09-06-2024 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 15-02-20 মধুবন


"মনকে স্বচ্ছ, বুদ্ধিকে ক্লিয়ার রেখে ডবল লাইট ফরিস্তা স্থিতির অনুভব করো"


আজ বাপদাদা নিজের স্বরাজ্য অধিকারী বাচ্চাদের দেখছেন। স্বরাজ্য ব্রাহ্মণ জীবনের জন্মসিদ্ধ অধিকার। বাপদাদা প্রত্যেক ব্রাহ্মণকে স্বরাজ্যের তখতাসীন বানিয়ে দিয়েছেন। জন্মানোর সাথে সাথেই প্রত্যেক বাচ্চার স্বরাজ্যের অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে। যতই স্বরাজ্য-স্থিত হও ততই নিজের মধ্যে লাইট আর মাইটের অনুভব করে থাকো।

বাপদাদা আজ প্রত্যেক বাচ্চার মস্তকে লাইটের মুকুট দেখছেন। যতটা মাইট নিজের মধ্যে ধারণ করেছ, নম্বর অনুক্রমে লাইটের মুকুট ততই ঝলমল করে। বাপদাদা সব বাচ্চাকে সর্বশক্তি অধিকার রূপে দিয়েছেন। প্রত্যেকে মাস্টার সর্বশক্তিমান, কিন্তু ধারণ করার ক্ষেত্রে নম্বরক্রমে হয়ে গেছে। বাপদাদা দেখেছেন যে, সর্বশক্তির নলেজও সবার মধ্যে আছে, ধারণাও আছে, কিন্তু এক বিষয়ে পার্থক্য হয়ে যায়। যে কোনও ব্রাহ্মণ আত্মাকে জিজ্ঞাসা করো - প্রতিটি শক্তির বর্ণনও খুব ভালো করবে, প্রাপ্তির বর্ণনও ভালো করবে। কিন্তু ব্যবধান হয় এটাই যে, যে সময় যে শক্তির আবশ্যকতা রয়েছে সময়মতো সেই শক্তি কার্যে প্রয়োগ করতে পারে না। সময়ের পরে উপলব্ধি করে এই শক্তির আবশ্যকতা ছিল। বাপদাদা বাচ্চাদের বলেন - সর্বশক্তির উত্তরাধিকার এত শক্তিশালী যে, কোনও সমস্যা তোমাদের সামনে দাঁড়াতে পারে না। তোমরা সমস্যা-মুক্ত হতে পারো। শুধু সর্বশক্তি ইমার্জ রূপে স্মৃতিতে রাখো আর সময়মতো কার্যে প্রয়োগ করো। সেইজন্য নিজের বুদ্ধির লাইন ক্লিয়ার রাখো। বুদ্ধির লাইন যত ক্লিয়ার এবং ক্লিন হবে ততই নির্ণয় শক্তি তীব্র হওয়ার কারণে যে সময় যে শক্তির আবশ্যকতা থাকবে তা' কার্যে লাগাতে পারবে, কেননা সময় অনুসারে বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চার বিঘ্ন-মুক্ত, সমস্যা-মুক্ত, পরিশ্রম-মুক্ত পুরুষার্থ দেখতে চান। হতে তো হবে সবাইকে, কিন্তু বহুকালের এই অভ্যাস প্রয়োজন। ব্রহ্মাবাবার বিশেষ সংস্কার তোমরা দেখেছো - "তাৎক্ষণিক দান মহাপুণ্য।" জীবনের আরম্ভ থেকে সব কার্যে তাৎক্ষণিক দান ও করেছেন, তাৎক্ষণিক কাজও করেছেন। ব্রহ্মাবাবার বিশেষত্ব - নির্ণয়-শক্তি সদা ফাস্ট ছিল। তো বাপদাদা রেজাল্ট দেখেছেন। সবাইকে সাথে তো নিয়েই যেতে হবে। বাপদাদার সাথে যাবে তো না! নাকি পিছনে পিছনে যাবে? যখন সাথেই যেতে হবে তো ফলো ব্রহ্মাবাবা। কর্মে ফলো ব্রহ্মাবাবা আর স্থিতিতে নিরাকারী শিববাবাকে ফলো করতে হবে। কীভাবে ফলো করতে হয় জানো তো না?

ডবল বিদেশিরা জানো কীভাবে ফলো করতে হয়? ফলো করা খুব সহজ তো না! যখন ফলোই করতে হবে তখন কেন, কী, কীভাবে... এগুলো সমাপ্ত হয়ে যাবে। তাছাড়া, সবার অনুভব আছে যে, কেন, কী, কীভাবে...এগুলো নিমিত্ত, ব্যর্থ সংকল্পের আধার। ফলো ফাদারে এই শব্দ সমাপ্ত হয়ে যায়। কীভাবে নয় - এভাবে। বুদ্ধি তৎক্ষণাৎ জাজ করে এভাবে চলো, এভাবে করো। তো বাপদাদা আজ বিশেষভাবে সব বাচ্চাকে, হতে পারে তারা প্রথমবার এসেছে, অথবা পুরানো, তাদেরকে এই ইশারা দেন যে নিজের মনকে স্বচ্ছ রাখো। অনেকের মনে এখনও ব্যর্থ আর নেগেটিভের ছোট -বড় দাগ রয়েছে। এর কারণ পুরুষার্থের শ্রেষ্ঠ স্পিড, তীব্রগতিতে বাধা উপস্থিত হয়। বাপদাদা সদা শ্রীমৎ দেন যে মনে সদা প্রত্যেক আত্মার প্রতি শুভ ভাবনা এবং শুভ কামনা রাখো - এটাই স্বচ্ছ মন। অপকারীর প্রতিও উপকার-বৃত্তি বজায় রাখা - এটা স্বচ্ছ মন। নিজের প্রতি বা অন্যের প্রতি ব্যর্থ সংকল্প আনা - এটা স্বচ্ছ মন নয়। তো স্বচ্ছ মন এবং ক্লিন আর ক্লিয়ার বুদ্ধি; জাজ করো, অ্যাটেনশনের সাথে নিজে নিজেকে দেখো, উপর উপর নয় যে, ঠিক আছে ঠিক আছে, না, ভেবে দেখো - মন আর বুদ্ধি স্পষ্ট? শ্রেষ্ঠ? তবেই ডবল লাইট স্থিতি হতে পারে। বাবা সমান স্থিতি বানানোর এটাই সহজ সাধন। আর এই অভ্যাস অন্তে নয়, বহুকালের অভ্যাস আবশ্যক। তো চেক করতে জানো তোমরা? নিজেকে চেক করবে, অন্যকে ক'রো না। বাপদাদা আগেও হাসির কথা বলেছিলেন যে, কিছু বাচ্চার দূরের নজর খুব তীক্ষ্ণ আর কাছের দৃষ্টি দুর্বল। সেইজন্য অন্যকে জাজ করতে খুব হুঁশিয়ার। নিজেকে চেক করতে দুর্বল হ'য়ো না।

বাপদাদা তোমাদের আগেও বলেছেন, যেমন এখন তোমাদের এটা পাকা হয়ে গেছে যে আমি ব্রহ্মাকুমারী বা ব্রহ্মাকুমার। ঘুরতে ফিরতে তোমাদের ভাবনায় - আমি ব্রহ্মাকুমারী, আমি ব্রহ্মাকুমার ব্রাহ্মণ আত্মা। ঠিক তেমনই এটা ন্যাচারাল স্মৃতি আর নেচার বানাও যে, "আমি ফরিস্তা।" অমৃতবেলায় ওঠার সাথে সাথে এটা পাক্কা করো যে আমি ফরিস্তা পরমাত্ম- শ্রীমতে নিচে এই সাকার তনে এসেছি, সবাইকে সমাচার দেওয়ার জন্য এবং শ্রেষ্ঠ কর্ম করার জন্য। কার্য সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে নিজের শান্তির স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও। উঁচু স্থিতিতে চলে যাও। একে অপরকেও ফরিস্তা স্বরূপে দেখ। তোমার বৃত্তি অন্যকেও ধীরে ধীরে ফরিস্তা বানিয়ে দেবে। তোমাদের দৃষ্টি অন্যের উপরেও প্রভাব ফেলবে। এটা পাক্কা যে আমি ফরিস্তা? 'ফরিস্তা ভব'র বরদান সবার প্রাপ্ত হয়েছে? এক সেকেন্ডে ফরিস্তা অর্থাৎ ডবল লাইট হতে পারো? এক সেকেন্ডে, মিনিটে নয়, ১০ সেকেন্ডে নয়, এক সেকেন্ডে ভাবার সাথে সাথে হয়ে গেলে, এমন অভ্যাস আছে তোমাদের? আচ্ছা যারা এক সেকেন্ডে হতে পারো, দু' সেকেন্ড নয়, এক সেকেন্ডে হতে পারো, তারা এক হাতের তালি বাজাও। হতে পারো? এমনিই হাত তুলো না। ডবল ফরেনার তুলছে না। টাইম লাগে কী? আচ্ছা যারা মনে করে একটু টাইম লাগে, এক সেকেন্ডে হয় না, একটু সময় লাগে, তারা হাত তোলো। (অনেকে হাত তুলেছে) ঠিক আছে, কিন্তু লাস্ট মুহূর্তের পেপার এক সেকেন্ডে আসার আছে, তখন কী করবে? অকস্মাৎ আসবে আর এক সেকেন্ডে আসবে। হাত তুলেছে, কোনো লোকসান নেই। উপলব্ধি করেছ, সেটাও খুব ভালো। কিন্তু এই অভ্যাস করতেই হবে। তোমাদের এটা অভ্যাস করতে বাধ্য বোধ করা উচিত নয়, বরং তোমাদের এটা করতেই হবে। এই অভ্যাস খুব খুব খুব আবশ্যক। ব্যাপদাদা তবুও তোমাদের কিছু টাইম দেন। কত টাইম তোমাদের প্রয়োজন? দু' হাজার সাল পর্যন্ত চাই? একবিংশ শতাব্দীর জন্য তো তোমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলে, ঢাক পিটিয়ে ঘোষণা করেছিলে, মনে আছে তোমাদের? চ্যালেঞ্জ করেছিলে - গোল্ডেন এজেড দুনিয়া আসবে, কিংবা বাতাবরণ বানাবো। চ্যালেঞ্জ করেছ তো না! তাহলে, এত পর্যন্ত তো অনেক টাইম আছে। যতটা অ্যাটেনশন স্ব প্রতি দিতে পারো, দিতে পারো নয়, দিতেই হবে। যেভাবে দেহ-ভাবে আসতে কত টাইম লাগে! দু' সেকেন্ড? না চাইতেও দেহ-ভাবে এসে যাও, তো কত টাইম লাগে? এক সেকেন্ড নাকি তার থেকেও কম লাগে? জানতেও পারো না যে দেহবোধে পৌঁছে গেছ। ঠিক সেভাবেই এই অভ্যাস করো - কিছু হচ্ছে বা কিছু করছো, সেটা কোনো ব্যাপার নয়, কিন্তু তোমরা যেন এটাও জানতে অপারগ হও যে আমি সোল-কনশিয়াস, পাওয়ারফুল স্থিতিতে ন্যাচারাল হয়ে গেছি। ফরিস্তা স্থিতি ন্যাচারাল হওয়া উচিত। নিজের নেচার যতটা ফরিস্তা ভাবের বানাবে, নেচার ততটা স্থিতিকে ন্যাচারাল করে দেবে। তো বাপদাদা কত সময় পরে জিজ্ঞাসা করবেন? কত সময় চাই? জয়ন্তী বলো। (দাদীজি বলেছেন আজকেরটা আজই হবে, কাল নয়) যদি আজকেরটা আজই হয় তবে এখন সবাই ফরিস্তা হয়ে গেছো তোমরা? হয়ে যাবে নয়। যদি যাবে তো কবে? বাপদাদা আজ ব্রহ্মাবাবার কোন সংস্কারের বিষয়ে বলেছেন? - 'তাৎক্ষণিক দান মহাপুণ্য।'

প্রত্যেক বাচ্চার প্রতি বাপদাদার ভালোবাসা আছে, তাইতো তিনি মনে করেন তার কোনও বাচ্চা কম নয়। নম্বরক্রম কেন? সবাই নম্বর ওয়ান যদি হয়ে যায় তবে

ভালো হয়! আচ্ছা - আজ অনেক গ্রুপ এসেছে।

প্রশাসক বর্গ ( অ্যাডমিনিস্ট্রেশন উইং) - নিজেরা মিলে তোমরা কী প্রোগ্রাম বানিয়েছো? এমন তীব্র পুরুষার্থের প্ল্যান বানিয়েছে যাতে শীঘ্রাতিশীঘ্র তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মার হাতে এই কার্য এসে যায়। বিশ্ব-পরিবর্তন যদি করতে হয় তবে সারা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বদলাতে হবে তো না! কীভাবে এই কার্য সহজভাবে এগিয়ে যাবে, ছড়িয়ে পড়বে সেটা ভেবেছো তোমরা? অন্ততপক্ষে বড়-বড়ো শহরে যারা নিমিত্ত রয়েছে তাদেরকে পার্সোনালি সমাচার দেওয়ার প্ল্যান তৈরি করেছো? নিদেনপক্ষে তারা যেন এটা বোঝে এখন আধ্যাত্মিকতার দ্বারা পরিবর্তন হতে পারে আর হওয়া উচিত। তো নিজেদের বর্গকে জাগাও, সেইজন্য এই বর্গ বানানো হয়েছে। বাপদাদা বর্গের সেবা দেখে খুশি, কিন্তু রেজাল্টে এটা দেখতে হবে যে প্রতিটা উইং (বর্গ) তাদের নিজের নিজের বর্গকে কতদূর পর্যন্ত মেসেজ দিয়েছে! অল্পবিস্তর জাগিয়েছে নাকি সহযোগী বানিয়েছে? সহযোগী সাথী বানিয়েছো তোমরা? ব্রহ্মাকুমার বানাওনি, কিন্তু সহযোগী সাথী বানিয়েছ তোমরা? সব বর্গকে বাপদাদা বলছেন যে যেরকম এখন ধর্ম নেতারা এসেছে, নম্বর ওয়ানরা ছিল না তবুও এক স্টেজে সবাই একত্র হয়েছে এবং সবার মুখ থেকে নির্গত হয়েছে যে আমাদের সবাইকে একসাথে মিলে আধ্যাত্মিক শক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন। ঠিক সেইরকমই প্রতিটি বর্গ (উইং) থেকে যারাই এসেছো, সেই প্রতিটা বর্গকে এই রেজাল্ট বের করতে হবে যে, আমাদের বর্গের মধ্যে মেসেজ কতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছে! দ্বিতীয়তঃ, আধ্যাত্মিকতার আবশ্যকতা আছে আর আমরাও সহযোগী হয়েছি – এই রেজাল্ট হতে হবে। তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হবে না কিন্তু সহযোগী হতে পারে। তো এখন পর্যন্ত প্রতিটি বর্গের জন্য যে সেবাই করেছো, যেমন এখন ধর্ম-নেতাদের ডেকেছো, তেমনই প্রতিটি দেশ থেকে প্রতিটি উইংয়ের জন্য করো। প্রথমে ইন্ডিয়াতেই করো, পরে ইন্টারন্যাশনাল ক'রো, প্রতিটি বর্গের এইরকম ভিন্ন ভিন্ন স্টেজের (স্থিতি) একত্রিত হবে এবং এটা যেন অনুভব করে যে আমাদের সহযোগী হতে হবে। প্রতিটি বর্গ থেকে এই সেবার রেজাল্ট এখন পর্যন্ত কত বের হয়েছে? তাছাড়া, ভাবিষ্যতের প্ল্যান কী? কেননা, এক একটি বর্গের একেকজন যদি অন্যদের সমীপে নিয়ে আসার এই লক্ষ্য বজায় রাখে, তাহলে সব বর্গের যারা সমীপ সহযোগী রয়েছে, তারা সংগঠিত হয়ে আবার বড় সংগঠন বানাবে। তাছাড়া, একে অন্যকে দেখে তাদেরও উৎসাহ-উদ্দীপনা আসে। তারা এখন এদিকে-ওদিকে ছড়িয়ে আছে, কোনো শহরে কিছু, তো কোনো শহরে কিছু। যদি ভারতেও দেখো, তো ভালো ভালো সহযোগী আত্মারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বেরিয়েছে কিন্তু তারা গুপ্ত থেকে যায়। তাদেরকে একসঙ্গে নিয়ে কোনো বিশেষ প্রোগ্রাম রেখে যদি অনুভবের লেনদেন করা হয় তা'তে ফারাক পড়ে, তারা সমীপে এসে যায়। কোনো বর্গের ৫ আত্মা হবে, কারও ৮ হবে, করোও ২৫-৩০ও হবে। সংগঠনে আসায় সামনে এগিয়ে যায়। উদ্যম-উল্লাস বাড়ে। তো এখন পর্যন্ত যে সব বর্গের সেবা হয়েছে, তার রেজাল্ট বের হওয়া উচিত। শুনেছো, সব বর্গের সবাই শুনছো তো না! সব বর্গ থেকে বিশেষভাবে যারা এসেছো তারা হাত তোলো। অনেকে রয়েছো। তো এখন রেজাল্ট দাও - কত কত, কে কে এবং কত পার্সেন্টে সমীপ সহযোগী হয়েছো? তারপরে তাদের জন্য চিত্তাকর্ষক প্রোগ্রাম বানাবে। ঠিক আছে তো না!

যারা তোমরা মধুবনের তারা খালি থেকে যেও না। খালি থাকতে চাও তোমরা? বিজি থাকতে চাও তো না! নাকি শ্রান্ত হয়ে পড়ো? মধ্যে মধ্যে ১৫ দিনের ছুটিও হয়, আর হওয়াও দরকার। কিন্তু প্রোগ্রামের পরে প্রোগ্রামের লিস্টে হওয়া উচিত তাহলে উৎসাহ- উদ্দীপনা বজায় থাকে। নয়তো যখন তোমাদের সেবা থাকে না তখন দাদি বলেন তোমাদের বিষয়ে একটা কমপ্লেন্ট থাকে। বাবা বলবেন তোমাদের কমপ্লেন্ট এর ব্যাপারে? বলেন, তোমরা সবাই নিজের নিজের গ্রামে যেতে চাও। ঘুরে আসতে চাও এবং সেখানে কিছু সেবাও হয়ে যায়। সেই কারণে তোমাদের নিজেদেরকে বিজি রাখতে এটা ভালো। যদি তোমরা বিজি থাকো তাহলে কোনোরকম খিটখিট হবে না। তাছাড়া দেখো, যারা মধুবনের তাদের বিশেষত্বের জন্য বাপদাদা পদ্মগুন অভিনন্দন জানান। ১০০ গুনও নয়, বরং পদ্মগুন। কোন্ বিষয়ে? যারাই আসে তাদের সেবা করার জন্য মধুবনের সকলের এমন গভীর ভালোবাসা বেরিয়ে আসে যে তাদের ভিতরে যা থাকে সেসব লুকিয়ে পড়ে। তারা অব্যক্ত প্রতীয়মান হয়। ক্লান্তিহীন মনে হয় এবং সকলে রিমার্ক লিখে যায় যে এখানে তো প্রত্যেকে ফরিস্তা প্রতিভাত হচ্ছে। তো এই বিশেষত্ব খুব ভালো যা সেই সময় বিশেষ উইল পাওয়ার এসে যায়। সেবার ঝলক থাকে। তাইতো বাপদাদা এই সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন। তবে তো অভিনন্দন দেওয়া উচিত না! তাহলে তালি তো বাজাও মধুবনের তোমরা। খুব ভালো। সেই সময় বাপদাদাও আসেন। পরিভ্রমণ করতে আসেন, তোমরা জানতে পারো না, কিন্তু বাপদাদা পরিভ্রমণ করতে আসেন। সুতরাং মধুবনের এই বিশেষত্ব আরও বাড়বে। আচ্ছা।

মিডিয়া উইং : - ফরেনেও মিডিয়া উইং শুরু হয়েছে, তাই না! বাপদাদা দেখেছেন মিডিয়া এখন ভালো মেহনত করেছে। এখন সংবাদপত্রেও বের হতে শুরু করেছে এবং তারা ভালোবাসার সাথেও দেয়। তো পরিশ্রমের ফলও তোমাদের প্রাপ্ত হচ্ছে। টি. ভি.তে যেমন কেউ পার্মানেন্টলি নির্দিষ্ট সময় দিয়েছে, ঠিক তেমনই সংবাদপত্রের ক্ষেত্রেও এখন আরও বিশেষভাবে সময় দাও। প্রতিদিন বের হয় তো না! (শিলুদিদি বক্তব্য রাখলেন) তো এই প্রগ্রেস ভালো। যখন সবাই শোনে ভালো অনুভব হয়। একইভাবে, সংবাদপত্রে হয় সপ্তাহে বা প্রতিদিন অথবা প্রতি দ্বিতীয় দিনে বিশেষ এক পিস আর্টিকেল (এক টুকরো) নিশ্চিত যেন হয়ে যায় যে অধ্যাত্ম শক্তি বাড়ানোর এটাই সুযোগ। এমনভাবে পুরুষার্থ করো। বাস্তবে, তোমরা সফল, আর তোমাদের কানেকশনও ভালোভাবে বাড়ছে। এখন সংবাদপত্রের মাধ্যমে কিছু চমৎকার করে দেখাও। করতে পারো? এই গ্রুপ, তোমরা করতে পারো? হাত তোলো - হ্যাঁ করবে। উদ্যম-উল্লাস যদি থাকে তো সফলতা আছেই। কেন হতে পারবে না! অবশেষে তো সময় আসবে যখন সব সাধন তোমাদের তরফ থেকে ইউজ হবে। তোমাদের অফার করা হবে। তারা তোমাদের এসব অফার করবে আর তার পরিবর্তে কিছু চাইবে - আমাদের কিছু দাও, কিছু দাও। আমাদের সাহায্য নাও। এখন তোমাদের বলতে হয় সহযোগী হও, এরপরে তারা বলবে আমাদের সহযোগী বানাও। শুধু এই বিষয়টিকে পাক্কা করো - ফরিস্তা! ফরিস্তা! ফরিস্তা! তারপরে দেখো তোমাদের কাজ কত তাড়াতাড়ি হয়! তোমাদেরকে তাদের পিছনে পড়তে হবে না, বরং তারাই ছায়ার মতো তোমাদের পিছনে আসবে। তারা শুধু তোমাদের থেমে থাকার জন্য থেমে আছে। এভাররেডি হয়ে যাও তো শুধু সুইচ টিপতে যেটুকু দেরি, ব্যস্। তোমরা ভালো করছো আর করবেও।

চতুর্দিকের দেশ বিদেশের সাকার স্বরূপে কিংবা সূ‍ক্ষ্ম স্বরূপে মিলন উদযাপন করা সকল স্বরাজ্য অধিকারী আত্মাদের, সদা এই শ্রেষ্ঠ অধিকারকে নিজের আচরণ এবং মুখমণ্ডল দ্বারা যারা প্রত্যক্ষ করায় সেই বিশেষ আত্মাদের, সদা বাপদাদাকে ফলো করে, সদা মনকে স্বচ্ছ এবং বুদ্ধিকে ক্লিয়ার রাখে, এমন স্বতঃ তীব্র পুরুষার্থী আত্মাদের, সদা সাথে থাকা এবং সাথে চলা ডবল লাইট বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

বরদান:-
সাধনকে নির্লেপ বা ডিট্যাচ হয়ে কার্যে প্রয়োগ করে অসীমের বৈরাগী ভব

অসীমের বৈরাগী অর্থাৎ কারো প্রতি আকর্ষণ নেই, সদা বাবার প্রিয়। এই প্রিয়ভাবই ডিট্যাচ বানায়। বাবার প্রিয় না হলে ডিট্যাচ হতেও পারবে না, আকর্ষণে এসে যাবে। যারা বাবার প্রিয় তারা সব আকর্ষণের ঊর্ধ্বে অর্থাৎ ডিট্যাচ হবে - একেই বলা হয় নির্লেপ স্থিতি। কোনও সীমাবদ্ধতার আকর্ষণের প্রলেপে আসে না। রচনা এবং সাধনের প্রতি নির্লেপ হয়ে কার্য-প্রয়োগে নিয়ে আসবে - অসীমের এই বৈরাগীই হলো রাজঋষি ।

স্লোগান:-
তোমাদের হৃদয় যখন সত্য-স্বচ্ছ হবে তখন সাহেব প্রসন্ন হয়ে যাবেন।