08.09.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
পুণ্য আত্মা হওয়ার জন্য যতখানি সম্ভব সু-কর্ম করো, অলরাউন্ডার হও, দিব্য গুণ ধারণ
করো"
প্রশ্নঃ -
কোন্ পরিশ্রমটি
করলে বাচ্চারা তোমরা পদমপতি হয়ে যাও?
উত্তরঃ
সবচেয়ে বড়
পরিশ্রম হলো ক্রিমিনাল আই-কে সিভিল আই-তে পরিণত করা। চোখ ধোঁকা দেয়। চোখকে সিভিল
বানানোর জন্য বাবা যুক্তি বলে দিয়েছেন যে, বাচ্চারা, আত্মিক দৃষ্টি দিয়ে দেখো। দেহকে
দেখো না। আমি আত্মা, এই অভ্যাস পাকা করো, এই পরিশ্রমের দ্বারা তোমরা
জন্ম-জন্মান্তরের জন্য পদমপতি হয়ে যাবে ।
গীতঃ-
ধৈর্য ধর্ রে
মন, তোর সুখের দিন এলো বলে...
ওম্ শান্তি ।
এই কথাটি কে
বললেন? শিববাবা, শরীরের দ্বারা বললেন। কোনও আত্মাই শরীর ব্যতীত কথা বলতে পারেনা।
বাবাও শরীরে প্রবেশ করে আত্মাদেরকে বোঝান - বাচ্চারা এখন তোমাদের দৈহিক কানেকশন নেই।
এ হলো আত্মিক (রূহানী) কানেকশন। আত্মা জ্ঞান প্রাপ্ত করে - পরমপিতা পরমাত্মার কাছ
থেকে । তোমরা শরীরধারী যারা রয়েছো, তোমরা সবাই পড়ছো। বাবার নিজের শরীর তো নেই। তাই
কিছু সময়ের জন্য এই দেহের আধার নিয়েছেন। এখন বাবা বলেন, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বসো।
অসীম জগতের বাবা আত্মাদের অর্থাৎ আমাদের বোঝাচ্ছেন। উনি ছাড়া এমন করে কেউ বোঝাতে
পারে না। আত্মা, আত্মাকে কীভাবে বোঝাবে। আত্মাদের বোঝানোর জন্য পরমাত্মা চাই। তাঁকে
কেউ জানে না। ত্রিমুর্তির চিত্র থেকে শিবকে লুপ্ত করে দিয়েছে। ব্রহ্মা দ্বারা
স্থাপনা কে করাবেন। ব্রহ্মা তো নতুন দুনিয়ার রচয়িতা নন। অসীম জগতের বাবা হলেন রচয়িতা
তিনি হলেন সকলের একমাত্র শিববাবা। ব্রহ্মা তো কেবলমাত্র বর্তমানে তোমাদের পিতা পরে
থাকবেন না। সেখানে তো লৌকিক পিতা থাকে। কলিযুগে থাকে লৌকিক পিতা ও পারলৌকিক পিতা।
এখন সঙ্গমে হয় লৌকিক, অলৌকিক এবং পারলৌকিক তিনজন পিতা। বাবা বলেন, সুখধামে কেউ আমাকে
স্মরণ করে না। বিশ্বের মালিক বাবা করেছেন তাহলে তারা (আমাকে সেখানে) ডাকবে কেন ।
সেখানে তো অন্য খন্ড থাকে না। শুধু সূর্যবংশীরা-ই থাকে। চন্দ্রবংশীরাও পরে আসে। এখন
বাবা বলেন ধৈর্য ধরো, খুব কম সময় বাকি আছে। ভালো ভাবে পুরুষার্থ করো। দিব্য গুণ
ধারণ না করলে পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। এই হলো বিশাল লটারী। ব্যারিস্টার, সার্জেন
ইত্যাদি হওয়াও তো একপ্রকার লটারী, তাইনা। তারা অনেক অর্থ উপার্জন করে। অনেকের উপরে
হুকুম চালায়। যারা ভালো ভাবে পড়ে ও পড়ায়, তারা উঁচু পদমর্যাদা পাবে। বাবাকে স্মরণ
করলে বিকর্ম বিনাশ হবে। বাবাকেও ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যায়। মায়া ভুলিয়ে দেয় । জ্ঞান
ভুলিয়ে দেয় না। বাবা বলেও থাকেন, নিজের উন্নতি চাই তো চার্ট রাখো - সারা দিন কোনও
পাপ কর্ম হয় নি তো ? তা নাহলে শত গুণ পাপ জমা হয়ে যাবে। যজ্ঞের রক্ষণাবেক্ষণ করার
জন্য যারা রয়েছেন, তাদের পরামর্শ নিয়ে কর্ম করো। বলাও হয় যা খাওয়াবে, যেখানে বসাবে....।
অতএব বাকি সব আশা ত্যাগ করতে হবে। তা নাহলে পাপ বৃদ্ধি হতে থাকবে। আত্মা পবিত্র হবে
কীভাবে। যজ্ঞে কোনও পাপ কর্ম করবে না। এখানে তোমরা পুণ্য আত্মায় পরিণত হচ্ছো। চুরি
ইত্যাদি করা পাপ। মায়ার প্রবেশ রয়েছে। না যোগ করতে পারবে, না জ্ঞানের ধারণা হবে।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত - আমরা যদি অন্ধের লাঠি না হই তাহলে আমরা কি ! অন্ধই বলা
হবে তাইনা। এই সময়েরই গায়ন রয়েছে - ধৃতরাষ্ট্রের সন্তান (দ্রৌপদী বলেছিল, অন্ধের
সন্তান অন্ধ)। তারা হলো রাবণের রাজ্যে। তোমরা হলে সঙ্গমে। রামরাজ্যে গিয়ে আবার সুখ
প্রাপ্ত করবে। পরমপিতা পরমাত্মা কীভাবে সুখ দেন, কারো বুদ্ধিতে আসবে না। যতই ভালো
করে বোঝাও তবুও বুদ্ধিতে বসে না। নিজেকে যখন আত্মা নিশ্চয় করবে তখন পরমাত্মার
জ্ঞানও বুঝতে পারবে। আত্মা যেমন পুরুষার্থ করে, তেমন স্বরূপ প্রাপ্ত করে। গায়ন আছে
অন্তিম কালে যে স্ত্রীকে স্মরণ করে... বাবা বলেন, যে আমাকে স্মরণ করবে সে আমাকেই
প্রাপ্ত করবে। নয়তো অনেক অনেক দন্ড ভোগ করে আসবে। সত্যযুগে নয়, ত্রেতা যুগের শেষের
দিকে আসবে । সত্যযুগ-ত্রেতাকে বলা হয় ব্রহ্মার দিন। একজন ব্রহ্মা তো নয়, ব্রহ্মার
তো অনেক সন্তান, তাইনা। ব্রাহ্মণদের দিন পরে ব্রাহ্মণদের রাত হবে। এখন বাবা এসেছেন
রাতকে দিন করতে। ব্রাহ্মণরাই দিনে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। বাবা অনেক বোঝান, দিব্য
ধর্মের স্থাপনা তো অবশ্যই হবে। কলিযুগের বিনাশও নিশ্চয়ই হবে। যাদের মনে একটুও সংশয়
থাকবে তারা পালিয়ে যাবে। প্রথমে নিশ্চয় তারপরে সংশয় হয়ে যায়। এখানে মরে আবার পুরানো
দুনিয়ায় গিয়ে জন্ম নেয়। বিনাশ হয়ে যায়। বাবার শ্রীমৎ অনুসারে তো চলতে হয়, তাইনা।
বাচ্চাদেরকে পয়েন্ট তো খুব ভালো ভালো দেন ।
সবচেয়ে প্রথমে বোঝাও
- তুমি আত্মা, শরীর নও। তা নাহলে লটারী গায়েব হয়ে যাবে। যদিও স্বর্গে রাজা ও প্রজা
সবাই সুখী থাকে তবুও পুরুষার্থ তো উচ্চ পদমর্যাদা প্রাপ্তির জন্য করতে হবে, তাইনা।
এমন তো নয়, সুখধামে তো যাবোই । না, উচ্চ পদের অধিকারীও হতে হবে, রাজা হওয়ার জন্য
এসেছো। এমন বুদ্ধিমানও চাই। বাবার সার্ভিস করা উচিত। রূহানী সার্ভিস না হলে স্থূল
সার্ভিস তো আছেই। কোথাও ভাইরা নিজেদের মধ্যে ক্লাস করায়। একজন বোন মাঝে মধ্যে গিয়ে
ক্লাস করায়। ধীরে ধীরে বৃক্ষের বৃদ্ধি হয়। সেন্টারে অনেকে আসে তারপরে চলতে চলতে
হারিয়ে যায়। বিকার গ্রস্ত হয়ে সেন্টারে আসতেও তাদের লজ্জা বোধ হয়। পুরুষার্থে ঢিলে
হয়ে যায়। বলবে অসুখ করেছে। বাবা সব কথা বোঝাতে থাকেন। নিজের কর্মের চার্ট রোজ রাখো।
জমা হয় আবার জমা হয় না। ক্ষতি ও লাভ। আত্মা পবিত্র হলো অর্থাৎ ২১ জন্মের জন্য জমা
হলো। বাবার স্মরণেই জমা হবে। পাপ বিনষ্ট হবে। বলাও হয় - হে পতিত-পাবন বাবা এসে
আমাদের পবিত্র করো। এমন বলা হয় না যে এসে বিশ্বের মালিক বানাও। না, এই কথা তো তোমরা
বাচ্চারাই জানো - মুক্তি ও জীবনমুক্তি দুইই হলো পবিত্রধাম। তোমরা জানো আমরা
মুক্তি-জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। যারা ভালো ভাবে পড়াশোনা করবে না তারা
শেষে আসবে। স্বর্গে তো আসবেই, সবাই নিজের নিজের নির্দিষ্ট সময়ে আসবে। সব কথা বোঝানো
হয়। কেউ চট্ করে তো বুঝতে পারবে না। এখানে বাবাকে স্মরণ করার জন্য তোমরা অনেক সময়
পাও। যে আসবে তাকেই বলো প্রথমে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এই নলেজ একমাত্র বাবা দেন।
তিনি হলেন সকল আত্মাদের পিতা। আত্ম-অভিমানী হতে হবে। আত্মা জ্ঞান ধারণ করে, পরমাত্মা
বাবাকে স্মরণ করলেই বিকর্ম বিনাশ হবে তারপরে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান প্রদান
করেন। রচয়িতাকে স্মরণ করলে পাপ ভস্ম হবে। তারপরে রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান বুঝে
নিলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাবে। ব্যস্, এই জ্ঞান এবারে অন্যদেরও বোঝাতে হবে।
তোমাদের কাছে চিত্রও আছে। এই জ্ঞান তো সারা দিন বুদ্ধিতে থাকা উচিত। তোমরা তো
স্টুডেন্ট, তাইনা। অনেক গৃহস্থরাও স্টুডেন্ট হয়। তোমাদেরও গৃহস্থে থেকে পদ্ম ফুলের
মতন হতে হবে। বোন-ভাইয়ের কখনও ক্রিমিনাল আই হতে পারে না। এ হলো ব্রহ্মা মুখবংশী,
তাইনা। ক্রিমিনালকে সিভিল বানাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অর্ধকল্পের অভ্যাস মেটানো
খুব পরিশ্রমের বিষয়। সবাই এই কথাই লেখে বাবা যে পয়েন্ট বুঝিয়েছেন, ক্রিমিনাল আই-কে
দূর করার, এই পয়েন্টটি খুবই কঠিন। ক্ষণে ক্ষণে বুদ্ধি সেদিকেই যায়। অনেক সঙ্কল্প বা
বিচার আসে মনে। এই দৃষ্টির কি করা যায়? সুরদাসের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। তারা তো একটি
কাহিনী বানিয়ে দিয়েছে। যখন দেখলো চোখ দুটি খুব ধোকা দেয় তো চোখ নষ্ট করে দিলো। এখন
তো সেই কথা নেই। এই দুটি চোখ তো সবারই আছে, কিন্তু ক্রিমিনাল আই, যাকে সিভিল করতে
হবে। মানুষ ভাবে গৃহস্থে থেকে করা সম্ভব নয়। বাবা বলেন সম্ভব, কারণ আমদানি যে অনেক
। তোমরা জন্ম-জন্মান্তরের জন্য পদ্মপতি হও। সেখানে গণনা হয় না। আজকাল বাবা নামই দিয়ে
দেন পদমপতি, পদ্মাবতী (স্বামী পদমপতি, স্ত্রী পদ্মাবতী) । তোমরা গণনাহীন পদমপতি হও।
সেখানে গোনা হয় না। যখন টাকা পয়সা বের হয় তখন গণনা আরম্ভ হয়। সেখানে তো সোনার মোহর,
রূপোর মোহর ব্যবহার করা হয়। আগে রাম সীতার রাজ্যে মোহর ইত্যাদির ব্যবহার ছিল । যদিও
সূর্যবংশী রাজাদের মোহর কখনও দেখতে পাওয়া যায়নি। চন্দ্রবংশীদেরই দেখা গেছে। প্রথমে
তো সব স্বর্ণ মুদ্রাই ছিল, তারপরে হলো রৌপ্য মুদ্রা। এই তামা ইত্যাদি তো পরে এসেছে।
এখন তোমরা বাচ্চারা পুনরায় বাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিচ্ছ। সত্যযুগে যা নিয়ম
কায়দা চলার তা তো চলবেই। তোমরা নিজেদের পুরুষার্থ করো। স্বর্গে সংখ্যা খুব কম থাকে,
আয়ুও অনেক থাকে। অকালে মৃত্যু থাকে না। তোমরা বুঝেছো আমরা কাল জয়ী হতে পারি। মরণের
নাম নেই। তারই নাম অমরলোক, এটা হল মৃত্যুলোক। অমরলোকে হাহাকার হয় না। কোনো বৃদ্ধ
দেহ ত্যাগ করলে বরং খুশী হবে, আবার জন্ম হবে শিশু রূপে। এখানে তো মৃত্যু হলেই
কান্নাকাটি আরম্ভ হয়ে যায়। তোমরা প্রকৃত জ্ঞান প্রাপ্ত কর, তাই অনেক ধারণ হওয়া উচিত।
অন্যদেরও বোঝানো উচিত। বাবাকে কেউ যদি বলে আমি আধ্যাত্মিক (রূহানী) সার্ভিস করতে
চাই তো বাবা বলবেন করো। বাবা কাউকে নিষেধ করেন না। জ্ঞান নেই অর্থাৎ অজ্ঞানী।
অজ্ঞানের জন্য অনেক ডিসসার্ভিস করে দেয়। সার্ভিস তো ভালো রীতি করা উচিত তাইনা তবেই
লটারী প্রাপ্ত হবে। খুব দামি লটারী। এ হলো ঈশ্বরীয় লটারী। তোমরা রাজা-রানী হলে
তোমাদের নাতি-নাতনিরা সব ভোগ করতে আসবে। এখানে তো প্রত্যেকে নিজ কর্মের ফল প্রাপ্ত
করে। কেউ অতিরিক্ত দান করলে রাজা হয়, সুতরাং বাবা বাচ্চাদেরকে সব বুঝিয়ে দেন। ভালো
ভাবে বুঝে ধারণ করতে হবে। সার্ভিসও করতে হবে। অনেকের সার্ভিস করতে হয়। কোথাও
ভক্তিপূর্ণ মানুষও অনেক ভালো থাকে। অনেক ভক্তি করে থাকলে তবে জ্ঞানও ভালো লাগবে।
চেহারা দেখেই বুঝতে পারবে। তারা জ্ঞান শুনেই খুশী অনুভব করবে। যারা বুঝবেনা তারা
চারিদিকে তাকাবে বা চোখ বন্ধ করে বসে থাকবে। বাবা সবই দেখেন। কাউকে শেখাতে পারে না
অর্থাৎ কিছুই বোঝেনি। এক কান দিয়ে শুনে অন্যটি দিয়ে বের করে দেয়। এখন এই সময় হলো
অসীম জগতের পিতার কাছে অসীমের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা। যতখানি নেবে
জন্ম-জন্মান্তর কল্প-কল্পান্তর প্রাপ্ত করবে। তা নাহলে পরে অনুতাপ অনুভব করবে, যখন
সবার সাক্ষাৎকার হবে। আমরা পুরো মনোযোগ সহকারে পড়া করিনি, তাই উচ্চ পদ মর্যাদাও
প্রাপ্ত হবে না। যদিও সেখানে গিয়ে কি পদ পাবো? চাকর বাকর, সাধারণ প্রজা। এইরূপ
রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । যেমন কর্ম করে তেমন ফল প্রাপ্ত হয়। নতুন দুনিয়ার জন্য
শুধুমাত্র তোমরাই পুরুষার্থ করো। মানুষ দান-পুণ্য করে, তাও এই দুনিয়ার জন্য, এই
কথাটি খুবই সাধারণ। যদি আমরা ভালো কর্ম করি তার ফল পর জন্মে প্রাপ্ত হবে। তোমাদের
হল ২১ জন্মের কথা। যতখানি সম্ভব ভালো কাজ করো, অলরাউন্ডার হও। এক নম্বরে সর্ব প্রথম
জ্ঞানী আত্মা যোগী আত্মা চাই। জ্ঞানীও চাই, ভাষণ করার জন্য মহারথীদের নিমন্ত্রণ
দেওয়া হয় তাইনা যে সব রকমের সার্ভিস করে নিশ্চিতরূপে পুণ্য হয়। সাবজেক্ট আছে না।
যোগ যুক্ত হয়ে যা কর্ম করবে ভালো মার্ক্স প্রাপ্ত করবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে
আমরা কি সার্ভিস করি? নাকি শুধু খাই আর ঘুমাই? এইখানে তো এই একটি মাত্র পড়াশোনা আছে
আর কিছুই নেই। তোমরা মানুষ থেকে দেবতা, নর থেকে নারায়ণ হও। অমরকথা, তিজরির (ত্রিনয়
পাওয়ার কথা) ব্রতকথা হলো রয়েছে । মানুষ তো গিয়ে এই সব মিথ্যা কাহিনী শোনে। তৃতীয়
নেত্র বাবা ব্যতীত অন্য কেউ প্রদান করতে পারে না। এখন তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র
পেয়েছো যার দ্বারা তোমরা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। এই পড়াশোনায়
কুমার-কুমারীদের খুব তীক্ষ্ণ যাওয়া উচিত। চিত্রও আছে, কাউকে জিজ্ঞাসা করা উচিত
গীতার ভগবান কে? এই কথাটি হলো মুখ্য। ভগবান তো হলেন একজন, যাঁর কাছে উত্তরাধিকার
প্রাপ্ত হয় মুক্তিধামের। আমরা সেখানকার নিবাসী, এখানে এসেছি পার্ট প্লে করতে। এখন
পবিত্র হবো কীভাবে । পতিত-পাবন তো হলেন একমাত্র বাবা। ভবিষ্যতে বাচ্চারা তোমাদের
অবস্থা খুব ভালো হয়ে যাবে। বাবা ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে বুঝিয়ে দেন। এক তো বাবাকে
স্মরণ করতে হবে তাহলে জন্ম-জন্মান্তরের পাপ বিনষ্ট হবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে -
আমরা কতক্ষণ স্মরণ করি? চার্ট রাখা ভালো, নিজের উন্নতি করো। নিজের উপরে দয়া করে
নিজের আচরণ দেখতে থাকো। যদি আমরা ভুল করি তাহলে রেজিস্টার খারাপ হয়ে যাবে, এর জন্য
দিব্য আচরণ থাকা উচিত। গায়নও আছে না - যা খাওয়াবে, যেখানে বসাবে, যা নির্দেশ করবে
তাই করবো। ডাইরেকশন তো নিশ্চয়ই শরীরের দ্বারাই দেবেন, তাইনা। গেট ওয়ে টু স্বর্গ, এই
শব্দ গুলি খুব ভালো। এই দ্বার হলো স্বর্গে যাওয়ার। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
পুণ্য আত্মা হওয়ার জন্য অন্য সব আশা ত্যাগ করে এই কথাটি পাকা করতে হবে যে, বাবা যা
খাওয়াবে, যেখানে বসাবে....। কোনোরকম পাপ কর্ম করবে না।
২ ) ঈশ্বরীয় লটারী
প্রাপ্ত করার জন্য রূহানী সার্ভিস করতে হবে। জ্ঞানের ধারণা করে অন্যদেরও করাতে হবে।
ভালো মার্ক্স নেওয়ার জন্য সকল কর্ম স্মরণে থেকে করতে হবে।
বরদান:-
মায়া
আর প্রকৃতিকে দাসী বানিয়ে সদা স্নেহী ভব
যে বাচ্চারা সদা
স্নেহী হয় তারা লভলীন থাকার কারণে পরিশ্রম আর সমস্যা থেকে সদা সুরক্ষিত থাকে। তাদের
সামনে প্রকৃতি আর মায়া এখন থেকে দাসী হয়ে যায় অর্থাৎ সদা স্নেহী আত্মা মালিক হয়ে
যায় তো প্রকৃতি আর মায়ার সাহস নেই যে সদা স্নেহীর সময় আর সংকল্পকে নিজের প্রতি
আকর্ষণ করবে। তার প্রত্যেক সময় আর সংকল্প হলই বাবার স্মরণ আর সেবার প্রতি। স্নেহী
আত্মাদের স্থিতির গায়ন আছে যে - এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নেই, বাবা-ই হল সংসার। তারা
সংকল্পেরও অধীন হয় না।
স্লোগান:-
নলেজফুল হও তাহলে সমস্যাগুলি মনোরঞ্জনের খেলা অনুভব হবে।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
লগণের অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে যোগের জ্বালারূপ বানাও
এই কলিযুগী তমোপ্রধান
জর্জরিত পুরানো বৃক্ষকে ভষ্ম করার জন্য সংগঠিতরূপে ফুলফোর্সে যোগের জ্বালা
প্রজ্বলিত করো। কিন্তু এইরকম জ্বালাস্বরূপের স্মরণ তখন থাকবে যখন স্মরণের লিংক সদা
জুড়ে থাকবে। যদি বার বার লিংক কেটে যায় তাহলে সেই লিংক পুনরায় জুড়তে অনেক টাইম লেগে
যায় পরিশ্রমও হয় আর তখন শক্তিশালী হওয়ার পরিবর্তে দুর্বল হয়ে যায়।
★ গুরু গ্রন্থ সাহেবে
আছে, অন্তিম কালে যে স্ত্রীকে স্মরণ করবে, সে পরের জন্মে বেশ্যা হয়ে জন্মাবে, যে
পুত্রকে স্মরণ করবে, সে শূকোর হয়ে আর যে ধন সম্পদকে স্মরণ করবে সে প্রেত হয়ে
জন্মাবে। তাই সর্বদা পরমাত্মা শিব বাবাকেই স্মরণ করো।