10.03.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের মানব থেকে দেবতা হওয়ার পড়াশোনা করতে হবে এবং করাতে হবে, সবাইকে শান্তিধাম আর সুখধাম এর রাস্তা বলে দিতে হবে"

প্রশ্নঃ -
সতোপ্রধান পুরুষার্থী যারা তাদের লক্ষণ গুলি কি হবে?

উত্তরঃ  
তারা অন্যদেরকেও নিজের সমান বানাবে। তারা অনেকের কল্যাণ করতে থাকবে। জ্ঞান ধনের দ্বারা ঝুলি ভরে দান করবে। ২১ জন্মের জন্য অবিনাশী উত্তরাধিকার নেবে আর অন্যদের উত্তরাধিকার নিতে সাহায্য করবে ।

গীতঃ-
ওম্ নমঃ শিবায়...

ওম্ শান্তি ।
ভক্তরা যাঁর মহিমা বর্ণন করে, তোমরা তাঁরই সম্মুখে বসে আছো, তাই কত খুশীর অনুভব হওয়া উচিত। তাঁকে বলা হয় শিবায় নমঃ। তোমাদের তো নমঃ বলতে হবে না। পিতাকে সন্তানরা স্মরণ করে, নমঃ কখনও বলে না। ইনিও হলেন পিতা, এঁনার কাছ থেকে তোমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। তোমরা নমঃ করো না, স্মরণ করো। জীবের আত্মা স্মরণ করে। বাবা এই দেহ লোনে নিয়েছেন। তিনি আমাদের পথ বলে দিচ্ছেন - বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার কিভাবে নিতে হয়। তোমরাও ভালো ভাবে জানো। সত্যযুগ হলো সুখধাম এবং যেখানে আত্মারা বাস করে সেই স্থানকে বলা হয় শান্তিধাম। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে আমরা হলাম শান্তিধামের নিবাসী। এই কলিযুগকে বলা হয় দুঃখধাম। তোমরা জানো আমরা আত্মারা এখন স্বর্গে যাওয়ার জন্য, মানব থেকে দেবতা হওয়ার পড়াশোনা করছি। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন দেবতা তাইনা। মানব থেকে দেবতা হতে হবে নতুন দুনিয়ার জন্য। বাবার কাছে তোমরা পড়াশোনা করো। যত পড়াশোনা করবে, পড়াশোনায় কারো পুরুষার্থ হয় তীক্ষ্ণ, কারো ঢিলা। যারা সতোপ্রধান পুরুষার্থী হয় তারা অন্যদের নিজসম তৈরি করতে নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ করায়, অনেকের কল্যাণ করে। যত যত ধনের দ্বারা ঝুলি ভরে অন্যদের দান করবে ততই লাভবান হবে। মানুষ দান করে, পরের জন্মে তার অল্পকালের ফল প্রাপ্ত হয়। তাতে একটু সুখ বাকি তো দুঃখই দুঃখ থাকে। তোমাদের তো ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের সুখ প্রাপ্ত হয়। কোথায় স্বর্গের সুখ, কোথায় এই দুঃখ ! অসীম জগতের বাবার দ্বারা তোমাদের স্বর্গের অসীম সুখ প্রাপ্ত হয়। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান পুণ্য করে তাই না । সে হলো ইনডাইরেক্ট। এখন তোমরা তো সামনে আছো তাইনা। এখন বাবা বসে বোঝাচ্ছেন - ভক্তি মার্গে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান-পুণ্য করা হয় তো অন্য জন্মে প্রাপ্ত হয়। কেউ ভালো করলে ভালো ফল প্রাপ্ত করে, খারাপ কর্ম পাপ ইত্যাদি করলে তেমন ফল প্রাপ্ত হয়। এখানে কলিযুগে তো পাপ হতেই থাকে, পুণ্য তো হয় না। তাই অল্পকালের সুখ প্রাপ্ত হয়। এখন তো তোমরা ভবিষ্যতের সত্যযুগের ২১ জন্মের জন্য সদা সুখী হও। তার নাম হল সুখধাম। প্রদর্শনী তে তোমরা লিখতে পারো যে শান্তিধাম ও সুখধামের এই হল মার্গ , শান্তিধাম ও সুখধাম যাওয়ার সহজ মার্গ। এখন তো কলিযুগ কিনা। কলিযুগ থেকে সত্যযুগ, পতিত দুনিয়া থেকে পবিত্র দুনিয়ায় যাওয়ার সহজ রাস্তা, কোনও খরচ ছাড়া। তবে যদি মানুষ বুঝতে পারে তারা পাথর বুদ্ধি । বাবা খুব সহজ করে বোঝান । এর নাম-ই হলো সহজ রাজযোগ, সহজ জ্ঞান।

বাবা বাচ্চাদের কত সেন্সিবল বানান। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন সেন্সিবল, তাইনা। যদিও কৃষ্ণের নামে কত কি লিখে দিয়েছে, সেসব হলো মিথ্যা কলঙ্ক। কৃষ্ণ বলে, মা আমি মাখন খাইনি .... এবারে এর অর্থও বোঝে না। আমি মাখন খাইনি, তো কে খেয়েছে? বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো হয়, বাচ্চারা মাখন খাবে বা দুধ খাবে ! এইসব যে দেখানো হয়েছে কলস ভেঙেছে ইত্যাদি ইত্যাদি - এমন কোনও কথা নেই। তিনি তো হলেন স্বর্গের ফার্স্ট প্রিন্স। মহিমা তো একমাত্র শিবেরই করা হয়। দুনিয়ায় অন্য কারো মহিমা হয় না ! এই সময় তো সবাই হলো পতিত, কিন্তু ভক্তি মার্গেরও মহিমা আছে, ভক্ত মালাও গান করা হয়, তাইনা। নারীদের মধ্যে মীরার নাম আছে, পুরুষদের মধ্যে নারদের নাম হলো মুখ্য । তোমরা জানো এক হলো ভক্ত মালা, দ্বিতীয় হলো জ্ঞানের মালা। ভক্ত মালা থেকে রুদ্র মালা হয়েছে তারপরে রুদ্র মালা থেকে বিষ্ণুর মালা তৈরি হয়। রুদ্র মালা হলো সঙ্গম যুগের, এই রহস্য বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। এই কথা তোমাদেরকে বাবা সামনে বসে বোঝান। সমানে যখন বসো তো তোমাদের শিহরণ অনুভব হওয়া উচিত। কি সৌভাগ্য - ১০০ শতাংশ দুর্ভাগ্যশালী থেকে আমরা সৌভাগ্য শালী হই। কুমারীরা কাম কাটারীর তলায় যায়নি। বাবা বলেন ওই হল কাম কাটারী। জ্ঞানকেও কাটারী বলা হয়। বাবা বলেছেন জ্ঞানের অস্ত্র শস্ত্র, তো তারা দেবীদের হাতে অস্ত্র শস্ত্র দিয়েছে। সেসব তো হলো হিংসার সামগ্রী। মানুষের জানা নেই স্ব দর্শন চক্র মানে কি? শাস্ত্রে তো কৃষ্ণের হাতে স্ব দর্শন দিয়ে হিংসা দেখিয়েছে। বাস্তবে হ জ্ঞানের কথা। তোমরা এখন স্বদর্শন চক্রধারী হয়েছো, তারা হিংসার কথা লিখে দিয়েছে। বাচ্চারা, তোমরা এখন স্ব অর্থাৎ চক্রের জ্ঞান প্রাপ্ত করেছো। তোমাদেরকে বাবা বলেন - ব্রহ্মা মুখবংশী ব্রাহ্মণ কুলভূষণ, স্বদর্শন চক্রধারী। এইসবের অর্থও এখন তোমরা বুঝেছো। তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মের এবং সৃষ্টি চক্রের জ্ঞান আছে। প্রথমে সত্যযুগে একটি সূর্যবংশী ধর্ম হয় তারপর হয় চন্দ্রবংশী। দুটিকে মিলিয়ে বলা হয় স্বর্গ। এইসব কথাও তোমাদের সকলের বুদ্ধিতে ক্রমানুসারে আছে। যেমন তোমাদেরকে বাবা পড়িয়েছেন, তোমরা পড়ে সাহসী হয়েছ। তোমাদের এখন অন্যদের কল্যাণ করতে হবে। স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে। যতক্ষণ ব্রহ্মা মুখ বংশী হবে না ততক্ষণ শিববাবার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে কীভাবে। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ হয়েছো। অবিনাশী উত্তরাধিকার শিববাবার কাছে প্রাপ্ত করছ। এই কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। পয়েন্ট নোট করা উচিত। এ হল সিঁড়ি, ৮৪ জন্মের সিঁড়ি। সিঁড়ি বেয়ে নামা তো খুব সহজ। যখন সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠো তখন কোমরে হাত রেখে কীভাবে ওঠো। কিন্তু লিফ্টও আছে। এখন বাবা এসেছেন তোমাদের লিফ্ট দিতে। সেকেন্ডে উত্তরণ কলা হয়ে যায়। এখন বাচ্চারা, তোমাদের খুশী অনুভব হওয়া উচিত যে, আমাদের হল এখন উত্তরণ কলা । মোস্ট বিলাভেড বাবাকে পেয়েছি। তাঁর মতন প্রিয় কিছুই নয়। সাধু সন্ন্যাসী ইত্যাদি যারা আছে সবাই এক প্রিয়তম কেই স্মরণ করে, সবাই তাঁর প্রেমেই মগ্ন। কিন্তু তিনি কে, এই কথা কেউ বোঝেনা। শুধুমাত্র সর্বব্যাপী বলে দেয়।

তোমরা এখন জানো যে, শিববাবা আমাদের ব্রহ্মা দ্বারা পড়ান। শিববাবার তো নিজস্ব শরীর নেই। তিনি হলেন পরম আত্মা। পরম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মা। তাঁর নাম হলো শিব। বাকি সব আত্মাদের নাম দেহের আধারে আলাদা আলাদা থাকে। একজন হলেন পরম আত্মা, তাঁর নাম শিব। মানুষ যদিও অনেক নাম রেখেছে। ভিন্ন ভিন্ন মন্দির তৈরি করেছে। এখন তোমরা অর্থ বুঝেছো। মুম্বাইতে বাবুরিনাথের মন্দির, এইসময় তোমাদের কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত করেন। বিশ্বের মালিক করেন। অতএব প্রথম মুখ্য কথা হল যে আমরা আত্মা আমাদের পিতা হলেন একজন, তাঁর কাছেই ভারতবাসীরা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। ভারতের এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন মালিক তাইনা। চীনের তো নয়, তাইনা। চীনের হলে চেহারা অন্যরকম হত। এরা হলেন ভারতের। প্রথমে গৌর বর্ণ পরে শ্যাম বর্ণ হয়। আত্মাতেই খাদ পড়ে, শ্যাম বর্ণে পরিণত হয়। দৃষ্টান্ত এঁদের সম্পর্কেই দেওয়া হয়। ভ্রমরী, কীটকে নিজের মতন বানায়। সন্ন্যাসীরা কি পরিবর্তন করে ! শ্বেত বস্ত্রধারীকে গেরুয়া পরিয়ে মাথা মুন্ডন করায়। তোমরা তো এই জ্ঞান প্রাপ্ত কর। এমন লক্ষ্মী-নারায়ণের মতন শোভা বৃদ্ধিকারী হও। এখন তো প্রকৃতিও হল তমোপ্রধান, অর্থাৎ এই পৃথিবীও হল তমোপ্রধান। ক্ষতিকর। আকাশে ঝড় ওঠে, কতখানি ক্ষতি হয়, উপদ্রব হতে থাকে। এখন এই দুনিয়ায় হল পরম দুঃখ। সেখানে পরম সুখ থাকবে। বাবা পরম দুঃখ থেকে পরম সুখে নিয়ে যান। এর বিনাশ হয় তারপরে সব সতোপ্রধান হয়ে যায়। এখন তোমরা পুরুষার্থ করে বাবার কাছে যত উত্তরাধিকার নেওয়ার আছে নিয়ে নাও। তা নাহলে পরে অনুশোচনা হবে। বাবা এসেছেন কিন্তু আমরা কিছুই নিলাম না। এই কথা লেখা আছে - দুনিয়ায় আগুন লাগে তখন কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙে। তখন হায় হায় করে মরে। হায় হায় হওয়ার পর জয়জয়কার হবে। কলিযুগে হায় হায় হয় তাইনা। একে অপরকে মারতে থাকে। অসংখ্য মারা যাবে। কলিযুগের পরে সত্যযুগ অবশ্যই হবে। মধ্যিখানে হল সঙ্গম। একেই পুরুষোত্তম যুগ বলা হয়। বাবা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার যুক্তি ভালো ভাবে বলে দেন। শুধু বলেন আমাকে স্মরণ করো আর কিছু নয়। বাচ্চারা, এখন তোমাদের মাথা ইত্যাদি নোয়াতে হবে না। বাবাকে কেউ হাত জোড় করলে বাবা বলেন, আত্মারা না-ই তোমাদের হাত আছে, না-ই বাবার আছে, তাহলে হাত জোড় করছ কাকে। কলিযুগী ভক্তি মার্গের একটি চিহ্নও থাকা উচিত নয়। মানুষ সূর্যকেও হাত জোড় করে নমস্কার করবে, মহাত্মাদেরও করবে। তোমাদের হাত জোড় করতে হবে না, এই দেহটি হল আমার লোনে নেওয়া দেহ। কিন্তু কেউ হাত জোড় করে নমস্কার করলে রিটার্নে নমস্কার করতে হয়। তোমাদের তো এই কথা বুঝতে হবে যে আমরা হলাম আত্মা, আমাদের এই বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে এখন ফিরে যেতে হবে। এই দেহের প্রতি ঘৃণা অনুভব হয়। এই পুরানো দেহ ত্যাগ করতে হবে। যেমন সাপের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। ভ্রমরীর এত বুদ্ধি আছে যে কীটকে ভ্রমরী বানিয়ে দেয়। তোমরা বাচ্চারাও, যারা বিষয় সাগরে ডুবে আছো, তাদের সেখান থেকে বের করে ক্ষীর সাগরে নিয়ে যাও। এখন বাবা বলেন - চলো শান্তিধাম। মানুষ শান্তির জন্য কত বুদ্ধি খাটায়। সন্ন্যাসীদের স্বর্গের জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয় না। যদিও, মুক্তি প্রাপ্ত হয়, দুঃখ থেকে মুক্তি পেয়ে শান্তিধামে বসে যায়। যদিও আত্মা প্রথমে তো জীবনমুক্তি তে আসে। পরে জীবন বন্ধনে আসে। আত্মা সতো প্রধান থাকে পরে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসে। প্রথমে সুখ ভোগ তারপর নামতে নামতে তমোপ্রধান হয়েছে। এখন আবার সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবা এসেছেন। বাবা বলেন আমায় স্মরণ করো তাহলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে।

বাবা বুঝিয়েছেন যে সময় মানুষ শরীর ত্যাগ করে সেই সময় খুব কষ্ট ভোগ করে, কারণ দন্ড ভোগ করতে হয়। যেমন কাশী কালবট খায়। কারণ শুনেছে শিবের উপরে বলিদান করলে মুক্তি প্রাপ্ত হয়। তোমরা এখন বলি-তে মাথা দিয়েছ তাইনা, তাই ভক্তি মার্গে সেই সব প্রচলিত আছে। তাই শিবের কাছে জীবন উৎসর্গ করে। এখন বাবা বোঝান ফিরে কেউ যেতে পারে না। হ্যাঁ, এইরূপ সমর্পিত হলে পাপ নষ্ট হয়, হিসেব নিকেশ নতুন করে শুরু হয়। তোমরা এই সৃষ্টি চক্রকে জেনেছ। এই সময় সবার হলো অবরোহন কলা। বাবা বলেন আমি এসে সকলের সদগতি করি। সবাইকে ঘরে অর্থাৎ পরমধাম নিয়ে যাই। পতিতদের সঙ্গে নিয়ে যাব না তাই এখন পবিত্র হও তবেই তোমাদের জ্যোতি জাগ্রত হবে। বিবাহের সময় স্ত্রীর মাথায় জ্যোতি যুক্ত কলস রাখা হয়। এই প্রথা এখানে ভারতেই হয়। স্ত্রীর মাথায় কলসে জ্যোতি প্রজ্বলিত করা হয়, স্বামীর মাথায় রাখা হয় না, কারণ স্বামীকে ঈশ্বর বলা হয়। ঈশ্বর জ্যোতি জাগ্রত করবে কীভাবে। অতএব বাবা বোঝান আমার তো জ্যোতি জাগ্রত আছে। আমি তোমাদের জ্যোতি প্রজ্বলিত করি। বাবাকে দীপ শিখাও বলা হয়। ব্রহ্ম সমাজী জ্যোতিকে বিশ্বাস করে, সর্বদা জ্যোতি জাগ্রত থাকে, তাকেই স্মরণ করে, তাকেই ভগবান ভাবে। অন্যরা ভাবে ক্ষুদ্র জ্যোতি (আত্মা) বৃহৎ জ্যোতিতে (পরমাত্মায়) বিলীন হয়ে যায়। অনেক মতামত আছে। বাবা বলেন তোমাদের ধর্ম তো অপার সুখ প্রদান করে। তোমরা স্বর্গে অনেক সুখ দেখো। নতুন দুনিয়ায় তোমরা দেবতা হও। তোমাদের পড়াশোনা হল ভবিষ্যৎ নতুন দুনিয়ার জন্য, অন্য সব পড়াশোনা হল এখানকার জন্য। এখানে তোমাদের পড়া করে ভবিষ্যতে পদ প্রাপ্ত হবে। গীতায় যথাযথ ভাবে রাজ যোগের শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। পরে যুদ্ধ হয়, কিছুই থাকে না। পাণ্ডবদের সঙ্গে কুকুর দেখানো হয়েছে। এখন বাবা বলেন আমি তোমাদের ভগবান - ভগবতী বানাই। এখানে তো অনেক প্রকারের দুঃখ দেওয়ার মানুষ আছে। কাম কাটারী চালিয়ে কত দুঃখী করে। অতএব বাচ্চারা তোমাদের এই খুশী থাকা উচিত যে অসীমের পিতা জ্ঞানের সাগর আমাদের পড়াচ্ছেন। মোস্ট বিলাভেড প্রেমিক হলেন তিনি। আমরা প্রেমিকারা তাঁকে অর্ধকল্প স্মরণ করি। তোমরা স্মরণ করেছো, এখন বাবা বলেন আমি এসেছি, তোমরা আমার মাতনুযায়ী চলো। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো আমি পিতা আমায় স্মরণ করো। অন্য কাউকে নয়। আমি ব্যতীত কারো স্মরণ দ্বারা তোমাদের পাপ বিনষ্ট হবে না। প্রতিটি কথায় সার্জেনের পরামর্শ নিতে থাকো। বাবা পরামর্শ দেবেন - এমন এমন করে সম্বন্ধের হিসেব মেটাও। যদি পরামর্শ অনুযায়ী চলবে তো প্রতি পদক্ষেপে পদ্ম প্রাপ্ত হবে। পরামর্শ নিলে দায় মুক্ত হবে। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অসীমিত সুখের অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে ডাইরেক্ট ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান-পুণ্য করতে হবে। জ্ঞান ধনের দ্বারা ঝুলি ভরপুর করে সবাইকে দান করতে হবে।

২ ) এই পুরুষোত্তম যুগে নিজেকে সর্ব বন্ধন থেকে মুক্ত করে জীবনমুক্ত হতে হবে। ভ্রমরীর মতন ভুঁ-ভুঁ করে অর্থাৎ ঈশ্বরীয় জ্ঞান দান করে নিজ সম তৈরি করার সেবা করতে হবে।

বরদান:-
সকল প্রাপ্তির অনুভবের দ্বারা পাওয়ারফুল হওয়া সদা সফলতার মূর্তি ভব

যারা সর্বপ্রাপ্তির অনুভবী হয় তারা পাওয়ারফুল হয়, এইরকম পাওয়ারফুল সর্বপ্রাপ্তির অনুভবী আত্মারাই সফলতার মূর্তি হতে পারে কেননা এখন সকল আত্মারা খুঁজবে যে সুখ শান্তির মাস্টার দাতা কোথায় আছে। তো যখন তোমাদের কাছে সর্বশক্তির স্টক থাকবে তখন তো সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবে। যেরকম বিদেশে একই স্টোর থেকে সব জিনিস পাওয়া যায় এইরকম তোমাদেরকেও হতে হবে। এমন যেন না হয় যে সহ্য করার শক্তি আছে কিন্তু মোকাবিলা করার শক্তি নেই। সর্বশক্তির স্টক চাই তবেই সফলতার মূর্তি হতে পারবে।

স্লোগান:-
মর্যাদাগুলিই হল ব্রাহ্মণ জীবনের কদম, কদমের উপর কদম রাখাই হল নিজের লক্ষ্যের নিকটে পৌঁছে যাওয়া।

অব্যক্ত ঈশারা :- সত্যতা আর সভ্যতা রূপী কালচারকে ধারণ করো

আজকাল কেউ কেউ এক বিশেষ ভাষা ইউজ করে যে আমার দ্বারা অসত্য দেখা যায় না, অসত্য শোনা যায় না এইজন্য অসত্যকে দেখে, মিথ্যাকে শুনে অন্তরে জোশ এসে যায়। কিন্তু যদি সে অসত্য হয় আর তোমাকে অসত্য দেখে তারমধ্যে জোশ এসে যায় তো সেই জোশও হল অসত্য তাই না! অসত্যকে সমাপ্ত করার জন্য নিজের মধ্যে সত্যতার শক্তি ধারণ করো।