10.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - লক্ষ্য-কে সর্বদা সামনে রাখো তাহলে দৈবী গুণের বিকাশ হতে থাকবে। তোমাদের এখন নিজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, আসুরী গুণ গুলিকে দূর করে দিয়ে দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে"

প্রশ্নঃ -
আয়ুষ্মান ভবের বরদান প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও আয়ু বৃদ্ধির জন্য কোন্ পরিশ্রম করতে হবে?

উত্তরঃ  
আয়ু বৃদ্ধির জন্য তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার পরিশ্রম করো। বাবাকে যত স্মরণ করবে ততই সতোপ্রধান হবে আর আয়ু বৃদ্ধি হবে, তখন মৃত্যু ভয় দূর হয়ে যাবে। স্মরণের দ্বারা দুঃখ দূর হয়ে যাবে। তোমরা ফুলে পরিণত হবে। স্মরণেই রয়েছে গুপ্ত রূপে উপার্জন করার উপায়। স্মরণের দ্বারা পাপ নষ্ট হবে। আত্মা হাল্কা হয়ে যায়, ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় ।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি আত্মিক বাচ্চাদেরকে বাবা বোঝাচ্ছেন, পড়াও করাচ্ছেন। কি বোঝাচ্ছেন? মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের প্রথমতঃ বড় আয়ু চাই কারণ তোমাদের আয়ু অনেক বেশি ছিল। ১৫০ বছরের আয়ু ছিল, বড় আয়ু কিভাবে প্রাপ্ত হয়? তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হলে। যখন তোমরা সতোপ্রধান ছিলে তখন তোমাদের আয়ু অনেক বেশি ছিল। এখন তোমরা উপরে উঠছো। তোমরা জানো যে আমরা তমোপ্রধান হয়েছিলাম তাই আমাদের আয়ু কমে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য খারাপ ছিল। একেবারে রুগী হয়ে গিয়েছিলাম। এই জীবন হলো পুরানো, নতুন জীবনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এখন তোমরা জানো বাবা আমাদের আয়ু বৃদ্ধি করার যুক্তি বলে দিচ্ছেন। মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা আমাকে স্মরণ করবে তাহলে তোমরা যেমন সতোপ্রধান ছিলে, দীর্ঘ আয়ুর অধিকারী ছিলে, সুস্থ শরীরধারী ছিলে, আবার তেমন হয়ে যাবে। আয়ু কম হলে মৃত্যুর ভয় থাকে। তোমরা তো গ্যারান্টি পেয়েছো যে সত্যযুগে কখনও হঠাৎ মৃত্যু হবে না। বাবাকে স্মরণ করতে থাকলে আয়ু বৃদ্ধি পাবে এবং সব দুঃখ দূর হয়ে যাবে। কোনো রকমের দুঃখ থাকবে না, আর কি চাই তোমাদের? তোমরা বলো উঁচু পদও চাই। তোমরা জানতে না এমন পদও প্রাপ্ত হয়। এখন বাবা যুক্তি বলে দিচ্ছেন - এমন করো। মুখ্য উদ্দেশ্যটি সামনে আছে। তোমরা এই রকম পদ প্রাপ্ত করতে পারো। এখানেই দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে আমাদের মধ্যে কোনও অবগুণ নেই তো? অবগুণও অনেক রকমের হয় - ধূমপান করা, ছিঃ ছিঃ আহার গ্রহণ করা এ'সবই হলো অবগুণ। সবচেয়ে বড় অবগুণ হলো বিকারের, যাকে ব্যাড ক্যারেক্টার বলা হয়। বাবা বলেন তোমরা পতিত হয়ে গেছো। এখন তোমাদের পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দিচ্ছেন, এই বিকার, অবগুণ সব ত্যাগ করতে হবে। কখনও পতিত হবে না। এই জন্মে যারা (নিজেকে) শুধরে নেবে তো সেই সংশোধন ২১ জন্ম চলবে। সবচেয়ে জরুরী কথা হলো ভাইসলেস (পবিত্র) হওয়া। জন্ম-জন্মান্তরের বোঝা যা মাথায় রয়েছে, সেসব যোগ বলের দ্বারা-ই নামবে। বাচ্চারা জানে আমরা জন্ম-জন্মান্তর পতিত হয়েছি। এখন বাবার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে আর কখনো পতিত হব না। বাবা বলেন যদি পতিত হও তাহলে একশত গুণ দন্ড ভোগ করতে হবে, তার ফলে পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। কারণ নিন্দা করিয়েছো মানেই ওই দিকে (ভিশস্ মানুষের দিকে) চলে গেছো। এমন অনেকে চলে যায় অর্থাৎ পরাজয় স্বীকার করে। আগে এইসব তোমরা জানতে না এই বিকারী কর্ম তোমাদের করা উচিত নয়। কিছু বাচ্চা ভালো থাকে, যারা বলে আমরা ব্রহ্মচর্য পালন করবো। সন্ন্যাসীদের দেখে ভাবে, পবিত্রতা ভালো জিনিস। পবিত্র ও অপবিত্র, দুনিয়ায় অপবিত্র সংখ্যায় অনেক। শৌচাগার যাওয়াও হল অপবিত্র হওয়া, তাই সাথে সাথে স্নান করা উচিত। অপবিত্রতা অনেক রকমের হয়। কাউকে দুঃখ দেওয়া, লড়াই ঝগড়া করাও হলো অপবিত্র কর্তব্য। বাবা বলেন জন্ম-জন্মান্তর তো তোমরা পাপ করেছো। সেসব অভ্যাস এখন ত্যাগ করতে হবে। এখন তোমাদের প্রকৃত সত্য মহান আত্মায় পরিণত হতে হবে। সত্য মহান আত্মা তো হলেন লক্ষ্মী-নারায়ণ অন্য কেউ এখানে হতে পারে না কারণ সবাই হল তমোপ্রধান। খুব গ্লানি করে তাইনা। তারা জানে না আমরা কি করছি। এক হয় গুপ্ত পাপ, আরেক হয় প্রত্যক্ষ পাপ। এইটি হল-ই তমোপ্রধান দুনিয়া। বাচ্চারা জানে বাবা আমাদের এখন বোধযুক্ত করছেন তাই সবাই তাঁকেই স্মরণ করে। সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বোধগম্য জ্ঞান তোমরা প্রাপ্ত করো সেটা হলো পবিত্র হতে হবে তার সঙ্গে গুণও চাই। দেবতাদের সামনে গিয়ে তোমরা যে মহিমা গায়ন করেছো, এখন তোমাদের সেইরূপ হতে হবে। বাবা বোঝান মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা কতো মিষ্টি মিষ্টি সুন্দর সুন্দর ফুল ছিলে তারপর কাঁটায় পরিণত হয়েছো। এখন বাবাকে স্মরণ করো তাহলে স্মরণের দ্বারা তোমাদের আয়ু বৃদ্ধি পাবে। পাপও বিনষ্ট হবে। মাথার উপরের বোঝা হাল্কা হবে। নিজের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে কি-কি অবগুণ আছে সেসব দূর করতে হবে। যেমন নারদের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়, তাকে বলা হয় তুমি কি উপযুক্ত হয়েছ? সে দেখে বললো ঠিকই আমি তো উপযুক্ত নই। বাবা তোমাদের শ্রেষ্ঠ করেন, তোমরা বাবার সন্তান তাইনা। যেমন কারো বাবা যদি মহারাজা হয় তখন বলা হবে আমার বাবা হলেন মহারাজা। বাবা সুখ প্রদান করেন। যারা খুব সুন্দর স্বভাবের মহারাজা তারা কখনও ক্রোধ করে না। এখন তো ধীরে ধীরে সকল আত্মার কোয়ালিটি কম হয়ে গেছে। সব অবগুণ প্রবেশ করেছে। আত্মার কলা নেমে গেছে। তমঃ হয়ে গেছে। তমোপ্রধান অবস্থাও এখন চরমে এসে পৌঁছেছে। কত দুঃখী হয়েছে সবাই। তোমাদের কত কিছু সহ্য করতে হয়। এখন অবিনাশী সার্জেনের দ্বারা তোমাদের চিকিৎসা চলছে। বাবা বলেন এই পাঁচ বিকার তোমাদের ক্ষণে ক্ষণে অস্থির করবে। তোমরা যত পুরুষার্থ করবে বাবাকে স্মরণ করার, মায়া ততই তোমাদের নীচে নামাবার চেষ্টা করে। তোমাদের অবস্থা এমন মজবুত হওয়া দরকার যাতে মায়ার ঝড় তোমাদের স্পর্শ করতে না পারে। রাবণ কোনও বস্তু নয়, বা কোনো মানুষ নয়। ৫ বিকার রূপী রাবণকেই মায়া বলা হয়। অসুর রাবণ সম্প্রদায় তোমাদের চেনে না যে তোমরা কে ? এই বি. কে.-রা কি বোঝায়? রিয়েলিটিতে কেউ তা জানে না। এদের বি.কে. কেন বলা হয়? ব্রহ্মা কার সন্তান? এখন তোমরা বাচ্চারা জানো আমাদের ঘরে (পরমধাম) ফিরে যেতে হবে। বাচ্চারা, বাবা বসে তোমাদের শিক্ষা প্রদান করেন। আয়ুষ্মান ভব, ধনবান ভব.... বাবা তোমাদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন, বরদান দেন। কিন্তু শুধু বরদান দিয়ে কোনও কাজ হবে না। পরিশ্রম করতে হবে। প্রত্যেকটি কথা বুঝতে হবে। নিজেকে রাজ-তিলক প্রাপ্তির অধিকারী করতে হবে। বাবা অধিকারী করেন। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের শিক্ষা দেন এমন এমন করো। প্রথম শিক্ষা দেন - মামেকম্ স্মরণ করো। মানুষ স্মরণ করে না, তারা জানে না তাই তাদের স্মরণও ভুল হয়ে যায়। তারা বলে ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী। তাহলে শিববাবাকে স্মরণ কিভাবে করবে ! শিবের মন্দিরে গিয়ে পূজা করে, তোমরা জিজ্ঞাসা করো তাঁর অক্যুপেশন সম্বন্ধে বলো? তখন তারা বলবে ভগবান হলেন সর্বব্যাপী। পূজা করে, তাঁর কাছে কৃপা প্রার্থনা করে, এইরকম প্রার্থনার সময় কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে পরমাত্মা কোথায়? তখন তারা বলে সর্বব্যাপী। তাহলে চিত্রের সামনে তারা কি করে আর চিত্র সামনে না থাকলে তাদের কলা কায়া অর্থাৎ সকল গুণ নষ্ট হয়ে যায়। ভক্তিমার্গে মানুষ কত ভুল করে। তবুও ভক্তির প্রতি কতখানি ভালোবাসা আছে তাদের। কৃষ্ণের জন্য কত নির্জলা ব্রত ইত্যাদি করে। এখানে তোমরা ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ছো আর ওদিকে ভক্তরা কত কি করছে। সেসব দেখে তোমরা এখন হাসো। ড্রামা অনুযায়ী ভক্তি করতে করতে মানুষ নীচে নেমে এসেছে। উপরে তো কেউ চড়তে পারবে না।

এখন এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ, যার কথা কারো জানা নেই। এখন তোমরা পুরুষোত্তম হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো। টিচার স্টুডেন্টদের সার্ভেন্ট হয় তাইনা, স্টুডেন্টদের সার্ভিস করে ! গভর্নমেন্ট সার্ভেন্ট রয়েছে । বাবাও বলেন - সেবা করি, তোমাদের পড়াইও। সকল আত্মাদের পিতা তিনি । টিচারও তিনি। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞানও প্রদান করেন। এই জ্ঞান অন্য কোনো মানুষের থাকে না। কেউ শেখাতেও পারে না। তোমরা পুরুষার্থ করো এইজন্য যাতে এমন স্বরূপ ধারণ হয়। দুনিয়ায় মানুষের বুদ্ধি কতখানি তমোপ্রধান । খুব ভয়ঙ্কর এই দুনিয়া। মানুষের যা করা উচিত নয় তারা সেই কাজ করে। কত খুন, ডাকাতি ইত্যাদি করে। কি করে না! ১০০ শতাংশ তমোপ্রধান। এখন তোমরা আবার ১০০ শতাংশ সতোপ্রধান হচ্ছ। তার জন্যে যুক্তি বলা হয়েছে স্মরণের যাত্রা। স্মরণের দ্বারা-ই বিকর্ম বিনাশ হবে, বাবার সঙ্গে মিলিত হবে। ভগবান পিতা কিভাবে আসেন - এই কথাও তোমরা এখন বুঝেছো। এই রথে (ব্রহ্মার দেহে) এসেছেন। ব্রহ্মার মুখ দিয়ে জ্ঞান প্রদান করেন। যে জ্ঞান তোমরা ধারণ করে অন্যদের শোনাও। ইচ্ছে হয় বাবার থেকে ডাইরেক্ট শুনি। বাবার পরিবারে যাই। এখানে বাবাও আছেন, মা-ও আছেন, বাচ্চারাও আছে। সম্পূর্ণ দুনিয়াটাই হলো আসুরীক দুনিয়া। তাই যখন আসুরীয় পরিবারে থেকে তোমরা অশান্ত হয়ে যাও তখন ব্যবসা ইত্যাদি ত্যাগ করে বাবার কাছে রিফ্রেশ হতে আসো। এখানে ব্রাহ্মণরা-ই থাকে। অতএব এই পরিবারে এসে বসো। সংসারে ফিরলে এমন পরিবার পাবে না। সেখানে তো সবাই হয় দেহধারী, সেই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্ত হয়ে তোমরা এখানে আসো। এখন বাবা বলেন দেহের সব সম্বন্ধ ত্যাগ করো। সুরভিত ফুলে পরিণত হতে হবে। ফুলে সুগন্ধ থাকে। সুগন্ধী ফুল তুলে আঘ্রাণ নেয়। ধুতুরা ফুল তুলবে না কেউ। অতএব সুগন্ধী ফুলে পরিণত হওয়ার জন্যে পুরুষার্থ করতে হবে তাই বাবাও ফুল নিয়ে আসেন, এমন হতে হবে। ঘর গৃহস্থে থেকে একমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তোমরা জানো এই দেহের আত্মীয় পরিজন সবাই শেষ হয়ে যাবে। তোমরা এখানে গুপ্ত রূপে উপার্জন করছ। তোমাদের শরীর ত্যাগ করতে হবে, উপার্জন জমা করে খুব খুশীর অনুভূতিতে হাসি মুখে শরীর ত্যাগ করতে হবে। ঘুরতে ফিরতে এক বাবার স্মরণে থাকো তাহলে তোমাদের কখনও ক্লান্তি অনুভব হবেনা। বাবার স্মরণে অশরীরী হয়ে যতখুশী পরিক্রমা করো, এখান থেকে নীচে আবু রোড চলে যাও তবুও ক্লান্ত হবে না। পাপ বিনষ্ট হবে। হাল্কা হয়ে যাবে। বাচ্চারা, তোমাদের যে কতখানি লাভ হয়, অন্যরা কেউ তা জানতে পারে না। সম্পূর্ণ দুনিয়ার মানুষ প্রার্থনা করে পতিত-পাবন এসে পবিত্র করুন। তাহলে তাদের মহাত্মা কিভাবে বলা হবে! পতিতের সামনে মাথা নোয়াতে হয় কি? পাবন অর্থাৎ পবিত্রের সামনে মাথা নোয়াতে হয়। কুমারী কন্যাদের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় - যখন বিকার গ্রস্ত হয় তখন সবার সামনে মাথা নিচু করে এবং ঈশ্বরের প্রতি আহ্বান করে হে পতিত-পাবন এসো। আরে, পতিত হও কেন, যদি ডাকতেই হয়। সবার শরীর তো বিকার দ্বারা নির্মিত তাইনা কারণ এই হলো রাবণ রাজ্য। এখন তোমরা রাবণের হাত থেকে মুক্ত হয়ে এসেছো। একেই বলা হয় - পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। এখন তোমরা পুরুষার্থ করছ রামরাজ্যে যাওয়ার জন্য। সত্যযুগ হল রাম রাজ্য। শুধু ত্রেতাকে রাম রাজ্য বললে সূর্য বংশী লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য কোথায় গেল? অতএব এইসব জ্ঞান এখন তোমরা বাচ্চারা প্রাপ্ত করছো। নতুন আত্মারা আসে যাদের তোমরা জ্ঞান প্রদান করো। যোগ্যতা প্রদান করো। কেউ কেউ এমন কুসঙ্গ পেয়ে যোগ্যতা হারিয়ে অযোগ্য হয়ে যায়। বাবা পবিত্র করেন। অতএব এখন পতিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যখন বাবা এসেছেন পবিত্র করতে, মায়া এমন প্রবল যে পতিত বানিয়ে দেয়। পরাজিত করে। তখন বলে - বাবা রক্ষা করুন। বাঃ, যুদ্ধের ময়দানে অসংখ্য মারা যায় তখন রক্ষা করা হয় কি! এই মায়ার গুলি, বন্দুকের গুলির চেয়েও কঠোর। কাম বিকারের বশ হওয়া অর্থাৎ নীচে পতন হওয়া। সত্যযুগে সবাই পবিত্র গৃহস্থ ধর্মের হয় যাঁদের দেবতা বলা হয়। এখন তোমরা জানো বাবা কিভাবে আসেন, কোথায় থাকেন, কিভাবে এসে রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করেন ? দেখানো হয় অর্জুনের রথে বসে জ্ঞান দিয়েছিলেন। তাহলে ওঁনাকে সর্বব্যাপী কেন বলা হয়েছে ? যে বাবা স্বর্গের স্থাপনা করেন, সবাই তাঁকেই ভুলে গেছে। এখন তিনি নিজের পরিচয় নিজেই দিচ্ছেন। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) মহান আত্মা হওয়ার জন্য অপবিত্রতা জনিত যে সব কু-অভ্যাস গুলি রয়েছে, সেসব ত্যাগ করতে হবে। দুঃখ দেওয়া, লড়াই ঝগড়া করা... এই সব হলো অপবিত্র কর্তব্য, যা তোমরা আর করবে না। নিজেকে রাজ তিলক প্রাপ্তির অধিকারী করতে হবে।

২ ) বুদ্ধিকে সকল প্রকারের ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্ত করে, দেহধারীদের সঙ্গ থেকে দূরে সরিয়ে সুরভিত ফুলে পরিণত হতে হবে। গুপ্ত রূপে নিজ উপার্জন জমা করার জন্য চলতে-ফিরতে অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

বরদান:-
নিজের শুভ-চিন্তনের শক্তির দ্বারা আত্মাদেরকে চিন্তা মুক্তকারী শুভচিন্তক মণি ভব

আজ বিশ্বে সকল আত্মারাই চিন্তামণি হয়ে গেছে। এই চিন্তামণিদেরকে তোমরা শুভচিন্তক মণিরা নিজেদের শুভ চিন্তনের শক্তির দ্বারা পরিবর্তন করতে পারো। যেরকম সূর্যের কিরণ দূর-দূরান্তের অন্ধকারকে সমাপ্ত করতে পারে, সেইরকমই তোমাদের অর্থাৎ শুভচিন্তক মণিদের শুভ সংকল্পরূপী ঝলক বা কিরণ বিশ্বের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এইজন্য তারা মনে করছে যে কোনও স্পিরিচ্যুয়াল লাইট গুপ্ত রূপে নিজের কাজ করছে। এই টাচিং এখন শুরু হয়েছে, অবশেষে খুঁজতে-খুঁজতে সঠিক স্থানে তারা পৌঁছে যাবে।

স্লোগান:-
বাপদাদার ডায়রেক্শন ক্লিয়ারভাবে ক্যাচ করার জন্য মন-বুদ্ধির লাইন ক্লিয়ার রাখো।