04.09.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা অসীম জগতের বাবার কাছে এসেছো বিকারী থেকে নির্বিকারী হওয়ার জন্য, সেইজন্য তোমাদের মধ্যে কোনো ভূত (বিকার) থাকা উচিত নয়"

প্রশ্নঃ -
বাবা তোমাদের এখন এমন কোন্ ধরনের পড়াশুনা করাচ্ছেন যা সমস্ত কল্পেও পড়ানো হয় না?

উত্তরঃ  
নূতন রাজধানী স্থাপন করার পাঠ, মানুষকে রাজ্য পদ দেওয়ার পাঠ, এই সময় সুপ্রিম বাবা-ই পড়ান। এই নূতন পাঠ সমগ্র কল্পতে পড়ানো হয় না। এই পড়াশোনার দ্বারা সত্যযুগী রাজধানী স্থাপন হচ্ছে।

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এটা তো জানে যে আমি হলাম আত্মা, শরীর নই। একে বলা হয় দেহী- অভিমানী। এটা হলোই তো পাপ আত্মাদের দুনিয়া বা বিকারী দুনিয়া। রাবণ রাজ্য। সত্যযুগ পাস্ট হয়ে গেছে। ওখানে সবাই ছিলো নির্বিকারী। বাচ্চারা জানে - আমরাই ছিলাম পবিত্র দেবী-দেবতা, যারা কিনা ৮৪ জন্মের পরে আবার পতিত হয়েছি। সকলে তো ৮৪ জন্ম নেয় না। ভারতবাসীই দেবী-দেবতা ছিল, যারা ৮২, ৮৩, ৮৪ জন্ম নিয়েছে। তারাই পতিত হয়েছে। অবিনাশী ভূমি হিসেবে ভারতই গৌরবান্বিত হয়েছে। ভারতে যখন লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো তখন এমন নূতন দুনিয়া, নূতন ভারত বলা হতো। এখন হলো পুরানো দুনিয়া, পুরানো ভারত। সে তো ছিলো সম্পূর্ণ নির্বিকারী, কোনো বিকার ছিলো না। সেই দেবতারাই ৮৪ জন্ম নিয়ে এখন পতিত হয়েছে। কাম-এর ভূত, ক্রোধের ভূত, লোভের ভূত - এই সব কড়া ভূত বা বিকার রয়েছে । এর মধ্যে মুখ্য হলো দেহ-অভিমানের ভূত। রাবণের রাজ্য যে। ভারতের অর্ধ-কল্পের শত্রু হলো এই রাবণ, যখন মানুষের মধ্যে ৫ বিকার প্রবেশ করে। এই দেবতাদের মধ্যে এসব ভূত ছিলো না। এরপর পুনর্জন্ম নিতে নিতে এদের আত্মাও বিকারী হয়ে গেছে। তোমরা জানো যে, আমরা যখন দেবী-দেবতা ছিলাম তখন কোনোই বিকারের ভূত ছিলো না। সত্যযুগ-ত্রেতাকে বলা হয় রাম রাজ্য, দ্বাপর-কলিযুগকে বলা হয় রাবণ রাজ্য। এখানে প্রত্যেক নর-নারীর মধ্যে ৫ বিকার আছে। দ্বাপর থেকে কলিযুগ পর্যন্ত ৫ বিকার চলতে থাকে। এখন তোমরা পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে বসে আছো। অসীম জগতের পিতার কাছে এসেছো বিকারী থেকে নির্বিকারী হতে। কেউ যদি নির্বিকারী হওয়ার পর বিকারের অধোগতিতে নেমে আসে তখন বাবা লেখেন- তুমি মুখ কালো করেছো বা কলঙ্কিত হয়েছো, এখন মুখ পরিচ্ছন্ন করা মুশকিল। ৫ তলা থেকে পড়ে গেলে যেমন হয়। হাড় ভেঙে যায়। গীতাতেও আছে ভগবানুবাচ - কাম হলো মহাশত্রু। বাস্তবিক ভাবে ভারতের ধর্ম শাস্ত্র হলোই গীতা। প্রত্যেক ধর্মের একটাই শাস্ত্র। ভারতবাসীর তো প্রচুর শাস্ত্র আছে। ওকে বলা হয় ভক্তি। নূতন দুনিয়া হলো সতোপ্রধান গোল্ডেন এজ, ওখানে কোনো লড়াই ঝগড়া ছিলো না। সকলের দীর্ঘ আয়ু ছিলো, এভার হেল্দি-ওয়েল্দী (স্বাস্থ্য- সম্পদ পূর্ণ) ছিলো। তোমাদের মনে পড়ে গেছে যে আমরাই সুখী ছিলাম। সেখানে অকাল মৃত্যু হয় না। মৃত্যুর ভয় থাকে না। সেখানে হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেস (স্বাস্থ্য,সম্পদ, খুশী) সব থাকে। নরকে হ্যাপিনেস হয় না। শরীরের রোগ কিছু না কিছু লেগে থাকে। এটা হলো অপার দুঃখের দুনিয়া। ওটা হলো অপার দুঃখের দুনিয়া। অসীম জগতের পিতা তো আর দুঃখের দুনিয়া রচনা করবেন না! বাবা তো সুখের দুনিয়া রচনা করেন। আবার রাবণ রাজ্য এলে সেখানে দুঃখ, অশান্তি পাওয়া যায়। সত্যযুগ হলো সুখধাম, কলিযুগ হলো দুঃখধাম। বিকার যুক্ত হওয়া মানে কাম-কাটারি চালানো। মানুষ তো বলে, এটা তো ভগবানের রচনা। কিন্তু না, ভগবানের রচনা নয়, এটা হলো রাবণের রচনা। ভগবান তো স্বর্গ রচনা করেছেন। সেখানে কাম-কাটারি হয় না। ভগবান দুঃখ-সুখ দেন - এরকম নয়। আরে, ভগবান হলেন অসীম জগতের পিতা, তিনি বাচ্চাদের দুঃখ দেবেন কীভাবে। উনি বলেন আমি সুখের উত্তরাধিকার দিই আবার অর্ধ-কল্প পরে রাবণ অভিশপ্ত করে দেয়। সত্যযুগে সুখ ছিলো অপার, ঐশ্বর্যে ভরপুর ছিলো। একই সোমনাথ মন্দিরে কতো হীরে-জহরত ছিলো। ভারত কতো সলভেন্ট (স্বয়ম্ভর, বিত্তশালী) ছিলো। এখন তো ইনস্যালভেন্ট (দেউলিয়া)। সত্যযুগে একশো ভাগ সলভেন্ট, কলিযুগে একশভাগ ইনসলভেন্ট- এই খেলা নির্ধারিত। এখন হলো আয়রন এজ, খাদ পড়তে পড়তে একদম তমোপ্রধান হয়ে গেছে। কতো দুঃখ এখানে । এই এয়ারোপ্লেন ইত্যাদিও ১০০ বছরে তৈরী হয়েছে। একে বলা হয় মায়ার আড়ম্বর। তাই মানুষ মনে করে সায়েন্স তো স্বর্গ তৈরী করে দিয়েছে। কিন্তু এটা হলো রাবণের স্বর্গ। কলিযুগে মায়ার দম্ভ দেখে তোমাদের কাছে সমস্যা আসে। মনে করে আমাদের কাছে তো গাড়ি বাড়ি সব আছে। বাবা বলেন স্বর্গ তো সত্যযুগকে বলা হয়, যখন এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো। এখন কি আর এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য আছে ! এখন কলিযুগের পরে আবার এনাদের রাজত্ব শুরু হবে। ভারত প্রথমে অনেক ছোট ছিলো। নূতন দুনিয়াতে হয়েই থাকে ৯ লক্ষ দেবতারা। ব্যাস্। শেষের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সমগ্র সৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে থাকে যে । প্রথম দিকে শুধুমাত্র দেবী-দেবতারা ছিলো। অসীম জগতের পিতা ওয়ার্ল্ডের সেই হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি বসে বোঝান। বাবা ব্যতীত আর কেউ বলতে পারে না। ওঁনাকে বলা হয় নলেজফুল গড ফাদার। সমস্ত আত্মাদের ফাদার। আত্মারা সবাই হলো ভাই-ভাই, এরপর ভাই-বোন হয়ে ওঠে। তোমরা সকলেই হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মার অ্যাডপ্টেড (পালিত) চিলড্রেন । সকল আত্মারা হলো তাঁরই তো সন্তান। ওঁনাকে বলা হয় পরমপিতা, ওঁনার নাম হলো শিব। ব্যস্। বাবা বোঝান - আমার একটিই নাম, তা হলো শিব। ভক্তি মার্গে মানুষ আবার অনেক মন্দির তৈরী করে অনেক নাম রেখে দিয়েছে। ভক্তির সামগ্রী কতো শত রয়েছে । সে সবকে পড়াশুনা বলা হবে না। তাতে এইম অবজেক্ট কিছুই নেই। তা হলো নীচে নেমে যাওয়ার। নীচে নামতে নামতে তমোপ্রধান হয়ে যায়, আবার সতোপ্রধান হতে হবে সকলকে। তোমরা সতোপ্রধান হয়ে স্বর্গে যাবে, এছাড়া সকলে সতোপ্রধান ভাবে শান্তিধামে থাকবে। এটা ভালো করে স্মরণ করো। বাবা বলেন তোমরা আমাকে ডেকেছো- বাবা, পতিত হয়ে যাওয়া আমাদেরকে - এসে পবিত্র করো, তাই এখন আমি সমগ্র দুনিয়াকে পবিত্র করে তুলতে এসেছি। মানুষ মনে করে গঙ্গা-স্নান করলে পবিত্র হয়ে যাবে। গঙ্গাকে পতিত-পাবনী মনে করে। কুয়োর থেকে জল বের হয়ে, সেটাকেও গঙ্গা জল মনে করে স্নান করে। গুপ্ত গঙ্গা মনে করে। তীর্থ যাত্রাতে বা কোনো পাহাড়ীতে গেলে, সেটাকেও গুপ্ত গঙ্গা বলে। একে বলে মিথ্যা। গড ইজ ট্রুথ (ঈশ্বর সত্য) বলা হয়। এছাড়া রাবণ রাজ্যে সব মিথ্যা বলার। গড ফাদারই সত্য-ভূমি স্থাপন করেন। সেখানে মিথ্যার কোনো কিছুই থাকে না। দেবতাদের ভোগও শুদ্ধ নিবেদিত হয়। এখন তো হলো আসুরী রাজ্য, সত্যযুগ ত্রেতাতে হলো ঈশ্বরীয় রাজ্য, যা এখন স্থাপন হচ্ছে। ঈশ্বর এসেই সবাইকে পবিত্র করেন। দেবতাদের মধ্যে কোনো বিকার হয় না। যেমন রাজা-রাণী তেমন প্রজা সবাই পবিত্র হয়। এখানে সবাই পাপী, কামুক, ক্রোধী। নূতন দুনিয়াকে স্বর্গ আর একে নরক বলা হয়। বাবা ব্যতীত নরককে স্বর্গে পরিণত করতে কেউ পারবে না। এখানে সবাই হলো নরকবাসী পতিত। ওখানে এরকম বলবে না যে আমরা পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য স্নান করতে যাই। এটা হলো মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ। বীজরূপ হলেন ভগবান। উনিই রচনা রচয়িত করেন। সর্বপ্রথম রচনা করেন দেবী-দেবতাদের। এরপর বৃদ্ধি পেতে পেতে এতো ধর্ম হয়ে যায়। প্রথমে এক ধর্ম এক রাজ্য ছিলো। সুখ আর সুখ ছিলো। মানুষ চায়ই বিশ্বে শান্তি আসুক। সেটা এখন তোমরা স্থাপন করছো। এছাড়া সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর কিছু থাকবে। এই চক্র আবর্তিত হতে থাকে। এখন হলো কলিযুগের শেষ আর সত্যযুগ ইত্যাদির পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। একে বলা হয় কল্যাণকারী পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। কলিযুগের পরে সত্যযুগ স্থাপন হচ্ছে। তোমরা সঙ্গম যুগে পড়াশুনা করো এর ফল সত্যযুগে প্রাপ্তি হয়। এখানে যত পবিত্র হবে আর পড়াশুনা করবে ততোই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। এইরকম পড়াশুনা কোথাও হয় না। তোমাদের এই পড়াশুনার সুখ নূতন দুনিয়াতে প্রাপ্ত হবে। যদি কোনো ভূত (বিকার) হয়, এক তো শাস্তি পেতে হবে, দ্বিতীয়ত আবার ওখানে কম পদ প্রাপ্ত হবে। কতো সেন্টর্ রয়েছে, লক্ষ-লক্ষ সেন্টার হয়ে যাবে। সমগ্র বিশ্বে সেন্টর্স খুলে যাবে। পাপ আত্মা থেকে পুণ্য আত্মা হতেই হবে। তোমাদের এইম অবজেক্টও রয়েছে । পড়ানোর জন্য এক শিববাবা রয়েছেন । উনি হলেন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। বাবা এসেই পড়ান। ইনি (ব্রহ্মা) পড়ান না, এনার দ্বারা পড়ান। এনাকে বলা হয় ভগবানের রথ। তোমাদের কত লক্ষ কোটি গুণ ভাগ্যশালী তৈরী করেন। তোমরা অনেক বিত্তশালী হও। কখনো রোগগ্রস্ত হও না। হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেস সব প্রাপ্ত হয়। এখানে যদিও ধন থাকে কিন্তু রোগ ইত্যাদিও আছে। সেই হ্যাপিনেস থাকে না। কিছু না কিছু দুঃখ থাকে। তার তো নামই হলো সুখধাম, স্বর্গ, প্যারাডাইস। এই যে লক্ষ্মী-নারায়ণ তাদের এই রাজ্য কে দিয়েছে? এটা কেউ জানে না। এরা ভারতে ছিলো। বিশ্বের মালিক ছিলো। কোনো পার্টিশন ছিলো না। এখন তো কতো পার্টিশন। রাবণ রাজ্য। কতো টুকরো-টুকরো হয়ে গেছে। লড়াই লেগে থাকে। ওখানে তো সমগ্র ভারতে এই দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিলো। ওখানে উপদেষ্টা ইত্যাদি থাকে না। এখানে তো কতো উপদেষ্টা আছে কারণ হলো বুদ্ধিহীনতা। তো উপদেষ্টাও সেরকম পতিত। পতিত পতিতকেই আকৃষ্ট করে, কর ‌আর ঋণে ডুবে যায়...। কাঙ্গাল হয়ে যায়, ধারে ডুবে যায়। সত্যযুগে তো চাল-ডাল-আটা, ফল ইত্যাদি খুব সুস্বাদু। তোমরা ওখানে গিয়ে সব অনুভব করে আসো। সূক্ষ্মবতনে গেলে তো স্বর্গেও যাবে। বাবা বলেন সৃষ্টিচক্র কিভাবে আবর্তিত হয়। ভারতে প্রথমে একই দেবী-দেবতা ধর্ম ছিলো। দ্বিতীয় কোনো ধর্ম ছিলো না। এরপর দ্বাপরে রাবণ রাজ্য শুরু হয়। এখন হলো বিকারী দুনিয়া আবার তোমরা পবিত্র হয়ে নির্বিকারী দেবতা হও। এটা হলো স্কুল। ভগবানুবাচ আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছি। তোমরা ভবিষ্যতে এরকম হবে। রাজ্য-ভাগ্যের পড়াশুনা আর কোথাও প্রাপ্ত হবে না। বাবা-ই পড়াশুনা করিয়ে নূতন দুনিয়ার রাজধানী দেন। সুপ্রিম ফাদার, টিচার, সদ্গুরু হলেন একই শিববাবা। বাবা মানে অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া উচিত। ভগবান অবশ্যই স্বর্গের উত্তরাধিকার দেবেন। রাবণ, যাকে প্রতি বছর জ্বালানো হয়, এ হলো ভারতের নম্বর ওয়ান শত্রু। রাবণ কিরকম অসুর বানিয়ে দিয়েছে ! এর রাজ্য ২৫০০ বছর চলে। বাবা তোমাদের বলেন, আমি তোমাদের সুখধামের মালিক করি। রাবণ তোমাদের দুঃখধামে নিয়ে যায়। তোমাদের আয়ুও কম হয়ে যায়। হঠাৎ করে অকালে মৃত্যু হয়ে যায়। অনেক রোগ হতে থাকে। ওখানে এরকম কোনো ব্যাপার থাকে না। নামই হলো স্বর্গ। মানুষ এখন নিজেকে হিন্দু বলতে থাকে, কারণ পতিত হয়েছে, দেবতা বলার যোগ্য নেই। বাবা এই রথ দ্বারা বসে বোঝাচ্ছেন, এই আত্মার পাশে বসেন তোমাদের পড়নোর জন্য। তাই ইনিও অধ্যয়ন করেন। আমরা সকলে হলাম স্টুডেন্ট। এক বাবা হলেন টিচার। এখন বাবা পড়াচ্ছেন । আবার ৫ হাজার বছর পরে এসে পড়াবেন। এই জ্ঞান, এই পড়াশুনা আবার বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পড়াশুনা করে তোমরা দেবতা হলে, ২৫০০ হাজার বছর আবার সুখের উত্তরাধিকার নিয়েছো, আবার দুঃখ এলো, রাবণের অভিশাপও শুরু । এখন ভারত খুবই দুঃখী। এটা হলো দুঃখধাম। মানুষ তাই ডাকে - পতিত-পাবন এসো, এসে পবিত্র করো। এখন তোমাদের মধ্যে কোনোই বিকার থাকতে নেই, কিন্তু অর্ধ- কল্পের রোগ কেউ কি আর তাড়াতাড়ি বের করে দিতে পারে! ওই পড়াশুনাতেও যে ভালো ভাবে পড়ে না, সে ফেল করে। যে পাশ উইথ অনার হয় সে তো স্কলারশিপ নেয়। তোমাদের মধ্যে যে ভালো ভাবে পবিত্র হয় আর তারপর অপরকে পবিত্র করে, সে প্রাইজ নেয়। মালা হয় ৮ এর। তারা হলো পাশ উইথ অনার। এরপর ১০৮ এর মালাও হয়ে থাকে, সেই মালাও জপ হয়। মানুষ এই রহস্য কি আর বোঝে! মালার উপরে আছে ফুল তারপর হলো ডবল দানা মেরু। স্ত্রী আর পুরুষ দুজনে পবিত্র হয়। তারা তো পবিত্র ছিলেন । তাদের স্বর্গবাসী বলা হতো। এই আত্মাই পুনর্জন্ম নিতে নিতে এখন পতিত হয়ে গেছে। আবার এখান থেকে পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়াতে যাবে। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি রিপিট হয় । বিকারী রাজা নির্বিকারী রাজাদের মন্দির ইত্যাদি তৈরী করে তাদের পূজা করে। তারাই আবার পূজ্য থেকে পূজারী হয়ে যায়। বিকারী হওয়াতে আবার সেই লাইটের মুকুটও থাকে না। এই খেলা পূর্বনির্ধারিত। এটা হলো অসীম জগতের ওয়ান্ডারফুল ড্রামা। প্রথমে একই ধর্ম হয়ে থাকে, যাকে রাম রাজ্য বলা হয়, তারপর আরো আরো ধর্মের লোক আসে। এই সৃষ্টির চক্র কি ভাবে আবর্তিত হতে থাকে সেটা একমাত্র বাবা-ই বোঝাতে পারেন। ভগবান তো হলেন একই। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) ভগবান স্বয়ং টিচার হয়ে পড়ান, সেইজন্য তিনি খুব ভালো ভাবে পড়ান। স্কলারশিপ নেওয়ার জন্য পবিত্র হয়ে অন্যদের পবিত্র বানানোর সেবা করতে হবে।

২ ) ভিতরে ভিতরে কাম, ক্রোধ, ইত্যাদির যা কিছু ভূত প্রবেশ করে রয়েছে, সে সব বের করে দিতে হবে। এইম-অবজেক্টকে সামনে রেখে পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদান:-
মায়ার ছায়া থেকে বেরিয়ে স্মরণের ছত্রছায়ায় থাকা নিশ্চিন্ত বাদশাহ ভব

যারা সদা বাবার স্মরণের ছত্রছায়ার নীচে থাকে তারা নিজেকে সদা সেফ অনুভব করে। মায়ার ছায়ার থেকে বাঁচার সাধন হলো বাবার ছত্রছায়া। ছত্রছায়ার নীচে থাকা আত্মারা সদা নিশ্চিন্ত বাদশাহ হবে। যদি কোনও চিন্তা থাকে তাহলে খুশী হারিয়ে যায়। খুশী হারিয়ে গেলে, দুর্বল হয়ে গেলে তো মায়ার ছায়ার প্রভাব পড়ে যায়। কেননা দুর্বলতাই মায়াকে আহ্বান করে। স্বপ্নেও যদি মায়ার ছায়া পড়ে তাহলে ভয়ানক অতিষ্ট করে তোলে। সেইজন্য সদা ছত্রছায়ার নীচে থাকাে।

স্লোগান:-
বোধ-এর স্ক্রু ড্রাইভার দ্বারা অলসতার লুজ্ স্ক্রুকে টাইট করে সদা অ্যালার্ট থাকো।