12.04.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের এই ব্রাহ্মণ কুল হলো একেবারেই আলাদা, তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে নলেজফুল, তোমরা জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং অজ্ঞানকে (অজ্ঞানতাকে) জানো"

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, কোন্ সহজ পুরুষার্থের দ্বারা তোমাদের মন সব বিষয় থেকে দূর হতে থাকবে?

উত্তরঃ  
শুধুমাত্র রূহানী বা আত্মিক কার্যে ব্যস্ত হও, যত এই আত্মিক সেবা করবে ততই অন্য সব বিষয় থেকে মন স্বতঃতই দূর হতে থাকবে। রাজত্ব প্রাপ্তির পুরুষার্থে ব্যস্ত হয়ে যাবে। কিন্তু এই আধ্যাত্মিক (রূহানী) সার্ভিসের সাথে সাথে যে রচনা করেছো, তার রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে ।

গীতঃ-
যে প্রিয়তমের সাথে আছে, তার সাথেই বরিষণ আছে....

ওম্ শান্তি ।
প্রিয়তম বলা হয় শিববাবাকে। এখন বাবার সামনে তো বাচ্চারা বসে আছে। বাচ্চারা জানে আমরা কোনো সাধু সন্ন্যাসী ইত্যাদির সামনে বসে নেই। তিনি হলেন পিতা জ্ঞানের সাগর, জ্ঞানের দ্বারা সদগতি হয়। বলা হয় জ্ঞান, বিজ্ঞান ও অজ্ঞান। বিজ্ঞান অর্থাৎ দেহী-অভিমানী হওয়া, স্মরণের যাত্রায় থাকা এবং জ্ঞান অর্থাৎ সৃষ্টি চক্রের বিষয়ে জানা। জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং অজ্ঞান - এর অর্থ মানুষ একেবারেই জানে না। এখন তোমরা হলে সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ। তোমাদের এই ব্রাহ্মণ কুল হল অন্যতম, এই বিষয়ে কেউ জানে না। শাস্ত্রে এইসব কথা নেই যে ব্রাহ্মণ সঙ্গমযুগে থাকে। এই কথাও জানে যে প্রজাপিতা ব্রহ্মা এসে চলে গেছেন, ব্রহ্মাকে আদি দেব বলা হয়। আদি দেবী জগৎ অম্বা, তিনি কে! এই কথা দুনিয়া জানে না। অবশ্যই ব্রহ্মা মুখ বংশী হবে। তিনি ব্রহ্মার স্ত্রী নয়। অ্যাডপ্ট করেন তাইনা। বাচ্চারা, তোমাদেরও তো অ্যাডপ্ট করেছেন। ব্রাহ্মণদের দেবতা বলা হবে না। এখানে ব্রহ্মার মন্দির আছে, তিনিও মানব তাইনা। ব্রহ্মার সঙ্গে সরস্বতীও আছেন। দেবীদের মন্দিরও আছে। সবাই এখানকার মানুষ তাইনা। মন্দির একজনের বানিয়েছে। প্রজাপিতার অসংখ্য প্রজা হবে তাইনা। এখন তৈরি হচ্ছে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার কুলের বৃদ্ধি হচ্ছে। সবাই অ্যাডপ্টেড ধর্মের সন্তান। এখন তোমাদের অসীম জগতের পিতা ধর্মীয় সন্তান রূপে আপন করেছেন তাইনা। ব্রহ্মাও হলেন অসীম জগতের পিতার সন্তান, তিনিও অবিনাশী উত্তরাধিকার শিববাবার কাছে প্রাপ্ত করেন। তোমরা হলে নাতি নাতনী তোমরাও শিববাবার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। জ্ঞান তো কারো কাছে নেই কারণ জ্ঞানের সাগর হলেন কেবল একজন, তিনি পিতা যতক্ষণ না আসছেন ততক্ষণ কারো সদগতি হয় না। এখন তোমরা ভক্তি থেকে জ্ঞানে এসেছো, সদগতির জন্য। সত্যযুগকে বলা হয় সদগতি। কলিযুগকে দুর্গতি বলা হয় কারণ রাবণের রাজ্য। সদগতিকে রামরাজ্যও বলা হয়। সূর্যবংশীও বলে। যথার্থ নাম সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী। বাচ্চারা জানে আমরা-ই সূর্য বংশে ছিলাম, তারপরে ৮৪ জন্ম নিলাম, এই জ্ঞান কোনো শাস্ত্রে থাকতে পারেনা কারণ শাস্ত্র হলো ভক্তি মার্গের জন্য। সেসব তো বিনাশ হয়ে যাবে। এখানে যা সংস্কার নিয়ে যাবে সেখানে গিয়ে সেসব তৈরি করবে। তোমাদের মধ্যেও সংস্কার ভরে যাচ্ছে রাজত্বের। তোমরা রাজত্ব করবে তারা (সায়েন্টিস্টরা) সেই রাজত্বে গিয়ে যা কলাকৌশল শিখেছে সেসবই করবে। নিশ্চয়ই সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজত্বে যাবে। তাদের থাকবে শুধু বিজ্ঞানের জ্ঞান। তারা বিজ্ঞানের সংস্কার নিয়ে যাবে। সেসবও হলো সংস্কার । তারাও পুরুষার্থ করে, তাদের কাছে এই বিদ্যা আছে। তোমাদের অন্য কোনো বিদ্যা নেই। তোমরা বাবার কাছ থেকে রাজত্ব নেবে। কাজকারবার করার মধ্যে তো সেই সংস্কার থাকে তাই না। নানান রকমের ঝুট ঝামেলা থাকে। কিন্তু যতক্ষণ বাণপ্রস্থ অবস্থা না হচ্ছে ততক্ষণ ঘর সংসারের রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। তা নাহলে তোমাদের সন্তানদের কে দেখবে। এখানে এসে তো বসবে না। তোমরা এমনও বলে থাকো যে, যখন এই কাজে সম্পূর্ণ রূপে মনোযোগ দেবে তখন সে সব আপনিই ছুটে যাবে। এর সঙ্গে নিজের রচনার দেখাশোনাও অবশ্যই করতে হবে। হ্যাঁ, এই আধ্যাত্মিক সার্ভিসে একবার মন বসে গেলে তখন সংসার থেকে মন সরে যায় । তারা ভাববে, যত সময় এই আধ্যাত্মিক সার্ভিস করা যায়, ততই ভালো। বাবা পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার পথ বলে দিতে এসেছেন, অতএব বাচ্চাদের এই সার্ভিস করতে হবে। প্রত্যেকের হিসেব দেখা হয়। অসীম জগতের বাবা কেবল পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার মতামত দেন, তিনি পবিত্র হওয়ার রাস্তা বলে দেন। বাকি এ'সব দেখাশোনা করা, রায় দেওয়া এনার (ব্রহ্মাবাবার) কর্তব্য । শিববাবা বলেন আমাকে ব্যবসা ইত্যাদির কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে না। আমাকে তোমরা ডেকেছো যে এসে পতিত থেকে পবিত্র করো, তাই আমি এনার দ্বারা তোমাদের পবিত্র করছি। ইনিও হলেন বাবা, এনার মতানুযায়ীও চলতে হবে। তাঁর হল আধ্যাত্মিক মত, এনার হলো দৈহিক মত। এনার উপরেও কতো রেসপন্সিবিলিটি রয়েছে । ইনিও বলতে থাকেন শিববাবার ফরমান (আদেশ) হলো - "মামেকম্ স্মরণ করো" । বাবার মতানুযায়ী চলো। যদি বাচ্চাদের কিছু প্রশ্ন থাকে, চাকরীতে কিভাবে চলবো, সেসব কথা সাকার বাবা ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন, ওনার অনুভব আছে, উনি বলবেন। আমি যেরকম করছি, ওনাকে দেখেই শিখতে হবে, উনি শেখাবেন কারণ উনি হলেন সবচেয়ে প্রথমে। সব রকমের ঝড় ঝঞ্ঝা সর্ব প্রথম ওনার কাছেই আসে তাই সবচেয়ে রুস্তম (সুদক্ষ বীর) হলেন ইনি, তবেই তো উঁচু পদ মর্যাদাও প্রাপ্ত করেন। মায়াও বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে। ইনি সবকিছু একবারে ত্যাগ করেছেন, এনার পার্ট ছিল। বাবা এনার দ্বারা করিয়ে নিয়েছেন। করনকরাবনহার তো তিনি তাইনা। তিনিও খুশী মনে সবকিছু ত্যাগ করেছেন, সাক্ষাৎকারও হয়েছে। এখন আমরা বিশ্বের মালিক হই। এই দৈহিক দুনিয়ার পাই পয়সার জিনিস নিয়ে আমরা কি করবো। বিনাশের সাক্ষাৎকারও করিয়েছেন। বুঝেছেন, এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। আমরা আবার রাজত্ব প্রাপ্ত করবো তখন এক কথায় ত্যাগ করেছেন। এখন তো বাবার মতানুযায়ী চলতে হবে। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। ড্রামা অনুসারে ভাট্টি তো আয়োজিত হবেই। মানুষ একটুও বোঝেনি যে এত এতজন কেন চলে এসেছে । উনি তো (ব্রহ্মাবাবা) কোনো সাধু সন্ন্যাসী নন। ইনি তো একেবারে সিম্পল, উনি তো কাউকে পালিয়ে আসতে বলেননি। মানুষ মাত্রেরই কোনো মহিমা নেই। মহিমা তো হলো একমাত্র বাবার। ব্যস্। বাবা নিজে এসে সবাইকে সুখ প্রদান করেন। তোমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তোমরা এখানে কার কাছে এসেছো? তোমাদের বুদ্ধি সেখানেও (পরমধাম) যাবে, এখানেও থাকবে কারণ তোমরা জানো শিববাবা হলেন পরমধামের নিবাসী। এখন ব্রহ্মাবাবার মধ্যে এসেছেন। বাবার কাছে আমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। কলিযুগের পরে নিশ্চয়ই স্বর্গ আসবে। কৃষ্ণও শিববাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিয়ে রাজত্ব করেন, এতে ডিভাইন অ্যাক্টিভিটির (চরিত্র ইত্যাদির) কোনো ব্যাপার নেই। যেমন রাজার কাছে প্রিন্স (রাজপুত্র) জন্ম নেয়, স্কুলে পড়াশোনা করে বড় হয়ে রাজসিংহাসনে বসবে। এতে মহিমা বা ডিভাইন অ্যাক্টিভিটির (চরিত্রের) কোনো কথা নেই। উঁচু থেকে উঁচু হলেন একমাত্র শিববাবা। মহিমা কেবল শিববাবার-ই হয় ! ব্রহ্মাবাবাও তাঁরই পরিচয় দেন। যদি ব্রহ্মাবাবা বলেন আমি বলছি তো মানুষ ভাববে ইনি নিজের কথাই বলছেন। এই কথা টা তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো, ভগবানকে কখনও মানুষ বলা যাবে না। তিনি তো হলেন একমাত্র নিরাকার। পরমধামে বাস করেন। তোমাদের বুদ্ধিও উপরে পরমধামে যায় পরে নীচে আসে।

বাবা দূরদেশ থেকে অন্যের দেশে এসে আমাদের পড়িয়ে ফিরে যান। নিজেই বলেন - আমি আসি সেকেন্ডে। সময় বেশী লাগে না। আত্মাও সেকেন্ডে এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীরে চলে যায়। কেউ দেখতে পায়না। আত্মা খুবই তীক্ষ্ণ। গায়নও আছে সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। রাবণ রাজ্যকে জীবনবন্ধ রাজ্য বলা হবে। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সাথেই বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। তোমরাও বাবাকে চিনেছো এবং স্বর্গের মালিক হয়েছো তাতেও নম্বর অনুযায়ী পদ মর্যাদা আছে - পুরুষার্থ অনুসারে। বাবা খুব ভালোভাবে বোঝাতে থাকেন, আমাদের হলো দুইজন পিতা - একজন লৌকিক এবং আরেকজন পারলৌকিক। গায়নও করে দুঃখে স্মরণ সবাই করে, সুখে করে না কেউ। তোমরা জানো আমরা ভারতবাসী যখন সুখে ছিলাম (স্বর্গে) তখন স্মরণ করতাম না। তারপরে আমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করি। আত্মায় খাদ (কর্মের দাগ) পড়লে ডিগ্রী কম হতে থাকে। ১৬ কলা সম্পূর্ণ তার থেকে ২ কলা কম হয়ে যায়। কম পাস হওয়ার জন্য রামকে বাণ হাতে দেখানো হয়েছে। যদিও কোনো ধনুক ইত্যাদি ভাঙেনি। এই রূপ একটা প্রতীক চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। এই হল সব ভক্তি মার্গের কথা। ভক্তি কালে ঈশ্বর প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে মানুষ কত ঘুরে বেড়ায়। এখন তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত কর, তাই তোমাদের ঈশ্বর প্রাপ্তির খোঁজে বিভ্রান্ত হয়ে ঘোরা বন্ধ হয়ে যায়।

"হে শিববাবা" বলা এও একরকম আহ্বান করা হয়ে যায়। তোমরা "হে" শব্দটি বলবে না। বাবাকে স্মরণ করবে। আর্তনাদ করলে তো ভক্তির অংশ থেকে গেছে। হে ভগবান বলাও হল ভক্তি করার স্বভাব। বাবা কি বলেছেন - হে ভগবান বলে স্মরণ করো। অন্তর্মুখ হয়ে আমাকে স্মরণ করো। জপের দ্বারা স্মরণ করবে না। জপ করাও হলো ভক্তি মার্গের লক্ষণ। তোমরা বাবার পরিচয় পেয়েছো, এখন বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী চলো। এমন ভাবে বাবাকে স্মরণ করো যেমন লৌকিক সন্তানরা দেহধারী পিতাকে স্মরণ করে। নিজেও দেহ-বোধে থাকে তাই স্মরণও দেহধারী বাবাকেই করে। পারলৌকিক বাবা তো হলেন দেহী-অভিমানী। এনার মধ্যে এসেও দেহ-অভিমানী হন না। তিনি বলেন আমি এই দেহের লোন নিয়েছি, তোমাদের জ্ঞান প্রদান করার জন্য আমি এই দেহ লোনে নিয়েছি। আমি জ্ঞান সাগর কিন্তু জ্ঞান দেবো কীভাবে। গর্ভে তো তোমরা যাও, আমি তো গর্ভে যাইনা। আমার গতি মতি সবই আলাদা । শিববাবা এনার মধ্যে আসেন। এই কথাও কেউ জানেনা। বলাও হয় ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা। কিন্তু কীভাবে ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা করেন? কি প্রেরণা দেবেন! বাবা বলেন আমি সাধারণ দেহে আসি। তার নাম ব্রহ্মা রাখি কারণ সন্ন্যাস করেন, তাইনা।

তোমরা বাচ্চারা জানো এখন ব্রাহ্মণদের মালা তৈরি হবে না। কারণ মাঝে মাঝে ছিঁড়ে যায়। যখন ব্রাহ্মণ স্বরূপ ফাইনাল হয়ে যায় তখন রুদ্র মালা তৈরি হয়, তারপরে বিষ্ণুর মালায় যায়। মালায় স্থান প্রাপ্তির জন্য স্মরণের যাত্রা চাই। ওম্ শব্দের অর্থ আলাদা, ওম্ অর্থাৎ আত্মা। সেই আত্মা বলে আমরা সেই দেবতা, ক্ষত্রিয়.... তারা যদিও বলে আমি আত্মা আমিই পরমাত্মা। তোমাদের ওম্ এবং আমিই সেই - এই কথাটির অর্থ একেবারেই আলাদা। আমরা আত্মা তারপরে আত্মা বর্ণে আসে, আমি আত্মা সে-ই প্রথমে দেবতা, ক্ষত্রিয় হয়। এমন নয় যে আত্মা-ই হলো পরমাত্মা, সম্পূর্ণ জ্ঞান না থাকার কারণে অর্থ সংশয়-পূর্ণ হয়ে গেছে। অহম্ ব্রহ্মস্মি বলে, এই কথাটিও ভুল। বাবা বলেন আমি রচনার মালিক হই না। এই রচনার মালিক হও তোমরা। ব্রহ্ম তো হল তত্ত্ব। তোমরা আত্মারাই এই রচনার মালিক হও। এখন বাবা সব বেদ শাস্ত্রের যথার্থ অর্থ বসে বোঝান। এখন তো পড়া করতে হবে। বাবা তোমাদের নতুন নতুন কথা বোঝাতে থাকেন। ভক্তি কি বলে, জ্ঞান কি বলে। ভক্তি মার্গে মন্দির তৈরি করে, জপ তপ করে, টাকা খরচ করে। তোমাদের মন্দির অনেকে লুট করেছে। এইসবও ড্রামাতে পার্ট আছে তাই পরে তাদের কাছ থেকে সব ফেরতও আসবে। এখন দেখো কত ফিরে আসছে। প্রতিদিন বৃদ্ধি হচ্ছে। এরাও নিতে থাকে। তারা যত নিয়েছে সব হিসেব মতন ফেরত দেবে। তোমাদের টাকা পয়সা যারা খেয়েছে, তারা হজম করতে পারবে না। ভারত খন্ড তো অবিনাশী খন্ড তাইনা। পিতার জন্ম স্থল। এখানেই বাবা আসেন। বাবার ভূখন্ড থেকে নিয়ে যায় তাই ফেরত তো দিতে হবে। সময় হলে দেখো কত কি পাবে। এই কথা তোমরা জানো। তারা কি বা জানে - বিনাশ কখন আসবে। গভর্নমেন্ট এই কথা মানবে না। ড্রামায় সব পূর্ব নির্দিষ্ট আছে, ধার নিতেই থাকে। রিটার্ন হচ্ছে। তোমরা জানো আমাদের রাজধানী থেকে অনেক টাকা পয়সা নিয়ে গেছে, সেসব ফেরত দিচ্ছে। তোমাদের কোনো কথার চিন্তা নেই। চিন্তা শুধু থাকে বাবাকে স্মরণ করার। স্মরণের দ্বারা-ই পাপ ভস্মীভূত হবে। নলেজ তো খুব সহজ। এবারে যে যত পুরুষার্থ করতে পারে। শ্রীমৎ তো প্রাপ্ত হচ্ছে। অবিনাশী সার্জেনের মতামত প্রত্যেকটি কথায় নেওয়া উচিত। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) যখনই সময় পাবে, এই আধ্যাত্মিক করবার করতে হবে । আধ্যাত্মিক কাজকারবারের সংস্কার নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে। পতিতদের পবিত্র করার সার্ভিস করতে হবে।

২ ) অন্তর্মুখী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মুখে 'হে' শব্দ যেন না আসে। যেমন বাবার কোনো অহংকার নেই, তেমনই নিরহংকারী হতে হবে।

বরদান:-
মন্সা সংকল্প বা বৃত্তির দ্বারা শ্রেষ্ঠ ভাইব্রেশনের সুগন্ধ ছড়িয়ে দেওয়া শিবশক্তি কম্বাইন্ড ভব

যেরকম আজকাল স্থুল সুগন্ধী সাধনের দ্বারা গোলাপ, চন্দন বা ভিন্ন ভিন্ন সুগন্ধ ছড়িয়ে দেয় এইরকম তোমরা শিবশক্তি কম্বাইন্ড হয়ে মন্সা সংকল্প বা বৃত্তির দ্বারা সুখ-শান্তি, প্রেম, আনন্দের সুগন্ধি ছড়িয়ে দাও। প্রতিদিন অমৃতবেলায় ভিন্ন ভিন্ন শ্রেষ্ঠ ভাইব্রেশনের ফাউন্টেনের মতো আত্মাদের উপর বর্ষণ করো। কেবল সংকল্পের অটোমেটিক সুইচ অন করো তাহলে বিশ্বে যে অশুদ্ধ বৃত্তিগুলির দুর্গন্ধ আছে সেগুলো সমাপ্ত হয়ে যাবে।

স্লোগান:-
সুখদাতার দ্বারা সুখের ভান্ডার প্রাপ্ত হওয়া - এটাই হলো তাঁর ভালোবাসার নিদর্শন।

অব্যক্ত ঈশারা :- “কম্বাইন্ড রূপের স্মৃতির দ্বারা সদা বিজয়ী হও”

যেরকম শক্তিদের মধ্যে শক্তি আছে, সেরকমই পান্ডবদের মধ্যেও বিশাল শক্তি আছে, এইজন্য চতুর্ভুজ রূপ দেখানো হয়েছে। শক্তি এবং পান্ডবদের কম্বাইন্ড রূপের দ্বারাই বিশ্ব সেবার কার্যে সফলতা প্রাপ্ত হয়। সেইজন্য সদা একে অপরের সহযোগী হয়ে থাকো। দায়িত্বের মুকুট সদা পরিধান করে থাকো।