06.03.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - যে রকম তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের এই শরীর রূপী সিংহাসন প্রাপ্ত হয়েছে, সেইরকম বাবাও এই দাদার সিংহাসনের উপরে বিরাজমান রয়েছেন, তাঁর নিজের সিংহাসন নেই"

প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চাদের মনে ঈশ্বরীয় সন্তানের স্মৃতি থাকে, তাদের লক্ষণ কেমন হবে?

উত্তরঃ  
এক বাবার সাথে তাদের সত্যিকারের লভ হবে। ঈশ্বরীয় সন্তান কখনও লড়াই ঝগড়া করবে না। তাদের মধ্যে কখনই কুদৃষ্টি থাকতে পারে না। যখন থেকে তোমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারী অর্থাৎ ভাই-বোন হয়েছো তখন থেকে তো নোংরা দৃষ্টি যেতেই পারে না।

গীতঃ-
আকাশ সিংহাসন ছেড়ে এই ধরিত্রীতে নেমে এসো...

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এখন জেনে গেছে যে, বাবা আকাশ সিংহাসন ছেড়ে এখন এই দাদার শরীরকেই নিজের সিংহাসন বানিয়েছেন, সেই সিংহাসন ছেড়ে এখানে এসে বসে আছেন। এই আকাশ তত্ত্ব তো হলো জীবাত্মাদের সিংহাসন। আত্মাদের সিংহাসন হলো সেই মহাতত্ত্ব, যেখানে তোমরা আত্মারা শরীর ছাড়া থাকো। যেরকম আকাশে তারা থাকে, সেই রকম তোমরা আত্মারাও অনেক ছোট ছোট হয়ে সেখানে থাকো। আত্মাকে দিব্যদৃষ্টি ছাড়া দেখা যায় না। বাচ্চারা তোমাদের এখনই এই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, যেরকম তারা কত ছোট হয়, সেই রকম আত্মারাও বিন্দুর মত হয়। এখন বাবা তো সিংহাসন ছেড়ে দিয়েছেন। বাবা বলেন, তোমরা আত্মারাও সিংহাসন ছেড়ে এখানে এই শরীরকে নিজের সিংহাসন বানিয়েছো। এখানেও আমার শরীরের অবশ্যই প্রয়োজন হয়। আমাকে আহ্বান করো পুরানো দুনিয়াতে। গায়ন আছে তাই না যে, দূরদেশের বসবাসকারী..। তোমরা আত্মারা যেখানে থাকো, সেটা হলো তোমাদের আত্মাদের আর বাবার দেশ। পুনরায় তোমরা স্বর্গে গমন করো, যেটা বাবা স্থাপন করেন। বাবা নিজে সেই স্বর্গে আসেন না। তিনি নিজে তো বাণী থেকে দূরে বাণপ্রস্থে গিয়ে থাকেন। স্বর্গে তাঁর দরকার হয় না। তিনি তো সুখ দুঃখ থেকে পৃথক তাই না। তোমরা তো সুখ প্রাপ্ত করতে আসো, তাই দুঃখেও তোমাদের আসতে হয়।

এখন তোমরা জেনেছো যে, আমরা হলাম ব্রহ্মাকুমারী ব্রহ্মাকুমারী ভাই-বোন। এক অপরের মধ্যে কুদৃষ্টির চিন্তাও যেন না আসে। এখানে তো তোমরা বাবার সম্মুখে বসে আছো, নিজেদের মধ্যে হলে ভাই বোন। পবিত্র থাকার যুক্তিও দেখো কেমন। এই সমস্ত কথা কোনো শাস্ত্রে নেই। সকলের বাবা হলেন এক, তাই সবাই বাচ্চা হয়ে গেছো তাইনা। বাচ্চাদের নিজেদের মধ্যে লড়াই ঝগড়াও করা উচিত নয়। এই সময় তোমরা জানো যে, আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান, প্রথমে আসুরী সন্তান ছিলাম, এখন সঙ্গম যুগে ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছি, পুনরায় সত্যযুগে দৈবী সন্তান হবো। এই চক্রের বিষয়ে বাচ্চাদের জ্ঞান হয়েছে। তোমরা হলে ব্রহ্মাকুমার-কুমারী, তাই তোমাদের মধ্যে যেন কুদৃষ্টি না যায়। সত্যযুগে কুদৃষ্টি হয়না। কুদৃষ্টি রাবণ রাজ্যে হয়। বাচ্চারা তোমরা এক বাবাকে ছাড়া আর কাউকে স্মরণ করো না। সবথেকে বেশি ভালোবাসা এক বাবার সাথেই হওয়া চাই। আমার তো এক শিববাবা দ্বিতীয় আর কেউ নেই। বাবা বলেন যে, বাচ্চারা, এখন তোমাদেরকে শিবালয় যেতে হবে। শিববাবা স্বর্গের স্থাপনা করছেন। অর্ধেককল্প রাবণ রাজ্য চলেছে, যার কারণে তোমরা দুর্গতি প্রাপ্ত করেছো। রাবণ কি, তাকে কেন পোড়ানো হয়, এটাও কেউ জানে না। শিববাবাকেও জানে না। যেরকম দেবীদেরকে সাজিয়ে পূজা করে আবার জলে ডুবিয়ে দেয়, শিববাবারও মাটির লিঙ্গ বানিয়ে পূজা আদি করে পুনরায় মাটিতে মিশিয়ে দেয়, সেইরকম রাবণকেও তৈরি করে আবার জ্বালিয়ে দেয়। কিছুই বোঝেনা। তারা বলে যে, এখন হলো রাবণ রাজ্য, রাম রাজ্য স্থাপন হওয়া দরকার। গান্ধীও রামরাজ্য চাইতেন, তাহলে এর অর্থ হলো এটা রাবণ রাজ্য তাই না। যে বাচ্চারা এই রাবণ রাজ্যে কাম চিতায় বসে জ্বলে গেছে, বাবা এসে পুনরায় তাদের উপর জ্ঞানের বর্ষণ করেন, সবার কল্যাণ করেন। যেরকম শুকনো জমির উপর বৃষ্টিপাত হলে সেখানে ঘাস জন্মায়, সেইরকম তোমাদের উপরও জ্ঞানের বর্ষণ না হওয়ার কারণে তোমরা কাঙ্গাল হয়ে গিয়েছিলে, এখন পুনরায় জ্ঞানের বর্ষণ হচ্ছে, যার দ্বারা তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। যদিও বাচ্চারা তোমরা গৃহস্থ ব্যবহারে থাকো, কিন্তু অন্তরে অনেক খুশি থাকা চাই। যেরকম কোনো গরীব বাবার সন্তান পড়াশোনা করে, তো পড়াশোনার দ্বারা ব্যারিস্টার আদি হয়ে যায়। সেও তখন বড় বড়দের ব্যক্তিদের সাথে ওঠা-বসা করে, খাওয়া-দাওয়া করে। ভীলনীর কথাও শাস্ত্রে আছে তাইনা।

বাচ্চারা, তোমরা জেনেছো যে, যে আত্মা শুরু থেকে অধিক ভক্তি করেছে, সেই এসে সব থেকে অধিক জ্ঞান গ্রহণ করবে। শুরু থেকে সর্বাধিক ভক্তি আমি করেছি, তাই আমাকেই বাবা সর্বপ্রথমে স্বর্গে পাঠিয়ে দেন। এটা হলো জ্ঞান যুক্ত যথার্থ কথা। কল্প-কল্প আমি পূজ্য ছিলাম, পুনরায় পূজারী হয়েছি। নিচে নেমে এসেছি। বাচ্চাদেরকেই সমস্ত জ্ঞান বোঝানো হয়। এই সময় এই সমগ্র দুনিয়া হল নাস্তিক, কারণ তারা বাবাকে জানেনা। নেতি নেতি বলে দেয়। পরবর্তীকালে এই সন্ন্যাসীরাও এসে আস্তিক অবশ্যই হবে। যদি কোন এক সন্ন্যাসী এসে যায় তো তাকে কি সবাই আর বিশ্বাস করবে! বলবে যে এর উপর বি কেরা জাদু করেছে। তাকে সরিয়ে তার শিষ্যকে সিংহাসনে বসাবে। এইরকম অনেক সন্ন্যাসী তোমাদের কাছে আসে, তারপর গুপ্ত হয়ে যায়। এটাই হলো সবথেকে বড় ওয়ান্ডারফুল ড্রামা। এখন বাচ্চারা তোমরা আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সব কিছু জেনে গেছো। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারে পুরুষার্থ করে ধারণ করছো। বাবার কাছে সমস্ত জ্ঞান আছে, তোমাদের কাছেও থাকা চাই। দিন-প্রতিদিন কত সেন্টার খুলতে থাকে। বাচ্চাদের তো অনেক দয়াবান হতে হবে। বাবা বলেন যে, নিজেদের উপর দয়া করো। দয়াহীন হয়ো না। নিজের ওপর দয়া করতে হবে। কিভাবে? সেটাও বোঝানো হয়। বাবাকে স্মরণ করে পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে। পুনরায় কখনো পতিত হওয়ার পুরুষার্থ করবেনা। দৃষ্টিকে সুন্দর বানাতে হবে। আমরা হলাম ব্রাহ্মণ ঈশ্বরীয় সন্তান। ঈশ্বর আমাদেরকে দত্তক নিয়েছেন তাই না। এখন মনুষ্য থেকে দেবতা হতে হবে। প্রথমে সূক্ষ্মবতনবাসী ফরিস্তা হবে। এখন তোমরা ফরিস্তা হচ্ছো। সূক্ষ্মবতনের রহস্যও বাচ্চাদেরকে বোঝানো হয়েছে। এটা হলো টকি, সূক্ষ্মবতনে হলো মুভি, মূলবতনে হলো সাইলেন্স। সূক্ষ্মবতন হলো ফরিস্তাদের। যেরকম ঘোস্টদের ছায়ার শরীর হয়ে থাকে। আত্মা যখন শরীর পায় না, তখন সে ঘুরে বেড়াতে থাকে, তাকে ঘোস্ট বলা হয়। তাদেরকে এই চোখ দিয়েও দেখা যায়। এরা হলো সূক্ষ্মবতনবাসী ফরিস্তা। এই সমস্ত কথা অনেক বোঝার বিষয়। মূলবতন, সূক্ষ্মবতন, স্থূল বতন - তোমাদের কাছে এই তিন লোকের জ্ঞান আছে। চলতে-ফিরতে বুদ্ধিতে এই সমস্ত জ্ঞান মন্থন করতে হবে। আমরা হলাম প্রকৃতপক্ষে মূলবতনের বাসিন্দা। এখন আমরা সেখানে ফিরে যাব ভায়া সূক্ষ্মবতন। বাবা এই সময়ে সূক্ষ্মবতন রচনা করেন। প্রথমে সূক্ষ্ম তারপর স্থূল চাই। এখন এটা হল সঙ্গম যুগ। এটাকে ঈশ্বরীয় যুগ বলা হয়। আর সেটা হলো দৈবী যুগ। বাচ্চারা তোমাদের তো অনেক খুশিতে থাকা চাই। কুদৃষ্টি গেলে তো উঁচু পদ প্রাপ্ত হবে না। এখন তোমরা হলে ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী তাই না। পুনরায় ঘরে গিয়ে এটা যেন ভুলে যেওনা। তোমরা সঙ্গদোষে এসে ভুলে যাও। তোমরা হলে হংস ঈশ্বরীয় সন্তান আছো। তোমাদের কারোর প্রতি আন্তরিক স্নেহ যেন না যায়। যদি আন্তরিক স্নেহ চলে যায় তাহলে বলা হবে মোহের বাঁদরী।

তোমাদের ধান্দাই হলো সবাইকে পবিত্র বানানো। তোমরা বিশ্বকে স্বর্গ তৈরি করছো। কোথায় সেই রাবণের বিকারী সন্তান, আর কোথায় তোমরা হলে ঈশ্বরের সন্তান। বাচ্চারা তোমাদের স্থিতি এক রস বানানোর জন্য সবকিছু দেখেও কিছু দেখো না, এই অভ্যাস করতে হবে। এতে বুদ্ধিকে এক রস রাখা হল সাহসিকতার পরিচয়। পারফেক্ট হওয়ার জন্য পরিশ্রম লাগে। সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য সময় চাই। যখন কর্মাতীত অবস্থা হয়ে যাবে, তখন এই দৃষ্টি আসবে, ততক্ষণ কিছু না কিছু আকর্ষণ তো করতেই থাকবে। তাই এর জন্য নিজের স্থিতিকে একদম ঊর্ধ্বমুখী করতে হবে। বুদ্ধির লাইন ক্লিয়ার করতে হবে। দেখেও যেন তোমরা কিছু দেখছো না, এই অভ্যাস যার হয়ে যাবে, সেই উঁচু পদ পাবে। এখন সেই অবস্থা খুব অল্প কয়েকজনেরই আছে। সন্ন্যাসীরা তো এই কথাটাকে বুঝতেই পারেনা। এখানে তো অনেক পরিশ্রমের বিষয় আছে। তোমরা জানো যে আমরাও এই পুরানো দুনিয়ার সন্ন্যাস করেছি। ব্যস্ আমাদের তো এখন সুইট সাইলেন্স হোমে যেতে হবে। অন্য কারোর বুদ্ধিতে এসমস্ত কথা নেই যেটা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। তোমরাই জানো যে এখন বাড়ি ফিরে যেতে হবে। শিব ভগবানুবাচ - তিনি হলেন পতিতপাবন, মুক্তিদাতা, পথপ্রদর্শক। কৃষ্ণকে পথপ্রদর্শক বলা যায়না। এই সময় তোমাদেরকেও সবাইকে রাস্তা বলে দেওয়া শিখতে হবে, এইজন্য তোমাদের নাম পান্ডব রাখা হয়েছে। তোমরা হলে পান্ডব সেনা। এখন তোমরা দেহী-অভিমানী হয়েছো। জেনেছ যে, এখন আমাদেরকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে, এই পুরানো শরীর ছেড়ে দিতে হবে। সাপের মত দৃষ্টান্ত, ভ্রমরীর মতো দৃষ্টান্ত - এইসব হলো তোমাদের এই সময়কার উদাহরণ। তোমরা এখন প্র্যাক্টিক্যালে রয়েছো। তারা তো এই ধান্ধা করতে পারবে না। তোমরা জানো যে, এটা হলো কবরস্থান, এখন পুনরায় এটি পরিদের থাকার স্থান হচ্ছে।

তোমাদের জন্য সব দিনই হলো লাকি। তোমরা বাচ্চারা হলে সর্বদা লাকি। গুরুবারের দিন বাচ্চাদেরকে প্রথম স্কুলে বসানো হয়। এই রীতি চলে আসছে। তোমাদেরকে এখন বৃক্ষপতি পড়াচ্ছেন। এই বৃহস্পতির দশা তোমাদের জন্ম-জন্মান্তর চলবে। এটা হলো অসীম জগতের দশা। ভক্তি মার্গে লৌকিকের দশা দেখা যায়, এখন হলো অসীম জগতের দশা। তাই সম্পূর্ণ রীতিতে পরিশ্রম করতে হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ কেবল একজন তো হবে না। তাঁদের তো দৈবী রাজবংশ হবে, তাইনা। অবশ্যই অনেক রাজবংশ হবে, তাই না। লক্ষ্মী-নারায়ণের সূর্যবংশী সাম্রাজ্য চলেছে, এই সমস্ত কথা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। বাচ্চারা তোমাদের এটাও সাক্ষাৎকার হয়েছে যে কিভাবে রাজতিলক দেওয়া হয়। সূর্যবংশীরা পুনরায় চন্দ্রবংশীকে কিভাবে রাজ্য দেয়। মা-বাবা বাচ্চাদের পা ধুয়ে রাজতিলক দেন, রাজ্য ভাগ্য প্রদান করেন। এই সমস্ত সাক্ষাৎকার আদি সবই ড্রামাতে পূর্বনির্ধারিত। এই সমস্ত বিষয়ে বাচ্চারা তোমরা মূহ্যমান হওয়ার দরকার নেই। তোমরা বাবাকে স্মরণ করো, স্বদর্শন চক্রধারী হও আর অপরকেও বানাও। তোমরা হলে ব্রহ্মামুখ বংশাবলী স্বদর্শন চক্রধারী সত্যিকারের ব্রাহ্মণ। শাস্ত্রে স্বদর্শন চক্রের দ্বারা কত হিংসা দেখানো হয়েছে। এখন বাবা তোমাদেরকে সত্যিকারের গীতা শোনাচ্ছেন। এটা তো কণ্ঠস্থ করে নেওয়া উচিত। কত সহজ আছে। তোমাদের সমস্ত সম্পর্ক আছে গীতার সাথে। গীতাতে যেমন জ্ঞান আছে তেমনি যোগও আছে। তোমাদেরকেও একটিমাত্র বই বানাতে হবে। যোগ-এর বই আলাদা করে কেন বানানো চাই। কিন্তু আজকাল যোগের অনেক নামাচার আছে, এই জন্য নাম রেখে দেয় যাতে মানুষ এসে বুঝতে পারে। মুখ্য বিষয় তো এটাই বুঝতে হবে যে, যোগ এক বাবার সাথেই লাগাতে হবে। যে শুনবে সে এসে নিজের ধর্মে উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) নিজের উপর নিজেকেই দয়া করতে হবে, নিজের দৃষ্টিকে অত্যন্ত পবিত্র বানাতে হবে। ভগবান মনুষ্য থেকে দেবতা বানানোর জন্য অ্যাডপ্ট করেছেন, সেইজন্য পতিত হওয়ার চিন্তাও যেন কখনো না আসে।

২ ) সম্পূর্ণ, কর্মাতীত অবস্থাকে প্রাপ্ত করার জন্য সদা উপরাম থাকার অভ্যাস করতে হবে। এই দুনিয়াতে সব কিছু দেখেও দেখবে না। এই অভ্যাসের দ্বারা অবস্থাকে একরস বানাতে হবে।

বরদান:-
প্রত্যেক কদমে পদমের উপার্জন জমা করে সর্ব খাজানা দিয়ে সম্পন্ন বা তৃপ্ত আত্মা ভব

যে বাচ্চারা বাবার স্মরণে থেকে প্রত্যেক কদম ওঠায় তারা প্রত্যেক কদমে পদমের উপার্জন জমা করে। এই সঙ্গমেই পদমের উপার্জনের খনি প্রাপ্ত হয়। সঙ্গম যুগ হল জমা করার যুগ। এখন যতখানি জমা করতে চাও ততই করতে পারো। এক কদম অর্থাৎ এক সেকেন্ডও বিনা জমা করে যেন না যায় অর্থাৎ ব্যর্থ না যায়। ভান্ডার সদা ভরপুর থাকবে। অপ্রাপ্ত নেই কোনও বস্তু.... এমন সংস্কার হবে। যখন এইরকম তৃপ্ত বা সম্পন্ন আত্মা হবে তখন ভবিষ্যতে অক্ষুণ্ণ খাজানার মালিক হবে।

স্লোগান:-
কোনও কথাতে আপসেট হওয়ার পরিবর্তে নলেজফুলের সিটে সেট থাকো।

মাতেশ্বরীজির মধুর মহাবাক্য -

"অর্ধকল্পের জ্ঞান হলো ব্রহ্মার দিন আর অর্ধকল্পের ভক্তিমার্গ হলো ব্রহ্মার রাত"

অর্ধকল্পের জ্ঞান হলো ব্রহ্মার দিন আর অর্ধকল্পের ভক্তিমার্গ হলো ব্রহ্মার রাত, এখন রাত সম্পূর্ণ হয়ে দিন আসতে চলেছে। এখন পরমাত্মা এসে অন্ধকারের অন্ত করে আলোর সূচনা করেন, জ্ঞানের দ্বারা আলোর প্রকাশ হয় আর ভক্তির দ্বারা অন্ধকার। গান করার সময় তো বলো যে, এই পাপের দুনিয়া থেকে অন্য কোথাও নিয়ে চলো.. যেখানে চিত্ত শান্তি পাবে..... এটা হলো অশান্তির দুনিয়া, এখানে শান্তি নেই। মুক্তিতে না আছে খুশি না আছে দুঃখ। সত্যযুগ আর ত্রেতা হলো খুশির দুনিয়া, যে সুখধামকে সবাই স্মরণ করো। তাহলে এখন তোমরা সুখের দুনিয়ায় যাচ্ছো, সেখানে কোন অপবিত্র আত্মা যেতে পারবে না। তারা অন্তিম সময়ে ধর্মরাজের কাছে শাস্তি ভোগ করে, কর্ম বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে, শুদ্ধ সংস্কার নিয়ে যেতে হবে, কেননা সেখানে না অশুদ্ধ সংস্কার হয় না আর কোন পাপ হয়। যখন আত্মা নিজের প্রকৃত পিতাকে ভুলে যায়। এই গোলকধাঁধার (ভুল-ভুলাইয়ার) অনাদি খেলা হার জিতের বানানো হয়েছে, সেইজন্য নিজের এই সর্বশক্তিমান পরমাত্মার থেকে শক্তি গ্রহণ করে বিকারের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করে, ২১ জন্মের জন্য রাজ্য ভাগ্য নিয়ে নাও। আচ্ছা। ওম্ শান্তি।

অব্যক্ত ঈশারা - সত্যতা আর সভ্যতা রূপী কালচারকে ধারণ করো

তোমাদের কথাতে স্নেহও থাকবে, মধুরতা আর মহানতাও থাকবে, সত্যতাও থাকবে আবার স্বরূপের নম্রতাও থাকবে। নির্ভয় হয়ে অথোরিটি দিয়ে বলো কিন্তু সেই কথা মর্যাদার অন্দরে থাকবে - দুটো বিষয়ের মধ্যে ব্যালেন্স থাকবে, যেখানে ব্যালেন্স থাকে সেখানে সব কিছু কামাল হয় আর সেই শব্দ তিক্ত নয়, মিষ্টি লাগে তাই অথোরিটি আর নম্রতা দুটোর ব্যালেন্সের কামাল দেখাও। এটাই হল বাবাকে প্রত্যক্ষতা করার সাধন।