06.02.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
পুরানো দুনিয়ার কাঁটাদের নতুন দুনিয়ার ফুলে পরিণত করা - এ হলো তোমাদের মতন সচেতন
মালীদের কর্তব্য"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
সঙ্গমযুগে তোমরা এমন কোন্ শ্রেষ্ঠ ভাগ্য নির্মাণ করো?
উত্তরঃ
কাঁটা থেকে
সুরভিত ফুল হওয়া - এ হলো সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ভাগ্য। যদি একটাও কোন বিকার থাকে তবে
সে কাঁটা। যখন কাঁটা থেকে ফুল হবে, তখনই সতোপ্রধান দেবী-দেবতা হবে। বাচ্চারা, তোমরা
এখন ২১ জন্মের জন্য নিজেদের সূর্যবংশীয় ভাগ্য তৈরী করতে এসেছো।
গীতঃ-
ভাগ্য জাগিয়ে
এসেছি....
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা গীত
শুনেছে। এ হলো কমন গান। কারণ তোমরা হলে মালী, বাবা হলেন উদ্যানের মালিক (বাগবান) ।
মালীদের এখন কাঁটা থেকে ফুল তৈরী করতে হবে। এই শব্দটি (কথাটি) অত্যন্ত ক্লিয়ার।
ভক্ত এসেছে ভগবানের কাছে। এরা তো সকলেই ভক্তা, তাই না। এখন জ্ঞান-বিষয়ক পড়া পড়তে
বাবার কাছে এসেছে। এই রাজযোগের পড়ার মাধ্যমেই নতুন দুনিয়ার মালিক হয়ে যাও। ভক্তারা
তাই বলে - আমরা ভাগ্য তৈরী করে এসেছি, নতুন দুনিয়া হৃদয়ে সাজিয়ে এনেছি। বাবাও
প্রত্যহ বলেন যে, সুইট হোম এবং সুইট রাজত্বকে স্মরণ করো। আত্মাকে স্মরণ করতে হবে।
প্রত্যেকটি সেন্টারে কাঁটা থেকে ফুল তৈরী হচ্ছে। ফুলেরাও নম্বরের ক্রমানুসারে হয়,
তাই না। শিবের উপর ফুল চড়ায়(অর্পণ করে), কেউ কেমন ধরণের ফুল অর্পণ করে, আবার কেউ
কেমনধরণের। গোলাপফুল আর আকন্দফুলের মধ্যে রাত-দিনের পার্থক্য। এও এক বাগিচা। কেউ
বেলফুল, কেউ চম্পা, কেউ রতন-জ্যোতি। কেউ আবার আকন্দও হয়। বাচ্চারা জানে যে, এইসময়
সকলেই কাঁটা। এই দুনিয়াই কাঁটার জঙ্গল, একেই নতুন দুনিয়ার ফুলে পরিনত করতে হবে। এই
পুরানো দুনিয়া হলো কাঁটা, তাই গানেও বলা হয়েছে - আমরা বাবার কাছে এসেছি, পুরানো
দুনিয়ার কাঁটা থেকে নতুন দুনিয়ার ফুল হতে। বাবা নতুন দুনিয়া স্থাপন করছেন। কাঁটা
থেকে ফুল অর্থাৎ দেবী-দেবতা হতে হবে। গানের অর্থ কত সহজ। আমি এসেছি... নতুন দুনিয়ার
জন্য ভাগ্য জাগরিত করতে। নতুন দুনিয়া হলো সত্যযুগ। কারোর সতোপ্রধান ভাগ্য হয়,
কারোর রজঃ, তমঃ হয়। কেউ সূর্যবংশীয় রাজা হয়, কেউ প্রজা হয়, কেউ আবার প্রজারও ভৃত্য
হয়। এ নতুন দুনিয়ার রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে। স্কুলে ভাগ্য জাগরিত করতে যাওয়া হয়, তাই
না। এখানে এ হলো নতুন দুনিয়ার কথা। এই পুরানো দুনিয়ায় কী ভাগ্য তৈরী করবে ! তোমরা
ভবিষ্যতের নতুন দুনিয়ায় দেবতা হওয়ার জন্য ভাগ্য গঠন করছো, যে দেবতাদেরকে সকলেই
নমস্কার করে থাকে। আমরাই সেই পূজ্য দেবতা ছিলাম পুনরায় আমরাই পূজারী হয়েছি। ২১
জন্মের উত্তরাধিকার বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়। যাকে ২১ কুল বা বংশ বলা হয়ে থাকে।
কুলও (২১ জন্মের) বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্তকে বলা হয়ে থাকে। বাবা ২১ জন্মের উত্তরাধিকার
দেন কারণ যুবাবস্থায় বা শৈশবে, অথবা মধ্যাবস্থায় অকালমৃত্যু কখনো হয় না তাই তাকে বলা
হয় অমরলোক। এ হলো মৃত্যুলোক, রাবণ-রাজ্য। এখানে প্রত্যেকের মধ্যেই বিকার প্রবেশ করে
রয়েছে, কারোর মধ্যে যদি কোন একটি বিকারও থেকে থাকে, তাহলে তো কাঁটা হয়ে গেলো, তাই
না। বাবা বোঝেন যে, মালী রয়্যাল সুরভিত ফুল তৈরী করতে জানে না। মালী ভাল হলে তখন
ভাল-ভাল ফুল তৈরী করবে। বিজয়মালায় গাঁথার যোগ্য ফুল চাই। দেবতাদের কাছে ভাল-ভাল ফুল
নিয়ে যায়, তাই না। মনে করো, রানী এলিজাবেথ যখন আসে তখন একদম ফার্স্টক্লাস ফুলের
মালা গেঁথে নিয়ে যাবে। এখানকার মানুষই হলো তমোপ্রধান। শিবের মন্দিরেও যায়, মনে করে
ইনিই ভগবান। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে তো দেবতা বলা হয়। শিবকে ভগবান বলা হবে। তাহলে
তো উনি হলেন সর্বোচ্চ, তাই না। এখন শিবের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ধুতুরা খেতো, ভাঙ্গ্
খেতো। কত গ্লানি করে। নিয়েও যায়(ভগবানের কাছে) আকন্দফুল। এখন পরমপিতা পরমাত্মা হলো
এমন, আর ওঁনার কাছে কী নিয়ে যায়? তমোপ্রধান কাঁটাদের কাছে ফার্স্টক্লাস ফুল নিয়ে
যায় আর শিবের মন্দিরে কী নিয়ে যায় ! দুধও কীভাবে অর্পণ করে? ৫ শতাংশ দুধ, বাকি ৯৫
শতাংশ জল। ভগবানের কাছে কেমন দুধ অর্পণ করা উচিত - জানে তো কিছুই না। এখন তোমরা
ভালভাবে জানো। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারে রয়েছে, যারা ভালভাবে জানে তাদের
সেন্টারের হেড করা হয়। সকলেই তো একইরকমের হয় না। পড়াও এক, মানুষ থেকে দেবতা হওয়ারই
এইম অবজেক্ট কিন্তু টিচার তো নম্বরের ক্রমানুসারেই হয়, তাই না। বিজয়মালায় আসার
মুখ্য ভিতই (আধার) হলো পড়াশোনা। পড়া তো একইরকমের হয়, কিন্তু তাতে উত্তীর্ণ হয়
নম্বরের ক্রমানুসারে, তাই না। সব কিছুই নির্ভর করছে পড়াশোনার উপরে। কেউ বিজয়মালার ৮
দানার মধ্যে আসে, কেউ ১০৮-এ, কেউ ১৬ হাজার ১০৮-এ আসে। বংশলতিকা তৈরী করে, তাই না।
যেমন বৃক্ষেরও বংশবৃদ্ধি হতে থাকে, সর্বপ্রথমে এক পাতা, দুই পাতা পুনরায় বৃদ্ধি হতে
থাকে। এও তো বৃক্ষ(ঝাড়)। জাতি বা গোষ্ঠীর হয়, যেমন কৃপালানী গোষ্ঠী ইত্যাদি, ওসব হলো
লৌকিক বা পার্থিব গোষ্ঠী বা দল। আর এসব হলো অসীম জগতের গোষ্ঠী। এর (গোষ্ঠীর)
সর্বপ্রথমে কে ? প্রজাপিতা ব্রহ্মা। ওনাকে বলা হবে গ্রেট গ্রেট গ্রান্ড ফাদার।
কিন্তু তা কেউ জানেই না। মানুষমাত্রই এটুকুও জানে না যে, সৃষ্টির রচয়িতা কে ? একদম
অহল্যার মতন প্রস্তরসম বুদ্ধির হয়ে গেছে। এমন যখন হয়ে যায় তখনই বাবা আসেন।
তোমরা এখানে এসেছো
অহল্যা-সম বুদ্ধি থেকে পরশবুদ্ধিসম্পন্ন হতে। তাই নলেজও ধারণ করা উচিত, তাই না।
বাবাকে চিনতে হবে এবং পড়ায় মনোনিবেশ করা উচিত। মনে করো আজ এসেছে, কাল হঠাৎ যদি শরীর
ছেড়ে যায় তখন কী পদ পাবে। জ্ঞান কিছুই গ্রহণ করতে পারে না, কিছুই না শিখলে কী পদ
পাবে। দিন-প্রতিদিনে যারা দেরী করে শরীর ত্যাগ করে, তারা কিছু অল্পসময় পায় কারণ সময়
তো কম হতে থাকে, ওইসময় জন্ম নিয়ে কী আর করতে পারবে। হ্যাঁ, তোমাদের মধ্য থেকে যারা
যাবে(মৃত্যু), তাদের কেউ-কেউ ভাল ঘরে জন্ম নেবে। (আত্মা) সংস্কার নিয়ে যায়, তাই
আত্মা তৎক্ষনাৎ জাগরিত হয়ে যাবে, শিববাবাকে স্মরণ করতে থাকবে। সংস্কারই যদি না তৈরী
হয় তাহলে কী আর হবে। একে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বুঝতে হবে। মালী ভাল-ভাল ফুলেদের নিয়ে
আসে, তাই তাদের মহিমাও গায়ন করা হয়, ফুল ফোটানো তো মালীদের কাজ, তাই না।
এমন অনেক বাচ্চা আছে,
যারা বাবাকে স্মরণ করতেই জানে না। সবই ভাগ্যের উপর, তাই না। ভাগ্যে না থাকলে কিছুই
বুঝতে পারে না। ভাগ্যবান বাচ্চারা বাবাকে যথার্থভাবে চিনে তাঁকে সম্পূর্ণরূপে স্মরণ
করবে। বাবার সঙ্গে-সঙ্গে নতুন দুনিয়াকেও স্মরণ করতে থাকবে। গানেও বলা হয়, তাই না
-- আমরা নতুন দুনিয়ার জন্য নতুন ভাগ্য গঠন করতে এসেছি। ২১ জন্মের জন্য বাবার কাছ
থেকে রাজ্য-ভাগ্য নিতে হবে। এমন নেশা আর খুশীতে থাকলে এমন-এমন গানের অর্থ ইশারায়
বুঝে যাবে। স্কুলেও কারোর ভাগ্যে না থাকলে তখন অনুত্তীর্ণ হয়ে যায়। আর এ তো অনেক বড়
পরীক্ষা। ভগবান স্বয়ং বসে পড়ান। এই জ্ঞান সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্যই। বাবা বলেন,
নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো আর আমাকে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। তোমরা জানো যে, কোনো
দেহধারী মানুষকে ভগবান বলতে পারা যায় না। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকরকেও ভগবান বলা যাবে
না। তারাও সূক্ষ্মলোক-নিবাসী দেবতা। এখানে থাকে মানুষ। এখানে দেবতা থাকে না। এ হলো
মনুষ্যলোক। এই লক্ষ্মী-নারায়ণাদিরা দৈব-গুণসম্পন্ন মানুষ। যাকে দৈবী বলা হয়।
সত্যযুগে সকলেই দেবী-দেবতা, সূক্ষ্মলোকে থাকে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর। গায়নও করা হয়
ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ, বিষ্ণু দেবতায় নমঃ.... পুনরায় বলবে শিব পরমাত্মায় নমঃ। শিবকে
দেবতা বলা হবে না। আর কোন মানুষকে পুনরায় ভগবান বলতে পারবে না। তিনটি তল (ফ্লোর)
আছে, তাই না। আমরা হলাম থার্ড ফ্লোরে। সত্যযুগে যে দৈব-গুণসম্পন্ন মানুষ থাকে,
তারাই আসুরীগুণসম্পন্ন হয়ে যায়। মায়ার গ্রহণ লেগে কালো হয়ে যায়। যেমন চাঁদেও গ্রহণ
লাগে, তাই না। ওটা হলো পার্থিব জগতের কথা, এটা হলো অসীম জগতের কথা। এ হলো অসীম
জগতের রাত, অসীম জগতের দিন। গায়নও হয়, ব্রহ্মার দিন আর রাত। তোমাদের এই অদ্বিতীয়
পিতার কাছেই পড়তে হবে বাকি সবকিছু ভুলে যেতে হবে। বাবার কাছে পড়ে তোমরা নতুন
দুনিয়ার মালিক হয়ে যাও। এটাই সত্যিকারের গীতা পাঠশালা। পাঠশালায় (কেউ) সর্বদা থাকে
না। মানুষ মনে করে, ভক্তিমার্গ হলো ভগবানের সঙ্গে মিলনের পথ। যত বেশী ভক্তি করবে
ততোবেশী ভগবান রাজী(সন্তুষ্ট) থাকবে আর এসে ফল প্রদান করবে। এসব কথা এখন তোমরাই বোঝো।
ভগবান অদ্বিতীয়, যিনি এখন ফলপ্রদান করছেন। যারা সর্বপ্রথম সূর্যবংশীয় পূজ্য ছিল,
যারা সর্বাপেক্ষা অধিক ভক্তি করেছে, তারাই এখানে আসবে। তোমরাই সর্বপ্রথমে শিবের
অব্যভিচারী ভক্তি করেছো তাহলে অবশ্যই তোমরাই সর্বপ্রথমে ভক্ত হয়েছো। পুনরায় নীচে
নামতে-নামতে তমোপ্রধান হয়ে যাও। আধাকল্প তোমরা ভক্তি করেছো, তাই প্রথমে তোমাদেরকেই
জ্ঞান দান করেন। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারে রয়েছে।
তোমাদের এই পড়াশোনায়
এই টাল-বাহানা চলতে পারে না যে, আমরা দূরে থাকি তাই রোজ পড়তে আসতে পারি না। কেউ বলে,
আমরা ১০ মাইল দূরে থাকি। আরে, বাবাকে স্মরণ করে যদি ১০ মাইল পায়ে হেঁটে যাও তাহলে
কোন ক্লান্তি আসবে না। কত বড় সম্পদ(খাজানা) নিতে যাও। তীর্থে মানুষ দর্শন করার
জন্য হেঁটে যায়, কত ধাক্কা খায়। এ তো শুধু এক শহরেরই কথা। বাবা বলেন, আমি এতদূর থেকে
আসি, আর তোমরা বলো ৫ মাইল দূরে....। বাঃ ! খাজানা নেওয়ার জন্য তো দৌড়ে আসা উচিত।
অমরনাথে শুধু দর্শন করার জন্য কোনো কোনো স্থান থেকে যায়। এখানে অমরনাথ বাবা স্বয়ং
পড়াতে আসেন। তোমাদের বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছি। আর তোমরা টাল-বাহানা করো। সকালে
অমৃতবেলায় তো যে কেউ আসতে পারে। সেইসময় কোনো ভয় নেই। কেউ তোমাদের লুঠ করেও নিয়ে
যাবে না। যদি কোনো জিনিস, গহনাদি থাকে তবে তা ছিনিয়ে নেবে। চোরেদের চাই ধন,
স্থূলপদার্থ। কিন্তু ভাগ্যে যদি না থাকে তাহলে অনেক টাল-বাহানা করে। না পড়ে নিজের
পদ নষ্ট করে ফেলে। বাবা আসেনও ভারতে। ভারতকেই স্বর্গে পরিনত করে। সেকেন্ডে
জীবনমুক্তির রাস্তা বলে দেন। কিন্তু কেউ পুরুষার্থ তো করুক, তাই না। পদক্ষেপ না নিলে
গন্তব্যে পৌঁছবে কীভাবে?
বাচ্চারা, তোমরা জানো
যে, এ হলো আত্মা -পরমাত্মার মিলন মেলা। বাবার কাছে এসেছে স্বর্গের উত্তরাধিকার নিতে।
নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে। স্থাপনা সম্পূর্ণ হলেই বিনাশ শুরু হয়ে যাবে। এ হলো
সেই মহাভারতের লড়াই, তাই না। আচ্ছা।
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বাবা যে জ্ঞানের সম্পদ দিচ্ছেন, তা নেওয়ার জন্য ছুটে আসতে হবে। এতে কোনোপ্রকারের
টাল-বাহানা করবে না। বাবার স্মরণে ১০ মাইল পর্যন্ত হেঁটে গেলেও ক্লান্তি আসবে না।
২ ) বিজয়মালায় আসার
আধার হলো পড়া। পড়ায় সম্পূর্ণ ধ্যান দিতে হবে। কাঁটাকে ফুলে পরিনত করার সেবা করতে হবে।
সুইট হোম এবং সুইট রাজত্বকে স্মরণ করতে হবে।
বরদান:-
সঙ্গম
যুগের মহত্ত্বকে জেনে এক-এর অগণিত বার রিটার্ণ প্রাপ্তকারী সর্বপ্রাপ্তি সম্পন্ন ভব
সঙ্গমযুগে বাপদাদার
প্রতিজ্ঞা হলো - এক দাও, লক্ষ নাও। যেরকম সর্বশ্রেষ্ঠ সময়, সর্বশ্রেষ্ঠ জন্ম,
সর্বশ্রেষ্ঠ টাইটেল এই সময়ে আছে, সেইরকমই সর্ব প্রাপ্তির অনুভব এখনই হয়ে যায়। এখন
এক-এর কেবল লক্ষ্যগুণ-ই প্রাপ্ত হয় না, যখন চাও, যেভাবে চাও, যা চাও - বাবা
সার্ভেন্ট রূপে তা প্রদান করেন। একের অগণিত বার রিটার্ন প্রাপ্ত হয়ে যায় কেননা
বর্তমান সময়ে বরদাতা-ই তোমাদের হয়ে গেছেন। যখন বীজ তোমাদের হাতে আছে তো বীজ দ্বারা
যা চাও সেটা সেকেন্ডে নিয়ে সর্বপ্রাপ্তিতে সম্পন্ন হতে পারো।
স্লোগান:-
যেরকমই
পরিস্থিতি হোক, পরিস্থিতি চলে যাবে কিন্তু খুশী যেন না যায়।
অব্যক্ত ঈশারা :-
একান্তপ্রিয় হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো
“একতা আর একাগ্রতা” -
কাজ করে সফলতা প্রাপ্ত করার জন্য এই দুটি হলো শ্রেষ্ঠ ভূজ। একাগ্রতা অর্থাৎ সদা
নির্ব্যর্থ সংকল্প, নির্বিকল্প। যেখানে একতা আর একাগ্রতা থাকে সেখানে সফলতা গলার
হার হয়ে যায়। একটা শব্দ বরদাতার খুব প্রিয় - ‘একব্রতা’, এক বল এক ভরসা। সাথে একমত,
না মনমত, না পরমত, একরস, না অন্য কোনও ব্যক্তি, না বৈভবের রস। এইরকমই একতা,
একান্তপ্রিয়।