05.12.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা যে জ্ঞানই পাও, তার উপরে বিচার - সাগর মন্থন করো, এই জ্ঞান মন্থনেই অমৃত বের
হবে"
প্রশ্নঃ -
২১ জন্মের
জন্য লাভবান হওয়ার সাধন কি?
উত্তরঃ
জ্ঞান রত্ন ।
এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে তোমরা যত জ্ঞান রত্ন ধারণ করো, ততই লাভবান হও । এখানের
জ্ঞান রত্ন ওখানে হীরে - জহরত হয়ে যায় । আত্মা যখন জ্ঞান রত্ন ধারণ করবে, মুখ থেকে
যখন জ্ঞান রত্ন নির্গত হবে, রত্নই শুনবে আর শোনাবে, তখন তার আনন্দিত চেহারায় বাবার
নাম উজ্জ্বল হবে । আসুরী গুণ যখন দূর হবে তখনই লাভবান হতে পারবে ।
ওম্ শান্তি ।
বাবা তাঁর
বাচ্চাদের জ্ঞান এবং ভক্তির উপর বোঝান । বাচ্চারা তো একথা বুঝতেই পারে যে, সত্যযুগে
ভক্তি থাকে না । সত্যযুগে জ্ঞানও পাওয়া যায় না । কৃষ্ণ না ভক্তি করতো, না জ্ঞানের
মুরলী বাজাতো । মুরলীর অর্থ জ্ঞান দান করা । গায়ন আছে না - মুরলীতে জাদু । তাহলে
অবশ্যই কোনো জাদু থাকবে, তাই না । কেবলমাত্র মুরলী বাজানো, এ তো সাধারণ কথা ।
ফকিররাও মুরলী বাজায় । এখানে তো জ্ঞানের জাদু । অজ্ঞানতাকে জাদু বলা হবে না ।
মানুষ মনে করে, কৃষ্ণ মুরলী বাজাতো, তাই তাঁর মহিমা করে । বাবা বলেন, কৃষ্ণ তো দেবতা
ছিলো । মানব থেকে দেবতা আর দেবতা থেকে মানব, এ হতেই থাকে । দৈবী সৃষ্টিও যেমন হয়,
তেমনই মনুষ্য সৃষ্টিও হয় । এই জ্ঞানেই মানুষ থেকে দেবতা হয় । সত্যযুগ যখন হয় তখন
এই জ্ঞানের আশীর্বাদ হয় । সত্যযুগে ভক্তি থাকে না । দেবতারা যখন মানব হয়, তখন
ভক্তি শুরু হয় । মানুষকে বিকারী আর দেবতাকে নির্বিকারী বলা হয় । দেবতাদের সৃষ্টিকে
পবিত্র দুনিয়া বলা হয় । তোমরা এখন মানুষ থেকে দেবতা তৈরী হচ্ছো । দেবতাদের মধ্যে
কিন্তু এই জ্ঞান থাকবে না । দেবতারা সদ্গতিতে থাকেন, জ্ঞানের প্রয়োজন, দুর্গতিতে
যারা থাকে, তাদের জন্য । এই জ্ঞানের দ্বারাই দৈবী গুণ আসে । জ্ঞানের ধারণা
সম্পন্নদেরই চালচলন দেবতাদের মতো হয় । যাদের ধারণা কম, তাদের মিক্সড আচার-আচরণ হয়ে
থাকে । আসুরী চলন তো বলা হবে না । ধারণা না থাকলে 'আমার সন্তান' কিভাবে বলা হবে?
বাচ্চারা যদি বাবাকে না জানে, তাহলে বাবা কিভাবে বাচ্চাদের জানতে পারবেন । বাবাকে
কতো খারাপ গালি দিয়ে থাকে । ভগবানকে গালি দেওয়া কতো খারাপ, কিন্তু যখন ওরা
ব্রাহ্মণ হয়ে যায় তখন গালি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় । তাই এই জ্ঞানের বিচার - সাগর
মন্থন করা উচিত । ছাত্ররা বিচার - সাগর মন্থন করে জ্ঞানের উন্নতি করে । তোমরা এই
জ্ঞান পেয়েছো, এর উপরে বিচার - সাগর মন্থন করলে অমৃত বেরিয়ে আসবে। বিচার - সাগর
মন্থন না করলে কি মন্থন করবে? আসুরী বিচার মন্থন করলে আবর্জনা বের হয় । তোমরা এখন
হলে গডলী স্টুডেন্ট । তোমরা জানো যে, বাবা তোমাদের মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পাঠ
পড়াচ্ছেন । দেবতারা তো আর পড়াবে না । দেবতাদের কখনোই জ্ঞানের সাগর বলা হয় না ।
বাবাই হলেন জ্ঞানের সাগর । তাই নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত, আমাদের মধ্যে সমস্ত দৈবী
গুণ আছে তো? যদি আসুরী গুণ থাকে, তবে তা দূর করে দেওয়া উচিত, তখনই তোমরা দেবতা হতে
পারবে ।
তোমরা এখন পুরুষোত্তম
সঙ্গম যুগে রয়েছো । তোমরা পুরুষোত্তম তৈরী হচ্ছো তাই পরিবেশও খুব সুন্দর তৈরী হওয়া
উচিত । ছিঃ - ছিঃ কথা মুখ থেকে নির্গত হওয়া উচিত নয় । না হলে তোমাদের কম মানের বলা
হবে । পরিবেশ দেখেই চট করে তা বুঝতে পারা যায় । মুখ থেকে দুঃখ দেওয়ার মতো কথাই বের
হয় । বাচ্চারা, তোমাদের বাবার নাম উজ্জ্বল করতে হবে । সর্বদা তোমাদের চেহারা
প্রফুল্লিত থাকা চাই । মুখ থেকে সর্বদা যেন রত্নই নির্গত হয় । এই লক্ষ্মী -
নারায়ণের চেহারা কতো হাসিখুশী, এঁদের আত্মা জ্ঞান রত্ন ধারণ করেছিলো । এরা মুখ থেকে
এই রত্নই বের করেছিলো । এঁরা রত্নই শুনতো এবং শোনাতো । তোমাদের কতো খুশীতে থাকা
উচিত । এখন তোমরা যেই জ্ঞান রত্ন ধারণ করছো তাই প্রকৃত হীরে - জহরত হয়ে যায় । ৯
রত্নের মালা কোনো হীরে - জহরতের নয়, এই চৈতন্য রত্নের মালা । মানুষ কিন্তু ওই রত্ন
মনে করে হাতে আংটি ইত্যাদি ধারণ করে । জ্ঞান রত্নের মালা এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগেই
তৈরী হয় । এই রত্নই ২১ জন্মের জন্য লাভবান করে দেয়, যা কেউই লুণ্ঠন করতে পারে না
। এখানে ওই রত্ন ধারণ করলে চট করে কেউ লুণ্ঠন করে নেবে । তাই নিজেদের খুবই
বুদ্ধিমান বানাতে হবে । আসুরী গুণকে দূর করতে হবে । আসুরী গুণের মানুষের চেহারাই
এমন হয়ে যায় । তাদের মুখ ক্রোধে তো লাল তাওয়ার মতো হয়ে যায় । কাম বিকারের
মানুষের মুখ তো একদম কালো হয়ে যায় । কৃষ্ণকেও তো কালো দেখানো হয় । বিকারের
কারণেই গৌর থেকে কালো হয়ে গেছে । বাচ্চারা, তোমাদের প্রতিটি কথার বিচার - সাগর
মন্থন করা উচিত । এই পাঠ হলো অনেক সম্পদ অর্জনের পাঠ । বাচ্চারা, তোমরা তো শুনেছো
যে, কুইন ভিক্টোরিয়ার উজির খুবই গরীব ছিলো । মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে পড়তো, কিন্তু ওই
পড়া এমন কোনো রত্নই নয় । এই নলেজ পড়ে তোমরা পুরো পজিশন নিয়ে থাকো । তাহলে এই
ঈশ্বরীয় পড়াই তো কাজে এলো, অর্থ নয়? পড়াশোনাই হলো ধন । সেটা হলো লৌকিক ধন আর এ
হলো অসীম জাগতিক ধন। তোমরা এখন বুঝতে পারো, বাবা আমাদের পড়িয়ে এই বিশ্বের মালিক
বানিয়ে দেন । ওখানে তো অর্থ উপার্জনের জন্য কেউ এই পড়া পড়বে না । ওখানে তো এখনকার
পুরুষার্থে অগাধ সম্পদের অধিকারী হওয়া যায় । সেই সম্পদ অবিনাশী হয়ে যায় ।
দেবতাদের কাছে কতো ধন সম্পদ ছিলো, তারপর বাম মার্গ, রাবণ রাজ্যে যখন আসে তখনো কতো
সম্পদ থাকে । তাঁদের কতো মন্দির বানানো হয় । তার পরবর্তীকালে মুসলমানেরা সব লুণ্ঠন
করে নেয় । দেবতারা কতো ধনবান ছিলো । আজকালকার পড়ায় এতো ধনবান হতে পারে না । তাহলে
এই পড়ায় দেখো, মানুষ কি থেকে কি হয়ে যায় । গরীব থেকে বিত্তবান হয়ে যায় । এখন
ভারতকে দেখো, কতো গরীব হয়ে গেছে । যারা নামে বিত্তবান, তাদের তো কোনো সাময়ই নেই ।
নিজের ধন - সম্পদ এবং পদের কতো অহংকার থাকে । এতে অহংকার ইত্যাদি দূর হয়ে যাওয়ার
প্রয়োজন । আমরা হলাম আত্মা । আত্মার কাছে ধন - দৌলত, হীরে -জহরতাদি কিছুই নেই ।
বাবা বলেন - মিষ্টি
বাচ্চারা, দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধকে ত্যাগ করো । আত্মা যখন শরীর ত্যাগ করে তখন এই
বিত্ত ইত্যাদি সবই শেষ হয়ে যায় । তারপর যখন নতুন ভাবে পড়বে, অর্থ উপার্জন করতে
পারবে তখন ধনবান হতে পারবে, অথবা অনেক দান - পুণ্য করলে বিত্তবানের ঘরে জন্ম নেবে ।
বলা হয়, এ হলো পূর্ব কর্মের ফল । জ্ঞানের যদি দান করে অথবা কলেজ - ধর্মশালা ইত্যাদি
বানায়, তাহলে তার ফল পায় কিন্তু তাও অল্প সময়ের জন্য । এই দান - পুণ্য ইত্যাদিও
এখানেই করা হয় । সত্যযুগে এমন করা হয় না । সত্যযুগে কেবল ভালো কর্মই হয়, কেননা
আত্মা এখনকার আশীর্বাদ প্রাপ্ত করে । ওখানে কোনো কর্মই বিকর্ম হবে না, কেননা ওখানে
রাবণ নেই৷ বিকারে গেলে কর্মও বিকারী হয়ে যায় । বিকার থেকেই বিকর্মের উৎপত্তি হয়
। স্বর্গে কোনো বিকর্ম হয় না । সবকিছুই এই কর্মের উপর নির্ভর করে । এই মায়া রাবণ
অপগুণী করে দেয় । বাবা এসে তোমাদের আবার সর্বগুণ সম্পন্ন বানান । রাম বংশী আর রাবণ
বংশীদের যুদ্ধ চলতেই থাকে । তোমরা হলে রামের সন্তান । কতো ভালো ভালো বাচ্চারাও
মায়ার কাছে হার খেয়ে যায় । বাবা তাদের নাম বলেন না, তবুও তিনি তাদের প্রতি আশা
রাখেন । অধমের থেকেও অধমকে তো উদ্ধার করতেই হয় । বাবাকে এই সম্পূর্ণ বিশ্বের
উদ্ধার করতে হবে । এই রাবণের রাজ্যে সকলেই অধম গতি প্রাপ্ত হয়েছে । বাবা তো নিজে
বাঁচার আর অন্যকেও বাঁচানোর যুক্তি রোজ - রোজই বোঝান তবুও যদি নেমে যায় তাহলে
অধমের থেকেও অধম হয়ে যায় । তারা তখন উপরে উঠতে পারে না । এই অধম ভাব মনের অন্তরে
দংশন করতে থাকে । যেমন বলা হয় - অন্তিম সময়ে যে যেমন স্মরণ করবে... এদের বুদ্ধিতে
এই অধম ভাবই স্মরণে আসতে থাকবে ।
তাই বাবা বসে
বাচ্চাদের বোঝান - কল্পে - কল্পে তোমরাই তো শোনো যে এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে ঘুরতে
থাকে, জন্তু - জানোয়াররা তো আর একথা জানবে না । তোমরাই শোনো আর তোমরাই বুঝতে পারো ।
মানুষ তো মানুষই, এই লক্ষ্মী - নারায়ণ এঁদেরও তো নাক - কান ইত্যাদি সবই আছে, তাহলে
তো এঁরাও মানুষ, তাই না, কিন্তু এঁদের মধ্যে দৈবী গুণ আছে, তাই এঁদের দেবতা বলা হয়
। এঁরা এমন দেবতা কিভাবে হন, তারপর কিভাবে নেমে আসেন, এই চক্রের কথা তোমরাই জানো ।
যারা বিচার - সাগর মন্থন করতে থাকবে, তাদেরই ধারণা হবে । আর যারা বিচার - সাগর
মন্থন করবে না, তাদের বুদ্ধু বলা হবে । যারা মুরলী পড়ে তাদের বিচার - সাগর মন্থন
চলতে থাকবে - এই বিষয়ে এমনভাবে বোঝাতে হবে । বাবা আশা রাখেন - এখন বুঝতে না পারলেও
ভবিষ্যতে গিয়ে অবশ্যই বুঝতে পারবে । আশা রাখা অর্থাৎ সেবার নেশা, পরিশ্রান্ত হলে
চলবে না । যদি কেউ এই পাঠের অভ্যাসের পরেও অধম হয়ে যায়, তারাও যদি আবার আসে, তাহলে
তাদের তো স্নেহের সঙ্গে বসাবে, নাকি বলবে চলে যাও ! তাদের অবস্থা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস
করতে হবে - এতদিন কোথায় ছিলো, কেন আসেনি? তারা তো বলবে - মায়ার কাছে হেরে গেছি ।
তারা বুঝতেও পারে যে, এই জ্ঞান খুবই সুন্দর । স্মৃতি তো থাকে, তাই না । ভক্তিতে তো
জয় - পরাজয়ের কোনো কথাই নেই । এ হলো জ্ঞান, একে ধারণ করতে হবে । তোমরা যতক্ষণ না
ব্রাহ্মণ হচ্ছো, ততক্ষণ দেবতা হতে পারবে না । খৃস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ইত্যাদির মধ্যে
ব্রাহ্মণ হয়ই না । ব্রাহ্মণের সন্তান ব্রাহ্মণ হয় । এই কথা এখন তোমরাই বুঝতে পারো
। তোমরা জানো যে, অল্ফ-কে (আল্লাহ ) স্মরণ করতে হবে । অল্ফ-কে স্মরণ করলেই এই
বাদশাহী পাওয়া যায় । যখন কাউকে পাবে, তো তাকে বলো যে, অল্ফ , আল্লাহকে স্মরণ করো ।
অল্ফকেই উচ্চ বলা হয় । বাবাকে অল্ফ বা আল্লাহ বলা হয় । অঙ্গুলি দিয়ে অল্ফের দিকে
ইশারা করা হয় । সোজা উপরে হলেন এই অল্ফ বা আল্লাহ । অল্ফকে এক বলা হয় । ভগবান
হলেন একজনই, বাকি সবাই তাঁর সন্তান । বাবাকে অল্ফ বা আল্লাহ বলা হয় । বাবা যেমন
জ্ঞান দান করেন, তেমনি নিজের বাচ্চাও তৈরী করেন । তাই বাচ্চারা, তোমাদের কতো খুশীতে
থাকা উচিত । বাবা আমাদের কতো সেবা করেন, তিনি আমাদের এই বিশ্বের মালিক বানান । তিনি
নিজে সেই পবিত্র দুনিয়ায় আসেনও না । পবিত্র দুনিয়াতে কেউই তাঁকে ডাকেন না । পতিত
দুনিয়াতেই তাঁকে ডাকা হয় । পবিত্র দুনিয়াতে এসে তিনি কি করবেন । তাঁর নামই হলো
পতিত পাবন । তাই পুরানো দুনিয়াকে পবিত্র দুনিয়া বানানো হলো তাঁর দায়িত্ব । বাবার
নাম হলো শিব । বাচ্চাদের শালগ্রাম বলা হয় । এই দুইয়েরই পুজো হয় কিন্তু যারা পূজা
করেন তারা কিছুই জানেন না, ব্যস্, এক রীতি - রেওয়াজ বানিয়ে দিয়েছে এই পূজার জন্য ।
দেবীদেরও ফার্স্ট ক্লাস হীরে - মুক্তোর প্রাসাদ ইত্যাদি বানিয়ে পূজা করা হয় । ওরা
তো মাটির লিঙ্গ বানায় আর ভেঙ্গে ফেলে । এই লিঙ্গ বানাতে কোনো পরিশ্রম হয় না । দেব
- দেবীর মূর্তি বানাতে পরিশ্রম হয় । শিববাবার পুজোতে কোনো পরিশ্রম লাগে না ।
সবকিছুই বিনা পয়সায় পাওয়া যায় । জলে পাথর ঘষা খেয়ে গোল হয়ে যায় । সম্পূর্ণ
ডিমের আকার হয়ে যায় । এমনও বলা হয় যে, আত্মা হলো ডিমের মতো যা ব্রহ্ম তত্বে থাকে,
তাই তাকে ব্রহ্মাণ্ড বলা হয় । তোমরা ব্রহ্মাণ্ডের এবং এই বিশ্বের মালিক হও ।
তাই প্রথমে এক বাবার
সম্বন্ধে বোঝাতে হবে । শিবকে বাবা বলে সবাই স্মরণ করে । দ্বিতীয়তঃ, ব্রহ্মাকেও বাবা
বলা হয় । প্রজাপিতা যখন, তখন তো সকল প্রজাদেরই পিতা হলেন, তাই না । গ্রেট - গ্রেট
গ্র্যান্ড ফাদার । এই সমস্ত জ্ঞান বাচ্চারা, এখনই তোমাদের মধ্যে আছে । প্রজাপিতা
ব্রহ্মা তো অনেকেই বলেন কিন্তু যথার্থ ভাবে কেউই জানে না । ব্রহ্মা কার সন্তান?
তোমরা বলবে পরমপিতা পরমাত্মার । শিব বাবা এনাকে অ্যাডপ্ট করেছেন, তাই ইনি তো
শরীরধারী হলেন, তাই না । সকলেই ঈশ্বরের সন্তান । এরপরে যখন শরীর ধারণ করে তখন
প্রজাপিতা ব্রহ্মার অ্যাডপশন বলা হয় । সেই অ্যাডপশন নয় । আত্মাদের কি পরমপিতা
পরমাত্মা অ্যাডপ্ট করেছেন? না, তোমাদেরকে অ্যাডপ্ট করেছেন । তোমরা এখন হলে
ব্রহ্মাকুমার - ব্রহ্মাকুমারী । শিববাবা অ্যাডপ্ট করেন না । সকল আত্মাই হলো অনাদি -
অবিনাশী । সকল আত্মাই নিজের নিজের শরীর, নিজের নিজের পার্ট পেয়েছে, যে পার্ট তাদের
প্লে করতেই হবে । এই পার্টই অনাদি - অবিনাশী পরম্পরা ধরে চলে আসছে । বলা হয় এর কোনো
আদি - অন্ত নেই । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের আর্থিক প্রাচুর্য (সাহুকারী), পজিশন ইত্যাদির অহংকার দূর করতে হবে । অবিনাশী
জ্ঞান রত্নের দ্বারা নিজেকে লাভবান করতে হবে । সার্ভিসে কখনোই পরিশ্রান্ত হবে না ।
২ ) বাতাবরণকে সুন্দর
রাখার জন্য মুখ থেকে সর্বদা রত্ন বের করতে হবে । দুঃখ দেওয়ার মতো বাণী যেন বের না
হয়, তার খেয়াল রাখতে হবে । সর্বদা হাসিমুখে থাকতে হবে ।
বরদান:-
যেকোনও
বায়ুমন্ডলে মন-বুদ্ধিকে সেকেণ্ডে একাগ্র করতে পারা সর্বশক্তি সম্পন্ন ভব
বাপদাদা উত্তরাধিকার
রূপে সকল বাচ্চাদেরকে সর্বশক্তি দিয়েছেন। স্মরণের শক্তির অর্থ হল - মন-বুদ্ধিকে
যেখানে লাগাতে চাও, সেখানেই লেগে যাবে। যেকোনও বায়ুমন্ডলের মধ্যে নিজের মন-বুদ্ধিকে
সেকেন্ডে একাগ্র করে নাও। পরিস্থিতি দোলাচলের হলেও, বায়ুমন্ডল তমোগুণী হলেও, মায়া
নিজের বানানোর প্রচেষ্টা করলেও সেকেণ্ডে একাগ্র হয়ে যাও। এইরকম কন্ট্রোলিং পাওয়ার
থাকলে তখন বলা হবে সর্বশক্তি সম্পন্ন।
স্লোগান:-
বিশ্ব
কল্যাণের দায়িত্ব আর পবিত্রতার লাইটের মুকুট পরিধানকারীরাই ডবল মুকুটধারী হয়।