06.10.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
শ্রীমতানুসারে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করার সেবা করতে হবে, প্রথমে স্বয়ং নির্বিকারী
হতে হবে, পরে অন্যদেরকে বলতে হবে"
প্রশ্নঃ -
তোমাদের অর্থাৎ
মহাবীর বাচ্চাদের কোন্ বিষয়ে পরোয়া করতে হবে না? শুধুমাত্র কোন্ চেকিং করে নিজেদের
সুরক্ষিত রাখতে হবে?
উত্তরঃ
যদি কেউ
পবিত্র হওয়ার পথে বিঘ্ন ঘটায় তবে তোমরা তার পরোয়া ক'রো না। শুধু চেক্ করো যে, আমি
কি মহাবীর? আমি নিজেই নিজেকে প্রবঞ্চনা করি না তো? অসীম জগতের বৈরাগ্য কি থাকে? আমি
নিজের সমান (অন্যদের) তৈরী করি কি? আমার মধ্যে ক্রোধ নেই তো? যা অন্যদের বলি তা নিজে
করি কি?
গীতঃ-
তোমায় পেয়ে
আমরা, পেয়েছি যে সমগ্র ভুবন / ভূমি তো ভূমি, পেয়েছি সম্পূর্ণ গগন....
ওম্ শান্তি ।
এখানে বলার
কিছু নেই, এ হলো বোঝার বিষয়। মিষ্টি-মিষ্টি আত্মিক বাচ্চারা বুঝতে পারছে যে, আমরা
পুনরায় দেবতা হতে চলেছি। সম্পূর্ণ নির্বিকারী হচ্ছি। বাবা এসে বলেন - বাচ্চারা,
কাম-বিকারের উপর বিজয়প্রাপ্ত করো অর্থাৎ পবিত্র হও। বাচ্চারা গান শুনেছে। এখন
পুনরায় বাচ্চাদের স্মৃতি ফিরে এসেছে যে - আমরা অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অসীম
জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি, যা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না, ওখানে অন্য কেউ ছিনিয়ে
নেওয়ার মতন থাকেই না। তাকে বলা হয় অদ্বৈত-রাজ্য। পরে আবার রাবণ-রাজ্য অন্যের হয়।
এখন তোমরা বুঝতে পারছো। বোঝাতেও হবে এভাবে। আমরা পুনরায় শ্রীমতানুসারে ভারতকে
নির্বিকারী করছি। উচ্চ থেকেও ভগবান সবই বলেন। ওনাকেই বাবা বলা হয়। তাই একথা বোঝাতেও
হবে, লিখতেও হবে যে ভারত সম্পূর্ণ নির্বিকারী স্বর্গ ছিল, সে-ই এখন বিকারী নরক হয়ে
গেছে। পুনরায় আমরা শ্রীমতানুসারে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করছি। বাবা যা বলেন তা নোট
করে পরে তার উপরে বিচারসাগর মন্থন করে লেখায় সহায়তা করা উচিত। এমন কি-কি লেখা যায়
যাতে বোঝে যে ভারত অবশ্যই স্বর্গ ছিল? রাবণের রাজ্য ছিল না। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে
রয়েছে যে - এখন বাবা আমাদের অর্থাৎ ভারতবাসীদের নির্বিকারী করছেন। প্রথমে নিজেকে
দেখতে হবে - আমি নির্বিকারী হয়েছি কি? ঈশ্বরকে আমি ঠকাই না তো? এমন নয় যে, ঈশ্বর
আমাদের দেখছেন নাকি! তোমাদের মুখ থেকে এরকম শব্দ বেরোতে পারে না। তোমরা জানো,
পবিত্রকারী পতিত-পাবন হলেন একমাত্র বাবা। ভারত যখন নির্বিকারী ছিল তখন স্বর্গ ছিল।
এই দেবতারা তো সম্পূর্ণ নির্বিকারী, তাই না! যেমন রাজা-রানী তেমনই প্রজা হবে, তবেই
তো সমগ্র ভারতকে স্বর্গ বলা হয়, তাই না! আর এখন নরক। এই ৮৪ জন্মের সিঁড়ি অত্যন্ত
সঠিক জিনিস। কেউ ভালো হলে তাকে উপহার-স্বরূপ দিতে পারা যায়। গণ্যমান্য ব্যক্তিরা
বড়-বড় উপহার পায়, তাই না! যারা আসে তোমরাও তাদেরকে বুঝিয়ে এরকম ধরণের উপহার দিতে
পারো। দেওয়ার জন্য জিনিস সর্বদা প্রস্তুত করা থাকে। তোমাদের কাছেও নলেজ রেডী থাকা
উচিত। সিড়িতে সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে। আমরা কিভাবে ৮৪ জন্ম নিয়েছি - তা স্মরণে রাখা
উচিত। এ হলো বুঝবার মতন বিষয়, তাই না! অবশ্যই যারা প্রথমে এসেছে তারাই ৮৪ জন্ম
নিয়েছে। বাবা ৮৪ জন্ম বলে পুনরায় বলেন - আমি এনার ৮৪ জন্মের অন্তে এই সাধারণ শরীরে
প্রবেশ করি। পুনরায় এনার নাম রাখি ব্রহ্মা। এনার দ্বারা ব্রাহ্মণ রচনা করি। তা নাহলে
ব্রাহ্মণ কোথা থেকে আনবো। ব্রহ্মার বাবার কথা কেউ শুনেছে কি ? অবশ্যই ভগবানই বলবে।
ব্রহ্মা আর বিষ্ণুকে সূক্ষ্মলোকে দেখানো হয়। বাবা তো বলেন, এঁনার ৮৪ জন্মের অন্তে
আমি প্রবেশ করি। অ্যাডপ্ট করলে নাম বদল করে দেওয়া হয়। সন্ন্যাসও করানো হয়।
সন্ন্যাসীও যখন সন্ন্যাস গ্রহণ করে, ততক্ষণাৎ তো সব ভুলে যায় না, স্মরণে অবশ্যই থাকে।
তোমাদেরও স্মরণে থাকবে কিন্তু তোমাদের এদের প্রতি বৈরাগ্য আসবে কারণ তোমরা জানো যে,
এসব কবরে চাপা পড়ে যাবে, তাহলে আমরা তাদের কেন স্মরণ করবো। জ্ঞানের মাধ্যমে
সঠিকভাবে সবকিছু বুঝতে হবে। ওরাও(সন্ন্যাসী) জ্ঞানের দ্বারাই ঘর-বাড়ী ত্যাগ করেছেন।
তাদের জিজ্ঞাসা করা হোক, ঘর-বাড়ী কিভাবে ত্যাগ করেছো তারা বলবে না। তখন তাদের
যুক্তিযুক্তভাবে বলা হয় যে - তোমাদের বৈরাগ্য কিভাবে এসেছে, আমাদের বলো তাহলে
আমরাও এরকম করবো। তোমরা প্রলোভন দেখাও যে পবিত্র হও, এছাড়া তোমাদের সবকিছুই স্মরণে
থাকে। ছোট থেকে নিয়ে সবকিছুই বলতে পারো। বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে। কিরকম সব
ড্রামার অ্যাক্টরস্ যারা ভূমিকা পালন করতে এসেছে। এখন সকলের কলিযুগীয় কর্মবন্ধন
ছিন্ন হবে। পুনরায় যাবে শান্তিধাম। ওখান থেকে আবার সকলের নতুন কর্মসম্বন্ধ জুড়বে।
বোঝানোর মতন পয়েন্টস্ও বাবা ভাল-ভাল দিতে থাকেন। এই ভারতবাসীরাই আদি সনাতন
দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বী ছিল, তখন নির্বিকারী ছিল, পুনরায় ৮৪ জন্ম পরে বিকারী হয়ে
গেছে। এখন পুনরায় নির্বিকারী হতে হবে। কিন্তু পুরুষার্থ করানোর কেউ তো চাই। এখন
বাবা তোমাদের বলেছেন। বাবা বলেন -- তোমরা হলে তারাই, তাই না! বাচ্চারাও বলে, বাবা
তুমিও সে-ই আছো। বাবা বলেন, কল্প-পূর্বেও তোমাদের পড়িয়ে রাজ্য-ভাগ্য দিয়েছিলাম।
প্রতি কল্পে এইরকমই করবো। ড্রামায় যা কিছু হয়েছে, বিঘ্ন ঘটেছে, তবুও পড়বো। জীবনে
যা-যা ঘটে, স্মরণে তো থাকে, তাই না! এনার তো সবই স্মরণে রয়েছে। তিনি বলতেন, গ্রামের
ছেলে ছিলাম বৈকুন্ঠের মালিক হয়েছি। বৈকুন্ঠে গ্রাম থাকবে কিকরে, সে তো তোমরা এখন
জানো। এইসময় তোমাদের জন্যও এই পুরানো দুনিয়া হলো গ্রাম, তাই না! কোথায় বৈকুন্ঠ, আর
কোথার এই নরক। মানুষ বড়-বড় অট্টালিকা, বিল্ডিং ইত্যাদি দেখে মনে করে এটাই স্বর্গ।
বাবা বলেন, এ তো সব মাটি, পাথর এর কোনো মূল্য নেই। সর্বাপেক্ষা অধিক মূল্য হয় হীরের।
বাবা বলেন, বিচার করো সত্যযুগে তোমাদের সোনার মহল কেমন ছিল। ওখানে সব খনি ভরপুর
থাকত। প্রচুর সোনা ছিল। তাহলে বাচ্চাদের কত খুশী থাকা উচিত। কোনো সময় বিষন্নতা এলে
তখন বাবা বলেন - এমন অনেক রেকর্ড(গান) রয়েছে যা তোমাদের খুশী তৎক্ষনাৎ ফিরিয় আনবে।
সম্পূর্ণ জ্ঞান বুদ্ধিতে চলে আসে। তোমরা বোঝো যে, বাবা আমাদের বিশ্বের মালিক করে
দেন। তা কখনও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না। আধাকল্পের জন্য আমরা সুখধামের মালিক হয়ে যাই।
রাজার সন্তান মনে করে যে, আমরা এই পার্থিব জগতের রাজত্বের উত্তরাধিকারী। বাবা
স্বর্গ স্থাপন করছেন, আমরা ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকারী হয়ে যাবো। কত খুশী হওয়া
উচিত। যার উত্তরাধিকারী হবে তাঁকেও অবশ্যই স্মরণ করতে হবে। স্মরণ ব্যতীত তো
উত্তরাধিকারী হতে পারবে না। স্মরণ করলে পবিত্র হবে তবেই উত্তরাধিকারী হতে পারবে।তোমরা
জানো, শ্রীমতানুসারে আমরা বিশ্বের মালিক, দ্বিমুকুটধারী হয়ে যাই। জন্মের পর জন্ম
আমরা রাজত্ব করবো। ভক্তিমার্গে মানুষ হয় বিনাশী দান-পুণ্য। তোমাদের হলো অবিনাশী
জ্ঞান-ধন। তোমরা কত বড় লটারী পাও। কর্ম অনুসারেই ফল প্রাপ্ত হয়, তাই না! কেউ বড়
রাজার সন্তান হলে তখন সেটাকে বড় পার্থিব জগতের লটারী বলা হবে। সিঙ্গেল তাজধারীরা
সমগ্র বিশ্বের মালিক হতে পারে না। দ্বিমুকুটধারী বিশ্বের মালিক তোমরা হও। সেইসময়
দ্বিতীয় কোন রাজত্ব বা রাজ্য থাকেই না। অন্যান্য ধর্ম পরে আসে। তারা যখন
বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে তখন প্রথমে আসা রাজারা বিকারের হয়ে যাওয়ার জন্য মতানৈক্যের কারণে
টুকরো-টুকরো হয়ে আলাদা হয়ে যায়। প্রথমে তো সমগ্র বিশ্বে একটিই রাজ্য ছিল। ওখানে এমন
বলা হবে না যে, এ হলো গত জন্মের কর্মের ফল। বাচ্চারা, এখন বাবা তোমাদের শ্রেষ্ঠ
কর্ম শেখাচ্ছেন। যে যেমন-যেমন কর্ম করবে, সার্ভিস করবে, সে রিটার্নে তেমনই ফল
প্রাপ্ত করবে। ভাল কর্মই করতে হবে। কেউ কর্ম করে কিন্তু বুঝতে পারে না, তার জন্য
শ্রীমত নিতে হবে। প্রতি মুহূর্তে পত্রের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতে হবে। এখন এই যে
প্রাইম মিনিস্টার রয়েছে, তোমরা মনে করো তার কাছে কত পোস্ট (চিঠিপত্র) আসে। কিন্তু
সে তো তা একলা পড়ে না। তার কাছে অনেক সেক্রেটারি ইত্যাদি রয়েছে, তারাই সব পোস্টগুলো
দেখে। যেগুলো অত্যন্ত জরুরী হবে সেগুলোই পাস করে প্রাইম মিনিস্টারের টেবিলে রাখবে।
এখানেও এরকম হয়। প্রধান-প্রধান চিঠি উত্তর তৎক্ষণাৎ দিয়ে দেবে, বাকিগুলোর জন্য
স্মরণের স্নেহ-সুমন (ইয়াদ-প্যায়ার) লিখে দেবে। এক-একজনকে আলাদা-আলাদা করে বসে পত্র
লিখবে এমন তো হতে পারে না। বড় মুশকিল। বাচ্চারা কত খুশী হয় - আহা! আজ অসীম জগতের
পিতার চিঠি এসেছে। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা রেসপন্ড করে। বাচ্চারা অত্যন্ত খুশী হয়।
সর্বাপেক্ষা অধিক গদ-গদ(খুশী) হয় সাংসারিক বন্ধনে আবদ্ধ মাতারা (বাঁধেলীরা)। আহা!
আমরা বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছি, অসীম জগতের পিতা আমাদের কেমন চিঠি লেখে। নয়নে বসিয়ে রাখে।
অজ্ঞানকালে স্বামীকে যারা পরমাত্মা মনে করে তাদের স্বামীদের চিঠি এলে, তাতে চুম্বন
করে। তোমাদের মধ্যেও বাপদাদার পত্র দেখে অনেক বাচ্চারা অত্যন্ত রোমাঞ্চিত হয়ে যায়।
প্রেমাশ্রু আসে। চুম্বন করবে, নয়নে রেখে দেবে। অতি প্রেম-পূর্বক পত্র(চিঠি) পড়ে।
সংসার-জালে আবদ্ধ মাতারাও কেউ কম কি? অনেক বাচ্চাদের উপর মায়া বিজয়প্রাপ্ত করে নেয়।
কেউ আবার বোঝে যে, আমাকে তো পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। ভারত নির্বিকারী ছিল, তাই না!
এখন বিকারী। তোমাদেরও তো এই পরিকল্পনা রয়েছে, তাই না! গীতার যুগ চলছে। গীতার
পুরুষোত্তম যুগেরই গায়ন করা হয়। তোমরা লিখেছোও এমনভাবে - এ হলো গীতার পুরুষোত্তম
যুগ। যখন পুরানো দুনিয়া পরিবর্তিত হয়ে নতুন হয়। তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে - অসীম
জগতের পিতা যিনি আমাদের শিক্ষকও, আমরা তাঁর কাছ থেকে রাজযোগ শিখছি। ভালভাবে পড়লে
দ্বিমুকুটধারী হবে। কত বড় স্কুল। রাজত্ব স্থাপন হয়। প্রজাও অবশ্যই অনেকপ্রকারের হবে।
রাজত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যারা স্বল্পজ্ঞান প্রাপ্ত করবে তারা পরে আসবে। যারা যেমন
পুরুষার্থ করবে তারা তেমনভাবেই প্রথম থেকে ক্রমে-ক্রমে আসতে থাকবে। এ হলো
পূর্ব-নির্ধারিত খেলা (ড্রামা)। এই নাটকের চক্র পুনরাবৃত হয়, তাই না! এখন তোমরা
বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো। বাবা বলেন, পবিত্র হও। এরমাঝে যদি কেউ
বিঘ্ন ঘটায় তাহলে পরোয়া করা উচিত নয়। এক টুকরো রুটি তো পাওয়া যাবে, তাই না!
বাচ্চাদের পুরুষার্থ করা উচিত তবেই স্মরণে থাকবে। বাবা ভক্তিমার্গের উদাহরণ দেন -
পূজার সময় বুদ্ধিযোগ বাইরে চলে যেত, তখন নিজের কান ধরতেন, চড় মারতেন। এখন এ হলো
জ্ঞান। এরমধ্যেও মুখ্য কথা হলো স্মরণের। স্মরণে না থাকলে নিজেকে চড় মারা উচিত। মায়া
কেন আমার উপর বিজয়প্রাপ্ত করে। আমি কি এতই কাঁচা। আমারই তো এর (মায়ার) উপরে
বিজয়প্রাপ্ত করতে হবে। নিজেকে ভালভাবে সুরক্ষিত করতে হবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করো - আমি
কি এতখানি মহাবীর হয়েছি? অন্যান্যদেরকেও মহাবীরে পরিনত করার পুরুষার্থ করতে হবে। যত
অধিকজনকে নিজের সমান করতে পারবে ততই উচ্চপদ লাভ করবে। নিজের রাজ্য-ভাগ্য পাওয়ার
জন্য রেস করতে হবে। যদি আমাদের মধ্যেই ক্রোধ থাকে তবে অন্যদের কিভাবে বলবে যে,
ক্রোধ করা উচিত নয়। সত্য (কথা) আমি তো হলো না, তাই না! লজ্জা পাওয়া উচিত। অন্যদের
বোঝায় আর তারা উচ্চে (পদলাভ) উঠে যায়, আমরা নীচে রয়ে যাই, এও কি কোনো পুরুষার্থ হলো
! (পন্ডিতের গল্প) বাবাকে স্মরণ করতে-করতেই তোমরা বিষয়সাগর থেকে ক্ষীরসাগরে চলে যাও।
বাকি এ'সব উদাহরণ বাবা বসে বোঝান, যা পুনরায় ভক্তিমার্গে রিপীট করা হয়। ভ্রমরীর
উদাহরণও রয়েছে। তোমরা ব্রাহ্মণী হও, তাই না! - বি.কে., এ তো সত্যিকারের ব্রাহ্মণ।
প্রজাপিতা ব্রহ্মা কোথায়? অবশ্যই এখানে হবে, তাই না! ওখানে(সূক্ষ্মলোকে) হবে কি, না
তা হবে না। বাচ্চারা, তোমাদের অনেক হুশিয়ার হতে হবে। বাবার পরিকল্পনা আছে মানুষকে
দেবতায় পরিনত করার। বোঝানোর জন্য এই চিত্রও রয়েছে। এতে লেখাও সেরকমই হওয়া উচিত।
গীতার ভগবানের এই প্ল্যান, তাই না! আমরা অর্থাৎ ব্রাহ্মণরা হলাম কেশ-শিখা(টিকি)। একি
একজনের কথা নাকি! প্রজাপিতা ব্রহ্মা যখন, তখন কেশ-শিখা তো ব্রাহ্মণদের হলো, তাই না!
ব্রহ্মাই হলেন ব্রাহ্মণদের পিতা। এসময় বড় গভীর আত্মীয়-পরিজন অর্থাৎ পরিবার হবে, তাই
না। পরে আবার তোমরা দৈবী-পরিবারে আসবে। এইসময় তোমরা অত্যন্ত খুশী হও কারণ তোমরা
লটারি পাও। তোমাদের অনেক নাম হয়। বন্দে মাতরম্, তোমরা তো শিবের শক্তিসেনা, তাই না!
ও'সব তো হলো মিথ্যা। অনেক হওয়ার কারণে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে তাই রাজধানী স্থাপন করতে
পরিশ্রম হয়। বাবা বলেন - এই ড্রামা পূর্ব-নির্ধারিত। এতে আমারও পার্ট রয়েছে। আমি
হলাম সর্বশক্তিমান। আমায় স্মরণ করলেই তোমরা পবিত্র হয়ে যাও। সর্বাপেক্ষা অধিক
আকর্ষণকারী অর্থাৎ চুম্বক হলেন শিববাবা, তিনিই হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতম। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সদা
এই নেশা বা খুশীতে থাকতে হবে যে, আমরা ২১ জন্মের জন্য অসীম জগতের বাবার উত্তরাধিকারী
হয়েছি। যার উত্তরাধিকারী হয়েছি তাঁকে স্মরণও করতে হবে আর পবিত্রও অবশ্যই হতে হবে।
২ ) বাবা যে শ্রেষ্ঠ
কর্ম শেখাচ্ছেন সেই কর্মই করতে হবে। শ্রীমৎ গ্রহণ করে যেতে হবে।
বরদান:-
স্থুল
দেশ আর শরীরের স্মৃতির থেকে ঊর্ধ্বে সূক্ষ্মদেশের বেশধারী ভব
যেরকম আজকালকার
দুনিয়াতে যেরকম কর্তব্য সেরকম বেশ (অর্থাৎ ড্রেশ) ধারণ করে, এইরকম তোমরাও যেসময়ে
যেরকম কর্ম করতে চাও সেইরকম বেশ ধারণ করে নাও। এখনই সাকারী আবার এখনই আকারী। এইরকম
বহুরূপী হয়ে যাও তাহলে সর্ব স্বরূপের সুখের অনুভব করতে পারবে। এসব হল তোমাদের
নিজেদেরই স্বরূপ। অন্যের বস্ত্র ফিট হবে কি না হবে, কিন্তু নিজের বস্ত্র সহজেই ধারণ
করতে পারো। এইজন্য এই বরদানকে প্র্যাক্টিক্যাল অভ্যাসে নিয়ে এসো তাহলে অব্যক্ত
মিলনের বিচিত্র অনুভব করতে পারবে।
স্লোগান:-
সবাইকে
সম্মান প্রদানকারীই আদর্শ হতে পারবে। সম্মান দাও তাহলে সম্মান পাবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
স্বয়ং আর সকলের প্রতি মন্সা দ্বারা যোগের শক্তিগুলির প্রয়োগ করো
যেরকম নিজের স্থুল
কার্যের প্রোগ্রামকে নিজের দৈনন্দিন চার্ট অনুসারে সেট করো, এইরকম নিজের মন্সা
সমর্থ স্থিতির প্রোগ্রাম সেট করো তাহলে কখনও আপসেট হবে না। যতটা নিজের মনকে সমর্থ
সংকল্পে বিজি রাখবে, ততই মন আপসেট হওয়ার সময়ই পাবে না। মন সদা সেট অর্থাৎ একাগ্র
থাকলে স্বতঃ ভালো ভাইব্রেশন ছড়িয়ে পড়বে। সেবা হবে।