08.08.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা, টিচার এবং সদগুরু এই তিনটি শব্দ স্মরণ করো তবে অনেক বিশেষত্ব এসে যাবে"
প্রশ্নঃ -
কোন্
বাচ্চাদের প্রতিটি পদক্ষেপে পদ্ম গুণ আয় জমা হতে থাকে?
উত্তরঃ
যারা নিজেদের
প্রতিটি পদক্ষেপ (কদম) সার্ভিসের পথে নিজেকে এগিয়ে যায়, তারা-ই পদ্ম গুণ আয় জমা করে।
যদি বাবার সার্ভিসে এগিয়ে যাবে না, তাহলে পদ্ম গুণ প্রাপ্তি কিভাবে করবে। একমাত্র
সার্ভিসই প্রতি কদমে পদম (লক্ষ কোটি গুণ) প্রাপ্তি করায়, এর দ্বারা-ই পদ্মাপদমপতি
হয়ে যাও তোমরা।
ওম্ শান্তি ।
আত্মারূপী (রূহানী)
বাবার আত্মারূপী বাচ্চারা এই কথা তো প্রত্যেকে হয়তো জেনে থাকবে যে, বাবা হলেন
আমাদের বাবাও, টিচারও এবং সদ্গুরুও। বাচ্চারা জানে, জেনেও ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যায়।
এখানে যারা বসে আছে, তারা তো জানবে তাইনা ! কিন্তু ভুলে যায়। দুনিয়ার লোকেরা তো
একেবারেই জানে না। বাবা বলেন শুধুমাত্র এই তিনটি শব্দও স্মরণে থাকলে অনেক সার্ভিস
করতে পারবে। প্রদর্শনী বা মিউজিয়ামে তোমাদের কাছে অনেকেই আসে, ঘরেও মিত্র
আত্মীয়স্বজন অনেকে আসে। যেই আসুক তাকেই বোঝানো উচিত যে, যাকে ভগবান বলা হয় তিনি
হলেন বাবা, টিচার এবং সদগুরুও । এই কথাটি স্মরণে থাকলেও ঠিক, অন্য কারো কথা স্মরণে
আসবে না। আর কেউ তো এমন কথা বলতে পারবে না। তোমরা বাচ্চারা জানো আমাদের বাবা হলেন
পিতাও, শিক্ষকও, সদ্গুরুও। কতখানি সহজ। কিন্তু কেউ কেউ এমন পাথরবুদ্ধি যে এই তিনটি
শব্দও বুদ্ধিতে ধারণ করতে পারে না, ভুলে যায়। বাবা আমাদের মানুষ থেকে দেবতা করেন,
কারণ অসীম জগতের বাবা তিনি, তাইনা। অসীম জগতের পিতা অবশ্যই অসীম জাগতিক উত্তরাধিকার
দেবেন। অসীম জাগতিক উত্তরাধিকার থাকে দেবতাদের কাছে। শুধু এইটুকু স্মরণ করলে ঘরেও
অনেক সার্ভিস করতে পারবে। কিন্তু এই কথাও ভুলে যাওয়ার দরুন কাউকে বলতে পারো না।
ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যাও তোমরা। কারণ সম্পূর্ণ কল্পে ভুলে থেকেছো। এখন বাবা বসে
বোঝাচ্ছেন। বাস্তবে এই জ্ঞান হলো খুবই সিম্পল, যদিও স্মরণের যাত্রা দ্বারা সম্পূর্ণ
হওয়া, এতেই পরিশ্রম রয়েছে । বাবা হলেন আমাদের বাবাও, শিক্ষাও প্রদান করেন,
উত্তরাধিকারও দেন, পবিত্রও করেন। কারণ তিনি হলেন পতিত-পাবন বাবা। শুধুমাত্র বলেন যে
সবাইকে এই কথা-ই বলো যে আমাকে স্মরণ করো। বাবার সার্ভিসে একটুও না এগোলে পদ্মগুণ
প্রাপ্তি হবে কিভাবে ! পদ্মপতি তো সার্ভিসের দ্বারা-ই হতে পারবে। প্রতি পদে পদম
একমাত্র সার্ভিস নিয়ে আসে। সার্ভিসের জন্য বাচ্চারা কোথা থেকে কোথা থেকেই না ছুটতে
থাকে। কত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পদম তো তারা-ই পাবে, তাইনা। এই কথাও বুদ্ধি বলে
প্রথমে শূদ্রকে ব্রাহ্মণ করতে হবে। ব্রাহ্মণ না করলে কি পদ প্রাপ্ত করবে! সার্ভিস
তো চাই, তাইনা। বাচ্চাদেরকে সার্ভিসের খবর এইজন্য শোনানো হয় যাতে তাদেরও সেবা করতে
ইচ্ছে হয়। সার্ভিসের দ্বারাই পদম প্রাপ্তি হয় । শুধু একটি কথা শোনাও যা দুনিয়ায়
কেউ জানে না। অসীম জগতের বাবা হলেন প্রকৃত পিতা। কিন্তু তাঁর কথা কারো জানা নেই। গড
ফাদার এমনিই বলে দেয়। তিনি হলেন টিচার - এই কথা তো কারো বুদ্ধিতে থাকবে না।
স্টুডেন্টদের বুদ্ধিতে সর্বদা টিচার স্মরণে থাকে, যারা পূর্ণ রীতি পড়ে না তাদের
অশিক্ষিত বলা হয়। বাবা বলেন কোনো সমস্যা নেই। তোমরা কিছু না পড়লেও এই কথা তো বুঝতে
পারো যে আমরা হলাম ভাই-ভাই। আমাদের পিতা হলেন অসীম জগতের পিতা। বাবা আসেন-ই এক
ধর্মের স্থাপনা করতে, ব্রহ্মা দ্বারা করেন। কিন্তু লোকেরা কিছুই বোঝে না। যদি কখনও
ঈশ্বরের আগমন না হত তো তাঁকে আহ্বান করা হয় কেন যে হে লিবারেটর এসো, হে পতিত-পাবন
এসো। যখন পতিত-পাবনকে স্মরণ করে তাহলে শাস্ত্র পাঠ কেন করা হয় ? তীর্থ যাত্রা কেন
করা হয়? সেখানে কি তিনি বসে আছেন? কেউ জানেই না যখন পতিত-পাবন হলেন ঈশ্বর, তখন গঙ্গা
স্নান ইত্যাদি দ্বারা কেউ কিভাবে পবিত্র হতে পারে। স্বর্গে কেউ কিভাবে যাবে, জন্ম
তো এখানেই হবে। নতুন দুনিয়া ও পুরানো দুনিয়ায় তফাৎ তো আছে, তাইনা। এই যুগকে সত্যযুগ
থোড়াই বলা হবে। এখন তো হল কলিযুগ। মানুষের বুদ্ধি তো একেবারে পাথর বুদ্ধি হয়েছে।
যেখানে একটুও সুখ দেখে স্বর্গ ভেবে নেয়। এই কথা বাবা-ই বোঝান, বাবা কটু কথা বলেন
না। বাবা শিক্ষাও দেন, সবাইকে সদগতিও দেন। ভগবান হলেন পিতা, তাহলে পিতার কাছে
অবশ্যই কিছু প্রাপ্ত হওয়া উচিত। বাবা শব্দটি এমন যে তাঁর থেকে উত্তরাধিকার
প্রাপ্তির সুগন্ধ নিশ্চয়ই পাওয়া যায়। অন্য মামা, কাকা যতই থাক, কিন্তু তাদের থেকে
উত্তরাধিকার প্রাপ্তির সুগন্ধ পাওয়া যায় না। অন্তর্মুখী হয়ে বিচার করা উচিত যে, বাবা
তো কথাটা ঠিকই বলেন। গুরুর কাছে কোনও সম্পত্তি থাকে না। গুরু তো নিজেই ঘর সংসার
ত্যাগ করেন। তোমরা সন্ন্যাস করেছ বিকারের। তারা তো বলে আমরা ঘরসংসার ত্যাগ করি,
তোমরা বল আমরা সম্পূর্ণ দুনিয়ার বিকারের সন্ন্যাস করি। নতুন দুনিয়ায় যাওয়া কত সহজ।
আমরা সন্ন্যাস করি সম্পূর্ণ পুরানো সৃষ্টি, তমোপ্রধান দুনিয়ার। সত্যযুগ হলো নতুন
দুনিয়া। এই কথাও জানো যে নতুন দুনিয়া নিশ্চয়ই ছিল । সবাই গান গায় । স্বর্গ বলা হয়
নতুন দুনিয়াকে। কিন্তু তারা শুধু বলার জন্যে বলে দেয়, কিছু বোঝে না। অতএব বাবা বলেন
শুধু এটাই ভাবো - বাবা, তিনি হলেন আমাদের বাবা, টিচার এবং সদ্গুরুও। তিনি সবাইকে
ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। শব্দ হলো দুটি - মন্মনা ভব, এতেই সব এসে যায়, কিন্তু এই শব্দটাও
ভুলে যায়। না জানি বুদ্ধিতে কত কথা স্মরণ থাকে। নাহলে রোজ লিখে দাও যে, এত সময় আমরা
কোন্ অবস্থায় বসে ছিলাম? তোমরা বসে আছো বাবা, টিচার, সদ্গুরুর সামনে, তাই ওঁনার
কথাই স্মরণে থাকা উচিত, তাইনা। স্টুডেন্টদের টিচারের কথাই মনে থাকবে, তাইনা কিন্তু
এখানে মায়া আছে যে। একদম মাথা হেঁট করে দেয়। সম্পূর্ণ রাজ্য - ভাগ্য নিয়ে নেয়। তোমরা
জানতে পার না। এসেছিলাম উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে, কিন্তু প্রাপ্তি কিছুই হয় না ।
এমনই বলবে, তাইনা। যদিও স্বর্গে তো যাবে, কিন্তু তা বড় কথা নয়। এখানে এসেছ কিন্তু
পড়া করোনি, তবুও স্বর্গে তো যাবেই, তাইনা। এখানে তো বসেই আছে। ভাবে স্বর্গে তো যাব,
সে যেরকম পদ প্রাপ্ত হোক। সেটা তো পড়া হল না। একটু শুনলেও তার ফল তো প্রাপ্ত হবেই।
পড়াশোনা করলে তো বড় স্কলারশিপ প্রাপ্ত হয়। বাবার কাছে সর্বোচ্চ পদ প্রাপ্তির জন্যে
পুরুষার্থ করতে হয়। পড়াশোনা স্মরণে থাকলে তো ৮৪-র চক্রও স্মরণে থাকবে। এখানে বসলে
সবকিছু স্মরণে আসা উচিত। কিন্তু সে কথাও স্মরণে আসে না। যদি স্মরণে থাকে তাহলে তো
কাউকে শোনাবে। চিত্র তো সবার কাছে আছে। শিবের চিত্র দেখিয়ে তোমরা কাউকে শোনালে কেউ
রাগারাগি করবে না। বলো, এসো আমরা তোমাদের বলে দিই যে এই শিব হলেন অসীম জগতের পিতা,
তাইনা। তাঁর সঙ্গে তোমাদের কি সম্পর্ক আছে ? চিত্র তো বেকার নয়। শিবের উদ্দেশ্যে
অবশ্যই বলা হবে ইনি হলেন ভগবান, ভগবান তো হলেন নিরাকার। তাঁকেই পিতা বলা হয়। তিনি
শিক্ষাও দেন। তোমাদের আত্মা শিক্ষা লাভ করে। আত্মা-ই সবকিছু করে। টিচারও আত্মা-ই হয়।
বাবাও এই রথে এসে পড়ান। সত্যযুগের স্থাপনা করেন। সেখানে কলিযুগের নাম গন্ধ নেই।
মানুষ কোথা থেকে আসবে। সার্ভিসেবল বাচ্চাদের সারা দিন এই চিন্তা চলতে থাকে। সার্ভিস
না করলে ধরে নেওয়া হয় বুদ্ধি চলে না। যেন বোকা বুদ্ধি বসে আছে। বাবাকে বুঝতে পারে
না। পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ করলেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। স্মরণ করতে করতে মৃত্যু
হলে বাবার সম্পূর্ণ সম্পত্তি প্রাপ্ত হবে। অসীম জগতের পিতার সম্পত্তি হল স্বর্গ।
বাচ্চাদের কাছে
ব্যাজও আছে, ঘরে আত্মীয় পরিজন ইত্যাদি অনেকে আসে। কারো মৃত্যু হলে অনেকে আসে। তাদের
সেবাও তোমরা ভালো ভাবে করতে পারো। শিববাবার চিত্র তো খুব ভালো। যতই বড় সাইজের চিত্র
রেখে দাও, তাতে কেউ কিছু বলবে না। তারা কেউই বলতে পারবে না যে ইনি হলেন ব্রহ্মা।
তিনি হলেন গুপ্ত। তোমরা গুপ্তও বোঝাতে পারো। শুধু শিবের চিত্র রাখো এবং সব চিত্র
তুলে দাও। শিববাবা হলেন পিতা, শিক্ষক, সদগুরু। তিনি আসেন নতুন দুনিয়ার স্থাপনা করতে
এবং সঙ্গমেই আসেন। এই জ্ঞান তো বুদ্ধিতে আছে, তাইনা। বলো, শিববাবাকে স্মরণ করো এবং
অন্য কাউকে স্মরণ কোরো না। শিববাবা হলেন পতিত-পাবন, তিনি বলেন, আমাকে স্মরণ করো
তাহলে তোমরা এসে আমার সঙ্গে মিলিত হবে। তোমরা গুপ্ত সার্ভিস করতে পারো। এই
লক্ষ্মী-নারায়ণ এই জ্ঞানের দ্বারা শ্রেষ্ঠ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। বলবে শিববাবা হলেন
নিরাকার, তাহলে তিনি কিভাবে আসেন? আরে, তোমাদের আত্মাও তো হল নিরাকার, সে কিভাবে আসে?
সেও তো উপর থেকেই আসে, তাইনা ! পার্ট প্লে করতে। এইসবই বাবা এসে বোঝান। বলদের উপর
বসে তো আসবেন না। তাহলে বলবেন কিভাবে? সাধারণ বৃদ্ধ শরীরে আসেন। বোঝানোর জন্যে
যুক্তি চাই। কেউ বলে তোমরা ভক্তি করো না ? বলো, আমরা তো সবকিছু করি। যুক্তি দিয়ে
চলতে হয়। কাউকে উপরে তোলার জন্যে চিন্তা করা উচিত - কি যুক্তি রচনা করা যায়? কাউকে
অসন্তুষ্ট করবে না। গৃহস্থে থেকে শুধু পবিত্র থাকতে হবে। তোমরা বলো - বাবা, সার্ভিস
পাওয়া যায় না। আরে, সার্ভিস তো অনেক করতে পারো। গঙ্গার ঘাটে গিয়ে বসে যাও। বলো, এই
গঙ্গা জলে স্নান করলে কি হবে? তোমরা কি পবিত্র হয়ে যাবে? তোমরা তো ভগবানকে বলো - হে
পতিত-পাবন এসো, এসে পবিত্র করো। তাহলে তিনি পতিত-পাবন? নাকি এই নদী? এমন নদী তো
অনেক আছে। বাবা পতিত-পাবন তো হলেন একজন-ই। এই নদী তো সর্বদা আছে। বাবাকে তো পবিত্র
করতে আসতে হয়। আসেনও পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে, এসে পবিত্র করেন। সেখানে কেউ পতিত থাকে
না। নাম-ই হল স্বর্গ, নতুন দুনিয়া। এখন তো হল পুরানো দুনিয়া। এই সঙ্গমযুগের কথা
তোমরাই জানো আর কেউ বুঝতে পারে না। বাবা তো অনেক প্রকারের সার্ভিসের যুক্তি বুঝিয়ে
দেন। বোকা হয়ে যেও না। বলা হয় অমরনাথেও পায়রা থাকে। পায়রা সংবাদ পৌঁছে দেয়। এমন নয়,
পরমাত্মার সংবাদ উপর থেকে পায়রা আনবে। এই কথাও শেখানো হয়। পত্র লিখে পাখির পায়ে
বেঁধে দিলে নিয়ে যাবে। তাদের সহজ উপায়ে দানা প্রাপ্ত হলে অন্য দিকে ঘুরে বেড়ানোর
প্রয়োজন হয় না। তোমরাও এখানে দানা প্রাপ্ত কর, তোমাদের বুদ্ধিতে আছে বিশ্বের বাদশাহী,
যা এখানেই প্রাপ্ত হয়। তারা ভাবে দানা এখানে পাওয়া যায় তো সেখানেই ভিড় জমায় । তোমরা
তো হলে চৈতন্য, তোমরা অবিনাশী জ্ঞান রত্ন রূপী দানা প্রাপ্ত কর। শাস্ত্রেও লেখা আছে
পাখিরা সাগর শুকিয়েছে। অনেক কাহিনী লিখে দিয়েছে। মানুষ বলবে সত্য। তারপরে বলে সাগর
থেকে দেবতারা উঠে এসেছেন। রত্নের থালা সাজিয়ে নিয়ে আসেন। বলবে সত্য। এবারে সমুদ্র
থেকে দেবতারা কিভাবে আসবেন? সমুদ্রে মানুষ বা দেবতা বাস করে কি? কিছুই বোঝে না।
জন্ম জন্মান্তর মিথ্যা পড়েছে-শুনেছে তাই বলা হয় মিথ্যা মায়া...। প্রকৃত সত্য ও
মিথ্যা সংসারের মধ্যে রাত-দিনের তফাৎ রয়েছে! মিথ্যা বলতে বলতে ইনসলভেন্ট (অন্তঃসার
শূন্য/কাঙাল) হয়ে গেছে। তোমরা কত যুক্তি দিয়ে বোঝাও, তবুও কোটিতে একজনের বুদ্ধিতেই
বসে। এ হল খুব সহজ জ্ঞান এবং সহজ যোগ। বাবা, টিচার, সদ্গুরুকে স্মরণ করলে অনেক
বিশেষত্ব বুদ্ধিতে এসে যাবে। নিজের চেকিং করা উচিত। আমরা সবাই বাবাকে স্মরণ করি নাকি
অন্য দিকে বুদ্ধি বিচরণ করে? তোমাদের বুদ্ধিতে এই বোধ আছে এখন। কত মিষ্টি কথা বাবা
বোঝান। বাবা যুক্তি বলে দেন। তোমরা বসে কাউকে বোঝালে তখন তোমাদের শত্রু থাকবে না।
শিববাবা হলেন তোমাদের বাবা, টিচার, সদগুরু, তাঁকে স্মরণ করো। বোঝাবার যুক্তি রচনা
করা উচিত। ব্রহ্মার চিত্র নিয়ে অনেকে পিছনে পড়ে যায়। শিবের চিত্র দেখে কখনও উড়িয়ে
দেবে না। আরে, উনি তো হলেন আত্মাদের পিতা, তাইনা। অতএব পিতাকে স্মরণ করো, এর দ্বারা
অনেকের লাভ হতে পারে। তাঁকে স্মরণ করলে তোমরা পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাবে। তিনি হলেন
সকলের পিতা। একমাত্র বাবার স্মরণ ছাড়া অন্য কারো স্মৃতি থাকা উচিত নয়, অন্য সব সঙ্গ
ত্যাগ করে একের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। এই হল কারো কল্যাণ করার যুক্তি। বাবাকে স্মরণ
না করতে পারলে পবিত্র হবে কিভাবে। ঘরে থেকেও তোমরা অনেক সার্ভিস করতে পারো। অনেক
আত্মীয় পরিজন ইত্যাদির সঙ্গে দেখা হবে। বিভিন্ন রকমের যুক্তি রচনা করো। অনেকের
কল্যাণ করতে পারো। গন্তব্য তো একটাই। অন্য দ্বিতীয় কোনো গন্তব্য নেই, তো যাবে কোথায়?
আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
গৃহস্থে থেকে অনেক যুক্তির সাহায্যে চলতে হবে, কাউকে অসন্তুষ্টও করবে না, পবিত্রও
অবশ্যই হতে হবে।
২ ) একমাত্র বাবার
কাছ থেকে অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দানা নিয়ে নিজের বুদ্ধি রূপী ঝুলি ভরপুর রাখতে হবে,
বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করবে না, পয়গম্বর (বার্তাবাহক) হয়ে সবাইকে বাবার পয়গম দিতে হবে।
বরদান:-
অসীম
জগতের বৈরাগ্য বৃত্তি দ্বারা সকল প্রকারের বন্ধন থেকে মুক্ত থাকা সত্যিকারের রাজঋষি
ভব
রাজঋষি অর্থাৎ একদিকে
রাজত্ব অন্যদিকে ঋষি অর্থাৎ অসীম জগতের বৈরাগী। যদি কোথাও বন্ধন থাকে, তা নিজের
সাথেই হোক বা ব্যক্তির সাথে অথবা কোনও বস্তুতে, তাহলে সে রাজঋষি নয়। যার সংকল্পতেও
যদি কিছু মাত্র বন্ধন থাকে তারমানে তার পা দুটি নৌকাতে রয়েছে। না এদিকে আছে আর না
ওইদিকে। সেইজন্য রাজঋষি হও, অসীম জগতের বৈরাগী হও অর্থাৎ এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয় -
এই পাঠ পাক্কা করো।
স্লোগান:-
ক্রোধ
হলো অগ্নির রূপ, যা নিজেকেও দগ্ধ করে আর অন্যকেও দগ্ধ করে।