11-08-2024 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
04-02-2001 মধুবন
"সময় অনুসারে স্বরাজ্য অধিকারী হয়ে সমস্ত
আধ্যাত্মিক সাধন তীব্রগতিতে কার্যে প্রয়োগ করো"
আজ বাপদাদা স্বরাজ্য অধিকারী বাচ্চাদের রাজ্যসভা দেখছেন। প্রত্যেক স্বরাজ্য অধিকারী,
পবিত্রতার লাইটের মুকুটধারী, অধিকারের স্মৃতির তিলকধারী, নিজের নিজের ভ্রুকুটির
অকাল সিংহাসনে আসীন প্রতীয়মান হচ্ছে। এই সময় যত স্বরাজ্য অধিকার তোমরা অনুভব করো
ততই ভবিষ্যৎ বিশ্ব রাজত্বের অধিকারী হও। "আমি কে" বা "আমার ভবিষ্যৎ কী?" সেটা এখনের
স্বরাজ্যের স্থিতি দ্বারা তোমরা নিজেরাই দেখতে পারো।
বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চার সদা স্বরাজ্যের স্থিতি দেখছিলেন। নিরন্তর সব কর্ম করতে
করতে, লৌকিক অলৌকিক কার্য করতে করতে স্বরাজ্য অধিকারীর নেশা কত সময় আর কত
পার্সেন্টেজে থাকে। কারণ অনেক বাচ্চা নিজের স্বরাজ্যের স্মৃতি সংকল্প রূপে স্মরণ করে
- আমি আত্মা অধিকারী, এক হলো সংকল্পে ভাবা। বারবার স্মৃতিকে রিফ্রেশ করা - আমি এটা।
আরেক হলো - অধিকারের স্বরূপে নিজেকে অনুভব করা আর এই কর্মেন্দ্রিয় রূপী কর্মচারী
তথা মন-বুদ্ধি-সংস্কার রূপী সহযোগী সাথীদের উপরে রাজত্ব করা, অধিকারের সাথে চালনা
করা। যেরকম তোমরা সব বাচ্চা সব সময় অনুভব করো যে, বাপদাদা শ্রীমতে চালাচ্ছেন আর
তোমরা সবাই শ্রীমৎ অনুসারে চলছো। চালানোর মালিক চালাচ্ছেন, তোমরা তাঁর নির্দেশিত পথে
চলছো। ঠিক সেইরকমই, হে স্বরাজ্য অধিকারী আত্মারা! তোমাদের স্বরাজ্যে তোমাদের সমস্ত
কর্মেন্দ্রিয় অর্থাৎ কর্মচারী মন বুদ্ধি সংস্কার সব সহযোগী সাথী কী তোমাদের অর্ডারে
চলছে? দু'- একটা কর্মেন্দ্রিয় অল্পস্বল্প চঞ্চলতা দেখায় না তো? তোমার রাজ্য ল' এবং
অর্ডারের পরিবর্তে লভ আর ল' এর যথার্থ রীতিতে চলছে? কী বুঝছো? চলছে নাকি একটু
টালবাহানা করে? যখন বলছো যে, আমার হাত, আমার সংস্কার, আমার বুদ্ধি, আমার মন, তো
আমার উপরে আমি-র অধিকার আছে? নাকি কখনো 'আমার' অধিকারী হয়ে যায়, কখনো 'আমি'
অধিকারী হয়ে যায়? হে স্বরাজ্য অধিকারী! সময় অনুসারে, এখন সদা আর সহজভাবে অকাল
তখতাসীন হও, তবেই অন্য আত্মাদের বাবার দ্বারা জীবনমুক্তি আর মুক্তির অধিকার
তীব্রগতিতে দেওয়াতে পারবে।
সময়ের ডাক এখন তীব্রগতি এবং অন্তহীন। তোমরা শুধু ছোট একটা রিহার্সাল দেখেছো, শুনেছো।
একই সঙ্গে অসীম নকশা দেখেছো তো না! চিৎকারও অসীম, মৃত্যুও অন্তহীন, যাদের মরণ হবে
তাদের সাথে সাথে জীবিতরাও নিজেদের জীবনে মানসিক যন্ত্রণায় মরছে। এমন সময় তোমরা
স্বরাজ্য অধিকারী আত্মাদের কার্য কী? চেক করো, যেমন স্থূল সাধনের জন্য বলা হয়ে থাকে
ভূমিকম্প এলে এটা করতে হবে, যদি তুফান আসে তবে এটা করতে হবে, আগুন লাগলে তবে এটা
করতে হবে, কার্যতঃ তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মার কাছে যে সাধন আছে - সর্বশক্তি, যোগের বল,
স্নেহের চুম্বক এই সব সাধন সময়ের জন্য প্রস্তুত আছে? সর্ব শক্তি রয়েছে? কারও
শান্তির শক্তি প্রয়োজন কিন্তু তুমি যদি আর কোনো শক্তি দিয়ে দাও তবে সে সন্তুষ্ট
হবে? যেমন কারও জল চাই আর তুমি তাকে ৩৬ রকমের ভোজন দিয়ে দাও তবে কি সে সন্তুষ্ট হবে?
সুতরাং এভাররেডি হওয়া শুধু অশরীরী হওয়ার জন্য নয়। সে তো হতেই হবে। কিন্তু যে
সাধন স্বরাজ্য অধিকারের অধিকারী দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছে, পরমাত্ম উত্তরাধিকার হিসেবে
প্রাপ্ত হয়েছে সেসব অধিকার এভাররেডি আছে? এমন তো নয় যেমন সমাচারে শোনো, যে
মেশিনারি এই সময় প্রয়োজন, অথচ ফরেন থেকে আসার পর তা' কার্যে প্রয়োগ করা হয়েছে।
তাহলে সাধন তো এভাররেডি থাকল না, তাই না! সব সাধন সময়মতো কার্যে প্রয়োগ করতে
পারেনি। কত লোকসান হয়ে গেছে!
তো হে বিশ্বকল্যাণী, বিশ্বপরিবর্তক আত্মারা সমূহ সাধন এভাররেডি আছে? সর্বশক্তি
তোমাদের অর্ডারে চলছে? অর্ডার করলে অর্থাৎ সংকল্প করলে - নির্ণয় শক্তির, আর সাথে
সাথে সেকেন্ডেরও কম সময়ে নির্ণয় শক্তি হাজির হয়ে বললো স্বরাজ্য অধিকারী - 'হাজির'
। এইরকম অর্ডারে রয়েছে? নাকি নিজের মধ্যে আনতে এক মিনিট লাগবে, তার পরে অন্যকে দিতে
পারবে? কারও যা চাই তা' যদি সময়মতো দিতে না পারো তাহলে কী হবে? তো সব বাচ্চার হৃদয়ে
এই সংকল্প তো চলছেই - ভবিষ্যতে কী হওয়ার আছে আর কী করতে হবে? হওয়ার জন্য তো অনেক
কিছু আছে। তোমাদের বলা হয়েছিল তো না যে এটা তো রিহার্সাল। এই ৬ মাসের প্রস্তুতির
ছোট ঘণ্টা বেজেছে, বড় ঘণ্টা বাজেনি। প্রথমে ঘণ্টা বাজবে, পরে কাড়ানাকাড়া বাজবে।
ভয় পাবে? একটু একটু ভয় পাবে? শক্তিস্বরূপ আত্মাদের কী স্বরূপ দেখানো হয়েছে? সমূহ
শক্তি (শক্তি স্বরূপে পান্ডবও এসে গেছে তো শক্তিও এসে গেছে) শক্তির কাউকে সদা চার
ভুজ, কাউকে ৬ ভুজ, কাউকে ৮ ভুজ, কাউকে ১৬ ভুজ দেখায়, সাধারণ দেখায় না। এই সমূহ
ভুজ সর্বশক্তির সূচক। সেইজন্য সর্বশক্তিমান দ্বারা প্রাপ্ত নিজের শক্তিসমূহ ইমার্জ
করো। তার জন্য এটা ভেবো না যে সময় হ'লে ইমার্জ হয়ে যাবে, বরং সারা দিনে নিজের
জন্য বিভিন্ন শক্তি ইউজ করে দেখ। সবচাইতে প্রথম অভ্যাস স্বরাজ্য অধিকার সারাদিনে
কতদূর পর্যন্ত কার্যে প্রয়োগ হয়। আমি তো আত্মা মালিক, এটা নয়। মালিক হয়ে অর্ডার
করো আর চেক করো, সব কর্মেন্দ্রিয় আমি রাজার লভ আর ল' অনুসারে চলে? অর্ডার করলে 'মন্মনাভব'
আর মন চলে গেল নেগেটিভ আর ওয়েস্ট থটসে, তাহলে কী লাভ আর ল'তে ছিল? অর্ডার করলে
মধুরতা স্বরূপ হতে হবে আর সমস্যা অনুসারে, পরিস্থিতি অনুসারে ক্রোধের মহারূপ না হোক,
কিন্তু সূক্ষ্ম রূপে রোষ অথবা বিরক্তি উদ্রেক হচ্ছে, তাহলে কী সেটা অর্ডার? অর্ডারে
হয়েছে?
তুমি অর্ডার দিলে আমাকে নির্মান (নিরহংকারী) হতে হবে, কিন্তু বায়ুমন্ডল অনুসারে
তোমরা ভাবো কত সময় ধরে নিজেকে দমন করে চলবো, কিছু তো দেখানো দরকার। আমাকেই দমে
থাকতে হবে? আমাকেই মরতে হবে! আমাকেই বদলাতে হবে? এটা কি লভ আর অর্ডার? সেইজন্য
বিশ্বের প্রতি, আর্তনাদকারী দুঃখী আত্মাদের প্রতি কৃপা করার আগে নিজের প্রতি কৃপা
করো। নিজের অধিকার সামলাও। পরে গিয়ে তোমাদের চতুর্দিকে সকাশ দেওয়ার, ভাইব্রেশন
দেওয়ার, মন্সা দ্বারা বায়ুমন্ডল বানানোর অনেক কার্য করতে হবে। আগেও তোমাদের বলা
হয়েছিল এখনো পর্যন্ত যারা যারা যে সেবার নিমিত্ত হয়েছ, খুব ভালো করেছ আর করবেও,
কিন্তু এখন সময় অনুসারে তীব্রগতিতে আরও অসীম সেবার আবশ্যকতা আছে। তো এখন আগে
প্রতিটা দিন চেক করো 'স্বরাজ্য অধিকার' কতটা থেকেছে? আত্মা মালিক হয়ে যেন
কর্মেন্দ্রিয়কে চালনা করে। যেন স্মৃতি স্বরূপ থাকে যে আমি মালিক এই সাথীদের দ্বারা,
সহযোগীদের দ্বারা কার্য করাচ্ছি। স্বরূপে যদি নেশা থাকে তবে এই সব কর্মেন্দ্রিয়
আপনা থেকেই তোমাদের সামনে জী হাজির, জী হুজুর করবে। পরিশ্রম করতে হবে না। আজ ব্যর্থ
সংকল্প মুছে ফেলো, আজ সংস্কারকে একেবারে নষ্ট করে দাও, আজ নির্ণয় শক্তিকে সুস্পষ্ট
করো। এক মুহূর্তে সব কর্মেন্দ্রিয় এবং মন বুদ্ধি সংস্কার যা তোমরা চাও সেটাই করবে।
এখন বলো বাবা চাই তো এটাই, কিন্তু এখনো এতটা হয়নি... তারপরেই আবার বলবে যা চাই তা'
হয়ে গেছে, সহজ। সুতরাং বুঝেছ কি করতে হবে? নিজের অধিকারের সফলতা কার্যে প্রয়োগ করো।
অর্ডার করো সংস্কারকে। সংস্কার কেন তোমাকে অর্ডার করে? সংস্কার সম্পূর্ণভাবে নষ্ট
হয় না কেন? বেঁধে আছে সংস্কার তোমার অর্ডারে। মালিকভাব আনো। অন্যদের সেবা করার
অনেক অনেক অনেক অনেক আবশ্যকতা আছে। এ' তো কিছুই না, খুবই সংকটময় সময় আসার আছে।
এমন সময় তোমরা উড়তি কলার দ্বারা পরিভ্রমণ করে থাকো। যারা শান্তি চায়, যারা খুশি
চায়, যারা সন্তুষ্টতা চায়, ফরিস্তা রূপে সকাশ দেওয়ার জন্য পরিক্রমণ করবে আর তারা
তা' অনুভব করবে। যেমন এখন অনুভব করে, তাই না! জল পেয়েছে আর তাদের তেষ্টা অনেক মিটে
গেছে। খাবার পেয়েছে, টেণ্ট পেয়েছে, সহায়তা পেয়েছে। তারা এমন অনুভব করবে
ফরিস্তাদের থেকে শান্তি পেয়েছে, শক্তি পেয়েছে, খুশি পেয়েছে। এভাবে অন্তঃবাহক
অর্থাৎ তোমাদের অন্তিম স্থিতি, পাওয়ারফুল স্থিতি তোমাদের অন্তিম বাহন হবে। আর
চক্রভ্রমণ করতে করতে সবাইকে শক্তি দেবে, স্বাচ্ছন্দ্য দেবে। তোমাদের এই রূপ তোমাদের
সামনে আসে? ইমার্জ করো। কত ফরিস্তা চতুর্দিকে ভ্রমণ করছে! তারা সকাশ দিচ্ছে, তখন
বলবে - তোমরা যে একটা গীত বাজাও না শক্তি এসে গেছে... শক্তির দ্বারাই সর্বশক্তিমান
আপনা থেকেই প্রত্যক্ষ হয়ে যাবেন। শুনলে!
যা এখনও পর্যন্ত করেছো এবং যা কিছু হয়েছে তা' সময় অনুসারে সবচাইতে ভালো হয়েছে।
এর পরেও আরও ভালো থেকে ভালো হওয়ার আছে। আচ্ছা। ঘাবড়ে যাওনি তো না! সমাচার শুনে,
দেখে ঘাবড়ে গেছ? এটা তো কিছু না। তোমাদের কাছে সবকিছু আছে আর এটা কিছুই না। কিন্তু
তবুও তারা তোমাদের ভাইবোন, সেইজন্য তাদের সেবা করাও ভালো। এখন রাজ্য অধিকার,
তোমাদের অকাল তখতে বসে থাকো, ওঠানামা ক'রো না। তারপরে দেখো গভর্নমেন্টেরও
সাক্ষাৎকার হবে - এরাই, এরাই, এরাই! সিংহাসন থেকে নেমে যেও না, অধিকার ছেড়ো না,
সবসময় অধিকার চালাও, স্ব- এর উপরে, অন্যের উপর নয়। অন্যের উপর চালিও না। আচ্ছা।
অনেক নতুন নতুন বাচ্চারাও এসেছে। বৃদ্ধি তো হওয়ারই আছে। যারা এই কল্পে এই বারে
প্রথম এসেছ তারা হাত উঠাও। ভালো করেছ। তোমরা সাহস রেখে পৌঁছে গেছ, পৌঁছে গেছ তো না!
যারা বসে গেছে, তারা বসেই গেছে আর হয়নি কিছুই। সাহস অতি আবশ্যক। যে কোনো কার্যে যদি
তোমাদের সাহস থাকে তবে বুঝে নিও যে তোমরা সফল হবে। সাহস কম সফলতা কম। সেইজন্য সাহস
রাখো আর নির্ভীক হও। ভয় পেয়ো না যে এটা কী হচ্ছে। কেউ মরে যাচ্ছে, তাহলে সে মরে
যাচ্ছে আর ভয় হচ্ছে তোমার। নির্ভীক থাকো। তাকে শান্তির সহযোগ দেওয়া সেটা ভালো,
সেই আত্মাকে সহৃদয় ভাবনা দ্বারা সহযোগ দাও, ভয় পেও না। ভয় সবচাইতে বড়র মধ্যে বড়
ভূত। অন্যান্য ভূত সরানো যেতে পারে, কিন্তু ভয়ের ভূত সরানো খুব কঠিন। যে কোনও
বিষয়ের ভয় হতে পরে, শুধু কারও মৃত্যুর ভয় নয়, অনেক বিষয়ের ভয় হয়। অনেক ধরনের
ভয় আছে, এমনকি তোমাদের দুর্বলতার কারণেও ভয় হয়। সেসব থেকে নির্ভীক হওয়ার যে
সাধন আছে, তা' হলো - 'সদা নির্মল হৃদয়, অকপট হৃদয় থাকা।' তাহলে ভয় কখনো আসবে না।
অবশ্যই মনে কোনো বিষয় সমাহিত থাকে যা থেকে ভয় হয়। নির্মল হৃদয়, অকপট হৃদয় আছে
তো প্রভু প্রসন্ন এবং সকলেই প্রসন্ন হয়। আচ্ছা।
আগত নতুন নতুন বাচ্চাদের, নব জীবনে পরমাত্ম-ভাগ্য প্রাপ্ত করার অভিনন্দন। আচ্ছা।
ফরেনের থেকেও অনেক এসেছে। ফরেন গ্রুপ হাত তোলো। (৭০০ র কাছাকাছি এসেছে) স্বাগত।
ওয়েলকাম।
মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশের সেবা : - যারা মহারাষ্ট্র থেকে এসেছো তারা হাত তোলো। (৪
হাজার এসেছে) তো ৪ হাজারকে ৪ পদম বার অভিনন্দন। ভালো করেছো, সব গ্রুপের নিজের নিজের
সেবার শোভা রয়েছে। কেননা, সেবার আগে তো পরিবারের কাছাকাছি আসার চান্স প্রাপ্ত হয়
তোমাদের। চান্স প্রাপ্ত হয় তো না? নয়তো কে জিজ্ঞাসা করবে এরা মহারাষ্ট্র নাকি
অন্ধ্র? কিন্তু বিশেষ সেবার চান্স প্রাপ্ত করায় পরিবারের, দাদিদের, দাদাদের সামনে
আসো। আর খুশিও হয়, কেন খুশি হয়? কারণ? দেখো, সেন্টারে সেবা করো কতজনের? ঠিক আছে,
বড়জোর ৫০/১০০ জনের। আর এখানে যখন সেবা করো তো হাজার হাজারের সেবা করো এবং হাজার
হাজারের সেবার রিটার্নে সবার আশীর্বাদ
যে প্রাপ্ত হয়, তাই না! খুব ভালো সেবা করেছো, খুব ভালো সেবা করেছো। এই আশীর্বাদ
নির্গত হয়। সেই আশীর্বাদ এক তো বর্তমান সময়ে খুশি প্রাপ্ত করায় আর আরেক হলো জমাও
হয়। ডবল লাভ। সেইজন্য যারা সেবা করেছো তারা সেবার মেওয়া খুশিও লাভ করেছো এবং
সঞ্চয়ের খাতাও জমা হয়েছে। ডবল লাভ হয়ে গেল তো না! এখন সব জোন এর মেজরিটিরাই ভালো
শিখেও গেছে, অভ্যাস হয়ে গেছে। ভালো করেছো, অভিনন্দন। (১০০ কুমারীর সমর্পণ) ভালো -
১০০ কুমারী ওঠো। সবাই দেখো। যেখানেই টি. ভি. আছে সেখানেই দেখাও। এটা ভালো, কার্যতঃ,
তোমরা সমর্পণ তো করেছই। কিন্তু সমর্পণের পাক্কা স্ট্যাম্প লাগতে হবে। এটা অলমাইটি
গভর্নমেন্টের স্ট্যাম্প, মুছতে পারা যাবে না। পাক্কা তো না! পাক্কা! পাক্কা? যারা
মনে করে খুব খুব খুব পাক্কা তারা এভাবে হাত নাড়ো। খুব পাক্কা? মহারাষ্ট্র আছে। কোনো
মহত্ত্ব দেখাবে তো না! খুব ভালো, বাপদাদার তরফে অনেক অনেক কোটি কোটি বার শুভেচ্ছা,
অভিনন্দন। আচ্ছা।
এখন এক সেকেন্ডে বিশেষতঃ যেখানে আর্থ কোয়েক হয়েছে, তার চারদিকে ফরিস্তা হয়ে উড়তি
কলার দ্বারা শান্তি, শক্তি আর সন্তুষ্টতার সকাশ ছড়িয়ে দিয়ে এসো। পরিক্রমা করে এসো
এক সেকেন্ডে। সবাই চক্রভ্রমণ করে এসো। আচ্ছা। (ড্রিল)
চতুর্দিকের দেশ আর বিদেশের ফরিস্তা রূপে বিরাজমান, স্ব-অধিকারী বাচ্চাদের, যারা সদা
লভ আর ল' এর দ্বারা নিজের সহযোগী, সূক্ষ্ম বা স্থূল সহযোগী সাথীদের চালনা করে, যারা
সদা বাপদাদা দ্বারা প্রাপ্ত আধ্যাত্মিক সাধনসমূহকে এভাররেডি বানায়, আমি আত্মা রাজা
হয়ে রাজ্য অধিকারের অনুভব করে, সদা উড়তি কলার দ্বারা ফরিস্তা রূপে চতুর্দিকে সকাশ
দেয় এমন শক্তি স্বরূপ আত্মাদের সদা নির্মল হৃদয়, অকপট হৃদয় দ্বারা নির্ভীক,
নিরাকারী স্থিতিতে অনুভকারী বিশ্ব-কল্যাণী, বিশ্ব-পরিবর্তক আত্মাদের বাপদাদার
স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।
দাদিদের সাথে - তোমাদের সকলের খুশি হচ্ছে তো না, তোমাদের নিমিত্ত দাদিরা, দাদারা
সামনে এসেছেন খুশি রয়েছে, তাই না! নাকি তোমরাও আসতে চাও? আরও সামনে হওয়া ভালো।
যারা বাবার সামনে আছে বাবা তাদের বেশি দেখেন। এখানে তো তাঁকে এভাবে (মুখ ঘোরাতে)
করতে হবে। আর যারা তাঁর সামনে তাঁদেরকে তো বারবার দেখছেন।
আচ্ছা - (জগদীশ ভাইয়ের সাথে) সবকিছু ঠিক আছে। সর্বাপেক্ষা ভালো ব্যাপার হলো নিজেকে
শরীর সমেত অর্পণ করে দিয়েছে। বাস্তবে তো বাবাকে নিজের সব দিয়ে দিয়েছে। দিয়ে
দিয়েছো তো না, নাকি দিতে হবে? তোমরা, নিমিত্ত আত্মারা তো দিয়েছো, তবেই তো সাকার
রূপে তোমাদের ফলো করছে। সাকার রূপে মহারথীদের দেখে সকলের শক্তি লাভ হয়। তো এই
সমগ্র গ্রুপ কী? শক্তির স্তুতি-গীত। তাই না! (দাদি জানকি বলছেন যিনি চালাচ্ছেন তিনি
অত্যন্ত রমজবাজ) (রমজ = যুক্তি, যুক্তি সহ আনন্দদাতা) যদি না হতেন তাহলে এত বৃদ্ধি
কীভাবে হতো! বাবা বলেন যারা চলছে তারাও বাবার থেকে বেশি চতুর-বুদ্ধিমান।
আচ্ছা - সবাই সদা একটি শব্দ হৃদয় দিয়ে গেয়ে থাকে - "আমার বাবা।" এই গীত সবাই
গাইতে জানো তো না! আমার বাবা, এই গীত কীভাবে গাইতে হয় জানো তোমরা? সহজ তো না! আমার
বলার সাথে সাথে তিনি তোমাদের আপন করে নিয়েছেন। বাবা বলেন, বাচ্চারা বাবার থেকেও
সমঝদার। কেন? ভগবানকে বেঁধে ফেলেছে। (দাদি জানকির প্রতি) বেঁধে নিয়েছো তো না! তাহলে,
যারা বাঁধলো তারা শক্তিশালী হলো, নাকি যাঁকে বাঁধা হলো? কে শক্তিশালী হলো? যাঁকে
বাঁধা হলো তিনি শুধু তোমাদের উপায় বলে দিয়েছেন যে এভাবে বাঁধো তো বেঁধে যাবো।
আচ্ছা, ওম্ শান্তি।
বরদান:-
নিজেকে নিমিত্ত বুঝে ব্যর্থ সংকল্প এবং ব্যর্থ
বৃত্তির থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্ব কল্যাণকারী ভব
আমি বিশ্ব কল্যাণের কার্যার্থে নিমিত্ত - এই
দায়িত্বের স্মৃতি বজায় রাখো, তবে কারও প্রতি বা নিজের প্রতি ব্যর্থ সংকল্প বা
ব্যর্থ বৃত্তি হতে পারে না। দায়িত্ববান আত্মারা একটিও অকল্যাণকর সংকল্প করতে পারে
না, কারও প্রতি ব্যর্থ বৃত্তি বানাতে পারে না। কেননা তাদের বৃত্তির দ্বারা
বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন হওয়ার আছে। সেইজন্য সকলের প্রতি তাদের শুভ ভাবনা, শুভ কামনা
আপনা থেকেই থাকে।
স্লোগান:-
অজ্ঞানতার শক্তি ক্রোধ আর জ্ঞানের শক্তি শান্তি।