12-01-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
15-11-2003 মধুবন
“মনকে একাগ্র করে, একাগ্রতার শক্তির দ্বারা ফরিস্তা
স্থিতির অনুভব করো”
আজ সকল খাজানার মালিক নিজের চারিদিকের সম্পন্ন বাচ্চাদেরকে দেখছিলেন। প্রত্যেক
বাচ্চাকে সর্ব খাজানার মালিক বানিয়েছেন। এমন খাজানা পেয়েছো, যা অন্য কেউ দিতে পারবে
না। তো প্রত্যেকে নিজেকে সর্ব খাজানাতে সম্পন্ন অনুভব করো? সবথেকে শ্রেষ্ঠ খাজানা
হলো জ্ঞানের খাজানা, শক্তির খাজানা, গুণের খাজানা, সাথে-সাথে বাবা আর সর্ব আত্মাদের
দ্বারা প্রাপ্ত আশীর্বাদের খাজানা। তো চেক করো - এই সকল খাজানা প্রাপ্ত হয়েছে? যারা
সর্ব খাজানাতে সম্পন্ন আত্মা, তাদের লক্ষণ সদা নয়নের দ্বারা, চেহারার দ্বারা, চলনের
দ্বারা খুশী অন্যদের অনুভব হবে। যেসমস্ত আত্মা সম্পর্কে আসবে, তারা অনুভব করবে যে
এই আত্মা অলৌকিক খুশীর দ্বারা, অলৌকিক একেবারেই অনুপম দেখাচ্ছে। তোমাদের খুশীকে দেখে
অন্য আত্মারাও অল্প সময়ের জন্য খুশী অনুভব করবে। যেরকম তোমাদের ব্রাহ্মণ আত্মাদের
শ্বেত বস্ত্র সকলের কাছে কত পৃথক এবং প্রিয় অনুভব হয়। স্বচ্ছতা, সাধারণতা আর
পবিত্রতা অনুভব করে। দূর থেকেই জেনে যায় যে এরা হলো ব্রহ্মাকুমার কুমারী। এইরকমই
তোমাদের ব্রাহ্মণ আত্মাদের চলন আর চেহারার দ্বারা সদা খুশীর ঝলক, সৌভাগ্যের ঝলক দেখা
যাবে। আজ সকল আত্মাই হল মহান দুঃখী, এই রকম আত্মারা তোমাদের খুশীতে পরিপূর্ণ চেহারা
দেখে, চলন দেখে এক মুহূর্তের জন্যও খুশীর অনুভূতি করবে, যেরকম তৃষ্ণার্ত আত্মা যদি
এক ফোঁটা জল পেয়ে যায় তো কত খুশী হয়ে যায়। এই খুশীর অঞ্জলী আত্মাদের জন্য খুবই
আবশ্যক। এই সর্ব খাজানা দিয়ে সদা সম্পন্ন থাকো। প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মা নিজেকে সকল
খাজানা দিয়ে সদা ভরপুর অনুভব করো নাকি কখনও - কখনও? অবিনাশী খাজানা আছে, দাতাও হলেন
অবিনাশী তাই থাকতেও হবে অবিনাশী হয়ে কারণ তোমাদের মতো অলৌকিক খুশী সমগ্র কল্পে
তোমাদের ব্রাহ্মণদের ছাড়া আর কারো প্রাপ্ত হয় না। এখনকার এই অলৌকিক খুশী অর্ধেক
কল্প প্রালব্ধের রূপে চলে, তো সবাই খুশীতে আছো! এতে তো সবাই হাত উঠিয়েছে, আচ্ছা -
সদা খুশীতে থাকো? খুশী কখনও চলে যায় না তো? কখনও কখনও তো যায়! খুশীতে থাকো কিন্তু
সদা একরস, এতে অন্তর এসে যায়। খুশীতে থাকো কিন্তু পার্সেন্টেজে পার্থক্য এসে যায়।
বাপদাদা অটোমেটিক টি.ভি. - র দ্বারা সকল বাচ্চাদের চেহারা দেখছিলেন। তো কি দেখা
যাচ্ছে? একদিন তোমরাও তোমাদের খুশীর চার্ট চেক করো - অমৃতবেলা থেকে শুরু করে রাত
পর্যন্ত কি একই পার্সেন্টেজ খুশী থাকে? নাকি পরিবর্তন হয়? চেক করতে তো পারো তাই না,
আজকাল দেখো সায়েন্সও চেকিংএর মেশিনারি অনেক দ্রুত করে দিয়েছে। তো তোমরাও চেক করো আর
অবিনাশী বানাও। বাপদাদা সকল বাচ্চাদের বর্তমান পুরুষার্থ চেক করেছেন। পুরুষার্থ
সবাই করছে - কেউ যথা শক্তি, কেউ শক্তিশালী। তো আজ বাপদাদা সকল বাচ্চাদের মনের
স্থিতিকে চেক করেছেন কেননা মূল হলই মন্মনা ভব। সেবাতেও দেখো তো মন্সা সেবা হলো
শ্রেষ্ঠ সেবা। তোমরা বলেও থাকো যে, মনজীত জগতজীত, তো মনের গতিকে চেক করেছো। কি
দেখেছো? মনের মালিক হয়ে মনকে পরিচালনা করছো কিন্তু কখনও কখনও মন তোমাদেরকেও পরিচালনা
করে। মন পরবশও করে দেয়। বাপদাদা দেখেছেন মনের লগণ লাগে কিন্তু মনের স্থিতি একাগ্র
হয় না।
বর্তমান সময়ে মনের একাগ্রতা, একরস স্থিতির অনুভব করাবে। এখন রেজাল্টে দেখলেন যে মনকে
একাগ্র করতে চাইছো কিন্তু মাঝে মাঝে উদ্ভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছো। একাগ্রতার শক্তি,
অব্যক্ত ফরিস্তার স্থিতি সহজ অনুভব করাবে। মন উদ্ভ্রান্ত হয় ব্যর্থ কথাতে, ব্যর্থ
সংকল্পে বা ব্যর্থ ব্যবহারে। যেরকম কারো কারো শরীরের থেকেও একাগ্র হয়ে বসার অভ্যাস
থাকে না, আবার কারোর থাকে। তো মন যেখানে চাও, যেভাবে চাও, যতটা সময় চাও ততটা সময়
এইরকম একাগ্র হয়ে থাকো, একে বলা হয় মন বশে আছে। একাগ্রতার শক্তি, মালিকভাবের শক্তি
সহজ নির্বিঘ্ন বানিয়ে দেয়। যু্দ্ধ করতে হয় না। একাগ্রতার শক্তির দ্বারা স্বতঃই এক
বাবা দ্বিতীয় কেউ নেই - এই অনুভূতি হয়। স্বতঃ হবে, পরিশ্রম করতে হবে না। একাগ্রতার
শক্তির দ্বারা স্বতঃই একরস ফরিস্তা স্বরূপের অনুভূতি হয়। ব্রহ্মা বাবার প্রতি
ভালােবাসা আছে তাই না - তো ব্রহ্মা বাবার সমান হওয়া অর্থাৎ ফরিস্তা হওয়া। একাগ্রতার
শক্তি দ্বারা স্বতঃই সকলের প্রতি স্নেহ, কল্যাণ, সম্মানের বৃত্তি থাকেই কেননা
একাগ্রতা অর্থাৎ স্বমানের স্থিতি। ফরিস্তা স্থিতি হল স্বমান। যেরকম ব্রহ্মা বাবাকে
দেখেছো, বর্ণনাও করে থাকো যেরকম সম্পন্নতার সময় নিকটে আসছে তখন কি দেখেছো?
চলতে-ফিরতে ফরিস্তা রূপ, দেহভান বর্জিত। দেহের ফিলিং আসতো? সামনে দিয়ে গেলে দেহ
দেখতে পেতে নাকি ফরিস্তা রূপ অনুভব হত? কর্ম করেও, বার্তালাপ করতে-করতেও, ডায়রেক্শন
দেওয়ার সময়ও, উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধি করেও দেহ থেকে পৃথক, সূক্ষ্ম প্রকাশের রূপের
অনুভূতি করতে। তোমরা বলে থাকো যে ব্রহ্মা বাবা কথা বলার সময় এমন অনুভব হত যে কথা
বলছেন কিন্তু তিনি এখানেই নেই, দেখছেন কিন্তু দৃষ্টি ছিল অলৌকিক, এই স্থুল দৃষ্টি
নয়। দেহভান থেকে পৃথক, অন্যদেরও দেহভান আসতো না, সবকিছু থেকে পৃথক রূপ দেখা যেত, একে
বলা হয় দেহতে থেকেও ফরিস্তা স্বরূপ। প্রত্যেক কথাতে, বৃত্তিতে, দৃষ্টিতে, কর্মে
পৃথকভাব অনুভব হত। ইনি বলছেন কিন্তু পৃথক এবং প্রিয়, অতিপ্রিয় লাগতো। আত্মিক প্রিয়।
এইরকম ফরিস্তাভাবের অনুভূতি নিজেও করো এবং অন্যদেরকেও অনুভব করাও কেননা ফরিস্তা না
হলে দেবতা হতে পারবে না। ফরিস্তা তথা দেবতা। তো নম্বরওয়ান ব্রহ্মার আত্মা প্রত্যক্ষ
সাকার রূপেও ফরিস্তা জীবনের অনুভব করিয়েছেন আর ফরিস্তা স্বরূপ হয়ে গেছেন। সেই
ফরিস্তা রূপের সাথে তোমাদেরকেও ফরিস্তা হয়ে পরমধামে যেতে হবে। তো এর জন্য মনের
একাগ্রতার উপর অ্যাটেনশান দাও। অর্ডারের দ্বারা মনকে পরিচালনা করো। করতে হলে মনের
দ্বারা কর্ম করবে, যদি না করতে হয় কিন্তু মন বলে করো, এটা মালিকভাব নয়। এখন কিছু
বাচ্চা বলে, আমি চাইনি কিন্তু হয়ে গেল। চিন্তা করোনি কিন্তু হয়ে গেল, করা উচিত নয়
কিন্তু হয়ে যায়। এটা হলো মনের বশীভূত অবস্থা। তো এইরকম অবস্থা তো ভালো লাগে না তাই
না! ফলো ব্রহ্মা বাবা। ব্রহ্মা বাবাকে তোমরা দেখছো যে সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় কি
অনুভব হতো? ফরিস্তা দাঁড়িয়ে আছে, ফরিস্তা দৃষ্টি দিচ্ছে। তো মনের একাগ্রতার শক্তি
সহজে ফরিস্তা বানিয়ে দেবে। ব্রহ্মা বাবাও বাচ্চাদেরকে এটাই বলতেন যে - সমান হও।
শিববাবা বলেন - নিরাকারী হও, ব্রহ্মা বাবা বলেন ফরিস্তা হও। তো কি বুঝলে? রেজাল্টে
কি দেখেছেন? মনের একাগ্রতা কম আছে। মাঝে মাঝে মন চারিদিকে চক্র লাগায়, উদ্ভ্রান্ত
হয়। যেখানে যাওয়া উচিত নয় সেখানে চলে যায় তাহলে তাকে কি বলবে? উদ্ভ্রান্ত হওয়াই বলবে
তাই না! তো একাগ্রতার শক্তিকে বৃদ্ধি করো। মালিকভাবের স্টেজের সীটের উপর সেট থাকো।
যখন সেট থাকে তখন আপসেট হয় না, সেট না থাকলে আপসেট হয়ে যায়। তো ভিন্ন-ভিন্ন শ্রেষ্ঠ
স্থিতিগুলির সীটের উপর সেট থাকো, একে বলা হয় একাগ্রতার শক্তি। ঠিক আছে? ব্রহ্মা
বাবার সাথে ভালোবাসা আছে তাই না! কতটা ভালোবাসা আছে? কতটা আছে? অনেক আছে! তো
ভালোবাসার রেসপন্সে বাবাকে কি দিয়েছো? বাবারও ভালোবাসা আছে তাই তো তোমাদেরও ভালোবাসা
আছে তাই না! তো রিটার্ন কি দিয়েছো? সমান হওয়া - এটাই হল রিটার্ন। আচ্ছা।
ডবল বিদেশীও এসেছে। ভালো হয়েছে, ডবল বিদেশীদের দ্বারাও মধুবনের শৃঙ্গার হয়ে যায়।
ইন্টারন্যাশানাল হয়ে যায় তাই না! ভালো হয়েছে, বাপদাদা দাদীর সংকল্প শুনেছেন। (আজ
সকালে ক্লাসে দাদীজি সবাইকে দেশ-বিদেশের সেবার ধূম মাচানোর সংকল্প দিয়েছিলেন,
ভারতের কোনও গ্রাম, কোনও দেশ এই বছর সন্দেশ পাওয়া থেকে যেন বঞ্চিত না থাকে, এইরকম
প্ল্যান বানাও) সংকল্প করেছে তাই না- ভালো হয়েছে। দেখবো, বিদেশ এই সংকল্প পূর্ণ করে
নাকি ভারত পূর্ণ করে! সন্দেশ তো দিতে হবেই। তোমাদের এতকিছু প্রাপ্তি হয়েছে, বাবাকে
পেয়েছো, খাজানা পেয়েছো, পালনা পেয়েছো, ন্যূনতম নিজের ভাই-বোনদের কাছে সন্দেশ তো
পৌঁছানো চাই। তারা অনুযোগ তো করতে পারবে না যে আমি জানতেই পারলাম না। তো সন্দেশ
অবশ্যই দিতে হবে, এটা আবশ্যক। আর মুশকিল কি? প্রত্যেক জোন নিজের নিজের জোনের সাইডকে
বিতরণ করো, আর কি! প্রত্যেক জোনের মধ্যে কত সেন্টার আছে, প্রত্যেক সেন্টারে বিতরণ
করো, এটা আর এমন কি বড় কথা! দেখো, মধুবনে বর্গীকরণের সেবা হয়, তার দ্বারা আওয়াজ
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তোমরা দেখবে যবে থেকে এই বর্গীকরণের সেবা শুরু করেছো, তবে থেকে
আই.পি কোয়ালিটিতে আওয়াজ বেশী ছড়িয়ে পড়েছে। ভি.ভি.আই.পি - র তো কথা ছাড়ো, তাদের তো
সময় কোথায়! আরও যে বড় বড় প্রোগ্রাম করেছো, তার থেকেও আওয়াজ তো ছড়িয়েছে। এখন দিল্লী
আর কলকাতা তো করছে তাই না! ভালো প্ল্যান তৈরী করছে। পরিশ্রমও অনেক করছে। বাপদাদার
কাছে সমাচার আসে।দিল্লীর আওয়াজ বিদেশ পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। মিডিয়া সেবাধারীরা কি
করছে? কেবল ভারত পর্যন্ত। বিদেশ থেকে আওয়াজ আসবে যে দিল্লীতে এই প্রোগ্রাম হয়েছে,
কলকাতায় এই প্রোগ্রাম হয়েছে। সেখানকার আওয়াজ ইন্ডিয়াতে আসবে। ইন্ডিয়ার কুম্ভকর্ণ তো
বিদেশের দ্বারা জাগরিত হবে, তাই না! তো বিদেশের খবরের মহত্ব থাকে। প্রোগ্রাম ভারতে
হবে আর সমাচার বিদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হবে, তখন প্রভাব পড়বে। ভারতের আওয়াজ
বিদেশে পৌঁছাবে আর বিদেশের আওয়াজ ভারতে পৌঁছাবে, তবে এর প্রভাব হবে। ভালো। যাকিছু
প্রোগ্রাম বানিয়েছো, ভালো বানিয়েছো। বাপদাদা দিল্লীর সেবাধারীদেরও প্রেমযুক্ত
পরিশ্রমের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন। কলকাতার সেবাধারীদেরকেও ইনঅ্যাডভান্স অভিনন্দন
কেননা সহযোগ, স্নেহ আর সাহস যখন এই তিনটি মিলে যায় তখন আওয়াজ জোড়ালো হয়। আওয়াজ ছড়িয়ে
পড়বে, কেন ছড়াবে না! এখন মিডিয়ার সেবাধারীরা এটা সম্ভব করে দেখাও, সবাই টি.ভি তে
দেখেছো, ইনি টি.ভি তে এসেছেন, কেবল ইনি নন। ইনি তো ভারতে এসেছেন। এখন বিদেশে আরও
বেশী করে পৌঁছে দাও। এখন দেখবো এই সাল আওয়াজ ছড়িয়ে দেওয়ার কত সাহস আরও ধুমধাম করে
পালন করো। বাপদাদার কাছে সমাচার এসেছে যে ডবল ফরেনার্সের মধ্যে অনেক উৎসাহ আছে। আছে,
তাই না? ভালো। একে-অপরকে দেখে আরও উৎসাহ এসে যায়, “যে এগিয়ে আসে সে, ব্রহ্মা বাবার
সমান”। ভালো। তো দাদীরও সংকল্প আসে, বিজি (ব্যস্ত) রাখার পদ্ধতি খুব ভালো ভাবে আসে।
ভালো, নিমিত্ত তাই না।
আচ্ছা - সবাই উড়ন্ত কলায় আছো? উড়ন্ত কলা হলো ফাস্ট কলা। হাঁটার কলা, চড়তি কলা, এগুলো
ফাস্ট কলা নয়। উড়ন্ত কলা ফাস্ট-ও আবার ফার্স্টেও নিয়ে যায়। আচ্ছা -
মাতারা কি করবে? মাতারা নিজেদের সমবয়সীদের জাগাও। অন্ততপক্ষে অভিযোগ করার মতো কোনো
মাতা যেন না থেকে যায় । মাতাদের সংখ্যা সর্বদা বেশী থাকে। বাপদাদার খুশী হয় আর এই
গ্রুপে সকলের সংখ্যা ভালো এসেছে। কুমারদেরও সংখ্যা ভালো এসেছে। দেখো, কুমার নিজেদের
সমবয়সীদের জাগাও। ভালো। কুমার এটা করে দেখাবে যে স্বপ্নেও পর্যন্ত পবিত্রতাতে
পরিপক্ক তারা। বাপদাদা বিশ্বে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন যে ব্রহ্মা কুমার ইউথ কুমার,
ডবল কুমার তাই না! তোমরা ব্রহ্মাকুমারও আবার শারীরিকভাবেও কুমার । তো পবিত্রতার
পরিভাষা প্র্যাক্টিক্যালেই দিচ্ছো। তো অর্ডার করবো, পবিত্রতার জন্য নিজেকে চেক করো।
করবো অর্ডার? এতে হাত তুলছো না। চেক করার মেশিন আছে। স্বপ্নেও অপবিত্রতা সাহস দেখাবে
না। কুমারীদেরকেও এইরকম হতে হবে, কুমারী অর্থাৎ পূজ্য পবিত্র কুমারী। কুমার আর
কুমারীরা বাপদাদার কাছে প্রমিস করো যে আমরা সবাই এত পবিত্র আছি যে স্বপ্নেও সংকল্প
আসবে না, তখন কুমার আর কুমারীদের পবিত্রতা সেরিমনি পালন করবো। এখন অল্প অল্প আছে,
বাপদাদা জানেন। অপবিত্রতার অবিদ্যা থাকবে, কেননা নতুন জন্ম নিয়েছো তাই না। অপবিত্রতা
হল তোমাদের পাস্ট জন্মের কথা। মরজীবা জন্ম, জন্মই হল ব্রহ্মার মুখ থেকে পবিত্র জন্ম।
তো পবিত্র জন্মের মর্যাদা অত্যন্ত আবশ্যক। কুমার কুমারীদের এই ঝান্ডা ওড়াতে হবে।
পবিত্র আছো, পবিত্র সংস্কার সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে, এই সংকল্পকে বাস্তবে রূপ দাও।
শুনেছো কুমারীরা। দেখো কুমারী কত এসেছে। এখন দেখবো কুমারীরা এই আওয়াজ ছড়িয়ে দেবে
নাকি কুমাররা? ব্রহ্মা বাবাকে ফলো করো। অপবিত্রতার নাম-লক্ষণ নেই, এটাই হল ব্রাহ্মণ
জীবন। মাতাদের মধ্যেও যদি মোহ থাকে, তো সেটাও হল অপবিত্রতা। মাতারাও ব্রাহ্মণ তাই
না। তো না মাতাদের মধ্যে, না কুমারীদের মধ্যে, না কুমারদের মধ্যে, না অধর কুমার
কুমারীদের মধ্যে। ব্রাহ্মণ মানেই হল পবিত্র আত্মা। অপবিত্রতা যদি কোনও কাজে হয়েও
যায় তবে সেটা হলো অনেক বড় পাপ। এই পাপের শাস্তি অনেক কষ্টকর। এমন ভেবো না যে এটা তো
চলতেই থাকে। অল্প একটু তো হবেই, না। এটাই হলো ফার্স্ট সাব্জেক্ট। নবীনত্বই হলো
পবিত্রতার। ব্রহ্মা বাবা গালিও খেয়েছেন এই পবিত্রতার কারণে। হয়ে গেছে, এটা বলে
মুক্তি পাবে না। এতে অলস হয়ো না। যেকোনও ব্রাহ্মণ, হয় সে স্যারেন্ডার, সেবাধারী, বা
প্রবৃত্তিতে আছে, এই বিষয়ে ধর্মরাজও ছাড়বে না। ব্রহ্মা বাবাও ধর্মরাজের সাথ দেবেন।
এইজন্য কুমার-কুমারী যেখানেই আছো, মধুবনে আছো, সেন্টারে আছো কিন্তু এর চোট, সংকল্প
মাত্রেরও চোট হলো অনেক বড় চোট। তোমরা গীত গাইতে থাকো না, যে - পবিত্র মন রাখো,
পবিত্র তন রাখো... গীত আছে না তোমাদের! তো মন পবিত্র থাকলে জীবনও পবিত্র হবে, এতে
দুর্বল হয়ে যেও না, একটুখানি দুর্বল আছো কি! একটু নয়, অনেক। বাপদাদা অফিসিয়াল ইশারা
দিচ্ছেন, এতে রক্ষা পাবে না। এর হিসেব-নিকেশ ভালোভাবে নেবে, সে যেই হোক। এইজন্য
সাবধান, অ্যাটেনশান। শুনেছো - সবাই মন দিয়ে শুনেছো! দুটো কান খুলে শোনো। বৃত্তিতেও
যেন টাচিং না হয়। দৃষ্টিতেও যেন টাচিং না হয়। সংকল্পেই নেই তো বৃত্তি দৃষ্টি কেমন
হবে? কেননা সময় সম্পন্নতার নিকটে আসছে, একদম পবিত্র হওয়ার। তাতে এই জিনিস তো পুরোই
সাদা কাগজের উপর কালো দাগ। আচ্ছা - সবাই যেখান থেকেই এসেছো, সবদিক থেকে আগত
বাচ্চাদেরকে অভিনন্দন।
আচ্ছা - মনকে অর্ডার অনুসারে পরিচালনা করো। সেকেন্ডে যেখানে চাইবে সেখানে মন লেগে
যাবে, স্থির হয়ে যাবে। এই এক্সারসাইজ করো। (ড্রিল) আচ্ছা - অনেক জায়গায় বাচ্চারা
শুনছে। স্মরণও করছে, শুনছেও। এটা শুনে খুশীও হচ্ছে যে সায়েন্সের সাধন বাস্তবে
বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত সুখদায়ী।
চারিদিকের সর্ব খাজানাতে সদা সম্পন্ন বাচ্চাদেরকে, সদা ভাগ্যবান, খুশীতে পরিপূর্ণ
চেহারা আর চলনের দ্বারাও খুশীর অঞ্জলী দেওয়া বিশ্ব কল্যাণকারী বাচ্চাদেরকে, সদা
মনের মালিক হয়ে একাগ্রতার শক্তি দ্বারা মনকে কন্ট্রোলকারী মনজীৎ, জগতজীৎ বাচ্চাদেরকে,
সদা ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষত্ব পবিত্রতার পার্সোনালিটিতে থাকা পবিত্র ব্রাহ্মণ
আত্মাদেরকে, সদা ডবল লাইট হয়ে ফরিস্তা জীবনে ব্রহ্মা বাবাকে ফলো কারী, এইরকম ব্রহ্মা
বাবার সমান বাচ্চাদেরকে বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার। চারদিকে যারা শুনছে,
স্মরণ করছে, সেই সকল বাচ্চাদেরকেও অনেক অনেক হৃদয়ের আশীর্বাদ সহযোগে স্মরণের
স্নেহ-সুমন, সবাইকে নমস্কার।
বরদান:-
সাকার বাবাকে ফলো করে নম্বরওয়ান স্থান নিতে পারা
সম্পূর্ণ ফরিস্তা ভব
নম্বর ওয়ানে আসার সহজ সাধন হলো - যিনি নম্বর ওয়ান
ব্রহ্মা বাবা, সেই ওয়ানকে দেখো। অনেককে দেখার পরিবর্তে এক-কে দেখো আর এক-কে ফলো করো।
আমিই সেই ফরিস্তা - এই মন্ত্রকে পাক্কা করে নাও তাহলে পার্থক্য সমাপ্ত হয়ে যাবে,
তারপর সায়েন্সের যন্ত্র নিজের কাজ শুরু করে দেবে আর তোমরা সম্পূর্ণ ফরিস্তা দেবতা
হয়ে নতুন দুনিয়াতে অবতীর্ণ হবে। তো সম্পূর্ণ ফরিস্তা অর্থাৎ সাকার বাবাকে ফলো করা।
স্লোগান:-
মান-এর ত্যাগে সকলের মাননীয় হওয়ার ভাগ্য সমাহিত হয়ে
আছে।
নিজের শক্তিশালী মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো
- যেরকম বাপদাদার করুণা হয়, এইরকম তোমরা বাচ্চারাও মাস্টার করুণাময় হয়ে মন্সা নিজের
বৃত্তির দ্বারা, বায়ুমন্ডল দ্বারা আত্মাদেরকে বাবার থেকে প্রাপ্ত হওয়া শক্তি দাও।
যখন অল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র বিশ্বের সেবা সম্পন্ন করতে হবে, তত্ত্ব সহ সবাইকে পাবন
বানাতে হবে তাই তীব্র গতিতে সেবা করো।