07-07-2024 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
11-11-20 মধুবন
“সম্পূর্ণতার সমীপতার দ্বারা প্রত্যক্ষতার শ্রেষ্ঠ
সময়কে নিকটে নিয়ে এসো”
আজ বাপদাদা নিজের হোলিয়েস্ট, হাইয়েস্ট, লাকিয়েস্ট, সুইটেস্ট
বাচ্চাদেরকে দেখছিলেন। সমগ্র বিশ্বে সময় প্রতি সময় হোলিয়েস্ট আত্মারা এসেছে। তোমরাও
হলে হোলিয়েস্ট কিন্তু তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা প্রকৃতিজীৎ হয়ে, প্রকৃতিকেও সতোপ্রধান
বানিয়ে দাও। তোমাদের পবিত্রতার পাওয়ার প্রকৃতিকেও সতোপ্রধান পবিত্র বানিয়ে দেয়।
এইজন্য তোমরা সকল আত্মারা প্রকৃতির এই শরীরও পবিত্র প্রাপ্ত করে থাকো। তোমাদের
পবিত্রতার শক্তি বিশ্বের জড়, চৈতন্য, সবাইকে পবিত্র বানিয়ে দেয়। এইজন্য তোমাদের
শরীরও পবিত্র প্রাপ্ত হয়। আত্মাও পবিত্র, শরীরও পবিত্র আর প্রকৃতির সাধনও সতোপ্রধান
পবিত্র হয়। এইজন্যই তোমরা হলে বিশ্বের হোলিয়েস্ট আত্মা। তোমরা হোলিয়েস্ট তো না?
নিজেকে মনে করো যে আমরা হলাম বিশ্বের হোলিয়েস্ট আত্মা? হাইয়েস্ট-ও তোমরা, হাইয়েস্ট
কেন? কেননা উঁচুর থেকেও উঁচু ভগবানকে চিনে গেছো। উঁচুর থেকে উঁচু বাবার দ্বারা
উঁচুর থেকেও উঁচু আত্মা হয়ে গেছো। সাধারণ স্মৃতি, বৃত্তি, দৃষ্টি, কৃতি, সব
পরিবর্তন করে শ্রেষ্ঠ স্মৃতি স্বরূপ, শ্রেষ্ঠ বৃত্তি, শ্রেষ্ঠ দৃষ্টি হয়ে গেছে। যখন
কারোর সাথে মিলিত হও তখন বৃত্তি (ভাবনা) কেমন থাকে? ব্রাদারহুড বৃত্তি, আত্মিক
দৃষ্টি, কল্যাণের ভাবনা, প্রভু পরিবারের ভাবনা থাকে। তাহলে হাইয়েস্ট হয়ে গেলে, তাই
না? পরিবর্তন হয়ে গেছো, তাই না! আর কতখানি লাকিয়েস্ট তোমরা? কোনও জ্যোতিষি তোমাদের
ভাগ্যের রেখা অঙ্কন করেনি, স্বয়ং ভাগ্য বিধাতা তোমাদের ভাগ্যের রেখা অঙ্কন করেছেন।
আর কত বড় গ্যারান্টি দিয়েছেন? ২১ জন্মের ভাগ্যের রেখার অবিনাশী গ্যারান্টি দিয়েছেন।
এক জন্মের নয়, ২১ জন্ম কখনও দুঃখ আর অশান্তির অনুভূতি হবে না। সদা সুখী থাকবে। তিনটে
জিনিস জীবনে প্রয়োজন - হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপী। এই তিনটি জিনিসই বাবার দ্বারা তোমরা
প্রাপ্ত করেছো। ২১ জন্মের গ্যরান্টী আছে তাই না? সবাই গ্যারান্টী নিয়েছো? পিছনে যারা
বসেছে, তাদের গ্যারান্টী প্রাপ্ত হয়েছে? সবাই হাত তুলছে, খুব ভালো। বাচ্চা অর্থাৎ
বাবার দ্বারা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া। বাচ্চা তো তোমরা, নও কি? বাচ্চা হচ্ছো নাকি
হয়ে গেছো? বাচ্চা হতে হয় না। জন্ম নেওয়া আর হওয়া। জন্মানোর সাথে সাথেই বাবার
উত্তরাধিকারের অধিকারী হয়ে গেছো। তো এইরকম শ্রেষ্ঠ ভাগ্য বাবার দ্বারা এখন প্রাপ্ত
করে নিয়েছো। আবার রিচেস্ট-ও তোমরা। ব্রাহ্মণ আত্মা, ক্ষত্রিয় নয় ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণ
আত্মা নিশ্চয়ের দ্বারা অনুভব করে যে আমি হলাম শ্রেষ্ঠ আত্মা, আমি অমুক নয়, আত্মা হলো
রিচেস্ট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। ব্রাহ্মণ হয়েছো মানে রিচেস্ট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হয়েছো, কেননা
ব্রাহ্মণ আত্মার জন্য পরমাত্ম স্মরণের দ্বারা প্রত্যেক কদমে পদম রয়েছে । তো
সারাদিনে কত কদম ওঠাচ্ছো? চিন্তা করো। প্রত্যেক কদমে পদম, তো সারাদিনে কত পদম হয়ে
গেলো? এইরকম আত্মা বাবার দ্বারা হয়ে গেছো। আমি ব্রাহ্মণ আত্মা কেমন, এটা স্মরণে
থাকাই হলো ভাগ্য। তো আজ বাপদাদা প্রত্যেকের ললাটের উপর ভাগ্যের ঝলমল করতে থাকা তারা
(নক্ষত্র) দেখছিলেন। তোমরাও তোমাদের ভাগ্যের নক্ষত্র দেখছো?
বাপদাদা বাচ্চাদেরকে দেখে খুশী হন নাকি বাচ্চারা বাবাকে দেখে
খুশী হয়? কে খুশী হয়? বাবা নাকি বাচ্চারা? কারা? (বাচ্চারা) বাবা খুশী হন না? বাবা
বাচ্চাদেরকে দেখে খুশী হন। উভয়েই খুশী হয় কেননা বাচ্চারা জানে যে এই প্রভু মিলন, এই
পরমাত্ম স্নেহ, এই পরমাত্ম উত্তরাধিকার, এই পরমাত্ম প্রাপ্তিগুলি এখনই প্রাপ্ত হয়।
“এখন নয় তো কখনই নয়।” এইরকম তো?
বাপদাদা এখন কেবল একটি কথা বাচ্চাদেরকে রিভাইজ করাচ্ছেন -
সেটা কোন্ কথা। বুঝে তো গেছো। এটাই বাপদাদা রিভাইজ করাচ্ছেন যে এখন শ্রেষ্ঠ সময়কে
সমীপে নিয়ে এসো। এটা হলো বিশ্বের আত্মাদের আওয়াজ। কিন্তু কে নিয়ে আসবে? তোমরা নাকি
অন্য কেউ? এইরকম সুন্দর শ্রেষ্ঠ সময়কে তোমরা সবাই নিকটে নিয়ে আসবে? যদি হও তাহলে
হাত তোলো। আচ্ছা, আরও একটি কথা আছে, সেটাও বুঝে গেছো তাই তো হাসছো? আচ্ছা -
সেইদিনটির তারিখ কত হবে? ডেট তো ফিক্স করেছো তাই না। এখন ডেট ফিক্স করেছো নাকি
ফরেনারদের টার্ণ হবে। তো এই ডেট তো ফিক্স করেছো। তো, ও... সময়কে সমীপে নিয়ে আসা
আত্মারা..., বলো, এর ডেট কোনটি? সেটা নজরে আসে? প্রথমে তোমাদের নজরে আসবে তারপর
বিশ্বে আসবে। বাপদাদা যখন অমৃতবেলায় সমগ্র বিশ্বে চক্র লাগান তখন দেখতে-দেখতে,
শুনতে-শুনতে করুণা আসে। আনন্দেও আছে কিন্তু আনন্দের সাথে দ্বিধাগ্রস্তও হয়ে আছে। তো
বাপদাদা জিজ্ঞেস করছেন যে দাতার বাচ্চা মাস্টার দাতা কবে নিজের মাস্টার দাতার পার্ট
তীব্রগতিতে বিশ্বের সামনে প্রত্যক্ষ করবে? নাকি এখনও পর্দার আড়ালে তৈরী হচ্ছো?
প্রস্তুতি নিচ্ছো? বিশ্ব পরিবর্তনের নিমিত্ত আত্মারা এখন বিশ্বের আত্মাদের উপর দয়া
করো। হতে তো হবেই, এটা তো নিশ্চিত আছে আর হবেও তোমাদের অর্থাৎ নিমিত্ত আত্মাদের
দ্বারাই। তাহলে দেরী কেন করছো? বাপদাদা এই একটা সেরিমনি দেখতে চাইছেন যে, প্রত্যেক
ব্রাহ্মণ বাচ্চার হৃদয়ে সম্পন্নতা আর সম্পূর্ণতার পতাকা উড়তে দেখা যাবে। যখন
প্রত্যেক ব্রাহ্মণের অন্দরে সম্পূর্ণতার পতাকা উড়বে তখনই বিশ্বে বাবার প্রত্যক্ষতার
পতাকা উড়বে। তো এই ফ্ল্যাগ সেরিমনি বাপদাদা দেখতে চাইছেন। যেরকম শিবরাত্রিতে শিব
অবতরণের পতাকা (ঝান্ডা) ওড়াও, এইরকম এখন শিব-শক্তি পান্ডব অবতরণের ডঙ্কা বাজবে। একটা
গান তোমরা বাজাও যে - শিব শক্তি এসে গেছে...। এখন সমগ্র বিশ্ব এই গীত গাইবে যে
শিবের সাথে শক্তিরা, পান্ডবেরা প্রত্যক্ষ হয়ে গেছে। পর্দার আড়ালে কতদিন থাকবে!
পর্দার আড়ালে থাকতে ভালো লাগে? একটু-একটু ভালো লাগে! ভালো লাগে না, তাহলে পর্দা
সরিয়ে দেবে কে? বাবা সরিয়ে দেবেন? কে সরাবে? ড্রামা সরাবে নাকি তোমরা সরাবে? যখন
তোমরাই সরাবে তাহলে দেরী কেন করছো? তো এটা বোঝো যে পর্দার আড়ালে থাকতে ভালো লাগে?
ব্যস্, বাপদাদার এখন কেবল একটাই এই শ্রেষ্ঠ আশা রয়েছে, সবাই গীত গাইবে - বাঃ! এসে
গেছে, এসে গেছে, এসে গেছে! এটা হতে পারে? দেখো সকল দাদী বলছেন - হতে পারে, তাহলে
কেন হচ্ছে না? কারণ কী? যখন সবাই এইরকম করছে, তাহলে কারণটা কি? (সবাই সম্পন্ন হয়নি)
কেন হয় নি? ডেট বলো না! (ডেট তো বাবা আপনি বলবেন) বাপদাদার মহামন্ত্র স্মরণে আছে?
বাপদাদা কী বলেন? “কখন নয় এখন।” (দাদীজি বলছেন - বাবা ফাইনাল ডেট আপনিই বলে দিন)
আচ্ছা - বাপদাদা যে ডেট বলবেন তারমধ্যে নিজেকে মোল্ড করে পালন করতে পারবে? পান্ডব
পারবে? পাক্কা। যদি উপর-নিচে করো তাহলে কি করতে হবে? (আপনি ডেট দেবেন তো কেউ
উপর-নিচে করবে না) অভিনন্দন। আচ্ছা। এখন ডেট বলবো, দেখবে। দেখো, বাপদাদা তথাপি
করুণাময়, তো বাপদাদা ডেট বলছেন, অ্যাটেনশন দিয়ে শোনো।
বাপদাদা সকল বাচ্চাদের থেকে এই শ্রেষ্ঠ ভাবনা রাখেন, আশা
রাখেন যে - কমপক্ষে ৬ মাসে, ৬ মাস কবে পূর্ণ হবে? (মে - তে) মে তে - ‘ম্যায়’,
‘ম্যায়’ সমাপ্ত। বাপদাদা তথাপি মার্জিন দিচ্ছেন যে কমপক্ষে এই ৬ মাসে, যেটা বাপদাদা
পূর্বেও শুনিয়েছিলেন আর আগের সীজনেও কাজ দিয়েছিলেন যে, নিজেকে জীবন্মুক্ত স্থিতির
অনুভবে নিয়ে এসো। সত্যযুগীয় সৃষ্টির জীবন্মুক্ত নয়, সঙ্গম যুগীয় জীবন্মুক্ত স্টেজ।
কোনও বিঘ্ন, পরিস্থিতি, সাধন বা আমি আর আমার ভাব, আমি বডি কনসাসের আর আমার বডি
কনসাসের সেবার, এই সব প্রভাব থেকে মুক্ত থাকো। এমন বলবে না যে আমি তো মুক্ত থাকতে
চাই, কিন্তু এই বিঘ্ন এসে গেলো তাই, এই বাধা অনেক বড় হয়ে গেলো, তাই। ছোটো খাটো
বিঘ্ন তো চলে যায়, এটা অনেক বড় বাঁধা ছিল, এটা অনেক বড় পরীক্ষা ছিল, বড় পরিস্থিতি
ছিল। যত বড়ই পরিস্থিতি, বিঘ্ন, সাধনের আকর্ষণ মোকাবিলা করুক, মোকাবিলা করবে এটা
পূর্বেই বলেছিলাম কিন্তু কমপক্ষে ৬ মাসে ৭৫ শতাংশ মুক্ত হতে পারবে? বাপদাদা ১০০
শতাংশ বলছেন না, ৭৫ শতাংশ, পৌনে পর্যন্ত এলে তবে পুরো পৌঁছাতে পারবে তাই না! তো ৬
মাসে, এক মাসও নয় ৬ মাস দিচ্ছেন, বর্ষের অর্ধেক। তো এই ডেট কি ফিক্স করতে পারবে?
দেখো, দাদীরা বলেছেন ফিক্স করো, দাদীদের হুকুম তো মানতে হবে তাই না! রেজাল্ট দেখে
তো বাপদাদা স্বতঃই আকর্ষণে আসবেন, বলারও প্রয়োজন পড়বে না। তো ৬ মাস আর ৭৫ শতাংশ,
১০০ বলছেন না। তার জন্য আবার পরে সময় দেবেন। তো এতে এভারেডি আছো? এভারেডি নয় ৬ মাসে
রেডি। পছন্দ হয়েছে নাকি সাহস একটু কম আছে, জানি না কি হবে? বাঘও আসবে, বিড়ালও আসবে,
সবাই আসবে। বিঘ্নও আসবে, পরিস্থিতিও আসবে, সাধনও বৃদ্ধি পাবে কিন্তু সাধনের প্রভাব
থেকে মুক্ত থাকবে। পছন্দ হয়েছে, তাহলে হাত ওঠাও। ক্যামেরায় রেকর্ড করো। ভালো ভাবে
হাত তোলো, নীচে করবে না। ভালো সীন লাগছে। আচ্ছা - ইন-অ্যাডভান্স অভিনন্দন।
এটা বোলো না যে আমাকে তো অনেক মরতে হবে। মরো বা বাঁচো কিন্তু
হতে হবেই। এইরকম মরে যাওয়ার অনুভব হলো মিষ্টি, এই মরে যাওয়াতে দুঃখ হয় না। এই মরে
যাওয়া হলো অনেকের কল্যাণের জন্য মরা। এইজন্য এই মরে যাওয়াতে মজা আছে। দুঃখ নেই, সুখ
আছে। কোনও বাহানা করবে না, এটা পূর্বেও হয়েছে তাই না। এইজন্য এখনও হয়ে গেল। কোনও
বাহানাবাজী চলবে না। বাহানাবাজী করবে? করবে না, তাই না! উড়তি কলার বাজী করবে, এছাড়া
অন্য কোনও বাজী নয়। অধঃপতন কলার বাজী, বাহানাবাজী, দুর্বলতার বাজী এই সব সমাপ্ত।
উড়তি কলার বাজী। ঠিক আছে, তাই না! সবার মুখমন্ডল উৎফুল্লতায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। যখন
৬ মাস পরে মিলিত হতে আসবো তখন চেহারা কেমন হবে। তখনও ছবি তোলা হবে।
ডবল ফরেনার্স এসেছে! তো ডবল প্রতিজ্ঞা করার দিন এসে গেছে।
অন্য কাউকে দেখবে না, সী ফাদার, সী ব্রহ্মা মাদার। অন্য কেউ করুক বা না করুক, করবে
তো সবাই তথাপি তাদের প্রতিও দয়াভাব রাখবে। দুর্বলকে শুভ ভাবনার বল দেবে, তার
দুর্বলতাকে দেখবে না। এইরকম আত্মাদেরকে নিজের সাহসের হাত দিয়ে ওঠাবে, উঁচু করবে।
সাহসের হাত সদা নিজের প্রতি আর সকলের প্রতি এগিয়ে দিতে থাকবে। সাহসরূপী হাত হলো
অত্যন্ত শক্তিশালী। আর বাপদাদার বরদান হলো - সাহসের এক কদম বাচ্চাদের, হাজার কদম
বাবার সহায়তার। নিঃস্বার্থ পুরুষার্থে প্রথমে আমি। নিঃস্বার্থ পুরুষার্থ, স্বার্থের
পুরুষার্থ নয়, নিঃস্বার্থ পুরুষার্থ, এতে যে অর্জন করবে (যোগ ওটে সো অর্জুন) সে হলো
ব্রহ্মা বাবার সমান।
ব্রহ্মা বাবার প্রতি ভালোবাসা আছে তাই না! তবে তো নিজেকে
ব্রহ্মাকুমার ব্রহ্মাকুমারী বলে থাকো! যখন চ্যালেঞ্জ করো যে সেকেন্ডে জীবন্মুক্তির
উত্তরাধিকার নিয়ে নেবে তো এখন সেকেন্ডে নিজেকে মুক্ত করার অ্যাটেনশন দাও। এখন সময়কে
সমীপে নিয়ে এসো। তোমাদের সম্পূর্ণতার সমীপতা, শ্রেষ্ঠ সময়কে নিকটে নিয়ে আসবে। তোমরা
হলে মালিক, রাজা তাই না! স্বরাজ্য অধিকারী হয়েছো? তাহলে অর্ডার করো। রাজা তো
অর্ডার করে তাই না! এটা করবে না, এটা করতে হবে। ব্যাস্, অর্ডার করো। এখনই দেখো
নিজের মনকে, কেননা মন হল মুখ্য মন্ত্রী। তো হে রাজা, নিজের মনমন্ত্রীকে সেকেন্ডে
অর্ডার করো অশরীরী, বিদেহী স্থিতিতে স্থিত করতে পারো? করো অর্ডার এক সেকেন্ডে। (৫
মিনিট ড্রিল) আচ্ছা।
সদা লভলীন আর লাকী আত্মাদেরকে বাপদাদার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া সর্ব প্রাপ্তির অনুভবী
আত্মাদেরকে, স্বরাজ্য অধিকারী হয়ে অধিকার দ্বারা স্বরাজ্য করা শক্তিশালী আত্মাদেরকে,
সদা জীবন্মুক্ত স্থিতির অনুভবকারী হাইয়েস্ট আত্মাদেরকে, ভাগ্য বিধাতার দ্বারা
শ্রেষ্ঠ ভাগ্য রেখার দ্বারা লাকিয়েস্ট আত্মাদেরকে, সদা পবিত্রতার দৃষ্টি, বৃত্তির
দ্বারা স্ব-পরিবর্তন তথা বিশ্ব পরিবর্তনকারী হোলিয়েস্ট আত্মাদেরকে বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ সুমন আর নমস্কার।
ডবল বিদেশী অতিথিদের সাথে
(‘কল্ অফ টাইম’ এর প্রোগ্রামে আগত অতিথিদের সাথে)
সবাই নিজেদের সুইট হোমে, সুইট পরিবারে পৌঁছে গেছো তাই না! এই
ছোটো সুইট পরিবার ভালো লাগে তাই না! আর তোমরাও কতো প্রিয় হয়ে গেছো! সবার আগে
পরমাত্ম প্রিয় হয়েছো। হয়েছো, তাই না! হয়ে গেছো নাকি হবে? দেখো, তোমাদের সবাইকে দেখে
সবাই কতো খুশী হচ্ছে। কেন খুশী হচ্ছে? সকলের মুখমন্ডল দেখে অনেক খুশী হচ্ছে। কেন
খুশী হচ্ছে? কেননা জানে যে এনারা সবাই হলেন গডলি ম্যাসেঞ্জার হয়ে আত্মাদেরকে
ম্যাসেজ দেওয়ার নিমিত্ত আত্মা। (পাঁচ খন্ড থেকে রয়েছে) তো পাঁচ খন্ডে ম্যাসেজ পৌঁছে
যাবে, সহজ তো না! প্ল্যান খুব ভালো বানিয়েছো। এতে পরমাত্ম পাওয়ার ভরে আর পরিবারের
সহযোগ নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকো। সকলের সংকল্প বাপদাদার কাছে পৌঁছে গেছে। সংকল্প খুব
ভালো-ভালো চলছে, তাই না! প্ল্যান তৈরী হচ্ছে। তো প্ল্যানকে প্র্যক্টিক্যাল করে
দেখানোর জন্য সাহস তোমাদের আর সহায়তা বাবার আর ব্রাহ্মণ পরিবারের। কেবল নিমিত্ত হতে
হবে, ব্যস্ আর কিছু পরিশ্রম করতে হবে না। আমি হলাম পরমাত্ম কার্যে নিমিত্ত আত্মা।
যখনই কোনও সেবা করবে - বাবা, আমি ইন্সট্রুমেন্ট, সেবার জন্য প্রস্তুত আছি, আমি হলাম
ইন্সট্রুমেন্ট, যিনি পরিচালন করবেন তিনি করিয়ে নেবেন। এই নিমিত্ত ভাব তোমাদের
চেহারার উপর নির্মাণ আর নির্মান ভাব প্রত্যক্ষ করবে। করাবনহার নিমিত্ত বানিয়ে কাজ
করাবেন। মাইক তোমরা আর মাইট (শক্তি) বাবার। তাহলে সহজ তো না! তো নিমিত্ত হয়ে স্মরণে
হাজির হয়ে যাও, ব্যস্। তাে তোমাদের চেহারা, তোমাদের ফিচার্স স্বতঃই সেবার নিমিত্ত
হয়ে যাবে। কেবল বাণীর দ্বারা সেবা করবে না কিন্তু তোমাদের আন্তরিক খুশী, চেহারার
দ্বারা দেখা যাবে। একেই বলা হয় - ‘অলৌকিকতা’। এখন অলৌকিক হয়ে গেছো তাই না। লৌকিক
ভাব তো সমাপ্ত হয়ে গেছে তাই না। আমি হলাম আত্মা - এটা হলো অলৌকিক। আমি হলাম অমুক -
এটা হল লৌকিক। তাহলে তোমরা কে? অলৌকিক নাকি লৌকিক? অলৌকিক তাই না! ভালো। বাপদাদা বা
পরিবারের সামনে পৌঁছে গেছো, এটা খুব ভালো সাহস দেখিয়েছো। দেখো, তোমরাও কোটির মধ্যে
কয়েকজন বেরিয়েছো তাই না! কত গ্রুপ ছিল, তার মধ্যে থেকে কতজন এসেছে, তো কোটির মধ্যে
কয়েকজন বেরিয়েছো তাই না। খুব ভালো - বাপদাদার এই গ্রুপ পছন্দ হয়েছে। আর এই দেখো কত
খুশী হচ্ছে তারা। তোমাদের থেকে বেশী খুশী হচ্ছে, কেননা সেবার রিটার্ন সামনে দেখে
খুশী হচ্ছে। তোমাদেরও খুশী হচ্ছে তাই না - পরিশ্রমের ফল প্রাপ্ত হয়েছে। আচ্ছা। এখন
তো বালক তথা মালিক হও। বালক হলো মাস্টার। বাচ্চাদেরকে সর্বদা বলা হয় - ‘মাস্টার’।
আচ্ছা।
বরদান:-
সফল করার বিধির দ্বারা সফলতার বরদান প্রাপ্তকারী
বরদানী মূর্তি ভব
সঙ্গম যুগে বাচ্চারা তোমাদের জন্য উত্তরাধিকারও আছে
আবার বরদানও আছে যে - “সফল করো আর সফলতা পাও”। সফল করা হলো বীজ আর সফলতা হলো ফল। যদি
বীজ ভালো হয় তাহলে ফল পাওয়া যাবে না, এটা হতে পারে না। তো যেরকম অন্যদেরকে বলো যে
সময়, সংকল্প, সম্পত্তি সব সফল করো। এইরকম নিজেদের সকল খাজানার লিস্ট চেক করো যে কোন্
খাজানা সফল হয়েছে আর কোনটি ব্যর্থ। সফল করতে থাকো তাহলে সকল খাজানার দ্বারা সম্পন্ন
বরদানী মূর্তি হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
পরমাত্ম অ্যাওয়ার্ড নেওয়ার জন্য ব্যর্থ আর নেগেটিভকে
অ্যাভয়েড করো।