। তাও আবার জ্ঞানের দুধ প্রাপ্ত হয়। মাতা-পিতা যে ! এটা হলো খুবই সূক্ষ্ম ব্যাপার, শীঘ্রই কেউ বুঝতে পারবে না। আচ্ছা!

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সত্যিকারের ব্রাহ্মণ হতে হবে, কখনো শূদ্র বা পতিত হওয়ার খেয়াল মনেও যেন না আসে, সামান্যতম দৃষ্টিও যেন না যায় কারোর প্রতি। এই রকম অবস্থা তৈরী করতে হবে।

২ ) বাবা যা পড়াচ্ছেন, সেই বোধ বুদ্ধিতে রাখতে হবে। বিকর্ম করার যে আসুরিক অভ্যাস হয়ে গেছে, সেটা ত্যাগ করতে হবে। পুরুষার্থ করতে-করতে সম্পূর্ণ পবিত্রতার উচ্চ লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করতে হবে।

বরদান:-
কারণের নিবারণ করে চিন্তা আর ভয় থেকে মুক্ত থাকা মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব

বর্তমান সময়ে অল্পকালের সুখের সাথে চিন্তা আর ভয়, এই দুটি তো আছেই। যেখানে চিন্তা থাকে সেখানে সুখ থাকতে পারে না। যেখানে ভয় থাকে সেখানে শান্তি থাকতে পারে না। তো সুখের সাথে এই দুঃখ অশান্তির কারণ তো আছেই। কিন্তু তোমরা সর্ব শক্তির খাজানা দিয়ে সম্পন্ন মাস্টার সর্বশক্তিমান বাচ্চারা হলে দুঃখের কারণের নিবারণকারী, প্রত্যেক সমস্যার সমাধানকারী সমাধান স্বরূপ, এইজন্য চিন্তা আর ভয় থেকে মুক্ত থাকো। কোনও সমস্যা তোমাদের সামনে খেলা করতে আসে নাকি ভয় দেখাতে!

স্লোগান:-
নিজের বৃত্তিকে শ্রেষ্ঠ বানাও তাহলে তোমাদের প্রবৃত্তি স্বতঃ শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে।

অব্যক্ত ঈশারা :- এখন লগনের অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে যোগের জ্বালারূপ বানাও

সময় অনুসারে এখন সকল ব্রাহ্মণ আত্মাদেরকে নিকটে নিয়ে এসে জ্বালা স্বরূপের বায়ুমন্ডল বানানোর সেবা করো, তারজন্য চাও তো ভাট্টি করো বা সংগঠিত হয়ে নিজেদের মধ্যে রূহরিহান করো কিন্তু জ্বালা স্বরূপের অনুভব করাে আর করাও। এই সেবাতে ব্যস্ত হয়ে যাও তাহলে ছোটো ছোটো কথা সহজেই পরিবর্তন হয়ে যাবে।