10.12.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের এই রেকর্ড হলো সঞ্জীবনী বুটি, এটা বাজালেই তোমাদের মূর্ছিত ভাব কেটে যাবে"

প্রশ্নঃ -
স্থিতি বিগড়ে যাওয়ার কারণ কী? কোন্ যুক্তিতে অবস্থা খুব ভালো থাকতে পারে?

উত্তরঃ  
১) জ্ঞানের ডান্স করে না, পরচিন্তন পরদর্শনে নিজের সময় নষ্ট করে, এইজন্য অবস্থা (স্থিতি) খারাপ হয়ে যায়। ২) অপরকে দুঃখ দেয়, তাই তার প্রভাব নিজের স্থিতির উপরেও এসে পরে। স্থিতি ভালো তখন থাকবে, যখন আচার-আচরণে মিষ্টি হয়ে থাকবে, স্মরণের উপরে সম্পূর্ণ মনঃসংযোগ থাকবে। রাতে শোয়ার আগে কমপক্ষে আধঘন্টা স্মরণের যাত্রায় বসতে হবে আবার অমৃতবেলায় উঠে স্মরণ করলে নিজের স্থিতি খুব ভালো থাকবে।

গীতঃ-
কে এসেছে আমার মনের দ্বারে....

ওম্ শান্তি ।
এই গীতও বাবা তৈরি করিয়েছেন বাচ্চাদের জন্য। এর অর্থও বাচ্চারা ভিন্ন অন্য কেউ জানতে পারে না। বাবা অনেকবার বুঝিয়েছেন যে এই রকম ভালো ভালো রেকর্ড ঘরে রেখে দিতে হবে, যদি কখনো কোনো কারণে স্থিতি খারাপ হয়ে যায় তখন এইসব রেকর্ড বাজালে বুদ্ধিতে এর অর্থ স্মরণে এসে যাবে আর তখনই মূর্ছিত ভাব কেটে যাবে। এই রেকর্ডও হলো সঞ্জীবনী বুটি। বাবা ডায়রেক্শন তো সবাইকেই দেন কিন্তু খুব কম সংখ্যকই তাকে কাজে লাগায় । এখন এই গীতটিতে কে বলছে যে আমাদের তোমাদের সকলের হৃদয়ে কে এসেছেন! যে এসে জ্ঞান ডান্স করে। তারা বলে যে গোপিকারা কৃষ্ণকে নৃত্য করাতেন, কিন্তু এটা তো হয়না। এখন বাবা বলছেন - হে শালগ্রাম বাচ্চারা। সবাইকে বলেন তাই না। স্কুল মানে স্কুল, যেখানে পড়াশোনা হয়, এটাও হলো স্কুল। তোমরা বাচ্চারা জেনে গেছো যে আমাদের হৃদয়ে কার স্মরণ আসে! অন্য কোনো মানুষদের বুদ্ধিতে এসব কথা আসেনা। কেবলমাত্র এই সময়তেই তোমাদের বাচ্চাদের বুদ্ধিতে তাঁর স্মরণ থাকে আর অন্যরা কেউ তাঁকে স্মরণ করে না। বাবা বলেন যে তোমরা রোজ আমাকে স্মরণ করো তাহলে ধারণা খুব ভালো হবে। যেরকম আমি ডায়রেক্শন দিই, সেইরকম ভাবে তোমরা আমাকে স্মরণ করো না। মায়া তোমাদেরকে স্মরণ করতে দেয় না। আমার শ্রীমতে তোমরা খুব কম সংখ্যকই চলো আর মায়ার কথাতে অনেকে চলে। বাবা অনেকবারই বলেছেন যে - রাতে শোয়ার আগে আধঘন্টা বাবার স্মরণে বসা উচিত । সে যদি স্ত্রী-পুরুষ একসঙ্গে বসেই বা আলাদা বসো। বুদ্ধিতে এক বাবার-ই স্মরণ থাকবে। কিন্তু বিরলই কেউ কেউ স্মরণ করে। মায়া ভুলিয়ে দেয়। শ্রীমতে না চললে পদ পাবে কি করে? বাবাকে অনেক স্মরণ করতে হবে। শিববাবা তুমিই হলে আত্মাদের বাবা। সবাই তোমার থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। যে পুরুষার্থ করেনা সেও উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে, ব্রহ্মান্ডের মালিক তো সবাই হবে। সকল আত্মারা নির্বাণধামে আসবে ড্রামা অনুসারে। কিছু না করেও। আধাকল্প যদিও ভক্তি করে কিন্তু ফিরে কেউই যেতে পারে না, যতক্ষণ আমি পথ প্রদর্শক হয়ে না আসি। কেউ রাস্তা তো দেখেইনি। আর যদি দেখতো তাহলে তো তার পেছনে সবাই মশার ঝাঁকের মতো ছুটে যেতো। মূলবতন কি - এটাও কেউ জানে না। কেবলমাত্র তোমরাই জানো যে এটা হলো পূর্ব নির্মিত ড্রামা। এটাকেই রিপিট করতে হবে। এখন দিনের বেলায় তো কর্মযোগী হয়ে জীবিকানির্বাহ করতে হবে। রান্নাবান্না করা ইত্যাদি সবই হলো কর্ম করা, বাস্তবে কর্মসন্ন্যাস বলাও হলো রং। কর্ম ছাড়া তো কেউ থাকতে পারে না। কর্মসন্ন্যাসী মিথ্যা নাম রেখে দেয়। তাই দিনে যার যা জীবিকা তা করো, কিন্তু রাতে শোয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবাকে ভালোভাবে স্মরণ করো। যাকে এখন আপন করেছো তাঁকে স্মরণ করলে তার সহায়তা অবশ্যই প্রাপ্ত করতে পারবে। আর না করলে পাবে না। ধনী ব্যক্তিদের তো বাবার বাচ্চা হতে হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যায় তাই তাদের পদও প্রাপ্ত হয় না। এই স্মরণ করা তো খুবই সহজ। তিনি আমাদের বাবা, শিক্ষক এবং সদ্গুরু। আমাদেরকে সমগ্র বিশ্বের রহস্য বুঝিয়েছেন - এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি কিভাবে রিপিট হয়ে থাকে । বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে হবে। সবাইকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক শিববাবা-ই আছেন। এইরকম এইরকম চিন্তনে থাকতে হবে। রাতে শোয়ার সময়ও এই জ্ঞান চিন্তন করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই যেন এই জ্ঞান স্মরণে আসে। আমরা ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা আবার ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হবো। তারপর বাবা আসবেন, পুনরায় আমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হবো। বাবা হলেন ত্রিমূর্তি, ত্রিকালদর্শী, ত্রিনেত্রীও । আমাদের বুদ্ধির তালা খুলে দেন। জ্ঞানের তৃতীয় নেত্রও প্রাপ্ত হয়। এইরকম বাবা তো আর অন্য কেউ হতে পারে না। বাবা রচনা রচেন, তাই তিনি মা-ও । জগদম্বাকে নিমিত্ত বানিয়েছেন। বাবা এই শরীরে এসে ব্রহ্মা রূপের দ্বারা খেলাধুলাও করেন। ঘুরতেও যান। আমরা বাবাকে স্মরণ তো করি, তাই না! তোমরা এখন জেনে গেছো যে এনার রথে বাবা আসেন। তোমরা বলবে যে বাপদাদা আমাদের সাথে খেলা করেন। খেলার মধ্যেও বাবা স্মরণের পুরুষার্থ করেন। বাবা (শিব)বলেন আমি এনার দ্বারা খেলা করি। চৈতন্য তো তাই না। তাই এই রকম চিন্তন করতে হবে। এইরকম বাবার উপরে সম্পূর্ণ বলি চড়তে হবে। ভক্তি মার্গেও তোমরা এই গীত গেয়ে এসেছো যে, আমি তোমার (সমর্পিত) হয়ে যাবো.... এখন বাবা বলছেন, এই এক জন্ম তোমরা আমাকে তোমাদের উত্তরাধিকারী বানাও তাহলে আমি ২১ জন্মের জন্য তোমাদের রাজ্য ভাগ্য দেবো। এখন এই ফরমান দিয়েছি তাই এই ডায়রেক্শনে তোমাদের চলতে হবে। তিনিও যেরকম দেখবেন সেই রকম ডায়রেক্শন দেবেন। ডায়রেক্শনে চললে মমত্ব কেটে যাবে, কিন্তু ভয় পায়। বাবা বলেন তোমরা সমর্পিত হও না তাহলে আমি তোমাদেরকে কিভাবে উত্তরাধিকার দেবো? তোমাদের পয়সা কি কেউ নিয়ে চলে যাবে? বলবে, আচ্ছা তোমাদের পয়সা আছে, লিটেরেচার বানাতে লাগিয়ে দাও। ট্রাস্টি তোমরা তাই না। বাবা রায় দিতেই থাকবেন। বাবার সব কিছু হলো বাচ্চাদের জন্য । বাচ্চাদের থেকে বাবা কিছুই নেন না। যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেন তাতেই মমত্ব কেটে যায়। এই মোহ হলো বড় কড়া । (বাঁদরের মতো) বাবা বলেন তোমরা বাঁদরের মতো তাদের জন্য মায়া কেন রাখো। তাহলে ঘরে-ঘরে মন্দির কিভাবে তৈরি হবে। আমি তোমাদেরকে এই বাঁদরপনা থেকে ছাড়িয়ে মন্দিরের মূর্তি তৈরি করছি। তোমরা এই আবর্জনায় কেন মমতা রেখেছো। বাবার শুধুই মত (বুদ্ধি) দেবেন - কিভাবে নিজেকে সামলাবে। তাও তোমাদের বুদ্ধিতে বসে না। এই সবকিছুই হলো বুদ্ধির কাজ।

বাবা রায় দেন অমৃতবেলায়ও কিভাবে বাবার সঙ্গে কথা বলবে। বাবা, তুমি অসীম জগতের বাবা, তুমি সেইসাথে টিচারও। তুমিই আমাদের অসীম জগতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি বলতে পারো। লক্ষ্মী-নারায়ণের চুরাশি জন্মের কাহিনী এই দুনিয়াতে আর কেউ জানেনা। জগদম্বাকে মাতা পিতাও বলা হয় । তিনি কে? সত্যযুগে তো হতে পারেন না। সেখানকার মহারানী-মহারাজা তো হলেন লক্ষী-নারায়ণ। তাদের নিজের বাচ্চারাই সিংহাসনের অধিকারী হবে। আমরা কিভাবে তাদের বাচ্চা হতে পারবো যে সিংহাসনে বসবো। এখন আমরা জেনেছি যে এই জগদম্বা হলেন ব্রাহ্মণী আছেন। ব্রহ্মার কন্যা সরস্বতী। মানুষ এইসব রহস্য জানে নাকি। রাতে শোয়ার আগে বাবার স্মরণে বসার এই নিয়ম রাখো তাহলে খুবই ভালো হবে। নিয়ম বানালে তোমাদের খুশির পারদ উর্ধ্বে থাকবে তখন আর কোনো কষ্ট থাকবে না। তোমরা বলবে এক যে আমরা হলাম এক বাবার সন্তান, আমরা হলাম ভাই-বোন। এরপরও নোংরা দৃষ্টি রাখা ক্রিমিনাল অ্যাসল্ট (অপরাধমূলক কর্ম) হয়ে যাবে। নেশাও সতঃ, রজঃ, তমোগুণী হয়ে থাকে না । তমোগুনী নেশা চড়ে গেলে মারা পরে যাবে। এই নিয়ম বানিয়ে নাও - কিছু সময় বাবাকে স্মরণ করে তারপর বাবার সার্ভিসে যাও। তাহলে মায়ার তুফান আসবে না। সেই নেশা দিনভর চলবে আর স্থিতিও বড়ই রিফাইন হয়ে যাবে। যোগের ক্ষেত্রেও লাইন ক্লিয়ার হয়ে যাবে। খুব ভালো ভালো কিছু রেকর্ডও আছে, সে'সব শুনতে থাকলে তো নাচতে শুরু করে দেবে, রিফ্রেশ হয়ে যাবে। দুই চার-পাঁচটা এমন খুব সুন্দর সুন্দর রেকর্ডও রয়েছে । গরীবও যদি বাবার এই সার্ভিসে লেগে যায় তো তারও মহল প্রাপ্ত হয়ে যাবে। শিব বাবার ভান্ডার থেকে সবকিছুই প্রাপ্ত হয়। সার্ভিসেবলকে বাবা কেনই বা দেবেন না। শিববাবার ভান্ডার সর্বদা ভরপুরই থাকে।

(গীত) এ হলো জ্ঞান ডান্স । বাবা এসে জ্ঞান ডান্স করান গোপ-গোপীদেরকে। যেখানেই বসে থাকো না কেন বাবাকে স্মরণ করতে থাকো তাহলে স্থিতি খুব ভালো হয়ে যাবে। যেরকম বাবা জ্ঞান আর যোগের নেশায় থাকেন, বাচ্চারা তোমাদেরকেও শেখান। তাহলে খুশির নেশা তো থাকবে। নাহলে তো পরচিন্তন পরদর্শনে থাকার জন্য নিজের স্থিতিকে খারাপ করে ফেলবে। সকালে ওঠা তো খুব ভালো। বাবার স্মরণে বসে বাবার সঙ্গে মিষ্টি-মিষ্টি কথা বলা উচিত । যারা বক্তৃতা দেয় তাদের তো বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। আজ এই পয়েন্টের উপর বোঝাবো, এইভাবে বোঝাবো। বাবাকে অনেক বাচ্চারাই বলে যে আমি চাকরি ছেড়ে দেবো? কিন্তু বাবা বলেন যে প্রথমে সেবার প্রমাণ দাও। বাবা তো স্মরণের যুক্তি খুব সুন্দর বলে দিয়েছেন। কিন্তু কোটির মধ্যে কয়েকজনই বেরোবে, যাদের এই অভ্যাস থাকবে। কারোর তো আবার খুব কম জনেরই স্মরণ থাকে। তোমাদের কুমারীদের নাম তো খুব গৌরবান্বিত হয়ে আছে। কুমারীদের সবাই পায়ে ধরে। তোমরা ২১ জন্মের জন্য ভারতকে স্বরাজ্য প্রদান করে থাকো। তোমাদের স্মরণিক হলো মন্দির। ব্রহ্মাকুমার-কুমারীদের নামও প্রখ্যাত হয়ে গেছে তাইনা। কুমারী সেই যে ২১ কুলের উদ্ধার করে। তো সেই অর্থও তো বুঝতে হবে। তোমরা বাচ্চারা জানো যে এ হলো ৫ হাজার বছরের ড্রামা, যা কিছু অতীত হয়ে গেছে সেটাই ড্রামা। ভুল হলেও তা ড্রামা। ভবিষ্যতের জন্য নিজের রেজিস্টারকে সর্বদা ঠিক রাখতে হবে। পুনরায় যেন রেজিস্টার খারাপ না হয়ে যায়। খুব বড় পরিশ্রম রয়েছে, তবেই তো এত উঁচু পদ প্রাপ্ত হবে। বাবার হয়ে গেছো তাহলে বাবা উত্তরাধিকারও প্রদান করবেন। সতীনপুত্রকে কি কখনো উত্তরাধিকার প্রদান করবেন নাকি। সহায়তা করা হহো বাবার দায়িত্ব। যে সেন্সিবল হবে সে প্রত্যেক কথা দিয়ে সাহায্য করবে। বাবা দেখো কতখানি সহায় হন। সাহসী বাচ্চার জন্য সাহায্যকারী স্বয়ং ভগবান (হিম্মত বচ্চে মদদে বাপ) । মায়ার উপরে বিজয় পাওয়ার জন্য অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। একমাত্র আত্মিক বাবাকে স্মরণ করতে হবে, অন্য সব সঙ্গ ত্যাগ করে একসঙ্গ জুড়তে হবে। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনি বলেন আমি এঁনার মধ্যে প্রবেশ করি, কথা বলি। আর তো কেউ এ সমস্ত কথা বলতে পারবে না যে আমি হলাম বাবা, টাচার এবং সদ্গুরু । ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরের রচয়িতা আমি। এই সমস্ত কথাগুলো এখন তোমরা বাচ্চারাই বুঝতে পারো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) পুরানো নোংরা আবর্জনাতে মমতা রেখো না, বাবার ডায়রেক্শনে চলে নিজের আসক্তিকে দূর করতে হবে। ট্রাস্টি হয়ে থাকতে হবে।

২ ) এই অন্তিম জন্মে ভগবানকে নিজের ওয়ারিশ (উত্তরাধিকারী) বানিয়ে তাঁর ওপর সমর্পিত হয়ে যেতে হবে, তবে ২১ জন্মের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত হবে। বাবাকে স্মরণ করে সার্ভিস করতে হবে। নেশায় থাকতে হবে। রেজিস্টার যাতে কখনো খারাপ না হয় সেই দিকে সতর্ক থাকতে হবে।

বরদান:-
প্রত্যক্ষফল দ্বারা অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি করে থাকা নিঃস্বার্থ সেবাধারী ভব

সত্যযুগে সঙ্গমের কর্মফল প্রাপ্ত হয় কিন্তু এখানে বাবার বাচ্চা হওয়ার কারণে প্রত্যক্ষফল উত্তরাধিকারের রূপে প্রাপ্ত হয়। সেবা করলে আর সেবার সাথে সাথে খুশী প্রাপ্ত হলো। যারা স্মরণে থেকে, নিঃস্বার্থ ভাবের দ্বারা সেবা করে তাদের, সেবার প্রত্যক্ষফল অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। প্রত্যক্ষফলই হলো তাজা ফল যা এভারহেল্দী বানিয়ে দেয়। যোগযুক্ত, যথার্থ সেবার ফল হলো খুশী, অতীন্দ্রিয় সুখ আর ডবল লাইটের অনুভূতি।

স্লোগান:-
বিশেষ আত্মা হলো সে, যার নিজের আচরণের দ্বারা আত্মিক রয়্যাল্টির ঝলক আর নেশার অনুভব করায়।