10.02.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের বাবার দ্বারা যে অদ্বৈত মত প্রাপ্ত হচ্ছে, সেই মত অনুযায়ী চলে কলিযুগী
মানুষকে সত্যযুগী দেবতায় পরিণত করার শ্রেষ্ঠ কর্তব্য করতে হবে"
প্রশ্নঃ -
সকল মানুষ
মাত্রই কেন দুঃখী হয়ে থাকে, এর মূল কারণ কি?
উত্তরঃ
রাবণ সবাইকে
অভিশপ্ত করে দিয়েছে, সেইজন্য সকলে দুঃখী হয়ে পড়েছে। বাবা স্বর্গীয় উত্তরাধিকার
প্রদান করেন, রাবণ অভিশপ্ত করে - দুনিয়া এটাও জানে না। বাবা উত্তরাধিকার দিয়েছেন
তাই তো ভারতবাসী এতো সুখী স্বর্গের মালিক হয়েছে, পূজ্য হয়েছে। অভিশপ্ত হওয়ার ফলে
পূজারী হয়ে যায়।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এখানে
অর্থাৎ মধুবনে আসে বাপদাদার কাছে। প্রথমে যখন আসো তো দেখো ভাই বোন বসে আছে আবার পরে
যখন দেখো বাপদাদার অবতরণ হয়েছে, তখন বাবার স্মরণ আসে। তোমরা হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মার
সন্তান, ব্রাহ্মণ আর ব্রাহ্মণী। ওই ব্রাহ্মণরা তো ব্রহ্মা বাবার পরিচয়ই জানে না।
তোমরা বাচ্চারা জানো- বাবা যখন আসেন তো ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করও অবশ্যই চাই। বলাই হয়
ত্রিমূর্তি শিব ভগবানুবাচ। এখন তিনি তিন জনের দ্বারা তো বলবেন না। এই ব্যাপারে
বুদ্ধিতে ভালো রকম ধারণা করতে হবে। অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অবশ্যই স্বর্গের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে, সেইজন্য সকল ভক্ত ভগবানের কাছে কি চায়? জীবনমুক্তি। এখন
হলো জীবন-বন্ধ। সকলে বাবাকে স্মরণ করে যে এসে এই বন্ধন থেকে মুক্ত করো। বাচ্চারা,
এখন তোমরাই জানো যে বাবা এসে গেছেন। কল্প- কল্প বাবা আসেন। ডাকেও - তুমি মাতা পিতা...
কিন্তু এর অর্থ তো কেউ বোঝে না। নিরাকার বাবার ক্ষেত্রে যে বলা হয় সেটা বোঝে। গান
গেয়ে থাকে, কিন্তু কিছুই প্রাপ্তি নেই। এখন বাচ্চারা, তোমাদের ওনার থেকে
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় আবার পরের কল্পে প্রাপ্ত হবে। বাচ্চারা জানে যে বাবা অর্ধ
কল্পের জন্য এসে উত্তরাধিকার প্রদান করেন, রাবণ আবার অভিশাপ দেয়। এটাও দুনিয়া জানে
না যে আমরা সকলে অভিশপ্ত। রাবণের অভিশাপ লেগেছে সেইজন্য সকলে দুঃখী হয়েছে। ভারতবাসী
সুখী ছিলো। কাল এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ভারতে ছিলো। দেবতাদের সামনে মাথা ঠোকে,
পূজা করে কিন্তু সত্যযুগ কবে ছিলো, এটা কারোর জানা নেই। এখন দেখো লক্ষ বছরের আয়ু
শুধুমাত্র সত্যযুগকে দেখিয়ে দিয়েছে, আবার ত্রেতার, দ্বাপর-কলিযুগ - সেই হিসেবে
মানুষ কতো বেশী হয়ে যাবে। শুধুমাত্র সত্যযুগেই অনেক মানুষ হয়ে যাবে। কোনো মানুষের
বুদ্ধিতেই বসে না। বাবা বসে বোঝান যে দেখো গাওয়াও হয় ৩৩ কোটি দেবতা হয়। এইরকম কি
আর কেউ লক্ষ বছরে হতে পারে! তাই এটাও মানুষকে বোঝাতে হবে।
এখন তোমরা বোঝো যে
বাবা আমাদের স্বচ্ছ বুদ্ধি সম্পন্ন তৈরী করেন। রাবণ ম্লেচ্ছ বুদ্ধি সম্পন্ন করে।
মুখ্য ব্যাপার তো হলো এটাই। সত্যযুগে হলো পবিত্র, এখানে হলো অপবিত্র। এটাও কারোর
জানা নেই যে রাম রাজ্য কবে থেকে কবে পর্যন্ত? রাবণ রাজ্য কবে থেকে কবে? মনে করে
এখানেই রাম রাজ্য আবার রাবণ রাজ্যও। অনেক মত-মতান্তর আছে যে। যত মানুষ ততই মত।
বাচ্চারা, এখন এখানে তোমাদের এক অদ্বৈত মত প্রাপ্ত হয়, যা বাবা প্রদান করেন। তোমরা
এখন ব্রহ্মার দ্বারা দেবতা হচ্ছো। দেবতাদের মহিমা গাওয়া হয় - সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬
কলা সম্পূর্ণ... তারাও যে হলো মানুষ, মানুষের মহিমা কী গাওয়া হয়? পার্থক্য তো
অবশ্যই থাকে। এখন তোমরা বাচ্চারাও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে মানুষকে দেবতায়
পরিণত করার কর্তব্য শিখছো। কলিযুগী মানুষকে তোমরা সত্যযুগে দেবতায় পরিণত করো অর্থাৎ
শান্তিধাম, ব্রহ্মান্ড আর বিশ্বের মালিক করো, এটা তো আর শান্তিধাম নয়। এখানে তো
অবশ্যই কর্ম করতে হবে। সেখানে হলো সুইট সাইলেন্স হোম। বাচ্চারা, তোমরা এখন বুঝতে
পারো যে আমরা এই আত্মারা হলাম সুইট হোম, ব্রহ্মান্ডের মালিক। এখন তোমরা বাচ্চারা
যোগ্য হয়ে উঠছো। এইম অবজেক্ট অ্যাকিউরেট সামনে রয়েছে । তোমরা বাচ্চারা হলে যোগবল
সম্পন্ন। তারা হলো বাহুবল সম্পন্ন। তোমরাও রয়েছো যুদ্ধের ময়দানে, কিন্তু তোমরা হলে
ডবল অহিংসক। তারা হলো হিংসক। হিংসা কাম কাটারিকে বলা হয়। সন্ন্যাসীরাও মনে করে এটা
হলো হিংসা, সেইজন্য পবিত্র হয়ে ওঠে। কিন্তু তোমরা ব্যতীত বাবার সাথে কারোর
প্রীতি-ভালোবাসা হয় না। প্রিয়তম আর প্রিয়ার ভালোবাসা তাই না! ওই প্রিয়তম-
প্রিয়তমাদের তোএক জন্মের গাঁথা মানুষ গায়। তোমরা সকলেই হলে আর আমার, অর্থাৎ এক
মাশুকের আশিক। ভক্তি মার্গে এই আমি এক প্রিয়তমকেই তোমরা স্মরণ করে এসেছো। এখন আমি
বলছি কেবল এই অন্তিম জন্ম পবিত্র হও আর যথার্থ ভাবে স্মরণ করো তবে আবার স্মরণের
দ্বারাই তোমারা পরিত্রাণ পাবে। সত্যযুগে স্মরণ করার প্রয়োজনই থাকে না। দুঃখে সবাই
স্মরণ করতে থাকে। এটা হলো নরক। একে তো আর স্বর্গ বলবে না। যারা বড়লোক-ধনী, তারা মনে
করে আমাদের জন্য তো এখানেই স্বর্গ। বিমান ইত্যাদি সমস্ত বৈভব রয়েছে, কতো
অন্ধশ্রদ্ধাতে থাকে। গানও করে থাকে - তুমি মাতা পিতা... কিন্তু কিছু বোঝে না। কোন্
গহন সুখ প্রাপ্ত হয়েছে - এটা কেউ জানে না। কথা তো আত্মা বলে তাই না! তোমরা আত্মারা
মনে করো আমাদের অপার সুখ প্রাপ্ত হবে। তার নামই হলো স্বর্গ, সুখধাম। স্বর্গ সকলের
অনেক মধুরও মনে হয়। তোমরা এখন জানো যে স্বর্গে হীরে-জহরতের কতো মহল ছিলো। ভক্তি
মার্গেও কতো অগণিত ধন ছিলো যে সোমনাথের মন্দির তৈরী করেছিল। এক-একটি চিত্র লক্ষ
মূল্যের ছিলো। সেই সব কোথায় চলে গেল? কতো লুন্ঠন করে নিয়ে গেছে! মুসলমানরা গিয়ে
মসজিদ ইত্যাদিতে লাগিয়েছে, এতো অপরিমেয় ধন ছিলো। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে
যে আমরা বাবার দ্বারা আবার স্বর্গের মালিক হতে চলেছি। আমাদের মহল সোনার হবে। দরজার
উপরেও জরি লাগানো থাকবে। জৈনদের মন্দিরও এইরকম তৈরী করা হয়। এখন হীরে ইত্যাদি তো
নেই তাই না, যা পূর্বে ছিলো! এখন তোমরা জানো আমরা বাবার থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার
নিচ্ছি। শিববাবা এসেও থাকেন ভারতেই। ভারতেরই শিব ভগবানের থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার
প্রাপ্ত হয়। খ্রীষ্টানও বলে খ্রাইষ্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারত হেভেন(স্বর্গ) ছিলো।
রাজত্ব কারা করতো? এটা কারোর জানা নেই। এছাড়া এটা বুঝতে পারে যে ভারত হলো অনেক
পুরানো। এটাই তো স্বর্গ ছিল তাই না! বাবাকে বলাও হয় হেভেনলী গড ফাদার অর্থাৎ হেভেন
স্থাপনকারী ফাদার। অবশ্যই ফাদার এসে থাকবেন, তাই তো তোমরা স্বর্গের মালিক হতে পারছো।
প্রতি ৫ হাজার বছর পরে স্বর্গের মালিক হও, আবার অর্ধ-কল্প পরে রাবণ রাজ্য শুরু হয়।
চিত্রতে এরকম ক্লীয়ার করে দেখাও যেন লক্ষ বছরের ব্যাপার বুদ্ধি থেকেই বের হয়ে যায়।
লক্ষ্মী-নারায়ণ কোনো এক জন না, এদের ডিনায়েস্টি হলে তো আবার তাদের বাচ্চারা রাজা
হবে। রাজা তো অনেক হয় তাই না। সমস্ত মালা তৈরী করা আছে। মালাই তো জপ করে তাই না!
যারা বাবার সাহায্যকারী হয়ে বাবার সার্ভিস করে তাদেরই মালা তৈরী হয়। যারা সম্পূর্ণ
ভাবে চক্রতে আসে, পূজ্য পূজারী হয় এই স্মরণিক তাদের। তোমরা পূজ্য থেকে পূজারী হয়ে
ওঠো তো আবার নিজেদের মালাকে বসে পূজা করো। প্রথমে মালার উপরে হাত লাগিয়ে তারপর
মাথায় ছোঁয়ায়। পরে মালা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জপ করা শুরু করে। তোমরাও সমগ্র চক্র
আবর্তন করো তারপর শিববাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। এই রহস্য তোমরাই জানো।
মানুষ তো কেউ কারোর নামে আবার কেউ আর কারোর নামে মালা জপে। কিছুই জানে না। এখন
তোমাদের মালার সমগ্র জ্ঞান আছে, আর কারোর এই জ্ঞান নেই। খ্রীস্টান কি আর বোঝে যে এটা
কার মালা ঘুরিয়ে জপ করা হচ্ছে! এই মালা হলো তাদেরই যারা বাবার সাহায্যকারী হয়ে
সার্ভিস করে। এই সময় সবাই হলো পতিত, যারা পবিত্র ছিলো তারা সকলে এখানে আসতে আসতে
এখন পতিত হয়েছে, আবার নম্বর অনুযায়ী সকলে যাবে। নম্বর অনুযায়ী আসে, নম্বর অনুযায়ী
যায়। কতো বুঝতে পারার মতো ব্যাপার। এটা হলো বৃক্ষ। কতো শাখা-প্রশাখা মঠ পন্থ আছে।
এখন এই সমগ্র বৃক্ষ নিশ্চিহ্ন হবে, আবারও তোমাদের ফাউন্ডেশন লাগবে। তোমরা হলে
প্রজাপিতা ঝাড় এর ফাউন্ডেশন। ওর মধ্যে সূর্য-বংশী চন্দ্রবংশী দুই-ই আছে।সত্যযুগ-ত্রেতাতে
যারা রাজত্ব করার মতো ছিলো, তাদের এখন কোনো ধর্মই নেই, শুধুমাত্র চিত্র আছে। যাদের
চিত্র আছে তাদের বায়োগ্রাফী তো জানতেই হবে। বলে দেয় অমুক জিনিস লক্ষ বছরের পুরানো।
এখন বাস্তবে পুরানো হলো আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। তার পূর্বে তো অন্য কোনো কিছু
তো হতে পারে না। বাকি পুরানো বলতে ২৫০০ বছরের পুরানো জিনিস হবে, খনন করে নীচের থেকে
যে সব পাওয়া যায়। ভক্তি মার্গে যারা পূজা করে তারা পুরানো চিত্র বের করে, কারণ
আর্থকোয়েকে (ভূমিকম্পে) সব মন্দির ইত্যাদি ভেঙে পড়ে আবার নতুন তৈরী হয়। হীরে সোনা
ইত্যাদির এতো খনি যা এখন খালি হয়ে গেছে সে সমস্ত আবার ভরাট হয়ে যাবে। এই সব কথা
এখন তো তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে না। বাবা ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি বুঝিয়েছেন।
সত্যযুগে কতো অল্প মানুষ থাকে, পরে আবার বৃদ্ধি পেতে থাকে। আত্মারা সকলেই পরমধাম
থেকে আসতে থাকে। আসতে-আসতে বৃক্ষ প্রসারিত হতে থাকে। আবার যখন বৃক্ষ জড়জড়িভূত
অবস্থায় আসে তখন বলা হয় রাম গেলো-রাবণ গেলো, যাদের অনেক পরিবার আছে। অনেক ধর্ম
রয়েছে তাই না । আমাদের পরিবার কতো ছোটো। এটা শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদেরই পরিবার। এই
জগতে তো কত রকমের ধর্ম রয়েছে, জনসংখ্যাও সে কথাই বলে । তারা সব হলো রাবণ সম্প্রদায়।
এরা সকলে যাবে, খুব অল্পই থাকবে। রাবণ সম্প্রদায় আবার স্বর্গে আসবে না, সব
মুক্তিধামেই থাকবে। এছাড়া তোমরা যা পড়াশুনা করছো তারা নম্বর অনুযায়ী স্বর্গে আসবে।
এখন তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা বুঝেছো সেই নিরাকারী বৃক্ষ কি রকম, এটা মানুষ সৃষ্টির
বৃক্ষ। এটা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। পড়াশুনায় মনোযোগ না দিলে পরীক্ষায় ফেল করে যাবে।
পড়তে আর পড়াতে থাকলে খুশীও থাকবে। যদি বিকারে পতন হয় তো বাকি এই সব ভুলে যাবে।
আত্মা যখন পবিত্র সোনা হয় তখন ওতে ভালো ধারণা হয়। সোনার বাসন হলো পবিত্র গোল্ডেন।
যদি কেউ পতিত হয় তো জ্ঞান শুনতে পারে না। এখন তোমরা সামনে বসে আছো, জানো যে গড
ফাদার শিববাবা আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পড়াচ্ছেন। আমরা, আত্মারা এই অরগ্যান্সের
দ্বারা শুনছি। পড়ানো জন্য বাবা আছেন, এরকম পাঠশালা সমগ্র দুনিয়াতে কোথায় আছে! তিনি
হলেন গড ফাদার, টিচারও, সদ্গুরুও, সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এখন তোমরা বাবার
সম্মুখে বসে আছো। সম্মুখে বসে মুরলী শোনার কতো পার্থক্য হয়। যেমন এই টেপ মেশিন
বেরিয়েছে, সবার কাছেই একদিন এসে যাবে। বাচ্চাদের সুখের জন্য বাবা এরকম জিনিস তৈরী
করেন। এটা কোনো বড় ব্যাপার নয় যে। এই একজন সুন্দর সম্রাট ছিলেন। প্রথমে সুন্দর
ছিলো, এখন কুরূপ হয়ে গেছে, তাই তো শ্যাম সুন্দর বলে। তোমরা জানো আমরা সুন্দর ছিলাম,
এখন শ্যাম অর্থাৎ কালো হয়েছি, আবার সুন্দর হবো। শুধু এক জন কেন হবে? এক জনকেই কি
সাপে ছোবল মেরেছে? সাপ তো মায়াকে বলা হয়। বিকারে যাওয়ার জন্য শ্যাম বর্ণ হয়ে যায়।
কতো বোঝার ব্যাপার। অসীম জগতের বাবা বলছেন গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও এই অন্তিম জন্ম ফর
মাই সেক (অন্তত আমার জন্য) পবিত্র হও। বাচ্চাদের থেকে এই ভিক্ষা চাইছি। কমল ফুলের
মতো পবিত্র হও আর আমাকে স্মরণ করো তো এই জন্মও পবিত্র থাকবে আর স্মরণে থাকার জন্য
পাস্ট এর বিকর্মও বিনাশ হবে। এটা হলো যোগ অগ্নি, যাতে জন্ম-জন্মান্তরের পাপ দগ্ধ হয়।
সতোপ্রধান থেকে সতঃ, রজঃ, তমঃতে এলে তো কলা কম হয়ে যায়। খাদ পড়তে থাকে। এখন বাবা
বলেন শুধুমাত্র মামেকম্ অর্থাৎ একমাত্র আমাকে স্মরণ করো। এছাড়া নদীর জলে স্নান করলে
কি আর পবিত্র হবে! জলও তো তত্ত্ব। ৫ তত্ত্ব বলা হয়ে থাকে। এই সব নদী কীভাবে
পতিত-পাবনী হতে পারে। নদী গুলি তো সাগর থেকে নির্গত হয়। সবার আগে তো সাগরকে তো
পতিত-পাবন হতে হবে । আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বিজয়মালাতে আসার জন্য বাবার সাহায্যকারী হয়ে সার্ভিস করতে হবে। এক প্রীতমের সাথে
সত্যিকারের প্রীতি রাখতে হব। এক এর স্মরণেই থাকতে হবে।
২ ) নিজের অ্যাকুউরেট
এইম-অবজেক্টকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। ডবল অহিংসক হয়ে মানুষকে
দেবতা করার শ্রেষ্ঠ কর্তব্য করতে হবে।
বরদান:-
বিজয়ীভাবের নেশা দ্বারা সদা হাসিখুশীতে থাকা সকল আকর্ষণ থেকে মুক্ত ভব
বিজয়ী রত্নের স্মরণিক
- বাবার গলার হার আজও পর্যন্ত পূজিত হয়। তো সদা এই নেশাতে থাকো যে আমি হলাম বাবার
গলার হার বিজয়ী রত্ন, আমি হলাম বিশ্বের মালিকের সন্তান। আমি যা পেয়েছি সেটা কেউ
পায়নি - এই নেশা আর খুশী স্থায়ী থাকলে যেকোনও প্রকারের আকর্ষণ থেকে মুক্ত থাকবে। যে
সদা বিজয়ী, সে সদা হাসিখুশীতে থাকে। এক বাবার স্মরণের আকর্ষণেই আকৃষ্ট হবে।
স্লোগান:-
এক এর
অন্তে হারিয়ে যাওয়া অর্থাৎ একান্তবাসী হওয়া।
অব্যক্ত ঈশারা -
একান্তপ্রিয় হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো
এখন সবাই মিলে
একে-অপরের সাহস বৃদ্ধি করে এই সংকল্প করো যে এখন সময়কে এগিয়ে নিয়ে আসতেই হবে,
আত্মাদেরকে মুক্তি দিতেই হবে। কিন্তু এইসব তখনই হবে যখন চিন্তাকে স্মৃতি স্বরূপে
নিয়ে আসবে। যেখানে একতা আর দৃঢ়তা থাকে সেখানে অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যায়।