10-11-2024 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
14-11-2002 মধুবন
"ব্রাহ্মণ জীবনের ফাউন্ডেশন এবং সফলতার আধার -
নিশ্চয়বুদ্ধি"
আজ শক্তিমান বাবা চতুর্দিকে তাঁর নিজের যোগ্য বাচ্চাদের দেখছেন। প্রত্যেক বাচ্চা
সমর্থ হয়ে বাবা সমান হওয়ার শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থে নিয়োজিত রয়েছে। বাচ্চাদের এই
নিষ্ঠা দেখে বাপদাদাও আনন্দিত হতে থাকেন। বাচ্চাদের এই দৃঢ় সংকল্প বাপদাদারও প্রিয়
লাগে। বাপদাদা তো বাচ্চাদের এটাই বলে থাকেন যে, বাবার থেকেও তোমরা এগিয়ে যেতে পারো,
কেননা, স্মারক রূপে বাবার পূজাও সিঙ্গেল হয়, তোমরা সব বাচ্চার পূজা হয় ডবল।
বাপদাদার মাথার মুকুটও তোমরা। বাপদাদা বাচ্চাদের স্বমান দেখে সদা এটাই বলেন, বাহ্
শ্রেষ্ঠ স্বমানধারী, স্বরাজ্যধারী বাচ্চারা বাঃ! বাবার প্রত্যেক বাচ্চার বিশেষত্ব
তাদের প্রত্যেকের মাথায় ঝলমলে প্রতীয়মান হয়। তোমরাও নিজেদের বিশেষত্ব জেনে, চিনে
বিশ্ব সেবায় প্রয়োগ করে এগিয়ে চলো। চেক করো - আমি প্রভু-পছন্দ, পরিবার-পছন্দ কতটা
হয়েছি! কারণ সঙ্গমযুগে বাবা ব্রাহ্মণ পরিবার রচনা করেন, সুতরাং প্রভু-পছন্দ এবং
পরিবারের-পছন্দ দুইই আবশ্যক।
আজ বাপদাদা সকল বাচ্চার ব্রাহ্মণ জীবনের ফাউন্ডেশন দেখছিলেন। ফাউন্ডেশন হলো
নিশ্চয়বুদ্ধি। সেইজন্য যেখানে প্রতিটা সংকল্পে, প্রতিটা কার্যে নিশ্চয় আছে সেখানে
বিজয় হয়েই আছে। সফলতা জন্মসিদ্ধ অধিকার রূপে আপনা থেকেই সহজভাবে প্রাপ্ত হয়েছে।
জন্মসিদ্ধ অধিকারের জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে না। সফলতা ব্রাহ্মণ জীবনের গলার
হার। ব্রাহ্মণ জীবন হয়ই সফলতা স্বরূপ। সফলতা হবে কি হবে না সেটা ব্রাহ্মণ জীবনের
কোশ্চেনই নয়। নিশ্চয়বুদ্ধি সদা বাবার কম্বাইন্ড, সুতরাং যেখানে বাবা কম্বাইন্ড
সেখানে সফলতা সদা প্রাপ্ত হয়ে থাকে। তো চেক করো - কতটা সফলতা স্বরূপ হয়েছো? যদি
সফলতায় পার্সেন্টেজ থাকে তবে তার কারণ, নিশ্চয়ে পার্সেন্টেজ আছে। নিশ্চয় শুধু
বাবাতে থাকে, সেটা তো খুব ভালো। কিন্তু নিশ্চয় হবে - বাবাতে নিশ্চয়, স্ব-এ নিশ্চয়,
ড্রামাতে নিশ্চয় এবং সেইসঙ্গে পরিবারে নিশ্চয়। এই চার নিশ্চয়ের আধারে সফলতা
সহজভাবে আপনা থেকেই হয়।
বাবাতে নিশ্চয় সব বাচ্চার রয়েছে, তবেই তো এখানে এসেছে। বাবারও তোমাদের সবার প্রতি
নিশ্চয় আছে, তবে তিনি নিজের বানিয়েছেন। কিন্তু ব্রাহ্মণ জীবনে সম্পন্ন কিংবা
সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য স্ব-এর মধ্যেও নিশ্চয় আবশ্যক। বাপদাদার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া
শ্রেষ্ঠ স্বমান যেন সদা স্মৃতিতে থাকে যে, আমি পরমাত্মা দ্বারা স্বমানধারী শ্রেষ্ঠ
আত্মা। সাধারণ আত্মা নই, পরমাত্ম স্বমানধারী আত্মা। তখন স্বমান প্রতিটা কর্মে
তোমাদের সফলতা সহজেই প্রাপ্ত করাবে। সুতরাং স্ব-এর মধ্যে নিশ্চয়বুদ্ধির লক্ষণ হলো
- সফলতা বা বিজয়। একইভাবে, বাবাতে তোমাদের দৃঢ় নিশ্চয় আছে, তার লক্ষণ হলো - "আমি
নিরন্তর বাবার আর বাবা আমার।" এটা নিরন্তর বিজয়ের আধার। "আমার বাবা" শুধু বাবা নয়,
আমার বাবা। 'আমার'- এর ভিত্তিতে তোমাদের অধিকার থাকে। তো যে আত্মা বলে আমার বাবা,
তেমন নিশ্চয়বুদ্ধি আত্মা সদা অধিকারী হয় - সফলতার, বিজয়ের। একইভাবে, ড্রামাতেও
সম্পূর্ণ নিশ্চয় থাকতে হবে। সফলতা আর সমস্যা দু' প্রকারের বিষয় ড্রামাতে আসে।
কিন্তু সমস্যার সময় নিশ্চয়বুদ্ধির লক্ষণ হলো - সমাধান স্বরূপ। সমস্যাকে সেকেন্ডে
সমাধান স্বরূপের দ্বারা পরিবর্তন করে দেওয়া। সমস্যার কাজ হলো আসা, নিশ্চয়বুদ্ধির
কাজ হলো সমাধান স্বরূপ দ্বারা সমস্যার পরিবর্তন করা। কেন?
তোমরা প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মা ব্রাহ্মণ জন্ম নিয়ে মায়াকে চ্যালেঞ্জ করেছো। করেছো
তো না, নাকি ভুলে গেছো? চ্যালেঞ্জ করেছো যে আমি মায়াজিৎ হবো। সুতরাং সমস্যার
স্বরূপ - মায়ার স্বরূপ। যখন চ্যালেঞ্জ করেছো তখন মায়া মোকাবিলা করবে তো না! সে
বিভিন্ন রকমের সমস্যা রূপে তোমাদের চ্যালেঞ্জকে সম্পূর্ণ করার জন্য আসে। তোমাদের
নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ী স্বরূপ দ্বারা পার করতে হবে, কেন? নাথিং নিউ। কতবার বিজয়ী
হয়েছ! হচ্ছ আর ভবিষ্যতেও হতে থাকবে। এ' হলো ড্রামায় নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ী। আরেক
হলো - ব্রাহ্মণ পরিবারের প্রতি নিশ্চয়, কেন? ব্রাহ্মণ পরিবারের অর্থই হলো সংগঠন।
ছোট পরিবার নয়, ব্রহ্মা বাবার ব্রাহ্মণ পরিবার সর্ব পরিবারের থেকে শ্রেষ্ঠ এবং বড়।
তো পরিবারের মাঝে, পরিবারের সম্প্রীতি-শৈলীর দায়িত্ব পালনেও বিজয়ী। এরকম নয় যে,
বাবা আমার, আমি বাবার, সবকিছু হয়ে গেছে, বাবার সঙ্গে কাজ, পরিবারের সঙ্গে কী কাজ!
কিন্তু এটাও নিশ্চয়ের বিশেষত্ব। চার বিষয়েই নিশ্চয়, বিজয় আবশ্যক। পরিবারও সবাইকে
অনেক বিষয়ে পাকাপোক্ত বানায়। শুধু পরিবারের মধ্যে যেন এই স্মৃতি বজায় থাকে যে,
সবাই নিজের নিজের নম্বরক্রম অনুসারে ধারণা স্বরূপ। ভ্যারাইটি রয়েছে। এর স্মারক
১০৮-এর মালা। ভাবো - কোথায় এক নম্বর আর ১০৮তম নম্বর, কেন হয়েছে? সবাই এক নম্বর
কেন হয়নি? ১৬ হাজার কেন হয়েছে? কারণ? ভ্যারাইটি সংস্কারকে বুঝে নলেজফুল হয়ে চলা,
দায়িত্ব পালন করা - এটাই সাকসেসফুল স্টেজ। চলতে তো হবেই। পরিবার ছেড়ে কোথায় যাবে!
ডবল ফরেনার্স বিজয়ী তোমরা? হাত তো খুব ভালোই নাড়াচ্ছো। খুব ভালো। বাপদাদা খুশি হন।
আচ্ছা - টিচার্স বিজয়ী তোমরা? নাকি অল্প অল্প ভাবনা হয় - কী করবো! এটা নয় তো! "কীভাবে"-
এর পরিবর্তে 'এভাবে' শব্দ ইউজ করো, কীভাবে করবো এটা নয়, এভাবে করবো। ২১ জন্মের
পরিবারের সঙ্গে কানেকশন রয়েছে। সেইজন্য যারা পরিবারের বিষয়ে পাশ, তারা সব কিছুতে
পাশ।
সুতরাং চার ধরনের নিশ্চয় চেক করো, কেননা প্রভু-পছন্দের সাথে পরিবারের-পছন্দ হওয়াও
অতি আবশ্যক। এই চার নিশ্চয়ের পার্সেন্টেজ অনুসারে নম্বর পেতে হবে। এমন নয় আমি
বাবার, বাবা আমার, ব্যস্ হয়ে গেল। এরকম নয়। 'আমার বাবা' তো খুব ভালোই বলো আর সদা
এই নিশ্চয়ে তোমরাও অনড়, এর জন্য অভিনন্দন, কিন্তু আরও তিন রয়েছে। টিচার্স,
চারটেই আবশ্যক নাকি না? এমন নয় তো যে তিনটে আবশ্যক আরেকটা দরকার নেই? যারা মনে করো
চারটেই নিশ্চয় আবশ্যক তারা এক হাত তোলো। সবার চারটে বিষয়ই পছন্দ? যাদের তিন বিষয়
পছন্দ হয় তারা হাত তোলো। কেউ নেই। এই দায়িত্ব পূরণ করা কঠিন নয়? খুব ভালো। যদি
হৃদয় থেকে হাত তুলেছো তো সবাই পাশ হয়ে গেছো। আচ্ছা।
দেখো, বিভিন্ন দেশের কোথা কোথা থেকে শাখা-প্রশাখাসমূহ এসে মধুবনে এক বৃক্ষ হয়ে যায়।
মধুবনে মনে থাকে কি, আমি দিল্লির, আমি কর্নাটকের, আমি গুজরাটের...! সবাই মধুবন
নিবাসী। সুতরাং এক বৃক্ষ হয়ে গেল তো না। এই সময় সবাই কী মনে করো, মধুবন নিবাসী,
নাকি নিজের নিজের দেশের নিবাসী? সবাই তোমরা মধুবন নিবাসী? সবাই মধুবন নিবাসী, খুব
ভালো। বাস্তবেও প্রত্যেক ব্রাহ্মণের পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস তো মধুবনই। তোমাদের
পারমানেন্ট অ্যাড্রেস কোনটা? বম্বে (মুম্বই)? দিল্লি? পাঞ্জাব? মধুবন তোমাদের
পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস। তোমাদের যে সেবাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে সেটা তো সেবার জন্য।
ওটা সেবাস্থান, মধুবন তোমাদের নিবাস-স্থান। শেষ পর্যন্ত তোমরা সবচাইতে সুরক্ষিত
স্থান কোথায় পাবে? মধুবনেই পাবে। সেইজন্য বড়-বড়ো স্থান বানানো হচ্ছে, তাই না!
সবার লক্ষ্য বাবা সমান হওয়ার। তো সারাদিনে এই ড্রিল করো - মনের ড্রিল। শরীরের
ড্রিল তো স্বাস্থ্যের জন্য করো, করতে থাকো কেননা, আজকাল ওষুধের থেকেও এক্সারসাইজ
আবশ্যক। টাইমলি সেটা তো করো আর খুব করো। সেবার টাইমে এক্সারসাইজ করতে থেকো না। এছাড়া,
টাইমলি এক্সারসাইজ করা ভালো। কিন্তু সাথে সাথে মনের এক্সারসাইজ বারবার করো। তোমরা
বাবা সমান হতে চাও, তো এক হলো - নিরাকার আর দ্বিতীয় হলো - অব্যক্ত ফরিস্তা। সুতরাং
যখনই সময় পাবে সেকেন্ডে বাবা সমান নিরাকারী স্টেজে স্থিত হয়ে যাও, বাবা সমান যদি
হতে হয় তবে নিরাকার স্থিতি হওয়াই বাবা সমান হওয়া। কার্য করাকালীন ফরিস্তা হয়ে
কর্ম করো, ফরিস্তা অর্থাৎ ডবল লাইট। কার্যের বোঝা থাকবে না। কার্যের ভার অব্যক্ত
ফরিস্তা হতে দেবে না। সুতরাং মাঝে মাঝে নিরাকারী এবং ফরিস্তা স্বরূপের মনের
এক্সারসাইজ করো, তবে পরিশ্রান্ত হবে না। ঠিক যেমন ব্রহ্মা বাবাকে সাকার রূপে দেখেছো
- ডবল লাইট। সেবার ভারও নেই। অব্যক্ত ফরিস্তা রূপ। তাহলে সহজেই বাবা সমান হয়ে যাবে।
আত্মা নিরাকার, আর আত্মা নিরাকার স্থিতিতে স্থিত থাকলে নিরাকার বাবার স্মরণ সহজভাবে
সমান বানিয়ে দেবে। এই মুহূর্তে এক সেকেন্ডে নিরাকারী স্থিতিতে স্থিত হতে পারো তোমরা?
হতে পারো? (বাপদাদা ড্রিল করালেন) এই অভ্যাস আর অ্যাটেনশন ঘুরতে ফিরতে, কর্ম করতে
করতে মধ্যে মধ্যে করে যেতে হবে। সুতরাং এই প্র্যাক্টিস মন্সা সেবা করতেও সহযোগ দেবে
এবং পাওয়ারফুল যোগের স্থিতিতেও অনেক সহায়তা পাওয়া যাবে। আচ্ছা -
ডবল ফরেনার্স এর সাথে - দেখো, ডবল ফরেনার্স-এর এই সিজনে কারণে অকারণে সব গ্রুপে
চান্স প্রাপ্ত হয়েছে। তারা সব গ্রুপে আসতে পারে, তাদের ফ্রিডম আছে। তো এটা ভাগ্য
তো না! ডবল ভাগ্য। তো এই গ্রুপেও বাপদাদা দেখছেন কিছু এসেছে প্রথম বার, কিছু এসেছে
আগের বারেরও। সব ফরেনারের প্রতি বাপদাদার দৃষ্টি রয়েছে। তোমাদের যতটা ভালোবাসা
বাবার প্রতি আছে, তোমাদের প্রতি বাবার ভালবাসা তার পদ্মগুন আছে। ঠিক আছে তো না!
পদ্মগুন আছে? তোমাদের ভালোবাসাও হৃদয়ের ভালোবাসা, তবেই তো এখানে পৌঁছেছো। ডবল
ফরেনার্স এই ব্রাহ্মণ পরিবারের শোভা। স্পেশাল শোভা। বাপদাদা দেখছেন সব দেশে স্মরণে
বসে আছে, শুনছেও তো স্মরণেও বসে আছে। খুব ভালো।
টিচার্স : - টিচার্স এর দলও বড়।
বাপদাদা টিচার্সকে একটি টাইটেল দেন। কোন টাইটেল দেন? (ফ্রেন্ডস) ফ্রেন্ডস তো সবাইই।
ডবল ফরেনার্স তো প্রথম ফ্রেন্ডস। এদের ফ্রেন্ডের সম্বন্ধ ভালো লাগে। টিচার্স যারা
যোগ্য, সবাইকে নয়, যোগ্য টিচার্সকে বাপদাদা বলেন - এরা গুরুভাই। বরিষ্ঠ বাচ্চারা
যেমন বাবার সমান হয়ে যায়, তেমনই টিচার্সও গুরুভাই হয়, কেননা সদা বাবার সেবার
নিমিত্ত হয়ে আছে, তারা বাবা সমান সেবাধারী। দেখো, টিচারদের বাবার সিংহাসন প্রাপ্ত
হয়, মুরলী শোনানোর জন্য। গুরুর আসন লাভ হয় তো না! সেইজন্য টিচার্স অর্থাৎ নিরন্তর
সেবাধারী। এইরকমই তো না! আরাম পছন্দ নয়, তাই না! সেবাধারী। সেবা, সেবা আর সেবা।
ঠিক আছে তো না! আচ্ছা।
সেবাতে দিল্লি, আগ্রার টার্ন : -
আগ্রা হলো সাথী। দিল্লির দল তো অনেক বড়। আচ্ছা - স্থাপনের
ফাউন্ডেশন হয়েছে, এ'তো খুব ভালো। এখন, বাবাকে প্রত্যক্ষ করানোর ফাউন্ডেশন কোথা থেকে
হবে? দিল্লি থেকে নাকি মহারাষ্ট্র থেকে? কর্ণাটক থেকে, লন্ডন থেকে... কোথা থেকে হবে?
দিল্লি থেকে হবে? করো নিরন্তর সেবা আর তপস্যা। সেবা আর তপস্যা দুইয়ের ব্যালেন্সের
দ্বারা প্রত্যক্ষতা হবে। যেমন, সেবার জন্য ডায়লগ তৈরি করেছো না, ঠিক তেমনই দিল্লিতে
তপস্যার বর্ণন করার ডায়লগ বানাও, তখন বলা হবে দিল্লি, দিল্লিই। দিল্লি বাবার দিল (মন)
তো বটে, কিন্তু বাবার মনপছন্দ কার্য করেও দেখাও। পান্ডব করতে হবে তো না? তোমরা এটা
করবে, অবশ্যই করবে। তপস্যা এমন করো যাতে সব পতঙ্গ বাবা, বাবা বলতে বলতে দিল্লির
বিশেষ স্থানে পৌঁছে যায়। সমূহ পতঙ্গ যখন বাবা বাবা বলতে বলতে আসবে তখন তোমরা বলতে
পারবে প্রত্যক্ষতা। সুতরাং এটা করতে হবে, আগামী বছরে এই ডায়লগ বানাও। এই রেজাল্ট
তোমাদের জানাতে হবে যে, কত পতঙ্গ বাবা বাবা ব'লে স্বাহা হয়েছে! ঠিক আছে না? খুব
ভালো, মাতারাও অনেক।
কুমার-কুমারীরা : - কুমার এবং
কুমারীরা, অর্ধেক হল (hall) কুমার- কুমারীতে ভরে আছে। শাবাশ কুমার- কুমারীরা। কেবল
কুমার-কুমারীরা জ্বালা রূপ হয়ে আত্মাদের পবিত্র বানায়। আজকের কুমার-কুমারীদের
প্রতি করুণা হওয়া উচিত, তারা কত উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিক ওদিক ঘুরে
বেড়ানো তোমাদের সাথীদের সঠিক পথে নিয়োজিত করো। আচ্ছা, কুমার কুমারী যারাই এসেছো,
তাদের মধ্যে থেকে সারা বছরে যারা আত্মাদের সেবায় নিজের সমান বানিয়েছো তারা বড় করে
হাত তোলো। কুমারীরা নিজেদের সমান বানিয়েছো? ভালো প্ল্যান বানাচ্ছো। হোস্টেলের এরা
হাত তুলেছে। এখন সেবার প্রমাণ নিয়ে আসেনি। সুতরাং কুমার-কুমারীদের সেবার প্রমাণ
নিয়ে আসতে হবে। ঠিক আছে!
দাদিজীর সাথে : - আপনার প্রতি
সবার ভালোবাসা আছে, বাবারও আপনার প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। (রতনমোহিনী দাদির সাথে)
সহযোগী হওয়াতে অনেক কিছু সূক্ষ্ম রূপে প্রাপ্ত হয়। এইরকম হয় তো, তাই না! আদি
রত্ন তুমি। আদি রত্ন, তুমি এখনও নিমিত্ত। আচ্ছা -
বরদান:-
সব কিছু 'তোমার তোমার' করে আমিত্ব বোধের লেশমাত্রও
সমাপ্ত করে ডবল লাইট ভব
যে কোনো ধরনের আমিত্ববোধ - আমার স্বভাব, আমার
সংস্কার, আমার নেচার... কোনও কিছু যদি আমার থাকে তবে বোঝা হবে, যার বোঝা থাকবে সে
উড়তে পারবে না। এই আমার আমার-ই ময়লা বানায়, সেইজন্য এখন তোমার তোমার ব'লে স্বচ্ছ
হও। ফরিস্তা মানেই আমার ভাবের অংশ মাত্রও নেই। সংকল্পেও যদি আমিত্বভাবের বোধ আসে তবে
বুঝতে হবে ময়লা হয়েছে। সুতরাং ময়লা ভাবের ভার সমাপ্ত করে ডবল লাইট হও।
স্লোগান:-
বিশ্বের আলোক সে, যে বাপদাদাকে নিজের নয়নে সমাহিত
করে।