04.03.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
যারা শুরু থেকে ভক্তি করেছে, ৮৪ জন্ম নিয়েছে, তারা তোমাদের এই জ্ঞান অত্যন্ত
আগ্রহের সাথে শুনবে, ইশারাতেই বুঝে যাবে"
প্রশ্নঃ -
দেবী-দেবতা
বংশের (ঘরানার) অতি নিকটের আত্মা নাকি দূরের আত্মা, সেটা কীভাবে চিনবে?
উত্তরঃ
যারা দেবতা
বংশের আত্মা হবে, তারা জ্ঞানের সব কথা শুনেই স্বীকৃতি দেবে, তাদের কোনো সংশয় থাকবে
না। যে যত ভক্তি করেছে সে ততই বেশি শুনবার চেষ্টা করবে। সুতরাং তাদের নাড়ি দেখে
বাচ্চারা, তোমাদের সেবা করা উচিত ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক পিতা
বসে আত্মারূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। এই কথা তো বাচ্চারা বুঝেছে আত্মিক পিতা হলেন
নিরাকার, এই শরীরে বসে বোঝাচ্ছেন, আমরা আত্মারাও হলাম নিরাকার, এই শরীর দ্বারা সব
কিছু শুনি। অতএব দুই পিতা একত্রে আছেন, তাইনা। বাচ্চারা জানে দুই পিতা এখানে আছেন।
তৃতীয় পিতাকেও জানো কিন্তু তার চেয়ে ভালো ইনি, এনার চেয়েও ভালো উনি (শিববাবা),
নম্বর ক্রমে আছে, তাইনা। তাই লৌকিক পিতার সঙ্গে সম্পর্কের বাইরে এই দুইজন পিতার
সঙ্গে সম্বন্ধ যোগ হয়ে যায়। বাবা বসে বোঝান, মানুষকে কিভাবে বোঝানো উচিত। তোমাদের
কাছে মেলায় তো অনেকেই আসে। এই কথাও তোমরা জানো ৮৪ জন্ম সবাই তো নেবে না। এই কথা
কীভাবে জানবে কেউ ৮৪ জন্ম নেবে নাকি ১০ জন্ম নেবে বা ২০ জন্ম নেবে? এখন তোমরা
বাচ্চারা এই কথা তো বুঝেছো যে, যে বেশি ভক্তি করেছে শুরু থেকে, তারা ফলও ততো
তাড়াতাড়ি এবং খুব ভালো প্রাপ্ত করবে । ভক্তি যদি অল্প হয় আর দেরীতে ভক্তি করে থাকে,
ফলও ততটুকু এবং দেরিতে প্রাপ্ত করবে। বাবা সার্ভিসেবল বাচ্চাদের বোঝান। বলো, তোমরা
হলে ভারতবাসী, তোমরা দেবী-দেবতাকে বিশ্বাস করো? ভারতে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল
তাইনা। যারা ৮৪ জন্ম নেবে, শুরু থেকে ভক্তি করে থাকবে তারা তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারবে -
তারা অবশ্যই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ছিল, তারা আগ্রহের সাথে শুনবে। কেউ তো
শুধুমাত্র দেখে চলে যায়, কিছু জিজ্ঞাসাও করে না, তাদের বুদ্ধিতে কিছুই বসে না। তখন
তাদের সম্বন্ধে বোঝা উচিত এরা এখনো এই পর্যন্ত পৌঁছায়নি। ভবিষ্যতে বুঝবে। আবার
বোঝালেই কেউ কাঁধ নাড়াবে। অবশ্যই এই হিসেবে তো ৮৪ জন্ম একেবারে ঠিক। যদি বলে আমরা
কীভাবে বুঝবো যে পুরোপুরি ৮৪ জন্ম নিয়েছে? আচ্ছা, ৮৪ না হলে ৮২, দেবতা ধর্মে তো আসবে।
দেখো, এতটাও যদি বুদ্ধিতে না ঢোকে তাহলে বুঝবে ৮৪ জন্ম নেবে না। দূরের আত্মা কম
শুনবে। যত বেশি ভক্তি করেছে ততই শুনবার চেষ্টা করবে। তাড়াতাড়ি বুঝবে। কম বুঝলে বুঝবে
যে দেরিতে আসবে। ভক্তিও দেরি করে করেছে। ভক্তি বেশি করে থাকলে ইশারাতেই বুঝে যাবে।
ড্রামা রিপিট তো হয়, তাইনা। সব কিছুই নির্ভর করছে ভক্তির উপরে। ব্রহ্মা বাবা সবচেয়ে
বেশি ভক্তি করেছেন, তাইনা। কম ভক্তি করলে ফলও কম প্রাপ্ত হবে। এই সব কথা বুঝতে হবে।
বুদ্ধি মোটা থাকলে ধারণ করতে পারবে না। এইসব মেলা-প্রদর্শনী ইত্যাদি তো হতে থাকবে।
সব ভাষাতেই থাকবে। পুরো দুনিয়াকে বোঝাতে হবে তাইনা। তোমরা হলে সত্যিকারের পয়গম্বর
এবং ম্যাসেঞ্জার । দুনিয়ার ধর্ম স্থাপকরা তো কিছুই করেনা। তারা গুরুও নয়। গুরু বলা
হয় কিন্তু তারা কেউ সদগতি প্রদান করে না। তারা যখন আসে তখন তাদের সংস্থা থাকে না
তাহলে সদগতি করবে কাদের। তিনিই হলেন গুরু যিনি সদগতি প্রদান করেন, দুঃখের দুনিয়ার
থেকে শান্তিধাম নিয়ে যান। খ্রাইস্ট ইত্যাদি গুরু নয়, তিনি হলেন কেবল ধর্ম স্থাপক।
তাদের অন্য কোনও পজিশন নেই। পজিশন তো তাদের হয় যারা সর্বপ্রথমে সতোপ্রধান, তারপর সতঃ,
রজঃ, তমঃ-তে আসে। তারা তো কেবল নিজের ধর্ম স্থাপন করে পুনর্জন্ম নিতে থাকবে। যখন
সবার তমোপ্রধান অবস্থা হয় তখন বাবা এসে পবিত্র বানিয়ে নিয়ে যান। পবিত্র হলে পতিত
দুনিয়ায় থাকতে পারবে না। পবিত্র আত্মারা চলে যাবে মুক্তিতে, তারপরে জীবনমুক্তি তে
আসবে। বলাও হয়, তিনি হলেন লিব্রেটর (উদ্ধারকর্তা), গাইড কিন্তু এই কথার অর্থ বোঝে
না। অর্থ বুঝলে তো তাঁকেই জেনে যাবে। সত্যযুগে ভক্তি মার্গের শব্দ গুলিও বন্ধ হয়ে
যায়।
এইসবও ড্রামাতে পূর্ব
নির্ধারিত রয়েছে যে সবাই নিজের-নিজের পার্ট প্লে করতে থাকে। একজনও সদগতি প্রাপ্ত
করে না। এখন তোমরা এই জ্ঞান প্রাপ্ত করছো। বাবাও বলেন আমি প্রতি কল্পে কল্পে,
কল্পের সঙ্গমযুগে আসি। । একেই বলা হয় কল্যাণকারী সঙ্গমযুগ, অন্য কোনও যুগ কল্যাণকারী
নয়। সত্যযুগ এবং ত্রেতার সঙ্গমের কোনও গুরুত্ব নেই। সূর্যবংশী অতীত হলে চন্দ্রবংশী
রাজ্য চলে। তারপরে চন্দ্রবংশী থেকে বৈশ্যবংশী হবে তখন চন্দ্রবংশী অতীতে পরিণত হবে।
তার পরে কি হবে, সেসব জানা নেই। চিত্র ইত্যাদি থাকে তাই বুঝবে এই সূর্যবংশী আমাদের
অগ্রজ ছিলেন, এরা চন্দ্রবংশী ছিল। তারা মহারাজা, এরা রাজা, তারা বিত্তবান ছিল। তারা
তবুও ফেল তো করেছে তাইনা। এইসব কথা কোনও শাস্ত্রে লেখা নেই। এখন বাবা বসে বোঝাচ্ছেন।
সবাই বলে আমাদের লিবারেট করো, পতিত থেকে পবিত্র করো। সুখের বিষয়ে বলবে না, কারণ
সুখের বিষয়ে নিন্দে করা হয়েছে শাস্ত্রে। সবাই বলবে মনের শান্তি কীভাবে পাওয়া যায়?
এখন তোমরা বাচ্চারা জানো তোমরা সুখ-শান্তি দুই-ই প্রাপ্ত করো, যেখানে শান্তি আছে
সেখানে সুখ আছে। যেখানে অশান্তি আছে, সেখানে দুঃখ আছে। সত্যযুগে সুখ-শান্তি আছে,
এখানে দুঃখ-অশান্তি আছে। এই কথা বাবা বসে বোঝান। তোমাদেরকে মায়া রাবণ কতখানি তুচ্ছ
বুদ্ধিতে পরিণত করেছে, এও ড্রামা ফিক্স আছে। বাবা বলেন আমিও ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ।
আমার পার্টও বর্তমানে আছে যা এখন প্লে করছি। বলাও হয় বাবা কল্প-কল্প আপনি এসে
ভ্রষ্টাচারী পতিত থেকে শ্রেষ্ঠাচারী পবিত্র করেন। ভ্রষ্টাচারী হয়েছ রাবণ দ্বারা।
এখন বাবা এসে মানুষ থেকে দেবতা করেন। এই যে গায়ন আছে তার অর্থ বাবা এসে বোঝান। ওই
অকাল তখতে বসেও তারা এর অর্থ বোঝে না। বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন - আত্মারা হল
অকালমূর্ত। আত্মার এই শরীর হল রথ, সেই রথে অকাল অর্থাৎ যাকে কাল গ্রাস করতে পারেনা,
সেই আত্মা বিরাজিত থাকে। সত্যযুগে তোমাদের কাল গ্রাস করবে না। অকালে মৃত্যু কখনও হবে
না। ওটা হলো অমরলোক, এটা হলো মৃত্যুলোক। অমরলোক, মৃত্যুলোকের অর্থ কেউ বোঝে না। বাবা
বলেন আমি তোমাদের খুব সিম্পল করে বোঝাই - শুধু মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমরা
পবিত্র হয়ে যাবে। সাধু সন্ন্যাসী ইত্যাদি গান করে পতিত-পাবন...পতিত-পাবন বাবাকেই
আহ্বান করে, যেখানে যাও সেখানে নিশ্চয়ই বলবে পতিত-পাবন ... সত্য কখনও ঢাকা থাকে না।
তোমরা জানো এখন পতিত-পাবন বাবা এসেছেন। আমাদের পথ বলে দিচ্ছেন। কল্প পূর্বেও
বলেছিলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে মামেকম্ স্মরণ করো তো তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে।
তোমরা সবাই হলে প্রেমিকা আমি প্রেমিক। তারা প্রেমিক-প্রেমিকা হয় এক জন্মের জন্য,
তোমরা হলে জন্ম জন্মান্তরের প্রেমিকা। স্মরণ করতে থাকো হে প্রভু। একমাত্র পিতা
প্রদান করেন তাইনা। বাচ্চারা সবকিছু বাবার কাছেই চাইবে। আত্মা যখন দুঃখে থাকে তখন
বাবাকেই স্মরণ করে। সুখের সময় কেউ স্মরণ করে না, দুঃখে সবাই স্মরণ করে - বাবা এসে
সদ্গতি দাও। যেমন গুরুর কাছে গিয়ে চায়, আমাদের সন্তান দাও। আচ্ছা, সন্তান প্রাপ্তি
হলে খুব খুশী। না হলে বলবে ঈশ্বরের ইচ্ছা। ড্রামার কথা তো বোঝে না। যদি ড্রামা বলো
তাহলে তো সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা উচিত। তোমরা ড্রামাকে জানো, অন্য কেউ জানেনা। না কোনও
শাস্ত্রে আছে। ড্রামা অর্থাৎ ড্রামা। ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান থাকা উচিত। বাবা
বলেন আমি ৫-৫ হাজার বছর পরে আসি। এই ৪-টি যুগ হলো সমানান্তর। স্বস্তিকা চিহ্নটির
গুরুত্ব অনেক, তাইনা। যারা হিসেবের খাতা তৈরি করে তাতে স্বস্তিকা চিহ্নটি অবশ্যই
বানায়। এও তো একরকমের হিসেবের খাতা, তাইনা। আমাদের কিসে লাভ হয়, কিসে ক্ষতি কীভাবে
জানবে। ক্ষতি হতে হতে এখন সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। এ হল হার-জিতের খেলা। টাকা আছে আর
সুস্বাস্থ্য আছে তবেই সুখ আছে, টাকা নেই স্বাস্থ্য নেই তো সুখও নেই। তোমাদের
হেল্থ-ওয়েল্থ দুটোই প্রদান করি। তাহলে হ্যাপিনেস তো থাকবেই।
যখন কেউ শরীর ত্যাগ
করে তখন মুখে বলে অমুক স্বর্গে গেছে। কিন্তু মনে দুঃখ থাকে। এতে তো আরও খুশী হওয়া
উচিত তাহলে তাদের আত্মাকে নরকে আহ্বান করো কেন ? কিছুই বোধ নেই। এখন বাবা এসে এই সব
কথা বোঝাচ্ছেন। বীজ এবং বৃক্ষের রহস্য বোঝাচ্ছেন। এমন বৃক্ষ অন্য কেউ বানাতে পারেনা।
এই রচনাটি এনার নয়। এনার কোনও গুরু নেই। যদি থাকতো তাহলে আরও শিষ্য থাকতো তাইনা।
মানুষ ভাবে এনাকে কোনও গুরু এই শিক্ষা দিয়েছে অথবা বলে পরমাত্মার শক্তি প্রবেশ করেছে।
আরে, পরমাত্মার শক্তি কীভাবে প্রবেশ করবে ! বেচারা মানুষরা কিছুই জানে না। বাবা নিজে
বলেন, আমি বলেছিলাম আমি সাধারণ বৃদ্ধ দেহে আসি, এসে তোমাদের পড়াই। ইনিও শোনেন,
অ্যাটেনশন তো আমার দিকেই থাকে। ইনিও হলেন স্টুডেন্ট। ইনি নিজেকে অন্য কিছু বলে
পরিচয় দেন না। প্রজাপিতা তিনিও হলেন স্টুডেন্ট। যদিও ইনি বিনাশও দেখেছেন কিন্তু কিছু
বোঝেন নি। ধীরে-ধীরে বুঝেছেন। যেমন তোমরা বুঝতে পেরেছো। বাবা তোমাদের বোঝান,
মধ্যিখানে ইনিও বোঝেন, পড়া পড়তে থাকেন। প্রত্যেকটি স্টুডেন্ট পুরুষার্থ করবে পড়াশোনা
করার। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর তো হলেন সূক্ষ্মবতনবাসী। তাঁদের পার্ট কি, তা কেউ জানে
না। বাবা প্রতিটি কথা নিজে থেকেই বোঝান। তোমরা কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারো না।
উপরে হলেন শিব পরমাত্মা তারপরে হলেন দেবতারা, তাদের মিক্স করবে কীভাবে। এখন তোমরা
বাচ্চারা জানো, বাবা এনার মধ্যে এসে প্রবেশ করেন, তাই বলা হয় বাপদাদা। বাবা আলাদা,
দাদা আলাদা। বাবা হলেন শিব, দাদা হলেন ব্রহ্মা। উত্তরাধিকার শিববাবার কাছে প্রাপ্ত
হয় ব্রহ্মাবাবা দ্বারা। ব্রহ্মার সন্তান হল ব্রাহ্মণ। বাবা দত্তক নিয়েছেন ড্রামার
প্ল্যান অনুযায়ী। বাবা বলেন নম্বর ওয়ান ভক্ত হলেন ইনি। ৮৪ জন্ম নিয়েছেন। শ্যাম ও
গৌর বর্ণ এনাকেই বলা হয়। কৃষ্ণ সত্যযুগে গৌর বর্ণ ছিল, কলিযুগে শ্যাম বর্ণ হয়েছে।
পতিত হয়েছে না, পরে পবিত্র হয়। তোমরাও এমনই হও। এটা হলো আয়রন এজেড ওয়ার্ল্ড, ওটা হলো
গোল্ডেন এজেড ওয়ার্ল্ড। সিঁড়ির কথা কারো জানা নেই। যারা পরে আসে তারা ৮৪ জন্ম নেয়
না। তারা অবশ্যই কম জন্ম নেবে তাই সিঁড়িতে তাদের দেখানো হবে কীভাবে। বাবা বুঝিয়েছেন
- সবচেয়ে বেশি জন্ম কে নেবে? সবচেয়ে কম জন্ম কে নেবে? এই হল নলেজ। বাবা হলেন
নলেজফুল, পতিত-পাবন। আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ শোনাচ্ছেন। তারা সবাই নেতি-নেতি বলে গেছে।
নিজের আত্মার বিষয়েই কিছু নলেজ নেই তো বাবার সম্বন্ধে কীভাবে জানবে ? শুধুমাত্র
বলার বলে দেয়, আত্মা কি, সেসব জানেনা। তোমরা এখন জানো আত্মা হল অবিনাশী, তাতে ৮৪
জন্মের অবিনাশী পার্ট ফিক্স আছে। এত সূক্ষ্ম আত্মায় কত পার্ট ফিক্স আছে, যারা ভালো
রীতি শোনে ও বোঝে তাদের বলা হয় কাছের আত্মা। বুদ্ধিতে ধারণ না হলে বলা হয় দেরি করে
আসবে। জ্ঞান শোনাবার সময় নাড়ি দেখতে হয়। যারা বোঝায় তারাও হল নম্বর অনুযায়ী, তাইনা।
তোমাদের এ হল পড়াশোনা, রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। কেউ উঁচু থেকে উঁচু রাজার পদ মর্যাদা
প্রাপ্ত করে, কেউ তো প্রজায় গিয়ে চাকর বাকর হয়। যদিও হ্যাঁ, সত্যযুগে কোনও দুঃখ থাকে
না। একেই বলা হয় সুখধাম, স্বর্গ। অতীত হয়েছে তাই জন্য সবাই স্মরণ করে তাইনা। মানুষ
ভাবে স্বর্গ হয়তো উপরে ছাতে আছে। দিলওয়ারা মন্দিরে তোমাদের সম্পূর্ণ স্মরণিক
উপস্থিত রয়েছে। আদি দেব ও আদি দেবী এবং বাচ্চারা নীচে যোগে বসে আছে। উপরে রাজত্ব
রয়েছে। মানুষ তো দর্শন করবে, টাকা রাখবে। বুঝবে কিছুই না। তোমরা বাচ্চারা জ্ঞানের
তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত কর, তোমরা সবচেয়ে প্রথমে তো পিতার বায়োগ্রাফি জেনেছো আর কি চাই।
পিতাকে জানলেই সমস্ত কিছু বোধগম্য হয়ে যায়। অতএব খুশী অনুভব হওয়া উচিত। তোমরা জানো
এখন আমরা সত্যযুগে গিয়ে সোনার মহল তৈরি করব , রাজত্ব করব। যারা সার্ভিসেবল বাচ্চারা
আছে তাদের বুদ্ধিতে থাকবে এ হল স্পিরিচুয়াল নলেজ), যা আত্মিক স্পিরিচুয়াল ফাদার
প্রদান করেন।স্পিরিচুয়াল ফাদার বলা হয় আত্মাদের পিতাকে। তিনি-ই হলেন সদগতি দাতা।
সুখ-শান্তির উত্তরাধিকার দেন। তোমরা বোঝাতে পারো এই সিঁড়ি হল ভারতবাসীদের, যারা ৮৪
জন্ম নেয়। তোমরা আসো অর্ধেকে তো তোমাদের ৮৪ জন্ম হবে কীভাবে? সবচেয়ে বেশি জন্ম হয়
আমাদের। এই কথাটি খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। মুখ্য কথা হল পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার
জন্য বুদ্ধিযোগ লাগাতে হবে। পবিত্র হওয়ার প্রতিজ্ঞা করে যদি পতিত হও তাহলে হাড় ভেঙে
যাবে, পাঁচ তলা থেকে নীচে পড়লে যা অবস্থা হয়। বুদ্ধি হয়ে যাবে ম্লেচ্ছদের মতন, মনে
অনুশোচনা হতে থাকবে। মুখে কথা বেরোবে না তাই বাবা বলেন সাবধান থাকো। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
ড্রামাকে যথার্থ ভাবে বুঝে মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত হতে হবে। নিজেকে অকাল মূর্তি
আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করে পবিত্র হতে হবে।
২ ) সত্যিকারের
পয়গম্বর এবং ম্যাসেঞ্জার হয়ে সবাইকে শান্তিধাম, সুখধামের পথ বলে দিতে হবে। এই
কল্যাণকারী সঙ্গম যুগে সব আত্মাদের কল্যাণ করতে হবে।
বরদান:-
বাবা
আর সেবার স্মৃতির দ্বারা একরস স্থিতির অনুভবকারী সর্ব আকর্ষণমুক্ত ভব
যেরকম সার্ভেন্টের
সর্বদা সেবা আর মাস্টার স্মরণে থাকে। এইরকম ওয়ার্ল্ড সার্ভেন্ট, সত্যিকারের সেবাধারী
বাচ্চাদেরকেও বাবা আর সেবা ছাড়া কিছুই স্মরণে থাকে না, এর দ্বারাই একরস স্থিতিতে
থাকার অনুভব হয়। তাদের কাছে এক বাবার রস ছাড়া বাকি সব রসই নীরস লাগে। এক বাবার রসের
অনুভব হওয়ার কারণে অন্য কোথাও আকর্ষণ যায় না, এই একরস স্থিতির তীব্র পুরুষার্থীই
সর্ব আকর্ষণ থেকে মুক্ত বানিয়ে দেয়। এটাই হল শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য।
স্লোগান:-
বিপরীত
পরিস্থিতির পরীক্ষাতে পাস হতে হবে তাই নিজের নেচারকে শক্তিশালী বানাও।
অব্যক্ত ঈশারা -
সত্যতা আর সভ্যতা রূপী কালচারকে ধারণ করো
যখনই কোনও অসত্য কথা
দেখছো, শুনছো তো অসত্য কথা বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে দিও না। কেউ বলে এটা পাপ কর্ম তাই না,
পাপ কর্ম দেখা যায় না কিন্তু বায়ুমন্ডলে অসত্য কথা ছড়িয়ে দেওয়া, এটাও তো হল পাপ।
লৌকিক পরিবারেও যদি এরকম কথা দেখা বা শোনা যায় তো তাকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় না। কানে শোনা
আর হৃদয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। যদি কেউ ব্যর্থ কথা ছড়িয়ে দেয় তো এই ছোটো ছোটো পাপ উড়ন্ত
কলার অনুভবকে সমাপ্ত করে দেয়, এইজন্য এই কর্মের গুহ্য গতিকে বুঝে যথার্থ রূপে
সত্যতার শক্তি ধারণ করো।