06.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা হলেন বাগানের মালিক, বাগানের এই মালিকের কাছে তোমাদের অর্থাৎ মালীদের খুব সুন্দর-সুন্দর সুগন্ধি ফুল নিয়ে আসতে হবে, এইরকম ফুল এনো না যেটা ম্রিয়মান হয়ে আছে"

প্রশ্নঃ -
বাবার দৃষ্টি কোন্ বাচ্চাদের উপরে পড়ে আর কাদের উপরে দৃষ্টি পড়ে না?

উত্তরঃ  
যে ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার মতো হয়, অনেক কাঁটাকে ফুলে পরিণত করার সার্ভিস করে, তাদের দেখতে দেখতে বাবা খুশী হন। তাদের উপরেই বাবার দৃষ্টি পড়ে আর যাদের বৃত্তি নোংরা, চোখ ধোঁকা দেয়, তাদের উপরে বাবার দৃষ্টিও পড়ে না। বাবা তো বলবেন বাচ্চারা ফুল হয়ে অনেককে ফুলে পরিণত করো তবে সচেতন মালী বলা যাবে।

ওম্ শান্তি ।
বাগানের মালিক বসে নিজের ফুলেদের দেখছেন কারণ আরো সব সেন্টারে তো ফুল আর মালী আছে, এখানে তোমরা বাগিচার মালিকের কাছে এসেছো নিজেদের সুগন্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। তোমরা তো ফুল হলে তবে, তাই না! তোমরাও জানো, বাবাও জানেন- কাঁটার জঙ্গলের বীজ স্বরূপ হলো রাবণ। নয়তো সমস্ত বৃক্ষের বীজ হলো একই কিন্তু ফুলের বাগান থাকে আবার কাঁটার জঙ্গল বানানোরও অবশ্যই কেউ আছে। সে হলো রাবণ। তো ভেবে দেখো বাবা তো সঠিকই বোঝান। দেবতা রূপী ফুলের বাগানের বীজরূপ হলেন বাবা। তোমরা এখন দেবী-দেবতায় পরিণত হচ্ছো, তাই না! এটা তো প্রত্যেকেই জানে যে আমরা কি ধরনের ফুল। বাগানের মালিকও এখানেই আসে ফুলেদের দেখতে। তারা তো সবাই হলো মালী। সেও আবার অনেক ধরনের মালী আছে। সেই বাগানের বিভিন্ন রকমের মালী হয়। কারোর ৫০০ টাকা বেতন হয়, কারোর ১ হাজার, কারোর ২০ হাজার টাকা। যেমন মুঘল গার্ডেনের মালী অবশ্যই খুব সচেতন হবে। তার পারিশ্রমিকও বেশী হবে। এটা তো অসীম জগতের বিশাল বাগিচা, ওখানেও অনেক প্রকারের নম্বর অনুযায়ী মালী হয়। যে খুব ভালো মালী হবে সে বাগানকে খুব সুন্দর শোভনীয় করে তোলে, সুন্দর ফুল লাগায়। গভর্মেন্ট হাউসের মুঘল গার্ডেন কতো সুন্দর। এটা হলো অসীম জগতের বাগিচা। সেই বাগানের একজনই মালিক। এখন কাঁটার জঙ্গলের বীজ হলো রাবণ আর ফুলের বাগিচার বীজ হলেন শিববাবা। স্বর্গীয় উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় বাবার থেকে। রাবণের থেকে স্বর্গীয় উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না। সে যেন তাতে অভিশাপ দেয়। যখন অভিশপ্ত হয়, তখন যিনি সুখ দেন তাঁকে সকলেই স্মরণ করে। কারণ উনি হলেন সুখদাতা, সদা সুখ দিতে সক্ষম। মালীও বিভিন্ন প্রকারের হয়, বাগানের মালিক এসে মালীদেরও দেখেন যে কিভাবে ছোটো-খাটো বাগান তৈরী করে তারা ! কি-কি ফুল আছে, সেটাও খেয়াল করেন। কখনো কখনো খুব ভালো-ভালো মালীও আসে, তাদের ফুলের সাজ-সজ্জাও বিশেষ ভাবে সুন্দর হয়ে ওঠে। তখন বাগানের মালিকও খুশী হয়- আহাঃ! এই মালী তো খুব ভালো, ফুলও সুন্দর সুন্দর নিয়ে এসেছে। ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা আর এ হল ওঁনার অসীম জগতের বিষয়। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা, অন্তর থেকে বুঝতে পারো বাবা একদম সত্য বলেন। অর্ধ-কল্প চলে রাবণ রাজ্য। ফুলের বাগিচাকে কাঁটার জঙ্গলে পরিণত করে রাবণ। জঙ্গলে কাঁটা আর কাঁটা হয়। খুবই দুঃখ দেয়। বাগানের মাঝে কি আর কাঁটা হয় ! একটাও হয় না । বাচ্চারা জানে। রাবণ দেহ- অভিমানে নিয়ে আসে। সবচেয়ে বড় কাঁটা হলো দেহ-অভিমান।

বাবা রাত্রেও বুঝিয়েছেন - কারোর দৃষ্টি কামুক হয়, কারোর দৃষ্টি সেমী কামুক। নতুন নতুনও কেউ আসে যারা প্রথমে ভালো ভাবে চলে, মনে করে কখনো বিকারে যাবো না, পবিত্র থাকবে। সেই সময় শশ্মানের বৈরাগ্য আসে। আবার যখন বাড়ীতে যায় তো খারাপ হয়ে যায়। দৃষ্টি নোংরা হয়ে যায়। এখানে যাদের সুন্দর সুন্দর ফুল মনে করে বাগানের মালিকের কাছে নিয়ে আসা হয় যে, বাবা এই হলো খুব সুন্দর ফুল, কোনো কোনো মালী কানে কানে বলে ইনি হলেন বিশিষ্ট ফুল। মালী তো অবশ্যই বলবে, তাই না ! এইরকম নয় যে বাবা হলেন অন্তর্যামী, মালী প্রত্যেকের চাল-চলন বলতে থাকে যে বাবা এর দৃষ্টি ভালো নয়, এর আচার আচরণ রয়্যাল নয়, ১০ থেকে ২০ পার্সেন্ট মাত্র শুধরেছে। মুখ্য হলো চোখ, যা সবচেয়ে বেশী ধোঁকা দেয় বা ছলনা করে। মালী এসে বাগানের যিনি মালিক তাঁকে সব কিছু বলবে। বাবা একেক জনকে জিজ্ঞাসা করেন, বলো- তুমি কেমন ফুল নিয়ে এসেছো? কেউ গোলাপ ফুল হয়, কেউ জুঁই, কেউ আকন্দ ফুলও নিয়ে আসে। এখানে খুবই সাবধানতা থাকে। জঙ্গলে গেলে আবার ম্রিয়মান হয়ে পড়ে। বাবা দেখেন যে এটি কোন্ ধরনের ফুল। মায়াও সেইরকমই যে মালীদেরও এমন জোরে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয় যে, মালীও কাঁটায় পরিণত হয়। বাগানের মালিক এসে সর্ব প্রথম বাগান দেখতে থাকেন, আবার বাবা বসে তার শৃঙ্গার করাতে থাকেন। বাচ্চারা, সাবধান থাকো, দূর্বলতা বের করে দিতে থাকো, তা না হলে খুবই অনুতাপ হবে তোমাদের । বাবা এসেছেন লক্ষ্মী-নারায়ণ করে তুলতে, তার পরিবর্তে আমরা চাকর হবো ! নিজেকে নিরীক্ষণ করতে হবে, আমি ঐরকম উচ্চমানের উপযুক্ত হচ্ছি কি? এটা তো জানো যে কাঁটার জঙ্গলের বীজ হলো রাবণ, ফুলের বাগানের বীজ হলো রাম। এইসব কথা বাবা বসে বোঝান। বাবা লৌকিক স্কুলের পড়াশুনারও মহিমা করেন। এসব স্কুলও ভালো, কারণ ওতে সোর্স অফ ইনকাম আছে। এইম অবজেক্টও আছে। তোমাদের একমাত্র এইম অবজেক্ট হলো নর থেকে নারায়ণ হওয়ার। ভক্তি মার্গে সত্য-নারায়ণের কথা খুবই শোনে, প্রত্যেক মাসে ব্রাহ্মণকে ডাকা হয়, ব্রাহ্মণ গীতা শোনায়। আজকাল তো গীতা সবাই শুনিয়ে থাকে, সত্যিকারের ব্রাহ্মণ তো কেউই নেই। তোমরা হলে সত্যিকারের ব্রাহ্মণ। সত্য বাবার বাচ্চারা। তোমরা সত্যিকারের কথা শোনো। সত্যনারায়ণের কথাও আছে, অমর কথাও আছে, তিজরীর বা জ্ঞান চক্ষুর কথাও আছে। ভগবানুবাচ- আমি তোমাদের রাজার রাজা করি। লৌকিক ব্রাহ্মণ তো গীতা শোনাতে আসে, তাতে কে রাজা হয়েছে ? এরকম কি কেউ আছে যে বলবে আমি তোমাদের রাজার রাজা করব, আমি নিজে হবো না ? এরকম কখনো শুনেছো? এই এক বাবা-ই আছেন যিনি বসে বাচ্চাদেরকে বোঝান। বাচ্চারা জানে এখানে বাগানের মালিকের কাছে রিফ্রেশ হতে আসে। মালীও হয়, ফুলও হয়। মালী তো অবশ্যই হতে হবে। কতো ধরনের মালী আছে। সার্ভিস না করলে ভালো ফুল হবে কীভাবে? প্রত্যেকে নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করো যে আমি কোন্ প্রকারের ফুল? কোন্ প্রকারের মালী? বাচ্চাদের বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। ব্রাহ্মণীরা (টিচাররা) জানে - মালীও নানান ধরনের হয়। আবার ভালো ভালো মালীও আসে, যার বড় বাগান থাকে। যেরকম ভালো মালী তার বাগানও তেমন সুন্দর তৈরী করে। সুন্দর সুন্দর ফুল নিয়ে আসে, যা দেখে মন খুশীতে ভরে ওঠে। কেউ কেউ হাল্কা ফুল নিয়ে আসে। বাগানের মালিক বুঝতে পারে এরা কোন্ কোন্ পদ প্রাপ্ত করবে। এখন তো টাইম পড়ে আছে। একেকটি কাঁটাকে ফুলে পরিণত করবার জন্য পরিশ্রম করার প্রয়োজন । কেউ তো আবার ফুল হতে চায় না, কাঁটাই পছন্দ করে। চোখের বৃত্তি খুবই নোংরা থাকে। এখানে আসে, তাও তার থেকে সুগন্ধ আসে না। বাগানের মালিক চায় আমার সামনে ফুল বসলে তো ভালো হয়, যাদের দেখে খুশী হই। দেখি যে বৃত্তি ঐরকম তো তার উপরে দৃষ্টিও যায় না। সেই জন্য একেক জনকে দেখি আর ভাবি যে এ আমার কোন্ ধরনের ফুল? কতো সুগন্ধ ছড়ায়? কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হয়েছে কি হয়নি? প্রত্যেকে নিজেরাও বুঝতে পারে যে আমি কতটা ফুলে পরিণত হয়েছি? পুরুষার্থ করছি? বারে-বারে বলে- বাবা, আমি আপনাকে ভুলে যাই। যোগে স্থির হতে পারি না। আরে, স্মরণ না করলে কিভাবে ফুলে পরিণত হবে? স্মরণ করলে পাপ খন্ডন হবে, তখন ফুল হয়ে আবার অপরকে ফুলে পরিণত করবে, তখন মালী নাম রাখা যেতে পারে। বাবা মালীদের সন্ধান করতে থাকেন। আছে কি কোনো মালী? মালী হতে পারে না কেন? বন্ধন তো ছাড়তে হবে। নিজের ভিতরে দৃঢ়তা আসা চাই। সার্ভিসের উৎসাহ থাকা চাই। নিজের ডানাকে মুক্ত করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। যার মধ্যে এতো ভালোবাসা তাকে কি ছেড়ে দিতে হয়? বাবার সার্ভিসের জন্য যতক্ষণ ফুল হয়ে অন্যদেরকে ফুল না বানাবে, তবে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে কীভাবে? একুশ জন্মের জন্য উচ্চ পদ। মহারাজারা, রাজারা, বড়-বড় বিত্তশালীরাও আছে। আবার নম্বর অনুযায়ী কম বিত্তশালীও আছে, প্রজারাও আছে। এখন আমি কি হবো? যারা এখন পুরুষার্থ করবে সেটাই কল্প-কল্পান্তর হবে। এখন সম্পূর্ণ জোর দিয়ে পুরুষার্থ করতে হবে। নর থেকে নারায়ণ হতে হবে, যারা ভালো পুরুষার্থী হবে তারা অভ্যাস করবে। রোজকার আমদানী আর লোকসান দেখতে হয়। ১২ মাসের ব্যাপার নয়, রোজ নিজের লোকসান আর লাভ বের করতে হবে। লোকসান করা উচিত নয়। তা না হলে থার্ড ক্লাস হয়ে যাবে। স্কুলেও তো নম্বর অনুযায়ী হয়, তাই না!

মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা জানে- আমাদের বীজ হলেন বৃক্ষপতি, যার আগমনে আমাদের উপর বৃহস্পতির দশা স্থিত হয়। আবার রাবণ রাজ্য এলে রাহুর দশা স্থিত হয়। ওটা একদম হাইয়েস্ট, সেটা একদম লোয়েস্ট। শিবালয় থেকে একদম বেশ্যালয় করে দেয়। বাচ্চারা, তোমাদের উপর এখন বৃহস্পতির দশা। প্রথমে নতুন বৃক্ষ হয়। তারপর অর্ধেক থেকে পুরানো শুরু হয়। বাগানের মালিকও আছেন, মালীও সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাগানের মালিকের কাছে নিয়ে আসে। প্রত্যেক মালী ফুল নিয়ে আসে। কেউ তো এতো সুন্দর ফুল নিয়ে আসে যে, উদ্বেলিত থাকে বাবার কাছে যাওয়ার জন্য। বাড়িতে নানান যুক্তি দেখিয়ে কন্যারা আসে। বাবা বলেন খুব ভালো ফুল নিয়ে এসেছো। যদিওবা মালী সেকেন্ড ক্লাসের হয়, মালীর থেকে ফুল ভালো হয়- উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে শিববাবার কাছে যাওয়ার জন্য যে, বাবা আমাদের এতো উচ্চ বিশ্বের মালিক বানাবেন। ঘরে মার খেলেও বলে শিববাবা আমাকে রক্ষা করো। এদেরই সত্যিকারের দ্রৌপদী বলা হয়ে থাকে। পাস্ট, যা হয়ে গেছে তাই আবার রিপিট হতে হবে। এতকাল ডেকেছিলে না, আজ বাবা এসেছেন বাঁচার জন্য যুক্তি বলে দিতে - এইরকম এইরকম ভুঁ-ভুঁ করো। তোমরা হলে ভ্রমরী, তারা হলো কীট। তাদের উপরে ভুঁ-ভুঁ করতে থাকো। বলো, ভগবানুবাচঃ - কাম হলো মহাশত্রু, একে জিততে পারলে বিশ্বের মালিক হবে। কোনো না কোনো সময় অবলাদের বোল ফোটে, তখন আবার বাড়ির লোক ঠান্ডা হয়ে যায়। বলে- আচ্ছা, বেশ যাও। এমন সুন্দর বানিয়ে তোলেন যিনি, তাঁর কাছে যাও। আমার ভাগ্যে নেই, তুমি তো যাও। এইরকম ভাবে দ্রৌপদীরা ডাকতে থাকে। বাবা লেখেন ভুঁ-ভুঁ করো। কোনো কোনো নারীও এইরকম হয় যাদের সুপণখা, পুতনা বলা যেতে পারে । পুরুষ তাদের কাছে ভুঁ-ভুঁ করে, তারা কীট হয়ে যায়, বিনা বিকারে থাকতে পারে না। বাগানের মালিকের কাছে কিরকম কিরকম ধরনের আসে যে, আর জিজ্ঞাসা কোরো না। কোনো কোনো কন্যারাও কাঁটায় পরিণত হয়, সেইজন্য বাবা বলেন নিজের জন্ম পত্রিকা বলো। বাবাকে না শোনালে, লুকালে তো সেটা বাড়তেই থাকবে। মিথ্যা চলতে পারে না। তোমাদের বৃত্তি খারাপ হতে থাকবে। বাবাকে শোনাতে পারলে তুমি বেঁচে যাবে। সত্যি বলা চাই, তা না হলে সম্পূর্ণ ভাবে মহারোগী হয়ে যাবে। বাবা বলেন যারা বিকারী হয়, তাদের মুখ কালো হয় বা অসুন্দর হয়। পতিত মানে কালো বা অসুন্দর মুখ। কৃষ্ণকেও শ্যাম সুন্দর বলা হয়। কৃষ্ণকে কালো করে দিয়েছে। রামকে, নারায়ণকেও কালো দেখিয়েছে। অর্থ কিছুই বোঝে না। তোমাদের কাছে তো নারায়ণের সুন্দর চিত্র আছে, তোমাদের তো এটা হল এইম অবজেক্ট। তোমাদের কি আর অসুন্দর নারায়ণ হতে হবে! এই মন্দির যে তৈরী করেছে, এরকম ছিলো না। বিকারে পড়ে আবার কালো মুখ হয়ে যায়। আত্মা অসুন্দর হয়ে গেছে। আয়রন এজ্ থেকে গোল্ডেন এজ্ এ যেতে হবে। সোনার পাখী হতে হবে। বলা হয় কালী, কলকাত্তা ওয়ালী বলে দেয়। কতো ভয়ঙ্কর রূপ দেখানো হয়। সেসব আর বলার মতো নয় । বাবা বলেন - বাচ্চারা, এই সব হলো ভক্তি মার্গ। এখন তোমাদের তো জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) নিজের ডানাকে মুক্ত করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে, বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে সচেতন মালী হতে হবে। কাঁটাকে ফুলে পরিণত করার সেবা করতে হবে।

২ ) নিজেকে নিজে দেখতে হবে যে আমি কতটা ফুলে পরিণত হয়েছি? আমার বৃত্তি শুদ্ধ তো? চোখ ধোঁকা দিচ্ছে না তো? নিজের আচার আচরণের পোতামেল রেখে ত্রুটি বিচ্যুতি গুলিকে দূর করে দিতে হবে।

বরদান:-
স্বরাজ্য অধিকারের নেশা আর নিশ্চয়ের দ্বারা সদা শক্তিশালী থাকা সহজযোগী নিরন্তর যোগী ভব

স্বরাজ্য অধিকারী অর্থাৎ প্রত্যেক কর্মেন্দ্রিয়ের উপরে নিজের রাজত্ব । কখনও সংকল্পেও কর্মেন্দ্রিয় ধোঁকা না দেয়। যদি কখনও এতটুকুও দেহ-অভিমান আসে তাহলে জোশ বা ক্রোধ সহজে এসে যায়, কিন্তু যারা স্বরাজ্য অধিকারী তারা সদা নিরহংকারী, সদাই নির্মাণ হয়ে সেবা করে। এইজন্য আমি হলাম স্বরাজ্য অধিকারী আত্মা - এই নেশা আর নিশ্চয়ের দ্বারা শক্তিশালী হয়ে মায়াজীৎ তথা জগতজীৎ হও তো সহজযোগী, নিরন্তর যোগী হয়ে যাবে।

স্লোগান:-
লাইট হাউস হয়ে মন-বুদ্ধির দ্বারা লাইট ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত থাকো, তাহলে কারোর কথাতে ভয় লাগবে না।