04.10.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা যত যত বাবাকে ভালোবেসে স্মরণ করবে, ততই আশীর্বাদ প্রাপ্ত করবে, পাপ খন্ডন হতে থাকবে"

প্রশ্নঃ -
বাবা বাচ্চাদেরকে কোন্ ধর্মে স্থিত হওয়ার মত প্রদান করেন?

উত্তরঃ  
বাবা বলেন বাচ্চারা - তোমরা চিত্রের ধর্মে নয়, নিজের বিচিত্রতার ধর্মে স্থিত হও। বাবা যেমন বিদেহী, বিচিত্র, সেই রকম বাচ্চারাও হলো বিচিত্র, তারপর এখানে চিত্রে (শরীরে) আসে। এখন বাবা বাচ্চাদের বলেন, বাচ্চারা বিচিত্র হও, নিজেদের স্বধর্মে স্থিত হও। দেহ-অভিমানে এসো না।

প্রশ্নঃ -
কোন্ ব্যাপারে ভগবানও ড্রামা অনুসারে আবদ্ধ?

উত্তরঃ -
ড্রামা অনুসারে বাচ্চাদের পতিত থেকে পবিত্র করার জন্য ভগবানও আবদ্ধ। ওঁনাকে আসতে হয়ই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে।

ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, যখন ওম্ শান্তি বলা হয়, তো ধরে নাও যেন নিজ আত্মার স্বধর্মের পরিচয় দেওয়া হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই বাবাও অটোমেটিক্যালি (স্বতঃই) স্মরণে আসে, কারণ স্মরণ তো সব মানুষ ভগবানকেই করে। শুধুমাত্র ভগবানেরই সম্পূর্ণ পরিচয় নেই। ভগবান নিজের আর আত্মার পরিচয় দিতেই আসেন। পতিত-পাবন বলাই হয় ভগবানকে। পতিত থেকে পবিত্র করার জন্য ভগবানও ড্রামা অনুসারে আবদ্ধ। ওনাকেও আসতে হয় পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে। সঙ্গমযুগের ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়। পুরানো দুনিয়া আর নূতন দুনিয়ার মধ্যবর্তীতেই বাবা আসেন। পুরানো দুনিয়াকে মৃত্যুলোক, নূতন দুনিয়াকে অমরলোক বলা হয়। তোমরা এটাও বোঝো যে, মৃত্যুলোকে আয়ু কম হয়। অকাল-মৃত্যু হতেই থাকে। সেটা হলো আবার অমরলোক, যেখানে অকালে মৃত্যু হয় না, পবিত্রতার জন্য। অপবিত্রতা থেকে ব্যভিচারীতে পরিণত হয় আর আয়ুও কম হয়। বল-ও কম হয়ে যায়। সত্যযুগে পবিত্র হওয়ার জন্য অব্যভিচারী হয়। বল-ও বেশী থাকে। ক্ষমতা ছাড়া রাজত্ব কীভাবে প্রাপ্ত হয়? অবশ্যই তারা বাবার থেকে আশীর্বাদ নিয়েছিল। বাবা হলেন সর্বশক্তিমান। আশীর্বাদ কীভাবে নিয়েছিল? বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। যারা বেশী স্মরণ করেছিল তারাই আশীর্বাদ নিয়েছিল। আশীর্বাদ কোনো চাওয়ার জিনিস নয়। এটা তো পরিশ্রমের দ্বারা প্রাপ্ত করার জিনিস। যত বেশী স্মরণ করবে ততো বেশী আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে অর্থাৎ উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে। স্মরণই যদি না করো তো আশীর্বাদও প্রাপ্ত হবে না। লৌকিক বাবা বাচ্চাদের কখনো এটা বলে না যে আমাকে স্মরণ করো। তারা ছোটবেলা থেকেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মাম্মা-বাবা করতে থাকে। অরগ্যান্স (ইন্দ্রিয়) ছোট থাকে, বড় বাচ্চা কখনো এইরকম বাবা-বাবা, মাম্মা-মাম্মা করে না। তাদের বুদ্ধিতে থাকে - এনারা হলেন আমাদের মা - বাবা, যাদের থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। বলার বা স্মরণ করার ব্যাপার থাকে না। এক্ষেত্রে বাবা বলেন আমাকে আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। এখন স্থূল-জগতের সম্বন্ধকে ছেড়ে অসীম জগতের সম্বন্ধকে স্মরণ করতে হবে। সব মানুষ চায় যে আমার গতি হোক। গতি বলা হয় মুক্তিধামকে। সদ্গতি বলা হয় আবার সুখধামে ফিরে আসাকে। যে কেউ প্রথমে এলে তো অবশ্যই সুখই প্রাপ্ত করবে। বাবা সুখের জন্যই আসেন। অবশ্যই ডিফিকাল্ট কোনো ব্যাপার রয়েছে সেইজন্য একে উচ্চ মানের অধ্যয়ণ বলা হয়ে থাকে। যত উচ্চ মানের পড়াশোনা সেইরকম ডিফিকাল্টও হবে। সবাই তো পাশ করতে পারে না। অনেক বড় পরীক্ষায় খুব কম স্টুডেন্টই পাশ করে কারণ বড় পরীক্ষায় পাশ করলে আবার সরকারকে অনেক চাকরীও যে দিতে হবে। কোনো স্টুডেন্ট বড় পরীক্ষায় পাশ করেও এমনিই বসে থাকে। সরকারের এতো পয়সা নেই যে বড় চাকরী দেবে। এখানে তো বাবা বলেন যত উচ্চমানের পড়াশোনা করবে সেইরকমই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। এমনও না যে সকলেই রাজা বা বিত্তশালী হবে। সব কিছু নির্ভর করে পড়াশুনার উপর। ভক্তিকে অধ্যয়ণ বলা যায় না। এ হলো আত্মিক জ্ঞান যা আত্মাদের পিতা পড়ান। কতো উঁচু অধ্যয়ণ। বাচ্চাদের ডিফিকাল্ট লাগে কারণ বাবাকে স্মরণ করে না, তাই ক্যারেক্টার্সও সংশোধন হয় না। যে ভালো মতো স্মরণ করে তার ক্যারেক্টার্সও ভালো হয়ে যায়। খুবই মধুর সার্ভিসেবেল হতে থাকে। ক্যারেক্টার্স ভালো না হলে কারোর পছন্দও হয় না। কেউ পাস করতে পারে না তো অবশ্যই ক্যারেক্টার্সে খুঁত আছে। শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ণের ক্যারেক্টার্স খুবই ভালো। রামের দুই কলা কম বলা হবে। ভারত রাবণ রাজ্যে মিথ্যা ভূমি হয়ে পড়ে। সত্য-ভূমিতে তো একটুও মিথ্যা হতে পারে না। রাবণ রাজ্যে হলো মিথ্যা আর মিথ্যা। মিথ্যাচারী মানুষকে দৈবী গুণ সম্পন্ন বলা যায় না। এটা অসীম জগতের কথা। এখন বাবা বলেন কারোর এইরকম মিথ্যা কথা শুনো না, শুনিও না। এক ঈশ্বরের কথাকেই লিগাল (বৈধ) মত বলা যায়। মানুষের মত-কে ইল্-লিগাল (অবৈধ) মত বলা হয়। লিগল মত এর দ্বারা তোমরা উচ্চ মানের হও। কিন্তু সকলে চলতে পারে না বলে ইল্-লিগাল হয়ে যায়। কেউ বাবার সাথে প্রতিজ্ঞাও করে-বাবা এতো বয়স পর্যন্ত আমি ইল্-লিগাল কাজ করেছি, এখন করবো না। সবচেয়ে ইল্-লিগাল কাজ হলো বিকারের ভূত। দেহ-অভিমানের ভূত তো সকলের মধ্যে আছেই। মায়াবী পুরুষের মধ্যে দেহ-অভিমানই থাকে। বাবা তো হলেনই বিদেহী, বিচিত্র। তাই বাচ্চারাও বিচিত্র। এটা বোঝার মতো ব্যাপার। আমরা অর্থাৎ আত্মারা হলাম বিচিত্র, আবার এখানে চিত্রে অর্থাৎ শরীরে আসি। এখন বাবা আবার বলেন বিচিত্র হও। নিজের স্বধর্মে স্থিত হও। চিত্রের ধর্মে স্থিত হয়ো না। বিচিত্রতার ধর্মে স্থিত হও। দেহ-অভিমানে এসো না। বাবা কতো বোঝান - এতে স্মরণের খুব প্রয়োজন আছে। বাবা বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করলে তোমরা সতোপ্রধান, পিওর (শুদ্ধ) হবে। ইমপিওরিটির মধ্যে গেলে অতি দন্ড প্রাপ্তি হয়। বাবার বাচ্চা হওয়ার পর যদি কোনো ভুল হয়ে যায় তো গায়ন আছে সদ্গুরুর নিন্দক থাকতে পারে না। তোমরা যদি আমার মত অনুযায়ী চলে পবিত্র না হও তো একশ গুণ দন্ড ভোগ করতে হবে। বিবেক কাজ করাতে হবে। যদি আমরা স্মরণ না করতে পারি তো এতো উচ্চ পদও পেতে পারি না। পুরুষার্থের জন্য টাইমও দেয়। তোমাদের বলে প্রমাণ কি আছে? বলো, যে দেহে আসেন (শিববাবা) সেই প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো মানুষ যে না! মানুষের নাম শরীরের উপর হয়। শিববাবা তো না মানুষ, না তিনি দেবতা। ওঁনাকে সুপ্রিম আত্মা বলা হয়। তিনি তো পতিত বা পবিত্র হন না, তিনি বোঝান আমাকে স্মরণ করার ফলে তোমাদের পাপ খন্ডিত হয়ে যাবে। বাবা নিজেই বসে বোঝান যে তোমরা সতোপ্রধান ছিলে, এখন তমোপ্রধান হয়েছো। আবার সতোপ্রধান হওয়ার জন্য আমাকে স্মরণ করো। এই দেবতাদের কোয়ালিফিকেশন (যোগ্যতা) দেখো কেমন আর ওঁনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে যারা তাদেরকেও দেখো, ওয়ান্ডার লাগে - আমরা কোথায় ছিলাম! আবার ৮৪ জন্মের ফলে নীচে নেমে একদম মিশে যায়।

বাবা বলেন, মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা দৈবী কুলের (ঘরানার) ছিলে। এখন নিজের আচার আচরণ দেখো এমন (দেবী-দেবতা) হতে পারবে? এমন না যে সকলেই লক্ষ্মী-নারায়ণ হবে। আবার তো সমস্তই ফুলের বাগিচা হয়ে যাবে। শিববাবাকে শুধুমাত্র গোলাপ ফুলই যে দেওয়া হয় তা কিন্তু নয়, আকন্দ ফুলও দেওয়া হয়। বাবার বাচ্চারা কেউ ফুলও হয়, কেউ আকন্দও হয়। পাশ, ফেল তো হয়েই থাকে। নিজেরাও বোঝে যে আমি তো রাজা হতে পারবো না। নিজের সমানই তৈরী করতে পারে না, বিত্তশালী কীভাবে, কে হবে সেটা তো বাবা জানেন। বাচ্চারা, পুরুষার্থে এগোলে তোমরাও বুঝে যাবে এই অমুক বাবার কেমন সাহায্যকারী। কল্প-কল্প যারা যা কিছু করেছে সেটাই করবে। এতে কোনো পার্থক্য থাকবে না। বাবা তো পয়েন্টস দিতে থাকেন। এরকম-এরকম ভাবে বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর ট্রান্সফারও করতে হবে। ভক্তি মার্গে তোমরা ঈশ্বরের নামে করো। কিন্তু ঈশ্বরকে জানো না। এইটুকু বোঝো উচ্চতমেরও উচ্চ হলেন ভগবান। এমনটা নয় যে ভগবান বিশাল উচ্চ নাম এবং বিরাট রূপধারী। তিনি হলেনই নিরাকার। আবার উচ্চতমেরও উচ্চ সাকার এখানে হয়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে দেবতা বলা হয়। ব্রহ্মা দেবতায়ে নমঃ, বিষ্ণু দেবতায়ে নমঃ আবার বলে শিব পরমাত্মায়ে নমঃ। তবে পরমাত্মা বড় সাব্যস্ত হলেন, তাই না। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে পরমাত্মা বলা হবে না। মানুষ মুখে বলে যে, শিব পরমাত্মায় নমঃ তো অবশ্যই পরমাত্মা একজনই হলেন, তাই না! দেবতাদেরকে প্রণাম করা হয়। মনুষ্যলোকে মানুষকে মানুষ বলা হবে, তাকে আবার পরমাত্মায় নমঃ বলা - এ তো সম্পূর্ণ অজ্ঞানতা হলো। সবার বুদ্ধিতে রয়েছে যে ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী। তোমরা বাচ্চারা এখন বোঝো যে ভগবান হলেন অদ্বিতীয়, ওঁনাকেই পতিত-পাবন বলা হয়। সকলকে পবিত্র করা এটা হলো ভগবানেরই কাজ। জগতের গুরু কোনো মানুষ হতে পারে না। গুরু পবিত্র হয়ে থাকে, তাই না! এখানে তো সকলে হলো বিকারে জন্মানো। জ্ঞানকে অমৃত বলা হয়ে থাকে। ভক্তিকে অমৃত বলা যায় না। ভক্তি মার্গে ভক্তিই চলে। সব মানুষ ভক্তিতে আছে। জ্ঞান-সাগর জগতের গুরু বলা হয় এক জনকেই। তোমরা এখন জানো যে বাবা এসে কি করেন। তত্ত্বকেও পবিত্র করে তোলেন। ড্রামাতে ওঁনার পার্ট রয়েছে । বাবা সকলের সদ্গতি দাতা হওয়ার নিমিত্ত হন। এখন এটা বোঝানো হবে কীভাবে? আসে তো অনেকেই। উদ্বোধন করতে এলে বার্তা দেওয়া হয় যে, ভবিষ্যতে যে বিনাশ ঘটবে সেটা ঘটার পূর্বে অসীম জগতের পিতাকে জেনে তাঁর থেকেই উত্তরাধিকার নিয়ে নাও। ইনি হলেন আত্মাদের পিতা। যে কোনো মানুষ মাত্রই ফাদার বলে থাকে । ক্রিয়েটার যখন তখন তো অবশ্যই ক্রিয়েশনের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। অসীম জগতের বাবাকে কেউই জানে না। বাবাকে ভুলে যাওয়া - এটাও ড্রামাতে নির্ধারিত। অসীম জগতের বাবা হলেন উচ্চতমেরও উচ্চ, তিনি কোনো স্থূল জাগতিক উত্তরাধিকার তো দেবেন না । লৌকিক বাবা থাকলেও সকলে অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ করে। সত্যযুগে কেউ ওঁনাকে স্মরণ করবে না, কারণ অসীম জগতের সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়ে যাবে। এখন তোমরা বাবাকে স্মরণ করো। আত্মাই স্মরণ করে আবার আত্মারা নিজেকে আর নিজের বাবাকে, ড্রামাকে ভুলে যায়। মায়ার ছায়া পড়ে যায়। সতোপ্রধান বুদ্ধিকে অবশ্যই আবার তমোপ্রধান হতে হয়। স্মৃতিতে আসে, নূতন দুনিয়াতে দেবী-দেবতারা সতোপ্রধান ছিলো, এটা কেউই জানে না। দুনিয়াই সতোপ্রধান গোল্ডেন এজেড হয়। তাকে বলা হয় নিউ ওয়ার্ল্ড। এটা হলো আয়রণ এজেড ওয়ার্ল্ড। এই সব কথা বাবা এসেই বাচ্চাদের বোঝান। প্রত্যেক কল্পে যে উত্তরাধিকার তোমরা নিয়ে থাকো, পুরুষার্থ অনুসারে সেটাই প্রাপ্ত করার হয়। তোমারাও এখন জেনেছো যে আমরা এই ছিলাম আবার এইরকম নীচে এসে গেছি। বাবা-ই বলে দেন এইরকম-এইরকম হবে। কেউ বলে চেষ্টা তো অনেক করে কিন্তু স্মরণ স্থায়ী হয় না। এতে বাবা বা টিচার কি করবে, কেউ না পড়লে টিচার কি করবে। টিচার আশীর্বাদ করবে আর সব পাস হয়ে যাবে? পড়াশোনার তফাৎ তো অনেক থাকে। এটা হলো একদম নূতন পড়াশোনা । এখানে তোমাদের কাছে বিশেষ করে গরীব দুঃখীরাই আসবে, বিত্তশালীরা আসবে না। দুঃখী হলে তবে আসে। বিত্তশালী যারা, তারা ভাবে আমরা তো স্বর্গে বসে আছি। ভাগ্যে নেই, যাদের ভাগ্যে থাকে তারা মনে মনে খুব তাড়াতাড়ি সুনিশ্চিত হয়ে যায়। নিশ্চয় আর সংশয়ে দেরী হয় না। মায়া তাড়াতাড়ি ভুলিয়ে দেয়। টাইম তো লাগে, এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। নিজেকে দয়া করতে হবে। শ্রীমত তো প্রাপ্ত হতেই থাকে। বাবা কতো সহজ করে বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করো।

তোমরা জানো যে এটা হলো মৃত্যুলোক। সেটা হলো অমরলোক। সেখানে অকাল মৃত্যু হয় না। ক্লাসে স্টুডেন্ট নম্বর অনুযায়ী বসে, তাই না! এটাও তো স্কুল। ব্রাহ্মণীকে জিজ্ঞাসা করা হয় তোমার কাছে নম্বর ওয়ান সুবুদ্ধি সম্পন্ন বাচ্চা কে কে? যারা ভালো ভাবে পড়াশোনা করে, তাদের তো রাইট সাইডে থাকার কথা। রাইট হ্যান্ডের একটা মহত্ত্ব রয়েছে । পূজা ইত্যাদিও রাইট হ্যান্ডে করা হয়ে থাকে। বাচ্চারা ভাবতে থাকে - সত্যযুগে কি কি হবে। সত্যযুগ মনে এলে তো সত্য বাবাও স্মরণে আসে। বাবা আমাদের সত্যযুগের মালিক করে তোলেন। সেখানে জানা থাকে না যে আমাদের এই বাদশাহী কীভাবে প্রাপ্ত হয়। এইজন্য বাবা বলেন এই লক্ষ্মী-নারায়ণেরও এই জ্ঞান নেই। বাবা অনেক কিছু ভালো ভাবে বোঝাতে থাকেন, পূর্ব-কল্পে যারা বুঝেছিল, অবশ্যই তারাই বুঝবে। তবুও পুরুষার্থ করতে হয়। বাবা আসেনই পড়াতে। এটা হলো পড়াশোনা, এতে বুঝবার মতন অনেক বুদ্ধি চাই। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই আধ্যাত্মিক পড়াশোনা হলো অত্যন্ত উচ্চ মানের এবং ডিফিকাল্ট, এতে পাশ করার জন্য বাবার স্মরণে থেকে আশীর্বাদ নিতে হবে। নিজের ক্যারেক্টার সংশোধন করে নিতে হবে।

২ ) এখন কোনো ইল্ - লিগাল কাজ করতে নেই। বিচিত্র হয়ে নিজের স্বধর্মে স্থিত হতে হবে আর বিচিত্র বাবার লিগাল মতে চলতে হবে।

বরদান:-
বাবার সাথ এর দ্বারা পবিত্রতারূপী স্বধর্মকে সহজভাবে পালনকারী মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব

আত্মার স্বধর্ম হলো পবিত্রতা, অপবিত্রতা হলো পরধর্ম। যখন স্বধর্মের উপরে নিশ্চয় থাকে তখন পরধর্ম নড়াতে পারে না। বাবা যে বা যেমন তাঁকে যথার্থ রূপে চিনে সাথে রাখো তাহলে পবিত্রতারূপী স্বধর্মকে ধারণ করা খুবই সহজ হয়ে যাবে। কেননা সাথী হলেন সর্ব শক্তিমান। সর্বশক্তিমানের বাচ্চা মাস্টার সর্বশক্তিমানের সামনে অপবিত্রতা আসতে পারবে না। যদি সংকল্পেও মায়া আসে তাহলে অবশ্যই কোনও গেট খোলা রয়েছে অথবা নিশ্চয়ের অভাব রয়েছে ।

স্লোগান:-
ত্রিকালদর্শী কোনও বিষয়কে এক কালের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না, প্রত্যেক পরিস্থিতিতেই কল্যাণ রয়েছে বলে মনে করে।