05.08.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের মধ্যে অনেস্ট হলো সে, যে সমগ্র ইউনিভার্সের সেবা করবে, অনেককে নিজের সমান বানাবে, আরাম পছন্দ হবে না"

প্রশ্নঃ -
তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চারা কোন্ কথাটি কখনো বলতে পারো না?

উত্তরঃ  
তোমরা ব্রাহ্মণরা এ'রকম কখনো বলবে না যে, আমাদের ব্রহ্মার সাথে কোনো কানেক্শন নেই, আমরা তো ডায়রেক্ট শিববাবাকে স্মরণ করি। ব্রহ্মাবাবা ব্যাতীত ব্রাহ্মণ বলা যায় না, যাদের ব্রহ্মার সাথে কানেক্শন নেই অর্থাৎ যারা ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী নয়, তারা শূদ্র প্রতিপন্ন হবে। শূদ্র কখনো দেবতা হতে পারে না।

ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা বসে বোঝাচ্ছেন দাদার দ্বারা - বাচ্চারা, মিউজিয়াম অথবা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করাও অথচ উদ্বোধন তো অসীম জগতের পিতা কবেই করে দিয়েছেন। এখন এই শাখা সমূহ অথবা ব্রাঞ্চেস্ প্রকাশিত হতে থাকে। পাঠশালা তো অনেক চাই। এক তো হলো এই পাঠশালা যেখানে বাবা থাকেন, এর নাম রাখা হয়েছে মধুবন। বাচ্চারা জানে যে মধুবনে সদা-সর্বদা মুরলী বাজতে থাকে। কার? ভগবানের। এখন ভগবান তো হলেন নিরাকার। মুরলী বাজান সাকার রথের দ্বারা। ওনার নাম রাখা হয়েছে ভাগ্যশালী রথ। এটা তো যে কেউই বুঝতে পারে। এনার মধ্যে বাবা প্রবেশ করেন, বাচ্চারা, এটা তো তোমরাই বুঝতে পারো। আর কেউই তো না রচনাকে জানে না রচয়িতার আদি-মধ্য-অন্তকে জানে। কেবল বড় মানুষ গভর্নর ইত্যাদি থাকলে তাদের দিয়ে উদ্বোধন করায়। এটাও বাবা প্রায়ই লিখতে থাকেন যে যাকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হচ্ছে, প্রথমে তাকে পরিচয় দিতে হবে- বাবা কীভাবে নূতন দুনিয়া স্থাপন করেন। ওনার এই ব্রাঞ্চেস্ খোলা হচ্ছে। কারোর না কারোর দ্বারা খোলানো হয় যাতে তার কল্যাণ হয়ে যায়। কেউবা মনে করে বাবা একেবারে এসে গেছেন। ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা হচ্ছে- বিশ্বের শান্তির রাজ্যের বা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের। তার উদ্বোধন তো হয়ে গেছে, এখন এই ব্রাঞ্চেস্ খুলছে। যেমন ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চেস্ খোলা হতে থাকে। বাবাকে এসেই নলেজ দিতে হয়। এই নলেজ পরমপিতা পরমাত্মার মধ্যেই থাকে। সেইজন্য ওঁনাকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয়। আত্মাদের বাবার মধ্যেই আধ্যাত্মিক জ্ঞান আছে, যা এসে আত্মাদের দেন। বোঝান- হে বাচ্চারা, হে আত্মারা, তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করো। আত্মা নাম তো হলো কমন। মহান আত্মা, পূণ্য আত্মা, পাপ আত্মা বলা হয়ে থাকে। তাই আত্মাকে পরমপিতা পরমাত্মা বাবা বোঝাচ্ছেন। বাবা কেন আসবেন? অবশ্যই বাচ্চাদেরকে উত্তরাধিকার দেওয়ার জন্য। তোমাদের আবার সতোপ্রধান নূতন দুনিয়াতে আসতে হবে। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি রিপিট করা হয়। নূতন অথবা পুরানো দুনিয়া হলো মানুষেরই। বাবা বলেন আমি এসেছি নূতন দুনিয়া রচনা করতে। মানুষ ব্যাতীত তো দুনিয়া হয় না। নূতন দুনিয়াতে দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, যার স্থাপনা এখন আবার হচ্ছে। বাচ্চারা, তোমরা এখন শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছো। আবার তোমাদের ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা বানাতে এসেছি। তোমরা এটা শোনাতে পারো যে, বাবা এ'রকম বোঝান। তোমরা নূতন দুনিয়াতে কিভাবে যেতে পারো। এখন তো তোমাদের আত্মা হলো পতিত বিকারী, তাই এখন নির্বিকারী হতে হবে। জন্ম-জন্মান্তরের পাপের বোঝা মাথার উপর আছে। পাপ কবে থেকে শুরু হয়? বাবা কত বছরের জন্য পুণ্য আত্মা বানান? তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা এখন এটাও জানো। ২১ জন্ম তোমরা পুণ্য আত্মা থাকো, আবার পাপ আত্মা হয়ে যাও। যেখানে পাপ হয় সেখানে দুঃখই হবে। পাপ কোনটা? সেটাও বাবা বলে দেন। এক তো তোমরা ধর্মের গ্লানি করো। তোমরা কতো পতিত হয়ে গেছো। আমাকে ডেকে এসেছো - হে পতিত পাবন এসো, তাই এখন আমি এসেছি। পবিত্র করে তোলেন যে বাবা, তা‌ঁকে তোমরা গালি দাও, গ্লানি করো, সেই জন্য তোমরা পাপ আত্মা হয়ে যাও। বলেও, হে প্রভু জন্ম-জন্মান্তরের পাপী আমরা, এসে পবিত্র করো। তো বাবা বোঝান, যিনি সবচেয়ে বেশী জন্ম নিয়েছে, তাঁরই অনেক জন্মের শেষে আমি প্রবেশ করি। বাবা অনেক জন্ম কাকে বলেন? বাচ্চারা, ৮৪ জন্মকে। যারা সর্ব প্রথম আসে, তারাই ৮৪ জন্ম নেয়। প্রথমে তো এই লক্ষ্মী-নারায়ণ আসে। এখানে তোমরা আসই নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য। কথাও সত্যনারায়ণের শোনায়। কবে রাম-সীতা হওয়ার কথা কেউ শুনিয়েছে? ওদের গ্লানি করা হয়। বাবা নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী করে তোলেন। যাদের কখনো কোনো নিন্দা করা হয় না। বাবা বলেন আমি রাজযোগ শেখাই। বিষ্ণুর এই দুই রূপ হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ। বাল্যকালে এরা হলো রাধা-কৃষ্ণ। এরা কোনো ভাই-বোন নয়, আলাদা-আলাদা রাজাদের বাচ্চা ছিল। উনি মহারাজকুমার আর তিনি মহারাজকুমারী, যাদের স্বয়ম্বরের পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ বলা হয়। এই সব কথা কোনো মানুষ জানে না। পূর্ব কল্পে এইসব কথা যাদের বুদ্ধিতে বসেছিল, তাদেরই বসবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ, রাধা-কৃষ্ণ ইত্যাদি সকলের মন্দির আছে, বিষ্ণুরও মন্দির আছে, যাকে নর-নারায়ণের মন্দির বলে। আর তারপর লক্ষ্মী-নারায়ণের আলাদা করে মন্দিরও আছে। ব্রহ্মারও মন্দির আছে। ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ আবার বলে শিব পরমাত্মায় নমঃ - সেটা তো আলাদা হয়ে গেলো তাই না! দেবতাদের কি আর ভগবান বলা যায় ! তাই বাবা বোঝান, যাকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হবে, তাকে প্রথমে বোঝানোর দরকার, বিশ্বে শান্তি স্থাপনের প্রয়োজনে ভগবান ফাউন্ডেশন করে দিয়েছেন। বিশ্বে শান্তি তো লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে ছিল যে। এরা যে সত্যযুগের মালিক ছিল। তাই মানুষকে নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী করে তোলার এটা হলো বৃহৎ গডলী ইউনিভার্সিটি বা ঈশ্বরীয় বিশ্ব বিদ্যালয়। বিশ্ব বিদ্যালয় তো অনেকে নাম রেখেছে। বাস্তবে সে'সব কোনো ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি হল না। ইউনিভার্স তো সমগ্র বিশ্ব হয়ে গেলো। সমগ্র বিশ্বে অসীম জগতের পিতা একটিই কলেজ খোলেন। তোমরা জানো যে, বিশ্বে পবিত্র হওয়ার বিশ্ব-বিদ্যালয় কেবল এই একটিই আছে, যা বাবা স্থাপন করেন। আমরা সমগ্র বিশ্বকে শান্তিধাম, সুখধামে নিয়ে যাই, সেই জন্য একে বলা হয় ঈশ্বরীয় বিশ্ব-বিদ্যালয়। ঈশ্বর এসে সমগ্র বিশ্বকে মুক্তি-জীবন মুক্তির উত্তরাধিকার দেন। কোথায় বাবার কথা, কোথায় এই সব বলতে থাকে ইউনিভার্সিটি। ইউনিভার্স অর্থাৎ সমস্ত দুনিয়াকে চেঞ্জ করা, এটা তো বাবারই কাজ। আমাদের এই নাম রাখতে দেয় না আর গভর্নমেণ্ট নিজেই রাখে। এটা তো তোমাদের বোঝাতে হবে, তাও প্রথমেই এটা বোঝাবে না। প্রথমে বলো, আমাদের নামই হলো ব্রহ্মাকুমার-কুমারী। এনার ব্রহ্মা নামও তখন হয়েছে যখন বাবা (শিব) এসে ওনাকে রথ করেছেন। প্রজাপিতা নাম তো প্রখ্যাত। তিনি এলেন কোথা থেকে? ওঁনার বাবার নাম কি? ব্রহ্মাকে দেবতা দেখানো হয়, তাই না! দেবতাদের পিতা তো অবশ্যই পরমাত্মাই হবেন। তিনি হলেন রচয়িতা, ব্রহ্মাকে বলা হবে সর্বপ্রথম রচনা। ওনার বাবা হলেন শিববাবা, তিনি বলেন আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করে এনার পরিচয় তোমাদের দিয়ে থাকি। তাই বাচ্চাদের বোঝাতে হবে- এটা হলো ঈশ্বরীয় মিউজিয়াম। বাবা বলেন আমাকে ডাকে - হে পতিত পাবন এসো, এসে পতিত থেকে পবিত্র করো। এখন হে বাচ্চারা, হে আত্মারা, তোমরা নিজের পিতাকে স্মরণ করলে পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাবে। "মন্মনাভব" এই শব্দটি তো গীতারই। ভগবান হলেন এক, জ্ঞান সাগর পতিত-পাবন, কৃষ্ণ তো পতিত পাবন হতে পারে না। সে পতিত দুনিয়াতে আসতে পারে না। পতিত দুনিয়াতে একমাত্র পতিত পাবন বাবা আসবেন। এখন আমাকে স্মরণ করলে পাপ ভস্ম হবে। কতো সহজ কথা। "ভগবানুবাচ" শব্দটি অবশ্যই বলতে হবে। পরমপিতা পরমাত্মা বলেন, কাম বিকার হলো মহাশত্রু। প্রথমে নির্বিকারী দুনিয়া ছিলো, এখন হলো বিকারী দুনিয়া। দুঃখ আর দুঃখ। নির্বিকারী হলে তো আবার সুখ আর সুখ হবে। তাই এটা বুঝতে হবে যে ভগবানুবাচ - কাম হলো মহাশত্রু, এর উপর বিজয় প্রাপ্ত করলে তোমরা জগৎজীত হবে। এক বাবাকে স্মরণ করো। আমিও ওঁনাকে স্মরণ করি। যেমন কেউ কলেজ খুললে তো তারও দ্বার উদ্বোধন করানো হয়, তাই না! এটাও হলো কলেজ, অনেক সেন্টার আছে। সেন্টারে টিচার নিযুক্ত করা হয়।টিচারকেও অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। বাবা নূতন নূতন সেন্টারে ভালো ভালো ব্রাহ্মণীদেরকে (টিচার) রাখেন এই জন্য যে, তাড়াতাড়ি নিজের সমান তৈরী করে আবার অন্য সেন্টারে চলে যেতে হবে, সার্ভিসের দায়িত্ব নিয়ে। দেখবে কারা কারা সঠিক রীতিতে মুরলী পড়ে শোনাতে পারে, বোঝাতে পারলে তাকে বলবে এখন তুমি এখানে বসে ক্লাস করাও। এ'রকম ট্রায়াল করিয়ে, তাকে বসিয়ে চলে যেতে হবে অন্য জায়গায় সেন্টার গড়ে তুলতে। ব্রাহ্মণীদের কাজ হলো এক সেন্টার জমে উঠলে বা বর্ধিষ্ণু হলে আবার গিয়ে অন্য সেন্টার জমানো। একেক টিচারের ১০-২০ সেন্টার স্থাপন করা চাই। অনেক সার্ভিস করা চাই। দোকান খুলতে থাকো, নিজের সমান করে কাউকে ছাড়তে থাকো। মন থেকে আসা চাই- কাউকে নিজের সমান তৈরী করলে অন্য সেন্টার খুলবে। কিন্তু এমন অনেস্ট বিরলই কেউ হয়। অনেস্ট তাকে বলা হয়, যে সমগ্র ইউনিভার্সের বা ব্রহ্মাণ্ডের সেবা করবে। একটা সেন্টার খুলল, নিজের সমান তৈরী করলো, আবার দ্বিতীয় জায়গায় সেবা করলো। একই জায়গায় আটকে যেতে নেই। আচ্ছা, কাউকে বোঝাতে না পারো তো অন্য কাজ করো। তাতে দেহ-অভিমান আসতে দিতে নেই। আমি তো বড় ঘরের, এই কাজ কি ভাবে করবো....আমার ব্যাথা হবে।সামান্য কাজ করলেই হাড়ে ব্যাথা বোধ হবে, একে দেহ-অভিমান বলা হয়ে থাকে। কিছুই বোঝে না, সবার আরো সার্ভিস করা দরকার। তারা আবার ওটাও লেখে যে বাবা অমুকে আমাকে বুঝিয়েছে, আমার জীবন গড়ে দিয়েছে। সার্ভিসের প্রমাণ পাওয়া চাই। একেক জনের টিচার হয়ে ওঠা চাই। আবার নিজেই লেখে- বাবা, আমার পিছনে অনেক সম্মেলনের লোক আছে, আমি অনেক নিজের সমান তৈরী করেছি, আমি সেন্টার খুলতে থাকবো। এই রকম বাচ্চাদের বলা হবে ফুল। সার্ভিস যদি না করো তো ফুল কিভাবে হবে। ফুলেরও তো বাগিচা থাকে। তাই যে উদ্বোধন করবে তাকেও বোঝানো দরকার। আমরা ব্রহ্মকুমার-কুমারী। শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়ে দেবতা হই। বাবা এই ব্রাহ্মণ কুল আর সূর্যবংশী-চন্দ্রবংশী কুলের স্থাপনা করেন। এই সময় তো সকলে শূদ্র বর্ণের।সত্যযুগে দেবতা বর্ণের ছিল, আবার ক্ষত্রিয়, বৈশ্য বর্ণের হয়। বাবা জানেন কতো পয়েন্টস্ বাচ্চারা ভুলে যায়। সর্বপ্রথম ব্রাহ্মণ বর্ণ, প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান...ব্রহ্মা কোথা থেকে এলো। এই ব্রহ্মা বসে আছে না! ভালো ভাবে বোঝাতে হবে। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, কাদের ? ব্রাহ্মণদের। তাদের আবার শিক্ষা দিয়ে দেবতায় পরিণত করেন। আমরা বাবার কাছে পড়াশুনা করছি। তারা তো ভগবানুবাচ তো অর্জুনের প্রতি লিখে দিয়েছে। এখন অর্জুন কে ছিল, কারও জানা নেই। তোমরা জানো যে, আমরা ব্রহ্মার সন্তান ব্রাহ্মণ। যদি কেউ বলে, আমি তো হলাম শিববাবার বাচ্চা, ব্রহ্মার সাথে আমার কানেক্শন নেই, তো কী করে আবার দেবতা হবে? ব্রহ্মার থ্রু তো হবে। শিববাবা তোমাদের কীভাবে, কিসের দ্বারা বলেছেন আমাকে স্মরণ করো? ব্রহ্মার দ্বারা বলেছেন যে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার তো বাচ্চা হও। নিজেদেরকে ব্রহ্মাকুমার- কুমারী বলে থাকো। আমরা হলাম ব্রহ্মার বাচ্চা। অবশ্যই তাই ব্রহ্মা স্মরণে আসবে। শিববাবা ব্রহ্মা তনের দ্বারা পড়ান। ব্রহ্মাবাবা আছেন মধ্যখানে। ব্রাহ্মণ না হয়ে দেবতা কীভাবে হতে পারবে? আমি যে রথে আসি, ওনারও জানা দরকার। ব্রহ্মাকে বাবা না বললে বাচ্চা কি ভাবে প্রতিপন্ন হবে? নিজেকে ব্রাহ্মণ মনে না করলে তো তবে শূদ্র হলে। শূদ্র থেকে শীঘ্র ভাবে দেবতা হওয়া মুশকিল। ব্রাহ্মণ হয়ে শিববাবাকে স্মরণ ব্যাতীত দেবতা কি করে হতে পারবে, এতে বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। তো উদ্বোধন যারা করবে তাদেরও বোঝাতে হবে যে বাবার দ্বারা উদ্বোধন হয়ে গেছে। তোমাদেরও বলা হয় যে শুধুই বাবাকে স্মরণ করলে পাপ খন্ডন হবে। ওই বাবা হলেন পতিত-পাবন, তোমরা আবার পবিত্র হয়ে দেবতা হয়ে যাবে। বাচ্চারা অনেক সার্ভিস করতে পারে। বলো, আমরা প্রভু বার্তা বা বাবার পৈগাম দিয়ে থাকি। এখন করো, না করো তোমাদের মর্জি। আমরা প্রভুর বার্তা দিয়ে যাই । আর কোনো পদ্ধতিতে পবিত্র হওয়া যায়ই না। যখন সময় পাবে, সার্ভিস করো। সময় তো অনেক পাওয়া যায়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) নতুন নতুন সেন্টার বৃদ্ধি করানোর জন্য নিজের সমান তৈরী করার সেবা করতে হবে। সেন্টার খুলতে থাকতে হবে। এক জায়গায় বসে যেতে নেই।

২) ফুলের বাগান তৈরী করতে হবে। প্রত্যেককে ফুলে পরিণত হয়ে অন্যদের নিজের সমান ফুলে পরিণত করতে হবে। কোনো সেবাতেই যেন দেহ-অভিমান না আসে।

বরদান:-
সকল পদার্থ গুলির আসক্তিগুলির থেকে ডিট্যাচ অনাসক্ত, প্রকৃতিজীত ভব

যদি কোনও পদার্থ কর্মেন্দ্রিয়গুলিকে বিচলিত করে অর্থাৎ আসক্তির ভাব উৎপন্ন হয়, তাহলে ডিট্যাচ থাকতে পারবে না। ইচ্ছাগুলিই হলো আসক্তির রূপ। কেউ কেউ বলে ইচ্ছা নেই কিন্তু ভালো লাগে। তো এটাও হলো সূক্ষ্ম আসক্তি - একে সূক্ষ্ম রূপে চেকিং করো যে এই পদার্থ অর্থাৎ অল্পকালের সুখের সাধন আকৃষ্ট করে না তো? এই পদার্থ হলো প্রকৃতির সাধন, যখন এর থেকে অনাসক্ত অর্থাৎ ডিট্যাচ হতে পারবে তখন প্রকৃতিজীৎ হতে পারবে।

স্লোগান:-
আমার-আমার এর ঝামেলাকে ত্যাগ করে অসীম জগতে থাকো তখন বলা হবে বিশ্ব কল্যাণকারী।