08.10.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা এই পাঠশালাতে এসেছো স্বর্গের জন্য পাসপোর্ট নিতে। আত্ম অভিমানী হও এবং নিজের
নাম রেজিস্টারে নোট (নথিভুক্ত) করাও, তাহলে স্বর্গে এসে যাবে"
প্রশ্নঃ -
কোন্ স্মৃতি
না থাকার কারণে বাচ্চারা বাবার রিগার্ড রাখে না?
উত্তরঃ
অনেক বাচ্চারই
এই স্মৃতি থাকে না যে, যাকে সমগ্র দুনিয়া চিৎকার করে ডাকছে, স্মরণ করছে, সেই উচ্চ
থেকে উচ্চ বাবা বাচ্চাদের অর্থাৎ আমাদের সেবায় উপস্থিত হয়েছেন। এই নিশ্চয়
নম্বরক্রমে রয়েছে। যার যত নিশ্চয়, সে ততই রিগার্ড রাখে।
গীতঃ-
যে পিয়ার সাথে
আছে, তার তরেই বরিষণ আছে....
ওম্ শান্তি ।
সব বাচ্চারা
জ্ঞান সাগরের সাথে তো আছেই। এত এত বাচ্চা তো এক জায়গায় থাকতে পারে না। যদিও যারা
সাথে আছে তারা একদম সামনে ডাইরেক্ট জ্ঞান শোনে। আর যারা দূরে রয়েছে, তারা একটু
দেরিতে পায়। কিন্তু তাই বলে এমন নয় যে, সাথে আছে যারা তারা বেশি উন্নতি করতে পারে
আর যারা দূরে রয়েছে তারা কম উন্নতি করতে পারে। তা নয়। প্র্যাকটিক্যালে দেখা যায়
যে, যারা দূরে রয়েছে, তারা বেশি পড়ে আর উন্নতিও করে। এটা অবশ্যই ঠিক যে অসীম
জগতের পিতা এখানে রয়েছেন। ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের মধ্যেও নম্বর অনুক্রমে রয়েছে।
দৈবীগুণও বাচ্চাদেরকে ধারণ করতে হবে। কোনো কোনো বাচ্চাদের দ্বারা বড় বড় ভুল হয়ে
যায়। তারা এটা জানে যে, অসীম জগতের বাবা, যাকে সারা দুনিয়া স্মরণ করছে, সেই তিনিই
আমাদের সেবায় উপস্থিত রয়েছেন আর আমাদেরকে উচ্চ থেকেও উচ্চ হয়ে ওঠার পথ প্রদর্শন
করছেন। বাবা অনেক ভালোবাসা দিয়ে বোঝান, তবুও সেই মতো রিগার্ড দেয় না। বন্ধনে আবদ্ধ
যারা, তারা কত মার খায়, ছটফট করে, তবুও বাবার স্মরণে থেকে নিজেকে অনেক উপরে নিয়ে
যায়। পদও অনেক উঁচু তৈরী হয়ে যায়। বাবা সবার জন্য বলেন না। বাবা বাচ্চাদেরকে
সাবধান করেন। সবাই তো এক রকম হবে না। বন্ধনে যারা আছে তারা সেন্টারের বাইরে থেকেও
অনেক বড় উপার্জন জমা করে নেয়। এই গীত তো ভক্তি মার্গের জন্য বানানো হয়েছে। কিন্তু
তোমাদের জন্য বড়ই অর্থপূর্ণ। তারা কী জানে পিয়া কে, কার পিয়া ? আত্মা নিজেকেই
জানে না তো বাবাকে কীভাবে জানবে ! হলো তো আত্মাই। আমি কী, কোথা থেকে এসেছি - এও
তাদের জানা নেই। দেহ অভিমান থাকার কারণে না আত্মাকে না পরমপিতা পরমাত্মাকে জানে।
এখানে তো বাচ্চারা, তোমাদেরকে বিশেষ ভাবে সামনে বসে বোঝাচ্ছেন। এ হলো অসীম জগতের
স্কুল। এখানে হল একটাই এইম অবজেক্ট - স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত করা। স্বর্গেও অনেক
পদ রয়েছে। কেউ রাজা রানী, কেউ প্রজা। বাবা বলেন - আমি এসেছি পুনরায় তোমাদেরকে
দ্বি-মুকুটধারী বানাতে। সবাই তো দ্বি-মুকুটধারী হতে পারবে না। যারা ভালো ভাবে
পঠন-পাঠন করবে, তারা মনে মনে জানবে আমরা এই রকম হতে পারি। তারা স্যারেন্ডারও,
নিশ্চয়ও আছে তাদের। সবাই বুঝতে পারে ইনি কোনো খারাপ কাজই করেন না। কারো কারো মধ্যে
আবার অনেক অবগুণ রয়েছে। তারা থাড়াই বুঝবে আমরা এত উঁচু পদ পেতে পারি? সেইজন্য
পুরুষার্থও করে না। বাবাকে যদি জিজ্ঞাসা করো যে, বাবা, আমি কী হব, তবে বাবা সাথে
সাথে বলে দেবেন। নিজেকে নিজে দেখলেই বুঝতে পারবে, আমি তো এত উঁচু পদ পাব না !
পাওয়ার মতো লক্ষণও তো থাকতে হবে তাই না ! সত্যযুগ ত্রেতাতে তো এ'সব কিছুই থাকে না।
সেখানে হল প্রালব্ধ। পরবর্তী কালের রাজারাও খুবই প্রজা হিতৈষী হয়। রাজা রানী মাতা
- পিতা যে ! এও তোমরা বাচ্চারাই জান। ইনি তো হলেন অসীম জগতের পিতা, এই সমগ্র জগতের
রেজিস্টার তো ইনি করে থাকেন। তোমরাও তো রেজিস্টার করছো, তাই না ! পাসপোর্ট দিচ্ছো।
স্বর্গের মালিক হওয়ার জন্য তোমরা এখান থেকেই পাসপোর্ট পাও। বাবা বলেছিলেন যারা
বৈকুন্ঠের যোগ্য হবে তাদের সকলের ছবি থাকতে হবে - কেননা তোমরা মানব থেকে দেবতা হচ্ছো।
তার পাশে সিংহাসনে মুকুট ধারণ করে আসীন ছবি থাকবে। আমরা এই রূপ হয়ে উঠছি। প্রদর্শনী
ইত্যাদিতেও এইরূপ স্যাম্পল রাখতে হবে। এটা হলই রাজযোগ। মনে করো কেউ ব্যারিস্টার হতে
চলেছে, একদিকে অর্ডিনারী ড্রেসে ছবি, অন্য দিকে ব্যারিস্টারের ড্রেসে। ঠিক তেমনি
একদিকে তোমরা সাধারণ ড্রেসে, আরেক দিকে দ্বিমুকুটধারী। এই রকম চিত্র হতে হবে।
ব্যারিস্টার জজ ইত্যাদি তো এখানকার। তোমাদেরকে রাজারও রাজা নতুন দুনিয়াতে হতে হবে।
এইম অবজেক্ট সামনে রয়েছে। আমি এই রূপ হতে চলেছি। বোঝার জন্য এটা কত সুন্দর বিষয়।
চিত্রও খুব ভালো হতে হবে, ফুল সাইজের। তারা ব্যারিস্টারি পড়ে তো যোগ ব্যারিস্টারের
সাথে থাকে। তখন ব্যারিস্টারই হয়। এদের যোগ পরমপিতা পরমাত্মার সাথে, তাই
দ্বিমুকুটধারী হয়। এখন বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান যে, বাচ্চাদের এখন অ্যাক্ট-এ আসা
উচিত । লক্ষ্মী - নারায়ণের চিত্রের ওপরে বোঝানো অনেক সহজ হবে । আমরা এই রূপ হতে
চলেছি (হওয়ার জন্য নিজেদেরকে গড়ছি), তোমাদের জন্য নিশ্চয়ই নতুন দুনিয়া চাই। নরকের
পরে হল স্বর্গ। এখন এটা হল পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। এই ঈশ্বরীয় পাঠ কতখানি উচ্চ বানিয়ে
থাকে ! এতে টাকা পয়সার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। কেবল পড়ার শখ থাকতে হবে। একটি লোক
খুব গরীব ছিল, পড়াশোনা করার মতো অর্থ ছিল না, তারপর পড়তে পড়তে পরিশ্রম করে এত
বড়লোক হয়ে গেল যে কুইন ডিক্টোরিয়ার মিনিস্টার হয়ে যায়। তোমরাও এখন কত গরিব।
বাবা কত উচ্চ স্তরের পাঠ পড়ান। এতে কেবল বুদ্ধি দিয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আলো
ইত্যাদি জ্বালানোর দরকার নেই। যেখানে খুশী বসে স্মরণ করো। কিন্তু মায়া এমনই যে
বাবার স্মরণ ভুলিয়ে দেয় ।স্মরণেই বিঘ্ন পড়ে যায়। এটাই তো যুদ্ধ, তাই না ! আত্মা
পবিত্রই হয় বাবাকে স্মরণের দ্বারা। পড়ার সময় মায়া কিছু করে না। পড়ার থেকেও
স্মরণের নেশা হল উচ্চ। সেইজন্যই প্রাচীন যোগ বলা হয়ে থাকে। বলা হয় যোগ এবং জ্ঞান।
যোগের জন্যই জ্ঞান প্রাপ্ত হয় - এইরকম এইরকম করো। আর তার পরে আছে সৃষ্টিচক্রের
জ্ঞান। রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তের কথা আর কেউই জানে না। ভারতের প্রাচীন যোগ
শেখানো হয়। প্রাচীন তো বলা হয় নতুন দুনিয়াকে। তাকেই আবার লক্ষ বছর বলে দিয়েছে।
কল্পের আয়ুও নানান রকমের বলা আছে। এক একজন এক এক রকম বলেছে। এখানে তোমাদের একমাত্র
পরমাত্মা পিতাই পড়াচ্ছেন। তোমরা যদি বাইরেও যাও তোমরা চিত্র পেয়ে যাবে। ইনি তো
হলেন ব্যাপারী, তাই না ! বাবা বলেন, তোমরা কাপড়ের উপরেও (ছবি) প্রিন্ট করে নিতে
পারো। কারো কাছে যদি বড় স্ক্রিন প্রেস না থাকে, তবে অর্ধেক অর্ধেক করে করতে পারো।
তারপর জয়েন্ট করে নিলে বোঝা যাবে না। অসীম জগতের বাবা, বড় অথরিটি বলা হয় তাঁকে।
কেউ যদি এই ভাবে ছেপে দেখাতে পারে, তবে আমি তাকে প্রসিদ্ধ করে দেবো। এই সব চিত্র
কেউ যদি কাপড়ের উপরে প্রিন্ট করে বিদেশে নিয়ে যায়, এক একটি চিত্রের জন্য তারা ৫ -
১০ হাজারও দিয়ে দেবে। ওদের কাছে তো প্রচুর অর্থ রয়েছে। তৈরী করা সম্ভব। এত বড় বড়
প্রেস রয়েছে, শহরের সীন সীনারি গুলি এত সুন্দর ছাপে যে কী বলবো ! এসবও ছাপাতে পারবে।
এ তো এতো ফার্স্ট ক্লাস বিষয় যে - তারা দেখে বলবে, সত্যিকারের জ্ঞান তো এর মধ্যেই
রয়েছে, আর কারো কাছে থাকাই সম্ভব নয়। কেউ জানে না। এরপর যে বোঝাবে তাকে ইংরেজি
ভাষাতেও দক্ষ হতে হবে। ইংরেজি তো সকলেই জানে। তাদেরকেও তো সন্দেশ (বাবার বার্তা)
দিতে হবে, তাই না ! তারাই তো ড্রামা অনুসারে বিনাশের জন্য নিমিত্ত হয়েছে। বাবা
বলেন, তাদের কাছে এমন এমন সব বম্ব রয়েছে যে, তারা যদি দুই পক্ষ মিলে যায়, তবে
বিশ্বের মালিক হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ড্রামাই এমন রচিত হয়ে রয়েছে যে, তোমরাই যোগ
বলের দ্বারা বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করো। কোনো হাতিয়ার দিয়েই কেউ বিশ্বের মালিক হতে
পারবে না। তাদের হল সায়েন্স আর তোমাদের হল সাইলেন্স। কেবল বাবাকে আর চক্রকে স্মরণ
করো, নিজ সম বানাও। তোমরা বাচ্চারা যোগ বলের দ্বারা বিশ্বের বাদশাহী নিচ্ছো। ওদের
নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যই বাঁধবে। মাখন মাঝখানে তোমরা পেয়ে যাও। কৃষ্ণের মুখে
মাখনের গোলা দেখানো হয়। বলাও হয়ে থাকে, তারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে, মাঝখান থেকে
তৃতীয় জন খেয়ে নেয় । এও তেমনই। সমগ্র বিশ্বের রাজত্বের মাখন তোমরা পেয়ে যাও।
তাহলে তোমাদের কতখানি খুশী হওয়ার কথা ! বাবা, সব তোমারই কামাল ! নলেজ তো তোমারই !
তোমার বোঝানোও কী সুন্দর! আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের যারা, তারা কীভাবে বিশ্বের
বাদশাহী প্রাপ্ত করেছিল সে'কথা কারোরই মাথায় আসে না। সেই সময় আর কোনো খন্ড থাকে
না। বাবা বলেন, আমি বিশ্বের মালিক হই না, তোমাদেরকে বানাই। আমি পরমাত্মা তো হলামই
অশরীরী। তোমাদের সকলের শরীর রয়েছে। দেহধারী তোমরা। ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শংকরেরও
সূক্ষ্ম শরীর রয়েছে। যেমন তোমরা হলে আত্মা, আমিও হলাম পরম আত্মা । আমার জন্ম হল
দিব্য আর অলৌকিক। আর কেউই এই ভাবে জন্ম নেয় না। এটাই ঠিক করা আছে। এ সবই ড্রামাতে
নির্ধারিত করাই আছে। এই মুহূর্তে কারো যদি এখন মৃত্যু হয়, তাও ড্রামাতে নির্ধারিত
রয়েছে। ড্রামার বিষয়ে তোমাদেরকে সব কিছুই বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বোঝে নম্বর অনুক্রমে।
কেউ কেউ তো আবার ডবল বুদ্ধির। তিনটি গ্রেড থাকে। একদম পিছনে (বুদ্ধির দিক দিয়ে) যারা,
তাদেরকে ডাল (ভোঁতা) বুদ্ধির বলা হয়। তারা নিজেরাও বোঝে যে, এরা হল ফার্স্ট
গ্রেডের, এরা সেকেন্ড গ্রেডের। প্রজার মধ্যেও এমনই রয়েছে। পড়ি তো একই। বাচ্চারা
জানে যে, আমরাই দ্বিমুকুটধারী হব। আমরাই দ্বিমুকুটধারী ছিলাম, তারপর সিঙ্গল
মুকুটধারী, তার থেকে নো মুকুট। যেমন কর্ম তেমনই ফল বলা হয়ে থাকে। সত্যযুগে এমন বলা
হবে না। এখানে ভালো কর্ম করলে এক জন্মের জন্য ভালো ফল পাওয়া যায়। কেউ কেউ এমন কর্ম
করে যে, দেখা যায় জন্ম থেকেই রোগী। এও তো কর্ম ভোগ, তাই না ! বাচ্চাদেরকে কর্ম,
অকর্ম, বিকর্মের বিষয়ে বোঝানো হয়েছে। এখানে যেমন কাজ করবে তার ভালো কিম্বা খারাপ
ফল প্রাপ্ত করে। কেউ সম্পত্তিবান হলে, নিশ্চয়ই সে ভালো কর্ম করেছিল। এখন তোমরা জন্ম
জন্মান্তরের প্রালব্ধ বানাচ্ছো। গরীব বড়লোকের প্রভেদ তো সেখানে (সত্যযুগে) থাকে,
এখনকার পুরুষার্থ অনুসারে । সেই প্রালব্ধ হল অবিনাশী ২১ জন্মের জন্য ।এখানে পাওয়া
যায় অল্প কালের জন্য। কর্ম তো চলতেই থাকে। এটা হল কর্মক্ষেত্র। সত্যযুগ হল
স্বর্গের কর্মক্ষেত্র। সেখানে বিকর্মই হয় না। এই সকল কথা বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে।
বিরলই কেউ আছে যে সব সময় পয়েন্টস লিখতে থাকে। চার্ট লিখতে লিখতেও শেষ করতে পারে
না। বাচ্চারা, তোমাদের পয়েন্টস লেখা উচিত । অনেক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পয়েন্টস রয়েছে।
যা তোমরা কখনোই মনে রাখতে পারবে না, মাথা থেকে বেরিয়ে যাবে। তারপর অনুশোচনা হবে যে,
এই পয়েন্টটা তো আমি ভুলে গেছি। সকলেরই একই হাল হয় । ভুলে যায়, তারপর পরদিন মনে
পড়ে । বাচ্চাদেরকে নিজেদের উন্নতির বিষয়ে নজর দিতে হবে। বাবা জানেন বিরলই কেউ কেউ
আছে যারা লেখে। বাবা নিজে তো ব্যাপারী, তাই না ! সেই সব হল বিনাশী রত্নের ব্যাপার,
আর এ হল জ্ঞান রত্নের। যোগেই অনেক বাচ্চাই ফেল হয়ে যায়। এ্যাক্যুরেট স্মরণে অতি
কষ্টে ঘন্টা দেড়েক কেউ থাকতে পারে ! ৮ ঘন্টা তো পুরুষার্থ করতে হবে। বাচ্চারা,
তোমাদেরকে শরীর নির্বাহও করতে হবে। বাবা প্রিয় আর প্রিয়তমারও উদাহরণ দিয়েছেন। বসে
বসে স্মরণ করছে আর সাথে সাথেই চোখের সামনে উপস্থিত। এও এক প্রকারের সাক্ষাৎকার। এ
তাকে স্মরণ করে আর সে একে স্মরণ করে। এখানে তো তাও মাশুক অর্থাৎ প্রিয় হল এক আর
তোমরা সবাই হলে প্রিয়তমা। সেই সুন্দর প্রীতম তো সর্বদা গৌর (সুন্দর), এভার পিওর ।
বাবা বলেন আমি চির পথিক (মুসাফির), তোমাদেরকেও খুব সুন্দর বানাই। এই দেবতাদের হল
ন্যাচারাল বিউটি। এখানে তো কেমন কেমন সব ফ্যাশন করে। নানা রকমের ড্রেস পরে। ওখানে
তো একদম ন্যাচারাল বিউটি থাকে। এইরকম দুনিয়াতে এখন তোমরা যাচ্ছ। বাবা বলেন, আমি
পুরানো পতিত দেশ, পতিত শরীরে আসি। বাবা বলেন, আমি এনার অনেক জন্মের অন্তিমে প্রবেশ
করে প্রবৃত্তি মার্গের স্থাপনা করি। ধীরে-ধীরে পরে তোমরা সার্ভিসেবল হয়ে উঠবে।
পুরুষার্থ করলে তবেই বুঝতে পারবে। পূর্বেও এই রূপ পুরুষার্থ করেছিলে, এখন আবার করছো।
নতুন দুনিয়ার রাজধানী ছিল, এখন নেই, আবার হবে। আইরন এজের পরে আবার গোল্ডেন এজ
অবশ্যই হবে। রাজধানী স্থাপন হতেই হবে। কল্প পূর্বের মতো। আচ্ছা।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
স্যারেন্ডারের সাথে সাথে নিশ্চয় বুদ্ধি হতে হবে। কোনও রকমের ছিঃ ছিঃ কাজ যেন না হয়।
ভিতরে যেন কোনো রকমের অবগুণ না থাকে, তবেই ভালো পদ পাওয়া যেতে পারে ।
২ ) জ্ঞান রত্নের
ব্যাপার করবার জন্য বাবা যে সব ভালো ভালো পয়েন্ট শোনান, সেগুলিকে নোট করতে হবে।
তারপর সেগুলিকে মাথায় গেঁথে নিয়ে অন্যদেরকে শোনাতে হবে। সর্বদা নিজের উন্নতির দিকে
খেয়াল রাখতে হবে।
বরদান:-
বালক
আর মালিক ভাবের সমতার দ্বারা সকল খাজানাতে সম্পন্ন ভব
যেরকম বালক ভাবের নেশা
সকলের মধ্যে আছে এইরকম বালক তথা মালিক অর্থাৎ বাবার সমান সম্পন্ন স্থিতির অনুভব করো।
মালিকভাবের বিশেষত্ব হলো - যতই মালিক ততই বিশ্ব সেবাধারীর সংস্কার সদা ইমার্জ রূপে
থাকবে। মালিকভাবের নেশা আর বিশ্ব সেবাধারীর নেশা সমান রূপে থাকলে তখন বলা হবে বাবার
সমান। বালক আর মালিক দুটো স্বরূপ সদাই প্রত্যক্ষ কর্মে এসে যাবে তখন বাবার সমান সকল
খাজানার দ্বারা সম্পন্ন স্থিতির অনুভব করতে পারবে।
স্লোগান:-
জ্ঞানের অক্ষয় খাজানার অধিকারী হও তাহলে অধীনতা সমাপ্ত হয়ে যাবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
স্বয়ং আর সকলের প্রতি মন্সা দ্বারা যোগের শক্তিগুলির প্রয়োগ করো
যেরকম বাণীর সেবা
ন্যাচারাল হয়ে গেছে, এইরকম মন্সা সেবাও ন্যাচারাল করো। বাণীর সাথে মন্সা সেবাও করতে
থাকো তাহলে তোমাদের কম বলতে হবে। বলার সময় যে এনার্জি খরচ করছো সেটা মন্সা সেবার
সহযোগের কারণে বাণীর এনার্জি জমা হবে আর মন্সার শক্তিশালী সেবা সফলতা বেশী অনুভব
করাবে।