05.07.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এই স্মরণেই ব্যাটারী চার্জ হবে, শক্তি পাবে, আত্মা সতোপ্রধান হবে, তাই এই স্মরণের
যাত্রায় বিশেষ অ্যাটেনশন দাও"
প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চাদের
ভালোবাসা একমাত্র বাবার প্রতিই আছে, তাদের নিদর্শন কি হবে?
উত্তরঃ
১) যদি
একমাত্র বাবার প্রতিই ভালোবাসা থাকে তাহলে বাবার দৃষ্টি তাকে সবদিক থেকে তৃপ্ত আর
ভরপুর করে দেবে। ২ ) তারা সম্পূর্ণ নষ্টমোহ হবে । ৩) যার এই অসীম জগতের বাবার
ভালোবাসা পছন্দ হয়ে যায়, তারা আর কারোর প্রেমে আটকে থাকতে পারবে না । ৪) তার বুদ্ধি
এই মিথ্যা জগতের মিথ্যা মানুষের থেকে ছিন্ন হয়ে যায় । বাবা এখন তোমাদের এমন ভালোবাসা
দিচ্ছেন যা অবিনাশী হয়ে যায় । সত্যযুগেও তোমরা নিজেদের মধ্যে অত্যন্ত ভালোবাসার সাথে
থাকো।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা,
অসীম জগতের বাবার ভালোবাসা এখন একবার মাত্রই তোমরা পাও, যে প্রেমকে ভক্তিতেও খুবই
স্মরণ করা হয় । বাবা, ব্যস্ তোমার ভালোবাসাই চাই । তুমিই আমাদের মাতা - পিতা...
তুমিই সবকিছু । এই একজনের কাছেই অর্ধেক কল্প ধরে তোমরা ভালোবাসা পাও । তোমার এই
আত্মিক প্রেমের মহিমা অপার । বাচ্চারা, বাবাই তোমাদের শান্তিধামের মালিক বানান ।
এখন তোমরা দুঃখধামে রয়েছো । অশান্তি আর দুঃখে সবাই চিৎকার করে । কারোরই প্রভু
মালিক (নাথ) নেই, তাই ভক্তিমার্গে মানুষ স্মরণ করে। কিন্তু নিয়ম মতো ভক্তির সময়ও
হলো অর্ধকল্প ।
এ কথা তো বাচ্চাদের
বোঝানো হয়েছে, এমন নয় যে বাবা অন্তর্যামী । বাবার সকলের অন্তরকে জানার দরকারই নেই ।
তারা তো হলো থট রিডার । তারা এই বিদ্যা শেখে । এখানে ওইরকম কোনো ব্যাপারই নেই । বাবা
আসেন, বাবা আর বাচ্চারাই এই সমগ্র পার্ট প্লে করে । বাবা জানেন যে, এই সৃষ্টির চক্র
কিভাবে ঘোরে । সেখানে বাচ্চারা কীভাবে তাদের পার্ট প্লে করে । এমন নয় যে তিনি
প্রত্যেকেরই ভিতরের খবর জানেন । এ তো আগের রাতেও তোমাদের বোঝানো হয়েছিলো যে,
প্রত্যেকের ভিতরে তো বিকারই রয়েছে । মানুষ অত্যন্ত ছিঃ ছিঃ হয়ে গেছে । বাবা এসেই
তাদের সুন্দর সুন্দর ফুল বানান । বাচ্চারা, বাবার এই ভালোবাসা তোমরা এক বারই পাও,
যা অবিনাশী হয়ে যায় । ওখানে তোমরা একে অপরকে খুবই ভালোবাসো । এখন তোমরা মোহজিত
হচ্ছো । সত্যযুগী রাজ্যকে মোহজিত রাজা, রানী তথা প্রজার রাজ্য বলা হয় । ওখানে কেউই
কখনো কান্নাকাটি করে না । সেখানে দুঃখের নামও থাকে না । বাচ্চারা তোমরা জানো যে,
নিশ্চিত ভাবেই এই ভারতে স্বাস্থ্য, সম্পদ এবং সুখ ছিলো, এখন তা নেই। কারণ এখন রাবণ
রাজ্য । এখানে সবাই দুঃখ ভোগ করে, তখন সবাই বাবাকে স্মরণ করে যে, তুমি এসে সুখ -
শান্তি দাও, দয়া করো । অসীম জগতের বাবা হলেন দয়ালু । রাবণ হলো নির্দয়, সে দুঃখের
রাস্তা তৈরী করে । সব মানুষই সেই দুঃখের পথে চলে । সবথেকে বড় দুঃখ দেয় কাম বিকার।
তাই বাবা বলেন - মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা এই কাম বিকারকে জয় করো, তাহলেই
জগৎজিত হতে পারবে । এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে জগৎজিত বলা হবে, তাই না । তোমাদের সামনে
এখন লক্ষ্য উপস্থিত । মানুষ মন্দিরে যায় কিন্তু তাদের বায়োগ্রাফি কিছুই জানে না ।
যেমন পুতুল পূজা করে । মানুষ দেবীদের পূজা করে, খুব সুন্দর করে সাজিয়ে ভোগ নিবেদন
করে কিন্তু সেই দেবীরা তো কিছুই খায় না । ব্রাহ্মণরাই তা খায় । সৃষ্টি করে, পালন করে
তারপর বিনাশ করে দেয়, একেই বলা হয় অন্ধশ্রদ্ধা । সত্যযুগে এইসব বিষয় হয় না ।
এইসব নিয়ম কানুন কলিযুগে হয় । তোমরা সবার প্রথম এক শিববাবার পূজা করো, যাকে
অব্যাভিচারী সঠিক পূজা বলা হয় । এরপর হয় ব্যাভিচারী পূজা । বাবা শব্দটি বলাতেই
পরিবারের সুগন্ধ আসতে থাকে । তোমরাও তো বলো - তুমি আমাদের মাতা - পিতা -- তোমাদের
এই জ্ঞান দেওয়ার কৃপাতেই তোমরা অপার সুখ পাও । তোমাদের বুদ্ধিতে যেন স্মরণ থাকে যে,
আমরা সর্ব প্রথমে মূলবতনে ছিলাম । ওখান থেকে শরীর ধারণ করে এখানে আসি পার্ট প্লে
করতে । প্রথমদিকে আমরা দৈবী শরীর ধারণ করি অর্থাৎ দেবতা বলা হয় । এরপর ক্ষত্রিয়,
বৈশ্য এবং শূদ্র বর্ণে আসি এবং ভিন্ন - ভিন্ন পার্ট প্লে করি । এই সব কথা তোমরা
প্রথমে জানতে না । বাচ্চারা, বাবা এখন এসে তোমাদের আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান
দিয়েছেন । তিনি নিজের সম্বন্ধে জ্ঞানও দিয়েছেন যে, আমি এই শরীরে প্রবেশ করি । ইনি
এনার ৮৪ জন্মের কথা জানতেন না । তোমরাও তা জানতে না । শ্যাম-সুন্দরের রহস্য তো
বোঝানো হয়েছে । এই শ্রীকৃষ্ণ হলেন নতুন দুনিয়ার প্রথম প্রিন্স আর রাধা হলেন দ্বিতীয়
নম্বরে । কিছু বছরের তফাৎ হয় । সৃষ্টির আদিতে এনাকে প্রথম নম্বরে বলা হয়, এরজন্যই
কৃষ্ণকে সকলেই ভালোবাসে, এনাকেই শ্যাম আর এনাকেই সুন্দর বলা হয় । স্বর্গে তো সবাই
সুন্দরই ছিলো । এখন সেই স্বর্গ কোথায় ! এই চক্র ঘুরতে থাকে । এমন নয় যে সমুদ্রের
নীচে চলে যায় । যেমন বলা হয় লঙ্কা, দ্বারকার নীচে চলে গিয়েছিলো । তা নয়, এই চক্র
ঘুরতে থাকে । এই চক্রকে জানতে পারলে তোমরা এই বিশ্বের মালিক মহারাজা - মহারাণী হয়ে
যাও । ওখানে প্রজারাও নিজেদের মালিক মনে করে, তাই না । ওরা বলবে, আমাদের রাজ্য ।
ভারতবাসী বলবে, আমাদের রাজ্য । ভারত নাম ঠিক, হিন্দুস্থান নাম ভুল । বাস্তবে আদি
সনাতন দেবী দেবতা ধর্মই ছিলো কিন্তু ধর্মভ্রষ্ট, কর্মভ্রষ্ট হওয়ার কারণে নিজেদের
দেবতা বলতে পারে না । এও এই ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ নাহলে বাবা কি করে এসে আবার
দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করবেন । পূর্বে তোমরাও এইসব কথা জানতে না, এখন বাবা তোমাদের
বুঝিয়ে দিয়েছেন ।
এমন মিষ্টি বাবা,
তাঁকেও তোমরা ভুলে যাও । সবথেকে মিষ্টি বাবা, তাই না । বাকি রাবণ রাজ্যে তোমাদের
সবাই দুঃখ দেয়, এইজন্যই অসীম জগতের বাবাকে সবাই স্মরণ করে । তাঁর স্মরণে প্রেমের
অশ্রু ঝরায় -- হে সাজন, কখন তুমি এসে সজনীদের সঙ্গে মিলিত হবে? কেননা তোমরা সবাই
ভক্ত ছিলে । ভক্তের পতি হলেন ভগবান । ভগবান এসে ভক্তির ফল দেন, রাস্তা বলে দেন আর
বোঝান - এ হলো পাঁচ হাজার বছরের খেলা । রচয়িতা আর রচনার আদি, মধ্য আর অন্তকে কোনো
মানুষই জানে না । আত্মাদের বাবা এবং আত্মা রূপী বাচ্চারাই তা জানে । অন্য কোনো
মানুষও জানে না, এমনকি দেবতারাও জানে না । এই আধ্যাত্মিক পিতাই জানেন । তিনি তাঁর
বাচ্চাদের বসে বোঝান । আর কোনো দেহধারীদের কাছেই রচয়িতা আর রচনার আদি - মধ্য এবং
অন্তের কোনো জ্ঞান থাকতে পারে না । এই জ্ঞান থাকেই আত্মাদের পিতার কাছে । তাঁকেই
জ্ঞান - জ্ঞানেশ্বর বলা হয় । তোমাদের রাজ - রাজেশ্বর বানানোর জন্য জ্ঞান -
জ্ঞানেশ্বর জ্ঞান প্রদান করেন, তাই একে রাজযোগ বলা হয় । বাকি ওসব হলো হঠযোগ ।
হঠযোগীদের চিত্রও অনেকই আছে । সন্ন্যাসীরা যখন আসে, তারা এসে পরে হঠযোগ শেখায় ।
যখন অনেক বৃদ্ধি হয়ে যায় তখনই হঠযোগ ইত্যাদি শেখানো হয় । বাবা বুঝিয়েছেন যে, আমি
আসিই এই সঙ্গম যুগে, আমি এসে রাজধানী স্থাপন করি । স্থাপনা তো এখানেই করবেন, নাকি
সত্যযুগে? সত্যযুগ ইত্যাদিতে তো রাজত্ব থাকে, তাহলে অবশ্যই এই সঙ্গমেই তার স্থাপনা
হয় । এখানে কলিযুগে সবাই হলো পূজারী, সত্যযুগে সব হলো পূজ্য । বাবা তাই পূজ্য
বানানোর জন্যই আসেন । পূজারী বানায় রাবণ । এইসব তো জানা উচিত, তাই না । এ হলো উঁচুর
থেকেও উঁচু পড়াশোনা । এই শিক্ষককে কেউই জানে না । উনি সুপ্রীম বাবা, শিক্ষকও আবার
সদ্গুরুও। এ কথা কেউই জানে না । বাবা এসেই নিজের সম্পূর্ণ পরিচয় দেন । নিজে
বাচ্চাদের পাঠ পড়িয়ে সাথে করে নিয়ে যান । অসীম জগতের বাবার এই ভালোবাসা পেলে অন্য
কোনো ভালোবাসা আর পছন্দ হয় না । এই সময় এ হলো মিথ্যা খণ্ড । মিথ্যা এই মায়া....
মিথ্যা এই কায়া... ভারত এখন মিথ্যা খণ্ড, এরপর সত্যযুগে হবে সত্য খণ্ড । ভারতের
বিনাশ কখনোই হয় না । এ হলো সবথেকে বড় তীর্থ । যেখানে অসীম জগতের বাবা বসে
বাচ্চাদের এই সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তের রহস্য বোঝান আর সকলের সদ্গতি করেন । এ
হলো অনেক বড় তীর্থ । ভারতের মহিমা হলো অপার । তোমরা এও বুঝতে পারো যে - ভারত হলো
ওয়ান্ডার অফ ওয়ার্ল্ড। সেটা হলো মায়ার সেভেন ওয়ান্ডার । ঈশ্বরের ওয়ান্ডার হলো
একটাই । বাবা এক, বাবার ওয়ান্ডারফুল স্বর্গও হলো একটাই । তাকেই হেভেন, প্যারাডাইস
বলা হয় । প্রকৃত নাম হলো একই স্বর্গ, এ হলো নরক । তোমরা ব্রাহ্মণরাই সম্পূর্ণ চক্র
পরিক্রমা করো। আমরাই ব্রাহ্মণ....আমরাই সেই দেবতা.... । উত্তরণের কলা আর অবতরণের কলা
। উত্তরণের কলায় সকলেরই ভালো হয় । ভারতবাসীরাই চায় যে, এই বিশ্বে শান্তিও থাকুক
আবার সুখও থাকুক । স্বর্গে তো সুখই থাকে, সেখানে দুঃখের নামমাত্র নেই । তাকে বলা হয়
ঈশ্বরীয় রাজ্য । সত্যযুগে থাকে সুর্যবংশী তারপর দ্বিতীয় ভাগে থাকে চন্দ্রবংশী ।
তোমরা হলে আস্তিক আর ওরা নাস্তিক । তোমরা প্রভুর হয়ে বাবার থেকে অবিনাশী
উত্তরাধিকার নেওয়ার পুরুষার্থ করো । মায়ার সঙ্গে তোমাদের গুপ্ত লড়াই চলে । বাবা
রাত্রির সময়ে আসেন । শিবরাত্রি হয়, তাই না ! কিন্তু শিবের রাত্রির অর্থও কেউ বোঝে
না । ব্রহ্মার রাত সম্পূর্ণ হয় এবং দিন শুরু হয় । ওরা বলে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ, আর এ
তো হলো শিব ভগবানুবাচ । এখন সঠিক কোনটা? কৃষ্ণ তো সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মগ্রহণ করে । বাবা
বলেন যে, আমি আসি সাধারণ বৃদ্ধের শরীরে । ইনিও নিজের জন্মকে জানতেন না । অনেক
জন্মের অন্তে মানুষ যখন পতিত হয়ে যায়, তখন আমি এই পতিত সৃষ্টি, পতিত রাজ্যে আসি ।
পতিত দুনিয়াতে অনেক রাজ্য । আর পবিত্র দুনিয়াতে থাকে এক রাজ্য । এ তো হিসাব, তাই না
। ভক্তিমার্গে যখন মানুষ প্রগাঢ় ভক্তি করে, মাথা কাটতেও প্রবৃত্ত হয়, তখন তাদের
মনোকামনা পূরণ হয় । বাকি তাতে কিছুই নেই, তাকে বলা হয় প্রগাঢ় ভক্তি । যখন থেকে
রাবণ রাজ্য শুরু হয়, তখন থেকে মানুষ ভক্তির কর্মকাণ্ড পড়তে পড়তে নীচে নেমে আসে, বলা
হয় ব্যাস ভগবান শাস্ত্র নির্মাণ করেছিলেন, তিনি বসে কি কি লিখেছিলেন? বাচ্চারা,
তোমরা এখন ভক্তি এবং জ্ঞানের রহস্য বুঝেছো । সিঁড়ি আর ঝাড়ে এই সবই বোঝানো আছে ।
ওখানে ৮৪ জন্মও দেখানো আছে । সবাই তো আর এই ৮৪ জন্ম নেয় না । যারা শুরুতে আসবে,
তারাই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মগ্রহণ করবে । এই জ্ঞান তোমরা এখনই পাও, এরপর তা সোর্স অফ
ইনকাম হয়ে যায় । তারপর ২১ জন্ম কোনো অপ্রাপ্ত বস্তু থাকে না, যা প্রাপ্ত করার জন্য
পুরুষার্থ করতে হয় । একে বলা হয় বাবার একই স্বর্গ, ওয়ান্ডার অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ।
নামই হলো প্যারাডাইস । বাবা তোমাদের এর মালিক বানান । ওরা তো কেবল ওয়ান্ডার্স
দেখায়, আর বাবা তোমাদের তার মালিক বানান, তাই বাবা এখন বলেন, আমাকে নিরন্তর স্মরণ
করো । রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুখ পাও, কলহ - ক্লেশ সব দূর হোক, জীবনমুক্তি পদ পাও ।
পবিত্র হওয়ার জন্য স্মরণের যাত্রা খুবই জরুরী । 'মনমনাভব' হও, তাহলেই অন্ত মতি তেমন
গতি হয়ে যাবে । গতি বলা হয় শান্তিধামকে । সদগতি এখানে হয় । সদগতির এগেন্স্ট (বিপরীত)
হলো দুর্গতি ।
তোমরা এখন বাবাকে আর
রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তকে জেনে গেছো । তোমরা বাবার থেকে ভালোবাসা পাও । বাবা
তোমাদের দৃষ্টি দিয়ে তৃপ্ত এবং সফল মনোরথ করে দেন । তিনি তো সামনে এসেই জ্ঞান
শোনাবেন, তাই না । এতেও প্রেরণার তো কোনো কথাই নেই । বাবা তোমাদের নির্দেশ দেন যে,
এমনভাবে স্মরণ করলে তোমরা শক্তি পাবে । ব্যাটারি যেমনভাবে চার্জ করা হয় । এ হলো
মোটর, এর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে । এখন সর্বশক্তিমান বাবার সঙ্গে বুদ্ধির যোগযুক্ত
করলে তোমরা আবার তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে । তোমাদের ব্যাটারি চার্জ হয়ে
যাবে । বাবা এসেই সকলের ব্যাটারি চার্জ করেন । বাবাই হলেন সর্বশক্তিমান । এইসব
মিষ্টি - মিষ্টি কথা বাবা বসেই বুঝিয়ে বলেন । ওই ভক্তির শাস্ত্র তো তোমরা জন্ম -
জন্মান্তর ধরে পড়ে এসেছো । বাবা এখন সমস্ত ধর্মের মানুষদের জন্য একটা কথাই শোনান ।
তিনি বলেন, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, তো তোমরা পাপ মুক্ত হবে ।
বাচ্চারা, এখন স্মরণ করা হলো তোমাদের কাজ, এতে ঝিমিয়ে যাওয়ার কোনো কথাই নেই । পতিত
- পাবন হলেন একমাত্র বাবাই । এরপর সবাই পবিত্র হয়ে ঘরে ফিরে যাবে । সকলের জন্য এ হলো
জ্ঞান । এ হলো সহজ রাজযোগ এবং সহজ জ্ঞান । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ).
সর্বশক্তিমান বাবার সঙ্গে নিজের বুদ্ধিযোগ যুক্ত করে ব্যাটারি চার্জ করতে হবে ।
আত্মাকে সতোপ্রধান বানাতে হবে। স্মরণের যাত্রায় কখনোই বিভ্রান্ত হবে না ।
২ ). এই (আধ্যাত্মিক)
পাঠ পড়ে নিজের উপরে নিজেকেই কৃপা করতে হবে । বাবার তুল্য প্রেমের সাগর হতে হবে ।
বাবার প্রেম যেমন অবিনাশী, তেমনই সকলের প্রতি প্রকৃত অবিনাশী প্রেম রাখতে হবে,
মোহজিত হতে হবে ।
বরদান:-
অনুভবের শক্তির দ্বারা মিষ্টি অভিজ্ঞতা লাভ করে সদা শক্তিশালী আত্মা ভব
এই অনুভবের শক্তি
অনেক অনেক মিষ্টি অভিজ্ঞতা অর্জন করায় - কখনও নিজেকে বাবার নুরে রত্ন (চোখের মণি)
আত্মা অর্থাৎ নয়নে সমাহিত থাকা শ্রেষ্ঠ বিন্দু অনুভব করো, কখনও ললাটে ঝলমল করতে থাকা
মস্তকমণি, কখনও নিজেকে ব্রহ্মা বাবার সহযোগী রাইট হ্যান্ড, ব্রহ্মা বাবার সহযোগী
হাত অনুভব করো, কখনও অব্যক্ত ফরিস্তা স্বরূপ অনুভব করো... এই অনুভবের শক্তিকে বৃদ্ধি
করো তাহলে শক্তিশালী হয়ে যাবে। তখন ছোটো দাগও স্পষ্ট দেখা যাবে আর তাকে পরিবর্তন করে
নিতে পারবে।
স্লোগান:-
সবাইকে
হৃদয় থেকে আশীর্বাদ দিতে থাকো তাহলে তোমাদের পুরুষার্থ সহজ হয়ে যাবে।