09.12.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বিনাশের পূর্বে সকলকে বাবার পরিচয় দিতে হবে, নিজে ধারণ করে অন্যদের বোঝাও, তবেই
উচ্চপদ লাভ করতে পারবে"
প্রশ্নঃ -
রাজযোগী
স্টুডেন্টদের প্রতি বাবার ডায়রেক্শন কী?
উত্তরঃ
তোমাদের জন্য
(বাবার) ডায়রেক্শন হলো যে, একমাত্র বাবার হয়ে গিয়ে তারপর আর কাউকে মন দেবে না।
প্রতিজ্ঞা করো পুনরায় আর পতিত হবে না। তোমরা সম্পূর্ণরূপে এমন পবিত্র হয়ে যাও যে
বাবা আর টিচারের স্মরণ যেন স্বতঃ আর নিরন্তর হয়ে থাকে । একমাত্র বাবাকেই ভালোবাসো,
তাঁকেই স্মরণ করো, তবেই তোমরা অত্যধিক শক্তি প্রাপ্ত করতে থাকবে।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা
বসে বোঝান। বোঝান তখনই যখন এই শরীর বর্তমান। সম্মুখেই বোঝান হয়। যা সম্মুখে বোঝান
হয় সেটাই আবার লেখনীর মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছায়। তোমরা এখানে আসো সামনে (বসে)
শোনার জন্য। অসীম জগতের বাবা আত্মাদের শোনান। আত্মাই শোনে। সবকিছু আত্মাই করে এই
শরীরের দ্বারা, সেইজন্য সর্ব প্রথমে নিজেকে আত্মা অবশ্যই মনে করতে হবে। কথায়ও রয়েছে
যে, 'আত্মারা আর পরমাত্মা পৃথক ছিল বহুকাল....'। সর্বপ্রথমে কারা বাবার কাছ থেকে
দূর হয়ে আসে এখানে পার্ট প্লে করতে? তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, কতকাল তোমরা বাবার
কাছ থেকে দূরে ছিলে? তখন তোমরা বলবে, ৫ হাজার বছর। সম্পূর্ণ হিসেব তো রয়েছে, তাই
না। বাচ্চারা, এ তো তোমরা জানো যে, নম্বরের ক্রমানুসারে কিভাবে আসে। বাবা, যিনি উপরে
(পরমধামে) ছিলেন, তিনিও এখন নীচে নেমে এসেছেন - তোমাদের ব্যাটারী চার্জ করতে। এখন
বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এখন বাবা সম্মুখে রয়েছেন, তাই না। বাবার অক্যুপেশনের কথা
ভক্তিমার্গের কেউ জানেই না। নাম, রূপ, দেশ, কাল-কে কেউ জানেই না। তোমাদের তো নাম,
রূপ, দেশ, কালের কথা সব জানা আছে। তোমরা জানো যে, এই রথের(ব্রহ্মা) দ্বারা বাবা
আমাদের সব রহস্য বোঝান। রচয়িতা এবং রচনার আদি, মধ্য, অন্তের রহস্য বোঝান। এ হলো অতি
সূক্ষ্ম বিষয়। এই মনুষ্য সৃষ্টি-রূপী বৃক্ষের বীজ হলেন একমাত্র বাবা। তিনি এখানে
অবশ্যই আসেন। নতুন দুনিয়া স্থাপন করা ওনারই কাজ। এমন নয় যে, ওখানে (পরমধাম) বসে
স্থাপন করেন। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, বাবা এই শরীরের দ্বারা আমাদের সম্মুখে বসে
বোঝান। এও তো বাবার স্নেহ করাই হলো, তাই না। আর কেউই তাঁর বায়োগ্রাফী জানে না। গীতা
হলো আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্র। এও তোমরা জানো যে - এই জ্ঞানের পরেই আসে
বিনাশ। বিনাশ অবশ্যই হবে। আর যেসব ধর্মস্থাপকেরা আসে, তাদের আগমনের পর বিনাশ হয় না।
বিনাশের সময়ই হলো এটা, তাই তোমরা যে জ্ঞান পাও তা পুনরায় লুপ্ত হয়ে যায়। বাচ্চারা,
তোমাদের বুদ্ধিতে এসব কথা রয়েছে। তোমরা রচয়িতা আর রচনাকে জেনে গেছো। দুটোই হলো অনাদি
যা চলে আসছে। বাবার আসার পার্ট হলো সঙ্গমযুগে। ভক্তি অর্ধকল্প চলে, জ্ঞান চলে না।
জ্ঞানের প্রালব্ধ বা উত্তরাধিকার (বর্সা) অর্ধকল্পের জন্য প্রাপ্ত হয়। জ্ঞান তো
একবারই শুধুমাত্র সঙ্গমেই পাওয়া যায়। তোমাদের এই ক্লাস একবারই চলে। এইকথা ভালোভাবে
বুঝে পুনরায় অন্যদেরকেও বোঝাতে হবে। পদপ্রাপ্তির যোগ্যতা সম্পূর্ণ নির্ভর করে
সেবার উপরে। তোমরা জানো, পুরুষার্থ করে, এখন নতুন দুনিয়ায় যেতে হবে। ধারণা করতে হবে
আর অন্যদের-কেও বোঝাতে হবে - এর উপরেই তোমাদের পদ নির্ভর করছে। বিনাশের পূর্বে সকলকে
বাবার পরিচয় দিতে হবে আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তের পরিচয় দিতে হবে। তোমরাও বাবাকে
স্মরণ করো যেন জন্ম-জন্মান্তরের পাপ কেটে যায়। যতক্ষণ বাবা পড়াতে থাকেন, ততক্ষণ
তাঁকে স্মরণ অবশ্যই করতে হবে। পড়ান যিনি, তাঁর সঙ্গে যোগ রাখতে হবে, তাই না। টিচার
যখন পড়ান তখন ওঁনার সঙ্গে যোগ তো থাকে। যোগ ব্যতীত পড়বে কীভাবে ? যোগ অর্থাৎ যিনি
পড়ান, তাঁকে স্মরণ করা। ইনি হলেন বাবাও, টিচারও, সদ্গুরুও। তিনরূপেই সম্পূর্ণভাবে
স্মরণ করতে হবে। এই সদ্গুরুকে তোমরা একবারই পাও। জ্ঞানের দ্বারা সদ্গতি প্রাপ্ত হয়।
ব্যস্, তখন থেকে গুরু-প্রথা সমাপ্ত। বাবা আর টিচারের রীতি-রেওয়াজ চলতে থাকে,
গুরু-প্রথা সমাপ্ত হয়ে যায়। সদ্গতি লাভ হয়ে গেছে, তাই না। বাস্তবিকই তোমরা
নির্বাণধামে যাও, পুনরায় নিজেদের সময়ানুসারে নিজের পার্ট প্লে করতে আসবে।
মুক্তি-জীবনমুক্তি দুটোই তোমরা প্রাপ্ত করো। মুক্তিও অবশ্যই পাও। অল্পসময়ের জন্য ঘরে
গিয়ে থাকবে। এখানে তো শরীরের মাধ্যমে পার্ট প্লে করতে হয়। পরে সব অ্যাক্টর চলে আসবে।
নাটক যখন সম্পূর্ণ হয় তখন সব অ্যাক্টররাই স্টেজে চলে আসে। এখনও সব অ্যাক্টররা স্টেজে
এসে সমাবেত হয়েছে। কত ভয়ানক যুদ্ধ। সত্যযুগ ইত্যাদিতে এত ভয়ানক যুদ্ধ হতো না। এখন
কতো অশান্তি। তাই এখন যেমন বাবার সৃষ্টি-চক্রের নলেজ রয়েছে তেমন বাচ্চাদেরও এই নলেজ
রয়েছে। বীজের তো এই জ্ঞান রয়েছে যে - আমাদের বৃক্ষ কিভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায়
সমাপ্ত হয়ে যায়। এখন তোমরা বসে আছো নতুন দুনিয়ার স্যাপলিং (চারা) বা আদি সনাতন
দেবী-দেবতা ধর্মের স্যাপলিং লাগানোর জন্য। তোমরা জানো যে, এই লক্ষ্মী-নারায়ণ তাঁদের
রাজ্য কিভাবে পেয়েছে? তোমরা জানো যে, আমরা এখন নতুন দুনিয়ার প্রিন্স হবো। ওই
দুনিয়ায় যারা থাকবে তারা সকলে নিজেদের মালিকই বলবে, তাই না। যেমন, এখনও সকলে বলে
যে, ভারত আমাদের দেশ। তোমরা জানো যে, আমরা এখন সঙ্গমে দাঁড়িয়ে রয়েছি, শিবালয়ে যাব।
ব্যস্, এখনই যাবো-যাবো করছি। আমরা গিয়ে শিবালয়ের মালিক হব। এটাই হলো তোমাদের এইম
অবজেক্ট। যথা রাজা-রানী তথা প্রজা, সকলেই শিবালয়ের মালিক হয়ে যায়। এছাড়া রাজধানীতে
বিভিন্ন স্ট্যাটাস(পদমর্যাদা) তো থাকেই। ওখানে কোনো পরামর্শদাতা (উজীর) থাকে না।
পরামর্শদাতার প্রয়োজন তখন পড়ে যখন অপবিত্র হয়ে যায়। লক্ষ্মী-নারায়ণ বা রাম-সীতার
পরামর্শদাতা কখনো শোনোনি কারণ তাঁরা স্বয়ং সতোপ্রধান পবিত্র বুদ্ধিসম্পন্ন। পুনরায়
যখন পতিত হয়ে যায় তখন রাজা-রানী একজন পরামর্শদাতা রাখে রায় নেওয়ার জন্য। দেখো, এখনও
তো অসংখ্য পরামর্শদাতা রয়েছে।
বাচ্চারা, তোমরা জানো
যে, এ হলো অতি মজার খেলা। খেলা সর্বদা মজারই হয়। সুখও থাকে, আবার দুঃখও থাকে।
বাচ্চারা, তোমরা এই অসীম জগতের খেলাকে জানো। এতে কান্নাকাটি, লড়াই-ঝগড়ার কোনো কথাই
নেই। গাওয়াও হয় যে, যা হয়ে গেছে হয়ে গেছে, দেখো..... যা পূর্ব-নির্ধারিত তারই
পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এই নাটক তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। আমরা এর (নাটকের) অ্যাক্টর্স।
আমাদের ৮৪ জন্মের পার্ট অ্যাক্যুরেট, অবিনাশী। যারা যে জন্মে যে অ্যাক্ট করতে এসেছে
তারা সেটাই করবে। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বেও তোমাদের একথাই বলেছিলাম যে নিজেদের
আত্মা মনে করো। গীতাতেও এই শব্দ রয়েছে। তোমরা জানো যে, অবশ্যই যখন আদি সনাতন
দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন হয়েছিল, তখন বাবা বলেছিলেন দেহের সর্ব ধর্মকে পরিত্যাগ করে
নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো আর বাবাকে স্মরণ করো। 'মন্মনাভব'-র অর্থও বাবা সঠিকভাবে
বুঝিয়েছেন। ভাষাও একটাই। এখানে দেখো কত অসংখ্য ভাষা রয়েছে। ভাষা নিয়েও কত শোরগোল হয়।
ভাষা ব্যতীত তো কোনো কার্য সম্পন্ন হতে পারে না। এমন-এমন ভাষা শিখে আসে যে
মাতৃভাষাই ভুলে যায়। যারা অনেক ভাষা শেখে তারা পুরস্কার পায়। যত ধর্ম তত ভাষা। তোমরা
জানো, ওখানে তো আমাদেরই রাজত্ব হবে। ভাষাও এক হবে। এখানে তো ১০০ মাইল পর-পর একেক
ভাষা। ওখানে একটাই ভাষা। এসব কথা বাবা বসে বোঝান, তাই বাবাকেই স্মরণ করতে থাকো।
শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা বোঝান। রথ তো অবশ্যই চাই। শিববাবা আমাদের পিতা। বাবা বলেন,
আমার বাচ্চারা তো অসীম জগতের। বাবা এঁনার মাধ্যমে পড়ান, তাই না। টিচারকে কখনো
আলিঙ্গন করে কী, না করে না। বাবা তোমাদের পড়াতে এসেছেন। রাজযোগ শেখান, তবে তো তিনি
টিচার হলেন, তাই না। তোমরা হলে স্টুডেন্ট। স্টুডেন্ট কখনো টিচারকে আলিঙ্গন করে কী ?
একমাত্র বাবার কাছেই (নিজেকে) সমর্পণ করে আর অন্য কাউকে মন দিও না।
বাবা বলেন, আমি
তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাতে এসেছি, তাই না। তোমরা শরীরধারী, আমি অশরীরী, উপরে বসবাসকারী।
তোমরা বলো, বাবা আমাদের পবিত্র করতে এসো, তাহলে তো তোমরা পতিত, তাই না। তাহলে আমাকে
আলিঙ্গন কীভাবে করবে ? প্রতিজ্ঞা করে পুনরায় অপবিত্র হয়ে যায়। যখন সম্পূর্ণ পবিত্র
হয়ে যাবে তখন আবার তা স্মরণেও থাকবে। শিক্ষককে, গুরুকে স্মরণও করতে থাকবে। এখন যদি
ছিঃ ছিঃ হয়ে অধঃপতনে যায় তবে আরও শতগুণ দন্ড ভোগ করতে হবে । এনাকে (ব্রহ্মা) তো মাঝে
দালাল-রূপে পেয়েছো, স্মরণ ওনাকে (শিব) করতে হবে। বাবা (ব্রহ্মা) বলেন - আমিও ওনার
চতুর বাচ্চা, কিন্তু আমি কোথায় আলিঙ্গন করতে পারি ! তোমরা তো এই শরীরের দ্বারা
মিলিত হও। আমি ওনাকে কীভাবে আলিঙ্গন করবো? বাবা বলেন - বাচ্চারা! তোমরা একমাত্র
বাবাকেই স্মরণ করো, ভালোবাসো। স্মরণের দ্বারা অনেক শক্তি প্রাপ্ত হয়। বাবা হলেন
সর্বশক্তিমান। বাবার থেকেই তোমরা এত শক্তি পাও। তোমরা কত বলবান হয়ে যাও। তোমাদের
রাজধানীর উপরে আর কেউ-ই বিজয় প্রাপ্ত করতে পারে না। রাবণ-রাজ্যই সমাপ্ত হয়ে যায়।
দুঃখ দেওয়ার মতো আর কেউ থাকেই না। একে সুখধাম বলা হয়। রাবণ সমগ্র বিশ্বে সকলকে দুঃখ
দেয়। জানোয়ারও দুঃখী থাকে। ওখানে তো জানোয়ারদেরও পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা থাকে। এখানে
তো ভালোবাসাই নেই।
বাচ্চারা, তোমরা জানো
এই ড্রামা কিভাবে আবর্তিত হয়। এর আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বাবা-ই বোঝান। কেউ সঠিকভাবে
পড়ে, কেউ পড়ে না। পড়ে তো সকলেই, তাই না। সমগ্র দুনিয়াই পড়বে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ
করবে। বাবাকে স্মরণ করা -- এও তো পড়া, তাই না। ওই পিতাকে সকলেই স্মরণ করে, তিনি
হলেন সকলের সদ্গতিদাতা। সকলকে সুখ প্রদান করেন। তারা বলেও যে, এসে, পবিত্র করো তাহলে
অবশ্যই এখন পতিত। ওনার এটাই কাজ, তাই ওনাকে আহ্বান করা হয়।
তোমাদের ভাষাও
কারেক্ট হওয়া চাই । ওরা (মুসলিম) বলে 'আল্লাহ্', ওরা (খ্রীস্টান) বলে 'গড', আবার
গডফাদারও বলে। পরে যারা আসে তাদের বুদ্ধি তবুও ভালো থাকে। এত দুঃখ ভোগ করে না। এখন
তোমরা সম্মুখে বসে রয়েছো, কী করছো? বাবাকে এই ভ্রুকুটিতে দেখো। বাবা আবার তোমাদের
ভ্রুকুটিতে দেখেন। যার মধ্যে প্রবেশ করি তাঁকে কি দেখতে পারি? তিনি তো পাশে বসে
রয়েছেন, এ অতি বুঝবার মতো বিষয়। আমি এঁনার পাশে বসে রয়েছি। ইনিও বোঝেন যে, আমার পাশে
বসে রয়েছেন। তোমরা বলবে, আমরা সম্মুখে দু'জনকে দেখতে পাই। বাবা আর দাদা - দুই
আত্মাকেই দেখো। তোমাদের মধ্যে এই জ্ঞান রয়েছে যে - বাপদাদা কাকে বলে? আত্মা সম্মুখে
বসে রয়েছে। ভক্তিমার্গে চোখ বন্ধ করে বসে শোনে। পড়া কি এভাবে কখনো হতে পারে, না পারে
না। টিচারকে দেখতে হবে তো, তাই না। ইনি তো বাবাও, টিচারও তাই সামনে থেকে দেখতে হয়।
সম্মুখে বসে রয়েছেন আর চোখ বন্ধ, ঢুলে পড়ছে, এভাবে পড়া হয় না। স্টুডেন্ট টিচারকে
অবশ্যই দেখতে থাকবে। তা নাহলে টিচার বলবে, এ তো ঢুলতেই থাকে। এ যেন কেউ ভাং খেয়ে
এসেছে। তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে, বাবা এই শরীরে রয়েছেন। আমি বাবাকে দেখি। বাবা
বোঝান যে, এ কোন সাধারণ ক্লাস নয় - যেখানে কেউ চোখ বন্ধ করে বসবে। স্কুলে কখনও কেউ
চোখ বন্ধ করে বসে কী? আর কোন সৎসঙ্গ-কে স্কুল বলা হয় না। অবশ্যই সেখানে বসে গীতা
শোনানো হয় কিন্তু তাকে স্কুল বলা হয় না। তারা কী কোনো পিতা যে তাদের দেখবে, না দেখবে
না। কেউ-কেউ শিবের ভক্ত হয় তখন তারা শিবকেই স্মরণ করে, শুধু তাঁর কথাই কর্ণগোচর হয়।
যারা শিবের ভক্তি করে তারা শিবকেই স্মরণ করবে। কোন সৎসঙ্গে প্রশ্ন-উত্তর ইত্যাদি
থাকে না, এখানে থাকে। এখানে তোমাদের আমদানি অনেক। আমদানি হতে থাকলে কখনও হাই উঠতে (ক্লান্তি)
পারে না। ধন প্রাপ্ত হয়, তাই না, তখন খুশীও হয়। হাই তোলা দুঃখের প্রতীক। রোগগ্রস্ত
বা দেউলিয়া হয়ে গেলে তখন হাই উঠতে থাকবে । ধন প্রাপ্ত হতে থাকলে তখন আর কোন হাই
উঠবে না। বাবা আবার ব্যাপারীও। রাতে স্টীমার আসত তখন রাতে জাগতে হতো। কোনো কোনো
বেগম রাতে আসে, তাই শুধু ফিমেলদের জন্যই খুলে রাখা হয়। বাবাও বলেন, প্রদর্শনী
ইত্যাদিতে ফিমেলদের জন্য বিশেষ দিন রাখো, তাহলে অনেকেই আসবে। পর্দার আড়ালে (ঘোমটার
আড়ালে) যারা থাকে তারাও আসবে। অনেকেই পর্দার আড়ালে থাকে। মোটরগাড়িতেও পর্দা দেওয়া
থাকে। এখানে এ হলো আত্মার কথা। জ্ঞান লাভ করলে (অজ্ঞানতার) পর্দা খুলে যাবে।
সত্যযুগে পর্দা ইত্যাদি থাকেই না। এ হলো প্রবৃত্তিমার্গের জ্ঞান, তাই না। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এ
বড়ই মজার খেলা বানানো রয়েছে, এতে সুখ আর দুঃখের পার্ট ফিক্সড হয়ে রয়েছে তাই এখানে
কান্নাকাটি বা হা হুতাশ করবার কিছু নেই। বুদ্ধিতে যেন থাকে যে এই ড্রামা হলো
পূর্ব-নির্ধারিত, সেটাই আবার রিপিট হচ্ছে । অতীত অতিক্রান্ত, তাই তাকে নিয়ে চিন্তন
করা উচিত নয়।
২ ) এ কোনো কমন ক্লাস
নয়, এখানে চোখ বন্ধ করে বসা উচিত নয়। টিচারকে সামনে দেখতে হবে। হাই তোলা উচিত নয়।
হাই তোলা হলো দুঃখের লক্ষণ।
বরদান:-
সন্তুষ্টতার তিন সার্টিফিকেট এর দ্বারা নিজের যোগী জীবনের প্রভাব বিস্তারকারী
সহজযোগী ভব
সন্তুষ্টতা হলো যোগী
জীবনের বিশেষ লক্ষ্য। যে সদা সন্তুষ্ট থাকে আর সবাইকে সন্তুষ্ট করে তার যোগী জীবনের
প্রভাব অন্যদের উপর স্বতঃই প্রভাব বিস্তার করে। যেরকম সায়েন্সের সাধনগুলির প্রভাব
বায়ুমন্ডলের উপর পড়ে, এইরকম সহজযোগী জীবনেরও প্রভাব বায়ুমন্ডলের উপর পড়ে। যোগী
জীবনের তিন সার্টিফিকেট হলো - এক - নিজে সন্তুষ্ট, দুই - বাবা সন্তুষ্ট আর তৃতীয় হলো
- লৌকিক অলৌকিক পরিবার সন্তুষ্ট।
স্লোগান:-
স্বরাজ্যের তিলক, বিশ্ব কল্যাণের মুকুট আর স্থিতির সিংহাসনে বিরাজমান থাকাই হলো
রাজযোগী।