09-02-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 18-01-2004 মধুবন


“ওয়ার্ল্ড অথরিটির ডাইরেক্ট বাচ্চা - এই স্মৃতি ইমার্জ রেখে সর্বশক্তি অর্ডারে চালনা করো''


আজ চতুর্দিকে সব বাচ্চা স্নেহের তরঙ্গে সমাহিত হয়ে আছে। সবার হৃদয়ে ব্রহ্মা বাবার বিশেষ স্মৃতি ইমার্জ রয়েছে। অমৃতবেলা থেকে শুরু করে যারা সাকার পালনার রত্ন এবং সাথে যারা অলৌকিক পালনার রত্ন উভয়ের হৃদয়ের স্মরণের মালা বাপদাদার কাছে পৌঁছে গেছে। সবার হৃদয়ে বাপদাদার স্মৃতির ছবি দৃশ্যমান। আর বাবার হৃদয়ে সকল বাচ্চার স্নেহ ভরা হৃদয় সমাহিত হয়ে আছে। সকলের হৃদয় থেকে স্নেহ ভরা একই গীত বেজে যাচ্ছে - "আমার বাবা" এবং বাবার হৃদয় থেকে এই গীত বেজে চলেছে "আমার মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চা"। এটা অটোমেটিক গীত, অনহদ গীত কত সুন্দর। বাপদাদা চতুর্দিকের বাচ্চাদের স্নেহ ভরা স্মৃতির রিটার্নে তিনি হৃদয়ের পদম গুন স্নেহ ভরা আশিস দিচ্ছেন।

বাপদাদা দেখছেন এখনও দেশে বা বিদেশে বাচ্চারা স্নেহের সাগরে লাভলীন রয়েছে। এই স্মৃতি দিবস সব বাচ্চাকে সমর্থ বানানোর বিশেষ দিবস। আজকের দিন ব্রহ্মা বাবার দ্বারা বাচ্চাদের মুকুট ধারণ করার উৎসবের দিন। ব্রহ্মা বাবা নিমিত্ত বাচ্চাদের বিশ্ব সেবার দায়িত্বের মুকুট পরিয়েছেন। তিনি স্বয়ং আননোন হয়েছেন আর বাচ্চাদের সাকার স্বরূপে নিমিত্ত বানানোর স্মৃতির তিলক দিয়েছেন। নিজ সমান অব্যক্ত ফরিস্তা স্বরূপের প্রকাশের মুকুট পরিয়েছেন। স্বয়ং করাবনহার হয়ে বাচ্চাদের করণহার বানিয়েছেন। সেইজন্য এই দিবসকে স্মৃতি দিবস তথা সমর্থী দিবস বলা হয়ে থাকে। শুধু স্মৃতি নয়, স্মৃতির সাথে সাথে বাচ্চাদের সর্ব শক্তি বরদান রূপে প্রাপ্ত হয়েছে। বাপদাদা সব বাচ্চাকে সর্ব স্মৃতি স্বরূপ হিসেবে দেখছেন। মাস্টার সর্বশক্তিমান স্বরূপে দেখছেন। শক্তিমান নয়, সর্বশক্তিমান। এই সর্ব শক্তি বাবা দ্বারা প্রত্যেক বাচ্চার বরদানে প্রাপ্ত হয়েছে। দিব্য জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই বাপদাদা বরদান দিয়েছেন - সর্বশক্তিমান ভব! এটা প্রতি জন্মদিবসের বরদান। এই শক্তিসমূহ প্রাপ্ত বরদান রূপে কার্যে প্রায়োগ করো। প্রত্যেক বাচ্চার প্রাপ্ত হয়েছে কিন্তু কার্যে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে নম্বর ক্রমে হয়ে যাও তোমরা। সব শক্তির বরদানকে সময় অনুসারে অর্ডার করতে পারো। যদি বরদাতার বরদানের স্মৃতি স্বরূপ হয়ে সময় অনুসারে যে কোনও শক্তিকে অর্ডার করো তবে প্রতিটা শক্তি অবশ্যই উপস্থিত হবে। বরদান প্রাপ্তির মালিকভাবের স্মৃতি স্বরূপে থেকে তুমি অর্ডার করবে আর শক্তি সময়মতো কার্যে আসবে না, তা' হতেই পারে না। কিন্তু মালিককে মাস্টার সর্বশক্তিমানের সিটে সেট হতে হবে, সিটে সেট হওয়া ব্যতীত কোনো অর্ডার মানা হয় না। বাচ্চারা বলে যে, বাবা আমরা যখন আপনাকে স্মরণ করি তো আপনি হাজির হয়ে যান, হুজুর হাজির হয়ে যান। যখন হুজুর হাজির হয়ে যেতে পারেন তখন শক্তি কেন হাজির হবে না! শুধু বিধিপূর্বক ম্যালিকভাবের অথরিটি দ্বারা অর্ডার করো। এই সর্ব শক্তি সঙ্গম যুগের বিশেষ পরমাত্ম- প্রপার্টি। প্রপার্টি কা'র জন্য থাকে? প্রপার্টি থাকে বাচ্চাদের জন্য। সুতরাং অধিকারের সাথে স্মৃতি স্বরূপের সিট থেকে অর্ডার করো, পরিশ্রম কেন করো, অর্ডার করো। ওয়ার্ল্ড অথরিটির ডাইরেক্ট বাচ্চা তোমরা, এই স্মৃতির নেশা যেন সদা ইমার্জ থাকে।

নিজেকে নিজে চেক করো - ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটির অধিকারী আত্মা আমি, এই স্মৃতি আপনা থেকেই থাকে? থাকে, নাকি কখনো কখনো থাকে? আজকালকার সময়ে তো অধিকার নেওয়ারই ঝগড়া হয় আর তোমাদের সবার পরমাত্ম-অধিকার, পরমাত্ম-অথরিটি জন্ম হতেই প্রাপ্ত হয়েছে। তো নিজের অধিকারের বিচক্ষণতা বজায় রাখো। নিজেও শক্তিশালী হও আর অন্যদেরও শক্তি প্রাপ্ত করাও। সর্ব আত্মা এই সময় সামর্থ্য অর্থাৎ শক্তির জন্য ভিখারী, তোমাদের জড় চিত্রের সামনে চাইতে থাকে। তো বাবা বলেন, "হে সমর্থ আত্মারা সর্ব আত্মাকে শক্তি দাও, কুশলা-বুদ্ধি বানাও।" তার জন্য শুধু একটা বিষয়ের অ্যাটেনশন প্রত্যেক বাচ্চার রাখা আবশ্যক - বাপদাদা যার ইশারাও দিয়েছেন, বাপদাদা রেজাল্টে দেখেছেন যে মেজরিটি বাচ্চাদের সংকল্প আর সময় ব্যর্থ যায়। যেমন, বিদ্যুতের কানেকশন যদি সামান্যও লুজ হয় বা লিক হয়ে যায় তবে লাইট ঠিক ভাবে আসতে পারে না। সুতরাং এই ব্যর্থের লিকেজ সমর্থ স্থিতিকে সদাকালের স্মৃতি বানাতে দেয় না, সেইজন্য ওয়েস্টকে বেস্ট-এ চেঞ্জ করো। সঞ্চয়ের স্কিম বানাও। পার্সেন্টেজ বের করো - সারাদিনে ওয়েস্ট কত হয়েছে, বেস্ট কত হয়েছে! মনে করো, যদি ৪০ পার্সেন্ট ওয়েস্ট হয়, ২০ পার্সেন্ট ওয়েস্ট হয় তবে সেটা বাঁচাও। এমন ভেবো না সামান্যই তো ওয়েস্ট হচ্ছে, আর তো সারাদিন ঠিক থাকে। কিন্তু এই ওয়েস্টের অভ্যাস বহু সময়ের অভ্যাস হওয়ার কারণে লাস্ট মুহূর্তে ধোঁকা দিতে পারে, নম্বরক্রম বানিয়ে দেবে, নম্বর ওয়ান হতে দেবে না। যেমন, ব্রহ্মা বাবা শুরুতে নিজের চেকিংয়ের কারণে রোজ রাতে দরবার বসিয়েছেন। কা'র দরবার? বাচ্চাদের নয়, নিজেরই কর্মেন্দ্রিয়ের দরবার বসিয়েছেন। অর্ডার চালিয়েছেন - হে মুখ্যমন্ত্রী মন তোমার এই আচরণ ভালো নয়, অর্ডারে চলো। হে সংস্কার অর্ডারে চলো। কেন উপর নিচে হয়েছে, কারণ বলো, নিবারণ করো। প্রতিদিন অফিসিয়াল দরবার বসিয়েছেন। ঠিক তেমনই ভাবে তোমরা নিজের স্বরাজ্য দরবার বসাও। বাচ্চারা অনেকে বাপদাদার সাথে মিষ্টি মিষ্টি আত্মিক বার্তালাপ করে। আত্মিক রূপে পার্সোনাল আলাপচারিতা করে, বাবা বলবেন? তোমরা বলে থাকো - 'আমার নিজের ভবিষ্যতের চিত্র বলো, আমি কী হবো?' যেমন, আদি রত্নদের মনে থাকবে যে জগৎ অম্বা মায়ের থেকে বাচ্চারা সবাই নিজের চিত্র চাইতো, মাম্মা আমি কেমন সেই চিত্র আমাকে দাও। তো বাপদাদার সাথে অধ্যাত্ম বার্তালাপ করার সময়ও তোমরা নিজেদের চিত্র চাও। তোমাদেরও সবার মন তো করে যে আমরাও যদি চিত্র পেয়ে যাই তবে ভালো হয়। কিন্তু বাপদাদা বলেন, বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে এক বিচিত্র দর্পণ দিয়েছেন, কোন সেই দর্পণ? বর্তমান সময়ে তোমরা স্বরাজ্য অধিকারী তো না! হও তোমরা স্বরাজ্য অধিকারী? যদি হও তো হাত উঠাও। স্বরাজ্য অধিকারী তোমরা? আচ্ছা। কেউ কেউ উঠাচ্ছে না। অল্প অল্প হয়েছ কী? আচ্ছা। সবাই তোমরা স্বরাজ্য অধিকারী, অভিনন্দন। তো স্বরাজ্য অধিকারের চার্ট তোমাদের জন্য ভবিষ্যত পদের মুখ দেখানোর দর্পণ। এই দর্পণ সবার প্রাপ্ত হয়েছে তো না? ক্লিয়ার তো না? এমন কোনো কালো দাগ তো লাগেনি, তাই না? আচ্ছা, কালো দাগ তো থাকবে না, কিন্তু কখনো কখনো যেমন গরম জলের ঘনীভূত বাষ্প ঝাপসা হয়, আয়নাতেও তেমনই ধোঁয়াশার মতো এসে যায়। ফগি যেমন হয় না, আয়নাতে ঠিক তেমনই হয়ে যায় যে কারণে আয়না ক্লিয়ার দেখায় না। স্নানের সময় তো সবার এই অনুভব রয়েছে। তো এরকম যদি হয় যে কোনও একটা কর্মেন্দ্রিয় তোমাদের সম্পূর্ণ কন্ট্রোলে না থাকে, কন্ট্রোলে আছে কিন্তু কখনো কখনো থাকে না; মনে করো কোনও কর্মেন্দ্রিয়, হতে পারে চোখ, মুখ, কান অথবা পা, পা-ও কখনো কখনো খারাপ সঙ্গের দিকে চলে যায়। তাহলে পা-ও তো কন্ট্রোলে থাকলো না, তাই না! সংগঠনে বসবে, রামায়ণ আর ভাগবতের কল্পিত কাহিনী শুনবে, সত্য নয়। তো যে কোনও কর্মেন্দ্রিয় সংকল্প, সময় সহ যদি কন্ট্রোলে না থাকে তবে এ' থেকেই চেক করো যখন স্বরাজ্যে কন্ট্রোলিং পাওয়ার নেই তখন বিশ্বের রাজত্বে কীভাবে কন্ট্রোল করবো! তাহলে রাজা কীভাবে হবো? ওখানে তো সবকিছু অ্যাক্যুরেট। কন্ট্রোলিং পাওয়ার, রুলিং পাওয়ার সব আপনা থেকেই সঙ্গম যুগের পুরুষার্থের প্রালব্ধ রূপে থাকে। তো সঙ্গম যুগ অর্থাৎ বর্তমান সময় যদি কন্ট্রোলিং পাওয়ার, রুলিং পাওয়ার কম হয় তবে পুরুষার্থ কম হ'লে প্রালব্ধ কী হবে? হিসেব করতে তোমরা তো চতুর, তাই না! সুতরাং এই আয়নাতে নিজের ফেস দেখ, নিজের মুখ দেখ। রাজার মুখ আসে, রয়্যাল ফ্যামিলির আসে, রয়্যাল প্রজার আসে, সাধারণ প্রজার আসে, কোন মুখ আসে? তো পেয়েছ চিত্র? এই চিত্র দ্বারা চেক করো। প্রতিদিন চেক করো, কেননা বহুকালের পুরুষার্থ দ্বারা বহুকালের রাজ্য-ভাগ্যের প্রাপ্তি রয়েছে। যদি তোমরা ভাবো যে অন্তিম সময় অসীম বৈরাগ্য তো এসেই যাবে, অন্ত সময় আসবে কিন্তু সেই সময় তা' বহুকালের হবে, নাকি তখন অল্প কালের হবে? বহুকালের তো বলবে না, তাই না! সুতরাং ২১জন্ম সম্পূর্ণ রাজ্য অধিকারী হবে, সিংহাসনে যদি বা নাও বসো, কিন্তু তবুও রাজ্য অধিকারী তোমরা। বহুকালের পুরুষার্থের এই কানেকশন বহুকালের প্রালব্ধের। সেইজন্য বেখেয়ালি হ'য়ো না, এখনো তো বিনাশের ডেট ফিক্সই হয়নি। তোমাদের জানাই নেই এটা ৮ বছরে হবে, নাকি ১০ বছরে হবে! তোমরা তো জানোই না। তো আগামী সময়ে হয়ে যাবে, না। বিশ্বের অন্তকাল ভাবার আগে নিজের জন্মের অন্তকাল সম্পর্কে ভাবো। তোমাদের কাছে ফিক্সড ডেট আছে? কা'র জানা আছে যে এই ডেট-এ আমার মৃত্যু হবে? আছে কারও কাছে? নেই না! বিশ্বের অন্ত তো হতেই হবে, সময়মতো হবেই, কিন্তু আগে নিজের অন্তকাল বিষয়ে ভাবো এবং জগদম্বার স্লোগান স্মরণ করো – কী স্লোগান ছিল? প্রতিটা মুহূর্ত নিজের অন্তিম মুহূর্ত মনে করো। অকস্মাৎ হওয়ার আছে। ডেট বলে দেওয়া যাবে না। না বিশ্বের, না তোমাদের অন্তিম মুহূর্তের। সব অকস্মাৎ হওয়ার খেলা। সেইজন্য দরবার বসাও। অর্ডারে চালাও, কেননা ভবিষ্যতের গায়ন আছে, ল' এন্ড অর্ডার হবে। আপনা থেকেই হবে। লাভ আর ল' দুইয়েরই ব্যালেন্স থাকবে। ন্যাচারাল হবে। রাজা কোনরকম ল' পাস করবে না যে এটা ল'; যেমন, লোকে আজকাল ল' বানাতে থাকে। আজকাল তো পুলিশও ল' নিজের হাতে তুলে নেয়। যেমনই হোক, ওখানে ল' এবং লাভ এর ন্যাচারাল ব্যালেন্স হবে।

তো এখন অলমাইটি অথরিটির সিটে সেট থাকো। তাহলে এই কর্মেন্দ্রিয়, শক্তি, গুণ সব তোমাদের জী হুজুর, জী হুজুর করবে। প্রতারণা করবে না, জী হাজির। তো এখন কী করবে? পরবর্তী স্মৃতি দিবসে কোন সমারোহ উদযাপন করবে? প্রতিটা জোন তো এই উদযাপন করে তো না! সম্মান সমারোহ সেটাও অনেক উদযাপন করেছ। এখন সদা সব সংকল্প আর সময়ের সফলতার সেরিমনি উদযাপন করো। এই সমারোহ উদযাপন করো। ওয়েস্ট শেষ কেননা, তোমাদের সফলতা মূর্ত হওয়ার দ্বারা আত্মাদের তৃপ্তির সফলতা প্রাপ্ত হবে, নিরাশা থেকে চতুর্দিকে শুভ আশার দীপ জ্বলে উঠবে। যখনই কোনো সফলতা হয় তখন দীপ জ্বালাতে হয় তো না! এখন বিশ্বে আশার দীপ জ্বালাও। সব আত্মার ভেতরে কোনো না কোনো নিরাশা আছেই, নিরাশার কারণে তারা হয়রান, টেনশনে থাকে। তো হে অবিনাশী দীপসকল! এখন আশার দীপের দীপাবলি উদযাপন করো। প্রথমে স্ব, তারপরে সর্ব। শুনেছো!

আর বাপদাদা বাচ্চাদের স্নেহ দেখে খুশি হন। স্নেহের সাবজেক্টে পার্সেন্টেজ ভালো। তোমরা এত পরিশ্রম করে এখানে কেন এসেছো, তোমাদের কে এনেছে? ট্রেন এনেছে, প্লেন এনেছে নাকি স্নেহ এনেছে? স্নেহের প্লেনে চড়ে পৌঁছে গেছ। তো স্নেহতে তোমরা পাশ হয়ে গেছো। এখন অলমাইটি অথরিটিতে তোমরা মাস্টার, তাইতো এই বিষয়ে তোমরা পাশ হয়ে গেছ। তো এই প্রকৃতি, এই মায়া, এই সংস্কার, সব তোমাদের দাসী হয়ে যাবে। প্রতি মুহূর্ত তারা অপেক্ষা করবে তাদের মালিকের অর্ডারের জন্য! ব্রহ্মা বাবাও মালিক হয়ে ভিতরে ভিতরেই এমন সূক্ষ্ম পুরুষার্থ করেছেন, তোমরা জানতে পেরেছ তিনি কীভাবে সম্পন্ন হয়েছেন? খাঁচা খুলে গেছে, বিহঙ্গ উড়ে গেছে। সাকার দুনিয়ার হিসেব-নিকেশের, সাকার তনের খাঁচা খুলে গেছে, পাখি উড়ে গেছে। এখন ব্রহ্মা বাবাও হৃদয়ের অনেক গভীর ভালবাসায় বাচ্চাদের আহ্বান করছেন - জলদি এসো, জলদি এসো, এখন এসো, এখন এসো। তো ডানা পেয়ে গেছো তো না! কেবল সবাই এক সেকেন্ডে নিজের হৃদয়ে এই ড্রিল করো, এখন এখনই করো। সব সংকল্প সমাপ্ত করো, এই ড্রিল করো "ও মিষ্টি বাবা, প্রিয় বাবা আমি আপনার সমান অব্যক্ত রূপধারী প্রায় হয়েই গেছি।" (বাপদাদা ড্রিল করিয়েছেন) আচ্ছা।

চতুর্দিকের স্নেহী তথা সমর্থ বাচ্চাদের, চতুর্দিকের স্বরাজ্য অধিকারী তথা বিশ্ব রাজ্য অধিকারী বাচ্চাদের, চতুর্দিকের মাস্টার অলমাইটি অথরিটির সিটে সেট হওয়া তীব্র পুরুষার্থী বাচ্চাদের, যারা সদা মালিক হয়ে প্রকৃতি, সংস্কার, গুণ শক্তিকে অর্ডার করে এমন বিশ্ব রাজ্য অধিকারী বাচ্চাদের, বাবা সমান সম্পূর্ণতা সম্পন্নতাকে সমীপে নিয়ে আসা দেশ বিদেশের সব স্থানের কোণে কোণের বাচ্চাদের সমর্থ দিবসের, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

এই মুহূর্তে বাপদাদাকে বিশেষভাবে কে স্মরণ করছে? জনক বচ্চি। বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছিল যে, "আমি সভাতে অবশ্য উপস্থিত থাকবো।" তো লণ্ডন হোক বা আমেরিকা হোক কিংবা অস্ট্রেলিয়া বা আফ্রিকা, এশিয়া ও ভারতের সব দেশের সর্ব বাচ্চার প্রত্যেককে নাম আর বিশেষত্ব সহ স্মরণের সুমন। তোমাদের তো সমুখে স্মরণের স্নেহ-সুমন প্রাপ্ত হচ্ছে, তাই না! আচ্ছা।

যারা মধুবনের, বাবা আজ তাদেরও স্মরণ করেছেন। এরা সামনে সামনে বসে আছে না! যারা মধুবনের তারা হাত উঠাও। সবাই মধুবনের ভুজ। যারা মধুবনের তাদের বিশেষ ত্যাগের ভাগ্য সূক্ষ্মতে তো প্রাপ্ত হয় কারণ তারা থাকে পান্ডব ভবনে, মধুবনে, শান্তিবনে কিন্তু মিলনে আগতদের চান্স প্রাপ্ত হয়, মধুবন সাক্ষী হয়ে দেখতে থাকে। কিন্তু হৃদয়ে সদা মধুবনবাসী স্মরণে থাকে। মধুবন থেকে ওয়েস্ট এর লেশমাত্র চিহ্ন সমাপ্ত হোক। সেবাতে, স্থিতিতে সবেতেই মহান। ঠিক তো না! মধুবনের তোমাদেরকে বাবা ভোলেন না, বরং মধুবনকে ত্যাগের চান্স দেন।

বরদান:-
মস্তক দ্বারা সন্তুষ্টতার দীপ্তির ঝলকানি প্রদর্শন করে সাক্ষাৎকার মূর্ত ভব

যে সদা সন্তুষ্ট থাকে, তার মস্তক দ্বারা সন্তুষ্টতার দীপ্তি ঝলমল করতে থাকে, তাদেরকে যদি কোনও উদাস আত্মা দেখে নেয় তবে সেও সন্তুষ্ট হয়ে যায়, তার উদাসীনতা দূর হয়ে যায়। যাদের কাছে সন্তুষ্টির খুশির ভান্ডার থাকে, তাদের দিকে আপনা থেকেই সবাই আকৃষ্ট হয়। তাদের খুশির মুখমন্ডল চৈতন্য বোর্ড হয়ে যায়, যা অনেক আত্মাদের বানানোর মালিকের পরিচয় দেয়। যারা সদা সন্তুষ্ট থাকে এবং অন্যদের সন্তুষ্ট রাখে, তেমন সন্তুষ্টমণি হও যাতে অনেকের সাক্ষাৎকার হয়।

স্লোগান:-
যারা আঘাত করে তাদের কাজ হলো আঘাত করা আর তোমাদের কাজ হলো নিজেকে রক্ষা করা।

অব্যক্ত ইশারা - একান্তপ্রিয় হও, একতা এবং একাগ্রতাকে আপন করে নাও যেমন তোমরা নারকেল ভেঙে উদ্ঘাটন করে থাকো, রিবন কেটে উদ্ঘাটন করো, ঠিক তেমনই একমত, একবল, এক ভরসা, একতার রিবন কাটো। তারপর সকলের সন্তুষ্টতার, প্রসন্নতার রিবন কাটো, এই জল ধরণীতে ঢালো, দেখ কত সাফল্য আসে!