09.01.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের বিকর্মের সাজা থেকে মুক্ত হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে, এই অন্তিম জন্মে সব হিসাবপত্র পরিশোধ করে পবিত্র হতে হবে"

প্রশ্নঃ -
ধোঁকাবাজ মায়া কোন্ প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার প্রয়াস করে?

উত্তরঃ  
তোমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলে, কোনো দেহধারীর প্রতি আমরা আকৃষ্ট হবো না । আত্মা বলে, আমি এক বাবাকেই স্মরণ করবো, নিজের দেহকেও স্মরণ করবো না । বাবা দেহ সহ সকলের সন্ন্যাস করান কিন্তু মায়া এই প্রতিজ্ঞাই ভঙ্গ করিয়ে দেয় । দেহের প্রতি আকর্ষণ এসে যায় । যে এই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে তাকে অনেক সাজাও ভোগ করতে হয় ।

গীতঃ-
তুমিই মাতা, পিতাও তুমি....

ওম্ শান্তি ।
উঁচুর থেকে উঁচু ভগবানের মহিমাও করা হয়েছে আবার গ্লানিও করা হয়েছে । এখন উঁচুর থেকে উঁচু বাবা নিজে এসেই তাঁর পরিচয় দেন, এরপর আবার যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয়, তখন রাবণ দেখায় যে সে কত বড় । ভক্তি মার্গে কেবল ভক্তির রাজ্য তাই একে বলা হয় রাবণ রাজ্য । সে হলো রাম রাজ্য আর এ হলো রাবণ রাজ্য । রাম আর রাবণেরই তুলনা করা হয় । বাকি ওই রাম তো ত্রেতার রাজা, তাঁর কথা বলা হয় না । রাবণ হলো অর্ধেক কল্পের রাজা । এমন নয় যে, রাম অর্ধেক কল্পের রাজা ছিলেন, তা নয়, এ হলো সম্পূর্ণ বোঝার মতো বিষয় । বাকি এ তো হলো বোঝার মতো সম্পূর্ণ সহজ কথা । আমরা সকলেই ভাই - ভাই । আমাদের সকলের ওই এক বাবা হলেন নিরাকার । বাবা জানেন যে, এই সময় আমার সকল বাচ্চারা রাবণের জেলে আবদ্ধ । কাম চিতায় বসে সকলেই কালো হয়ে গেছে । এ কথা বাবা জানেন । আত্মার মধ্যেই তো সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে, তাই না । এরমধ্যেও সবথেকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয় আত্মা এবং পরমাত্মাকে জানার । ছোটো আত্মার মধ্যে কতো পার্ট লিপিবদ্ধ রয়েছে, যার পার্ট সে প্লে করতে থাকে । আত্মা দেহ ভাবে এসে পার্ট প্লে করে, তাই সে তার স্বধর্ম ভুলে যায় । বাবা এখন এসে তোমাদের আত্ম অভিমানী করেন, কেননা আত্মাই বলে যে, আমরা পবিত্র হবো । তাই বাবা বলেন, তোমরা মামেকম্ স্মরণ করো । আত্মা ডাকতে থাকে, হে পরমপিতা, হে পতিত পাবন, আমরা আত্মারা পতিত হয়ে গেছি, তুমি এসে আমাদের পবিত্র বানাও । সংস্কার তো সব আত্মার মধ্যেই আছে, তাই না । আত্মা পরিস্কার বলে দেয়, আমরা পতিত হয়ে গেছি । যারা বিকারে যায় তাদের পতিত বলা হয় । পতিত মানুষ, পবিত্র নির্বিকারী দেবতাদের মন্দিরে গিয়ে তাঁদের সামনে তাঁদের মহিমার গান গায় । বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা, তোমরাই পূজ্য দেবতা ছিলে । তারপর ৮৪ জন্ম গ্রহণ করতে করতে তোমাদের অবশ্যই নামতে হবে । এই খেলাই হলো পতিত থেকে পবিত্র এবং পবিত্র থেকে পতিত হওয়ার খেলা । এই সম্পূর্ণ জ্ঞান বাবা এসে ইঙ্গিতে বোঝান । এখন হলো সকলেরই অন্তিম জন্ম । সকলকেই হিসেব - নিকেশ শোধ করে যেতে হবে । বাবা সাক্ষাৎকার করান । পতিতকে নিজের বিকর্মের দণ্ড অবশ্যই ভোগ করতে হয় । পরে কোনো জন্মে সেই সাজা দেবেন । মনুষ্য শরীরেই এই সাজা ভোগ করতে হবে তাই অবশ্যই শরীর ধারণ করতে হয় । আত্মা অনুভব করে যে, আমি সাজা ভোগ করছি । কাশী কলবট খাওয়ার সময় যেমন দণ্ড ভোগ করে, কৃত পাপের সাক্ষাৎকারও হয়, তখন তো বলে, ক্ষমা করো ভগবান, আমি এমন আর কখনো করবো না । এ সবই সাক্ষাৎকারের সময় ক্ষমা প্রার্থনা করে । তারা অনুভব করে এবং এই দুঃখের ভোগও করে । সবথেকে বেশী গুরুত্ব হলো আত্মা এবং পরমাত্মার । যা আর কেউই জানে না । একজন মানুষও সঠিক জানে না যে, আত্মা কি আর পরমাত্মা কি ? ড্রামা অনুসারে এও হতে হবে । বাচ্চারা, তোমাদেরও এই জ্ঞান আছে যে, এ কোনো নতুন কথা নয়, পূর্ব কল্পেও এমন হয়েছিলো । এমন বলাও হয় যে, জ্ঞান, ভক্তি আর বৈরাগ্য, কিন্তু এর অর্থ কেউ জানে না । বাবা এই সাধু ইত্যাদিদের সঙ্গ অনেক করেছেন, তারা কেবল নামই গ্রহণ করে । বাচ্চারা, এখন তোমরা খুব ভালোভাবেই জানো যে, আমরা পুরানো দুনিয়ার থেকে নতুন দুনিয়ায় যাচ্ছি, তাই অবশ্যই পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য রাখতে হবে । এতে কি আকর্ষণ রাখবে? তোমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলে - কোনো দেহধারীর প্রতিই আর আকৃষ্ট হবে না । আত্মা বলে, আমি এক বাবাকেই স্মরণ করবো । নিজের দেহকেও স্মরণ করবো না । বাবা তোমাদের দেহ সহ সবকিছুর সন্ন্যাস করান । তখন আবার অন্যের দেহের প্রতি আমরা কেন আকর্ষণ রাখবো? কারোর প্রতি আকর্ষণ থাকলে তার কথা মনে আসতে থাকবে । তখন আর ঈশ্বরের কথা স্মরণে আসবে না । প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলে অনেক সাজাও ভোগ করতে হয়, আর পদও ভ্রষ্ট হয়ে যায় তাই যতো সম্ভব বাবাকেই স্মরণ করতে হবে । মায়া তো অনেক বড় ধোকাবাজ । যে কোনো পরিস্থিতিতে মায়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে । দেহ - অভিমানের অনেক কড়া অসুখ । বাবা বলেন, তোমরা এখন দেহী - অভিমানী হও । বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের দেহ বোধের অসুখ দূর হয়ে যাবে । তোমরা সারাদিন দেহ বোধে থাকো । অতি কষ্টেই বাবাকে স্মরণ করো । বাবা বুঝিয়েছেন যে - হাতে কাজ করো আর মনে স্মরণ করো । যেমন আশিক তার নিজের কাজকর্ম করেও তার মাশুককেই স্মরণ করতে থাকে । আত্মারা, এখন তোমাদের পরমাত্মার সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক রাখতে হবে তাই তাঁকেই তো স্মরণ করতে হবে, তাই না । তোমাদের একমাত্র লক্ষ্যই হলো দেবী - দেবতা হওয়া, এর জন্যই তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে । মায়া তো অবশ্যই ধোঁকা দেবে, তোমাদের নিজেদেরই নিজেদের তার থেকে মুক্ত করতে হবে । না হলে তোমরা আটকে যাবে তখন তোমাদের গ্লানিও হবে, অনেক ক্ষতিও হয়ে যাবে ।

বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, আমরা আত্মারা হলাম বিন্দুর মতো, আমাদের বাবাও হলেন বীজ রূপ, পূর্ণ জ্ঞানী । এ হলো অত্যন্ত ওয়ান্ডারফুল কথা । আত্মা কি, তাতে কিভাবে অবিনাশী পার্ট ভরা থাকে - এই গুহ্য কথা খুব ভালো ভালো বাচ্চারাও সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে পারে না । তোমরা নিজেকে যথার্থ ভাবে আত্মা মনে করো আর বাবাকেও বিন্দুর মতো মনে করে স্মরণ করো, তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর - বীজ রূপ - এমন মনে করে স্মরণ খুব কম জনই করতে পারে । মোটা বুদ্ধি নয়, এতে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিকেই কাজে লাগাতে হয় - আমরা হলাম আত্মা, আমাদের বাবা এখন এসেছেন - তিনি হলেন বীজ রূপ, নলেজফুল । তিনি আমাদের জ্ঞান শোনাচ্ছেন । এই ধারণাও আমাদের ছোটো আত্মার মধ্যেই হয় । এমন অনেকেই আছে, যারা মোটা বুদ্ধিতেই কেবল বলে দেয় - আত্মা আর পরমাত্মা - কিন্তু যথার্থ রীতিতে বুদ্ধিতে আসে না । যদি তা নাও আসে তবুও মোটা বুদ্ধিতেই স্মরণ করাও ঠিক, কিন্তু ওই যথার্থ স্মরণ বেশী ফলদায়ক । ওরা এতো উঁচু পদ পেতে পারে না । এতে অনেক পরিশ্রম । আমি আত্মা এক ছোটো বিন্দু, বাবাও খুব ছোটো বিন্দু, তাঁর মধ্যেই সমস্ত জ্ঞান রয়েছে, এও তোমরা যখন এখানে বসে থাকো তখন কিছু বুদ্ধিতে আসে কিন্তু চলতে - ফিরতে এমন চিন্তা থাকবে, তা নয় । তখন সব ভুলে যায় । সারাদিন ওই চিন্তাই যদি থাকে - সেই হলো প্রকৃত স্মরণ । কেউ সত্যিকারের কিছু বলেই না যে, আমরা কিভাবে বাবাকে স্মরণ করি । যদিও তারা চার্ট পাঠায়, তবুও সেখানে এ কথা লেখেই না যে, এইভাবে নিজেকে বিন্দু মনে করে আর বাবাকেও বিন্দু মনে করে আমরা স্মরণ করি । সম্পূর্ণ সত্য কথা লেখে না । যদিও ওরা খুব ভালো ভালো মুরলী চালায় কিন্তু যোগের অভ্যাস অনেক কম । দেহ ভাব অনেক পরিমাণে, এই গুপ্ত কথাকে তারা সম্পূর্ণ বুঝতেই পারে না, মন্থনও করে না । তোমাদের স্মরণের দ্বারাই পবিত্র হতে হবে । প্রথমে তো কর্মাতীত অবস্থার প্রয়োজন, তাই না । তারাই উঁচু পদ পেতে পারবে । বাকি মুরলী শোনার জন্য তো অনেকেই আছে কিন্তু বাবা জানেন যে, তারা যোগে থাকতে পারে না । এই বিশ্বের মালিক হওয়া মাসির ঘরে যাওয়ার মতো সহজ তো নয়ই । ওরা তো অল্পকালের পদ পাওয়ার জন্যও কতো পরিশ্রম করে । তোমাদের সোর্স অফ ইনকাম তো এখন হচ্ছে । আগে ব্যরিস্টার ইত্যাদিরা তো এতো উপার্জন করতোই না । এখন উপার্জন কতো বেড়ে গেছে ।

বাচ্চাদের নিজেদের কল্যাণের জন্য এক তো নিজেকে আত্মা জ্ঞান করে যথার্থ রীতিতে বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর ত্রিমূর্তি শিবের পরিচয়ও অন্যদের দিতে হবে । কেবলমাত্র শিব বললেই তারা বুঝতে পারবে না । ত্রিমূর্তি তো অবশ্যই চাই । দুই চিত্রই হলো মূখ্য --ত্রিমূর্তি আর কল্পবৃক্ষ । সিঁড়ির থেকেও বৃক্ষের মধ্যে বেশী জ্ঞান আছে । এই চিত্র তো সকলের কাছেই থাকা উচিত । একদিকে ত্রিমূর্তি, গোলক (সৃষ্টি চক্র), অন্যদিকে কল্পবৃক্ষ । এই পাণ্ডব সেনাদের পতাকা থাকা উচিত । এই ড্রামা আর বৃক্ষের জ্ঞানও বাবাই দান করেন । লক্ষ্মী - নারায়ণ, বিষ্ণু ইত্যাদি এরা কে ? এ কথা কেউই বোঝে না । মানুষ মহালক্ষ্মীর পূজা করে, মনে করে এতে লক্ষ্মী আসবেন । এখন লক্ষ্মী ধন কোথা থেকে পাবে? মানুষ চার হাতের, আট হাতের কতো চিত্র বানিয়ে দিয়েছে । তারা কিছুই বোঝে না । আট বা দশ হাতের কোনো মানুষ তো হয়ই না । যার মনে যা এসেছে, তাই বানিয়ে দিয়েছে, ব্যস্, তাই চলতে থেকেছে । কেউ বিধান দিলো যে, হনুমানের পূজা করো, ব্যস্, করতে শুরু করলো । দেখানো হয় - হনুমান সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে এসেছিলো, এর অর্থ বাচ্চারা, তোমরাই বুঝতে পারো । সঞ্জীবনী বুটি তো হলো "মনমনাভব"। এমন চিন্তা করা হয়, যতক্ষণ না ব্রাহ্মণ হতে পেরেছে, বাবার পরিচয় না পেয়েছে, ততক্ষণ কড়ি তুল্যও হতে পারে না । মানুষের পদের কতো অহংকার । ওদের বোঝাতে তো খুবই মুশকিল এই রাজত্ব স্থাপন করাতে কতো পরিশ্রম লাগে । ওদের হলো বাহুবল আর তোমাদের যোগবল । এই কথা তো শাস্ত্রে নেই । বাস্তবে তোমরা কোনো শাস্ত্র ইত্যাদির রেফার করতে পারো না । তোমাদের যদি জিজ্ঞাসা করে - তোমরা কি শাস্ত্র মানো? বলো, হ্যাঁ - সে সব তো ভক্তিমার্গের । এখন আমরা জ্ঞান মার্গে চলছি । এই জ্ঞান এক জ্ঞানের সাগর বাবাই প্রদান করেন, এই জ্ঞানকেই আত্মিক জ্ঞান বলা হয় । আত্মা বসে আত্মাদের জ্ঞান দেন । ওই জ্ঞান তো মানুষ মানুষকে দেয় । মানুষ কখনোই আধ্যাত্মিক জ্ঞান দিতে পারে না । জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন, উদ্ধারকর্তা, সদগতিদাতা হলেন এক শিব বাবা । বাবা বোঝান যে, তোমরা এই - এই করো । এখন দেখো, শিব জয়ন্তীতে কতো ধর্মচক্র তৈরী করা হয় । ট্রান্সলাইটের চিত্র যেন ছোটো হয়, যাতে সবাই পেতে পারে । তোমাদের তো সম্পূর্ণ নতুন কথা । কেউই এই কথা বুঝতে পারে না । খবরের কাগজে অনেক করে দেওয়া উচিত । আওয়াজ ওঠানো উচিত । সেন্টার যারা খুলবে, তাদেরও এমন হওয়া চাই । বাচ্চারা, এখনো তোমাদের এমন নেশা তৈরী হয়নি । পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে তোমরা বুঝতে পারো । এখন কতো ব্রহ্মাকুমার - ব্রহ্মাকুমারী আছে । আচ্ছা, ব্রহ্মার নাম বাদ দিয়ে অন্য কারোর নাম দিতে পারো । রাধা - কৃষ্ণের নাম দাও । আচ্ছা, তাহলে ব্রহ্মাকুমার - কুমারীরা কোথা থেকে আসবে? কোনো ব্রহ্মাকে তো চাই, তাই না, যাতে মুখজাত বংশাবলী বি.কে হতে পারে । এর পরের দিকে বাচ্চারা অনেক বুঝতে পারবে । তোমাদের খরচ তো করতেই হয় । চিত্র তো খুবই পরিস্কার । লক্ষ্মী - নারায়ণের চিত্র খুবই সুন্দর । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) কর্মাতীত হওয়ার জন্য সূক্ষ্ম বুদ্ধিতে বাবাকে চিনে যথার্থ স্মরণ করতে হবে । এই ঈশ্বরীয় পাঠের সঙ্গে সঙ্গে যোগের উপর সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দিতে হবে ।

২ ) নিজেকে মায়ার ধোঁকার থেকে রক্ষা করতে হবে । কারোর দেহের প্রতি আকর্ষণ রাখবে না । সত্যিকারের প্রীতি একমাত্র বাবার সাথেই রাখতে হবে । দেহ - অভিমানে আসবে না ।

বরদান:-
ব্রহ্ম-মুহূর্তের সময় বরদান নিয়ে এবং দিয়ে বাবার সমান বরদানী, মহাদানী ভব

ব্রহ্ম-মুহূর্তের সময় বিশেষ ব্রহ্মলোক নিবাসী বাবা জ্ঞান সূর্যের লাইট আর মাইটের কিরণ বাচ্চাদেরকে বরদান রূপে দিয়েছেন। সাথে-সাথে ব্রহ্মা বাবা ভাগ্য বিধাতার রূপে ভাগ্যরূপী অমৃত বিতরণ করেন, কেবল বুদ্ধি রূপী কলস হলো অমৃত ধারণ করার যোগ্য। কোনও প্রকারের বিঘ্ন বা অবরোধ যেন না আসে। তাই সারাদিনের জন্য শ্রেষ্ঠ স্থিতি বা কর্মের মুহূর্ত বের করতে পারো কেননা অমৃতবেলার বাতাবরণই বৃত্তিকে পরিবর্তন করে দেয়। সেইজন্য সেইসময় বরদান নিতে নিতে দান করো অর্থাৎ বরদানী আর মহাদানী হও।

স্লোগান:-
ক্রোধীর কাজ হলো ক্রোধ করা, আর তোমাদের কাজ হল স্নেহ দেওয়া।

নিজের শক্তিশালী মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো -

এখন স্ব-কল্যাণের এমন প্ল্যান বানাও যার দ্বারা বিশ্ব সেবাতে অটোমেটিক সকাশ প্রাপ্ত হতে থাকবে। এখন উৎসাহ-উদ্দীপনার দ্বারা নিজের মনে এই পাক্কা প্রতিজ্ঞা করো যে আমরা বাবার সমান হয়েই দেখাবো। ব্রহ্মা বাবারও বাচ্চাদের প্রতি অতি স্নেহ আছে, এইজন্য প্রত্যেক বাচ্চাকে ইমার্জ করে বিশেষ সমান হওয়ার সকাশ দিতে থাকেন।