08.04.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - সর্বোত্তম যুগ হলো এই সঙ্গম, এতেই তোমরা আত্মারা পরমাত্মা পিতার সাথে মিলিত হও, এটাই হলো সত্যিকারের কুম্ভ"

প্রশ্নঃ -
কোন্ পাঠ কেবল বাবা-ই পড়ান, কোনো মানুষ পড়াতে পারে না?

উত্তরঃ  
দেহী-অভিমানী হওয়ার পাঠ একমাত্র বাবাই পড়ান, এই পাঠ কোনও দেহধারী পড়াতে পারে না। সর্বপ্রথম তোমরা আত্মার জ্ঞান পেয়ে থাকো । তোমরা জানো, আমরা আত্মারা পরমধাম থেকে অ্যাক্টর হয়ে পার্ট প্লে করতে এসেছি, এখন নাটক শেষ হতে চলেছে, এই ড্রামা হলো পূর্ব নির্মিত, একে কেউ তৈরি করেনি সেইজন্যই এর আদি এবং অন্তও নেই।

গীতঃ-
জাগো সজনীরা জাগো....

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এই গান অনেকবার শুনেছো, সাজন (সখা) সজনীকে (সখি) বলছে । তাঁকে (শিববাবাকে) সাজনও বলা হয় যখন ব্রহ্মা তনে প্রবেশ করেন, নাহলে তো তিনি হলেন বাবা আর তোমরা হলে তাঁর সন্তান । তোমরা বাচ্চারা সবাই ভক্ত, ভগবানকে স্মরণ করো। যেভাবে ব্রাইড্স, ব্রাইডগ্রুমকে (বঁধূ বরকে) স্মরণ করে। সকলের মাশুক হলেন ব্রাইডগ্রুম । তিনি বসে বাচ্চাদেরকে বোঝান যে - এখন জাগো, নতুন যুগ আসছে। নতুন অর্থাৎ নতুন দুনিয়া সত্যযুগ, পুরানো দুনিয়া হলো কলিযুগ। এখন বাবা এসেছেন, তোমাদের স্বর্গবাসী করে তুলতে । কোনো মানুষ বলতে পারবে না যে, আমি তোমাদের স্বর্গবাসী করে তুলতে পারি। সন্ন্যাসীরা তো স্বর্গ আর নরক সম্পর্কে কিছুই জানে না। যেমন অন্যান্য ধর্ম আছে সন্ন্যাসীদেরও একটি ধর্ম আছে, আর সেটা কোনও আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম নয় । আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ভগবান এসেই স্থাপন করেন, যারা নরকবাসী, তারাই আবার স্বর্গবাসী হয়ে ওঠে । তোমরা এখন নরকবাসী নও । তোমরা এখন আছ সঙ্গম যুগে। সঙ্গম হলো মাঝখানে (কলির শেষ আর সত্যযুগের প্রারম্ভ )। সঙ্গমে স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছো, সেইজন্যই সঙ্গমের মহিমা রয়েছে । কুম্ভমেলা বাস্তবে এটাই যা সর্বোত্তম, এই সঙ্গম যুগকে পুরুষোত্তমও বলা হয়। তোমরা জানো, আমরা সবাই এক বাবারই সন্তান, ব্রাদারহুড বলা হয় না ! সমস্ত আত্মারা নিজেদের মধ্যে হল ভাই-ভাই । যেমন বলাও হয়ে থাকে হিন্দু-চীন ভাই-ভাই । সমস্ত ধর্মের পরিপ্রেক্ষিতে ভাই-ভাই এই জ্ঞান তোমরা এখন লাভ করেছ । বাবা বোঝান, তোমরা আমার সন্তান। তোমরা এখন সামনে বসে শুনছো। ওরা তো (ভক্তি মার্গে) শুধু বলার জন্যই বলে থাকে সব আত্মাদের পিতা একজন, সেই একজনকে স্মরণ করে। মেল বা ফিমেল উভয়ের মধ্যেই আত্মা আছে, আত্মা হিসেবে তোমরা ভাই-ভাই, তারপর ভাই-বোন এবং তারপর স্ত্রী-পুরুষ হয়ে যাও। সুতরাং বাবা এসে বাচ্চাদের বোঝান। গাওয়াও হয়ে থাকে আত্মা এবং পরমাত্মা বহুকাল আলাদা ছিল বহুকাল... এমন বলা হয় না যে নদী আর সাগর আলাদা ছিল বহুকাল... বড়ো বড়ো নদী তো সাগরে এসে মিলিত হয়। বাচ্চারা এটাও জানে, নদী সাগরের সন্তান। সাগর থেকে জল মেঘের মধ্যে উড়ে যায় এবং পাহাড়ে বৃষ্টি হয়, তারপর সেই জল নদীতে পরিণত হয় । সুতরাং সবাই হয়ে যায় সাগরের পুত্র এবং কন্যা। অনেকেরই জানা নেই যে, জল কোথা থেকে নির্গত হয়। এটাও তোমরা আত্মাদের কাছে ব্যাখ্যা করা হয়। এখন বাচ্চারা জানে, জ্ঞানের সাগর একজনই বাবা, এটাও বোঝান হয় তোমরা সবাই আত্মা, এবং বাবা একজনই। আত্মারা নিরাকার যখন সাকার শরীরে আসে তখনই পুনর্জন্ম নিতে হয়। বাবাও যখন সাকার শরীরে প্রবেশ করেন তখনই বাচ্চাদের সাথে মিলিত হন। বাবার সাথে মিলন একবারই হয়। এই সময় এসে বাচ্চাদের সাথে মিলিত হয়েছেন। তিনিই যে ভগবান এটাও সবাই বুঝতে পারে। গীতায় কৃষ্ণের নাম লেখা হয়েছে কিন্তু কৃষ্ণ তো এখানে আসতে পারবে না, তবে সে কিভাবে অপমানজনক কথা শুনবে? তোমরা জানো কৃষ্ণের আত্মা এইসময় এখানে আছে। সর্বপ্রথম তোমাদের জ্ঞান অর্জন হয় আত্মা সম্পর্কে। তোমরা আত্মা, নিজেদের শরীর মনে করে চলে এসেছো, এখন বাবা এসে দেহী-অভিমানী করে তোলেন । সাধু-সন্ত ইত্যাদি কখনোই তোমাদের দেহী-অভিমানী করে তুলতে পারে না। বাচ্চারা তোমরা অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্তি করে থাকো । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরা পরমধাম নিবাসী এখানে ভূমিকা পালন করতে এসেছি। এখন এই নাটক শেষ হতে চলেছে। এই ড্রামা কেউ তৈরি করেনি, পূর্ব নির্ধারিত এই ড্রামা। তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হয় এই ড্রামা কবে থেকে শুরু হয়েছে? তোমরা বলবে এই ড্রামা অনাদি, এর আদি -অন্ত হয়না। পুরানো থেকে নতুন, নতুন থেকে পুরানো হয়। এই পাঠ বাচ্চারা তোমাদের নিশ্চিত হয়ে গেছে। তোমরা জান নতুন দুনিয়া কবে নির্মাণ হয় কবে পুরানো হয় । এটাও কারো কারো বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ রূপে আছে। তোমরা জান এখন নাটক শেষ হতে চলেছে আবারও রিপিট হবে। আমাদের ৮৪ জন্মের পার্ট সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন বাবা আমাদের নিয়ে যেতে এসেছেন। বাবা তো গাইড তাইনা। তোমরা হলে পান্ডা। পান্ডারা যাত্রীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। ওরা হলো শরীরধারী পান্ডা (ভক্তি মার্গে)। তোমরা হলে রূহানী (আত্মিক)পান্ডা সেইজন্য তোমাদের নাম পান্ডব গভর্নমেন্ট, কিন্তু গুপ্ত রূপে। পান্ডব, কৌরব, যাদবরা কি করেছিল? এই প্রশ্ন বর্তমান সময়ের যখন মহাভারতের লড়াইয়ের সময়। অনেক ধর্ম, দুনিয়াও তমোপ্রধান, নানারকম ধর্মের বৃক্ষটি পুরানো হয়ে গেছে। তোমরা জানো, এই বৃক্ষের সর্বপ্রথম ফাউন্ডেশন হল আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। সত্যযুগে লোকসংখ্যাও কম থাকে তারপর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ বিষয়ে আর কেউ-ই জানে না। তোমরাও নম্বরানুসারে জানো । স্টুডেন্টসদের মধ্যেও কেউ কেউ অতি বিচক্ষণ হয়, ভালোভাবে ধারণ করে এবং ধারণা করার জন্যও ব্যাকুল থাকে। কেউ যথার্থ রীতিতে ধারণ করে । কেউ মাঝারি, কেউ তৃতীয় কেউ-বা চতুর্থ নম্বরানুসারে ধারণ করে থাকে । প্রদর্শনীতে বোঝাবার জন্য যথার্থ রূপে জ্ঞান এবং বোঝানোর সামর্থ্য ও বিচক্ষণতার প্রয়োজন। প্রথমে তাদের বলো যে পিতা দুইজন। একজন অসীম জগতের পারলৌকিক পিতা, দ্বিতীয় জন সীমিত জগতের লৌকিক পিতা। ভারত অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিল। ভারত স্বর্গ ছিল যা নরকে পরিণত হয়েছে, একে আসুরি রাজ্যও বলা হয়। ভক্তিও প্রথম-প্রথম অব্যভিচারী হয়। এক শিববাবাকেই সবাই স্মরণ করে।

বাবা বলেন - বাচ্চারা, পুরুষোত্তম হতে হলে কনিষ্ঠ বানাতে পারে এমন কথা গুলি শুনো না । একমাত্র বাবার কথাই শোনো । অব্যভিচারী জ্ঞান শোনো, অন্য কারও কাছে কিছু শুনলে তা হলো মিথ্যা। বাবা এখন তোমাদেরকে প্রকৃত সত্য শুনিয়ে পুরুষোত্তম করে তুলছেন। সব ইভিল কথা শুনতে-শুনতে তোমরা কনিষ্ঠ হয়ে গেছো । আলোক হলো ব্রহ্মার দিন, অন্ধকার হলো ব্রহ্মার রাত। এইসব পয়েন্টস ধারণ করতে হবে। নম্বরানুসারে প্রতিটি বিষয়েই দক্ষ হতে হবে। ডাক্তার অপারেশন করে, কারো -কারো ক্ষেত্রে ১০-২০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। কারো আবার খাওয়ার জন্যও কিছু থাকে না। ব্যারিস্টারও এমন হয়। তোমরাও যত পড়বে আর পড়াবে ততই উচ্চ পদ লাভ করবে। পার্থক্য আছে তাইনা! দাস-দাসীদের মধ্যেও নম্বরানুসারে আছে। পড়াশোনার উপরেই সব নির্ভর করছে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত আমি কতটুকু ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করি, ভবিষ্যতে জন্ম-জন্মান্তর ধরে কি হবো? জন্ম -জন্মান্তর যা হবে কল্প-কল্পান্তরেও তাই হবে, সেইজন্যই পড়াশোনার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। বিষ পান ত্যাগ করা উচিত। সত্যযুগে তো এমন বলা হয় না যে ঈশ্বর এসে নোংরা পোশাক পরিষ্কার করেন । এই সময় সবার পোশাক জীর্ণ হয়ে গেছে। তমোপ্রধান না ! এটাও তো বোঝানোর বিষয় তাইনা। সবচেয়ে পুরানো শরীর কার ? আমাদের । আমার এই শরীর বদলাতেই থাকি । আত্মা পতিত হতে থাকে, শরীরও পতিত পুরোনো হতে থাকে। শরীর বদলাতে হয় । আত্মা তো বদলাবে না। শরীরে বার্ধক্য আসে, মৃত্যু হয় - এইভাবেই ড্রামা তৈরি হয়েছে। সকলের পার্ট রয়েছে । আত্মা হলো অবিনাশী। আত্মা স্বয়ং বলে - আমি শরীর ত্যাগ করছি। দেহী-অভিমানী হতে হবে। মানুষ সবাই দেহ-অভিমানী। অর্ধকল্প দেহ-অভিমানী, অর্ধকল্প দেহী-অভিমানী।

দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্যই সত্যযুগের দেবতাদের মোহজীত টাইটেল প্রাপ্ত হয়েছে, কেননা ওখানে সবাই জানে আমরা আত্মা, এই শরীর ছেড়ে অন্য শরীর ধারণ করতে হবে। মোহজীত রাজার কথাও আছে না ! বাবা বোঝান দেবী-দেবতারা মোহজীত হয়। খুশির সাথে এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর ধারণ করতে হবে, বাচ্চাদের সম্পূর্ণ নলেজ বাবা দ্বারা প্রাপ্ত হচ্ছে। তোমরাই চক্র সম্পূর্ণ করে এখন আবার মিলিত হয়েছ। যারা অন্যান্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে তারাও এসে মিলিত হবে। অল্প-স্বপ্ন উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। ধর্মই পরিবর্তন হয়ে গেল না ! জানা তো নেই কত সময় ঐ ধর্মে ছিল । ২-৩ জন্ম নিয়ে থাকতে পারে । কাউকে হিন্দু থেকে মুসলমান বানিয়ে দিয়েছে সুতরাং ঐ ধর্মে আগে আসবে পরে এখানে আসবে। এইসবই হলো বিস্তারিত বিষয়। বাবা বলেন এতো বিষয় স্মরণ নাও করতে পার, আচ্ছা নিজেকে বাবার সন্তান তো মনে করো । ভালো-ভালো বাচ্চারাও ভুলে যায়, বাবাকে স্মরণ করে না। মায়া ভুলিয়ে দেয়। তোমরাও প্রথমে মায়ার শিষ্য ছিলে, তাইনা। এখন ঈশ্বরের হয়েছো । এটাই ড্রামার পার্ট। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। যখন তোমরা আত্মারা সর্ব প্রথম শরীরে এসেছিলে তখন পবিত্র ছিলে, তারপর পুনর্জন্ম নিতে নিতে পতিত হয়ে গেছো, এখন বাবা বলছেন নষ্টমোহ হও । এই শরীরের প্রতিও মোহ রেখো না।

এখন বাচ্চারা, তোমাদের এই পুরানো দুনিয়ার থেকে অসীম জাগতিক বৈরাগ্য আসে। কেননা এই দুনিয়াতে সবাই একে অপরকে দুঃখ দিয়ে থাকে। সেইজন্য এই পুরানো দুনিয়াকে ভুলে যাও । আমরা অশরীরী হয়ে এসেছিলাম এখন আবার অশরীরী হয়ে ফিরে যেতে হবে। এখন এই দুনিয়া শেষ হবে। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য বাবা বলেন - "মামেকম্ স্মরণ করো" । কৃষ্ণ তো বলতে পারবে না যে, "মামেকম্ স্মরণ করো" । কৃষ্ণ তো সত্যযুগে । বাবাই বলেন আমাকে তোমরা পতিত-পাবন বলে থাকো যদি তবে আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দিই। কল্প-কল্পের যুক্তি বলে দিয়ে থাকি যে যখন দুনিয়া পুরানো হয়ে যায় তখন ভগবানকে আসতে হয়। মানুষ তো ড্রামার আয়ু দীর্ঘ বছর করে দিয়েছে। সুতরাং মানুষ ভুলেও গেছে। এখন তোমরা জান এটা সঙ্গম যুগ, এ হলো পুরুষোত্তম হওয়ার যুগ । মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এই সময় সব তমোপ্রধান। তোমরা এখন তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হচ্ছ। তোমরাই সবচেয়ে বেশি ভক্তি করেছ।এখন ভক্তি মার্গ শেষ হতে চলেছে। ভক্তি হয় মৃত্যুলোকে, তারপর আসবে অমরলোক । তোমরা এই সময় জ্ঞান অর্জন করছো এরপর ভক্তির চিহ্নমাত্র থাকবে না। হে ভগবান, হে রাম - এইসব ভক্তি মার্গের শব্দ। এতে আওয়াজ করার প্রয়োজন নেই। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর আওয়াজ করেন না। তাঁকে বলা হয় সুখ-শান্তির সাগর । শোনানোর জন্য শরীর তো প্রয়োজন তাইনা। ভগবানের ভাষা কি কেউ জানেনা। এমন তো নয় যে সব ভাষাতেই বলবেন। তা নয়, ওনার ভাষা হিন্দি। বাবা একই ভাষাতে বোঝান তারপর তোমরা ট্রান্সলেট করে বোঝাও। ফরেনার্স ইত্যাদি যার সাথেই মিলিত হও না কেন তাকে বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবা আদি-সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছেন। ত্রিমূর্তি দ্বারাও বোঝাতে হবে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার কত ব্রহ্মাকুমার - কুমারীরা আছে। যে কেউ-ই আসুক প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসা করো কার কাছে এসেছো? বোর্ডে তো লেখা আছে প্রজাপিতা...উনি তো প্রজা রচনা করেন ওনাকে ভগবান বলা যাবে না। ভগবান নিরাকারকেই বলা হয়। এই ব্রহ্মাকুমার - কুমারীরা হলো ব্রহ্মার সন্তান। তুমি এখানে কেন এসেছো? আমাদের বাবার সাথে তোমার কি প্রয়োজন? বাবার শুধু বাচ্চাদের প্রয়োজন। আমরা বাবাকে যথার্থ রূপে জানি। গাওয়াও হয় - সন শো'জ ফাদার (সন্তানের মধ্যেই পিতা প্রত্যক্ষ হন) । আমরা হলাম এনার সন্তান। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ স্মরণ আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) পুরুষোত্তম হওয়ার জন্য কনিষ্ঠ বানাতে পারে এমন যে সব ইভিল কথা রয়েছে সে'সব শুনবে না । এক বাবার কাছ থেকেই অব্যভিচারী জ্ঞান শুনতে হবে।

২ ) নষ্টমোহ হওয়ার জন্য দেহী-অভিমানী হওয়ার তীব্র পুরুষার্থ করতে হবে। বুদ্ধিতে যেন থাকে - এই পুরানো দুনিয়া দুঃখই দিয়ে থাকে, একে ভুলতে হবে। এর থেকে যেন অসীম জাগতিক বৈরাগ্য হয় ।

বরদান:-
সঙ্গম যুগের সকল প্রাপ্তিকে স্মৃতিতে রেখে চড়তি কলার অনুভবকারী শ্রেষ্ঠ প্রারব্ধী ভব

পরমাত্ম মিলন বা পরমাত্ম জ্ঞানের বিশেষত্ব হল - অবিনাশী প্রাপ্তি হওয়া। এমন নয় যে সঙ্গম যুগ হল পুরুষার্থী জীবন আর সত্যযুগ হল প্রারব্ধী জীবন। সঙ্গম যুগের বিশেষত্ব হল এক কদম ওঠাও আর হাজার কদম প্রারব্ধ পাও। তো কেবল পুরুষার্থী নয়, শ্রেষ্ঠ প্রারব্ধও আছে - এই স্বরূপকে সদা সামনে রাখো। প্রারব্ধকে দেখে সহজেই চড়তি কলার অনুভব করবে। “যা পাওয়ার ছিল তা পেয়ে গেছি” - এই গীত গাও তাহলে মন উদ্ভ্রান্ত হওয়া আর তন্দ্রা লাগার থেকে (ঘুটকে আর ঝুটকে) বেঁচে যাবে।

স্লোগান:-
ব্রাহ্মণদের শ্বাস হল সাহস, যার দ্বারা কঠিন থেকে কঠিনতম কাজও সহজ হয়ে যায়।

অব্যক্ত ঈশারা :- “কম্বাইন্ড রূপের স্মৃতির দ্বারা সদা বিজয়ী হও”

যেরকম ব্রহ্মা বাবাকে দেখেছো যে শিববাবার সাথে নিজেকে সদা কম্বাইন্ড রূপে অনুভব করেছেন আর করিয়েছেন। এই কম্বাইন্ড স্বরূপকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। এইরকম সুপুত্ররা সদা নিজেকে বাবার সাথে কম্বাইন্ড অনুভব করে। এমন কোনও শক্তি নেই, যেটা তাদেরকে আলদা করতে পারে।