11.02.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের ভগবান পড়ান, তোমাদের কাছে আছে জ্ঞান রত্ন, তোমাদের এই রত্নের-ই কাজকারবার করতে হবে, তোমরা এখানে জ্ঞানের শিক্ষা প্রাপ্ত করো, ভক্তির নয়"

প্রশ্নঃ -
মানুষ ড্রামার কোন্ ওয়ান্ডারফুল ভবিতব্যকে ভগবানের লীলা মনে করে তাঁর গুণগান করে?

উত্তরঃ  
যে মানুষ যেই ইষ্টের প্রতি ভক্তি ভাব রাখে, সেই ইষ্টের সাক্ষাৎকার হলে ভাবে এই সাক্ষাৎকার ভগবান করিয়েছেন কিন্তু সবই হয় ড্রামা অনুযায়ী। এক দিকে ভগবানের গুণগান করে, অন্যদিকে সর্বব্যাপী বলে গ্লানি করে দেয় ।

ওম্ শান্তি ।
ভগবানুবাচ - বাচ্চাদের এই কথা তো বোঝানো হয়েছে যে মানুষকে বা দেবতাকে ভগবান বলা হয় না। গানও গায় ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ, বিষ্ণু দেবতায় নমঃ, শঙ্কর দেবতায় নমঃ, তারপরে বলে শিব পরমাত্মায় নমঃ। এই কথাও তোমরা জানো শিবের নিজের কোনো শরীর নেই। মূলবতনে শিববাবা এবং শালগ্রাম থাকে । বাচ্চারা জানে যে আমরা আত্মারা, এখন আমাদের বাবা পড়াচ্ছেন এবং অন্য যেসব সৎসঙ্গ গুলি রয়েছে বাস্তবে সেসব কোনও সৎসঙ্গ নয়। বাবা বলেন সেসব হলো মায়ার সঙ্গ। সেখানে কেউ এমন বুঝবেনা যে আমাদের ভগবান পড়ান। গীতাও শুনবে তো কৃষ্ণ ভগবানুবাচ ভাববে। দিন দিন গীতার চর্চা (অভ্যাস) কম হয়ে যাচ্ছে কারণ নিজের ধর্মকে তারা জানে না । কৃষ্ণের সঙ্গে সবার প্রেম রয়েছে, কৃষ্ণকে দোলনায় দোলানো হয়। এখন তোমরা ভাবো আমরা কাকে দোলাবো? বাচ্চাকে দোলানো হয়, পিতাকে নয়। তোমরা শিববাবাকে দোলাবে? তিনি শিশু রূপে আসেন না, পুনর্জন্মেও আসেন না। তিনি হলেন বিন্দু স্বরূপ, তাঁকে কিভাবে দোলাবে? অনেকেরই কৃষ্ণের সাক্ষাৎকার হয়। কৃষ্ণের মুখে তো সম্পূর্ণ বিশ্ব কারণ বিশ্বের মালিক তিনি হন। সুতরাং এ হলো বিশ্ব রূপী মাখন । তারা যে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে তাও সৃষ্টি রূপী মাখনের জন্য যুদ্ধ করে। ভাবে আমরা বিজয়ী হবো। কৃষ্ণের মুখে মাখনের গোলক দেখানো হয়, এও অনেক রকমের সাক্ষাৎকার। কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। এখানে তোমাদের সাক্ষাৎকারের অর্থ বোঝানো হয়। মানুষ ভাবে ভগবান আমাদের সাক্ষাৎকার করান। এই কথাও বাবা বোঝান - যাকে স্মরণ করা হয়, ধরো কেউ কৃষ্ণের নবধা ভক্তি করে তো অল্পকালের জন্য তার মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এইসব ড্রামাতে পূর্ব নির্ধারিত রয়েছে । এমন বলবে না যে ভগবান সাক্ষাৎকার করান। যে যেরকম ভাব-ভাবনা দিয়ে যার পূজা করে, তার সেই রূপের সাক্ষাৎকার হয়। এইসব ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে । এই কথা বলে তো ভগবানের সুনাম করা হয় যে ভগবান সাক্ষাৎকার করান। এক দিকে এত সুনাম করে, অন্যদিকে বলে দেয় নুড়ি পাথরে কাঁকড়ে ভগবান রয়েছে । কতখানি অন্ধশ্রদ্ধা নিয়ে ভক্তি করে। ভাবে - শুধু কৃষ্ণের সাক্ষাৎকার হয়েছে, কৃষ্ণপুরীতে আমরা নিশ্চয়ই যাবো। কিন্তু কৃষ্ণপুরী কোথা থেকে আসবে? এইসব রহস্য বাবা এখন বাচ্চারা, তোমাদের বোঝাচ্ছেন। কৃষ্ণপুরী স্থাপন হচ্ছে। কংস, অকাসুর, বকাসুর, কুম্ভকর্ণ, রাবণ এইসব হল অসুরদের নাম। শাস্ত্রে কি না কি লেখা আছে।

এই কথাও বোঝাতে হবে যে গুরু দুই প্রকারের হয়। এক হলো ভক্তি মার্গের গুরু, যিনি ভক্তি শেখান। এই পিতা তো হলেন জ্ঞানের সাগর, যাঁকে সদগুরু বলা হয়। উনি কখনও ভক্তির শিক্ষা দেন না, জ্ঞান-ই প্রদান করেন। মানুষ তো ভক্তিতে খুব আনন্দ পায়, খঞ্জর বাজায়, বেনারসে তোমরা দেখবে সব দেবতাদের মন্দির বানিয়ে দিয়েছে। এই সব হলো ভক্তি মার্গের দোকানদারি, ভক্তির ব্যবসা। বাচ্চারা তোমাদের ব্যবসা হলো জ্ঞান রত্নের, একেও বিজনেস বলা হয়। বাবাও হলেন রত্নের ব্যবসায়ী। তোমরা জানো এই রত্ন গুলি কি ! এইসব কথা তারা-ই বুঝবে যারা কল্প পূর্বেও বুঝেছে, অন্যরা বুঝবে না। যারা বড় লোকেরা আছে তারাও শেষ সময়ে এসে বুঝবে। কনভার্টও হয়েছে তাইনা। এক রাজা জনকের কাহিনী শোনানো হয়। জনক পরে অনুজনক হয়েছিলেন। যেমন কারো নাম কৃষ্ণ হলে বলা হবে তুমি অনু দৈবী (Divine) কৃষ্ণ হবে। কোথায় সর্ব গুণ সম্পন্ন কৃষ্ণ, কোথায় এই কৃষ্ণ ! কারো নাম লক্ষ্মী তো সে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের সামনে গিয়ে মহিমা কীর্তন করে। এ কথা তো বোঝে না যে এঁদের ও আমাদের মধ্যে এত তফাৎ কেন হয়েছে? এখন তোমরা বাচ্চারা নলেজ পেয়েছো, এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে আবর্তিত হয়? তোমরা-ই ৮৪ জন্ম নেবে। এই চক্রটি অনেক বার পরিক্রমা করেছে। কখনও থামে নি। তোমরা হলে এই নাটকের অভিনেতা। মানুষ এই কথা অবশ্যই বোঝে যে আমরা এই নাটকে পার্ট প্লে করতে এসেছি। যদিও ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে জানে না।

তোমরা বাচ্চারা জানো যে আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের থাকার স্থান তো হলো সবচেয়ে উপরে। সেখানে সূর্য চাঁদের কোনো আলো নেই। এইসব কথা যে বাচ্চারা বুঝবে তারা প্রায় গরিব মানুষ হয় কারণ ভারত সবচেয়ে ধনী ছিল, এখন ভারত সবচেয়ে গরিব হয়েছে। সম্পূর্ণ খেলাটি ভারতকে নিয়ে। ভারতের মতন পবিত্র খন্ড আর অন্য নেই। পবিত্র দুনিয়ায় পবিত্র খন্ড থাকে, এবং অন্য কোনো খন্ড থাকে না। বাবা বুঝিয়েছেন এই সম্পূর্ণ দুনিয়াটি হলো অসীম জগতের আইল্যান্ড। যেমন শ্রীলঙ্কা ভূখন্ড আছে জলের মাঝে। দেখানো হয় রাবণ শ্রীলঙ্কা বাসী ছিল। এখন তোমরা বুঝেছ রাবণের রাজত্ব তো সম্পূর্ণ অসীম জগতের লঙ্কার উপরে রয়েছে। এই সম্পূর্ণ সৃষ্টি সমুদ্রের মাঝে অবস্থিত। এই হল একটি দ্বীপ। এর উপরেই রাবণের রাজত্ব। এই সব সীতা রা রাবণের জেলে আছে। তারা তো সীমিত জগতের কাহিনী তৈরি করেছে। যদিও কথাটি হলো অসীম জগতের। অসীমের নাটক, তাতে আবার ছোট ছোট নাটক বসে বানিয়েছে। এই বাইস্কোপ ইত্যাদি এখনই তৈরি হয়েছে, তাই বাবার বোঝাতে সহজ হয়। অসীম জগতের সম্পূর্ণ ড্রামা বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। মূলবতন, সূক্ষ্মবতন অন্য কারো বুদ্ধিতে হতে পারে না। তোমরা জানো যে আমরা হলাম মূলবতন বাসী। দেবতারা হলেন সূক্ষ্মবতন বাসী, তাঁদের ফরিস্তাও বলা হয়। সেখানে হাড় মাংসের খাঁচা থাকে না । এই সূক্ষ্মবতনের পার্টও হল অল্পকালের জন্য। এখন তোমরা আসা যাওয়া করো তখন কখনও যাবে না। তোমরা আত্মারা যখন মূল বতন থেকে আসো তখন সূক্ষ্ম বতন হয়ে আসো না, সোজা চলে আসো। এখন ভায়া সূক্ষ্মবতন হয়ে যাও। এখন সূক্ষ্মবতনের পার্ট রয়েছে । এইসব রহস্য বাচ্চাদের বোঝানো হয়। বাবা জানেন আমি আত্মাদের বোঝাচ্ছি। সাধু-সন্ত ইত্যাদি কেউ এইসব কথা জানেনা। তারা কখনও এমন কথা বলবে না। বাবা স্বয়ং বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন। কর্মেন্দ্রিয় ছাড়া তো কথা হবে না। বলেন আমি এই দেহের আধার নিয়ে তোমাদের অর্থাৎ আত্মারূপী বাচ্চাদের পড়াই। তোমরা আত্মা, তোমাদের দৃষ্টিও বাবার দিকেই যায়। এইসব হল নতুন কথা। নিরাকার পিতা, তাঁর নাম হল শিববাবা। তোমাদের নাম তো হলো আত্মা। তোমাদের দেহের নাম পরিবর্তন হয়। মানুষ বলে পরমাত্মা নাম-রূপহীন, কিন্তু নাম তো শিব বলা হয় তাইনা। শিবের পূজাও করে। বোঝে এক, করে আরেক। এখন তোমরা বাবার নাম রূপ দেশ কাল সবই বুঝেছ। তোমরা জানো কোনও জিনিস নাম-রূপ বিহীন হতে পারেনা। এই কথাটিও খুবই সূক্ষ্ম বুদ্ধির কথা। বাবা বোঝান - গায়নও আছে সেকেন্ডে জীবনমুক্তি অর্থাৎ মানুষ নর থেকে নারায়ণ হতে পারে। বাবা যখন হেভেনলি গড ফাদার, তবে আমরা তাঁর সন্তানরা স্বর্গের মালিক হলাম। কিন্তু এই কথাও বুঝতে পারেনা। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমাদের এইম অবজেক্টই হলো এই, নর থেকে নারায়ণ হওয়া। এ হলো রাজযোগ তাইনা। অনেকের চতুর্ভূজ দর্শন হয় সাক্ষাৎকারে, তাতে প্রমাণিত হয় আমরা-ই বিষ্ণুপুরীর মালিক হবো। তোমরা জানো - স্বর্গেও লক্ষ্মী-নারায়ণের তখতের পিছনে বিষ্ণুর চিত্র রাখা হয় অর্থাৎ বিষ্ণুপুরী তে এঁদের রাজ্য থাকে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন বিষ্ণুপুরীর মালিক। ওটা হলো কৃষ্ণপুরী, এটা হলো কংসপুরী। ড্রামানুযায়ী এই নামও রাখা হয়েছে। বাবা বোঝান আমার স্বরূপ খুবই সূক্ষ্ম। কেউ জানতে পারেনা। তারা বলে আত্মা এক নক্ষত্র স্বরূপ কিন্তু লিঙ্গ রূপ বানিয়ে দেয়। তা নাহলে পুজো করবে কিভাবে। রুদ্র যজ্ঞের আয়োজন করে অঙ্গুষ্ঠ সম শালগ্রামের রচনা করে। অন্যদিকে আত্মাকে আজব নক্ষত্র বলে দেয়। আত্মাকে চোখে দেখার অনেক চেষ্টা করে কিন্তু কেউ দেখতে চোখে পারে না। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের বিষয়েও বলা হয় না যে, বিবেকানন্দ দেখলো রামকৃষ্ণের আত্মা শরীর থেকে বেরিয়ে আমার মধ্যে সমাহিত হলো। এবারে কার সাক্ষাৎকার হয়েছিল তার? আত্মা ও পরমাত্মার রূপ তো একই। বিন্দু রূপ দেখেও কিছু বুঝতে পারে না। আত্মার সাক্ষাৎকার তো কেউ চায় না। চাহিদা থাকে পরমাত্মার সাক্ষাৎকার হোক। সে বসেছিল গুরুর কাছে পরমাত্মার সাক্ষাৎকার করতে। শুধু বলে দিয়েছে জ্যোতি ছিল যা আমার মধ্যে সমাহিত হয়েছে। তাতেই সে খুব খুশী হয়েছিল। সে ভাবলো এইটাই হলো পরমাত্মার রূপ। গুরুর প্রতি ভক্তি ভাব থাকে পরমাত্মার সাক্ষাৎকারের আশায়। কিছুই বোঝে না। তাহলে ভক্তি মার্গে কে বোঝাবে? এখন বাবা বসে বোঝান - যে যেরকম রূপে ভক্তি ভাব রাখে, যেমন রূপ দেখে থাকে, সেই রূপের সাক্ষাৎকার হয়ে যায়। যেমন গণেশের পুজো যে করে তো তার চৈতন্য রূপের সাক্ষাৎকার হয়ে যায়। তা নাহলে দৃঢ় নিশ্চয় হবে কিভাবে? তেজোময় রূপ দেখে ভাবে পরমাত্মার সাক্ষাৎকার হয়েছে। তাতেই খুশী হয়। এই সব হলো ভক্তি মার্গ, অবরোহন কলা। প্রথম জন্ম ভালো হয় তারপরে কমে কমে অন্ত সময় এসে যায়। বাচ্চারা-ই এই কথা গুলো বুঝতে পারে, যাদের কল্প পূর্বে জ্ঞান প্রদান করা হয়েছিল তাদেরকেই আবার বোঝাচ্ছি। কল্প পূর্বের আত্মারাই আসবে, বাকি অন্যদের তো ধর্মই আলাদা। বাবা বোঝান এক একটি চিত্রে ভগবানুবাচ লিখে দাও। খুব যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হয়। ভগবানুবাচ আছে তাইনা - যাদব, কৌরব এবং পাণ্ডব কি কি করে গেছে, সেসবেরই এই চিত্র। জিজ্ঞাসা করো - তোমরা নিজের পিতাকে কি জানো? যদি না জানো তাহলে এর অর্থ হলো প্রীত নেই, বিপরীত বুদ্ধিধারী। বাবার সঙ্গে প্রীত না থাকলে বিনাশ হবে। প্রীত বুদ্ধি বিজয়ন্তী, সত্যমেব জয়তে - এর অর্থও সঠিক। বাবার স্মরণ না থাকলে বিজয় লাভ করতে পারবে না।

এখন তোমরা প্রমাণ করে বলো - গীতা শিব ভগবান শুনিয়েছিলেন। তিনি রাজযোগ শিখিয়ে ছিলেন, ব্রহ্মা দ্বারা। তারা তো কৃষ্ণ ভগবানের গীতা নিয়ে শপথ নেয়। তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত - কৃষ্ণকে হাজির ভাবা উচিত নাকি ভগবানকে? বলা হয় ভগবানকে হাজির ভেবে সত্যি কথা বলো। ভুল হয়ে গেল তাই। অতএব শপথ নেওয়া মিথ্যা হয়ে গেল। সার্ভিসেবল বাচ্চাদের গুপ্ত নেশা থাকা উচিত। নেশায় মত্ত হয়ে বোঝালে সফল হবে। তোমাদের এই পড়াশোনা হল গুপ্ত, যিনি পড়াচ্ছেন তিনিও গুপ্ত। তোমরা জানো আমরা নতুন দুনিয়ায় গিয়ে এই স্বরূপ ধারণ করবো। নতুন দুনিয়া স্থাপন হয় মহাভারতের যুদ্ধের পরে। বাচ্চারা এখন নলেজ পেয়েছে। তাও নম্বর অনুসারে ধারণ করে। যোগেও নম্বর অনুযায়ী হয়। এই চেকিং-ও করা উচিত যে আমরা কতক্ষণ স্মরণে থাকি? বাবা বলেন এখন তোমাদের এই পুরুষার্থ ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য হয়ে যাবে। এখন ফেল হলে কল্প-কল্পান্তর ফেল হতে থাকবে, উঁচু পদ মর্যাদা পাবে না। পুরুষার্থ করা উচিত উঁচু পদ প্রাপ্তির। এমনও অনেক সেন্টার্সে আসে যারা বিকারে যেতে থাকে তবুও সেন্টারে আসতে থাকে। ভাবে ঈশ্বর তো সব কিছু দেখেন, জানেন। বাবার কি প্রয়োজন যে বসে এইসব দেখবেন। তোমরা মিথ্যা কথা বলবে, বিকর্ম করবে তো নিজেরই ক্ষতি করবে। এই কথা তো তোমরাও বুঝতে পারো, বিকারগ্রস্ত হলে উঁচু পদ মর্যাদা লাভ হবে না। অতএব বাবা জানলেও কথা তো একই হল। তাঁর কি বা দরকার পড়েছে? নিজের অনুশোচনা হওয়া উচিত - আমি এমন কর্ম করলে দুর্গতিতে যাব। বাবা কেন বলবেন? হ্যাঁ, ড্রামাতে আছে তাই বলে দেন। বাবার থেকে লুকানো অর্থাৎ নিজের সর্বনাশ করা। পবিত্র হওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণে করতে হবে, তোমাদের এই চিন্তা থাকা উচিত যে আমরা যেন ভালো রীতি পড়াশোনা করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করি। কে মৃত কে জীবিত, সেসব নিয়ে চিন্তা নয়। চিন্তা যেন থাকে বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি কিভাবে? অতএব কাউকেও খুব ছোট করে বোঝাতে হবে। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) গুপ্ত নেশায় থেকে সার্ভিস করতে হবে। এমন কোনও কর্ম করবে না যার ফলে অনুশোচনা হয়। নিজের চেকিং করতে হবে আমরা কতক্ষণ স্মরণে থাকি?

২ ) সর্বদা এই চিন্তা যেন থাকে আমরা ভালো ভাবে পড়াশোনা করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করব। কোনও রকম বিকর্ম করে, মিথ্যা কথা বলে নিজের ক্ষতি করবে না।

বরদান:-
মন্মনা ভব-র মহামন্ত্র দ্বারা সকল দুঃখ থেকে দূরে থাকা সদা সুখস্বরূপ ভব

যখন কোনও প্রকারের দুঃখ আসে তখন মন্ত্র স্মরণ করো যার দ্বারা দুঃখ পালিয়ে যাবে। স্বপ্নেও একটুখানিও দুঃখ অনুভব হবে না, যদি শরীর অসুস্থ হয়ে যায়, ধন-সম্পদ কম-বেশী হয়, যাকিছু হয়ে যায় কিন্তু দুঃখের ঢেউ যেন মনের মধ্যে না আসে। যেরকম সাগরে ঢেউ আসে আর চলে যায় কিন্তু যারা সেই ঢেউয়ের তালে সাঁতার কাটতে জানে তারা তাতে অনেক সুখ অনুভব করে, ঢেউ গুলিকে জাম্প দিয়ে এমনভাবে ক্রস করে যেন খেলা করছে। তো তোমরা সাগরের বাচ্চারা হলে সুখ স্বরূপ, দুঃখের ঢেউ যেন তোমাদের মধ্যে না আসে।

স্লোগান:-
প্রত্যেক সংকল্পে দৃঢ়তার বিশেষত্বকে প্র্যাক্টিক্যালে নিয়ে এসো তাহলে প্রত্যক্ষতা হয়ে যাবে।

অব্যক্ত ঈশারা :- একান্তপ্রিয় হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো

স্ব-উন্নতিতে, সেবার উন্নতিতে একজন কিছু বলে, অন্যজন হ্যাঁ জি করে, এইভাবে সদা একতা আর দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে থাকো। যেরকম দাদীদের একতা আর দৃঢ়তার সংগঠন পাক্কা আছে, এইরকম আদি সেবার রত্নদের সংগঠনও পাক্কা হবে, এটারই অত্যন্ত প্রয়োজন।