05.09.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের প্রতিজ্ঞা হলো, যতক্ষণ না আমরা পবিত্র হচ্ছি, ততক্ষণ বাবাকে স্মরণ করতে
থাকবো, এক বাবাকেই ভালোবাসবো"
প্রশ্নঃ -
বুদ্ধিমান
বাচ্চারা সময়ের দিকে তাকিয়ে কোন্ পুরুষার্থ করবে?
উত্তরঃ
অন্তিম সময়,
যখন শরীর ত্যাগ হবে, তখন এক বাবাই যেন স্মরণে থাকে, আর কিছুই যেন স্মরণে না আসে ।
বুদ্ধিমান বাচ্চারা এমন পুরুষার্থ এখন থেকেই করতে থাকবে, কেননা কর্মাতীত হয়েই যেতে
হবে। তারজন্য এই পুরানো খোলস থেকে আসক্তি দূর করতে থাকো, ব্যস্, আমরা বাবার কাছে
ফিরে যাচ্ছি ।
গীতঃ-
না তিনি
আমাদের থেকে পৃথক হবেন না আমরা হবো....
ওম্ শান্তি ।
বাবা
বাচ্চাদের বসে বুঝিয়ে বলেন, বাচ্চারা অসীম জগতের বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করে । বাবা
আমরা আপনার হয়েছি, অন্তিম সময় পর্যন্ত, যতক্ষণ না আমরা শান্তিধামে পৌঁছাবো, আপনাকে
স্মরণ করলে, আমাদের মাথার উপর যে জন্ম - জন্মান্তরের পাপ জমা হয়ে আছে, তা জ্বলে
শেষ হয়ে যাবে । একেই যোগ অগ্নি বলা হয়, আর অন্য কোনো উপায় নেই । পতিত পাবন, বা
শ্রী - শ্রী ১০৮ জগৎগুরু এককেই বলা হয় । তিনিই জগতের বাবা, জগতের শিক্ষক এবং জগতের
গুরু । এই রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান এক বাবাই দান করেন । এ হলো পতিত দুনিয়া,
এখানে একজনও পবিত্র থাকা অসম্ভব । পতিত পাবন বাবাই সকলের সদগতি করেন । তোমরা তাঁর
সন্তান হয়েছো । তোমরা এখন শিখছো, এই জগৎকে কিভাবে পবিত্র বানাবে? শিবের সামনে
অবশ্যই ত্রিমূর্তির প্রয়োজন । এও লেখা চাই যে, "ডিটি সভরেন্টি (দৈবী সার্বভৌমত্ব)
তোমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার" । তাও এখন কল্পের এই সঙ্গম যুগে । পরিস্কার করে না লিখলে
মানুষ কিছুই বুঝতে পারবে না । আর দ্বিতীয় হলো, যেখানে বি.কে নাম লেখা হয়, সেখানে
প্রজাপিতা শব্দও জরুরী, কেননা ব্রহ্মা নামও অনেকেরই আছে । তাই প্রজাপিতা
ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয় লিখতে হবে । তোমরা জানো যে পাথরের মতো এই
বিশ্বকে পবিত্র, পরশ পাথর তুল্য একমাত্র বাবাই বানাবেন । এইসময় একজনও পবিত্র নেই ।
সবাই একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে থাকে, গালি দিতে থাকে । বাবাকেও বলে দেয় - কচ্ছপ,
মৎস অবতার । অবতার কাকে বলা হয়, এও তারা বোঝে না । অবতার তো একজনেরই হয় । তিনিই
অলৌকিক রীতিতে শরীরে প্রবেশ করে বিশ্বকে পবিত্র করেন । অন্য আত্মারা তো তাদের নিজের
নিজের শরীর ধারণ করে, এনার তো নিজের কোনো শরীর নেই, কিন্তু জ্ঞানের সাগর তিনি তাহলে
কিভাবে জ্ঞান দেবেন? শরীর তো প্রয়োজন, তাই না । এই কথা তোমরা ছাড়া আর কেউই জানে না
। গৃহস্থ জীবনে থেকে পবিত্র থাকা - এ হলো বাহাদুরীর কাজ । মহাবীর অর্থাৎ যে বীরত্ব
দেখায় । এও বীরত্ব, যে কাজ সন্ন্যাসীরাও করতে পারেন না, তা তোমরা করতে পারো । বাবা
শ্রীমত দেন যে - তোমরা এমন গৃহস্থ জীবনে থেকে যদি কমল ফুলের মতো পবিত্র হও, তাহলে
উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে । তা নাহলে এই বিশ্বের বাদশাহী কিভাবে পাবে । এ হলো নর
থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য পড়া । এ হলো পাঠশালা । অনেকেই এখানে পড়ে, তাই লেখো "ঈশ্বরীয়
বিশ্ব বিদ্যালয় ।" এ তো সম্পূর্ণ সঠিক শব্দ । ভারতবাসী জানে যে, আমরা বিশ্বের মালিক
ছিলাম, এ হলো কালকের কথা । এখনো পর্যন্ত রাধা - কৃষ্ণ এবং লক্ষ্মী - নারায়ণের
মন্দির তৈরী হচ্ছে । কেউ কেউ তো আবার পতিত মানুষদেরও মন্দির তৈরী করে । দ্বাপর থেকে
শুরু করে সকলই পতিত মনুষ্য । কোথায় শিব আর অন্য দেবী - দেবতাদের মন্দির বানানো, আর
কোথায় এই পতিত মনুষ্যদের মন্দির । এরা তো দেবতা ননই না । বাবা তাই বুঝিয়ে বলেন, এই
বিষয়ের উপর সঠিক রীতিতে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে । বাবা তো বোঝাতেই থাকেন, দিন -
প্রতিদিন লেখাও পরিবর্তন হতে থাকে, এমন নয় যে বলবে, প্রথমে কেন এমন বানানো হয়নি ।
এমন বলবে না যে, প্রথমে কেন "মন্মনাভব"র অর্থ এভাবে বোঝানো হয়নি । আরে, প্রথমে
এভাবে স্মরণে থাকতেই পারতে না । খুব অল্প বাচ্চাই আছে যারা সমস্ত কথা সঠিক ভাবে
পালন করে । ভাগ্যে যদি উঁচু পদ না থাকে তাহলে টিচার আর কি করবে ? এমন নয় যে,
আশীর্বাদ করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করাবে । নিজেকে দেখতে হবে যে, আমরা কেমন সেবা করছি ।
বিচার সাগরও মন্থন চলা উচিত । গীতার ভগবান কে, এই চিত্র খুবই মুখ্য । ভগবান হলেন
নিরাকার, তিনি ব্রহ্মার শরীর ব্যতীত তো শোনাতে পারেন না । তিনি এই সঙ্গম যুগেই
ব্রহ্মার শরীরে আসেন । তা নাহলে ব্রহ্মা বিষ্ণু এবং শঙ্কর কিসের জন্য আছেন ।
বায়োগ্রাফি তো চাই, তাই না । কেউই এঁদের জানে না । ব্রহ্মার জন্য বলে দেয়, ১০০
ভুজার ব্রহ্মার কাছে যাও, ১ হাজার ভুজার কাছে যাও । এর সম্বন্ধেও একটি কাহিনী বানানো
হয়েছে । প্রজাপিতা ব্রহ্মার তো এতো অনেক বাচ্চা আছে । এখানে তারা পবিত্র হতেই আসে
। তারা জন্ম - জন্মান্তর ধরে অপবিত্র হয়ে এসেছে । এখন সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে ।
তোমরা শ্রীমৎ পাও - "মামেকম্ স্মরণ করো" । কেউ কেউ তো এখনো পর্যন্ত বুঝতে পারে না
যে, আমরা কিভাবে স্মরণ করবো । দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায় । বাবার হয়ে যদি বিকর্মজিৎ
না হও, পাপ যদি না কাটে, স্মরণের যাত্রায় যদি না থাকতে পারো তাহলে কি পদ প্রাপ্ত
করবে? যদিও সমর্পণ করলে, কিন্তু তাতে কি লাভ? যতক্ষণ না পুণ্য আত্মা হয়ে, অন্যদেরও
তেমন বানাতে পারছো, ততক্ষণ উচ্চ পদ লাভ করতে পারবে না । যত কম আমাকে স্মরণ করবে,
ততই কম পদ পাবে । তাহলে কিভাবে ডবল মুকুটধারী হবে, তখন পুরুষার্থের ক্রমানুসারে
দেরিতে আসবে । এমন নয় যে, আমরা সবকিছুই সমর্পণ করে দিয়েছি, তাই ডবল মুকুটধারী হবো ।
তা নয় । প্রথমে দাস - দাসী হতে হতে পরের দিকে অল্প কিছু পাবে । অনেকেরই এমন অহংকার
থাকে যে, আমরা তো সমর্পিত । আরে, স্মরণ ছাড়া কি হতে পারবে? দাস - দাসী হওয়ার থেকে
তো বিত্তবান প্রজা হওয়া ভালো । দাস - দাসীরা তো আর কৃষ্ণের সঙ্গে দোলায় দুলতেই পারবে
না । এ অনেক বোঝার মতো কথা, এতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে । অল্প কিছুতেই খুশী হয়ে
যেও না । আমরাও রাজা হবো । এমন তো অনেক রাজা হবে । বাবা বলেন, প্রথমে মুখ্য হলো এই
স্মরণের যাত্রা । যারা খুব ভালোভাবে স্মরণে থাকে, তাদের খুশী বজায় থাকে । বাবা
বোঝান যে, আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর গ্রহণ করে । সত্যযুগে আত্মা খুশীর
সঙ্গে এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে এখানে তো মানুষ কাঁদতে লেগে যায়,
সত্যযুগের কথাই মানুষ ভুলে গেছে । ওখানে তো মানুষ এমনভাবে শরীর ত্যাগ করে যেমন
সর্পের উদাহরণ দেওয়া যায় । এই পুরানো শরীর এখন তোমাদের ত্যাগ করতে হবে । তোমরা জানো
যে, আমরা আত্মা, আমাদের এই পুরানো শরীর ত্যাগ করতেই হবে । বুদ্ধিমান যে বাচ্চারা
বাবার স্মরণে থাকে, তারা তো বলে, বাবার স্মরণেই এই শরীর ত্যাগ করবো, তারপর গিয়ে
বাবার সঙ্গে মিলিত হবো । কোনো মানুষই জানে না যে, আমরা কিভাবে মিলিত হতে পারি ।
বাচ্চারা, তোমরা এখন রাস্তা পেয়েছো । তোমরা তো বেঁচে থেকেও মরে গেছো, কিন্তু যতক্ষণ
না আত্মা পবিত্র হচ্ছে, তোমরা এখন তারজন্য পুরুষার্থ করছো । পবিত্র হয়েই তারপর এই
শরীর ত্যাগ করে যেতে হবে । মনে করে কখনো কর্মাতীত অবস্থা হয়ে গেলে তখনই এই শরীর
ত্যাগ হবে কিন্তু কর্মাতীত অবস্থা হয়ে গেলে নিজে থেকেই এই শরীর ত্যাগ হয়ে যাবে ।
ব্যস্, আমরা বাবার কাছে গিয়ে থাকবো । এই পুরানো শরীরের প্রতি এখন যেন ঘৃণা আসে ।
সাপের তো তার পুরানো খোলসের প্রতি ঘৃণা আসবে, তাই না । তোমাদের নতুন শরীর এখন তৈরী
হচ্ছে, কিন্তু তা যখন তোমাদের কর্মাতীত অবস্থা হবে । পরের দিকে তোমাদের এই অবস্থা
হবে । ব্যস্, এখন আমরা ঘরে ফিরে যাচ্ছি । লড়াইয়ের জন্যও সম্পূর্ণ তৈরী হবে ।
বিনাশের সবকিছুই তোমাদের কর্মাতীত হওয়ার উপরই নির্ভর করে । অন্তিম সময়ে সবাই তাদের
নম্বর অনুসারে কর্মাতীত অবস্থাকে প্রাপ্ত করবে । এতে কতো লাভ । তোমরা বিশ্বের মালিক
হবে, তাই তোমাদের কতখানি বাবাকে স্মরণ করা চাই । তোমরা দেখবে যে, এমনও কেউ কেউ হবে
যারা উঠতে - বসতে বাবাকে স্মরণ করতে থাকবে । মৃত্যু তো সামনেই উপস্থিত । খবরের কাগজে
এমন দেখানো হয় যে, এখনই যেন লড়াই বেঁধে যাবে । বড় লড়াই হলে তো বোম্ব পড়বে । তখন
কোনো দেরী হবে না । বুদ্ধিমান বাচ্চারা এইসব বুঝতে পারে কিন্তু যারা নির্বোধ, তারা
কিছুই বুঝতে পারে না । তাদের সামান্যতম ধারণাও হয় না । তারা যদিও হ্যাঁ - হ্যাঁ
বলতে থাকে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না । তারা স্মরণে থাকেই না । যারা দেহ বোধে থাকে,
এই দুনিয়ার কথা যাদের স্মরণে থাকে, তারা কি আর বুঝতে পারবে । বাবা এখন বলেন, তোমরা
দেহী অভিমানী হও । দেহকে তোমাদের ভুলে যেতে হবে । পরের দিকে তোমরা অনেক চেষ্টা করবে
কিন্তু এখন বুঝতেই পারো না । পরে অনেক অনুতাপ করবে । বাবা তোমাদের সাক্ষাৎকারও
করাবেন যে, তোমরা এই - এই পাপ করেছো । এখন সাজা ভোগ করো । পদও দেখো । শুরুতেও এমন
সাক্ষাৎকার করতে আবার পরের দিকেও এমন সাক্ষাৎকার করবে ।
বাবা বলেন যে,
নিজেদের সম্মান কখনো নষ্ট ক'রো না । এই পড়াশোনার প্রতি অধিক মনযোগ দেওয়ার
পুরুষার্থ করো । তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করে মামেকম্ স্মরণ করো । আমিই হলাম পতিত
পাবন । দুনিয়াতে আর কোনো পতিত পাবন নেই । শিব ভগবান উবাচঃ, যেহেতু সদগতিদাতা পতিত
পাবন একজনই । সবাই তাঁকেই স্মরণ করে, কিন্তু যখন নিজেকে আত্মা বিন্দু মনে করবে,
তখনই বাবা স্মরণে আসবে । তোমরা জানো যে, আমাদের আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট
লিপিবদ্ধ আছে, তা কখনোই বিনাশ হবার নয় । একথা বোঝা কোনো মাসির ঘরে যাওয়ার মতো সহজ
নয়, বারবার ভুলে যায়, তাই কাউকেই বোঝাতে পারে না । দেহ বোধ সম্পূর্ণভাবে সবাইকে
মেরে ফেলেছে । এ এখন মৃত্যুলোক হয়ে গেছে । এখানে সবাই অকালে মরতে থাকে । জানোয়ার -
পশু ইত্যাদিরাও যেমন মারা যায়, তেমনই মানুষও মারা যায়, কিছুই তফাৎ হয় না ।
লক্ষ্মী - নারায়ণ তো অমরলোকের মালিক, তাই না । ওখানে অকালে মৃত্যু হয় না । ওখানে
কোনো দুঃখই থাকে না । এখানে তো দুঃখ পায় তারপর আত্মহত্যাও করে । নিজেরাই অকাল মৃত্যু
নিয়ে আসে, এই লক্ষ্য অনেক উঁচু । কখনোই যেন বিকারী দৃষ্টি না হয়, এতেই অনেক
পরিশ্রম এতো উঁচু পদ প্রাপ্ত করা কোনো মাসির বাড়ী যাওয়া নয় । বাহাদুর হওয়া চাই । না
হলে অল্প কিছুতেই ভয় পেয়ে যায় । কোনো দুষ্ট লোক যদি ভিতরে প্রবেশ করে, কোনোকিছুতে
হাত দেয়, তাহলে ডাণ্ডা মেরে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত । কখনো ভীতু হবেই না । শিব শক্তি
পাণ্ডব সেনার মহিমা রয়েছে, তাই না, যারা স্বর্গের দ্বার খোলে । তোমাদের নাম যখন
উজ্জ্বল, তখন বাহাদুরীও চাই । তোমরা যখন সর্বশক্তিমান বাবার স্মরণে থাকবে, তখনই
তোমাদের মধ্যে সেই শক্তি প্রবেশ করবে । নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে,
এই যোগ অগ্নিতেই বিকর্ম বিনাশ হবে, তখন বিকর্মজিৎ রাজা হয়ে যাবে । এই স্মরণেরই হলো
পরিশ্রম, যা করবে, তাই পাবে । অন্যদেরও সাবধান করতে হবে । এই স্মরণের যাত্রায়ই
তোমাদের তরী পার হয়ে যাবে । পড়াশোনাকে যাত্রা বলা হয় না । সেটা হলো শরীরের যাত্রা
আর এ হলো আত্মিক বা আধ্যাত্মিক যাত্রা, তোমরা সরাসরি শান্তিধামে নিজের ঘরে চলে যাবে
। বাবাও সেই ঘরেই থকেন । আমাকে স্মরণ করতে করতে তোমরা সেই ঘরে পৌঁছে যাবে । এখানে
সবাইকে পার্ট প্লে করতে হবে । ড্রামা তো অবিনাশী চলতেই থাকে । বাচ্চাদের বোঝানো হতে
থাকে যে, এক তো বাবার স্মরণে থাকো আর পবিত্র হও, তোমরা দৈবী গুণ ধারণ করো আর যতো
সেবা করবে তত উঁচু পদ পাবে । কল্যাণকারী অবশ্যই হতে হবে । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা -পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
সর্বদা যেন স্মরণে থাকে যে, সর্বশক্তিমান বাবা আমার সাথে আছেন, এই স্মৃতির মাধ্যমেই
শক্তি প্রবেশ করবে, বিকর্ম ভস্ম হবে । শিবশক্তি পাণ্ডব সেনা হলো নাম, তখন বাহাদুরী
তো দেখাতেই হবে, ভীতু হবে না ।
২ ) বেঁচে থেকেও মরে
গযাওয়ার পরে এই অহংকার যেন না আসে যে, আমি তো স্যারেন্ডার । স্যারেন্ডার হয়ে পুণ্য
আত্মা হয়ে অন্যদেরও বানাতে হবে, এতেই লাভ রয়েছে ।
বরদান:-
নির্বিঘ্ন স্থিতির দ্বারা নিজের ফাউন্ডেশনকে মজবুত বানানো পাস উইথ অনার ভব
যে বাচ্চারা বহু সময়
ধরে নির্বিঘ্ন স্থিতির অনুভবী হয় তাদের ফাউন্ডেশন পাক্কা হওয়ার কারণে নিজেরাও
শক্তিশালী থাকে আর অন্যদেরকেও শক্তিশালী বানায়। অনেকদিনের শক্তিশালী, নির্বিঘ্ন
আত্মারা অন্তিম সময়েও নির্বিঘ্ন হয়ে পাস উইথ অনার হয়ে যায় বা তার ডিভিশনে এসে যায়।
তাই সদা এই লক্ষ্যই যেন থাকে যে অনেক সময় ধরে নির্বিঘ্ন স্থিতিতে থাকার অভ্যাস
অবশ্যই করতে হবে।
স্লোগান:-
সকল
আত্মার প্রতি সদা উপকার অর্থাৎ শুভ কামনা রাখো তাহলে স্বতঃতই আশীর্বাদ প্রাপ্ত হতে
থাকবে।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
লগণের অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে যোগের জ্বালা রূপ বানাও
যোগ মানে শান্তির
শক্তি। এই শান্তির শক্তি অনেক সহজেই নিজেকে আর অন্যদেরকে পরিবর্তন করে দেয়। এর
দ্বারা ব্যক্তিও পরিবর্তন হয়ে যায় তো প্রকৃতিও পরিবর্তন হয়ে যায়। ব্যক্তিদেরকে তো
মুখের দ্বারা কোর্স করিয়ে নাও কিন্তু প্রকৃতিকে পরিবর্তন করার জন্য শান্তির শক্তি
অর্থাৎ যোগবলই চাই।