10.10.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - উঠতে বসতে বুদ্ধিতে জ্ঞান উছলে উঠতে থাকলে, তবে অপার খুশীতে থাকবে"

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা তোমাদেরকে কার সঙ্গ থেকে খুব খুব সাবধান থাকতে হবে?

উত্তরঃ  
যাদের বুদ্ধিতে বাবার স্মরণ স্থায়ী হয় না, বুদ্ধি এদিকে-ওদিকে ঘুরপাক খেতে থাকে, তাদের সঙ্গ থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে চলতে হবে। তাদের অঙ্গের সাথে নিজেদের অঙ্গও স্পর্শ হতে দিতে নেই, কারণ যারা স্মরণে থাকে না, তারা বায়ুমন্ডলকে খারাপ করে দেয়"

প্রশ্নঃ -
মানুষের মধ্যে কখন অনুতাপ হবে?

উত্তরঃ -
যখন তারা জানতে পারবে যে, এদের পড়ান স্বয়ং ভগবান, তখন তাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাবে আর অনুশোচনা করবে যে আমরা গাফিলতি করেছি, পড়াশুনা করিনি ।

ওম্ শান্তি ।
এখন আত্মিক (রুহানী) যাত্রাকে তো বাচ্চারা ভালো ভাবে বোঝে। কোনও হঠযোগেরই যাত্রা (এখানে) হয় না। এ হলো স্মরণ। স্মরণের জন্য কোনো কষ্টেরই ব্যাপার নেই। বাবাকে স্মরণ করা, এর মধ্যে কোনো কষ্টেরই ব্যাপার নেই। এ হলো ক্লাস, সেইজন্য কেবল নিয়ম মেনে বসতে হয়। তোমরা বাবার বাচ্চা হয়েছো, বাচ্চাদের লালন-পালন করা হচ্ছে। কীরকম লালন-পালন? অবিনাশী জ্ঞান-রত্নের ধন-ভান্ডার প্রাপ্ত হচ্ছে । বাবাকে স্মরণ করার মধ্যে কোনো কষ্ট নেই। মায়া শুধুমাত্র বুদ্ধির যোগ ভঙ্গ করে দেয়। যেভাবেই বসো না কেন, যদিও এতে স্মরণের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেক বাচ্চারা হঠযোগে ৩-৪ ঘন্টা বসে। সমস্ত রাত বসে। পূর্বে তোমাদেরও তো ভাট্টি ছিল, সে আলাদা ব্যাপার ছিল। সেখানে তোমাদের চাকরি ব্যবসা যে'সবের ব্যাপার তো ছিল না। সেইজন্য এটা শেখানো যেত। এখন বাবা বলেন, তোমরা গৃহস্থ ব্যবহারে থাকো। নিজের নিজের পেশায় যদি ব্যস্তও থাকো, যে কোনো কাজ করার সময়ও বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এইরকমও নয় যে, এখন তোমরা নিরন্তর স্মরণ করতে পারবে। না । এই অবস্থায় আসতে টাইম লাগে। এখন নিরন্তর অবস্থায় স্থিত হয়ে গেলে তারপর তো কর্মাতীত অবস্থা হয়ে যাবে। বাবা বোঝান- বাচ্চারা, ড্রামার প্ল্যান অনুসারে এখন খুব কম সময়ই অবশিষ্ট আছে। সমস্ত হিসাবই বুদ্ধিতে থাকে। বলে খ্রাইষ্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারতই ছিল। তাকে স্বর্গ বলা হতো। এখন তাদের ২ হাজার বছর সম্পূর্ণ হচ্ছে, ৫ হাজার বছরের হিসাব হয়ে যাবে।

দেখা গেছে যে তোমাদের সকল সুখ্যাতি বিদেশ থেকেই বের হয়, কারণ তাদের বুদ্ধি তবুও ভারতবাসীর থেকে তীক্ষ্ণ। ভারতের কাছে পীসও (শান্তিও) তারাই চায়। ভারতবাসীরাই লক্ষ বছর বলে আর সর্বব্যাপীর জ্ঞান দিয়ে বুদ্ধি বিকৃত করে দিয়েছে। তমোপ্রধান হয়ে গেছে। তারা এতো তমোপ্রধান হয়নি, তাদের বুদ্ধি তো অত্যন্ত তীক্ষ্ম। যখন তাদের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়বে ভারতবাসী তখন জাগবে, কারণ ভারতবাসী একদম অঘোর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। তারা কিছুটা নিদ্রাচ্ছন্ন। তাদের থেকে ভালো আওয়াজ বের হবে। বিদেশ থেকে এসেও ছিল এদেশে- পীস কীভাবে হতে পারে সেখানে তা জানতে। কারণ বাবাও ভারতেই আসেন। এই কথা তো বাচ্চারা, তোমরাই বলতে পারো যে - দুনিয়াতে আবার সেই শান্তি কখন আর কীভাবে হবে? তোমরা বাচ্চারা জানো প্যারাডাইস বা হেভেন অবশ্যই ছিল। নূতন দুনিয়াতে ভারত প্যারাডাইস ছিলো। এটা আর কেউই জানে না। মানুষের বুদ্ধিতে এই কথাই বসে গেছে যে, ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী আর বলে দেয় কল্পের আয়ু লক্ষ বছর। সবচেয়ে বেশী পাথরবুদ্ধি সম্পন্ন এই ভারতবাসীই হয়ে গেছে। এই গীতা শাস্ত্র ইত্যাদি সব হলো ভক্তি মার্গের। তবুও এই সব এমনই হবে। যদি তোমরা জানো যে এ'সব হলো ড্রামা, তবুও বাবা তো পুরুষার্থ করাবেনই । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে বিনাশ তো অবশ্যই হবে। বাবা আসেনই নূতন দুনিয়ার স্থাপনা করতে। এটা তো খুশিরই ব্যাপার তাই না ! যখন কোনো বড় পরীক্ষায় পাশ করে তো মন খুশীতে ভরে যায় তাই না! আমরাও এই সব পাশ করে গিয়ে এইরূপ (দেবতায়) হবো। সব নির্ভর করে পড়াশোনার উপরে।

বাচ্চারা, তোমরা জানো অবশ্যই বাবা আমাদের পড়াশোনা করিয়ে দেবতা তৈরী করেন। অবশ্যই প্যারাডাইস হেভেন (স্বর্গ) ছিলো। মানুষ তো বেচারা একদমই বিভ্রান্ত হয়ে আছে। অসীম জগতের পিতার কাছে যে জ্ঞান আছে, সেটা তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের দিচ্ছেন। তোমরা বাবার মহিমা করো - বাবা হলেন নলেজফুল আবার তিনি ব্লিসফুলও, ধন-ভান্ডারও ওঁনার কাছে সম্পূর্ণ রূপে রয়েছে । তোমাদের এতো বিত্তশালী কে করেছেন? তোমরা এখানে কেন এসেছো? উত্তরাধিকার পেতে। যদি কারোর শরীর-স্বাস্থ্য ভালো হয় কিন্তু ধন থাকে না, তো ধন ছাড়া কি হবে! বৈকুন্ঠে তো তোমাদের কাছে ধন থাকে। এখানে যাদের অনেক অর্থ আছে, তাদের নেশা থাকে আমার কাছে এতো ধন আছে, এই সব কারখানা ইত্যাদি আছে। কিন্তু শরীর ছাড়লে শেষ। তোমরা তো জানো আমাদেরকে বাবা ২১ একুশ জন্মের জন্য এতো সম্পদ দিয়ে দিচ্ছেন। বাবা নিজে তো ধন-ভান্ডারের মালিক হন না। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের মালিক করে তোলেন। তোমরা এটাও জানো যে গড ফাদার ব্যতীত কেউই বিশ্বে শান্তি স্থাপন করতে পারে না। সবচেয়ে ফার্স্টক্লাস চিত্র হলো - এই ত্রিমূর্তি আর সৃষ্টি চক্রের (গোলা) । এই চক্রতেই সমগ্র জ্ঞান সমাহিত রয়েছে । তোমাদের এমন কোনো ওয়ান্ডারফুল জিনিস থাকলে তবেই তো তারা বুঝবে যে অবশ্যই এতে কোনো তাৎপর্য রয়েছে । কোনো-কোনো বাচ্চারা খেলনার মতো ছোটো ছোটো ছবি তৈরী করে, এই রকম ছবি বাবার পছন্দ হয় না। বাবা তো বলেন - বড় চিত্র লাগাও, যা দূর থেকে যে কেউই পড়ে বুঝতে পারবে। মানুষের অ্যাটেনশন বড় কিছুর দিকেই যায় । এতে ক্লীয়ার দেখানো হয়েছে, ওই দিকে কলিযুগ, এইদিকে সত্যযুগ। বড়-বড় চিত্র হলে তো মানুষকে আকৃষ্ট করবে। টুরিস্টরাও দেখবে, তারা বুঝতে পারবে ভালো ভাবে। তোমরা তো জানো যে খ্রাইষ্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে স্বর্গ ছিলো। বাইরের লোকেরা সেটা জানে না। ৫ হাজার বছরের হিসাব তোমরা ক্লীয়ার বোঝো, সেই কারণেই তো এতো বড় বড় চিত্র তৈরী করা চাই যা দূর থেকে দেখতে পাবে আর শব্দ গুলোও পড়তে পারবে, যাতে তারা বুঝতে পারে যে দুনিয়ার শেষ হওয়া তো নিশ্চিত । বম্বস্ তো তৈরী হচ্ছেই। ন্যাচারাল ক্যালামেটিসও (প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও) হবে। বিনাশের নাম শুনলে তো ভিতরে ভিতরে তোমাদের খুবই খুশী হওয়া উচিত। কিন্তু জ্ঞানই না হলে তো খুশীও থাকতে পারে না। বাবা বলেন দেহ সহ সব কিছু ছেড়ে নিজেকে আত্মা মনে করো, তুমি আত্মা আমার অর্থাৎ বাবার সাথে যোগ যুক্ত হও। এ হলো পরিশ্রমের ব্যাপার। পবিত্র হয়েই পবিত্র দুনিয়াতে আসতে হবে। তোমরা মনে করো আমরাই (বাচ্চারাই) বাদশাহী নিই, আবার হারিয়ে ফেলি। এটা তো হলো খুবই সহজ। উঠতে, বসতে, চলতে ফিরতে ভিতরে ভিতরে টপ টপ করে পড়তে থাকতে হবে, যেমন বাবার কাছে জ্ঞান আছে। বাবা এসেছেনই পাঠ পড়িয়ে দেবতা করে তুলতে। তাই তো এতো অপার খুশী বাচ্চাদের থাকা উচিত, তাই না ! নিজেকে জিজ্ঞাসা করো এমন অপার খুশী আছে? বাবাকে এতখানি স্মরণ করা হয়? চক্রেরও সমস্ত নলেজ বুদ্ধিতে আছে, তো এতখানি খুশী থাকতে হবে । বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করো আর খুশিতে থাকো। তোমাদের পড়াশুনা করানোর জন্য কে রয়েছেন দেখো ! যখন সকলে সে'কথা জানবে সকলের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাবে। কিন্তু এখন তাদের বুঝতে কিছু দেরী আছে। এখন দেবতা ধর্মের এতো মেম্বার্স তো হয়নি। সমগ রাজত্ব স্থাপন হয়নি। কতো প্রচুর পরিমাণ মানুষকে বাবার পয়গাম দিতে হবে ! অসীম জগতের বাবা আবারও আমাদের স্বর্গের বাদশাহী দিচ্ছেন। তোমরাও সেই বাবাকে স্মরণ করো। অসীম জগতের বাবা তো অবশ্যই অসীম জগতের সুখ দেবেন, তাই না ! বাচ্চাদের ভিতরে তো অপরিসীম জ্ঞানের খুশী থাকা উচিত আর যত বাবাকে স্মরণ করতে থাকবে তো আত্মা পবিত্র হতে থাকবে।

বাচ্চারা, ড্রামার প্ল্যান অনুসারে তোমরা জানো যে, যত সার্ভিস করে প্রজা তৈরী করবে ততই যার কল্যাণ হয় তাদের থেকে আশীর্বাদও প্রাপ্ত হতে থাকে । গরিবের সার্ভিস করছো তোমরা। নিমন্ত্রণ দিতে থাকো। তোমরা ট্রেনেও অনেক সার্ভিস করতে পারো। এতো ছোট্ ব্যাজেও কতো নলেজ সমাহিত রয়েছে । এই পড়াশোনার সমস্ত সার এই ব্যাজে রয়েছে । ব্যাজ তো খুব ভালো-ভালো রকমের প্রচুর তৈরী করা উচিত যাতে কাউকে উপহারও দেওয়া যায়। কাউকে বোঝানো তো খুবই সহজ। কেবলমাত্র শিববাবাকে স্মরণ করো।যশিববাবার থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় বলে বাবা আর বাবার উত্তরাধিকার, স্বর্গের বাদশাহী, কৃষ্ণপুরীকে স্মরণ করো। মানুষের মত তো কতো বিভ্রান্তিকর। কিছুই বোঝে না। বিকারের জন্য কতো জ্বালাতন করে। কাম এর পিছনে কতো কতো জন মরে। কোনো কথাই বোঝে না। সকলের বুদ্ধি একদম উধাও হয়ে গেছে, বাবাকে জানেই না। এটাও ড্রামাতে পূর্ব নির্ধারিত। সবার মেন্টাল নিঃশেষ হয়ে গেছে - মানসিক শক্তি শেষ হয়ে গেছে। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা পবিত্র হলে তো এভাবে স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে, কিন্তু বোঝেই না। আত্মার সমস্ত শক্তি চলে গেছে। কতো বোঝানো হয় তবুও পুরুষার্থ করতে আর করাতে হবে। পুরুষার্থে ক্লান্ত হতে নেই। হার্টফেলও হতে দিতে নেই। এতো পরিশ্রম করেছি, ভাষণের দ্বারাও একজনও বের হয়নি। কিন্তু তোমরা যা শুনিয়েছিলে, যারাই তা শুনেছে তার উপরে ছাপ তো পড়ে গেছে । পরে সকলে অবশ্যই জানবে। তোমাদের অর্থাৎ বি. কে দের অপরিসীম মহিমা ছড়াতে থাকবে। কিন্তু অ্যাক্টিভিটিস দেখে তো যেন একদম অবুঝ মনে হয়। কোনো রিগার্ডই নেই, সম্পূর্ণ পরিচয় নেই। বুদ্ধি বাইরে ঘোরা-ফেরা করতে থাকে। বাবাকে স্মরণ করলে সাহায্যও পাওয়া যাবে। বাবাকে স্মরণ করে না তবে তো সে হলো পতিত। তোমরা পবিত্র হচ্ছো। যারা বাবাকে স্মরণ করে না তাদের বুদ্ধি কোথাও না কোথাও ঘোরা-ফেরা করতে থাকে। তাই তাদের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে মিলিত হতে নেই (অর্থাৎ বেশী কাছাকাছি আসতে নেই), কারণ স্মরণে না থাকার জন্য তারা বায়ুমন্ডলকে খারাপ করে দেয়। পবিত্র আর অপবিত্র একত্রিত হতে পারে না, সেইজন্য বাবা পুরানো সৃষ্টিকে নিঃচিহ্ন করে দেন। প্রতিনিয়ত নিয়মও কড়া হতে থাকবে। বাবাকে স্মরণ না করলে লাভের পরিবর্তে আরোই লোকসান করা হবে। পবিত্রতার সমস্ত কিছু নির্ভর করে স্মরণের উপরে। এক জায়গায় বসার ব্যাপার নেই। এখানে একসাথে বসার চেয়ে ভালো হবে একাকী পাহাড়ীতে গিয়ে বসলে। যে স্মরণ করে না সে হলো পতিত। তার সঙ্গ করতে নেই। চলন থেকেই বোঝা যায়। স্মরণ ব্যাতীত তো পবিত্র হতে পারে না। প্রত্যেকের উপরে প্রচুর পাপের বোঝা রয়েছে - জন্ম-জন্মান্তরের। তারা স্মরণ ব্যাতীত কীভাবে যাত্রায় বের হবে। তারা তো তাহলে পতিতই হলো।

বাবা বলেন বাচ্চারা, আমি তোমাদের জন্য সমস্ত দুনিয়াকে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছি। তাদের সঙ্গ যেন না হয়। কিন্তু এতো বুদ্ধিও নেই যে বুঝবে কার সঙ্গ করা উচিত। তোমাদের প্রীত পবিত্রের সাথে পবিত্রের হওয়া উচিত। এই বুদ্ধিরও দরকার রয়েছে । সুইট বাবা আর সুইট রাজধানী ছাড়া আর কিছু স্মরণে আসবে না। এতো সব ত্যাগ করা কোনো মাসীর বাড়ী নয় । বাবার তো বাচ্চাদের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। বাচ্চারা, তোমরা পবিত্র হয়ে গেলে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। আমি তোমাদের জন্য পবিত্র দুনিয়া স্থাপনা করছি। এই পতিত দুনিয়াকে একদম নিশ্চিহ্ন করে দেবো। এখানে এই পতিত দুনিয়াতে প্রতিটা জিনিস তোমাদের দুঃখ দেয়। আয়ুও কম হতে থাকে, একে বলা হয় ওয়ার্থ নট পেনী ( মূল্যহীন)। কড়ি আর হীরেতে পার্থক্য তো আছে তাই না! তাই বাচ্চারা তোমাদের কতো খুশী থাকা উচিত। গাওয়াও হয় সত্যতা থাকলে মন যেন নৃত্য করে (সচ্ তো বিঠো নাচ)। তোমরা সত্যযুগে খুশীতে নৃত্য করো। এখানকার কোনো বস্তুর প্রতিই আকর্ষণ যেন না থাকে। এসব তো দেখেও দেখতে নেই, চোখ খোলা থাকলেও যেন নিদ্রিত, কিন্তু সেই সাহস, সেই স্থিতি থাকা চাই। এটা তো সুনিশ্চিত যে এই পুরানো দুনিয়া থাকবেই না। খুশীর পারদ এতোটা উপরে উঠে থাকা চাই। নিজেকে চিমটি কাটা উচিত - আরে, আমরা শিববাবাকে স্মরণ করলে তো বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করবো। হঠযোগেও বসতে নেই। খাদ্য-পানীয় গ্রহণ করার সময়, কাজকর্ম করার সময় বাবাকে স্মরণ করো। এও জানো যে রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। বাবা কি আর বলবেন যে দাসী হও ! বাবা তো বলবেন পবিত্র হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো। বাবা পবিত্র হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করান, তোমরা আবার পতিত হয়ে যাও, কতো মিথ্যা কথা বলো, কতো পাপ করো। সর্বক্ষণ শিববাবাকে স্মরণ করলে সব পাপ স্বাহা হয়ে যাবে। এটা বাবার যজ্ঞ যে! অত্যন্ত মহান যজ্ঞ। লোকেরা যজ্ঞ রচনা করে - লক্ষ টাকা খরচ করে। এক্ষেত্রে তো তোমরা জানো সমগ্র দুনিয়া এতে স্বাহা হয়ে যায়। দেশের বাইরে আওয়াজ ছড়িয়ে পড়লে ভারতেও ছড়াতে থাকবে। এক তো বাবার সাথে বুদ্ধির যোগ হলে পাপ খন্ডন হবে আর তারপর উচ্চ পদও প্রাপ্ত হবে। বাবার তো কর্তব্য হলো বাচ্চাদের পুরুষার্থ করানো। লৌকিক বাবা তো বাচ্চাদের সেবা করে, সেবা নেয়ও। এই বাবা তো বলেন বাচ্চারা আমি তোমাদের ২১ জন্মের উত্তরাধিকার দিই, তাই এমন বাবাকে অবশ্যই স্মরণ করতে হবে, যাতে পাপ খন্ডন হয় । এছাড়া জলে কি আর পাপ খন্ডন হয়! জল তো যেখানে-সেখানে আছে। বিদেশেও তো অনেক নদী রয়েছে, তবে কি এখানের নদী গুলি পবিত্র করার, বিদেশের নদী গুলি পতিত করে তোলার? মানুষের কোনো বোধই নেই। বাবার তো করুণা হয়। বাবা বোঝান - বাচ্চারা গাফিলতি ক'রো না। বাবা এতো সুন্দর সুন্দর ফুল তৈরী করেন, তাই পরিশ্রম করা উচিত। নিজের প্রতি করুণা করতে হবে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এখানকার কোনো বস্তুর প্রতিই আকর্ষণ যেন না আসে। দেখেও দেখবে না। চোখ খোলা থাকলেও যেমন নিদ্রার ঘোর থাকে, সেইরকম খুশির নেশা চড়ে থাকবে।

২ ) সব কিছু নির্ভর করে পবিত্রতার উপরে, সেইজন্য সতর্কতার প্রয়োজন। যেন পতিতের অঙ্গের সাথে অঙ্গ না স্পর্শ হয়। সুইট বাবা আর সুইট রাজধানী ছাড়া আর কিছু যেন স্মরণে না আসে।

বরদান:-
লৌকিকের ইচ্ছা গুলিকে ত্যাগ করে ভালো বাচ্চা হওয়া ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা ভব

মনের মধ্যে কোনও লৌকিকের ইচ্ছা থাকলে সেটা তোমাদেরকে ভালো হতে দেবে না। যেরকম রোদের আলোয় হাঁটলে সামনে ছায়া পড়ে, সেই ছায়াকে যদি ধরার চেষ্টা করো তাহলে ধরতে পারবে না। পিছন ফিরে চলে আসো তাহলে ছায়া পিছনে পিছনে আসবে।সেইরকমই ইচ্ছা আকৃষ্ট করে কাঁদায়, ইচ্ছাকে ত্যাগ করো তবে সে পিছনে পিছনে আসবে। যে সদা চাইতে থাকে সে কখনও সম্পন্ন হতে পারবে না। কোনও ইচ্ছার পিছনে ছুটে চলা হলো মৃগতৃষ্ণার মতো। এর থেকে সদা সাবধান থাকো তাহলে ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা হয়ে যাবে।

স্লোগান:-
নিজের শ্রেষ্ঠ কর্ম বা শ্রেষ্ঠ চলনের দ্বারা আশীর্বাদ জমা করে নাও তাহলে পাহাড় সম বিষয়ও তুলোর সমান অনুভব হবে।