10-08-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
31-10-2006 মধুবন
"সদা স্নেহী হওয়ার সাথে সাথে যদি অখণ্ড মহাদানী হও
তবে বিঘ্ন-বিনাশক, সমাধান স্বরূপ হয়ে যাবে"
আজ প্রেমের সাগর নিজের পরমাত্ম প্রেমের যোগ্য বাচ্চাদের সাথে মিলিত হতে এসেছেন।
তোমরাও সবাই স্নেহের অলৌকিক বিমানে করে এখানে পৌঁছে গেছ, তাই না! সাধারণ প্লেনে চড়ে
এসেছ, নাকি স্নেহের প্লেনে উড়ে এসে পৌঁছে গেছ? সবার হৃদয়ে স্নেহের তরঙ্গ তরঙ্গিত
হচ্ছে এবং এই স্নেহই ব্রাহ্মণ জীবনের ফাউন্ডেশন। তো তোমরা সবাই এখানে এসেছ যখন তাহলে
তো স্নেহই তোমাদের টেনে এনেছে, তাই না! জ্ঞান তো পরে শুনেছো, কিন্তু স্নেহ পরমাত্ম
স্নেহী বানিয়ে দিয়েছে। কখনো স্বপ্নেও হবে না যে আমি পরমাত্ম স্নেহের যোগ্য হবো!
কিন্তু এখন কী বলো? হয়ে গেছি। স্নেহও সাধারণ স্নেহ নয়, হৃদয়ের স্নেহ। আত্মিক
স্নেহ, প্রকৃত স্নেহ, নিঃস্বার্থ স্নেহ। এই পরমাত্ম স্নেহ খুব সহজভাবে স্মরণের
অনুভব করায়। স্নেহ ভুলে যাওয়া কঠিন। স্নেহ এক অলৌকিক চুম্বক। স্নেহ সহজ যোগী
বানিয়ে দেয়। পরিশ্রম থেকে নিষ্কৃতি দেয়। স্নেহের সাথে স্মরণ করলে পরিশ্রম লাগে
না। ভালবাসার ফল খায়। স্নেহের লক্ষণ চতুর্দিকের বাচ্চারা বিশেষভাবে তো আছেই, কিন্তু
ডবল বিদেশি স্নেহের দরুন ছুটতে ছুটতে এসে পৌঁছে গেছে দেখো, ৯০-টা দেশ থেকে কীভাবে
ছুটাছুটি করে এখানে পৌঁছে গেছে! দেশের বাচ্চারা তো প্রভু প্রেমের উপযুক্ত বটেই,
কিন্তু আজ ডবল বিদেশিদের বিশেষ গোল্ডেন চান্স আছে। তোমাদের সকলেরও তো বিশেষ ভালবাসা
আছে, আছে না! স্নেহ আছে তো না! স্নেহ কতটা আছে? কতটা? তুলনা করতে পারো কিছুর সাথে!
কোনো তুলনাই হতে পারে না। তোমাদের নিজেদের একটা গীত আছে না - না আকাশে এত তারা আছে,
না সাগরে এত জল..., অসীম ভালোবাসা, অসীম স্নেহ... এখানে ।
বাপদাদাও স্নেহী বাচ্চাদের সাথে মিলিত হতে পৌঁছে গেছেন। তোমরা সব বাচ্চা স্নেহের
সাথে স্মরণ করেছো এবং বাপদাদা তোমাদের ভালবাসায় পৌঁছে গেছেন। যেমন, এই সময়
তোমাদের প্রত্যেকের মুখে স্নেহের রেখা ঝলমল করছে। এভাবেই এখন আর কী অ্যাডিশন করতে
হবে? স্নেহ যে আছে, এটা তো নিশ্চিত। বাপদাদাও সার্টিফিকেট দেন যে স্নেহ আছে। এখন কী
করতে হবে? বুঝে তো গেছো। এখন শুধু আন্ডারলাইন করতে হবে - সদা স্নেহী থাকতে হবে, সদা।
সামটাইম নয়। স্নেহ অটুট, কিন্তু পার্সেন্টেজে পার্থক্য হয়ে যায়। তো পার্থক্য মুছে
ফেলতে কী মন্ত্র রয়েছে? সবসময় মহাদানী, অখণ্ডদানী হও। সদা দাতার বাচ্চারা বিশ্ব
সেবাধারী সমান। কোনও সময় মাস্টার দাতা হওয়া ব্যতীত থাকেনি। কেননা কার্য বিশ্ব
কল্যাণের, বাবার সাথে সাথে তোমরাও সহায়ক হওয়ার সংকল্প করেছ। হয় মন্সা দ্বারা
শক্তির দান দাও কিংবা সহযোগ দাও। বাচা দ্বারা জ্ঞানের দান দাও, সহযোগ দাও, কর্ম
দ্বারা গুণের দান দাও এবং স্নেহ সম্পর্ক দ্বারা খুশির দান দাও, কত অখণ্ড ভাণ্ডারের
মালিক, তোমরা রিচেস্ট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড! অফুরান আর অখণ্ড ভাণ্ডার! যত দেবে তত বাড়তে
থাকে। কম হবে না, বাড়বে, কারণ বর্তমান সময়ে তোমাদের সবার আত্মিক ভাই-বোনেদের
মেজরিটি এই ভাণ্ডারের জন্য পিপাসার্ত। তো নিজের ভাইবোনদের প্রতি তোমাদের করুণা হয়
না! পিপাসার্ত আত্মাদের পিপাসা কী মেটাবে না? তোমাদের কানে কী আওয়াজ পৌঁছায় না
"হে আমার দেবদেবী আমাকে শক্তি দাও, সত্যিকারের ভালবাসা দাও।" তোমাদের ভক্ত আর দুঃখী
আত্মারা উভয়েই দয়া করো, কৃপা করো, হে কৃপার দেব-দেবীগণ ব'লে আর্ত চিৎকার করছে।
সময়ের কাতর নিবেদন তোমরা শুনতে কী পাও না! তাছাড়া, দেওয়ার সময়ও এখন। পরে আর কবে
দেবে? কত অফুরন্ত অখণ্ড ভাণ্ডার যে তোমাদের কাছে জমা আছে, কবে দেবে? লাস্ট টাইম,
অন্তিম সময়ে দেবে? সেই সময় শুধু এক আঁজলা দিতে পারবে।
তো নিজেদের জমা হওয়া ভাণ্ডার কবে কার্যে লাগবে? চেক করো সব সময় কোনো না কোনো
ভাণ্ডার সফল করছ কিনা! এতে তোমাদের ডবল লাভ, ভাণ্ডার সময়োপযোগী করলে আত্মাদের
কল্যাণও হবে আর সেই সাথে তোমরাও সবাই মহাদানী হওয়ার কারণে বিঘ্ন বিনাশোক, সমস্যা
স্বরূপ নয়, সমাধান স্বরূপ সহজে হয়ে যাবে। ডবল লাভ। আজ এটা এসেছে, কাল এটা এসেছে,
আজ এটা হয়ে গেছে, কাল ওটা হয়ে যাবে। বিঘ্নমুক্ত, সমস্যা মুক্ত সদাসর্বদার জন্য হয়ে
যাবে। যে সমস্যার পিছনে সময় দিয়ে থাকো, পরিশ্রমও করো, কখনো উদাস হয়ে যাও, কখনো
উল্লাস করো, সেসব থেকে রক্ষা পাবে কেননা, বাপদাদারও বাচ্চাদের পরিশ্রম ভালো লাগে
না। বাপদাদা যখন দেখেন, বাচ্চারা পরিশ্রমের মধ্যে রয়েছে তখন বাচ্চাদের পরিশ্রম বাবা
দেখতে পারেন না। সুতরাং পরিশ্রম মুক্ত পুরুষার্থ করতে হবে, কিন্তু কোন পুরুষার্থ?
এখনো পর্যন্ত নিজের ছোট ছোট সমস্যাতে পুরুষার্থী হয়ে থাকবে কী! এখন পুরুষার্থ করো
অখণ্ড মহাদানী, অখণ্ড সহযোগী হওয়ার। ব্রাহ্মণদের মধ্যে সহযোগী হও এবং দুঃখী
আত্মাদের, পিপাসার্ত আত্মাদের জন্য মহাদানী হও। এখন এই পুরুষার্থের আবশ্যকতা রয়েছে।
পছন্দ তো না! পছন্দ হয়েছে? পিছনে যারা রয়েছ তোমাদের পছন্দ হয়েছে! তো এখন কিছু
চেঞ্জ করতেও তো হবে, তাই না! নিজের জন্য সেই পুরুষার্থ অনেক টাইম পর্যন্ত করেছো।
পাণ্ডব, এভাবে পছন্দ হয়? তাহলে, কাল থেকে কী করবে? কাল থেকেই শুরু করবে, নাকি এখন
থেকে? এখন থেকে সংকল্প করো - আমার সময়, সংকল্প বিশ্বের জন্য, বিশ্বের সেবার জন্য।
এতে অটোমেটিক্যালি নিজের জন্য হয়ে যাবে, বাকি থেকে যাবে না, বাড়বে। কেন? তুমিই যদি
কারও আশা পূরণ করো, দুঃখের বদলে সুখ দাও, নির্বল আত্মাদের শক্তি দাও, গুণ দাও, তবে
তারা কত আশীর্বাদ দেবে! তাছাড়া, সবার থেকে আশীর্বাদ নেওয়া এগিয়ে যাওয়ার
সর্বাপেক্ষা সহজ সাধন। যদি ভাষণ নাও করো, বেশি প্রোগ্রাম করতে না পারো, কোনো লোকসান
নেই, করতে পারলে আরো করো, কিন্তু নাও যদি করতে পারো তবে কোনো লোকসান নেই, অবিনাশী
ভাণ্ডার সফল করো। তোমাদের বলা হয়েছিল তো না - মন্সা দ্বারা নিরন্তর শক্তির ভাণ্ডার
দিয়ে যাও। বাণী দ্বারা জ্ঞানের ভাণ্ডার, কর্ম দ্বারা গুণের ভাণ্ডার এবং বুদ্ধির
দ্বারা সময়ের ভাণ্ডার, সম্বন্ধ সম্পর্কের দ্বারা খুশির ভাণ্ডার সফল করো। তো সফল
করার দ্বারা সফলতা মূর্ত হয়েই যাবে। সহজভাবে উড়তে থাকবে, কেননা, আশীর্বাদ এক
লিফ্টের কাজ করে, সিঁড়ির নয়। সমস্যা এসেছে, সমাধান করেছ, কখনো দুদিন লাগিয়েছ,
কখনো দু ঘন্টা লাগিয়েছ, এটা সিঁড়ি চড়া। আশীর্বাদ সফল করো, সফলতা মূর্ত হও, তো
লিফ্টে করে যেখানে চাও সেকেন্ডে পৌঁছে যাবে। হয় সূক্ষ্ম বতনে পৌঁছাও কিম্বা পরমধামে
পৌঁছাও অথবা নিজের রাজ্যে পৌঁছাও, সেকেন্ডে। লণ্ডনে তোমরা প্রোগ্রাম করেছিলে তো না
ওয়ান মিনিট। বাপদাদা তো বলেন ওয়ান সেকেণ্ড। ওয়ান সেকেন্ডে আশীর্বাদের লিফ্টে চড়ে
যাও। শুধু স্মৃতির সুইচ টিপে দাও ব্যস্। পরিশ্রম থেকে মুক্ত।
আজ ডবল বিদেশিদের দিন, তাই না! তাইতো বাপদাদা প্রথমে ডবল বিদেশিদের দেখতে চান, কোন
স্বরূপে? পরিশ্রম মুক্ত, সফলতা মূর্ত, আশীর্বাদের যোগ্য। তোমরা হবে তো না? কারণ ডবল
বিদেশিদের বাবার প্রতি খুব ভালবাসা আছে, শক্তি প্রয়োজন কিন্তু ভালবাসা আছে অনেক।
চমৎকার করেছে তো না? দেখো, ৯০টা দেশ, আলাদা আলাদা দেশ, আলাদা আলাদা রীতি রেওয়াজ
কিন্তু পাঁচ খণ্ডের এক চন্দন বৃক্ষ হয়ে গেছে। এক বৃক্ষতে এসে গেছে। একই ব্রাহ্মণ
কালচার হয়ে গেছে, এখন ইংলিশ কি আছে! আমাদের কালচার ইংলিশ এখন নেই তো না! ব্রাহ্মণ
তোমরা, তাই না? যারা মনে করো এখন তো আমাদের কালচার ব্রাহ্মণ কালচার তারা হাত উঠাও।
ব্রাহ্মণ কালচার আর অ্যাডেড কালচার নয়। এক হয়ে গেছ তো না! সব বৃক্ষ এক হয়ে গেছে
- এর জন্য বাপদাদা অভিনন্দন জানাচ্ছেন। কত ভালো লাগে! যেকোনো কাউকে জিজ্ঞাসা করো
আমেরিকাকে জিজ্ঞাসা করো, ইউরোপকে জিজ্ঞাসা করো তোমরা কে? তো তারা কী বলবে? তোমরা
ব্রাহ্মণ নাকি না! ইউ. কে-র নও, আফ্রিকান নও, আমেরিকান নও, সবাই ব্রাহ্মণ, এক হয়ে
গেছো। একমত হয়ে গেছ, এক স্বরূপ হয়ে গেছ - ব্রাহ্মণ আর একমত শ্রীমৎ। এতে মজা আসে,
তাই না! সবাই কাঁধ নাড়াচ্ছে, এটা ভালো।
বাপদাদা সেবাতে কী নবীনত্ব চান? যে সেবাই করছ সেটা খুব খুব খুব ভালো করছ, তার জন্য
তো অভিনন্দন রয়েছেই, কিন্তু পরে কী অ্যাডিশন করতে হবে? তোমাদের মনের মধ্যে তো আছে
না কিছু নবীনত্বের প্রয়োজন, তো বাপদাদা দেখেছেন যে তোমরা যে প্রোগ্রামই করেছ,
সময়ও দিয়েছ আর ভালবাসার সাথে করেছো, পরিশ্রম করেছ তাও ভালবাসার সাথে এবং স্থূল ধন
যদি লাগিয়েছ তবে সেটা পদ্ম গুন হয়ে তোমাদের পরমাত্ম ব্যাংকে জমা হয়ে গেছে। সেটা
আর কি লাগিয়েছ! বরং জমা করেছ। রেজাল্টে দেখা গেছে যে সমাচার পৌঁছানোর কার্য, পরিচয়
দেওয়ার কার্য সবাই খুব ভালো করেছ। কোথায় করেছ সেটা বড় ব্যাপার নয়, এখন দিল্লিতে
হচ্ছে, লণ্ডনে হয়েছে। তাছাড়া, ডবল ফরেনারদের করা কল অফ টাইম, পিস্ অফ মাইন্ড এই
সব প্রোগ্রাম বাপদাদার খুব ভালো লাগে। অন্য যে কোনও কাজ যা তোমরা করতে পারো তা' করতে
থাকো। তারা যখন সমাচার পায় তারা স্নেহীও হয়, সহযোগীও হয়, তাদের মধ্যে থেকে কেউ
কেউ সম্বন্ধেও আসে কিন্তু এখন কিছু অ্যাডিশন প্রয়োজন। তোমরা যখনই কোনো বড়
প্রোগ্রাম করো সেখান থেকে লোকের কাছে সমাচার তো পৌঁছায়, কিন্তু তারা যেন কিছু
অনুভব করে যায়, অনুভব খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে সমর্থ বানায়।
যেমন, কল অফ টাইম কিম্বা পিস্ অফ মাইন্ডে তাদের অনুভব বেশি থাকে। কিন্তু যেসব বড়
প্রোগ্রাম হয় তা'তে তারা ভালোভাবে সমাচার তো পেয়েই যায়, কিন্তু যারাই আসে তারা
এটা অনুসরণ ক'রে যেন কিছু না কিছু অনুভব করে, কেননা অনুভব কখনো ভোলা যায় না আর
অনুভব এমন জিনিস যা চাইলেও সেইদিকে টানবে। তো প্রথমে বাপদাদা বলেন যে সবাই তোমরা
ব্রাহ্মণ কিন্তু জ্ঞানের যে পয়েন্টগুলো আছে, নিজে তার অনুভাবী হয়েছ? সব শক্তির
অনুভব করেছ? সব গুণের অনুভব করেছো? আত্মিক স্থিতির অনুভব করেছো? পরমাত্ম ভালবাসার
অনুভব করেছো? জ্ঞান বোঝার ব্যাপারে তো পাশ হয়েছ, নলেজফুল হয়ে গেছো, এতে তো
বাপদাদাও রিমার্কস দেন, ঠিক আছে। আত্মা কী, পরমাত্মা কী, ড্রামা কী, জ্ঞান তো বুঝে
নিয়েছ, কিন্তু যখনই চাইবে, যত সময় চাইবে, যে পরিস্থিতিতে থাকবে, সেই পরিস্থিতিতে
আত্মিক বলের অনুভব হবে, পরমাত্ম শক্তির অনুভব হবে, সেটা হয়? যে সময়, যতটা সময়,
যেভাবে অনুভব করতে চাও সেভাবে হয়? ভাবছ আমি আত্মা, আর বারবার দেহবোধে এসে যাচ্ছ তবে
কি অনুভব কাজে আসলো? অনুভাবী মূর্ত প্রতিটা সাব্জেক্টের অনুভাবী মূর্ত হবে, সব
শক্তির অনুভাবী মূর্ত হবে। সুতরাং নিজের মধ্যেও অনুভব আরও বাড়াও, আছে, এমন নয় যে
নেই, কিন্তু কখনো কখনো থাকে, সামটাইম। তো বাপদাদা সামটাইম চান না। সামথিং হয়ে যায়
তো সামটাইমও হয়ে যায়! কেননা, তোমাদের সবার লক্ষ্য আছে, তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে
কী হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে? তো তোমরা বলে থাকো বাবা সমান। একই উত্তর দিয়ে থাকো তোমরা
সবাই। তো বাবা সমান! তো বাবা সামটাইম আর সামথিং ছিলেন না, ব্রহ্মা বাবা সদা
রাজযুক্ত, যোগযুক্ত, সব শক্তিতে সদা, কখনো কখনো নয়। যা অনুভব হয় তা' সদাকাল চলে,
সেটা সামটাইম হয় না। তো নিজে অনুভাবী মূর্ত হয়ে সব বিষয়ে, সব সাব্জেক্টে অনুভাবী,
জ্ঞান স্বরূপ হওয়ায় অনুভাবী, যোগযুক্ত হওয়ায় অনুভাবী, ধারণা স্বরূপে অনুভাবী,
সেবা, মন্সা বাচা কর্মণায়, সম্বন্ধ সম্পর্কে সবেতে অলরাউন্ড অনুভাবী, তবে বলা হবে
পাস উইথ অনার। তো কী হতে চাও? পাস হতে চাও, নাকি পাস উইথ অনার হতে চাও? যারা পাস
করার তারা তো পিছনেও আসবে, তোমরা তো টু লেট থেকে আগে এসে গেছ, হতে পারে এখন নতুনই
এসেছ, কিন্তু টু লেট এর বোর্ড লাগেনি। লেট এর বোর্ড লেগেছে, টু লেট এর লাগেনি।
সেইজন্য কেউ যদি নতুনও হয়, এখনও যদি পুরুষার্থ করে, শুধু পুরুষার্থ নয় তীব্র, তবে
এগিয়ে যেতে পারো। কেননা, নম্বর আউট হয়নি। কেবল দুটো নম্বর আউট হয়েছে, বাবা আর
মা। এখন কোনও ভাই বোনের তৃতীয় নম্বর আউট হয়নি। যদিও তোমরা বলবে দাদিদের প্রতি
অনেক ভালবাসা আছে, বাবারও দাদিদের প্রতি ভালোবাসা আছে, কিন্তু নম্বর আউট হয়নি।
সেইজন্য তোমরা চমৎকার হারানিধি, অতি আদরের ভাগ্যবান বাচ্চা। যত উড়তে চাও ওড়ো।
কেননা, দেখ যারা ছোট বাচ্চা হয় তাদেরকে বাবা নিজের আঙুল ধরে চালায়, এক্সট্রা
ভালবাসা দেয়, আর বড়দের আঙুলের দ্বারা চালনা করেন না, তারা নিজের পায়ে চলে। সুতরাং
নতুনরাও কিছু মেকাপ করতে পারে। গোল্ডেন চান্স আছে। কিন্তু শীঘ্রাতিশীঘ্র, টু লেট এর
বোর্ড লাগবে, সেইজন্য আগেই করে নাও। প্রথমবার নতুন যারা এসেছ তারা হাত তোলো। আচ্ছা।
অভিনন্দন। প্রথমবার নিজের ঘর মধুবনে পৌঁছে গেছো, সেইজন্য বাপদাদা এই সমস্ত পরিবার,
হতে পারে তারা দেশের বা বিদেশের সবার তরফ থেকে পদ্ম-পদ্ম গুন অভিনন্দন।
আচ্ছা - এখন সেকেন্ডে যে স্থিতিতে বাপদাদা ডিরেকশন দেবেন সেই স্থিতিতে সেকেন্ডে
পৌঁছাতে পারো! নাকি পুরুষার্থে সময় চলে যাবে? এখন অভ্যাস প্রয়োজন সেকেন্ডের। কেননা,
ভবিষ্যতে যে ফাইনাল সময় আসবে, যাতে পাস উইথ অনার এর সার্টিফিকেট প্রাপ্তি হবে, তার
অভ্যাস এখন থেকে করতে হবে। সেকেন্ডে যেখানে চাও, যে স্থিতি প্রয়োজন সেই স্থিতিতে
যদি স্থিত হয়ে যাও, তবে এভাররেডি, রেডি হয়ে যাবে।
এখন, প্রথমে এক সেকেন্ডে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগী শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ আমি - এই স্থিতিতে
স্থিত হও.. এখন আমি ফরিস্তা রূপ, ডবল লাইট.., এখন বিশ্ব কল্যাণকারী হয়ে মন্সা
দ্বারা চতুর্দিকে শক্তির কিরণ দেওয়ার অনুভব করো। এভাবে সারাদিনে সেকেন্ডে স্থিত হতে
পারো। এর অনুভব করতে থাকো। কেননা, অকস্মাৎ যে কোনও কিছু হওয়ার আছে। বেশি সময় পাওয়া
যাবে না। অস্থিরতার মধ্যে সেকেন্ডে যাতে অটল হতে পারো তার অভ্যাস নিজর সময় বের করে
মাঝে মাঝে করতে থাকো। এর থেকে মনের কন্ট্রোল সহজভাবে হয়ে যাবে। কন্ট্রোলিং পাওয়ার,
রুলিং পাওয়ার বাড়তে থাকবে।
আচ্ছা- চতুর্দিকের বাচ্চাদের অনেক পত্রও এসেছে, অনেক অনুভবও এসেছে, তো বাপদাদা
রিটার্নে বাচ্চাদের হৃদয়ের অনেক অনেক আশীর্বাদ আর হৃদয়ের পদ্দ-পদ্ম গুন স্মরণের
স্নেহি দিচ্ছেন। বাপদাদা দেখছেন যে চতুর্দিকে বাচ্চারা শুনছেও, দেখছেও। যারা হয়তো
দেখছে না তারাও স্মরণে তো আছে। সবার বুদ্ধি এই সময় মধুবনেই আছে। তো চতুর্দিকের সেই
সব বাচ্চা নামসহ স্মরণ-স্নেহ স্বীকার করো।
সদা উৎসাহ উদ্দীপনার পাখা দ্বারা উঁচু স্থিতিতে উড়তে থাকে এমন সব শ্রেষ্ঠ আত্মাকে,
যারা সদা স্নেহে লভলীন থাকে এমন সমাহিত হয়ে থাকা বাচ্চাদের, সদা পরিশ্রম মুক্ত, সদা
সব পরিস্থিতিতে সেকেন্ডে পাস হয়ে যায়, সব সময় সর্বশক্তি স্বরূপ হয়ে থাকে, এমন
মাস্টার সর্বশক্তিমান বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার। তোমাদের
সকলের প্রিয় দাদিকেও অনেক অনেক আশীর্বাদ আর স্মরণের স্নেহ-সুমন।
বরদান:-
গোল্ডেন এজেড স্বভাবের দ্বারা গোল্ডেন এজেড সেবা করে
শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থী ভব
যে বাচ্চাদের স্বভাবে ঈর্ষা, প্রমাণ করার জিদভাব অথবা
কোনও পুরানো সংস্কারের অ্যালয় মিক্স হয় না তারা গোল্ডেন এজেড স্বভাবের। এমন
গোল্ডেন এজেড স্বভাব এবং সদা হাঁ জী-র সংস্কার বানায়, এমন পুরুষার্থী বাচ্চারা যে
সময় যে সেবা দরকার সেভাবে নিজেকে মোল্ড করে রিয়েল গোল্ড হয়ে যায়। সেবাতেও যদি
অভিমান আর অপমানের অ্যালয় মিক্স না হয় তবে বলা যাবে গোল্ডেন এজেড সেবাধর্মী।
স্লোগান:-
কেন কী এর প্রশ্ন সমাপ্ত করে সদা প্রসন্নচিত্ত থাকো।
অব্যক্ত ইশারা :- সহজযোগী হতে হলে পরমাত্ম প্রেমের
অনুভবী হও লভলীন স্থিতির সমান আত্মারা সদা-সময়ের যোগী। যোগ লাগায় না, বরং তারা
হয়ই লাভলীন। তারা আলাদাই হয়ে নেই সুতরাং যোগ কি করবে! আপনা থেকেই স্মরণ থাকে।
যেখানে সাথ আছে সেখানে স্মরণ সদাই থাকে। সুতরাং সমান আত্মাদের স্টেজ সাথে থাকার,
সমাহিত হয়ে থাকার।