08-09-2024 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
15-12-2001 মধুবন
"একব্রতা হয়ে পবিত্রতার ধারণার দ্বারা
আধ্যাত্মিকতায় থেকে মন্সা সেবা করো"
আজ আত্মাদের পিতা চতুর্দিকের আত্মা রূপী বাচ্চাদের আধ্যাত্মিকতাকে দেখছেন। প্রত্যেক
বাচ্চার মধ্যে আধ্যাত্মিকতার ঝলকানি কতটা আছে? আধ্যাত্মিকতা নয়নে প্রত্যক্ষ হয়।
আধ্যাত্মিকতার শক্তির আত্মা সদা নয়নের দ্বারা অন্যদেরও অধ্যাত্ম শক্তি দিয়ে থাকে।
অধ্যাত্ম হাসি অন্যদেরও খুশির অনুভূতি করায়। তাদের আচরণ, মুখমন্ডল ফরিস্তাসম ডবল
লাইট প্রতীয়মান হয়। এমন আধ্যাত্মিকতার আধার হলো পবিত্রতা। মন-বাণী- কর্মতে যতটা
পবিত্রতা হবে ততটাই আধ্যাত্মিকতা দেখা যাবে। পবিত্রতা ব্রাহ্মণ জীবনের রূপসজ্জা।
পবিত্রতা ব্রাহ্মণ জীবনের মর্যাদা। তাইতো বাপদাদা পবিত্রতার আধারে প্রত্যেক বাচ্চার
আধ্যাত্মিকতা দেখছেন। আধ্যাত্মিক আত্মা এই লোকে থেকেও অলৌকিক ফরিস্তা প্রতীয়মান হবে।
সুতরাং নিজে নিজেকে দেখো, চেক করো - আমার সংকল্পে, বোলে আধ্যাত্মিকতা রয়েছে?
অধ্যাত্ম সংকল্প নিজের মধ্যেও শক্তি ভরে দেয় আর অন্যদেরও শক্তি দেয়। অন্য কথায়
যাকে তোমরা বলে থাকো অধ্যাত্ম সংকল্প মন্সা সেবার নিমিত্ত হয়। অধ্যাত্ম বোল নিজেকে
এবং অন্যকে সুখের অনুভব করায়। শান্তির অনুভব করায়। একটা অধ্যাত্ম বোল অন্য
আত্মাদের জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আধার হয়ে যায়। যারা অধ্যাত্ম বোল বলে তারা
বরদানী আত্মা হয়ে যায়। অধ্যাত্ম কর্ম সহজভাবে নিজেকেও কর্মযোগী স্থিতির অনুভব
করায় এবং অন্যদেরও কর্মযোগী বানানোর স্যাম্পল হয়ে যায়। যারাই তাদের সম্পর্কে আসে
তারা সহজযোগী, কর্মযোগী জীবনের অনুভাবী হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের বলা হয়েছিল
আধ্যাত্মিকতার বীজ হলো পবিত্রতা। স্বপ্নে পর্যন্ত পবিত্রতা ভঙ্গ হবে না, তবেই
আধ্যাত্মিকতা দেখা যাবে। পবিত্রতা শুধু ব্রহ্মচর্য নয়, বরং প্রতিটা বোল ব্রহ্মাচারী
হবে, প্রতিটা সংকল্প ব্রহ্মাচারী হবে, প্রতিটা কর্ম ব্রহ্মাচারী হবে। যেমন, লৌকিকে
কোনো কোনো বাচ্চার চেহারা তার বাবার মতো হয়, তখন বলা হয় যে এর মধ্যে বাবাকে দেখা
যায়। ঠিক তেমনই ব্রহ্মাচারী ব্রাহ্মণ আত্মার চেহারায় আধ্যাত্মিকতার আধারে ব্রহ্মা
বাবা সমান যেন অনুভূত হয়। সম্পর্কে থাকা আত্মারা যেন অনুভব করে যে - ইনি বাবা সমান।
ঠিক আছে, শতকরা একশ' ভাগ যদি নাও হয়, তবুও সময় অনুসারে কত পার্সেন্ট তোমাদের থাকা
উচিত? কত পর্যন্ত পৌঁছেছো? ৭৫ পার্সেন্ট, ৮০ পার্সেন্ট, ৯০ পার্সেন্ট, কত পর্যন্ত
পৌঁছেছো? এর পরের লাইন বলো, দেখ বসার জন্য তো তোমরা সামনের নম্বর পেয়েছো। সুতরাং
ব্রহ্মাচারী হতেও নম্বর সামনে হওয়া উচিত তো না! আছো তোমরা সামনে নাকি না?
বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চার পবিত্রতার আধারে আধ্যাত্মিকতা দেখতে চান। বাপদাদার কাছে
সবার চার্ট রয়েছে। তিনি বলেন না, কিন্তু চার্ট আছে। পবিত্রতাতেও এখনও কিছু কিছু
বাচ্চার পার্সেন্টেজ অনেক কম। সময় অনুসারে বিশ্বের আত্মারা তোমরা সব আত্মাকে
আধ্যাত্মিকতার স্যাম্পল হিসেবে দেখতে চায়। এর সহজ সাধন হলো - শুধু একটা বাক্য
অ্যাটেনশনে রাখো, বারবার সেই একটা বাক্যকে নিজে থেকে আন্ডারলাইন করো, সেই একটা
বাক্য হলো - একব্রতা ভব। যেখানে এক আছে সেখানে আপনা থেকেই একাগ্রতা বজায় থাকে। আপনা
থেকেই অনড়, অটল হয়ে যায়। একব্রতা হওয়ায় একমতে চলা খুব সহজ হয়ে যায়। যখন
একব্রতা হয়েই আছো তখন একের মতের দ্বারা একমতি সদ্গতি সহজ হয়ে যায়। একরস স্থিতি
আপনা থেকেই হয়ে যায়। সুতরাং চেক করো - একব্রতা হয়েছো কিনা। সারাদিনে মন-বুদ্ধি
একব্রতা থাকে? হিসেবের ক্ষেত্রেও হিসেব শুরু হয়েছিল এক থেকে। এক বিন্দু আর এক শব্দ,
যদি সংখ্যায় যোগ করতে থাকো, তবে এক বিন্দু যোগ করতে থাকলে দেখ কত বাড়তে থাকবে!
তখন যদি কিছুই স্মরণে না আসে, তবে 'এক' শব্দ স্মরণে থাকবে তো না! সময় এবং আত্মারা
তোমরা সব একব্রতা আত্মাদের কাতরভাবে আহ্বান করছে। হে দেব আত্মা সময়ের এই ডাক,
আত্মাদের আহ্বান তোমরা শুনতে পাচ্ছ না? এমনকি প্রকৃতিও তোমরা সব প্রকৃতিপতিকে দেখে
আহ্বান করছে - হে প্রকৃতিপতি! আধ্যাত্মিক সংকল্প নিজের মধ্যে এবং অন্যদের মধ্যে ভরে
দেওয়া হে আত্মারা, এবার পরিবর্তন করো। এটা তো মাঝে মাঝে ছোট ছোট হাল্কা ধাক্কা
লাগছে। অসহায় আত্মাদের বারবার দুঃখের, ভয়ের ধাক্কা খাইও না। তোমরা মুক্তি
দেওয়ানোর আত্মা মাস্টার মুক্তিদাতা, কবে এই আত্মাদের মুক্তি দেওয়াবে? মনে কি
তোমাদের করুণার উদ্রেক হয় না? নাকি সমাচার শুনে তোমরা চুপ হয়ে যাও, ব্যস্, হয়ে
গেছে, শুনে নিয়েছ। সেইজন্য বাপদাদা এখন প্রত্যেক বাচ্চার মার্সিফুল স্বরূপ দেখতে
চান। নিজের সীমিত বিষয়গুলো ছেড়ে দাও, মার্সিফুল হও। মন্সা সেবায় নিয়োজিত হও।
সকাশ দাও, শান্তি দাও, সহায়তা দাও। যদি মার্সিফুল হয়ে অন্যদের সহায়তা দিতে বিজি
থাকবে তবে সীমিত আকর্ষণ থেকে, সীমিত পরিসরের বিষয় থেকে আপনা থেকেই দূরে সরে যাবে।
পরিশ্রম থেকে বেঁচে যাবে। বাণী- সেবায় অনেক সময় দিয়েছ, সময়কে উপযোগী বানিয়েছ,
বার্তা দিয়েছ। আত্মাদের সম্বন্ধ- সম্পর্কে নিয়ে এসেছো, ড্রামানুসারে এখনো পর্যন্ত
যা করেছ তা' খুব ভালো করেছ। কিন্তু এখন বানীর সাথে মন্সা সেবার আবশ্যকতা অধিক। আর
এই মন্সা সেবা প্রত্যেক নতুন, পুরানো, মহারথী, ঘোড়সওয়ার, পেয়াদা সবাই করতে পারে।
এতে বড়রা করবে, আমি তো ছোট, আমি তো অসুস্থ, আমার কাছে তো কোনো সাধন নেই... কোনও
আধারের প্রয়োজন নেই। এমনকি এটা ছোট ছোট বাচ্চারাও করতে পারে। বাচ্চারা, মন্সা সেবা
করতে পারো তো না? (হাঁ জী) সেইজন্য এখন বাচা আর মন্সা সেবার ব্যালেন্স বজায় রাখো।
তোমরা যারা মন্সা সেবা করো তাদের এই সেবার মাধ্যমে অনেক লাভ আছে। কেন? যে আত্মাকে
মন্সা সেবা অর্থাৎ সংকল্প দ্বারা শক্তি দেবে, সকাশ দেবে সেই আত্মা তোমাকে আশীর্বাদ
দেবে। তাছাড়া, তোমাদের খাতায় স্ব- পুরুষার্থ তো আছেই, কিন্তু আশীর্বাদের খাতাও জমা
হয়ে যাবে। সুতরাং তোমাদের জমা খাতা ডবল রীতিতে বাড়তে থাকবে, তা' তোমরা নতুন হও বা
পুরানো। এই বার অনেক নতুন এসেছে, তাই না! নতুন যারা প্রথমবার এসেছ তারা হাত তোলো।
প্রথমবার আসা বাচ্চাদের বাপদাদা জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা আত্মারা মন্সা সেবা করতে পারো?
(বাপদাদা পান্ডবদের, মাতাদের সবাইকে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসা করেছেন) তোমরা মন্সা সেবা
করতে পারো? এরা তো খুব ভালোই হাত তুলেছে, হতে পারে কেউ টি. ভি.তে দেখছে শুনছে, কেউ
সমুখে বসে শুনছে, এখন বাপদাদা সব বাচ্চাকে দায়িত্ব দিচ্ছেন যে সারাদিনে কত ঘণ্টা
মন্সা সেবা যথার্থ রীতিতে করেছ, তার প্রত্যেকটা চার্ট নিজের কাছে রাখো। তারপরে
বাপদাদা হঠাৎ করে চার্ট চাইবেন, ডেট বলবেন না। হঠাৎই চাইবেন, দেখবেন যে, দায়িত্ব
পালনের মুকুট পরেছ নাকি নড়ছে! দায়িত্বের মুকুট পরতে হবে তো না! টিচাররা তো
দায়িত্বের মুকুট পরে আছ, তাই না! এখন তা'তে এটা অ্যাড করো। ঠিক আছে না! ডবল
ফরেনার্স হাত উঠাও। দায়িত্বের এই মুকুট যদি ভালো লাগে তো এইভাবে হাত তোলো।
টিচাররাও হাত তোলো, তোমাদের দেখে সকলে প্রেরণা পাবে। তাহলে, চার্ট রাখবে? আচ্ছা,
বাপদাদা একদিন হঠাৎ জিজ্ঞাসা করবেন, নিজের নিজের চার্ট লিখে পাঠাও, তার পরে দেখবো
কেননা, বর্তমান সময়ে এর আবশ্যকতা রয়েছে। নিজের পরিবারের দুঃখ, পীড়া, সংকট তোমরা
দেখতে পারবে! দেখতে পারবে? অন্তত:, দুঃখী আত্মাদের এক আঁজলা তো দাও। তোমাদের যে গীত
রয়েছে - এক ফোঁটার পিপাসার্ত আমরা … আজকের সময়তে এক ফোঁটা সুখ শান্তির জন্য
আত্মারা পিপাসার্ত। সুখ-শান্তির অমৃতের এক ফোঁটা পেলেও তারা খুশি হয়ে যাবে। বাপদাদা
বারবার বলতে থাকেন - সময় তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ব্রহ্মা বাবা নিজের ঘরের গেট
খোলার জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রকৃতি তীব্রগতিতে পরিস্কার করার জন্য অপেক্ষা করছে।
সুতরাং হে ফরিস্তা, এখন নিজের ডবল লাইট দ্বারা অপেক্ষার অবসান ঘটাও। এভাররেডি শব্দ
তো সবাই বলে থাকো, কিন্তু সম্পন্ন আর সম্পূর্ণ হওয়ায় এভাররেডি হয়েছো? কেবল শরীর
ছাড়ার জন্য এভাররেডি হওয়া নয়, বরং বাবার সমান হয়ে যাওয়ায় এভাররেডি হতে হবে।
এরা মধুবনের সবাই সামনে সামনে বসে, এটা ভালো। সেবাও করে। যারা মধুবনের তারা এভাররেডি
হয়েছো? হাসছে, আচ্ছা প্রথম লাইনের মহারথী এভাররেডি হয়েছো? বাবা সমান হওয়ায়
এভাররেডি? যদি এভাবে যাও তো অ্যাডভান্স পার্টিতে যাবে। অ্যাডভান্স পার্টি তো না
চাইতেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন বাণী আর মন্সা সেবার ব্যালেন্স বজায় রাখতে তোমরা বিজি
হয়ে যাবে, যেখানে এক সেখানে একাগ্রতা আপনা থেকেই এসে যায় তো অনেক ব্লেসিং প্রাপ্ত
হয়। ডবল খাতা জমা হয়ে যাবে - পুরুষার্থেরও এবং আশীর্বাদেরও। সুতরাং সংকল্পের
দ্বারা, শব্দের দ্বারা, বাণীর দ্বারা, কর্মের দ্বারা, সম্বন্ধ-সম্পর্কের দ্বারা শুভ
আশিস দাও আর শুভ আশিস নাও। একটাই বিষয়, ব্যস্ আশীর্বাদ দিতে হবে। হতে পারে কেউ
অভিশাপ দিলো, তবুও তোমরা তাকে শুভ আশিস দাও কেননা, আশীর্বাদের সাগরের বাচ্চা তোমরা।
এমনকি যদি কেউ অসন্তুষ্ট হয়, তোমরা অসন্তুষ্ট হয়ো না। তোমরা সন্তুষ্ট থাকো। এটা
হতে পারে? ১০০ জন তোমাকে অসন্তুষ্ট করবে আর তুমি সন্তুষ্টতা বজায় রাখবে, এটা হতে
পারে? হতে পারে? দ্বিতীয় লাইনের যারা আছ তারা বলো হতে পারে? এখন তারা তোমাদেরকে
আরও অসন্তুষ্ট করবে, দেখো! পেপার তো আসবে, তাই না! মায়াও শুনছে তো না! শুধু এই
ব্রত নাও, দৃঢ় সংকল্প করো - "আমাকে আশীর্বাদ দিতে হবে আর নিতে হবে, ব্যস্!" এটা হতে
পারে? মায়া অসন্তুষ্ট করলেই বা কি! তোমরা তো সন্তুষ্ট করবে, তাই না! তবে শুধু
একটাএ কাজ করো, ব্যস্! না অসন্তুষ্ট হওয়ার আছে, না করার আছে। যদি কেউ করে তো করবে,
আমি অসন্তুষ্ট হবো না। আমি না করবো, না হবো। প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব নাও। অন্যকে
দেখো না, এ' করে, এ' করে, আমি সাক্ষী হয়ে খেলা দেখব, শুধু সন্তুষ্টির খেলা দেখবে
কি! অসন্তুষ্টিরও তো মাঝে মাঝে দেখা দরকার তো না! যতই হোক, প্রত্যেকে নিজেকে নিজে
সন্তুষ্ট রাখো।
মাতারা, পান্ডবরা হতে পারে এটা? বাপদাদা নকশা দেখে নেবেন। বাপদাদার কাছে অনেক বড়
টি. ভি. আছে, অনেক বড়। একেকজনেরটা দেখতে পারেন, কোন সময় কে কী করছে, বাপদাদা
দেখেন কিন্তু বলেন না, তোমাদের শোনান না। এছাড়া, অনেক রঙ (আচরণ) দেখেন। লুকিয়ে
লুকিয়ে তোমরা কী করো সেটাও দেখেন। বাচ্চাদের মধ্যে খুব চালাকিও আছে তো না! তারা
খুব চালাক। যদি বাপদাদা বাচ্চাদের সমস্ত চালাকির সম্বন্ধে শোনাতে যান না তখন শুনেই
তোমরা একটু ভাবতে শুরু করে দেবে, সেইজন্য তিনি তোমাদের বলেন না। তিনি কেনই বা
তোমাদের চিন্তায় ফেলবেন? যতই হোক, সবকিছু করা হয় খুব দক্ষতার সঙ্গে। সবচাইতে বেশি
চতুর যদি দেখতে চাও সেটাও ব্রাহ্মণের মধ্যে দেখ। কিন্তু এখন কিসে দক্ষ হবে? মন্সা
সেবাতে। সামনের নম্বর নিয়ে নাও। পিছনে থেকো না। এর জন্য কোনো অজুহাত নয় - আমার
সময় নেই, আমাকে চান্স দেওয়া হয়নি, শরীর চলছে না, আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি এসব
কিছু নয়। সব করতে পারো। বাচ্চারা দৌড় লাগানোর খেলা খেলছিল তো না, এবারে এতে দৌড়
লাগাও। মন্সা সেবায় দৌড় লাগাও। আচ্ছা।
কর্নাটকের টার্ন - কর্নাটকের যারা সেবাতে এসেছো, তারা ওঠো। এত সবাই সেবার জন্য এসেছ!
ভালো, এটাও সহজ শ্রেষ্ঠ পুণ্য জমা করার গোল্ডেন চান্স পাওয়া যায়। ভক্তিতে বলা হয়ে
থাকে - একজন ব্রাহ্মণেরও যদি সেবা করো তো বড় পুণ্য অর্জন হয় আর এখানে কত প্রকৃত
ব্রাহ্মণের সেবা করো! তো এটা ভালো চান্সের প্রাপ্তি তো না! ভালো লেগেছে নাকি
পরিশ্রম হয়েছে? ক্লান্ত হওনি তো! আনন্দ হয়েছে তো না! যদি প্রকৃত হৃদয় থেকে পুণ্য
মনে করে সেবা করো তবে তার প্রত্যক্ষ ফল হলো - তার ক্লান্তি বোধ হবে না, খুশি থাকবে।
এই প্রত্যক্ষ ফল পুণ্য জমার অনুভব হয়। যদি সামান্য কোনও কারণে ক্লান্ত বোধ হয়
কিংবা সামান্য একটুও অনুভব হয় তবে বুঝবে প্রকৃত হৃদয় থেকে সেবা হয়নি। সেবা অর্থাৎ
প্রত্যক্ষফল, মেওয়া। তোমরা শুধু সেবাই করো না, মেওয়া খাও। তো কর্নাটকের সব
সেবাধারী নিজের ভালো সেবার পার্ট প্লে করেছে আর সেবার ফল খেয়েছে।
আচ্ছা টিচাররা সবাই ভালো আছে? টিচারদের তো সিজনে কতবার টার্ন প্রাপ্ত হয়। এই টার্ন
প্রাপ্ত হওয়াও ভাগ্যের লক্ষণ। এখন টিচারদের মন্সা সেবাতে রেস করতে হবে। কিন্তু
এরকম ক'রো না যে সারাদিন বসে থাকবে, আমি মন্সা সেবা করছি। কেউ কোর্স করতে আসবে তো
তুমি বলবে, না, না আমি তো মন্সা সেবা করছি। কোনো কর্মযোগের টাইম আসবে তো বলবে, মন্সা
সেবা করছি, না। ব্যালেন্স প্রয়োজন। কারও কারও তো অনেক নেশা চড়ে যায়, তাই না!
সুতরাং এমন নেশা যেন না চড়ে। ব্যালেন্সে ব্লেসিং আছে। ব্যালেন্স নেই তো ব্লেসিং
নেই। আচ্ছা।
এখন সবাই এক সেকেন্ডে মন্সা সেবার অনুভব করো। আত্মাদের আঁজলাভর শান্তি আর শক্তি দাও।
আচ্ছা। চতুর্দিকের সর্ব শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিকতার যারা অনুভব করায় সেই আধ্যাত্মিক
আত্মাদের, সর্ব সংকল্প এবং স্বপ্নেও পবিত্রতার পাঠ পড়া ব্রহ্মাচারী বাচ্চাদের,
সর্ব দৃঢ় সংকল্পধারী, মন্সা সেবাধারী তীব্র পুরুষার্থী আত্মাদের, সদা শুভ আশিস
দেওয়া এবং নেওয়া পুণ্য আত্মাদেরকে পূর্ণরূপে বাপদাদার, দিলারাম বাবার হৃদয়ের
গভীর এবং আন্তরিক প্রেম সহ স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।
দাদি জী, দাদি জানকিজীর সাথে পার্সোনাল সাক্ষাৎকার :
বাপদাদা ত্রিমূর্তি ব্রহ্মার দৃশ্য দেখিয়েছেন। সবাই তোমরা
দেখেছো? কেননা, বাবা সমান, বাবার সব কার্যের সাথী তোমরা, তাই তো না! সেইজন্য এই
দৃশ্য দেখিয়েছেন। বাপদাদা তোমাদের দুজনকে বিশেষ পাওয়ার্স-এর উইল করেছেন। উইল
পাওয়ারও দিয়েছেন আর সর্ব পাওয়ার্সের উইলও করেছেন। সেইজন্য সেই পাওয়ার্স নিজের
কাজ করছে। করাবনহার করাচ্ছেন, আর তোমরা নিমিত্ত হয়ে করছ। আনন্দানুভব হয় তো না!
করণ-করাবনহার বাবা করাচ্ছেন। করানোর মালিক করাচ্ছেন, সেইজন্য তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে
করছ, তোমাদের চিন্তা থাকে না। নিশ্চিন্ত বাদশাহ। আচ্ছা। স্বাস্থ্যের বিষয়েও
নলেজফুল হও। অল্পস্বল্প হানিকারক হয়ে থাকে। এতেও নলেজফুল হতেই হবে, কেননা অনেক সেবা
করতে তো হবে, তাই না! অতএব, ডবল নলেজফুল হও। আচ্ছা, ওম্ শান্তি।
বরদান:-
ঈশ্বরীয় সঙ্গে থেকে ভুল সঙ্গের আঘাত থেকে রক্ষা পেয়ে
সদাসর্বদার সৎসঙ্গী ভব
যত খারাপ সঙ্গই হোক না কেন, তোমাদের শ্রেষ্ঠ সঙ্গ
তার সামনে অনেক শক্তিশালী। ঈশ্বরীয় সঙ্গের সামনে সেই সঙ্গ কিছুই না। সব হীনবল। যখন
তোমরা বলহীন হয়ে যাও তখনই ভুল সঙ্গের চোট লাগে। যে সদা এক বাবার সঙ্গে থাকে অর্থাৎ
সদাসর্বদার সৎসঙ্গী হয়, সে অন্য কোনও সঙ্গের রঙে প্রভাবিত হতে পারে না। ব্যর্থ
বিষয়, ব্যর্থ সঙ্গ অর্থাৎ কুসঙ্গ তাকে আকর্ষণ করতে পারে না।
স্লোগান:-
যে মন্দকে ভালোতে পরিবর্তন করতে পারে সে-ই
প্রসন্নচিত্ত থাকতে পারে।