05-10-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 03-03-2007 মধুবন


‘‘পরমাত্ম সঙ্গে, জ্ঞানের আবির, গুণ আর শক্তির রং লাগানোই প্রকৃত হোলি উদযাপন করা’’


আজ বাপদাদা নিজের লাকিয়েস্ট আর হোলিয়েস্ট বাচ্চাদের সাথে হোলি উদযাপন করতে এসেছেন। দুনিয়ার লোকে তো যে কোনও উৎসব শুধুই পালন করে কিন্তু তোমরা বাচ্চারা শুধু পালন করো না, তোমরা উদযাপন করো অর্থাৎ সেরকম হও। তো তোমরা হোলি অর্থাৎ পবিত্র আত্মা হয়ে গেছো। তোমরা সবাই কোন আত্মা? হোলি অর্থাৎ মহান পবিত্র আত্মা। দুনিয়ার লোকে তো স্থূল রঙে রাঙিয়ে তোলে, কিন্তু তোমরা আত্মারা কোন রঙে রঙিন হয়েছো? সর্বাধিক ভালো রঙ কোনটা? অবিনাশী রঙ কোনটা? তোমরা জানো, তোমরা সবাই পরমাত্ম সঙ্গের রঙ আত্মাদের লাগিয়েছ যা থেকে আত্মারা পবিত্রতার রঙে রঙিন হয়ে গেছে। পরমাত্ম সঙ্গের এই রঙ কত শ্রেষ্ঠ আর অকৃত্রিম। তাইতো, পরমাত্ম সঙ্গের মহত্ত্বের রূপক হিসেবে লোকে এখনও এই অন্তে সৎসঙ্গের মহত্ত্ব দেয়। সৎসঙ্গের অর্থই হলো পরমাত্ম সঙ্গ, যা সবচাইতে সহজ। সঙ্গে থাকা আর উঁচু হতে উঁচু সঙ্গে থাকা কি কঠিন? তাছাড়া, এই সঙ্গের রঙে থাকাতে পরমাত্মা যেমন উঁচু হতে উঁচু ঠিক তেমনই তোমরা বাচ্চারাও উঁচু হতে উঁচু পবিত্র। মহান আত্মা পূজ্য হয়ে গেছো। এই অবিনাশী সঙ্গের রঙ সুন্দর লাগে তো না! দুনিয়ার লোকে কত চেষ্টা করে, পরমাত্মার সঙ্গ তো বাদই দাও তারা শুধু স্মরণ করতেও কত পরিশ্রম করে! কিন্তু তোমরা আত্মারা বাবাকে জেনেছো, হৃদয় থেকে বলেছো আমার বাবা। বাবা বলেছেন "আমার বাচ্চারা" আর রঙ লেগে গেছে। বাবা কোন রঙ লাগিয়েছেন? জ্ঞানের আবির লাগিয়েছেন, গুণের রঙ লাগিয়েছেন, শক্তির রঙ লাগিয়েছেন, যে রঙে তোমরা তো দেবতা হয়ে গেছো কিন্তু এখন কলি যুগের অন্ত পর্যন্তও তোমাদের পবিত্র চিত্র দেব আত্মা রূপে পূজা হয়ে থাকে। পবিত্র আত্মা অনেকে হয়, মহান আত্মা অনেক হয়, ধর্ম আত্মা অনেক হয়, কিন্তু তোমাদের পবিত্রতা দেব আত্মা রূপে আত্মাও পবিত্র হয় আর আত্মার সাথে শরীরও পবিত্র হয়। এত শ্রেষ্ঠ পবিত্র কীভাবে হয়েছো? শুধু সঙ্গের রঙ দ্বারা। তোমরা সব বাচ্চাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে পরমাত্মা কোথায় থাকেন,পরমধামে তো আছেনই, কিন্তু এখন সঙ্গমে পরমাত্মা তোমাদের সাথে কোথায় থাকেন? তোমরা কী জবাব দেবে? তোমরা সবাই নেশার সাথে বলে থাকো, পরমাত্মার এখন আমরা সব পবিত্র আত্মার হৃদয় সিংহাসনই ভালো লাগে। এরকমই তো না? তোমাদের হৃদয়ে বাবা থাকেন, বাবার হৃদয়ে তোমরা থাকো। বাবা থাকেন? তারা হাত তোলো যারা থাকো, থাকো তোমরা? আচ্ছা। খুব ভালো। নেশার সাথে বলে থাকো, আমার হৃদয় ছাড়া পরমাত্মার আর কোথাও ভালো লাগে না, কেননা কম্বাইন্ড থাকো তো না! কম্বাইন্ড থাকো তো, তাই না! কিছু বাচ্চা কম্বাইন্ড বলেও সদা বাবার কোম্পানির লাভ নেয় না। কম্প্যানিয়ন বানিয়েছো তো, পাক্কা এটা! আমার বাবা বলেছো, তো কম্প্যানিয়ন তো বানিয়েই নিয়েছ কিন্তু সব সময় কম্পানির অনুভব করার ক্ষেত্রে তারতম্য হয়ে যায়। বাপদাদা দেখেন এই ব্যাপারে তোমরা লাভ নাও নম্বরক্রমে। কারণ কী, তোমরা সবাই সেটা ভালোই জানো।

বাপদাদা আগেও শুনিয়েছেন যদি হৃদয়ে রাবণের কোনো পুরানো ধনসম্পত্তি পুরানো সংস্কার রূপে থেকে যায় তবে রাবণের সেই সম্পত্তি পরধন হয় তো না! পরের দ্রব্য কখনও নিজের কাছে রেখে দেওয়া যায় না। বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু বাপদাদা দেখেছেন, আত্মিক বার্তালাপ করার সময় তিনি শুনেও থাকেন, কী বলো তোমরা বাচ্চারা! বাবা আমি কী করবো, আমার সংস্কারই এরকম। এটা কি তোমাদের যে বলছো আমার সংস্কার? এটা বলা কি ঠিক আমার পুরানো সংস্কার, আমার নেচার, এটা রাইট? রাইট এটা? যারা মনে করছ রাইট তারা হাত তোলো। কেউ উঠাচ্ছে না। তাহলে বলো কেন? ভুল করে বলে দাও, যখন মরজীবা হয়ে গেছো! তোমাদের এখন সারনেম কী? পুরানো জন্মের সারনেম নাকি বি.কে.-র সারনেম! নিজের সারনেম কী লেখো? বি.কে., নাকি অমুক অমুক...? যখন মরজীবা হয়ে গেছ তখন পুরানো সংস্কার আমার সংস্কার কীভাবে হবে? পুরানো এসব তো পরের সংস্কার। আমার নয় তো না! তো এই হোলিতে কিছু জ্বালাবে তো না! হোলিও জ্বালায় আর রঙও লাগায়। তো সবাই তোমরা এই হোলিতে কী জ্বালাবে? আমার সংস্কার - এটা নিজের ব্রাহ্মণ জীবনের ডিকশনারি থেকে সমাপ্ত করতে হবে। জীবন এক ডিকশনারিই তো না! তো এখন কখনো স্বপ্নেও এটা ভেবো না, সংকল্পের ব্যাপার তো ছেড়েই দাও কিন্তু পুরানো সংস্কারকে আমার সংস্কার হিসেবে মেনে নেওয়া, এটা স্বপ্নেও ভেবো না, এখন তো যা বাবার সংস্কার সেটা তোমাদের সংস্কার। সবাই তোমরা বলো তো না আমার লক্ষ্য বাবা সমান হওয়া। তো তোমরা সবাই নিজেদের হৃদয়ে এই দৃঢ় সংকল্পের প্রতিজ্ঞা নিজের কাছে করেছো? ভুল করেও আমার ব'লো না। আমার আমার যে বলো না তোমরা, তো যে পুরানো সংস্কার আছে সেটা লাভ নিয়ে নেয়। যখন আমার বলো তখন সে বসে যায়, বের হয় না।

বাপদাদা সব বাচ্চাকে কী রূপে দেখতে চান? তোমরা তো জানো, মেনেও থাকো। বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে ভ্রুকুটির সিংহাসনাসীন, স্বরাজ্য অধিকারী রাজা বাচ্চা, অধীন বাচ্চা নয়, রাজা বাচ্চা, কন্ট্রোলিং পাওয়ার, রুলিং পাওয়ার, মাষ্টার সর্বশক্তিমান স্বরূপে দেখছেন। তোমরা তোমাদের কোন রূপ দেখো? এটাই না, রাজ্য অধিকারী তোমরা! অধীন নও তো না? অধীন আত্মাদের তোমরা সবাই অধিকারী বানিয়ে থাকো। আত্মাদের প্রতি সহৃদয় হয়ে অধীন হওয়া থেকে তোমরা তাদের অধিকারী বানাও। তো সবাই তোমরা হোলি উদযাপন করতে এসেছ তো না? বাপদাদাও খুশি হন যে সবাই স্নেহের বিমান দ্বারা উপস্থিত হয়েছে, সবার কাছে বিমান আছে না! আছে বিমান? ভালই হাত তুলছো। ঠিক আছে? পেট্রোল ঠিক আছে? পাখা ঠিক আছে? স্টার্ট করার আধার ঠিক আছে? চেক করো তোমরা? এমন বিমান যা ত্রিলোক-এ সেকেন্ডে যেতে পারে। যদি সাহস আর উৎসাহ উদ্দীপনার দুটো পাখাই যথার্থ হয় তবে এক সেকেন্ডে স্টার্ট হতে পারে। স্টার্ট করার চাবি কী? আমার বাবা। আমার বাবা বলো তো মন যেখানে পৌঁছাতে চায় সেখানে পৌঁছাতে পারে। দুই পাখাই ঠিক হওয়া প্রয়োজন। সাহস কখনো ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। কেন? বাপদাদার প্রতিজ্ঞা আছে, বরদান আছে, তোমাদের সাহসের এক কদম আর বাবার হাজার কদম সহায়তার। যেমনই কড়া সংস্কার হোক না কেন সাহস হারিয়ে ফেলো না। কারণ কী? সর্বশক্তিমান বাবা সহায়ক আর কম্বাইন্ড, সদা হাজির। তোমরা সাহসের সাথে সর্বশক্তিমান কম্বাইন্ড বাবার ওপরে অধিকার রাখো এবং দৃঢ় থাকো, হতেই হবে, বাবা আমার, আমি বাবার, এই সাহস ভুলো না। তবে কী হবে? এই যে সংকল্প ওঠে কীভাবে করবো, এই কীভাবে শব্দ বদলে এভাবে হয়ে যাবে। কীভাবে করবো, কী করবো, না। এভাবে হয়েই আছে। তোমরা ভাবো - করছি তো, হবে, হওয়া তো উচিত, বাবা তো সহায়তা দেবেন...! হয়েই আছে, বাবা বেঁধে আছেন, যারা দৃঢ় নিশ্চয়বুদ্ধি তাদের সহায়তা প্রদান করার জন্য। তোমরা কেবল রূপ চেঞ্জ করে দাও, বাবার ওপর অধিকার রাখো অথচ রূপ চেঞ্জ করে দাও - বাবা, আপনি সাহায্য করবেন তো না! আপনি বেঁধে আছেন তো না! তোমরা না জুড়ে দাও। নিশ্চয়বুদ্ধির নিশ্চিত বিজয় হয়েই আছে। কেননা, বাপদাদা সব বাচ্চাকে জন্মানোর সাথে সাথেই মস্তকে বিজয়ের তিলক লাগিয়ে দিয়েছেন। দৃঢ়তাকে নিজের তীব্র পুরুষার্থের চাবি বানাও। খুব ভালো প্ল্যান বানাও তোমরা। বাপদাদা যখন আত্মিক বার্তালাপ শোনেন, তোমরা সেই অধ্যাত্ম বার্তালাপ করো সাহসের, অনেক পাওয়ারফুল প্ল্যানও বানাও। কিন্তু প্ল্যান যখন প্র্যাকটিক্যালি করো তখন প্লেন বুদ্ধি হয়ে করো না। তার মধ্যে 'করছি তো', 'হওয়া তো উচিত'...এসব নিশ্চয়ের সাথে নিজের মধ্যেকার সংকল্প নয়, বরং ওয়েস্ট সংকল্প মিক্স করে দাও।

এখন সময় অনুসারে প্লেন বুদ্ধি হয়ে সংকল্পকে সাকার রূপে আনো। সামান্যতম দুর্বল সংকল্প ইমার্জ ক'রো না। স্মরণ রাখো, একবার করছো না, অনেক বার করেছো যা এখন শুধু রিপিট করছো। স্মরণ করো কত বার কল্প কল্প বিজয়ী হয়েছ! অনেক বারের বিজয়ী তোমরা, বিজয় অনেক কল্পের জন্মসিদ্ধ অধিকার তোমাদের। এই অধিকার দ্বারা নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে দৃঢ়তার চাবি লাগাও, বিজয় তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মাদের ছাড়া কোথায় যাবে! তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মার জন্মসিদ্ধ অধিকার বিজয়, গলার মালা। নেশা হয় তো না? নেশা আছে? হবে কি হবে না - এটা নয়। হয়েই আছে। এত নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে সব কার্য করো, বিজয় নিশ্চিত হয়েই আছে। হয়েই আছে এমন নিশ্চয়বুদ্ধি আত্মা, এরকম নয় - আছে নাকি নেই! বাপদাদা বলেন হয়েই আছে। এই নেশা রাখো। ছিলাম, আছি আর হবো। তো এমন হোলি তোমরা, তাই না! হোলিয়েস্ট তোমরা। তো বাপদাদার জ্ঞানের আবিরের হোলি খেলে নিয়েছ, এখন আর কী খেলবে?

বাপদাদা দেখেছেন যে তোমাদের মেজরিটির উৎসাহ উদ্দীপনা খুব ভালই আসে, এটা করে নেবো, এটা করে নেবো, এটা হয়ে যাবে। বাপদাদাও অনেক খুশি হন, কিন্তু এই উৎসাহ উদ্দীপনা যেন সদা ইমার্জ থাকে, কখনো কখনো মার্জ হয়ে যায়, কখনো ইমার্জ হয়ে যায়। মার্জ যেন না হয়, ইমার্জই থাকে। কেননা, সম্পূর্ণ সঙ্গম যুগই তোমাদের উৎসব। তারা তো কখনো কখনো এইজন্য উৎসব পালন করে কেননা অনেক সময় তারা টেনশনে থাকে তো না, তো মনে করে উৎসাহে যদি নাচে, গায়, ভোজন করে তবে চেঞ্জ হয়ে যাবে। কিন্তু তোমাদের কাছে নাচ গান তো আছেই, প্রতিটা সেকেন্ড। তোমরা সদা মনের মধ্যে খুশিতে নাচতে থাকো তো না! নাকি না! নাচো তোমরা, খুশিতে কীভাবে নাচতে হয় জানো তোমরা? নাচতে জানো! যে জানো সে হাত তোলো। নাচতে জানো, আচ্ছা। জানো তো অভিনন্দন! তাহলে সদা নাচো, নাকি কখনো কখনো?

বাপদাদা এই বছরের হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন, দুটো শব্দ কখনো ভাববে না, সামটাইম, সামথিং। সেটা করেছো? নাকি এখনও সামটাইম আছে? সামটাইম, সামথিং শেষ। এই নাচাতে ক্লান্ত হওয়ার তো কোনো ব্যাপারই নেই। শুয়ে হোক বা কাজ করতে করতে, কিংবা হাঁটতে হাঁটতে বা ব'সে ব'সে খুশির ড্যান্স তো তোমরা করতেই পারো এবং বাবার থেকে প্রাপ্তি হওয়ার গীতও গাইতে পারো। গীত গাইতে জানো তো না? এই গীত সবাই জানে, শব্দের গীত কেউ জানে, কেউ জানে না। কিন্তু বাবার থেকে প্রাপ্তির, বাবার গুণের গীত সেতো সবাই জানে, তাই না! তো ব্যস! সবদিন উৎসব, প্রতিটা মুহূর্ত উৎসব। আর সদা নাচো, গাও, অন্য কাজ দেওয়াই হয়নি। এই তো দুটো কাজ তো না! নাচো আর গাও। সুতরাং এনজয় করো। বোঝা কেন উঠাও? এনজয় করো, নাচো গাও ব্যস। আচ্ছা। হোলি উদযাপন করে নিয়েছ তো না! এখন রঙের হোলিও উদযাপন করবে? আচ্ছা ভক্তরা তো তোমাদেরই কপি করবে, করবে না! তোমরা ভগবানের সাথে হোলি খেলো তো ভক্তরাও কোনও না কোনও তোমরা-দেবতার সঙ্গে হোলি খেলতে থাকে। আচ্ছা।

তো আজ অনেক বাচ্চার ই-মেলও এসেছে, পত্রও এসেছে, ফোনও এসেছে, যা কিছু সাধন রয়েছে তার মাধ্যমে হোলির অভিনন্দন পাঠিয়েছে। বাপদাদার কাছে যখনই সংকল্প করো তখনই পৌঁছে যায়। কিন্তু চতুর্দিকের বিশেষ বাচ্চারা স্মরণ করে আর করেছে, বাপদাদাও রিটার্নে সব বাচ্চাকে তাদের নাম ও বিশেষত্ব সহ পদ্ম-পদ্ম কল্যাণকারী শুভেচ্ছা আর হৃদয়ের পদ্মগুন স্মরণ স্নেহ দিচ্ছেন। যখন সন্দেশী যায়, তখন প্রত্যেকে নিজের নিজের তরফের স্মরণ দিয়ে থাকে। যারা দাওনি না তাদেরটাও বাপদাদার কাছে পৌঁছে গেছে। এটাই তো পরমাত্ম ভালোবাসার বিশেষত্ব। এই একদিন কত সুন্দর! গ্রামে থাকুক বা অনেক বড় বড়ো শহরে, যারা গ্রামের তাদেরও স্মরণ সাধন না থাকা সত্ত্বেও বাবার কাছে পৌঁছে যায়। কেননা, বাবার কাছে স্পিরিচুয়াল সাধন অনেক আছে তো না!

আজকালকার দুনিয়ায় ডক্টরস বলে, ওষুধ ছাড়ো, এক্সারসাইজ করো। তো বাপদাদাও বলেন যে যুদ্ধ করা ছাড়ো, পরিশ্রম করা ছাড়ো, সারাদিনে ৫-৫ মিনিট মনের এক্সারসাইজ করো। ওয়ান মিনিটে নিরাকারী, ওয়ান মিনিটে আকারী, ওয়ান মিনিটে সব ধরনের সেবাধারী, মনের এই ৫ মিনিটের এক্সারসাইজ সারাদিনে ভিন্ন ভিন্ন টাইমে করো। তাহলে, সদা স্বাস্থ্যবান থাকবে, পরিশ্রম থেকে বেঁচে যাবে। হতে পারে তো না! হতে পারে? মধুবনের তোমরা, মধুবন হলো ফাউন্ডেশন, না চাইতেই মধুবনের ভাইব্রেশন চতুর্দিকে পৌঁছে যায়। মধুবনে একদিন যদি কোনকিছু হয়, সেটা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পরের দিন পৌঁছে যায়। মধুবনে এত রকম সাধন লাগানো আছে, কোনও কিছুই গোপন থাকে না, হতে পারে সেটা পুরুষার্থের জন্যও ভালো। তো মধুবন যা করবে সেই ভাইব্রেশন আপনা থেকেই সহজভাবে ছড়িয়ে পড়বে। মধুবন নিবাসী আগে ওয়েস্ট থটস স্টপ হওয়া উচিত, হতে পারে? হতে পারে? তোমরা সামনে বসে আছ তো, মধুবন নিবাসী হাত উঠাও। তো মধুবন নিবাসী নিজেদের মধ্যে কোনো এমন প্ল্যান বানাও যাতে ওয়েস্ট শেষ হয়। বাপদাদা এটা বলেন না যে সংকল্পই বন্ধ করো। ওয়েস্ট সংকল্প ফিনিশ। লাভ তো নেই! হয়রানিই আছে। হতে পারে? মধুবন নিবাসী যারা মনে করছ নিজেদের মধ্যে মিটিং করে এটা করবে, তারা হাত তোলো। দুটো হাতই তোলো। অভিনন্দন। বাপদাদা হৃদয়ের আশীর্বাদ দিচ্ছেন। অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সাহস আছে মধুবনে, যা চায় তা' করতে পারে, করাতেও পারে। মধুবনের বোনেরাও আছে, বোনেরা হাত উঠাও। বড় করে হাত তোলো। মিটিং ক'রো, তোমরা দাদিরা মিটিং করাও। দেখো, সবাই হাত তোলো। এবারে তো হাতের মর্যাদা রক্ষা করতেই হবে। আচ্ছা।

এখনই এখনই সেকেন্ডে ব্রহ্মা বাবা লাস্টে বরদান দিয়েছেন, নিরাকারী, নির্বিকারী, নিরহংকারী এটা ছিল ব্রহ্মা বাবার লাস্ট বরদান, এক অনেক বড় উপহার বাচ্চাদের জন্য। তো ব্রহ্মা বাবার উপহার কি সেকেন্ডে মন থেকে স্বীকার করতে পারো? দৃঢ় সংকল্প কি করতে পারো যে বাবার উপহার সদা প্র্যাকটিক্যাল লাইফে আনতে হবে? কেননা, আদি দেবের উপহার কম নয়! ব্রহ্মা গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার। তাঁর উপহার কম নয়! তো নিজের নিজের পুরুষার্থ অনুসারে সংকল্প করো যে আজকের দিনে হোলি অর্থাৎ যা অতীত হয়েছে তা' হো লি, হয়ে গেছে। কিন্তু এখন থেকে তোমরা উপহার বারংবার ইমার্জ করে ব্রহ্মা বাবাকে সেবার রিটার্ন হিসেবে দেবে। দেখো, ব্রহ্মা বাবা অন্তিম দিন, অন্তিম সময় পর্যন্ত সেবা করেছেন। এটা বাচ্চাদের প্রতি ব্রহ্মা বাবার ভালোবাসা, সেবার প্রতি ভালোবাসার লক্ষণ, তো ব্রহ্মা বাবাকে রিটার্ন দেওয়া অর্থাৎ তাঁর দেওয়া উপহার বারবার জীবনে রিভাইস করে প্র্যাকটিক্যালে আনা। তো সবাই ব্রহ্মা বাবার প্রতি স্নেহের রিটার্নে নিজের হৃদয়ে সংকল্প দৃঢ় করো, এটাই হলো ব্রহ্মা বাবার স্নেহের উপহারের রিটার্ন। আচ্ছা।

চতুর্দিকের লাকিয়েস্ট, হোলিয়েস্ট বাচ্চাদের যারা সদা দৃঢ় সংকল্পের চাবি প্র্যাকটিক্যালে নিয়ে আসে সেই সাহসী বাচ্চাদের, সদা নিজের মনকে বিভিন্ন রকমের সেবায় বিজি রাখে, কদমে পদম উপার্জন জমা করে এমন বাচ্চাদের, সদা প্রতিদিন উৎসাহে থাকে, প্রতিদিন উৎসবের দিন মনে করে উদযাপন করে, এমন সদা সৌভাগ্যবান বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

বরদান:-
লভ আর লভলীন স্থিতির অনুভবের দ্বারা সবকিছু ভুলে সদা দেহী অভিমানী ভব

কর্মে, বাণীতে, সম্পর্কে ও সম্বন্ধে লভ এবং স্মৃতিতে ও স্থিতিতে লভলীন থাকো, তবে সবকিছু ভুলে দেহী অভিমানী হয়ে যাবে। লাভই বাবার সমীপ সম্বন্ধে নিয়ে আসে, সর্বস্ব ত্যাগী বানায়। এই লাভের বিশেষত্ব দ্বারা এবং লাভলীন স্থিতিতে থাকাতেই সর্ব আত্মার ভাগ্য ও লাককে জাগাতে পারবে। এই লাভই লাকের লকের চাবি। এটা মাস্টার কি। এর দ্বারা যে কোনও দুর্ভাগ্যশালী আত্মাকে ভাগ্যশালী আত্মা বানাতে পারো।

স্লোগান:-
নিজের পরিবর্তনের মুহূর্ত নিশ্চিত করো তবে বিশ্ব পরিবর্তন আপনা থেকেই হয়ে যাবে।

নিজের আর সকলের প্রতি মনের দ্বারা যোগের শক্তিগুলির প্রয়োগ করো মন্সা শক্তির দর্পণ হলো - বোল আর কর্ম। অজ্ঞানী আত্মা হোক বা জ্ঞানী আত্মা - উভয়ের সম্বন্ধ সম্পর্কে বোল আর কর্ম শুভ ভাবনা শুভ কামনার হতে হবে, তার বাচা আর কর্মণা আপনা থেকেই শক্তিশালী হবে শুদ্ধ হবে, শুভ ভাবনার হবে। মন্সা শক্তিশালী অর্থাৎ স্মরণের শক্তি শ্রেষ্ঠ হবে, শক্তিশালী হবে, সহজযোগী হবে।